× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP thinking of Dhaka siege program after schedule
google_news print-icon

তফসিলের পর ‘ঢাকা ঘেরাও’-এর চিন্তায় বিএনপি

তফসিলের-পর-ঢাকা-ঘেরাও-এর-চিন্তায়-বিএনপি
ফাইল ছবি
সচিবালয় ঘেরাও, নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি দেয়ার কথাও বলেছেন বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতারা৷ সারা দেশ থেকে রাজধানী বিচ্ছিন্ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বিএনপি৷ ঘরে বসে গ্রেপ্তার না হয়ে তখন রাজপথে গ্রেপ্তার হওয়ার ব্যাপারেও নির্দেশনা আসবে দলের হাইকমান্ডের৷

পঞ্চম দফায় আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনের অর্থাৎ ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো৷

এর আগে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি৷ এরপর শুক্রবার ও শনিবার বাদে সপ্তাহের পাঁচদিনের মধ্যে দুই দিন করে চারদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে৷ সবমিলিয়ে এর আগে চার দফায় মোট ৯ দিন অবরোধ এবং একদিন হরতাল পালন করেছে দলটি।

সামনে বিএনপির কী ধরনের কর্মসূচি আসছে?- এ বিষয়ে একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে ‘ঢাকা ঘেরাও’ ও ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েই ভাবছেন বিএনপি নেতারা৷

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘এখনই ঠিক করে বলা যাবে না, আমরা কী কর্মসূচি দেব৷ প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মসূচি দেয়া হবে৷ আগে তফসিল হোক, সেটা দেখেই সিনিয়র নেতারা বৈঠক করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন।’

‘অসহযোগ’ বা ‘ঢাকা ঘেরাও’-এর কোনো কর্মসূচি আসছে কিনা?- জানতে চাইলে দলটির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘আসতে পারে৷ পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝেই আমরা চূড়ান্ত করব৷ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করা হবে।’

এখন পর্যন্ত হরতাল ও অবরোধের যে কর্মসূচি বিএনপি পালন করেছে, তাতে কতটুকু সফলতা এসেছে?- প্রশ্নের উত্তরে রিজভী বলেন, ‘আমরা মনে করি পুরোপুরি সফল৷ সরকার যে ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে, তার মধ্যেও জনগণ যে সহযোগিতা করছে তাতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট৷ সরকার বাস চালানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু জনগণ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না৷ ফলে বাসেও যাত্রী হচ্ছে না, এই কারণে বলছি, আমরা পুরোপুরি সফল৷ আমাদের আন্দোলনে জনগণ সমর্থন দিচ্ছে৷ সামনের দিনেও আমরা সফল হব ইনশাল্লাহ।’

সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনে এসে গ্রেপ্তার এড়ানোর কৌশল নিয়েছেন বিএনপি নেতারা৷ এ কারণেই চলমান হরতাল-অবরোধে রাজপথ থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন অনেকে৷ সাময়িক গা ঢাকা দেয়া নেতারাও তফসিল ঘোষণা হলে চূড়ান্ত আন্দোলনে মাঠে নামবেন৷

বিএনপির মধ্যম সারির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তফসিলের পরদিন ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের ঘোষণা আসতে পারে৷ তখন আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে৷ পালিয়ে থাকা নেতা-কর্মীরাও তখন মাঠে নামবেন৷ সর্বশক্তি নিয়েই তারা মাঠে নামবেন৷

এ দফায় প্রথমেই গ্রেপ্তার হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ পরে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপনসহ দলটির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা৷ এ ছাড়া গত কয়েকদিনে সারা দেশে আট হাজারের বেশি বিএনপি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি দলটির৷ এমন পরিস্থিতিতে গ্রেপ্তার এড়িয়ে আন্দোলন জোরদারে কৌশলী বিএনপি।

