× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Child rape Youth arrested
google_news print-icon

শিশুকে তাড়ি খাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

শিশুকে-তাড়ি-খাইয়ে-ধর্ষণচেষ্টা-যুবক-গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি
সাভার মডেল থানার এসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, “ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণচেষ্টার আলামতই পেয়েছি। শিশুটিকে নেশাদ্রব্য ‘তাড়ি’ খাইয়ে অচেতন করে লুকিয়ে রেখেছিল আরিফ। কিন্তু ধর্ষণ করার আগেই শিশুটির মা তার খোঁজ পায় বলে ধারণা করছি। শিশুটিকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’

ঢাকার সাভারে নেশাদ্রব্য খাইয়ে নয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আসামিকে সোমবার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ৪০ বছর বয়সী ভ্যানচালক মো. আরিফ সাভারের ছায়াবিথী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

এর আগে রবিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করলে ওই রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার দুপুর থেকেই মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তার মা। পরে প্রতিবেশী আরিফের ঘরের সামনে মেয়ের জুতা দেখে ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি। তখন মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখান থেকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা।

সাভার মডেল থানার এসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণচেষ্টার আলামত পেয়েছি। শিশুটিকে নেশাদ্রব্য তাড়ি খাইয়ে অচেতন করে লুকিয়ে রেখেছিল আরিফ। কিন্তু ধর্ষণ করার আগেই শিশুটির মা তার খোঁজ পায় বলে ধারণা করছি। শিশুটিকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। তবে রিপোর্টে যদি ধর্ষণের প্রমাণ মেলে তাহলে মামলাটি ধর্ষণ মামলায় রূপান্তরিত হবে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
A person has been arrested on the charge of raping a child locked in a room in Savar

সাভারে কক্ষে আটকে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার

সাভারে কক্ষে আটকে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার প্রতীকী ছবি
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, বুধবার রাতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আটক করে আনা হয়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার তার নামে মামলা করে।

ঢাকার সাভার উপজেলায় সাত বছর বয়সী শিশুকে কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বুধবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায়। তিনি আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, শিশুটির বাবা প্রবাসী ও মা বাসার পাশে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করেন। মঙ্গলবার বিকেলে মেয়েকে বাসায় একা রেখে তার মা দোকানে যান। ওই সময় প্রতিবেশী ব্যক্তিটি সুযোগ বুঝে শিশুটিকে জোর করে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই সময় অনেক জোরে বৃষ্টি পড়ার কারণে মেয়েটি চিৎকার করলেও তা কেউ শুনতে পায়নি। পরে মেয়েটি কৌশলে ওই কক্ষ থেকে দৌড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী আরেক ভাড়াটিয়ার কাছে আশ্রয় নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ঘটনার এক দিন পর বুধবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্তকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, বুধবার রাতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আটক করে আনা হয়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার তার নামে মামলা করে।

তিনি আরও জানান, শিশুটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে চার মামলা
জয় ও কুবি ভিসিসহ ১৯ জনের নামে তথ্য ফাঁসের মামলা
মামলা খারিজ, খালাস পেলেন বিএনপির তিন নেতা
বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‌ঊর্মির নামে মামলা, সমন
ছাত্র হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি বিএনপি নেতা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gone is the bullet ridden life of the student movement

চলে গেলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জীবন

চলে গেলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জীবন রমজান মিয়া জীবন। ছবি: সংগৃহীত
রমজান মিয়া জীবন পুরান ঢাকার আলুবাজারে স্যান্ডেল তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতেন। ৫ আগস্ট গুলিস্তানে মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে আইসিইউতে বুধবার বিকেলে মারা যান তিনি।

কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত রমজান মিয়া জীবন মারা গেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেল ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

জীবন পুরান ঢাকার বংশালের আলুবাজার এলাকায় স্যান্ডেল তৈরির একটি কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

জীবনের চাচা মোহাম্মদ রোমান মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের পাঠানহাটি গ্রামে। ওর বাবার নাম মোহাম্মদ জামাল মিয়া। ভাই-ভাবী পরিবার নিয়ে মিরপুরের লালমাটি এলাকায় থাকেন। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে জীবন ছিল তৃতীয়। ওর স্ত্রী সাহারা খাতুন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ওর বাবা নর্দা এলাকার একটি বাসার নিরাপত্তা কর্মী।’

