বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব- একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৩ অক্টোবর। এ উপলক্ষে চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ ঘোষণা এবং ট্রেলার ও পোস্টার উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে এ উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়নে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এত খুশি যে, ১৩ই অক্টোবর এই ছবি সমগ্র বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এই ছবি শুধুমাত্র একটি সিনেমা নয়, এটি বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক। ‘মুজিব-দ্য মেকিং অব আ নেশন’, ‘মুজিব- একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে বাংলাদেশের ইতিহাস, অভ্যুদয়ের ইতিহাস আছে। কারণ এই বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র গঠিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক, চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বায়োপিক লাইন ডিরেক্টর সতীশ শর্মা অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন ও শিল্পীদের নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে পোস্টার উন্মোচনে অংশ নেন।
চলচ্চিত্র অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দেশের বাইরে থেকে এ উপলক্ষে পরিচালক শ্যাম বেনেগাল এবং বঙ্গবন্ধুর চরিত্রাভিনেতা আরিফিন শুভর পাঠানো ভিডিও বার্তা ও সিনেমাটির ট্রেলার দর্শকদের ছুঁয়ে যায়।
ড. হাছান বলেন, ‘মুজিব- একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি জাতির জন্য একটি দলিল। এটি শুধু সিনেমা নয়, এই ছবিটি জাতির ইতিহাসের একটি দলিল। বঙ্গবন্ধু কীভাবে একটি জাতির রূপকার হলেন, সেটিই এই ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে।
মন্ত্রী হাছান এ সময় বায়োপিকের পরিচালক শ্যাম বেনেগাল এবং ছবির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘গওহর রিজভী সাহেব, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এই ছবির নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সাজ্জাদ জহিরসহ বাংলাদেশ থেকে আরও অনেকেই যুক্ত ছিলেন। সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। শিল্পীরা প্রত্যেকেই অসাধারণ অভিনয় করেছেন। যাকে যে চরিত্র দেয়া হয়েছে ভালো অভিনয় করেছে।’
তথ্যমন্ত্রী জানান, ‘বেশ আগেই আমরা বায়োপিকের সেন্সর সার্টিফিকেট দিয়েছিলাম। খুব সহসা এটি ভারতে সেন্সর সার্টিফিকেটও পেতে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা প্রথমে বাংলাদেশে মুক্তি দিতে চাই, কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রূপকার, এই জাতির রূপকার, সে জন্য বাংলাদেশে মুক্তি দিতে চাই। পরে এটি ভারতবর্ষসহ পুরো পৃথিবীতে মুক্তি দেয়া হবে। আমি সবাইকে এই ছবি হলে গিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানাই।’
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি (Iwama Kiminori)।
রোববার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর দপ্তরে তাদের বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের পথচলায় জাপান অর্থনৈতিকভাবে, অবকাঠামোগতভাবে আমাদের যেভাবে সহায়তা করেছে, সে নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। দেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতে যেন আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারি, সে ব্যাপারে তার সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। আমি তাকে জানিয়েছি- আগামী নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা যে, কখনও কারও জন্য সমীচীন নয়, সেটি আমি তাকে বলেছি।
‘একইসঙ্গে দেশে যাতে কোনো রাজনৈতিক ভায়োলেন্স না হয়, যেটি ২০১৩-১৪-১৫ সালে হয়েছে এবং সময়ে সময়ে বিএনপি করে এবং এখনও করার চেষ্টা করছে, উস্কানি দিচ্ছে- এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচন জনগণ এবং অনেক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, সুন্দর ও সর্বমহলে কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, সেটি আমি তার সঙ্গে আলোচনায় বলেছি।’
‘সহিংসতা বরদাশত নয়’
