সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত মহাসমাবেশে হামলা ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে বিএনপি আহূত রোববারের হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হামলা-সংঘর্ষ, মিছিল ও নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনা ঘটেছে। আটক ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপি কয়েকশ’ নেতাকর্মীকে।
এদিকে বিএনপি ও জামায়াত শনিবার রাতে পৃথকভাবে সারা দেশে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা দেয়ার পর ঢাকা বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার কথা জানানো হয়েছিল। তবে রোববারের হরতালে মালিক সমিতির এই অবস্থানের বাস্তব প্রতিফল সেভাবে দেখা যায়নি। নগর পরিবহন চললেও তা ছিল খুবই কম। নগরবাসীও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হননি। আর দূরপাল্লার রুটে বাস চলাচল বলতে গেলে বন্ধই ছিল। দুই-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া দূরপাল্লার বাস চলেনি। তবে স্থানীয় পর্যায় স্বল্প পরিসরে বাস চলেছে। পরিস্থিতিও মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল।
নিউজবাংলার প্রতিবেদক ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন বিস্তারিত।
আদালত চত্বরে হরতালের সমর্থনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল
সারাদেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে পুরান ঢাকার জজকোর্ট এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এতে প্রায় পঞ্চাশোর্ধ আইনজীবী অংশ নিয়েছেন।
রোববার দুপুরে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন মিয়ার নেতৃত্বে এ মিছিল বের হয়। দুপুর ১টার দিকে মিছিলটি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রধান ফটকে আসলে পুলিশ আদালতের প্রধান ফটক আটকে দেয়। এ সময় সেখানে আধাঘন্টা দাঁড়িয়ে তারা হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এরপর ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
নওগাঁয় গ্রেপ্তার ১১
বিএনপির ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে নওগাঁয় বিএনপির ১১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে নওগাঁ সদরে ১১জন, নিয়ামতপুরে ১৩, মান্দায় ৯, মহাদেবপুরে ৮, বদলগাছি ১১, সাপাহারে ১৭, পোরশায় ১০, ধামইরহাটে ৮, পত্নীতলায় ৮, আত্রাইয়ে ১১ এবং রাণীনগর উপজেলায় ৮ জন রয়েছেন।
নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ‘নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার বেশ কিছু আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের আদালতে নেয়া হয় এবং পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এটি পুলিশের রুটিন ওয়ার্ক।’
নাটোরে বিএনপি-জামায়াতের ৩৭ নেতাকর্মী আটক
নাটোরে নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগ এনে ৩৭ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হরতালকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত জেলাব্যাপী অভিযান চালানো হয়। এ সময় নাশকতার প্রস্তুতিকালে শনিবার রাত ১টার দিকে গুরুদাসপুরের নাজিম উদ্দিন এন্ড কলেজ রোড থেকে ধারাবারিষা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান হেনা, নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মুক্তার হোসেন ও ধারবারিষা ইউনিয়ন জামায়াত নেতা আব্দুল গণিকে আটক করা হয়।
এছাড়াও নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি-জামায়াতের আরও ৩৪ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে প্রেরণ করা হয় তাদের।
ঝিনাইদহে মিছিল
সারা দেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সমর্থনে শুধু মিছিল দিয়েই হরতাল পালন করেছে ঝিনাইদহের বিএনপির নেতাকর্মীরা। রোববার সকালে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শহরের নতুন হাটখোলা রাস্তা থেকে হরতাল সমর্থনে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এইচএসএস সড়কের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
রাজশাহীতে মাঠে নেই বিএনপি-জামায়াত
সারা দেশে হরতাল ঘোষণা করলেও রাজশাহীতে সকাল থেকে কোথাও দেখা যায়নি বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের। তবে, সকালে শহরের খড়খড়ি এলাকায় হরতালের সমর্থনে কয়েকজনে ঝটিকা বিক্ষোভ করে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে, নগরীর সাহেববাজারসহ বেশ কয়েটি স্থানে অবস্থান নিয়ে হরতাল বিরোধী শান্তি মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নোয়াখালীতে আটক ৮৪
নোয়াখালীতে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। এ সময় বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপি সন্দেহে ৮৪ জনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জে আটক ৬
সুনামগঞ্জের দুই উপজেলা থেকে হরতালের পিকেটিং করার সময় বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতিসহ চার জন এবং শাল্লা উপজেলা তরুল দলের সভাপতিসহ দুই জন রয়েছেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের আটক করে বলে শান্তিগঞ্জ ও শাল্লা থানার ওসি পৃথক পৃথকভাবে আটকের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে মিছিলে পুলিশি ধাওয়া, আটক ১
ঠাকুরগাঁও শহরে বিএনপির হরতালের মিছিল পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়েছে। রোববার বেলা ১ টার দিকে কালিবাড়ি বাজার রোডে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি ফিরোজ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিলেটে বিক্ষিপ্ত পিকেটিং