তিনি আরও বলেন, ‘জীবন বিএনপির কর্মী ছিল। ৫ আগস্ট মিরপুরের বাসায় যাওয়ার কথা বলে সকালে সে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসে। পরে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের আশপাশের এলাকায় বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে আহত হয় সে। পরে লোকজন তাকে রিকশায় ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

‘সংবাদ শুনে ঢামেক হাসপাতালে এসে শতাধিক আহতের মাঝে ওকে খুঁজে পাই। শুনেছি ওর মাথায় গুলি লেগেছে। জ্ঞান ছিল না। আর জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে আজ ছেলেটা একেবারে চলেই গেল।’

আরও পড়ুন:
অভ্যুত্থানে নিহত প্রতিটি শিশুর পরিবার পাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১৫৮১, আহত ৩১ হাজার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Four cases against the former home minister and his wife and children
শত শত কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে চার মামলা

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে চার মামলা আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে দুদক। এর বাইরে তার একান্ত সচিব মনির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার স্ত্রী-সন্তান এবং একান্ত সচিব মনির হোসেনের বিরুদ্ধে পাঁচটি পৃথক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বুধবার এসব তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অনুসন্ধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তাদের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান ও মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। আসাদুজ্জামান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ৬০ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৫৬ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। পাশাপাশি তাদের নামে ৩৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৯ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

আর দুদকের অনুসন্ধানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো. মনির হোসেনের ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আসাদুজ্জামান আত্মগোপনে রয়েছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ’র নির্দেশে ১৩ আগস্ট আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।

মামলায় কামালের বিরুদ্ধে ১৬ কোটি ৪১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আটটি ব্যাংক হিসাবে ৫৫ লাখ ৯২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন এবং মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনে দুদক। এই মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এই মামলার একমাত্র আসামি আসাদুজ্জামান খান কামাল।

দ্বিতীয় মামলায় স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের সঙ্গে আসামি কামাল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কামালের দুর্নীতির টাকায় সম্পদশালী হয়েছেন তাহমিনা। তাহমিনার ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৪৩ কোটি ৭৭ হাজার ৭৪৫ টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২), ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।

তৃতীয় মামলার আসামি কামাল ও তার ছেলে শাফি। তাদের বিরুদ্ধে ১৯ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। শাফি তার নামে ব্যাংক হিসাব খুলে সেখান ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭২ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন।

চতুর্থ মামলার আসামি কামাল ও তার মেয়ে শাফিয়া তাসনিম। তাদের বিরুদ্ধে আট কোটি ৭৭ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। শাফিয়ার ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৪২ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে।

পঞ্চম মামলায় আসামি কামালের এপিএস মনির হোসেন। তার বিরুদ্ধে ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের পেয়েছে দুদক।

গত ১৫ আগস্ট আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২১ আগস্ট কামালের পরিবার এবং তার সাবেক পিএস হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুসহ আটজনের ব্যাংক হিসাবের সব লেনদেনের তথ্য তলব করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ঘুষ হিসেবে বস্তা বস্তা টাকা নিতেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এই টাকা আদায় করা হতো। এজন্য তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন তিনি।

আরও পড়ুন:
জয় ও কুবি ভিসিসহ ১৯ জনের নামে তথ্য ফাঁসের মামলা
বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‌ঊর্মির নামে মামলা, সমন
সাবেক এমপি হেনরী ও স্বামী লাবুর নামে চার মামলা
পতিত সরকারের চার মন্ত্রী আরও দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের নামে হত্যা মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hasina and 11 people are accused in the tribunal by the former army officer who is the victim of disappearance

হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তার

হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তার বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল শেষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক বলেন, ‘আমাকে গুম করার ঘটনার বিচার চেয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছি। আমাকে দুই দফায় গুম করা হয়। সেখানে অমানুষিক ও বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আয়না ঘরে আমাকে এই নির্মম নির্যাতন করা হয়।’

ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর এই অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগ দাখিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাসিনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাকে গুম করার ঘটনার বিচার চেয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছি। আমাকে দুই দফায় গুম করা হয়। সেখানে অমানুষিক ও বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

‘আয়না ঘরে আমাকে এই নির্মম নির্যাতন করা হয়। গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তা আজমিসহ আরও অনেককে সেখানে দেখতে পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘গুমের ঘটনায় ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন চেয়েছি।’

হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাবেক কর্মকর্তা। সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়ার সময় তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট থেকে এক বছর ছয় মাস ১৪ দিন আয়নাঘরে গুম ছিলেন।

চাকরিতে থাকা অবস্থায়ও তাকে দীর্ঘদিন গুম করে রাখা হয়েছিল বলে জানান এই খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে একটি চক্র চরম বেআইনি ও অমানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর একটি উচ্ছিষ্টলোভী অংশ এই অন্যায় কাজে জড়িত ছিল। আশা করি তা তদন্তে বের হয়ে আসবে।’

হাসিনুর রহমান জানান, সেনাবাহিনীতে চাকরি করা অবস্থায় ২০০৮ সালে তাকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে বলা হয়। তিনি অনীহা প্রকাশ করলে ক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর নানা নির্যাতন শুরু হয়। ২০১২ সালে তাকে সেনাবাহিনী থেকেও বরখাস্ত করা হয়।

পিলখানায় বিডিআর হত্যাযেজ্ঞের ঘটনায় একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে উচ্চবাচ্য ও প্রতিবাদ করাও তার ওপর পরিচালিত নির্যাতনের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরীর একটি অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়াও আমার ওপর নির্যাতনের কারণ ছিল।

‘গুম নিয়ে মিডিয়ায় কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে ১০টির বেশি মামলা হয়। আমি কারাগারে ছিলাম। খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরও জেলখানায় আমাকে ডিভিশন দেয়া হয়নি।’

হাসিনুর রহমান বলেন, ‘র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে কর্মরত থাকা অবস্থায় জঙ্গিদের আটকে আমার সাফল্যের কথা সবাই জানেন। জেলে আটক অবস্থায় আমাকে জঙ্গি দিয়ে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমানের ছেলে কারাবন্দি নাবিল আমাকে হত্যা করা হবে বলে জানিয়েছিল। আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমি প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ সব শহীদ ও আহতদের প্রতি স্যালুট জানিয়ে হাসিনুর রহমান বলেন, ‘তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আজ ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা ও স্বাধীন-মুক্ত পরিবেশে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Information leak case against 19 people including Joy and Kubi VC

জয় ও কুবি ভিসিসহ ১৯ জনের নামে তথ্য ফাঁসের মামলা

জয় ও কুবি ভিসিসহ ১৯ জনের নামে তথ্য ফাঁসের মামলা সজীব ওয়াজেদ জয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. হায়দার আলী। কোলাজ: নিউজবাংলা
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান আসামি করে ১৯ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় ১১ নম্বর আসামি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান আসামি করে ১৯ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলায় ১১ নম্বর আসামি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।

এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি বুধবার রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাফরুল থানার ওসি কাজী গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, ‘মামলা হয়েছে। বাকি তথ্য হেডকোয়ার্টার থেকে দেয়া হবে।’

মামলার এজাহারে বলা হয়, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে জনগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিক্রি করেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসার অনুমতি দেন অভিযুক্তরা। সেসব তথ্য দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়। তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে।

এভাবে জনসাধারণের এনআইডির তথ্য বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয় এই মামলায়।

মামলার আসামিদের মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়াও রয়েছেন- সাবেক ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক; সাবেক ডাটা সেন্টার পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ; ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরিফ; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম; সাইবার নিরাপত্তা, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহাবুবুর রহমান; জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক পরিচালক (অপারেশন) আবদুল বাতেন; নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মু. আশরাফ হোসেন; ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফটেন‍্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. রাকিবুল হাসান; মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক (সদ্য নিয়োগ পাওয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য) ড. মো. হায়দার আলী; অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহফুজুল; রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সিস্টেম এনালিস্ট অলিউল হাসান; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব মো. তবিবুর রহমান; জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক সহকারী পরিচালক মুহা. সরওয়ার হোসেন; জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক আব্দুল মমিন সরকার; জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ম্যানেজার (সিকিউরিটি অপারেশন) মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান; ম্যানেজার, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সফটওয়্যার ডেভেলপার মো. সিদ্দীকুর রহমান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী এনামুল হক বলেন, ‘এজাহারে আমি আমার বক্তব্য দিয়েছি। সেটিই আমার বক্তব্য।’

এ ব্যাপারে জানতে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
MA Mannan got bail there was a commotion in the court

