× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Lakhs of retired policemen are deprived of ration medical care
google_news print-icon

রেশন-চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত লক্ষাধিক পুলিশ সদস্য

রেশন-চিকিৎসাসেবা-বঞ্চিত-অবসরপ্রাপ্ত-লক্ষাধিক-পুলিশ-সদস্য-
তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য রেশন বরাদ্দ করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের এই সুবিধা দেয়া হয়। এর ফলে যারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি তুলেছিলেন তারাই এই সুবিধার বাইরে রয়েছেন, সংখ্যার বিচারে যারা ৯৯ ভাগ। এই রেশন সুবিধা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত শতভাগ সদস্যের জন্য বরাদ্দের দাবি তাদের।

পুলিশ বাহিনীতে অবসরে যাওয়া সদস্যদের রেশন ও চিকিৎসা সেবা দেয়া নিয়ে দ্বৈতনীতির কারণে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। ৯৯ ভাগ অবসরপ্রাপ্ত সদস্যই রেশন সুবিধার বাইরে থাকায় এক শতাংশের রেশন প্রাপ্তিতে তাদের দাবি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি বলে মনে করছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের দুটি সংগঠনের নেতারা। তাই অবসরপ্রাপ্ত শতভাগ সদস্যকে রেশন বরাদ্দের দাবি তুলেছেন তারা।

তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য রেশন বরাদ্দ করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের এই সুবিধা দেয়া হয়। এর ফলে যারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি তুলেছিলেন তারাই এই সুবিধার বাইরে রয়েছেন, সংখ্যার বিচারে যারা ৯৯ ভাগ। তাদের দাবি, এই রেশন সুবিধা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত শতভাগ সদস্যের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে।

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের দুটি সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি ও অনূর্ধ্ব সাব-ইন্সপেক্টর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশন। এই দুই সংগঠনের নেতাদের দাবি, স্বাধীনতার পর থেকে ২০২০ সালের আগ পর্যন্ত গত ৪৮ বছরে অবসরে যাওয়া লক্ষাধিক পুলিশ সদস্য অবসরকালীন রেশন সুবিধা ও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই বিষয়টি আবারও বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানিয়েছে এই দুটি সংগঠন। এই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির কাছে লিখিত অনুরোধ করেছেন উভয় সংগঠনের নেতারা।

অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা দৈনিক বাংলাকে জানান, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য আজীবন রেশন প্রদানের বিষয়টিও আমাদের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। আমরা সেটারও ব্যবস্থা করে দেব।’ তবে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে পুলিশ সপ্তাহ চলাকালে বিষয়টি নিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সে সময় অবসরপ্রাপ্তদের রেশন ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য তিনি আবারও নির্দেশ দেন।

সাবেক পুলিশ সদস্যরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর অর্থ মন্ত্রণালয় তড়িঘড়ি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুলিশ সদর দপ্তরে সম্ভাব্য খরচের পরিমাণ জানতে চেয়ে চিঠি দেয়। পুলিশ সদর দপ্তর দেশের সব পুলিশ সুপারের মাধ্যমে সম্ভাব্য খরচসংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান চালায়। পুলিশ সদর দপ্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অবসরকালীন পুলিশ সদস্যদের সংখ্যা ও খরচের হিসাব পাঠায়।

কর্মকর্তারা আরও জানান, ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের রেশন দেয়ার নির্দেশ দেয়; কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন দেখে সারা দেশের কর্তব্যরত ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়েন। জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় যে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যেসব পুলিশ সদস্যরা অবসরে গিয়েছেন, কেবল তাদের প্রত্যেক পরিবারের দুজন সদস্য রেশন সুবিধা পাবেন। এ ক্ষেত্রে দুজনের জন্য ২০ কেজি চাল, ২০ কেজি আটা, দুই কেজি চিনি, সাড়ে চার লিটার তেল ও দুই কেজি ডাল বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়। এই আদেশ কার্যকর হওয়ার পর তা সংশোধন করে আরেক আদেশ জারি করা হয়। সেখানে চিনি ও ডালের পরিমাণ কমিয়ে দুই কেজির পরিবর্তে ১ কেজি নির্ধারণ করা হয়।