সিলেটে হরতালে পুলিশের ওপর হামলা ও পিকেটিংয়ের অভিযোগে মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী সহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া পিকেটারদের ইট পাকটেলে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আটকদের মধ্যে তিনজন হলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল আহমদ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবদল নেতা মোহাম্মদ আব্বাস। বাকিদের নাম-পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
গাইবান্ধায় আটক ৯
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থেকে শামীম রেজা নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পলাশবাড়ী খাদ্য গুদামের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গাইবান্ধার গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এ ছাড়াও রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যস্ত গাইবান্ধার সদরের কাঁচারী বাজার এলাকা থেকে বিএনপি ও জামায়াতের পাঁচজন ও সাদুল্লাপুর উপজেলার উত্তর কাজীবাড়ি গ্রাম থেকে বিএনপি-জামায়াতের তিনজনকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল
বিএনপি-জামায়াত ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়েছে চট্টগ্রামে। এ সময় নগরে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানের সংখ্যা কম ছিল।
হরতাল ঘিরে সকাল থেকেই নগরজুড়ে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রামাঞ্চলেও সতর্ক দৃষ্টি ছিল পুলিশের। নগর পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার স্পীনা রানী প্রমাণিক বলেন, ‘সারাদিন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য নগরজুড়ে ছিল সতর্ক অবস্থানে। এর বাইরে সাদা পোষাকেও অনেক পুলিশ সদস্য দায়িত পালন করেছেন। কোথায় কোনো সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।’
রাজধানীর কুখ্যাত চাঁদাবাজ লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ছিনতাই ও অপহরণের মামলা ছিল।
বুধবার (২৮ মে) রাত ১০টার দিকে পুরানো পল্টনের নিউ বন্ধু হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মতিঝিল এলাকায় ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, অপহরণ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিল লিটন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর এসব কার্যক্রম আরও বেড়ে যায়।
পুরানা পল্টন এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগে ভুক্তভোগীরা একাধিকবার সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন। এরপর সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো লিটনের গতিবিধি নজরদারিতে রাখে।
বুধবার রাতে নিউ বন্ধু হোটেলের পাশের একটি ভবনে থাকা লিটনের ব্যক্তিগত অফিসে অভিযান চালানো হয়। হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হোটেল কক্ষ, অফিস ও তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মোবাইল ফোন, নগদ ২ লাখ টাকা ও ১ হাজার ১০০ ডলার উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
সেনাবাহিনীর মেজর শাকিব সাংবাদিকদের জানান, লিটনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গণহত্যার বিচার আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
উপদেষ্টা আজ তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, ‘বিচার শুরু হচ্ছে শিগগির। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করার দাবি আছে সমাজে। এটি দৃশ্যমান করা হয়েছিল আট মাস আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়েই।
এরপর তদন্তকারী অফিস ও প্রসিকিউশন অফিস পুনর্গঠন করা হয়েছে। তদন্তকারী দল কয়েকটি মামলার তদন্ত শেষ করেছে। প্রসিকিউশন টিম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে একটি মামলার ফরমাল চার্জ গঠন করেছে। গতকাল রোববার এটি ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়ার পর তা আমলে নেয়া হয়েছে।’
উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ট্রাইব্যুনাল ফরমাল চার্জ আমলে নেওয়ার মাধ্যমে একটি বিচার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। সেটি গতকাল থেকে শুরু হয়ে গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান আসামি হিসেবে শেখ হাসিনার মামলার বিচারের শুনানি পর্ব শুরু হচ্ছে অচিরেই। ইনশাল্লাহ্, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই এই বিচারের রায় পেয়ে যাবো আমরা। গণহত্যার বিচার, আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার।’
স্ত্রী-কন্যাসহ আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নামে থাকা মোট নয়টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। এসব হিসাবে মোট ১ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ৯৬ টাকা রয়েছে।
বুধবার (২১ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক আদালতে হিসাব অবরোধের আবেদন করেন।
অবরুদ্ধ হওয়া হিসাবে মো. আব্দুর রাজ্জাকের নিজ নামে থাকা চারটি ব্যাংকে হিসাবে, ৪২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা, তার স্ত্রী শিরিন আকতার বানুর চারটি ব্যাংক হিসাবে ৬৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৫ টাকা ও তার মেয়ে ফারজানা আক্তার তন্দ্রার হিসাবে ২৮ লাখ টাকা রয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডার ও মনোনয়ন বাণিজ্য, নিয়োগে দুর্নীতি, সরকারি জমি দখল, এসিআই ও আদম ব্যবসায়ী নূর আলীর মাধ্যমে শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে।