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দেশে কেউ সহিংসতা করুক সেটি কখনও বরদাশত করব না। যে কেউ রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করতে পারে, সরকারের পদত্যাগও চাইতে পারে। কিন্তু তাই বলে দিনক্ষণ ঠিক করে ‘সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে’ বলা সমীচীন নয়, সেটি রাজনীতির ভাষা নয়।”
তিনি বলেন, ‘যে ভাষায় বিএনপি কথা বলছে, সেই ভাষা ইঙ্গিত দেয় যে, তারা দেশে সহিংসতা, নাশকতা করতে চায়। সেটি করতে কাউকে দেয়া হবে না। আমি আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে বলছি- আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। রাজপথে কীভাবে, কাকে মোকাবিলা করতে হয়, সেটি আমরা জানি।’
আরও পড়ুন:দ্বিতীয় সন্তানের বাবা-মা হলেন ভারতীয় পরিচালক-বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শুভশ্রী সন্তানের জন্ম দেন বলে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে।
চলতি বছরের জুন মাসে দ্বিতীয় সন্তান আসার সুখবর জানিয়েছিলেন রাজ এবং শুভশ্রী। তখনই চার মাস কেটে গিয়েছিল। সে সময় চুটিয়ে কাজও করছিলেন নায়িকা।
তার পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে তাকে। সে সময় ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর শুটিং করছিলেন তিনি। শুভশ্রী বরাবরই প্রকাশ্যে বলেছেন, তারা বরাবরই দুটি সন্তান চেয়ে এসেছেন।
রাজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আমাদের পরিবারে এক মুঠো মিষ্টি ভালবাসা এসেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের ছোট্ট রাজকন্যার জন্য শুধু ভালবাসা এবং আশীর্বাদ চাইছি।’
অন্যদিকে, রাজ সুখবর জানানোর কিছু ক্ষণ পরই শুভশ্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কন্যা সন্তানের নাম প্রকাশ করেন। দম্পতি সদ্যোজাতের নাম রেখেছেন ইয়ালিনি চক্রবর্তী।
ইনস্টাগ্রামে শুভশ্রী লিখেছেন, ‘ইয়ালিনি আমাদের পৃথিবীতে তোমাকে স্বাগত।’
রাজ-শুভশ্রীর ছেলের নাম ইউভান। আদ্যক্ষরে সাযুজ্য রেখেই কন্যার নামকরণ করেছেন তারা। দেবী সরস্বতীর অপর নাম ইয়ালিনি। রাজ-শুভশ্রী সুখবর জানাতেই সমাজমাধ্যমে দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীরা।
২০১৮ সালের মে মাসে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। তার পর করোনা পরিস্থিতির সময় প্রথম বার মা হওয়ার কথা ঘোষণা করেন শুভশ্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দ্বিতীয় বার মা হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে তা যে এমন সুখবরের পূর্বাভাস, তা অনেকেই আন্দাজ করেননি।
আরও পড়ুন:নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার লোক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির উদ্যোগে দেশব্যাপী চিরায়ত বাংলা নাটক মঞ্চায়ন কর্মসূচি উদযাপন করছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) থিয়েটার ক্লাব।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) আইইউবি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো মনসুর বয়াতি রচিত পালা নাটক ‘দেওয়ানা মদিনা’।
নাটকটির নির্দেশনায় মো. শামীম সাগর এবং সহ-নির্দেশনায় ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনায় ৬৪টি জেলা ও ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। দেওয়ানা মদিনা এই কর্মসুচির তৃতীয় এবং আইইউবি থিয়েটারের ২১তম প্রযোজনা।
দর্শক সারিতে উপস্থিত থেকে নাটকটি উপভোগ করেন আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান, বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের উপ-পরিচালক আলী আহমেদ মুকুল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল জাবির, আইইউবি থিয়েটারের সমন্বয়ক মমতাজ পারভীন এবং আইইউবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মনসুর বয়াতি রচিত ‘দেওয়ানা মদিনা’ পালাটি মৈমনসিংহ গীতিকা সংগ্রহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকা হিসেবে সমাদৃত। বানিয়াচঙ্গের দেওয়ান সোনাফরের পুত্র আলাল ও দুলালের বিচিত্র জীবনকাহিনী এবং দুলাল ও গৃহস্থ মদিনার প্রেমকাহিনী এই পালার বিষয়বস্তু।
নাটকটিতে অভিনয় করেন আইইউবির নাট্যকর্মী শিক্ষার্থী আনিকা বুশরা শশী, মো. বাসিতুল্লাহ খান, মো. তৌহিদুল ইসলাম অঙ্কুর, সানজিদা আক্তার মীম, আশরাফুল করিম চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মাহিন সিয়াম, মুবাল্লিক হোক মৃধা (আবিদ), সৌহার্দ্য পাল, সামিয়া রেজা মাইশা, আনিকা ফাইরোজ, মো. সৌমিক উদ্দিন মাহি, মোছা. সাদিয়া আফরিন অর্না, মুবাশশির আল জামী সিয়াম প্রমুখ।
