মূল সড়কে পানি জমে আছে। কোথাও খানাখন্দে ভরা। এমন সড়কেই চলাচল করে পণ্যবাহী বাহন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কুমিল্লার সড়কের এমন দৃশ্য নতুন নয়। গত অর্ধ যুগ ধরেই বিসিকে উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর এমন বেহাল দশা।
শুষ্ক মৌসুমে সড়কে পানি জমে থাকে। বর্ষাকালে হাটু সমান পানি থাকে। ডুবে যাওয়া বিসিক এলাকার প্রায় অধিকাংশ সড়কে ময়লা পানি মাড়িয়ে চলতে হয় কারখানার মালিক, কর্মচারী ও ক্রেতাদের।
বিসিক কুমিল্লার সূত্র অনুযায়ী, ১৯৬০-১৯৬১ সালে ৫৪ দশমিক ৩৫ একর এলাকায় স্থাপিত হয় বিসিক কুমিল্লা অঞ্চল। এতে মোট প্লট সংখ্যা ১৫৫টি। ৬টি প্লটের মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক ভবন ও ওয়াটার ট্যাংক। বাকি ১৪৯টি শিল্প প্লটে ১৪২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন আছে। সচল থাকা ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এখানে রয়েছে একাধিক স্টিল মিল, বেকারি, মুড়ি, জাল, আয়ুর্বেদিক পণ্য তৈরির কারখানা, আটা ও পাটজাত পণ্য তৈরির কারখানা। এ ছাড়া অ্যালুমিনিয়াম, সিলভার ও প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানাসহ আছে বেশ কয়েকটি টেক্সটাইল মিল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিসিকের দক্ষিণ অংশে ফাইনওয়ে কারখানার পাশের ড্রেনের কাজ করা হয়েছে। মাঝে সড়ক জলাবদ্ধ হয়ে আছে। সেটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। মাঝের অংশ খালে রূপ নিয়েছে। সেই খালে জন্মেছে কচুরিপানা ও কচু গাছ। একটু এগোলে গোল্ডেন বিস্কুট ফ্যাক্টরি। তার পাশ দিয়ে পূর্ব দিকে যাওয়া সড়কের অর্ধেক ড্রেনের পানি ওঠে জলাবদ্ধ। সেখানেও সড়কের পাশে কচুরিপানা জন্মেছে। এদিকে ড্রেনগুলো কোনটি সরু, কোনটি ডোবায় পরিণত হয়েছে। এ দৃশ্য দেখা গেছে ময়নামতি প্রেসের পাশে। বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া বিসিক এলাকার প্রায় অধিকাংশ সড়ক ভাঙা।
মডার্ন বেকারির স্বত্বাধিকারী মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা একটা ডোবার মধ্যে পড়ে আছি। এখানে বারো মাসই জলাবদ্ধতা থাকে। বৃষ্টি হলে আমাদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় আমরা নিজের টাকায় সড়কে মাটি ফেলেছি। সড়কগুলো উঁচু ও ড্রেন নির্মাণ করা প্রয়োজন।’
বিসমিল্লাহ মুড়ি মিলের পরিচালক ইরফান হাসান বলেন, ‘জলাবদ্ধতা ও সড়কের দুরাবস্থা দীর্ঘদিনের। দক্ষিণ অংশের অবস্থা বেশি বেহাল। এ ছাড়া সড়কের অবস্থাও ভালো নয়। পরিবেশ ভালো হলে বিসিকে আরও বেশি ক্রেতা আসবে।’
বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম এসএম আলমগীর কাদেরী বলেন, ‘পাশের বাড়ি-ঘরগুলো উঁচু হয়ে গেছে। সে নিরিখে বিসিক এলাকা নিচু। নগরীর ঠাকুরপাড়া, রানীর বাজার, অশোকতলা এলাকার পানি এদিকে প্রবেশ করে। তাই দ্রুত এই এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে যায়। ড্রেনের কিছু কাজ হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করতে পারব।’
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মঙ্গলবার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দুজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের কুলিয়ারচর উপজেলার বাজরা পেট্রল পাম্পের কাছে সকাল পৌনে ১০টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত চালক কালাম ওরফে কালাচাঁন (৪২) কুলিয়ারচর উপজেলার দাড়িয়াকান্দি গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে। যাত্রী আবু হেলাল ভূঁইয়া (৫০) একই উপজেলার রামদি বালুরচর গ্রামের ইনসাফ উদ্দিনের ছেলে।
আহত তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জগামী একটি অটোরিকশাকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত ও তিনজন আহত হন।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহত যাত্রীদের হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন:‘ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ডিলারকে মারধরের অভিযোগ’ শিরোনামে গত ৪ ডিসেম্বর নিউজবাংলায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের উপপরিচালক (বীজ বিপণন) এ কে এম মনিরুজ্জামান।
গত ৭ ডিসেম্বর এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয়। তাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লিখিত ‘অসত্য’ প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এ কর্মকর্তা।
তার দাবি, বীজ বিতরণে অনিয়ম ও টোকেনের মিথ্যা গল্প বলা হয়েছে। কোনো ডিলারকে মারধর বা ঘুষ লেনদেনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রকাশিত প্রতিবেদন সংক্রান্ত সব তথ্য এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। প্রতিবেদনে ডিলার ও কর্মকর্তাদের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।
