× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Refusal of medical applications abroad is political vendetta
google_news print-icon

‘বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নাকচ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’

বিদেশে-চিকিৎসার-আবেদন-নাকচ-রাজনৈতিক-প্রতিহিংসা
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আজকের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইনের শাসন নেই। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় স্পষ্ঠভাবে বলা আছে সরকার চাইলেই তাকে মুক্তি দিতে পারে।’

চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাইয়ের করা আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের সাড়া না দেয়াকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

রোববার গণমাধ্যমে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় এমন মন্তব্য করেছেন বেগম জিয়ার এ আইনজীবী।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আজকের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইনের শাসন নেই। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় স্পষ্ঠভাবে বলা আছে সরকার চাইলেই তাকে মুক্তি দিতে পারে।’

এর আগে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী জানান, আইনের ৪০১ ধারায় কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আর আইনে থাকে না।

এ বিষয়ে কায়সার কামাল বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করানোর নজির আছে। কিন্তু আমরা দেখলাম, রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

এ সিদ্ধান্তকে ‘জাতির প্রতি একটি নিকৃষ্টতম প্রতারণা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী পাবলিক স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছিলেন, যদি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, সেটা সুবিবেচনা করা হবে। তার এই পাবলিক স্টেটমেন্টের প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদনটি আইনগতভাবে বিবেচনা না করে রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। আজকের এ সিদ্ধান্তের মধ্যে আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।’

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি ছিলেন। এরমধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আবেদনে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এরপর খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় যান। সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের মেয়াদ কয়েকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর মেয়াদ বাড়ানো হয়।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
155 people appealed on the third day to return the candidature

প্রার্থিতা ফেরাতে তৃতীয় দিনে ১৫৫ জনের আপিল

প্রার্থিতা ফেরাতে তৃতীয় দিনে ১৫৫ জনের আপিল নির্বাচন কমিশন ভবন। ফাইল ছবি
ইসি জাহাংগীর আলম বলেন, ‘বাতিল হওয়া ৭৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম দিন আপিল করেছিলেন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন করেন ১৪১ জন আর তৃতীয় দিনে করেছেন ১৫৫ জন। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত আপিল করেছেন ৩৩৮ জন।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার ইসিতে আপিল করেছেন ১৫৫ জন প্রার্থী। এ নিয়ে গত তিন দিনে মোট আপিলের সংখ্যা ৩৩৮ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব ও মুখপাত্র মো. জাহাংগীর আলম।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাতিল হওয়া ৭৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম দিন আপিল করেছিলেন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন করেন ১৪১ জন আর তৃতীয় দিনে করেছেন ১৫৫ জন। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত আপিল করেছেন ৩৩৮ জন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ৩৩৮ জন থানার ওসি বদলিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। একইসঙ্গে ইউওনদের বদলির ক্ষেত্রে তিন ধাপে প্রস্তাব এসেছিল; প্রথম ধাপে ৪৭ জন, দ্বিতীয় ধাপে ১১০ জন এবং তৃতীয় ধাপে ৪৮ জন। মোট ২০৫ জনের বদলির প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন সম্মতি দিয়েছে।’

এছাড়া ৪০তম বিসিএস থেকে উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসার হিসেবে নন ক্যাডার ৮৩ জনকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ প্রদান করেছে। তারা ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে যোগদান করবেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNPE is the countrys first kings party Information Minister

বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি: নিউজবাংলা
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশজুড়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে যে অগ্নিসন্ত্রাস পরিচালনা করা হচ্ছে, অনেক মানুষ এই অগ্নিসন্ত্রাসের বলি হয়েছে। নাগরিক সমাজ বা বুদ্ধিজীবী বলে যারা পরিচিত তারা এ নিয়ে নিশ্চুপ। এরা সুবিধাবাদী এবং এদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে।’

দেশের সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি। কারণ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সরকার গঠন করেছিলেন। তারপর তিনি সরকারের ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন।’

হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাজনীতিতে নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নাগরিক সমাজ সময়ে সময়ে যেসব কথাবার্তা বলে সেগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখি। কিন্তু দেশজুড়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে যে অগ্নিসন্ত্রাস পরিচালনা করা হচ্ছে, অনেক মানুষ এই অগ্নিসন্ত্রাসের বলি হয়েছে, সেই আওয়াজটা সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক সমাজ এবং নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আসা প্রয়োজন। কিন্তু নাগরিক সমাজের কোনো বক্তব্য-বিবৃতি নেই। এটি খুবই দুঃখজনক।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি, নাগরিক সমাজ বা বুদ্ধিজীবী বলে যারা পরিচিত তারা সময়ে সময়ে বিবৃতি দেন আর এখন নিশ্চুপ, তাদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এরা সুবিধাবাদী এবং এদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে।’

