প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে, যাতে নির্বাচনে এর ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে এখন অনেক অপপ্রচার হয়, যেটাকে মিসইনফরমেশন বা ডিজইনফরমেশন বলে। অনেক কিছু বানিয়েও প্রচার করা হতে পারে। সেগুলো আমরা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবো, যাতে নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে বলে উল্লেখ করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য তখনই হবে, যদি দায়িত্ব পালন করে মানুষকে দেখানো যায়। বাজারে পারসেপশন আছে- আমাদের ওপর আস্থা নেই, সরকারের ওপর আস্থা নেই। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না।
‘আমরা এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে চাই, আমাদের অধীন যে নির্বাচন হবে সেটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতাটা গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে দেখাতে চাই।’
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক ও সমালোচনা হতে পারে। অতীতেও হয়েছে। ৫০, ৬০, ৭০ বছরের ইতিহাস ঘাঁটলেও বিতর্ক পাওয়া যাবে। এমনকি ব্রিটিশ আমলের নির্বাচন নিয়েও কিছু কিছু বিতর্ক হয়েছে। তখন হয়তো মাত্রাটা কম ছিল।’
ইউএনওদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হবে, সেটি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করব। জানার চেষ্টা করব আপনারা কে কীভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা তথ্য নেব।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নির্বাচন পরিচালনা হবে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ হতে হবে।
‘আরেকটি বিষয়, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে। তা না হলে সেই দায় আপনাদের ওপর বর্তাবে। পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নেবেন এবং জনগণকেও উদ্বুদ্ধ করবেন, তারা যেন কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ আছে। অনেকে আবার এজেন্ট না দিয়েও অভিযোগ করেন। কাজেই প্রতিটি দল থেকে এজেন্ট দিয়েছে কি না সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এজেন্ট শক্তিশালী হলে কারচুপির আশঙ্কা অনেক কমে যাবে।’
দু’দিনের আবাসিক এই কর্মশালায় ৫০ জন ইউএনও এবং ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা অংশ নেন।
কর্মশালায় ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর, ইটিআই মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। নির্বাচনী হলফনামায় পেশা ক্রিকেটার উল্লেখ করে তিনি বার্ষিক গড় আয় দেখিয়েছেন ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ২৬২ টাকা। জামানতের বিপরীতে সাকিব ব্যাংক ঋণ দেখিয়েছেন ৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৬১ হাজার ৩৮২ টাকা।
সোমবার সাকিবের নির্বাচনী এলাকা মাগুরার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হলফনামায় বার্ষিক আয়, অস্থাবর সম্পত্তি, ঋণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাসহ বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করেছেন।
হলফনামায় দেখা গেছে, সাকিব আল হাসানের কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংক ঋণ দেখিয়েছেন ১১ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৬ টাকা। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ দেখিয়েছেন ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭৪ টাকা। আয় থেকে ব্যাংক আমানত দেখিয়েছেন ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৩ টাকা। হলফনামায় সাকিব আল হাসান স্বর্ণ দেখিয়েছেন ২৫ ভরি, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী দেখিয়েছেন ১৩ লাখ টাকা।
শুধু ইস্টার্ন ব্যাংকেই তার ১ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার ৩৬৩ টাকা ঋণ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।
শিক্ষাগত যোগ্যতায় সাবিক জানিয়েছেন তিনি বিবিএ পাস করেছেন। আর পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ক্রিকেটার।
অর্থের বিনিময়ে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ করেছেন খোদ জেলা বিএনপি সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৮ সদস্য বিশিষ্ট শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কোনো রকম আগাম ঘোষণা ছাড়াই জেলা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্রদলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
জেলা ছাত্রদলের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৩ ডিসেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৮ সদস্য বিশিষ্ট শেরপুর জেলা ছাত্রদলের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে জেলা ছাত্রদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. নিয়ামুল হাসান আনন্দকে সভাপতি, মো. হাশেম আহম্মেদ সিদ্দিকীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মো. জাহিদ হাসান টিটুকে সহ-সভাপতি, মো. নাঈম হাসান উজ্জলকে সাধারণ সম্পাদক, মির্জা ইমরুল কায়েস রিয়াদকে সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মো. সাকিবুল হাসান তারা ও মো. মনির হোসেন শান্তকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং মো. জাকির হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ফেসবুকে এর পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। পরে ওই কমিটি গঠনের প্রতিবাদে