জামিন পেলেন এম এ মান্নান, আদালতে হট্টগোল

জামিন পেলেন এম এ মান্নান, আদালতে হট্টগোল সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান। ফাইল ছবি
সুনামগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এম এ মান্নানের জামিন আবেদনের শুনানি প্রক্রিয়া নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। হট্টগোলের এক পর্যায়ে এজলাস ছেড়ে যান বিচারক। বেলা আড়াইটায় শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।

সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নান জামিন পেয়েছেন। বুধবার বিকেলে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালতে এর আগে সকালে এম এ মান্নানের জামিন শুনানিতে দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। হট্টগোলের এক পর্যায়ে এজলাস ছেড়ে যান বিচারক। পরে বেলা আড়াইটায় শুনানির সময় নির্ধারণ করা হয়।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও এম এ মান্নানের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার এম এ মান্নানের পক্ষে জামিন শুনানির এডমিশন করা হয়। এরপর আদালত আজ শুনানির তারিখ ধার্য করেন। এভাবে এই আদালতে এর আগে বহুবার জামিন শুনানি হয়েছে। এ নিয়ে বাদী পক্ষ সকালে হট্টগোল শুরু করলে আদালত বিকেলে শুনানি করেন। অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করে আদালত।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী মল্লিক মইনউদ্দিন সোহেল বলেন, ‘কোনো আইনজীবীর সাবমিশন ছাড়া এডমিশনটা অস্বাভাবিক। এতে আদালতকে নিয়েও প্রশ্নের উদ্রেক হয়। আমরা মনে করছি অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জামিন শুনানি অস্বাভাবিকই হবে। এজন্য আমরা জামিন শুনানির আপত্তি জানিয়েছি।’

বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী শেরেনুর আলী বলেন, “আমরা বলেছি, এই মামলাটা এই আদালতে অস্বাভাবিকভাবে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বাদী পক্ষ জানি না। এ নিয়ে আজ শুনানি করতে চাই না।

“অন্যান্য মামলার মতো এই মামলার শুনানির তারিখ পরবর্তীতে দেয়ার জন্য আদালতকে বলেছি আমরা। কিন্তু আদালত আমাদের কথা শুনতে চাননি। আসামি পক্ষ শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য তোড়জোর করেছে। এ নিয়ে হট্টগোল হয়েছে। পরে ‘আদালত’ এজলাস থেকে নেমে যান।”

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বর্তমানে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি হিসেবে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মঙ্গলবার সকালে সিলেট কারাগার থেকে তাকে ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কেবিনে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাকে মেডিসিন বিভাগের অধীনে কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর বুকে ব্যথা রয়েছে। এছাড়া তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই। তার চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।’

সুনামগঞ্জ ৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনের চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নানকে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলেন। শনিবার বিকেলে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন:
এম এ মান্নানের জামিন শুনানি: আইনজীবীদের হট্টগোলে এজলাস ছাড়লেন বিচারক
ছয় মামলায় সাবের চৌধুরীর জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
কারাগার থেকে হাসপাতালে এম এ মান্নান
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three leaders of BNP were dismissed and acquitted

মামলা খারিজ, খালাস পেলেন বিএনপির তিন নেতা

মামলা খারিজ, খালাস পেলেন বিএনপির তিন নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও রুহুল কবির রিজভী। কোলাজ: নিউজবাংলা
উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় বুধবার ধার্য তারিখে বাদী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। বাদী এবি সিদ্দিক এ নিয়ে ২০ বার আদালতে অনুপস্থিত রয়েছেন। পরে আদালত মামলাটি খারিজ করে আসামিদের বেখসুর খালাস দেয়।

উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে খালাস দিয়েছে আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত বুধবার মামলাটি খারিজ করে তাদের খালাস দেয়।

এদিন মামলার ধার্য তারিখ ছিল। তবে এ নিয়ে মামলার বাদী এবি সিদ্দিক ২০ বার আদালতে অনুপস্থিত রয়েছেন। পরে আদালত মামলাটি গরহাজির দেখিয়ে খারিজ করে দেয় এবং আসামিদের বেখসুর খালাস দেয়।

দাঙ্গা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ এনে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২২ সালের ৯ জুন আদালত মামলাটি আমলে নেয়।

আরও পড়ুন:
বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‌ঊর্মির নামে মামলা, সমন
গাড়ি পোড়ানোর মামলা থেকে খালাস পেলেন ফখরুল, রিজভীসহ আটজন
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে দুই কমিটি

মন্তব্য

p
উপরে