গাইবান্ধা বিআরডিবির জেলা কার্যালয়ের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (অ. দা.) আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘গাইবান্ধা সমন্বিত দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প’ পরিচালকের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তদন্ত শুরু হওয়ার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন বিআরডিবির প্রধান কার্যালয়ের যুগ্ন পরিচালক (নিরীক্ষা ও পরিদর্শন) ও তদন্ত দলের প্রধান মিজানুর রহমান। আজ সকালে ঢাকা থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল গাইবান্ধা বিআরডিবির জেলা কার্যালয়ে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন।
তদন্তে আসা অন্য দুজন হলেন- পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ঢাকার উপ-পরিচালক (নিরীক্ষা) মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ও সহকারী পল্লী উন্নয়ন অফিসার সদর দপ্তর ঢাকা।
এর আগে, গত ১০ অক্টোবর অর্থ আত্মসাৎ ও স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন ‘গাইবান্ধা সমন্বিত দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প’ পরিচালক আব্দুস সবুর। অভিযোগটি আমলে নিয়ে কর্তৃপক্ষ আনিছুরের রহমানের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য, প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের গুরত্বর অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে উথাপিত অন্যান্য অভিযোগসমূহের তদন্ত সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থে আনিছুর রহমানের অপরাধের ধরন, প্রকৃতি ও গভীরতা বিবেচনায় মহাপরিচালক আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ৫ অক্টোবরের স্বাক্ষরিত এক পত্রে শুধুমাত্র খোরাকি ভাতা প্রাপ্যের বিধান রেখে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে তাকে সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা লাখাই (হবিগঞ্জ)-এর বিপরীতে হবিগঞ্জ জেলায় সংযুক্ত করা হয়।
পরে ১ নভেম্বর প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (নিরীক্ষা) মুহাম্মদ বুরহান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গাইবান্ধায় তদন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, বিআরডিবির সদর দপ্তরে গত ৩০ অক্টোবরের তদন্ত কমিটি গঠনের মূলে সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় তদন্ত কমিটি আনিছুর রহমান জেলায় দায়িত্ব পালনকালে স্বাক্ষর ও চেক জালিয়াতিরর মাধ্যমে ১০ লাখ ১৩ হাজার ৮০৯ টাকাসহ মোট ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৯ টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জেলার সাত উপজেলায় ৭ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সরজমিনে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
বিআরডিবির প্রধান কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক (নিরীক্ষা ও পরিদর্শন) ও তদন্ত দলের প্রধান মিজানুর রহমান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক আমরা নির্দিষ্ট একটি অভিযোগের বিষয় নিয়ে আজ সকালে গাইবান্ধায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। ৭ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের তদন্ত চলবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সময় কম-বেশি হতে পারে।’
প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকির রয়েছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। আর এই চোরাচালান রোধে কোস্টগার্ডকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নাবিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নিজস্ব চাহিদা বিবেচনায় সরকার এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি করছে না। তাছাড়া বিদ্যমান ডলার সংকটের মধ্যেও সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ সার আমদানির মাধ্যমে জোগান অব্যাহত রেখেছে।
‘এই প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে। তাই কোস্টগার্ডের মূল দায়িত্বের অংশ হিসেবে সমুদ্র ও নৌ-পথে ইলিশ, সারসহ বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালান বন্ধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে নৈতিকতার ক্ষেত্রে স্খলন দেখা দিলেও কেবল কোস্টগার্ড নৈতিকতা বিচ্যুত হয়নি এবং অর্পিত দায়িত্বের ক্ষেত্রে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।’
কোস্টগার্ড সদস্যদেরকে দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে তাদের অতীত ঐতিহ্য ও সম্মান সমুন্নত রেখে অস্ত্রসহ বিভিন্ন ক্রয় ও সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি এ সময় কোস্টগার্ডের আবাসন, জনবল, অস্ত্র এবং টহল ও উদ্ধারকারী নৌ-যান ক্রয় ও সংগ্রহসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী প্রমুখ।
আরও পড়ুন:ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে গিয়ে ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে ও লাইভে এসে ভারতবিরোধী কথা বলায় আলমগীর শেখ নামে এক যুবককে আটক করে ভিসা বাতিল করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার লালমনিরহাটে বুড়িমারী স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র: ইউএনবি
আলমগীর শেখ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জুম্মাপাড়া এলাকার নুরু শেখের ছেলে।
ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানায়, ৩ সেপ্টেম্বর ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে যান আলমগীর। সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভ করেন। বিষয়টি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নজরে এলে তারা আলমগীরকে চিহ্নিত করেন।
চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর ভিসা বাতিল করে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
আলমগীর শেখ ভারতের আগ্রায় তাজমহলে ঘুরতে গিয়ে ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের জনগণ মিলে আমরা ভারতকে ভাগ করতে চাই। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই।’
এছাড়াও লাইভে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল বাংলাদেশে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলকে সত্য উদ্ঘাটন, এ ঘটনায় দোষীদের শনাক্তকরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ বিশ্লেষণ ও অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে বিক্ষোভ চলাকালে সংঘটিত সামাজিক গণমাধ্যম বা অন্য কোনো জনপরিসরে নেই এমন সব মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কিত সরাসরি প্রাপ্ত তথ্য প্রদানের জন্য সব ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যগুলো OHCHR-FFTB- [email protected] ঠিকানায় পাঠাতে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘ তদন্তকারী দলটির ভুক্তভোগী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসা পেশাজীবী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কোনো ফৌজদারি তদন্ত নয় এবং এটি কোনো জাতীয় ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া থেকে পৃথকভাবে পরিচালিত হয়।
ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত গোপনীয় এবং তদন্ত চলাকালে দলটি কোনো মিডিয়াকে সাক্ষাৎকার দেবে না উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে অনুরোধ করা হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর সরেজমিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের পর তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল, উপসংহার ও সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রাজধানী ঢাকার আদাবর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার র্যাবের এক বার্তায় বলা হয়, গত ৫ আগস্ট রাজশাহীর বাগমারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এনামুল হক ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে হোটেল কর্মচারী সিয়াম সরদার নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মোশাররফ হোসেন এই আদেশ দেন।
এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর বেইলি রোড থেকে আসাদুজ্জামান নূর এবং সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলীকে আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
অপরদিকে তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
হোটেল কর্মচারী সিয়াম হত্যার ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১১৩ জনকে আসামি করে নিহতের বাবা সোহাগ সরদার আদালতে হত্যা মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই রাত ১১টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বরে আবু তালেব স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে গুলি চালায়। এ সময় হোটেলের কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন সিয়াম সরদার। তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ মামলার এজাহারনামীয় ৮ নম্বর আসামি আসাদুজ্জামান নূর।
মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (সাবেক আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, মনির হোসেন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও কামাল আহমেদ মজুমদার।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে নওরাটন কলোনি থেকে তাকে গ্রেপ্তার হয়।
আসাদুজ্জামান নূরকে মিরপুর থানায় দায়ের করা মামলার আসামি করা হয়েছে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর ২০০১ সাল থেকে সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছেন। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নীলফামারী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এর আগে ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি আসাদুজ্জামান নূরকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের দখলে থাকা পাঁচ একরের বেশি জায়গা উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
রোববার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৩১ জন শ্রমিক নিয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের স্টুডেন্ট ডরমিটরির সামনে লাউয়াছড়ার জায়গা উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে বন বিভাগ।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান, রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বনবিভাগ জানায়, জায়গাটি দখল করে রেখেছিলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ। ২০১৮ সাল থেকে বন বিভাগ বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও আব্দুস শহীদের দখল থেকে বনের ওই জমি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা জায়গাটি উদ্ধার করেছি। এখানে পাঁচ একরের বেশি জায়গা বেদখল হয়ে ছিল। সেখানে কিছু জায়গায় লেবু গাছ আর কিছু জায়গা ফাঁকা পড়ে ছিলো। আমরা সেই জায়গাগুলোতে বন্যপ্রাণীর উপযোগী গাছের চারা লাগিয়েছি।’
মন্তব্য