সন্ধ্যায় ফেসবুকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন এবং গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে শওকত বলেন, ‘২০১৮ সালের ১২ জুলাই জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২৭৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর থেকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সাংগঠনিক দায়িত্ব ও কেন্দ্রঘোষিত সকল কর্মসূচি পালন করে আসছি। কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর সকল থানা, শহর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও কলেজ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলেজের সঙ্গে সঙ্গে ক্লাস কমিটিও করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশে নেতা-কর্মী নিয়ে অংশগ্রহণ করেছি, আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছি, আহত হয়েছি, মামলাও খেয়েছি। ঢাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে মিথ্যা দুটি মামলা দেয়া হয়েছে আমার নামে। ওইসব মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে থেকেও হরতাল-অবরোধ সফল করতে সশরীরে এবং নেতা-কর্মীদের দিয়ে প্রতিনিয়ত মিছিল, মশাল মিছিলে অংশগ্রহণ করছি। এরপরও শেরপুর জেলা ছাত্রদলের মতো একটি শক্তিশালী ইউনিটকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেয়ার জন্যই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত ৮ সদস্যবিশিষ্ট জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন কমিটি গঠন সম্পর্কে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেলসহ আমাকে বিন্দুমাত্র অবগত করা হয়নি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর একক সিদ্ধান্তে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতির নেতৃত্বে আমরা যখন আন্দোলনে ব্যস্ত, তখন সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীকে একদিনও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। সকল পক্ষের নেতাদেরকে নিয়ে পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করলে এত মতবিরোধ থাকত না।’
দলের স্বার্থে জেলা বিএনপি ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতামত নিয়ে ত্যাগী, পরিশ্রমী ও দক্ষ নেতৃত্ব দিয়ে জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠনে ওই বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, নতুন কমিটি গঠন করে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরির সময় এখন নয়। বরং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। কমিটি গঠন করতে হলে আন্দোলনের পর নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠন করা যেত।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, ‘এই কমিটি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আন্দোলনের সময়ে কমিটি দেয়াটা একেবারেই অনুচিত হয়েছে।
‘কমিটির সভাপতি শওকত শতভাগ অ্যাকটিভ একটা ছেলে। সব আন্দোলনেই তার সক্রিয় ভূমিকা থাকে। কোনো কারণ ছাড়াই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি ছাড়া আর কারোরই ছাত্রদলের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক যে হয়েছে, তাকে কেউই ভালো করে চেনে না। আমার মনে হয়, কমিটি সেন্ট্রাল থেকে টাকা দিয়ে করা হয়েছে। এই কমিটি থাকলে শেরপুরের আন্দোলন ব্যাহত হবে। সুতরাং এই কমিটি অবিলম্বে আমরা স্থগিত করা প্রয়োজন।’
আত্মগোপনে থাকায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এছাড়া নতুন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে যেসব প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তারা মঙ্গলবার থেকে আপিল আবেদন করতে পারবেন।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সকাল থেকে আপিল আবেদন গ্রহণ শুরু হবে বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে (আপিলের মূল কাগজপত্র ১ সেট ও ছায়ালিপি ৬ সেটসহ) আপিল দায়ের করতে পারবেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন ভবনে দেশের ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি বুথ করা হয়েছে। এসব বুথে ১০ জন কর্মকর্তার কাছে আপিল আবেদন জমা দিতে হবে। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১০০টি করে আপিল আবেদন ক্রমানুসারে নিষ্পত্তি করা হবে।
ইসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আপিল আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের ফলাফল মনিটরে প্রদর্শন, আপিলের পর রায়ের পিডিএফ কপি ও আপিলের সিদ্ধান্ত রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের ইমেইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে এবং নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া আপিল রায়ের অনুলিপি শিডিউল মোতাবেক নির্বাচন ভবনের অভ্যর্থনা ডেস্ক থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির আবেদনের ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে (উল্লেখ্য নামঞ্জুর আপিলের রায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদান করা হবে)।