× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
There is no excuse for arson in the name of movement Prime Minister
google_news print-icon

আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ করলে ক্ষমা নেই: প্রধানমন্ত্রী

আন্দোলনের-নামে-অগ্নিসংযোগ-করলে-ক্ষমা-নেই-প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নিসংযোগ ও অমানবিক, নৃশংসতার ঘটনা ঘটলে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না।’

আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নিসংযোগ ও অমানবিক, নৃশংসতার ঘটনা ঘটলে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার লন্ডনের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নিসংযোগ ও অমানবিক, নৃশংসতার ঘটনা ঘটলে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না।

‘আন্দোলনের নামে নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসবাদ বা একইভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা বা হামলার ঘটনা ঘটলে রেহাই দেয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-১৪ সালে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ বহু ধরনের যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে জনগণকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছিল। তথাকথিত আন্দোলনের নামে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নারীসহ অনেক লোক গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছিল এবং তারা তাদের আঘাত নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সন্ত্রাসবাদে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা এবং দেশের সম্পত্তি নষ্ট করা তাদের আন্দোলন। এর আগে ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জীবন নিয়ে এমন কোনো চেষ্টা করা হলে কোনো ক্ষমা করা হবে না।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপির পক্ষে শোভা পায় না কারণ তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ধোকাবাজি খেলেছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যেই দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ কখনই ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় বসতে দেয় না।’

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিএনপি-জামায়াত জোট ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করে এবং সেই তালিকা দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করে।

উল্টো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের অনেকেই তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন যে, তার সরকার নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সমস্ত সংস্কার করেছে।

তিনি বলেন, ‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স চালু করেছে এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি এখন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আন্দোলন করছে। সরকারপ্রধান হিসেবে তার ওপর ন্যস্ত নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে এতিমদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড স্থগিত করার পর খালেদা জিয়াকে তিনি বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আইন অনুযায়ী যা করতে পারেন, তাই করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেকেই এখন যুক্তি দিচ্ছেন, আইন নিজের গতিতে চললেও খালেদা জিয়ার প্রতি আমি বেশি সহানুভূতি দেখাতে পারি।’

১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট, ২০০৪ গ্রেনেড হামলা, শেখ রেহানার বাড়িটিকে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে পরিণত করা, যা তিনি জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য প্রণীত আইনের অধীনে পেয়েছিলেন, যা বিএনপি সরকারের লঙ্ঘনের ঘটনা।

কোকোর মৃত্যুর পর তাকে (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়ার বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ছাড়বেন রাতে
অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার আগে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
‘আমার ভোট আমি দেব’ স্লোগানটা আমার দেয়া: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা কেন দিচ্ছে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Rohingya crisis TIB appeals to World Bank ADB for help

রোহিঙ্গা সংকট: বিশ্বব্যাংক এডিবির প্রতি সহায়তার আহ্বান টিআইবির

রোহিঙ্গা সংকট: বিশ্বব্যাংক এডিবির প্রতি সহায়তার আহ্বান টিআইবির মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের একটি দল। ফাইল ছবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং রোহিঙ্গা সংকট সংশ্লিষ্ট সকল খরচের সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত বণ্টন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংলাপের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। ঋণ নয় অনুদান হিসেবে সহায়তা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংক এবং এডিবির প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।’

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ঋণের পরিবর্তে অনুদান হিসেবে সহায়তা দিতে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক তথা এডিবির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কাছ থেকে এক বিলিয়ন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ, যার ৫৩৫ মিলিয়ন ডলারই ঋণ এবং ৪৬৫ মিলিয়ন অনুদান। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশের বাধ্য হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। রোহিঙ্গা সংকটের মতো বৈশ্বিক মানবিক সংকট মোকাবিলার জন্য ঋণ নয়, সহায়তা অনুদান হিসেবে প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংক এবং এডিবির সঙ্গে আলোচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

‘পাশাপাশি এই নিপীড়নমূলক মানবিক সংকট মোকাবিলায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে ন্যায্য ও যথাযথভাবে এগিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘টিআইবি মনে করে, রোহিঙ্গা সংকটের মতো এমন একটি মানবিক সংকট মোকাবিলার সকল ভার শুধু বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া পুরোপুরি অন্যায্য এবং তা মোটেই কার্যকর ও টেকসই সমাধান নয়। এই সংকট সমাধানের জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত পদক্ষেপ এবং বৈশ্বিক সংহতি। মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় প্রদান ও বছরের পর বছর ভরণপোষণের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চই করেছে বাংলাদেশ।