এতে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে রাজ্জাক ও তার স্ত্রী-মেয়ের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এই সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে তা পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই তদন্তের স্বার্থে এসব হিসাব অবরুদ্ধ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
নারী নির্যাতনের একটি মামলায় সঙ্গীতশিল্পী মামলায় মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার তালিবুর রহমান এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডেমরার স্টাফ রোড এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় নারী নির্যাতনে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে ডেমরা পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান ইউএনবিকে জানান, ‘ইসরাত জাহান প্রিয়া নামে ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর সাথে রুবেলের টেলিফোনে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে প্রায় সাত মাস আগে রুবেল প্রিয়াকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কীর্তন করে টেমরা থানার অধীন আমতলা নামক স্থানে একটি ফ্লাট বাসায় রাখে। বিগত সাত মাসে প্রিয়ার সাথে সম্পর্ক করে এবং পরিবারের কারও সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি।’
সম্প্রতি প্রিয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, যেটা দেখে প্রিয়ার বাবা-মা ডেমরা থানা যোগাযোগ করেন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাত দশটায় আমতলার বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রিয়াকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু রুবেল সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে প্রিয়া ডেমরা থানা এসে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেমরার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। রুবেল তখন একটি গাড়ি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
বাংলাদেশের গায়ক হলেও নোবেল খ্যাতি অর্জন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জি বাংলা চ্যানেলের গানবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’ থেকে। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় জিততে না পারলেও তৃতীয় হন নোবেল, আর নিজের সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে খুব সহজেই দুই দেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি।
এরপর থেকে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলেও এই আলোচিত গায়কের সুখ্যাতি নিমেষেই নষ্ট হয়ে যায় তার ব্যক্তিগত জীবন সবার সামনে আসার পর। স্ত্রীকে মারধর, মাদক সেবন, মদের ঘোরে ভাঙচুর, টাকা নিয়ে শো করতে না যাওয়া—এমন নানা অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ হন নোবেল।
২০১৯ সালে মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। পরবর্তীতে খ্যাতির মধ্যে থাকা অবস্থায় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিক্ততা শুরু হয় স্ত্রীর সঙ্গে, যার শেষ পরিণতি হয় বিচ্ছেদ।
২০২৩ এর নভেম্বরে অন্যের স্ত্রী ফারজানা আরশির সাথে অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করে নোবেল সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন তিনি আবারও বিয়ে করেছেন। পরবর্তীতে ফারজানা আরশি পুলিশের কাছে গায়কের নামে অভিযোগ দায়ের করে জানান যে নোবেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি, জোর করে গোপালগঞ্জের বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এরপরে মাদক খাইয়ে ওই অন্তরঙ্গ ছবিগুলো তোলা হয়েছিলো।
ব্যক্তিগত জীবনের বাইরেও একই বছর শরীয়তপুরের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে অর্থ নিয়েও না যাওয়ায় ঢাকার মতিঝিল থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালে বেশ কিছু মাস রিহ্যাবে থেকে চিকিৎসা নেয়ার পর নোবেল সম্প্রতি আবারও গানের জগতে ফিরে এসেছিলেন এবং বেশ কিছু নতুন গানের কাজ করছিলেন।
নাশকতার পরিকল্পনা ও সামাজিকমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া সৈনিক নাঈমুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীকে রাজধানীর খিলক্ষেতের বটতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং বিভিন্ন সামরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নাঈমুল ইসলামকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনুষঙ্গিক আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কতিপয় বরখাস্ত বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যকে সঙ্গে নিয়ে নাঈমুল বিভিন্ন গণমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়াসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর পরিকল্পনা করে আসছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আগামীকাল রোববার (১৮ মে) ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশপথে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত বিভিন্ন উসকানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, এ ধরনের শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল আজ বেলা দুইটার দিকে খিলক্ষেতের বটতলা বাজার এলাকায় নাঈমুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। এ সময় নাঈমুল তার কিছু সহযোগীকে নিয়ে উপস্থিত এক সেনাসদস্যের ওপর দেশি অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প থেকে একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাঈমুল ও তাঁর দুই সহযোগীকে আটক করে।