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে ২ হাজার ৭১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহে বিএনপির ৮৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওই মামলায় তিনজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারবকৃতরা হলেন- ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ৩০ বছর বয়সী খাইরুল আলম শাকিল, মহানগর ছাত্রদল নেতা ২৪ ৩০ বছর বয়সী আকরাম হোসেন, উত্তর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ৩০ ৩০ বছর বয়সী শুভ চন্দ্র দেবনাথ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর শম্ভুগঞ্জের রঘুরামপুর বরাইকান্দি এলাকায় বিএনপি-ছাত্রদলের একদল কর্মী অবস্থান নিয়ে নাশকতার চেষ্টা শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নাশকতাকারীরা গাড়িতে ভাঙচুর ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পেট্রোল বোমাসহ ছাত্রদলের ওই তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অফিসার্স ক্লাবের টেনিস কোর্টে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কয়েক মাস আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নতুন টেনিস ক্লাব নির্মাণ ও উদ্বোধনের পর, অফিসার্স ক্লাবের টেনিস কোর্টে খেলা খুব বেশি হতো না। বিস্ফোরণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ককটেল বিস্ফোরণের পর ওই এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই শহরের শান্তিমোড় এলাকায় আরেও দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘অফিসার্স ক্লাবের টেনিস কোর্টে সন্ধ্যার দিকে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আমরা কাজ করছি।’
তরুণ রাজনীতিবিদ ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘পশ্চিমারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র-রাজনীতি-নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা বলে, কিন্তু এ দেশে বিএনপি আগুন জ্বালাচ্ছে, মানুষ পোড়াচ্ছে। তবুও বিএনপিকে তারা সন্ত্রাসী দল বলবে না।’
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত লেটস টক অনুষ্ঠানের ৫১তম পর্বে সোমবার এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে তারা আরও উৎসাহ দিচ্ছে, বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন রাষ্ট্রদূত। গত তিন নির্বাচনে পর্যালোচনা করে দেখেছি, এদেরকে এভাবে যানবাহনে আগুন দিতে একটি শ্রেণি উৎসাহ দিচ্ছে। বিশেষত ওয়েস্টার্ন রাষ্ট্রদূত, সেখান থেকে।
‘ঠিক নির্বাচনের আগে তারা অতিরিক্ত কথা বলা শুরু করে। এই যে জামায়াত একটি যুদ্ধাপরাধী দল, জঙ্গি দল। তাদেরকে জঙ্গি-সন্ত্রাসী বলবে না। এ ক্ষেত্রে মানবাধিকারের কোনো চিহ্ন নেই।’
জয় বলেন, ‘আমি তরুণদের বলব, তারা যেন বিদেশিদের থেকে সাবধান থাকে। তারা চায় বাংলাদেশ যেন গরিব দেশ হয়ে থাকে। তাদের হুকুম মতো চলে।’
জ্বালাও-পোড়াও বন্ধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে যদি আমরা জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করতে চাই তাহলে সহজ সমাধান হলো, বিএনপি-জামায়াতকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা। সেটা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই আরেকটা উপায় আছে। সেটা হলো নৌকাকে ভোট দেয়া।
‘জামায়াতের ভোটার যত কমতে থাকবে, আমাদের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস তত কমতে থাকবে। আপনারা যদি প্রতি নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দেন তাহলে এখন যেমন জামায়াত বলে কিছু নাই, ভবিষ্যতে বিএনপি বলেও কিছু থাকবে না। আর সেই দিন বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।’
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আপনারা যে অনেক সমালোচনা শোনেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে, যেটা এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে পরিণত হয়েছে। এ আইন করা হয়েছে যেন ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করা না হয়। যদি করা হয় সেটার সাজা জেল। এ ক্ষেত্রে ফ্রিডম অফ স্পিচে কোনো বাধা রাখি নাই।’
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের শরিক নেতাদের বৈঠক শেষ হয়েছে, তবে বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মূল শরিক আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে বিফ্রিং করবেন বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে।
গণভবনে সোমবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে জোটপ্রধান শেখ হাসিনাকে এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় অভিনন্দন জানান শরিক দলের শীর্ষ নেতারা।
বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেন। সভার শুরুতে এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ১৪ দলের নেতারা।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় নেতৃত্ব এবং সোচ্চার কণ্ঠস্বরের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পান প্রধানমন্ত্রী। তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থা। রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে দুবাইতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-কপ ২৮-এর সাইড-লাইনে একটি উচ্চস্তরের প্যানেল অধিবেশনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ডেনিস ফ্রান্সিস এবং আইওএমের মহাপরিচালক অ্যামি পোপের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
১৪ দলের সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এর মুখপাত্র এবং সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টি তথা জেপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদৎ হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, জাতীয় পার্টি জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য