‘আওয়ামী লীগ দল ভাগানোর রাজনীতি করছে’- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নেতারা বিএনপি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন- এই দলটা কেন করেন, যে দল আপনাদেরকে সংসদ নির্বাচন, উপজেলা বা জেলা পরিষদ নির্বাচন তো দূরের কথা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও করতে দেয় না?’

তিনি বলেন, ‘এক সময় রিজভী সাহেবরা দেখবেন যে ওনারা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ নেই, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। কারণ বিএনপির এই অপরাজনীতির সঙ্গে দলটির নেতারাই একমত নন। রিজভী সাহেবের মতো কিছু মানুষ আছেন- ইয়েস স্যার, হ্যাঁ স্যার, জি স্যার। তারাই তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে এই অগ্নিসন্ত্রাসের আহ্বান জানাচ্ছেন। এই অপরাজনীতি থেকে তাদের বের হয়ে আসা প্রয়োজন।’

বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না- এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি দল নির্বাচনে না এলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না এমন তো সংবিধানে লেখা নেই। পৃথিবীর কোনো আইনেও লেখা নেই। বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে যেখানে বহু দল অংশ নেয়নি। যেমন ১৯৭০ এর নির্বাচনেও অনেক বড় নেতার নেতৃত্বাধীন দল অংশগ্রহণ করেনি। কিন্তু মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিলো এবং সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’

‘এবার অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পরও প্রতি আসনে প্রায় ৭ জন করে প্রার্থী আছেন। গ্রামে-গঞ্জে নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। সুতরাং দেখতে পাবেন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।’

আরও পড়ুন:
পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
আমরা চাই বিএনপি টেরোরিস্ট কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসুক: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি দেশের মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
আউটসোর্সিং করে নেশাখোরদের হাতে আন্দোলন তুলে দিয়েছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী
আগুন সন্ত্রাসী নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Barrister Suman responded to the shock
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন

শোকজের জবাব দিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

শোকজের জবাব দিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন শোকজের জবাব দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। ছবি: নিউজবাংলা
সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘পথসভার মাধ্যমে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আর যেহেতু ওখানে কোনো কর্মসূচি ছিল না, তাই পুলিশকে জানানো হয়নি।’

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুসন্ধান কমিটির শোকজের জবাব দিয়েছেন আলোচিত আইনজীবী স্বতন্ত্রপ্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে তিনি লিখিত ব্যাখ্যা দেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজনীতিবিদ হিসেবে বা একজন প্রার্থী হিসেবে আমার আত্মপ্রকাশ মাত্র দু’সপ্তাহের, কিন্তু এর আগেই একজন ফুটবলার হিসেবে বা ফেসবুকের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে আমি যেখানেই দাঁড়াই, সেখানেই কিছু মানুষ এসে যায়। পথসভার মাধ্যমে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আর যেহেতু ওখানে কোনো কর্মসূচি ছিল না, তাই পুলিশকে জানানো হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আইনের মানুষ হিসেবে আমার সবসময়ই লক্ষ্য থাকে, যেন কোনো বিধি লঙ্ঘিত না হয়। আমি আমার ব্যাখ্যা দিয়েছি, এখন বাকিটা আদালতের বিষয়।’

গত ৪ ডিসেম্বর নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন ওই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হবিগঞ্জ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল।

নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির পত্রে বলা হয়, গত ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চুনারুঘাট উপজেলার আসামপাড়া বাজারে এক নির্বাচনি জনসভা করেন ব্যারিস্টার সুমন। প্রথমত, এটি একটি জনাকীর্ণ বাজার। দ্বিতীয়ত, উক্ত নির্বাচনি সমাবেশের জন্য বাজারের তিন রাস্তার মোড়সহ বাজারের ওপর দিয়ে চলাচলকারী প্রধান তিনটি সড়ক বন্ধ করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়। তৃতীয়ত, উক্ত নির্বাচনি সমাবেশের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি। ফলে, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৬ (খ, গ, ঘ) ভঙ্গ করা হয়েছে বলে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