সামনের দিনের আন্দোলন নিয়ে বিএনপির ভাবনা জানতে চাইলে দলটির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মসূচি ঘোষণা হবে৷ এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতারা কাজ করছেন৷ তবে বিএনপির চলমান আন্দোলনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি দৃশ্যমান হয়েছে৷ সরকারের দমন-পীড়ন উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষই কর্মসূচি সফল করে তুলছেন।’

বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তফসিল ঘোষণা-পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা এমনকি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের নেতাদের পরামর্শ নিচ্ছেন৷ এছাড়া জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, এলডিপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে বিএনপির হাইকমান্ডের৷ পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি ইসলামী দলকেও তফসিলকেন্দ্রিক আন্দোলনে পাশে চায় বিএনপি৷

সচিবালয় ঘেরাও, নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি দেয়ার কথাও বলেছেন বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতারা৷ পাশাপাশি জেলা ও উপজেলায় হরতাল-অবরোধ পালনে কঠোর নির্দেশনা দিচ্ছে দলটি৷ সারা দেশ থেকে রাজধানী বিচ্ছিন্ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বিএনপি৷ ঘরে বসে গ্রেপ্তার না হয়ে তখন রাজপথে গ্রেপ্তার হওয়ার ব্যাপারেও নির্দেশনা আসবে দলের হাইকমান্ডের৷ এছাড়া বড় শোডাউন দেয়ার পরিকল্পনা নিতে পারে তারা৷

বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু এ ব্যাপারে ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এখন যারা বাইরে আছেন তারা কর্মসূচি সফল করতে কাজ করছেন৷ অবরোধ পালনে রাজপথেই আছেন নেতা-কর্মীরা৷ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরবে না৷

‘দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা মাঠ ছাড়ব না৷ যেকোনো মুহূর্তে রাজপথে শুধু নেতা-কর্মীরাই নন, জনতার বাঁধভাঙা জোয়ার দেখা যাবে৷ জনতার বিজয় সুনিশ্চিত।’

বিএনপির কর্মসূচিতে প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্নস্থানে বাসে আগুন দেয়া হচ্ছে৷ আগুনের বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটছে রাজধানীতে৷ ফায়ার সার্ভিস গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩০টিরও বেশি বাসে আগুনের কথা জানিয়েছে৷ এসব ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে দায়ী করা হলেও রিজভী আহমেদ দাবি করছেন, ‘সরকারের এজেন্সি' দিয়ে এসব ঘটনা ঘটিয়ে তাদের দলের নেতা-কর্মীদের বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷

আরও পড়ুন:
তফসিলের পর সেনা মোতায়েন চেয়ে আইনি নোটিশ
বুধ ও বৃহস্পতিবার ফের অবরোধের ডাক বিএনপির
‘ভোট দেয়ার সাহস হারিয়ে ফেলেছি’
চতুর্থ দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন: দেশজুড়ে ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BNP will be an accountable government if elected Tariq Rahman

বিএনপি নির্বাচিত হলে জবাবদিহিতার সরকার হবে: তারেক রহমান

বিএনপি নির্বাচিত হলে জবাবদিহিতার সরকার হবে: তারেক রহমান কুমিল্লার ফান টাউন পার্ক মিলনায়তনে মঙ্গলবার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তারেক রহমান নেতাকর্মীদের প্রশ্নের জবাব দেন। ছবি: সংগৃহীত
বিতর্কিত কাজ থেকে নেতা-কর্মীদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের আস্থা নষ্ট হয় এমন কাজ করা যাবে না। স্বৈরাচারীরা দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। আসুন, আমরা দেশ ও মানুষের কাজে সময় ব্যয় করি। মানুষ এখন বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।’

জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগণের জন্য জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে বলে জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কুমিল্লার ফান টাউন পার্ক মিলনায়তনে মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হলো দেশের মানুষের কাছে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করা; যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। তাহলে দেশের সব সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবো পর্যায়ক্রমে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কী করবে তার বর্ণনা হলো রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১-দফা। সংস্কার প্রস্তাব শুধু দলীয় কর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, প্রতিটি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ৩১ দফায় কারও আপত্তি বা কোনো প্রস্তাবনা থাকলে সংস্কার কিংবা সংযোজন করা হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘যখন অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইতো না যে স্বৈরাচারের বিদায় হবে, আমরা সেই সময় এই দফা দিয়েছিলাম। সেটা প্রায় দুই বছর আগে। আমরা প্রথমে এটা ২৭ দফা দিয়েছিলাম, পরবর্তীতে ৩১ দফা হয়েছে। কারণ আমাদের সঙ্গে অনেক গণতান্ত্রিক দল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছিল। তাদের মতামত যুক্ত করা হয়েছে এখানে।’

বিতর্কিত কাজ থেকে নেতা-কর্মীদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘দলের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে, জনগণের আস্থা নষ্ট হয় এমন কাজ করা যাবে না। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য কাজ করতে হবে। স্বৈরাচারীরা দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। এখনও সময় আছে। আসুন, আমরা দেশ ও মানুষের কাজে সময় ব্যয় করি। মানুষ এখন বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।’

দেশ ও মানুষের জন্য জিয়া পরিবারের অবদানের উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমার বাবা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে গিয়েই ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে জীবন দিয়েছেন। আমার মা বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের পক্ষে থাকার কারণে কীভাবে নির্যাতিত হয়েছেন তা আপনারা দেখেছেন। আমার ভাই আরাফাত রহমান ষড়যন্ত্রকারীদের অত্যাচারে শহীদ হয়েছেন। বাংলাদেশের বহু বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারের কাহিনী আমার পরিবারের মতোই।’

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে গত ১৫ বছরে পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। কীভাবে দেশকে দুর্নীতিতে ডুবিয়ে দিয়েছে। কীভাবে অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।

‘তারা দুর্নীতির ওপর টিকে থাকতে চেয়েছিল এবং সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। এই দুর্নীতি থেকে যদি দেশকে রক্ষা করতে হয় তাহলে প্রাইমারি স্কুল থেকেই শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে।’

কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় নিযুক্ত নেতাকর্মীরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করেন। তারেক রহমান এবং কর্মশালার প্রশিক্ষকরা তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে। দেশের যানজট একটি প্রধান সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবিলা করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের নামে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করা হবে।’

প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো যাবে না। যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় অবধারিত বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। পলাতক সরকারের কিছু লোক ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করবে। দেশের মানুষ এসব ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। বিএনপি জনগণের সঙ্গে আছে।

বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন।

কর্মশালায় অংশ নেন কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি, মহানগর এবং পৌরসভার শীর্ষ নেতারা।

সভা শেষে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সময় নেতাকর্মীরা আগামী দিনে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত হবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন।

আরও পড়ুন:
আগামীর বাংলাদেশে মানুষের অধিকার থাকবে সুরক্ষিত: তারেক রহমান
‘বেগম রোকেয়া এ দেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত’
জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই বিএনপির ৩১ দফা: তারেক রহমান
বিপন্নের সহায়ক শক্তির আধার ‘আমরা বিএনপি পরিবার’: তারেক রহমান
ষড়যন্ত্র চলছে, অনেক অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে: তারেক রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNPs new cultural platform is Bangladesh first

বিএনপির নতুন সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ‘সবার আগে বাংলাদেশ’

বিএনপির নতুন সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ‘সবার আগে বাংলাদেশ’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “এবার বিজয় দিবসে আমরা নতুন প্রত্যাশা নিয়ে নতুনভাবে বাংলাদেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে হাজির হব। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর আয়োজনে হবে কনসার্ট।”

দেশীয় সংস্কৃতির প্রচারের লক্ষ্যে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সূচনা করেছে বিএনপি।

রাজধানীর গুলশান-১ এ উদয় টাওয়ারে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এই প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দিয়েছেন।

‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক এ্যানী বলেন, এই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে দেশের মানুষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর নতুন পরিবেশে নতুনভাবে বিজয়ের মাস উদযাপনের সুযোগ পাবে।