ফলে, আদেশে গত সাড়ে তিন বছরে অবসর যাওয়া পুলিশ সদস্যরাই কিছুটা উপকারভোগী হলেও এর আগে অবসরে যাওয়া লক্ষাধিক সদস্যের ভাগ্যে কিছু্ই জোটেনি।

২০২০ সালের আগে অবসরে যাওয়া একাধিক পুলিশ সদস্য জানান, একই পুলিশ বিভাগে এমন দ্বৈত নিয়ম চালু করায় ২০২০ সালের আগে ও পরে অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বৈষম্য ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বৈষম্যের কারণে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যগণ বিশেষ করে কনস্টেবল ও এসআই পদর্মযাদার পুলিশ সদস্যরা একদিকে যেমন রেশনসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে পুলিশ হাসপাতালে সার্বজনীন চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

অনুর্ধ্ব সাব- ইন্সপেক্টর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. আনিচুর রহমান হাওলাদার দৈনিক বাংলাকে বলেন, পুলিশ বাহিনীতে আমরা কম বেতনে চাকরি করছি। কম দামের রেশন পেয়েছি। পেনশনও কম পেয়েছি। এজন্য আমরাই সুযোগ সুবিধার দাবি করছি দীর্ঘদিন ধরে। অথচ আমাদেরকেই বঞ্চিত করে অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে লক্ষাধিক সদস্য মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

তিনি আরও বলেন, একই বাহিনীতে এমন দ্বৈত নিয়ম বাতিল করে সুবিধাবঞ্চিত সকল অবরসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের অবসরকালীন পারিবারিক পেনশনের দাবিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছি।

পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার একাধিক কর্মকর্তা জানান, ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। এদের মধ্যে ৯০ হাজার সদস্যই হলেন কনস্টেবল থেকে এসআই পদ মর্যাদার সদস্যরা। যারা কর্মজীবনে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও পরবর্তী যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জঙ্গি কার্যক্রম ও অবৈধ মাদক নির্মূল ক্ষেত্রে অকুতোভয় দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে সর্বপ্রথম পুলিশই পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে এদেরই অনেক সদস্য নিহত হন।

সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের একটি অংশের রেশন চালু করায় একই বিভাগে দ্বৈতনীতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অবসরে যাওয়া সিংহভাগ সদস্যই রেশন পাচ্ছেন না, সংখ্যার বিচারে যারা ৯৯ ভাগ। অন্যদিকে মাত্র ১ ভাগ অবসরপ্রাপ্ত সদস্য রেশন সুবিধা পাচ্ছেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Sagar Rooney Murder Report Report is a record of 120 times

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত প্রতিবেদন ১২০ বার পেছানোর রেকর্ড

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত প্রতিবেদন ১২০ বার পেছানোর রেকর্ড

বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবার পেছানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত গতকাল সোমবার আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

এ পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা মোট ১২০ বার পিছিয়ে এসেছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হন। ঘটনার সময় বাসায় তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামিরা হলেন — রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তা রক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান।

এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন, বাকিরা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।

তদন্ত প্রতিবেদন বারবার পিছিয়ে আসায় এ মামলার দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশায় সংশ্লিষ্ট পক্ষের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abu Saeed Murder Hearing the charges against the accused today

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের সদস্যসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি আজ।

সোমবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি করবেন বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এই ছয় আসামি হলেন— সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরীফুল ইসলাম, রাফিউল, আনোয়ার পারভেজ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী আশেক।

গত ১০ জুলাই পলাতক ২৬ আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে, ৩০ জুন আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের সদস্যসহ মোট ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই বিকালে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। আবু সাঈদ ছিলেন জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রথম শিক্ষার্থী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Chief Justice ABM Khairul Haque arrested

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, তথ্য এলে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালে খায়রুল হক শপথ নেন। পরের বছর ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

২০১৩ সালে তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা একই পদে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক এই বিচারপতিকে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
All courts have observed a minute of silence before the trial begins

বিচার শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে সকল আদালত

বিচার শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে সকল আদালত

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় আজ বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে দেশের সকল আদালত।