৭ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনকে এই কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন:
দেড় কোটি ভোট পাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী ট্রাম্পের
নির্বাচন কেন্দ্রে দায়িত্বের প্রলোভন দেখিয়ে ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণা
সমাবেশে বন্দুক প্রদর্শনের ঘটনায় সাংবাদিকদের ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হুমকি, ভিডিও ভাইরাল
হেলিকপ্টারে চড়ে নির্বাচনি সভায় এমপি প্রার্থী, গুনতে হলো জরিমানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bahauddin Nashims discussion with the people of Dhaka 8 Constituency

ঢাকা-৮ আসনে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় বাহাউদ্দিন নাছিমের

ঢাকা-৮ আসনে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় বাহাউদ্দিন নাছিমের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার স্থানীয় নির্বাচনি কার্যালয় পরিদর্শন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ছবি: নিউজবাংলা
নিজের সম্পর্কে নাছিম বলেন, ‘আমি রাজনীতির মানুষ। আমি ছোট থেকেই মাঠে-ময়দানে রাজনীতির মাধ্যমে বেড়ে উঠেছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে চলেছি। আমার কাছে মানুষের মূল্য অনেক বেশি। আমি কখনও কোনো মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করিনি ও বিভেদ সৃষ্টি পছন্দ করি না।’

রাজধানীর শান্তিনগর, শাহজাহানপুর ও আরামবাগের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার এসব এলাকায় গিয়ে তিনি স্থানীয় নির্বাচনি কার্যালয় পরিদর্শন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

ওই সময় নাছিম বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে, আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। যারা আমাদের ক্ষতি করতে চাইবে আমরা তাদের প্রতিহত করব।

‘৭ জানুয়ারির নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। এই সন্ত্রাসীদের আমাদের রুখতে হবে।’

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রবিন্দু হলো ঢাকা-৮ আসন। নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনের মেয়রের সাথে সমন্বয় করে আপনাদের জন্য কাজ করব। সব সমস্যা দূর করে ঢাকা-৮কে স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল তৈরি করব।’

নিজের সম্পর্কে নাছিম বলেন, ‘আমি রাজনীতির মানুষ। আমি ছোট থেকেই মাঠে-ময়দানে রাজনীতির মাধ্যমে বেড়ে উঠেছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে চলেছি। আমার কাছে মানুষের মূল্য অনেক বেশি। আমি কখনও কোনো মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করিনি ও বিভেদ সৃষ্টি পছন্দ করি না।

‘যে মানুষ যে পেশারই হোক, আমার কাছে সকলেই সমান এবং আমি সবাইকে শ্রদ্ধা করি, তবে যারা অসৎ লোক, মিথ্যা কথা বলে ও মানুষের ক্ষতি করে, আমি তাদের পছন্দ করি না।’

মতবিনিময় সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওলাদ হোসেন, ডা. দিলীপ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক সাঈদ, কেন্দ্রীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিজান, শাহজাহানপুর থানা সভাপতি দিপন আলী খান, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মনিরসহ শান্তিনগর, শাহজাহানপুর ও আরামবাগের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
গুলশানে গোপনে বৈঠক করল আওয়ামী লীগ ও জাপা
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হুমকি, ভিডিও ভাইরাল
নৌকা না পাওয়ায় ক্ষোভ, এমপির সমর্থকদের হামলায় আহত ৩
‘৯ হাজার ভোট পিটাইয়া দিবো’, ভিডিও ভাইরাল
জাপার সঙ্গে আলোচনা করে ১৪ দলের আসন বণ্টন: আমু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Famine will result if garment exports are disrupted Rizvi

পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে: রিজভী

পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে: রিজভী পোশাক কারখানায় কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক। ফাইল ছবি
রিজভী বলেন, ‘ভোটারবিহীন গণবিরোধী সরকার বাংলাদেশকে উপসংহারহীন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে। সমস্ত অর্থনৈতিক সেক্টর ধ্বংসের পর এবার তাদের কুনজর পড়েছে বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্পের দিকে। সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে পোশাক শিল্প ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। এমনিতেই শেখ হাসিনার আত্মীয়স্বজন ও দলের লোকরাও এত টাকা বিদেশে পাচার করেছে যে, তাদের ১৪ জেনারেশন বসে বসে খেতে পারবে।’

