× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP will protest all over the country including Dhaka and sit on hunger strike
google_news print-icon

ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ করবে বিএনপি, বসবে অনশনে

ঢাকাসহ-সারা-দেশে-বিক্ষোভ-করবে-বিএনপি-বসবে-অনশনে
রোডমার্চ শেষে চট্টগ্রামে সমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে আমরা নতুন কমর্সূচি চট্টগ্রাম থেকে ঘোষণা করছি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ভালোয় ভালোয় ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের কাজীর দেউরী নেভাল এভিনিউস্থ তিন রাস্তার মোড়ে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী রোডমার্চ পরবর্তী সমাবেশে এই ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে আমরা নতুন কমর্সূচি চট্টগ্রাম থেকে ঘোষণা করছি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ভালোয় ভালোয় ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

কর্মসূচিগুলো হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ৯ অক্টোবর সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানোর দাবিতে ১২ অক্টোবর ঢাকায় ছাত্র কনভেশন, ১৪ অক্টোবর সারা দেশে অনশন কর্মসূচি এবং ১৬ অক্টোবর ঢাকায় যুব সমাবেশ। ১৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ হবে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, আবদুল আউয়াল মিন্টু।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বন্দুকের জোরে টিকে আছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চট্টগ্রামে জনবিস্ফোরণ ঘটেছে। সব মানুষ আজ রাস্তায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে বন্দুকের জোরে। ওরা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। সব মানুষের মুখে এখন একটাই স্লোগান, শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি। ওই বার্তা আমরা নিয়ে এসেছি। অনেক কথা হয়েছে। রোডমার্চ, সমাবেশ হয়েছে। এটাই শেষ রোডমার্চ। এরপর আর রোডমার্চ হবে না। সব হবে ঢাকায়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি অনেক মানুষ খুন করেছেন। হাত রঞ্জিত করেছেন, আমাদের অনেক ভাইকে হত্যা করেছেন, স্ত্রীকে স্বামীহারা করেছেন, সন্তানকে পিতৃহারা করেছেন। আমরা আর এসব করতে দেব না। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব, অন্যায় হুকুমের মধ্যে কোনো গুলি করবেন না, কোনো নির্যাতন, কোনো মিথ্যা মামলা করবেন না।

খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচি বলেন, মানুষ আজ জেগে উঠেছে। বাংলাদেশের জনগণ আজ চায় শান্তিপূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হস্তান্তর করুক। আপনার অধীনে আর নির্বাচন আমরা চাই না। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এখন সময়ের দাবি। মানুষ তার ভোট দিয়ে পার্লামেন্ট নির্বাচন করবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ হত্যার রাজনীতি আমরা দেখতে চাই না। আমরা শুধু এ মাস দেখব। সামনে দুর্গাপূজা, কঠোর আন্দোলনে আমরা যেতে চাই না। আগামী ৮ অক্টোবর থেকে আমরা নতুন কমর্সূচি চট্টগ্রাম থেকে ঘোষণা করছি। এর মধ্যে আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ভালোয় ভালোয় ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী। যদি কোনো অশান্তি, কোনো হয়রানি বা মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয় তা বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না। আঘাতের জবাবে প্রত্যাঘাত করা হবে। প্রতিরোধ করা হবে। এ হবে এ মুহূর্তের বিজয়ের সূচনা। তাদের পতন অবশ্যই হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা থেকে শুরু করে লাখ লাখ জনতা আমাদের সঙ্গে এই রোডমার্চে অংশগ্রহণ করেছে। বৃষ্টি হয়েছে, তবুও কেউ যায়নি। বাংলাদেশের মানুষ আজ এই রোডমার্চ দেখে শেখ হাসিনাকে শেষ বার্তা দিয়ে দিয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগ ও কুমিল্লা রোডমার্চের যে বার্তা শেখ হাসিনাকে দিয়েছে, সেই কপালের লিখন যদি তিনি পড়তে না পারেন তাহলে সেটা তার দুর্ভাগ্য। আওয়ামী লীগ এখন কোনো রাজনৈতিক দল নয়। র‌্যাব, পুলিশ, বিচার বিভাগ দিয়ে রেজিমে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আর বিএনপি পরিণত হয়েছে খাঁটি সোনায়। আমাদের ৪০ লাখেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আছে। তারা ঘরে থাকতে পারে না। তাই বিএনপি এখন সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। বিএনপি নেতারা জলে ভিজে আর রোদে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনীতি ওই রেজিমের বিপক্ষে। এটা কোনো দল নয়। সরকারের নির্ভরশীলতা ভোটচুরির প্রকল্পের পুলিশ ও বিচার বিভাগের প্রতি। এ দুর্বৃত্তরা জনগণের সামনে আর দাঁড়াতে পারবে না। সারাবিশ্বের কাছে এরা ভোটচোর। এজন্য স্যাংশন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আজ সমস্ত বিরোধীদল ঐক্যমতে পৌঁছেছে। সারাবিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে বাংলাদেশকে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, কুমিল্লা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোড় মার্চে লাখ লাখজনতার সমাবেশ হয়েছে। শেখ হাসিনা এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দূরদর্শী পরিকল্পনা সফল হয়েছে। চট্টগ্রামের ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে রোড মার্চ কর্মসূচী সফল হয়েছে। তাই আসুন, আরামকে হারাম করে সরকার পতনের ফাইনাল আন্দোলনে নেমে পড়ি। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করি।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভালবাসে। অথচ তাকে আজ মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘরবন্দি করে রেখেছে। তিলে তিলে তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সময় তাকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল। বিদেশে চিকিৎসা করাতে গেলে সেটা ধরা পড়ে যাবে। তাই তাকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে দেওয়া হচ্ছে না। একজন নারী হিসেবে আরেকজন নারীর প্রতি এমন অবিচার জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।

মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ১৯৭৯ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আর আওয়ামী লীগ তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে গণতন্ত্রকে হত্যার অভিযানে ব্যস্ত। রক্ষী বাহিনী দিয়ে ২০ হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যার ইতিহাস এই আওয়ামD লীগের। এর বিচার অবশ্যই জনগণ করবে।

আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, এই সরকার দেশ ধ্বংস করেছে, ব্যাংক লুট করেছে। পদত্যাগের পর জানা যাবে কতশত কোটি টাকা তারা লুট করেছে। আমরা একদফা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। একদফা মানে এই সরকারের পদত্যাগ।

সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এক মুহূর্তের জন্যও শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অক্টোবর মাস হবে শেখ হাসিনার পতনের মাস। অক্টোবর মাসেই শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশে খেলাপি ঋণের অবস্থা খুবই নাজুক। আই এম এফ বলছে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। বাস্তবে আছে বিলিয়ন ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা আছে তা দিয়ে মাত্র তিন মাস চলবে। ব্যবসায়ীরা এল সি খুলতে পারছে না। ব্যাংকে টাকা নেই। টাকা সব বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগ ভিতরে ভিতরে আপস করে ক্ষমতায় এসেছে।

আরও বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মৎস্যজীবী সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, মোস্তাক আহমেদ, উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক মা ম্যা চিং, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, গাজী শাহজাহান জুয়েল, আলমগীর মাহফুজুল্লা ফরিদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাচিং প্রু জেরী, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, তরিকুল আলম তেনজিং, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপন তালুকদার দিপু, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, মহিলা দল নেত্রী শামীমা বরকত লাকী, উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সি যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, খাগড়াছড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার প্রমুখ।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
NCP is sitting in a meeting with consensus commission

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে এনসিপি

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে এনসিপি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এনসিপির প্রতিনিধি দলে থাকবেন—দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।

বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If anyone has been hurt I apologize unconditionally Jamaat Ameer

কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে বিনা শর্তে ক্ষমা চাই: জামায়াত আমির

কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে বিনা শর্তে ক্ষমা চাই: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমা প্রার্থনা কমপক্ষে তিনবার চেয়েছি। অধ্যাপক গোলাম আজম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং আমিও চেয়েছি। শুধু এখন নয়, ৪৭ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামী দ্বারা কেউ যদি কোনো কষ্ট পেয়ে থাকেন অথবা কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে আমি সব ব্যক্তি এবং সংগঠনের পক্ষে নিঃশর্তে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ক্ষমার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা যাবৎ স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, এ ক্ষমা গোটা জাতি হইলেও চাই, ব্যক্তি হইলেও চাই, কোনো অসুবিধা নাই। আমরা কেউ কখনো বলিনি—আমরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে।

জামায়াত আমির বলেন, আমাদের ১০০টার মধ্যে ৯৯টা সিদ্ধান্ত সঠিক, একটা তো বেঠিক হতে পারে। সেই বেঠিক একটা সিদ্ধান্তের জন্য জাতির ক্ষতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমার কোনো সিদ্ধান্তের জন্য যদি জাতির ক্ষতি হয় তাহলে আমার মাফ চাইতে অসুবিধা কোথায়?

ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী সংখ্যালঘুরা নির্বিঘ্নে থাকবে বলে উল্লেখ করেন ডা. শফিকুর রহমান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No legal bar to give Shapla symbol to NCP Sarjis Alam

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দিতে কোনো আইনগত বাঁধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন কাউকে খুশি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের দেখাক কোন আইনে শাপলা প্রতীক এনসিপিকে দেওয়া যাবে না। রোববার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রাপ্য মার্কা দেয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারে না, আমরা মনে করি সেই কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এই বাংলাদেশে হতে পারে না। এনসিপি আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রত্যাশা করি, যে আমরা শাপলা প্রতীক পেয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো। এটা যদি তারা আমাদের সাথে অন্যায় করে, তাহলে আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তাঘাটে নেমে হাহাকার করতো। কর্মসূচী দিয়ে হাহাকার করতো। আমরা অনেক অফিস দেখেছি যে, অফিসের সামনে ১০ জন লোক দাড়ানোর মতো ছিল না, বড় বড় রাজনৈতিক দলের অফিস। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনগণ তখনই রাস্তায় নেমেছে, যাদের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছে। এখন যদি জনগণের ওই আস্থার প্রতিদান কেউ কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল না দেয়, জনগণ তাদের মতো করে আগামীতে যখন সুযোগ হবে জনগণ তার সুফল দেখাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলি, আপনারা ইতিহাস থেকে দয়া করে শিক্ষা নেন। জুলাই সনদ আপনারাও চান, আমরাও চাই। আপনারা যদি জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্রের মতো নাম কাওয়াস্তে একটি পেপার চান, ওই সনদ আমরা চাই না।

এর আগে তিনি জেলা এনপিসির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা এনপির প্রধান সমন্বয়কারী ফয়সনাল করিম সোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুল আহাদসহ প্রমুখ নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If BNP comes to power allowances will be given to unemployed youth SA Jinnah Kabir

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেকার যুবকদের ভাতা দেওয়া হবে: এস.এ জিন্নাহ কবির

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেকার যুবকদের ভাতা দেওয়া হবে: এস.এ জিন্নাহ কবির

বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য মানিকগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এস.এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে ঘোষিত রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফায় বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ কীভাবে চলবে, শিক্ষিত যুবকদের চাকরি ব্যবস্থা করা হবে, চাকরী যতদিন না হবে তাদের বেকার ভাতা দেওয়া হবে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সরকার ক্রয় করবে। ৩১ দফায় কৃষকদের কৃষি উপকরণ, কৃষক-শ্রমিক গ্রাম-গঞ্জে খেটে খাওয়া দিনমুজুর, মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কথা রয়েছে। শনিবার রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা কলিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বিএনপির উদ্যোগে তালুকনগক ডিগ্রী কলেজ মাঠে তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারণা সভা ও লিফলেট বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে হবে। আমি নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরের উন্নয়ন ও কৃষক শ্রমিক, দু:স্থ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব।

তালুকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে ও কলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক আব্দুস সামাদ এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউজ্জল রবির সঞ্চলানায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপি সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি লোকমান হোসেনসহ নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Priyanka expressed solidarity with the demands of the teachers

শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেন ডা. প্রিয়াঙ্কা

শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেন ডা. প্রিয়াঙ্কা

শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশী ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলোচিত নেত্রী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, আমি সংসদে যেতে পারলে শেরপুরের দেড় থেকে দুই লাখ বেকারের চাকরির ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, আমাকে আপনারা জাতীয় সংসদে যাওয়ার ব্যবস্থা করলে নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীরা যাতে শুধু ঘরে বসে না থাকে সে জন্য তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আমি সম্মানিত শিক্ষকদের দাবির প্রতি সমর্থন করি এবং একাত্মতা প্রকাশ করছি। তাদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আমি চেষ্টা করব।

ডা. প্রিয়াঙ্কা গত শনিবার সন্ধায় শহরের ৫নং ওয়ার্ডের খরমপুর মহল্লার ডা. সেকান্দর আলী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজিত এক নারী সমাবেশে এসব কথা বলেন।

জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুলতানা রাজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ নারী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হযরত আলী, সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জাফর আলী. বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন, প্রভাষক শফিউল আলম চান, রেজাউল করিম রুমি, শ্রমিক দল নেতা মো. শওকত হোসেনসহ আরও অনেকে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়। তারপরেও এ আসনের সকল নারীরা আমার সাথে ছিলেন সে জন্য আমি এই নারীদের ছেড়ে কখনোই চলে যাব না। আমি আপনাদের ঋণের কথা কখনোই ভুলতে পারব না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no obstacle to elections after signing the July Charter Shamsuzzaman Dudu