‘এই বাড়তি অর্থনৈতিক বোঝা সম্মিলিতভাবেই বহন করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। নির্যাতনে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বলে এই অর্থনৈতিক বোঝার পুরোটাই অনন্তকাল ধরে বাংলাদেশের কাঁধে চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। বিশেষত, যখন বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেই মুহূর্তে এই ঋণ চাওয়ার সিদ্ধান্ত দ্বিগুণ উদ্বেগজনক।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং রোহিঙ্গা সংকট সংশ্লিষ্ট সকল খরচের সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত বণ্টন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংলাপের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। ঋণ নয় অনুদান হিসেবে সহায়তা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংক এবং এডিবির প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।

‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সহায়তার হাত বাড়িয়ে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি প্রমাণ করার একটি সুযোগও পাচ্ছে, তাদের লক্ষ্য শুধু নির্বিচার ঋণ ব্যবসাতে সীমাবদ্ধ নয়।’

আরও পড়ুন:
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, নিহত ১
পাকস্থলীতে ইয়াবা: বিমানবন্দরে শিশুসহ রোহিঙ্গা পরিবার আটক
হবিগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে দালালসহ রোহিঙ্গা নারী আটক
নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যানের নিয়োগ বাতিলে ক্ষুব্ধ টিআইবি
রোহিঙ্গা যুবকের পেটে ১২০০ ইয়াবা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Cancellation of nomination papers Candidates appeals begin on Tuesday

মনোনয়নপত্র বাতিল: প্রার্থীদের আপিল শুরু মঙ্গলবার

মনোনয়নপত্র বাতিল: প্রার্থীদের আপিল শুরু মঙ্গলবার ইসির লোগো। ফাইল ছবি
ইসি সচিবালয়ের আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে (আপিলের মূল কাগজপত্র ১ সেট ও ছায়ালিপি ৬ সেটসহ) আপিল দায়ের করতে পারবেন।’

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে যেসব প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তারা মঙ্গলবার থেকে আপিল আবেদন করতে পারবেন।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সকাল থেকে আপিল আবেদন গ্রহণ শুরু হবে বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে (আপিলের মূল কাগজপত্র ১ সেট ও ছায়ালিপি ৬ সেটসহ) আপিল দায়ের করতে পারবেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন ভবনে দেশের ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি বুথ করা হয়েছে। এসব বুথে ১০ জন কর্মকর্তার কাছে আপিল আবেদন জমা দিতে হবে। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১০০টি করে আপিল আবেদন ক্রমানুসারে নিষ্পত্তি করা হবে।

ইসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আপিল আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের ফলাফল মনিটরে প্রদর্শন, আপিলের পর রায়ের পিডিএফ কপি ও আপিলের সিদ্ধান্ত রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের ইমেইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে এবং নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া আপিল রায়ের অনুলিপি শিডিউল মোতাবেক নির্বাচন ভবনের অভ্যর্থনা ডেস্ক থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির আবেদনের ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে (উল্লেখ্য নামঞ্জুর আপিলের রায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদান করা হবে)।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে ২ হাজার ৭১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।

রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

আরও পড়ুন:
৪৭ ইউএনওকে বদলির অনুমতি ইসির
নৌকার সমাবেশে বন্দুক প্রদর্শন, শাহজাহান ওমরকে শোকজ
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে শোকজ
মনোনয়ন বৈধ ১৯৮৫ প্রার্থীর, বাতিল ৭৩১ জনের
পাঁচ বছরে হাসানাত-জাহিদ-সাদিকের সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladeshi killed in BSF firing across Thakurgaon border

ঠাকুরগাঁও সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

ঠাকুরগাঁও সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া। ফাইল ছবি
কাঠালডাঙ্গী সীমান্ত চৌকির (বিওপি) বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার এন্তাজুল হক বলেন, ‘ভারত সীমান্তের ভেতরে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে বিএসএফ। পরে তাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার লাশ এখনও বিএসএফের কাছে আছে।’  

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

উপজেলার কাঠালডাঙ্গী সীমান্তে সোমবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো বাংলাদেশির নাম জহিরুল ইসলাম (২৫), যিনি হরিপুর উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের বাসেদ আলীর ছেলে।