সংগীত সহযোগিতায় ছিল ভিনস ব্যান্ড, জাহিদ হাসান, স্লাঘা অধিকারী, শরীফ মোহাম্মদ শাহজালাল পরান, এস এম শাকিল আমিন এবং আইইউবি মিউজিক ক্লাব।
ভারতীয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ের খবরের মধ্যেই এল আরেক সুসংবাদ। এবার গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন আরও এক জুটি। সামনের মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অভিনেতা সৌরভ দাস এবং অভিনেত্রী দর্শনা বণিক।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বলে মঙ্গলবার আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ে সারলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পিয়া চক্রবর্তী। আইনি বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের একাধিক ছবিও পোস্ট করেন পরমব্রত। তিনি জানান, অনুষ্ঠানে শুধু দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কখনও বড় করে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে যুগলের।
এই খুশির খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই রাতে জানা যায়, বিয়ে করছেন টলিউডের আরও এক জুটি সৌরভ দাস এবং দর্শনা বণিক।
সৌরভ এবং দর্শনার প্রেমের গুঞ্জন বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই। সম্প্রতি তারা যে আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছেন, সে খবরও হাওয়ায় ভাসছিল। কিন্তু তাদের হঠাৎ বিয়ের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে রীতিমতো চমকেই গিয়েছেন অনেকেই। কারণ, এর আগে কোনোদিনই প্রকাশ্যে সেভাবে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি দুজনেই।
‘মন্টু পাইলট’ খ্যাত সৌরভ ওটিটি-র ব্যস্ত অভিনেতা। বেশ কিছু জনপ্রিয় সিরিজ়ে তিনি অভিনয় করছেন। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘অন্তরমহল’।
অন্য দিকে দর্শনা ইতোমধ্যেই টলিউড থেকে বলিউড হয়ে দক্ষিণের বেশ কিছু সিনেমা করে ফেলেছেন। সিরিজ় থেকে সিনেমা-তার কাজের সংখ্যাও কম নয়। সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, তারা একসঙ্গে একটি সিরিজ়ে অভিনয়ও করবেন। তবে আপাতত দুজনে ব্যস্ত বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে।
প্রেমের সম্পর্কে বেশ কয়েকবারই জড়িয়েছেন ভারতীয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এবার আর প্রেমেই শেষ নয় ঠিক, প্রেম থেকে বিয়ে। হ্যাঁ, ব্যাচেলর ডিগ্রিটা হারিয়ে তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া ৪৩ বছর বয়সী পরমব্রত বেশ অনেক দিন ধরেই চুটিয়ে প্রেম করেছেন হবু স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে। অবশেষে সব গুঞ্জন দূরে সরিয়ে চার হাত এক হতে যাচ্ছে তাদের। এসবের মধ্যেও ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে পরমব্রত ও পিয়ার অতীত জীবন।
মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়ের সাবেক স্ত্রী। তাদের বিয়ে ভেঙে যায় ২০২১ সালে। বিয়ে ভাঙার পর দুজনেই যৌথভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সময়ই খবর রটেছিল, পরমব্রতের সঙ্গে পিয়া প্রেম করছেন বলেই নাকি অনুপমের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
অবশ্য সে কথা পরমব্রত নাকচ করে দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেছে, তারা শুধুই খুব ভালো বন্ধু। এই ধরনের আলোচনায় যে তিনি খুবই বিরক্ত, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তবে তার পর সময় অনেকটা পেরিয়েছে। এর পর প্রেম, এখন বিয়ে।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, পরমব্রতর জীবনে প্রেম এসেছে বারবার। অভিনেতার রঙিন জীবন নিয়ে একটা সময় কম চর্চা হয়নি। প্রেমময় জীবন নিয়ে ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকে বেশ খোলামেলা ছিলেন পরমব্রত। একটা সময় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন অভিনেতা। সিঙ্গেল মাদার স্বস্তিকার সঙ্গে তার প্রেম টলিপাড়ার মচমচে গসিপের কেন্দ্র ছিল। তবে বেশিদিন টেকেনি সম্পর্ক। ২০১০ সাল নাগাদ ভাঙন ধরে এই প্রেমের কাহিনিতে।