রাজধানীতে 'লও ঠেলা' নামের একটি কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় ৯ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুর থানার রায়ের বাজারের মেকাপ খান রোডে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গ্রেফপ্তাররা হলেন— মো. জোবায়ের ওরফে যুবরাজ (২২), মো. হাসান (১৯), মো. রায়হান (২৭), মো. ওয়াসিম (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন রাজু (৩২), মো. নুরুল আমিন (১৮), মো. কামাল হোসেন (২২), মো. শাহিন (২৮) ও মো. মেহেদী হাসান (২৫)।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি চাপাতি ও চারটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার মেকআপ খান রোডে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জব্দ করা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদপুর থানা এলাকাসহ আশেপাশের এলাকায় ছিনতাইসহ ত্রাস সৃষ্টি করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা নিশ্চিত করতে নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সঙ্গে জনসাধারণের যোগাযোগের জন্য হালনাগাদ যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আপডেটেড নম্বরসমূহে যোগাযোগ করুনঃ
১। গাজীপুর, কোনাবাড়ী, পূবাইল, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গি, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, কাশিমপুর, শ্রীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও এবং গজারিয়া।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, খ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০, গ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
২। ডেমরা, ওয়ারী, রমনা, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, শাহজাহানপুর, কোতোয়ালী, বংশাল, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর এবং কদমতলী।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯২৪২৮, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৩। সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, হেমায়েতপুর, বাইপাইল, দোহার, গাজীপুর, মৌচাক এবং মানিকগঞ্জ।
যোগাযোগের নম্বরসমূহ
ক। ০১৭৬৯-০৯৫২০৯, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৪। ফরিদপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯৩৫০৯, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৫। বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, দক্ষিন খান, উত্তরখান, উত্তরা পূর্ব।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৬, খ। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৯, গ। ০১৭৬৯-০২৫৮৬৫,
ঘ। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৭।
৬। মিরপুর মডেল থানা, মিরপুর-২, ৬, ৭, ১০, দুয়ারীপাড়া, রুপনগর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মনিপুর।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৫০৭১০, খ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৩, গ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৫,
ঘ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৬।
৭। উত্তরা তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৮২৮৩৬, খ। ০১৩১৮-৩৭১৫৫৪, গ। ০১৩১৮-৩৭১৫৫৫।
৮। দারুসসালাম থানা এবং শাহআলী থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৩৩৭০০,খ। ০১৭৬৯-০৩৩৭০২, গ। ০১৭৬৯-০৩৩৭০৪।
৯। গুলশান, বনানী, ভাটারা এবং বাড্ডা থানা
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০৫০২৮৩, খ। ০১৭৬৯০১১৫৫৯।
১০। খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা
যোগাযোগের নম্বরঃ
ক। ০১৭৬৯০৫৩১৪৪।
১১। রামপুরা, সবুজবাগ এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা
যোগাযোগের নম্বরঃ
ক। ০১৭৬৯০৫৩১৬৮।
১২। ক্যান্টনমেন্ট, কাফরুল, ভাসানটেক।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৫১৮২৫, খ। ০১৭৬৯-০১৯০৭৩, গ। ০১৭৬৯-০১৩২৩৬।
১৩। হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান এবং নিউমার্কেট থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৮৯৭৯১৪৮৬২, খ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৩, গ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৪,
ঘ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৫, ঙ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, চ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৪। শের-ই-বাংলা নগর, আদাবর এবং মোহাম্মদপুর থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৮১৫৭৯৫৯৫১, খ। ০১৭৬৯০৫৯৮৮৮, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৫। তেজগাঁও থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০১৯৪০৯, খ। ০১৭৬৯০১৯৪১৫, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৬। লালবাগ, চকবাজার এবং কামরাঙ্গীরচর থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০১৩৪৩৯, খ। ০১৬১৯৮৩২০৬৯, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।
মন্তব্য