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর নির্বাচন হতে বাধা নেই: শামসুজ্জামান দুদু

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর নির্বাচন হতে বাধা নেই: শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর হওয়ার পর দেশে নির্বাচন নিয়ে আর কোন সমস্যা নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলে বিএনপি প্রত্যাশা করে।

শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা প্রসঙ্গে দুদু বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। সকলের ভিন্নমত পোষনের সুযোগ আছে। যেসব দল ভিন্নমত পোষণ করে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি আমাদের ধারণা তারা ভবিষ্যতে স্বাক্ষর করবে। কেননা, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, যেসব দল স্বাক্ষর করেনি, তাদের জন্য ভবিষ্যতেও সুযোগ আছে।

বিএনপি সরকার গঠন করলে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে দেশের উন্নয়ন গতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করেন শামসুজ্জামান দুদু।

নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Injured and martyred families were disrespected at the July charter signing ceremony

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারকে অসম্মান করা হয়েছে

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারকে অসম্মান করা হয়েছে

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে অভিযোগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, শহীদ পরিবার অনুষ্ঠানে প্রাপ্য সম্মান পাননি বরং প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আখতার হোসেন বলেন, শহীদ পরিবাররাই জুলাই সনদ আয়োজনের মূল আকর্ষণ হলেও, তাদের মঞ্চ থেকে দূরে সরিয়ে বসিয়ে অমর্যাদা করা হয়েছে। আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে এবং অসম্মান করে জুলাই সনদকে ‘পাওয়ার এলিট’-এর সেটেলমেন্ট বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতরা কিছু দাবি নিয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঐক্যবদ্ধ কমিশন জুলাই সনদের অঙ্গীকারের পঞ্চম দফা সংশোধনের ঘোষণা দিলেও, শুরুতে যদি বিষয়টি আমলে নেওয়া হতো তাহলে তাদের রাজপথে নামতে হতো না।

তিনি বলেন, সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান না করে আহত যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করছি।

এনসিপি সদস্য সচিব আরও বলেন, জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও বৈধতা নিশ্চিত না করেই এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জাতিকে পরিষ্কার ধারণা না দিয়েই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে। জুলাই সনদের কোনো আইনভিত্তি না দেওয়া, বাস্তবায়ন আদেশ প্রকাশ না করা এবং পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা জাতির সামনে না আনার কারণে আমরা আনুষ্ঠানিকতার জন্য স্বাক্ষর থেকে বিরত থেকেছি।

তিনি বলেন, এনসিপি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ৭২ সালের বন্দোবস্ত বিলোপ করে নতুন সাংবিধানিক অগ্রযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। বিচার সংস্কারের অংশ হিসেবে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে ‘জুলাই পথযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপি। রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জনগণ এই দাবিতে এনসিপিকে দৃঢ় সমর্থন দিয়েছে। একই সঙ্গে আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কারে জোরালো ভূমিকা রেখেছি।

আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে জাতিকে ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে। সনদের আইনিভিত্তি হিসেবে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’-এর উল্লেখ নেই। আমরা বলেছি, অভ্যুত্থান-পরবর্তী যেকোনো বন্দোবস্তের নৈতিক ও আইনিভিত্তি থাকতে হবে। কিন্তু সনদে জনগণের সার্বভৌম ও গাঠনিক ক্ষমতার প্রকৃত মৌলিক সত্যের কোনো উল্লেখ নেই।

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের আওতাভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের এমন কিছু অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যা বিদ্যমান সংবিধানের তথাকথিত বেসিক স্ট্রাকচারের আওতাভুক্ত। ফলে ৭২ সালের সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনে থেকে এই পরিবর্তনগুলো ভবিষ্যতে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এতে জুলাই সনদ জনগণের সঙ্গে একটি সাংবিধানিক প্রতারণায় পরিণত হবে।

এ কারণে এনসিপি সরকারপ্রধান ড. ইউনূসকে গণভোটের পূর্বে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির আহ্বান জানিয়েছে—যাতে এর আইনভিত্তি, বৈধতা ও জুলাই অবস্থান স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।

শেষে আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিয়ে আগামী কয়েকদিনের আলোচনায় আমরা জনগণের পাশে থাকব। কোনো অবস্থাতেই জুলাই সনদকে জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো আইনিভিত্তিহীন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল বা ‘জেন্টলম্যানস অ্যাগ্রিমেন্টে’ পরিণত করা যাবে না। আমরা আশা করছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের ইচ্ছাকে ধারণ করে জুলাই সনদের আইনিভিত্তি ও বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

মন্তব্য

p
উপরে