কাঠালডাঙ্গী সীমান্ত চৌকির (বিওপি) বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার এন্তাজুল হক বলেন, ‘ভারত সীমান্তের ভেতরে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে বিএসএফ। পরে তাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার লাশ এখনও বিএসএফের কাছে আছে।’

ঠিক কী কারণে বিএসএফ গুলি চালিয়েছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি বিজিবির এ কর্মকর্তা।

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার

এদিকে হরিপুর থানার ওসি ফিরোজ ওয়াহিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার ভোররাতে একজন ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ নাগর নদীর উপশাখা শিরানী নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি।’

তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম মকলেছ (২৫), যিনি হরিপুর উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

মকলেছ কার গুলিতে নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি ওসি। তার ভাষ্য, এ যুবক বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
ঘাস কাটতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে কিশোর নিহত
তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ঠাকুরগাঁও সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত 
দুদিন পর যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There was no situation to impose trade restrictions on labor issues
আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাশেষে বানিজ্য সচিব

শ্রম ইস্যুতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি

শ্রম ইস্যুতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতে নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে; জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এ ছাড়া শ্রমিক কল্যাণে আরও কী করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, ‘শ্রম আইনের সংশোধন ও বেজা আইনের মাধ্যমে শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রকে এ অগ্রগতির চিত্র জানানো হবে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সোমবার শ্রমসংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা নিয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে তপন কান্তি ঘোষ এ কথা বলেন।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘শ্রম অধিকারের ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে নতুন শ্রমনীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে- বিশ্বব্যাপী শ্রম পরিবেশের আরও উন্নতি হোক। বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।’

সভায় পররাষ্ট্র, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘কারও দয়ায় নয়, পণ্যের গুণগত মান, আন্তর্জাতিক চাহিদা ও শ্রমিক অধিকার রক্ষা করেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রম আইনে শ্রম অধিকারের যেসব বিষয় আছে, তার মধ্যে বেশ কিছু পরিপালন করা হয়েছে। তবে তারা চায় আরও অগ্রগতি হোক।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতে নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে; জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এ ছাড়া শ্রমিক কল্যাণে আরও কী করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের কিছু শর্ত ছিল। শ্রম আইন ও বেজা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে চাওয়া ছিল, তা অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে তিনবার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে।’

সূত্র জানায়, সভায় কর্মক্ষেত্রে শ্রমমান, শ্রম আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি, শ্রম অধিকার ও ন্যায্য মজুরি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
47 EC permits transfer of UNOK

৪৭ ইউএনওকে বদলির অনুমতি ইসির

৪৭ ইউএনওকে বদলির অনুমতি ইসির নির্বাচন ভবনে সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। ছবি: নিউজবাংলা
সচিব বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৪৭ জন ইউএনওর বদলির ব্যাপারে পাঠিয়েছিল। সেটা কমিশন যাচাই-বাছাই করে অনুমতি দিয়েছে।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রস্তাবের ভিত্তিতে ৪৭ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

নির্বাচন ভবনে সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সচিব বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৪৭ জন ইউএনওর বদলির ব্যাপারে পাঠিয়েছিল। সেটা কমিশন যাচাই-বাছাই করে অনুমতি দিয়েছে।

‘আর ওসিদের প্রস্তাব এখনও পাই নাই। তাদের ৫ তারিখ পর্যন্ত সময় ছিল। সেটা ৮ তারিখ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল। সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৬৪ জেলার রিটার্নিং অফিসারের তথ্য অনুসারে মোট ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নের মধ্যে ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।’

সচিব আরও বলেন, ‘যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাদের আগামীকাল ৫ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত আমাদের কমিশন ভবনের নিচেই আপিল গ্রহণ করা হবে। এরপর ১০ তারিখ থেকে আপিল শুনানি হবে ১৫ তারিখ পর্যন্ত।’

আরও পড়ুন:
নৌকার সমাবেশে বন্দুক প্রদর্শন, শাহজাহান ওমরকে শোকজ
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে শোকজ
মনোনয়ন বৈধ ১৯৮৫ প্রার্থীর, বাতিল ৭৩১ জনের
পাঁচ বছরে হাসানাত-জাহিদ-সাদিকের সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ
নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চাপ নেই: ইসি আলমগীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nomination valid 1985 candidates canceled 731

মনোনয়ন বৈধ ১৯৮৫ প্রার্থীর, বাতিল ৭৩১ জনের

মনোনয়ন বৈধ ১৯৮৫ প্রার্থীর, বাতিল ৭৩১ জনের নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি
ইসি প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১৯৮ জন। তাদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল হয় ৪৪ জনের। মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ১৫৪ জনের।

আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন দুই হাজার ৭১৬ জন।

ওই প্রার্থীদের মধ্যে ১ হাজার ৯৮৫ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে ৭৩১ জনের।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম সোমবার রাতে এসব তথ্য জানান।

ইসি প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১৯৮ জন। তাদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল হয় ৪৪ জনের। মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ১৫৪ জনের।

কুমিল্লা অঞ্চলে ৩৫৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন, যাদের মধ্যে ১২০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও ২৩৫ জনের বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সিলেট অঞ্চলে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১৬০ জন, যাদের মধ্যে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে ৩৫ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ১২৫ জনের প্রার্থিতা।

ফরিদপুর অঞ্চলে ১০৩ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ও ৮০ জনের বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা অঞ্চলের ৪৩১ প্রার্থীর মধ্যে ১১৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ও ৩১৭ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজশাহী অঞ্চলে ৩৬৯ প্রার্থীর মধ্যে ১১০ জনের প্রার্থিতা বাতিল ও ২৫৯ জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বরিশাল অঞ্চলে ১৭৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩৮ জনের মনোনয়ন বাতিল ও ১৩৫ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

খুলনা অঞ্চলের ৩২২ প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ জনের মনোয়ন বাতিল ও ২২৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৩২৭ প্রার্থীর মধ্যে ৮৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ও ২৪৩ জনের বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রংপুর অঞ্চলে ২৭৮ জনের মধ্যে ৬৯ জনের মনোনয়ন বাতিল ও ২০৯ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পাঁচ বছরে ইমরানের স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি
মনোনয়ন বাতিল কৌতুক অভিনেতা চিকন আলীর
দ্বৈত নাগরিকত্ব: আওয়ামী লীগের শাম্মীর মনোনয়নপত্র বাতিল
সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে শ্বশুরের মনোনয়ন বৈধ, বাতিল জামাতারটা
ঢাকার দুটি আসনে মনোনয়ন বৈধ জিএম কাদের শেরীফা দম্পতির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Save the river to protect the country Prime Minister

দেশরক্ষায় নদী বাঁচান: প্রধানমন্ত্রী

দেশরক্ষায় নদী বাঁচান: প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে সোমবার ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার আলোকে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে এক সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে।’

দেশকে রক্ষায় নদীগুলোকে বাঁচানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজ কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে সোমবার ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার আলোকে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে এক সভায় তিনি এ তাগিদ দেন। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে।’

তিনি জানান, ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের লক্ষ্য ছিল নদী রক্ষা, নাব্যতা বজায় রাখা ও দূষণ থেকে রক্ষা করা। তার সরকারের প্রথম মেয়াদে নদী ড্রেজিং শুরু হয়েছিল এবং জমি পুনরুদ্ধারের জন্য পলিমাটি ব্যবহার করা হয়েছিল।

ড্রেজিংয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের ড্রেজিং করতে হবে এবং নাব্যতা বজায় রাখতে হবে। নদীভাঙন রোধকল্পে আমাদের ড্রেজিং করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘একসময় নদী শাসনের নামে উর্বর ফসলি জমিতে বেড়িবাঁধ তৈরি করা স্বাভাবিক ঘটনা ছিল।

কারখানার বর্জ্যে দূষণ বাড়ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীর ধারে যেসব শিল্প-কারখানা গড়ে উঠে, সেগুলোর বর্জ্য সাধারণত নদীতে যায়।

তিনি বলেন, ‘স্যুয়ারেজ লাইনের সমস্ত বর্জ্যও নদীতে যায়, যার ফলে দূষণ বাড়ছে।

‘আমরা যাই করি না কেন, প্রথমেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।’

রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে বাঁচাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কথাও বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘নদী শাসনের জন্য নদীর গভীরতার কথা বিবেচনায় রাখতে হবে এবং আমাদের অবশ্যই বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের লক্ষ্যে নদীর পাশাপাশি একটি বাফার জোন তৈরি করতে হবে।’

সরকারপ্রধান পরিবেশ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপরেও জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবাইকে সব নগরীর জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছি। আমরা যে পরিকল্পনাই গ্রহণ করি না কেন, সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রবাহ সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর হাতে এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড
ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনার সঙ্গে দুটি ইসলামিক দলের নেতাদের বৈঠক
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ৫ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

p
উপরে