আজ সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতি আপিল বিভাগ তাদের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। এদিকে আজ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগেও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অন্যদিকে, প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত অধস্তন আদালতে নীরবতা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে হৃদয়বিদারক এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার ২২ জুলাই সারা দেশে শোক দিবস ঘোষণা করেছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ শোক প্রকাশ করছেন। বিচার বিভাগীয় পর্যায়েও বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা আবশ্যক। এমতাবস্থায়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২২ জুলাই দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। সেই সাথে দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। এছাড়া ২২ জুলাই হতে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সকল জেলা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Corruption in the mural project in the Mujib year

মুজিববর্ষে ম্যুরাল প্রকল্পে দুর্নীতি, ৬৪ জেলায় দুদকের চিঠি

মুজিববর্ষে ম্যুরাল প্রকল্পে দুর্নীতি, ৬৪ জেলায় দুদকের চিঠি

সারাদেশে মুজিব শতবর্ষ পালন ও শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল নির্মাণের আর্থিক হিসাব চেয়ে ৬৪ জেলায় চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানে উপপরিচালকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের উপপরিজালক আকতারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদক জানায়, ৬৪ জেলা পরিষদ বরাবর পাঠানো চিঠিতে মুজিবর্ষ পালনে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, ব্যয় করা মন্ত্রণালয়ের নাম, ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার নাম পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, জেলায় কতগুলো এবং কোথায় ম্যুরাল তৈরি হয়েছে, ম্যুরাল নির্মাণে কত টাকা খরচ হয়েছে, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ পালন ও শেখ মুজিবের ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে ওই অর্থ অপচয় ও ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। তাই রেকর্ডপত্র দ্রুত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর আগে দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি স্থাপন করে আওয়ামী লীগ সরকার। টানা ১৫ বছর ধরেই ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি তৈরির মহোৎসবে মেতে উঠেছিল দলটি। অভিযোগ রয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য তৈরিতে ৪ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়ে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, পুরো প্রকল্পই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

সূত্র জানায়, জেলা পরিষদে পাঠানোর আগে একই চিঠি বাংলাদেশ বেতার, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলেও পাঠানো হয়েছে।

গত বছরের আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর মুজিববর্ষ পালনে অর্থ অপচয় ও এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছিল দুদক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mob Violence cannot disrupt the normal activities of the country RAB Director General

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মব ভায়োলেন্স বা মব সন্ত্রাস করে এ দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতিসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন র‌্যাবের ডিজি। ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র‍্যাব এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। দেশে বিগত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির অপরাধে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন অপরাধীকে র‍্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’

‘গত ২ জুলাই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় সন্ত্রাসী কর্তৃক মব সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের ওপর মব ভায়োলেন্সের অযাচিত ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) আমরা গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’

‘এ ঘটনায় আমরা ছায়া তদন্ত করছি, আর পুরো বিষয়টি দেখছে ডিএমপির তদন্ত বিভাগ।’

র‍্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
ACCs Sharifs direction to return the job to the High Court

দুদকের সেই শরীফকে চাকরি ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

দুদকের সেই শরীফকে চাকরি ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার (৯ জুলাই) বিচারপতি রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

তিন বছর আগে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ-সংক্রান্ত দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪(২) বিধির বৈধতা নিয়ে ও চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে একই বছরের ১৩ মার্চ শরীফ রিট করেন।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক পদ থেকে শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতির আদেশ কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বেতন, সব সুবিধাসহ তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয় রুলে। দুদকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

রুলের ওপর গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত আজ রায়ের জন্য দিন রেখেছিলেন। রুল যথাযথ (অ্যাবসোলিউট) ঘোষণা করে আজ রায় দেওয়া হলো।

রায়ের সময় শরীফ উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে শরীফ উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দীন দোলন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দীন দোলন বলেন, শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতির আদেশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। জ্যেষ্ঠতা ও সব সুযোগ-সুবিধাসহ তাঁকে চাকরিতে ৩০ দিনের মধ্যে পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, রায়ের বিষয়টি দুদককে জানানো হবে। আপিল করবে কি না, সে বিষয়ে দুদক সিদ্ধান্ত নেবে।

মন্তব্য

p
উপরে