তা ছাড়া অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেছেন বীজ বিতরণে অনিয়ম বা টোকেনের গল্প কাল্পনিক। বীজ বিতরণে অনিয়মের তথ্য এবং তার স্বাক্ষরিত বিশেষ টোকেনের ছবি এ প্রতিবেদকের সংরক্ষণে রয়েছে।
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের ঘিওরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে সোমবার লাভলু মিয়াকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়।
ওই হামলায় বিএনপি কর্মী আলতাফ হোসেন, হিমেল হোসেন, সোহাগ মিয়া, তামিম হোসেন ও সেলিম মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত লাভলু মিয়া ঘিওরের কুস্তা এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কুয়েত প্রবাসী লাভলু ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘিওর হাট-বাজার, ধলেশ্বরী নদীর বালুমহাল ও পরিবহন খাত দখল এবং আধিপত্য বিস্তারে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়। সে সময় আলতাফ হোসেন ও হিমেল হোসেন নামে বিএনপির দুই কর্মী গুরুতর আহত হন।
আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া তাদেরকে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে যান। তিনি হাসপাতালের গেটের ভেতরে প্রবেশের পর প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর আহত লাভলু মিয়াকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় রাস্তায়ই তার মৃত্যু হয়।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঘিওর সদর বিএনপির সঙ্গে কুস্তা এলাকার বিএনপির দ্বন্দ্ব চলে আসছে। জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়েক দফা উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দু’পক্ষকে মিলিয়ে দেন। তবে জেলার নেতাদের সামনে মিলে গেলেও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।
ঘিওর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো নেতার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধে মংডু শহরও পুরোপুরি দখলে নিয়েছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে চলমান যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় রোববার মংডুতে বর্ডার গার্ড পুলিশ ডিভিশনের (নাখাখা-৫) শেষ পোস্টটিও হাতছাড়া হয়ে গেছে সামরিক জান্তার।
আরাাকান আর্মির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এমনটা দাবি করে নাফ নদে আরাকান জলসীমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কেউ যাতে নাফ নদ অতিক্রম করতে না পারে সেজন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশি জেলে নৌকাসহ কোনো ধরনের নৌযান নাফ নদের ওদিকে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।
ইউএনও বলেন, ‘টেকনাফ সংলগ্ন সীমান্তের ওপারে গত কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধ-সংঘাত চলছে। ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি যে আরাকান আর্মি টেকনাফ বর্ডার সংলগ্ন সেদেশের সীমান্ত এলাকাটি পুরোপুরি দখলে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল (রোববার) থেকে আরাকান আর্মি নাফ নদে সেদেশের জলসীমায় সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাই আমরাও টেকনাফের ফিশিং ট্রলার মালিকদেরকে অবগত করেছি, নাফ নদ সীমান্ত এ মুহূর্তে অতি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সেখানে কোনো ট্রলার না যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের জোরদার টহল রয়েছে।’
অন্যদিকে আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে সোমবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গতকাল (রোববার) সকালে আরাকান আর্মি সফলভাবে আরাকান রাজ্যের মংডু অঞ্চলে অবস্থিত সন্ত্রাসী ফ্যাসিবাদী সামরিক জান্তার বর্ডার গার্ড পুলিশ ডিভিশন (নাখাখা-৫)-এর শেষ পোস্টটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
‘সন্ত্রাসী ফ্যাসিবাদী সামরিক জান্তার সশস্ত্র সদস্যরা, যারা তাদের মিত্র দলগুলোর সঙ্গে মিলে, যাদের মধ্যে ইসলামী চরমপন্থী সশস্ত্র দল আরএসও, আরএসএ এবং এআরএ রয়েছে, তাদের মধ্যে কিছু সদস্য সশস্ত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিল। তারা এখনও এলাকায় লুকিয়ে আছে। এই অস্ত্রধারীরা অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘নাখাখা-৫ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসী জান্তার সদস্যসহ আরএসও, আরএসএ, এআরএ এবং অন্যান্য সশস্ত্র গ্রুপ নৌযান ব্যবহার করে নাফ নদ দিয়ে বাংলাদেশ-আরাকান সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছে।