সরকার পোশাক শিল্পের ধ্বংস ডেকে আনছে অভিযোগ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে।

সর্বাত্মক অবরোধের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “ভোটারবিহীন গণবিরোধী সরকার বাংলাদেশকে উপসংহারহীন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে। সমস্ত অর্থনৈতিক সেক্টর ধ্বংসের পর এবার তাদের কুনজর পড়েছে বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্পের দিকে। সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে পোশাক শিল্প ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। এমনিতেই শেখ হাসিনার আত্মীয়স্বজন ও দলের লোকরাও এত টাকা বিদেশে পাচার করেছে যে, তাদের ১৪ জেনারেশন বসে বসে খেতে পারবে।

“ক্রেতাদের মতামত উপেক্ষা করে সরকার সমর্থক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী শোষণ নীতির পক্ষে সরকারের অবস্থান, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি দমনে হত্যা, নিষ্পেষণ, অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত এবং প্রতিবেশী দেশের স্বার্থে এই সর্ববৃহৎ শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেয়া হয়েছে। শ্রম অধিকার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন শ্রমনীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রায় অবধারিত বলে আশঙ্কা করছেন মালিকরা। গতকাল পোশাক খাতে আতঙ্কের বিষয়টি মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আসলে বিদেশিরা পণ্য নেবে না। ইতিমধ্যে পণ্যের আদেশদাতারা এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছেন ঋণপত্র খোলার সময়। এমনকি পণ্য জাহাজীকরণের পর নিষেধাজ্ঞা আসলেও পণ্য নেবে না তারা।”

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে এ খাত ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ব্যবসা হারিয়েছে। পোশাক শিল্পের মালিকদের ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে উদ্ভট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বালখিল্য প্রদর্শন করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বললেই পোশাক রপ্তানি বন্ধ হবে না। নিষেধাজ্ঞা দিলে কিছুই হবে না। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলে আমরাও দেব।’ এমন পরিস্থিতির মধ্যে লক্ষ লক্ষ গরিবের রুটি রুজির একমাত্র কর্মক্ষেত্র গার্মেন্টস শিল্পের ধ্বংস ডেকে আনছে গণবিচ্ছিন্ন নিশিরাতের সরকার।

“কারণ দেশের মোট পোশাক রপ্তানির ৮২ শতাংশ যায় ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোয়। এসব দেশে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কমে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। মানুষের হাতে ভিক্ষার ঝুলি তুলে দিতে পারবেন শেখ হাসিনা। জনগণ বিশ্বাস করে, রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা এখন অন্য দেশের হাতে তুলে দিয়ে অবৈধ ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি চায় অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

আরও পড়ুন:
বিএনপি নেতা-কর্মীরা দেশছাড়া উদ্বাস্তুর মতো: রিজভী
আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশিদের বিপক্ষে চলে গেছে ভারত: রিজভী
১৫ বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজানো হয়েছে দলীয় চেতনায়: রিজভী
‘কিংস পার্টি’ দিয়ে নির্বাচন করতে মরিয়া সরকার: রিজভী
অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: বিএনপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Russia will do everything against US sanctions in Bangladesh

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাশিয়া সবকিছু করবে: রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাশিয়া সবকিছু করবে: রাষ্ট্রদূত জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার ‘টক উইথ রাশিয়ান অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মন্টিটস্কি। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধির সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখানে আবারও ডাবল স্ট্যান্ডার্ড স্পষ্ট। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহুবার বলেছেন যে, তার (জাতিসংঘের প্রতিনিধি) নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। কারণ তিনি কেবল যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য নয়, বিশ্বের সব দেশের জন্য কাজ করেন।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাশিয়া অবস্থান নেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মন্টিটস্কি। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোর অবৈধ নিষেধাজ্ঞাকে রাশিয়া স্বীকৃতি দেয় না।’

জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার ‘টক উইথ রাশিয়ান অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বিশ্ব যদি বাংলাদেশে আগামীতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে রাশিয়া কি ১৯৭১ সালের মতো বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো বেআইনি পদক্ষেপ যেমন নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ তাহলে নেয়া হয় রাশিয়া সবকিছুই করবে।’