এরপর ইতিউতি পরমের সঙ্গে টলিপাড়ার বেশকিছু নায়িকার নাম জড়ালেও সেসব নিয়ে একদম সিরিয়াস ছিলেন না নায়ক। রাইমা সেনের সঙ্গে অনস্ক্রিনে পরমব্রতর কেমিস্ট্রি বরাবর চোখ টানে। অফ-স্ক্রিনেও নাকি একটা সময় জমে উঠেছিল তাদের রসায়ন। কিন্তু বেশিদূর গড়ায়নি সম্পর্ক।
পরে টলিউডের এক বিবাহিত অভিনেত্রীর সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল পরমব্রতর। তিনি অবশ্য স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে পরমব্রতর হাত ধরেননি প্রকাশ্যে।
এরপরই পরমব্রতর জীবনে এন্ট্রি নেন ইকা শাউট। এই ডাচ চিকিৎসকের সঙ্গে বিদেশে সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে আলাপ পরমব্রতর। দীর্ঘসময় লং ডিসট্যান্ট রিসেপশনশিপে ছিলেন তারা। পরে নিজের ক্যারিয়ার শিকেয় তুলে কলকাতায় চলে আসেন ইকা। এক সঙ্গে থাকতেন তারা।
২০১৯ সালে ইকার সঙ্গে পরমব্রতর বিয়ে নিয়ে কম জল্পনা শোনা যায়নি। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ট্র্যাক রেকর্ড অনুযায়ী, এটাই নাকি ছিল তার দীর্ঘস্থায়ী প্রেম। কোভিডের সময়ই পরমব্রতকে ছেড়ে নেদারল্যান্ডে ফেরেন ইকা। এই প্রেম কেন ভাঙল তা সবার অজানা।
এরপর করোনাকালে শুরু পরম-পিয়ার বন্ধুত্ব। কাজ করতে গিয়ে বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠতায় পরিণত হয়। আর এ পথে হেঁটেই পিয়ার টানে শেষমেশ টলিউডের ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’ তকমা ঝেড়ে ফেলছেন পরমব্রত।
আরও পড়ুন:অনেক দিন ধরেই প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। বিয়েটাও নাকি চুপিচুপি করে ফেলেছেন তারা। তবে এসব মিথ্য হলেও, একটা তথ্য এখন সুনিশ্চিত; সোমবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন ভারতীয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া চক্রবর্তী।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, তারা যে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করবেন, সে খবর হাওয়ায় বহু দিন ধরেই ভাসছিল। অবশেষে সেই আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়েছে এদিন সন্ধ্যায়। এই বিয়েতে খুব বেশিজন নেই বর-কনের নিমন্ত্রিতদের তালিকায়।
পরমব্রত এখন টলিউডের ব্যস্ততম অভিনেতাদের মধ্যে একজন। শুধু টলিউডে বললে ভুল হবে। কারণ, বাংলার পাশাপাশি তিনি হিন্দিতেও সমানতালে কাজ করে চলেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি পরিচালক-প্রযোজকও বটে। অন্যদিকে, পিয়া একজন মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী।
পরমব্রতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই সবার খুব আগ্রহ। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। কোনোদিনই খুব বেশি লুকোছাপা করেননি সে সব নিয়ে। শেষ তার বিদেশিনি প্রেমিকা ইকার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল দুজনের।
তবে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরও পরমব্রত তা নিয়ে খোলাখুলিই কথা বলেছিলেন। কিন্তু পিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি শুরু থেকেই সাবধানী। তার অবশ্য বিশেষ কারণও রয়েছে। পিয়া সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়ের সাবেক স্ত্রী। তাদের বিয়ে ভেঙে যায় ২০২১ সালে। বিয়ে ভাঙার পর দুজনেই যৌথভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সময়ই খবর রটেছিল, পরমব্রতের সঙ্গে পিয়া প্রেম করছেন বলেই নাকি অনুপমের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন পিয়া।
অবশ্য সে কথা সে সময় পরমব্রত নাকচ করে দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেছিলেন, তারা শুধুই খুব ভাল বন্ধু। এই ধরনের আলোচনায় যে তিনি খুবই বিরক্ত, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তবে তার পর সময় অনেকটা পেরিয়েছে। দুজনে যে সত্যিই প্রেম করছেন, সে কথা অনেক দিন ধরেই পরিষ্কার হচ্ছিল ধীরে ধীরে। যদিও তারা কোনো দিনই প্রকাশ্যে এই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি। ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যক্তিগতই রেখেছিলেন।
সম্পর্কের কথা যেহেতু খুব বেশি দিন আড়ালে রাখা যায় না, এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। পরমব্রত যে পিয়ার বাড়িতে যাতায়াত বাড়িয়েছেন, সে কথাও জানা গিয়েছিল।মাঝে পরমব্রত শুটিংয়ের জন্য লন্ডনে ছিলেন দীর্ঘ দিন। সে সময় পিয়াও গিয়েছিলেন দেখা করতে। কিছু দিন আগেই পিয়া এবং তার মায়ের সঙ্গে পরমব্রতকে পার্ক স্ট্রিটের এক রেস্তরাঁয়ও দেখা গিয়েছিল।