‘অতএব, সামরিক প্রয়োজনীয়তা এবং জননিরাপত্তায় নাফ নদে (আরাকান অঞ্চল) ৮ ডিসেম্বর বিকেল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান চলাচল স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হলো।’
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের চট্টগ্রাম মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সোয়াইব বিকাশ বলেন, নাফ নদের মিয়ানমার অংশে আরাকান আর্মি নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়টি জেনেছি। বাংলাদেশ জলসীমানায় আমরা কাউকে ঢুকতে দেব না। সেটা যে পক্ষই হোক না কেন। জালিয়ার দ্বীপ-সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত নাফনদ-সাগরে আমাদের টহল জোরদার রয়েছে। পাশাপাশি জেলেদের জলসীমা অতিক্রম না করতে বলা হচ্ছে।’
রাখাইন রাজ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমান্তে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান টেকনাফ-২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিকনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে যেকোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধ ও নিরাপত্তায় নাফ নদের পাশাপাশি স্থলভাগে বিজিবির সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’
টেকনাফে আতঙ্ক
এদিকে টেকনাফ সীমান্তে বসবাসকারীরা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে রাখাইন মংডুতে চলমান যুদ্ধের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ওপারে গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তারা।
রাখাইনের অধিকাংশ এলাকা আরাকান আর্মির দখলে ছিল। তবে মংডু শহরের কিছু অংশ জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেসব জায়গার দখল নিতে যুদ্ধ চলছিল দু’পক্ষে। ইতোমধ্যে সেটিও আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘মংডু শহরও এখন আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে শুনেছি। এছাড়া জেলেদের ওপার সীমান্তে না যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।’
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘আমরাও বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছি যে আরাকান আর্মি মংডু শহরও দখলে নিয়েছে। তবে এ নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত। কেননা এবার আরাকান আর্মি সেদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জান্তা সরকারের সঙ্গে যুদ্ধের কথা বলে বিতাড়িত করার শঙ্কা রয়েছে। কেননা কোনো পক্ষই রোহিঙ্গাদের জাতি হিসেবে স্বৃকিতি দেয়নি।’
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭৮ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯৫ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯৬ হাজার ৭০৬ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
নওগাঁর মান্দায় ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাইভেটকারের দুই যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কে মান্দা উপজেলার সাহাপুকুর নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলার সাপাহার উপজেলার চৌধুরীপাড়ার এনামুল হকের ছেলে আলভী রাব্বানী জিহান ও আ. জব্বারের ছেলে মাহিন আহমেদ সাগর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইভেটকারটি রাজশাহী থেকে নওগাঁর দিকে আসছিলো। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে নওগাঁ থেকে রাজশাহীর দিকে যাওয়া দ্রুতগামী একটি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে কারটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পাশে পিলারে আটকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের দুই যাত্রী নিহত হন।
ওদিকে প্রাইভেটকারের পেছনে থাকা একটি বাসকেও ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় ড্রাম ট্রাকটি। তবে বাসে থাকা কোনো যাত্রী হতাহত হননি। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করা করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলায় সোমবার পৃথক এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কে ছত্রাজিতপুর বহালাবাড়ি এলাকায় বেলা আড়াইটার দিকে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংষর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার কালিনগর লক্ষ্মীপুর এলাকার মিজানুর রহমান ও তার ছেলে সাগর হোসেন।
অন্যদিকে প্রায় একই সময়ে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর আড্ডা সড়কের তেঁতুলতলা এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক বাবর আলী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া ও গোমস্তাপুর থানার ওসি খাইরুল বাসার সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য