তিনি বলেন, “গত ১৬-১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমরা নিজেদের মতো করে বিজয় দিবস পালন ও উদযাপন করতে পারিনি। এবার বিজয় দিবসে আমরা নতুন প্রত্যাশা নিয়ে, নতুনভাবে বাংলাদেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে হাজির হব। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

“বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ১৬ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে ব্যাপক কর্মসূচি ও কার্যক্রম প্রণয়ন করেছে।”

এই কনসার্টে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও ব্যান্ডদলের মধ্যে- সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশীদ আলম, বেবী নাজনীন, মনির খান, কনক চাঁপা, দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান মাহমুদুল, প্রীতম, জেফার, মৌসুমী, নগর বাউল (জেমস), ডিফারেন্ট টাচ, অর্ক, সোলস, শিরোনামহীন, আর্টসেল, এভয়েডরাফা এবং সোনার বাংলা সার্কাস অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ সংগঠনটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানি ও যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Postponing elections in the name of reforms would not be wise Musharraf

সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না: মোশাররফ

সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না: মোশাররফ
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘সন্দেহ করছি- সংস্কারের নামে একটি মহল নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। এই সরকারকে দিয়ে সম্পূর্ণ মেরামত সম্ভব নয়। পুরো সংস্কারের জন্য দলীয় সরকার প্রয়োজন।’

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘সন্দেহ করছি- সংস্কারের নামে একটি মহল নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। এই সরকারকে দিয়ে সম্পূর্ণ মেরামত সম্ভব নয়। পুরো সংস্কারের জন্য দলীয় সরকার প্রয়োজন। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি কুমিল্লা বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভুইয়ার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কর্মশালা পরিচালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন।

কুমিল্লা বিভাগীয় এই কর্মশালায় অংশ নেন কুমিল্লার ছয়টি জেলা বিএনপি, মহানগর ও পৌরসভার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া ছেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার বানু, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুর সাত্তার পাটোয়ারী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবা হাবিব।

আরও পড়ুন:
নির্বাচনি রোডম্যাপ হলে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে: মোশাররফ
অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে ভারত
জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে নির্বাচনি রোডম্যাপও চায় বিএনপি
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন খন্দকার মোশাররফ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP has recommended the abolition of RAB

র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে বিএনপি

র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে বিএনপি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘র‌্যাব আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দনীয় হয়েছে। আর দেশের মধ্যে তো র‌্যাব মানেই দানব। যত ধরনের খুন, জখম, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড অধিকাংশই র‌্যাবের মাধ্যমে হয়েছে। সেজন্য এটাকে আমরা বিলুপ্ত করার জন্য সুপারিশ করেছি।’

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিটির কাছে এই সুপারিশ করেছে দলটি।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘র‌্যাব আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দনীয় হয়েছে। আর দেশের মধ্যে তো র‌্যাব মানেই দানব। যত ধরনের খুন, জখম, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড অধিকাংশই র‌্যাবের মাধ্যমে হয়েছে। সেজন্য এটাকে আমরা বিলুপ্ত করার জন্য সুপারিশ করেছি।’

আরও পড়ুন:
বিএনপির তিন সংগঠনের পদযাত্রা রামপুরা ব্রিজে আটকে দিয়েছে পুলিশ
জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে নির্বাচনি রোডম্যাপও চায় বিএনপি
রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপি
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি  

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human rights are being violated in Gaza Kashmir Rakhine Jamaat Ameer

গাজা-কাশ্মীর-রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে: জামায়াত আমির

গাজা-কাশ্মীর-রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে: জামায়াত আমির জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি
ডা. শফিকুর রহমান অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের সব মানবতাবাদী রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গাজাসহ পুরো ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, মিয়ানমারের রাখাইন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।

অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধানে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আগামীকাল মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সোমবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের আমির এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী মূলত মুসলিম জাতিগোষ্ঠী চিরতরে নির্মূল করার লক্ষ্যে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। খুনি ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলা থেকে নারী-শিশু-বৃদ্ধ, ছাত্র-শিক্ষক, ইমাম-মুয়াজ্জিন, বুদ্ধিজীবী কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে জামায়াতের আমির অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের সব মানবতাবাদী রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন:
আগামীর বাংলাদেশে মানুষের অধিকার থাকবে সুরক্ষিত: তারেক রহমান
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পদত্যাগ
সব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হওয়া উচিত: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Peoples rights will be protected in future Bangladesh Tariq Rahman

আগামীর বাংলাদেশে মানুষের অধিকার থাকবে সুরক্ষিত: তারেক রহমান

আগামীর বাংলাদেশে মানুষের অধিকার থাকবে সুরক্ষিত: তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এ যাত্রায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে- জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এটাই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার আলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থা এমন হতে হবে, যেখানে মানুষের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং কেউ আর নিপীড়িত হবে না। আজ আমরা এক নতুন যাত্রায় আছি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সুরক্ষার যাত্রা।

জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বরকে ‘মানবাধিকার দিবস’ ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতি বছর এদিন আন্তর্জাতিক ‘মানবাধিকার দিবস’ পালিত হয়ে আসছে।

এ বছরের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই’।

তারেক রহমান এই দিনে প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন- সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি ন্যায়নিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ দীর্ঘ একদলীয় শাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে। তখন মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এবং রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

‘এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়িয়েছিলেন তারা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ যেই হোন না কেন- মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অতীতে বাক, ব্যক্তি, চিন্তা, প্রার্থনা, মুদ্রণসহ নাগরিক স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে যারা ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্মম নিপীড়নে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং যারা এখনও নির্যাতিত-নিপীড়িত, তাদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জানান।

তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য জনগণকে সচেতন ও সংগঠিত হয়ে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের আপামর জনগণের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি থেকে, মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা আমাদের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই অধ্যায় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনও থেমে থাকা উচিত নয়।

‘এই মুহূর্তে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এ যাত্রায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে- জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এটাই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।’

আরও পড়ুন:
‘বেগম রোকেয়া এ দেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত’
জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই বিএনপির ৩১ দফা: তারেক রহমান
বিপন্নের সহায়ক শক্তির আধার ‘আমরা বিএনপি পরিবার’: তারেক রহমান
ষড়যন্ত্র চলছে, অনেক অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে: তারেক রহমান
দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Clash on both sides of BNP former Chhatra Dal leader was hacked to death

বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ, সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ, সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের ঘিওরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ধারাবাহিক সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিপক্ষ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে সোমবার লাভলু মিয়াকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়।

ওই হামলায় বিএনপি কর্মী আলতাফ হোসেন, হিমেল হোসেন, সোহাগ মিয়া, তামিম হোসেন ও সেলিম মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত লাভলু মিয়া ঘিওরের কুস্তা এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কুয়েত প্রবাসী লাভলু ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘিওর হাট-বাজার, ধলেশ্বরী নদীর বালুমহাল ও পরিবহন খাত দখল এবং আধিপত্য বিস্তারে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়। সে সময় আলতাফ হোসেন ও হিমেল হোসেন নামে বিএনপির দুই কর্মী গুরুতর আহত হন।

আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া তাদেরকে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে যান। তিনি হাসপাতালের গেটের ভেতরে প্রবেশের পর প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর আহত লাভলু মিয়াকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় রাস্তায়ই তার মৃত্যু হয়।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঘিওর সদর বিএনপির সঙ্গে কুস্তা এলাকার বিএনপির দ্বন্দ্ব চলে আসছে। জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়েক দফা উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দু’পক্ষকে মিলিয়ে দেন। তবে জেলার নেতাদের সামনে মিলে গেলেও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।

ঘিওর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো নেতার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য

p
উপরে