নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এর আগে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
প্রতিবারই দুর্গাপূজায় নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। আর নির্বাচন এলেই বেড়ে যায় সাস্প্রদায়িক হামলা। তাই এবার ভোটের আগে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দুর্গাপূজায় বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সব পূজামণ্ডপে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর কথাও জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে পূজা। পূজার প্রধান উপাদান প্রতিমা তৈরির মাধ্যমে সিলেটের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় অবশ্য ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে দেবীর আগমনী উৎসব।
প্রতিমার মূল কাঠামো তৈরি শুরু হয়েছে ভাদ্র মাসের শুরু থেকেই। মাটির প্রলেপের কাজও শেষ। এখন চলছে দেবীর সাজসজ্জার কাজ। দম ফেলার ফুরসৎ নেই প্রতিমা কারিগরদের। রাতদিন এক করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিলেটের প্রতিমা শিল্পীরা।
নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকার প্রতিমা কারিগর দুলাল পাল বলেন, ‘পূজার আর বেশি দিন বাকি নেই, হাতে সময় অনেক কম। মাঝখানে বৃষ্টির কারণে প্রতিমা তৈরিতে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে গত কয়েকদিন আবহাওয়া ভালো থাকায় পুরাদমে চলছে নির্মাণ কাজ।’
সিলেট জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এবার সিলেট মহানগর ও জেলায় ৬১৭টি পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তার মধ্যে সার্বজনীন ৫৬৯টি ও পারিবারিক ৪৮টি পূজোর আয়োজন হবে।
মহানগরীতে ১৫১টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ১৩৪টি ও পারিবারিক ১৭টি। জেলায় ৪৬৬টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ৪৩৫টি ও পারিবারিক ৩১টি।
জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ৬৬, বালাগঞ্জ উপজেলায় ৩২, কানাইঘাট উপজেলায় ৩১, জৈন্তাপুর উপজেলায় ২৩, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ৪০, বিশ্বনাথ উপজেলায় ২৫, গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৩৯, জকিগঞ্জ উপজেলায় ৯৮, বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৫০, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ২৮ ও ওসমানীনগর উপজেলার ৩৪টি পূজামপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত বলেন, ‘পূজাকে নির্বিঘ্ন করতে আমরা একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছি। সকল পূজা কমিটিকে ইতোমধ্যে করণীয় নির্দেশনা জানানো হয়েছে। যেহেতু কিছুদিন পর জাতীয় নির্বাচন হবে তাই এবার সকলকে আরও সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থা রাখা হবে পূজা মণ্ডপে। আমরা সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুত আছি।’
এদিকে, শারদীয় উৎসবে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যারা পূজা উদযাপনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। পূজার নিরাপত্তায় আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বাসানো হবে জানিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ বলেন, ‘সবার সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদার সাথে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় দুর্গাপূজা উযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা।’
ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নাহারের দশম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার।
তিনি ঢাকা বারের সাবেক সহসভাপতি এ কে এম খলিলুর রহমানের একমাত্র কন্যা ও টিভি উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের বোন।
এ উপলক্ষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল, দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
আত্মীয়-পরিজন, শুভানুধ্যায়ীসহ সবাইকে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কোটি বাঙালি পেয়েছিল বিজয়ের আনন্দ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের পর বিজয় ছিনিয়ে আনে বীর সেনারা।
প্রতি বছর মহান বিজয় দিবসে সেই বীর সন্তানদের আত্মত্যাগ ও বিজয়গাঁথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে পুরো জাতি। আর ৫৪তম মহান বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য প্রস্তুত ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
ধোয়ামোছা থেকে শুরু করে সৌন্দর্যবর্ধনের সব কাজ এরই মধ্যেই সম্পন্ন করেছে গণপূর্ত বিভাগ।
স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, শহীদবেদি থেকে সৌধের ফটক পর্যন্ত পুরো এলাকা ধুয়েমুছে চকচকে করে তোলা হয়েছে। পায়ে হাঁটার লাল ইটের পথগুলোতে সাদা রঙের আঁচরে শুভ্র করে তুলেছেন চিত্রশিল্পীরা। বাগানগুলোতে লাগানো হয়েছে গাদাসহ বাহারি ফুলের চারা।