পশ্চিমা বিশ্বের পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশ কোনো আর্থিক সংকটে পড়লে রাশিয়া কীভাবে সাহায্য করবে জানতে চাইলে মনটিটস্কি বলেন, ‘যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে আলোচনা করা হবে। আপনার দেশকে সহায়তা করার জন্য রাশিয়ান ফেডারেশন বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কী ধরনের সহায়তা দেয়া হবে তা নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

‘রাশিয়া পশ্চিমা বা অন্য কোনো দেশের অবৈধ নিষেধাজ্ঞাকে স্বীকৃতি দেয় না এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলে মস্কো আলোচনার পর জবাব দেবে।’

আলেকজান্ডার মনটিটস্কি বলেন, ‘আমরা শুধু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বা জাতিসংঘের সংস্থাগুলো আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে স্বীকৃতি দিই।’

যুক্তরাষ্ট্র বা এর মিত্ররা কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে রাশিয়া বাংলাদেশের জন্য কী করবে- এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানি না। আশা করি এমন কিছু ঘটবে না। যদি ঘটে, তাহলে কী করতে হবে আমরা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

পশ্চিমা বিশ্বের পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশ কোনো আর্থিক সংকটে পড়লে রাশিয়া কিভাবে সাহায্য করবে জানতে চাইলে মনটিটস্কি বলেন, ‘কোনো সমস্যা দেখা দিলে আলোচনা করা হবে। আপনার দেশকে সহায়তা করার জন্য রাশিয়ান ফেডারেশন বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কী ধরনের সহায়তা দেয়া হবে তা নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধির সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখানে আবারও ডাবল স্ট্যান্ডার্ড স্পষ্ট। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহুবার বলেছেন যে, তার (জাতিসংঘের প্রতিনিধি) নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। কারণ তিনি কেবল যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য নয়, বিশ্বের সব দেশের জন্য কাজ করেন।

‘অথচ তার বিবৃতিতে নিরপেক্ষতা নেই। জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বক্তব্যও একই। তাদের অনেকেই পশ্চিমা দেশের। তারা যখন জাতিসংঘে কাজ শুরু করেছিলেন, তখন তারা আমেরিকার পাসপোর্ট পেয়েছেন।’

রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘তারা আপনার মূল্যবোধ সংরক্ষণ বা রক্ষা করেন না; তারা পশ্চিমা দেশগুলোর প্রচারিত মূল্যবোধকে রক্ষা করেন।’

রাষ্ট্রদূত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিক্ষামূলক ও দক্ষ শ্রমিক অভিবাসন, প্রযুক্তি স্থানান্তর, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, ফিলিস্তিন সংকট এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়েও কথা বলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The issue of seat sharing did not come up in the meeting with Japa Quader

জাপার সঙ্গে বৈঠকে আসন বণ্টন প্রসঙ্গ ওঠেনি: কাদের

জাপার সঙ্গে বৈঠকে আসন বণ্টন প্রসঙ্গ ওঠেনি: কাদের প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলীয় নেতারা। ছবি: নিউজবাংলা
কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে কারো কোনো আপত্তি নেই। নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ডকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে।

রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টির সঙ্গে হওয়া বুধবারের বৈঠকে আসন বণ্টন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে বুধবার রাতে গুলশানে ওই বৈঠক হয়েছে দুই দলের। এ বিষয়ে তেমন একটা তথ্য দেয়নি কোনো পক্ষই।

বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদেরের কথাতে আসে ওই প্রসঙ্গ। সেখানে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো লুকোচুরি করছে না। জাপার সঙ্গে বৈঠকে আসন বণ্টনের প্রসঙ্গ আসেনি, আলোচনা হয়েছে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা-গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচনবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।

কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে কারো কোনো আপত্তি নেই। নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ডকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের আলোচনা চলছে। যার মূল উদ্দেশ্য নির্বাচনবিরোধী অপরাজনীতিকে প্রতিহত করা।

তিনি বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি ততই নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের নাশাকতার মাত্রা আরো বিস্তৃত হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার ভয়াবহ যে চিত্র তা রেকর্ড স্থাপন করছে। বুধবর পর্যন্ত ৬০০ গাড়ি ভাঙচুর করেছে, ১০টি রেলে আগুন দিয়েছে।

পোশাকখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নতুন শর্ত প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বন্ধু দেশগুলো বাংলাদেশের বিষয়ে চরম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর পক্ষপাতী নয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কিভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।

তারপরও যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা দিবে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কোনো পণ্য নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম প্রমুখ।

মন্তব্য

p
উপরে