বহু দিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল, তারা এই নভেম্বরেই বিয়ে করছেন। পিয়ার বাড়ির লোকদের সঙ্গে পরমব্রতের ঘনিষ্ঠতা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। অবশেষে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ে করছেন দুজনে।
তবে খুব বড় করে বিয়ের আয়োজন করেননি তারা। খুবই কম সংখ্যক নিমন্ত্রিতদের নিয়ে মূলত পরিবার এবং একান্ত ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুর উপস্থিতিতে বিয়ে হবে দুজনের। টলিউ়ডের বিশেষ কাউকেই সেভাবে ডাকেননি তারা।
আরও পড়ুন:শৈশবে মাকে হারানোর পর নানাবাড়িতে বেড়ে ওঠেন পরীমনি। রাজধানীর বাসায় বর্ষীয়ান নানা শামসুল হক গাজীর সঙ্গেই থাকতেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা। নাতনির দুঃসময়ে ছায়া হয়ে থাকা সেই মানুষটি গত হয়েছেন বৃহস্পতিবার।
নানাকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান পরীমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন তার অনুভূতি। কালো পলিথিনে ঢাকা শামসুল হকের কবরের পাশে তোলা একাধিক ছবি শনিবার সকালে পোস্ট করে আবেগঘন ক্যাপশন দেন অভিনেত্রী।
পারিবারিক কবরস্থানটিতে তিনটি কবর রয়েছে জানিয়ে পরীমনি বলেন, ‘এই কবরস্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি। আর এই যে আমার জানের মানুষটার (নানা) কবর।
‘নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনোদিন। এই জীবনে আমার নানার মতন কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন, তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কী ছিল।’
নানা হারানোর শোক শক্তি দিয়েছে জানিয়ে পরীমনি বলেন, ‘আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিল আমার, কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বটগাছ করে দিয়ে গেছে। এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে, সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দেবেন, এটা আমার নানুর দোয়া।
‘কত ভাগ্য, আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানু ভাই, কত সান্ত্বনায় রেখে গেল আমাকে। জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর…।’
আরও পড়ুন:বেশ কিছুদিন প্রেমের পর গত বছর বলিউড তারকা রণবীর কাপুরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আরেক তারকা আলিয়া ভাট। তবে এখনই তাদের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক নিরন্তর।
আলিয়ার গলার আওয়াজ থেকে শুরু করে তার সাজগোজ- সব নিয়েই নাকি নিত্য খবরদারি করেন ঋষি-পুত্র। আলিয়াকে শাসন করা নিয়ে রণবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগও অনেক। তবে এসবের পরও রণবীর নাকি নিজেই আলিয়ার হাতে মার খাওয়ার ভয়ে থাকেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, বৃহস্পতিবার মু্ক্তি পেয়েছে ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার ট্রেলার। সেই ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানে এসে রণবীর জানান, অর্জুন তার ক্যারিয়ারের সবথেকে চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। আগে বহুবার বলেছেন, মেথড অ্যাক্টিংয়ে বিশ্বাসী তিনি। শুটিং চলাকালীন তাহলে কি রণবীর অর্জুনের চরিত্রের মধ্যেই থাকতেন? শুনেই সাফ মানা করে দিলেন রণবীর। কারণ, তা হলে নাকি আলিয়ার হাতে মার খেতে হত।
যে সময় ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার শুটিং করেছেন রণবীর, সেই সময় আলিয়া ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। সেই সময় যদি এমন একটা মানসিক বিকারগ্রস্থ চরিত্রের রেশ বাড়িতে নিয়ে যেতেন, সেটা তাদের আসন্ন সন্তানের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলত।
রণবীর বলেন, আমি কখনো কোনো চরিত্রকে নিজের সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে যাই না। কারণ, সেটা আমার আশেপাশের মানুষগুলোর প্রতি অবিচার করা হয়। আর যদি তা করতাম, তা হলে আমার বউ আমাকে মারত।
যদিও বৃহস্পতিবার ‘অ্যানিম্যাল’-এর ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পর থেকে নিজের উত্তেজনা ধরে রাখতে পারেননি আলিয়া। জানিয়েছেন, ট্রেলারটি নাকি ৭ হাজার বার দেখে ফেলেছেন ইতোমধ্যেই। এখন অপেক্ষা করছেন ১ ডিসেম্বরের।
মন্তব্য