শোভা বর্ধনকারী গাছ ও ঘাসগুলো ছেঁটে পরিপাটি করে তোলা হয়েছে। পরিষ্কার লেকগুলোর স্বচ্ছ পানিতে শোভা পাচ্ছে রক্তিম লাল শাপলা।
সৌধ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে লাল-সাদা ফুল গাছের টবগুলো শোভা বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার আগমন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারে পুরো সৌধ এলাকায় সিসিটিভি স্থাপনের কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের এক কর্মচারী বলেন, ‘প্রতি বছর বিজয় ও স্বাধীনতা দিবস এলেই আমরা যারা এখানে কাজ করি, তাদের ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায়। অর্ধশতাধিক শ্রমিক মিলে পুরো সৌধ এলাকা ধুয়েমুছে পরিষ্কার করি। এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রায় এক মাস ধরে আমরা স্মৃতিসৌধে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি।
‘মালিরা বাগানগুলোতে নতুন ফুলগাছের চারা লাগিয়ে সুন্দর করে তুলছেন। একদল শ্রমিক মেশিনের মাধ্যমে পুরো সৌধ চত্বর ধোয়ার কাজ করছেন। লেকগুলোর ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে পানি স্বচ্ছ করা হচ্ছে। কেউ বা আবার রং-তুলির কাজ করে যাচ্ছেন এখনও।’
স্মৃতিসৌধের প্রাচীরসহ ভেতরে বাহারি আলোকবাতি বসিয়ে সজ্জার কাজ প্রায় শেষ। ইলেকট্রিশিয়ানরা বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কারের পাশাপাশি আলোকবাতি লাগাচ্ছেন। সব মিলিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের কাজ প্রায় শেষ।
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবধনের জন্য গত ৮ ডিসেম্বর থেকে স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে প্রায় এক মাস ধরেই সৌধের কর্মচারীরা দিন-রাত সৌধ এলাকাকে প্রস্তুত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে সৌধ প্রাঙ্গণ।’
এদিকে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শনিবার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে আসেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন।
ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের আনুষ্ঠানিকতা ঘিরে ১০ দিন পূর্বে থেকেই নিরাপত্তায় কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকাসহ রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইলেও নিরাপত্তা বলয় জোরদার করা হয়েছে।
‘একই সাথে ১৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকেই ডিএমপিসহ অত্র এলাকায় ট্রাফিক কার্যক্রম চালু থাকবে।’
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে তিনি সকাল সোয়া সাতটায় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা মাটি ও মানুষের এ অগ্রগণ্য সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। সে সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টামণ্ডলী, শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অন্য আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন:সমতলের সঙ্গে পার্বত্য অঞ্চলের ভেদাভেদ থাকলে তা দূর করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে আয়োজিত আলোচনা সভায় যমুনা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বনজ ও প্রাকৃতিক যে সম্ভার ও সুযোগ আছে, সেটা বাংলাদেশে আর কোথাও নেই। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নত জায়গা হওয়ার কথা। অথচ হয়েছে বিপরীত। এটা মানা যায় না।
‘আমরা চাই কীভাবে অনিয়ম কমিয়ে আনা যায়। বিশেষভাবে নজর দেয়া দরকার প্রযুক্তি ও শিক্ষার ওপর। সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী মাসে হবে তারুণ্যের উৎসব। এটা সবার উৎসব হোক। আমি যেন দেখি পার্বত্য জেলাগুলো এখানে ওপরে থাকে এ উৎসবে। এটা বরাবরের মতোই করব।
‘এবার প্রথমবারের মতো হবে। নিজেরাই উৎসাহের সঙ্গে এ উৎসব করবেন। অন্য তরুণদের চেয়ে পার্বত্য এলাকার তরুণরাও পিছিয়ে নেই, এটা প্রমাণ করার সুযোগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো অসুবিধা হলে আমাকে জানাবেন, আমি দূর করার চেষ্টা করব। আমরা দেশও বদলাতে চাই, আমরা আমাদের কাজ দিয়ে পৃথিবীও বদলাতে চাই।’
পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক কঠিন সংকটে আছে। আপনাদের অঞ্চলে এটা আরও বেশি কঠিন। শিক্ষকদের কষ্ট হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট হয়। আপনাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
‘আমরাও চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় দিক থেকে কীভাবে কী করা যায়। পার্বত্য জেলার তরুণরা দুর্গম অঞ্চলে আছে বলে বড় শহর থেকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকবে, সেটা হতে দেয়া যাবে না। লেখাপড়ায় তাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন:এবার বিজয় দিবসকে উৎসবমুখর করতে সারা দেশে বিজয় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
ইউএনবিকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ইউএনবিকে বলেন, ‘বিজয় দিবস আমাদের জাতির জন্য অনন্য দিন। ৯ মাস যুদ্ধ করে জাতি এই বিজয় অর্জন করেছে। সারা দেশের মানুষ যুদ্ধে সম্পৃক্ত ছিল।
‘একসময় গ্রামে ও সারা দেশেই এই বিজয় উৎসব হতো। ধীরে এই উৎসব নিষ্ক্রিয় ছিল। এবার সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিজয় মেলা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে চারু, কারুমেলার সঙ্গে কৃষি পণ্যের মেলা হবে। তার সঙ্গে দেশীয় পণ্য পরিবেশন করা হবে। মেলায়, শিশু, নারী, পুরুষ সবার অংশগ্রহণ থাকবে।
‘এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সবাই আনন্দ উপভোগ করবে। পাশাপাশি স্কুলগুলোতে অনুষ্ঠান হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে যে প্রচলিত কুচকাওয়াজ হতো, এতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকত না, সেখানে স্কাউট ও সেচ্ছাসেবকরা থাকত। তার সঙ্গে অন্যান্য বাহিনী থাকত। এতে সরাসরি জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না। এবার শিশু, নারী, পুরুষ সব শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে এবার কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। কারণ সেনাবাহিনী এখন সারা দেশে ব্যস্ত।
‘এটার জন্য একটা প্রস্তুতির বিষয় আছে। তাই এবার প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। এটার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন।’
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় স্টেডিয়ামে আগে প্রধানমন্ত্রী যেতেন। এবার প্রধান উপদেষ্টা যাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, উপদেষ্টা যাবেন না। এ রকম প্রোগ্রাম হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় প্রোগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। তেমনই ঢাকায় এখানকার জেলা প্রশাসন করবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে প্রশাসন করত কুচকাওয়াজ, এখন প্রশাসন মেলার আয়োজন করবে। সেখানে স্ব স্ব এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় সব পর্যায়ের জনগণ অংশ নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
আরও পড়ুন:‘জনস্তরে সংবিধান চিন্তা’কে উৎসাহিত করার অংশ হিসেবে আলোচনা সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন (বিআইআরই)।
এ সিরিজের প্রথম পর্বের শিরোনাম ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংবিধান ভাবনা’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে আগামী ৯ নভেম্বর বেলা তিনটায় পর্বটি অনুষ্ঠিত হবে।
এই পর্বে বক্তব্য দেবেন গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও ব্যারিস্টার মো. মনযুর রাব্বি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
এ পর্বে সম্মানিত বক্তাদের পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীরাও তাদের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাবেন। তারা সংবিধান নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরতে পারবেন। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিবন্ধন করতে হবে এ লিংকে।
আলোচনা সিরিজ আয়োজনের পাশাপাশি জরিপেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিইআরই। ছাত্র-জনতার সংবিধান ভাবনাকে বুঝতে এ জরিপ পরিচালনা হচ্ছে।
জরিপের প্রাথমিক ফল আগামী ৯ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে। আর চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদন সংবিধান সংস্কার কমিশনে জমা দেয়া হবে।
জরিপে অংশ নিতে চাইলে এ লিংকে ক্লিক করতে হবে।
আরও পড়ুন:পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে গত ২২ অক্টোবর সংগঠনের কার্যালয়ে দিনব্যাপী বেসিক ড্রোন অপারেটিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিভিন্ন টেলিভিশনে কর্মরত ক্যামেরা জার্নালিস্টরা এ কর্মশালায় অংশ নেন।
কর্মশালায় ড্রোন ব্যবহারের বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিক উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া সরাসরি ড্রোন ওড়ানোর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কর্মশালার প্রশিক্ষক তানভীর মোরশেদ।
কর্মশালার সমাপনী পর্বে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। ওই সময় সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন তানভীর, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহসিন মুকুল, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হুমায়ূন কবির, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মিল্লাত জামি, প্রতিষ্ঠাতা অর্থ সম্পাদক ফজলুল হক ও প্রতিষ্ঠাতা সহসাধারন সম্পাদক কামরুল আহসান লেলিনসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালাটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন দপ্তর সম্পাদক আল মাসুম সবুজ ও তফসির মোহাম্মদ হাসান।
মন্তব্য