× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Meteorological office said when the rain will come
google_news print-icon

গরম কমার বৃষ্টি আসবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

গরম-কমার-বৃষ্টি-আসবে-কবে-জানাল-আবহাওয়া-অফিস
ফাইল ছবি
গরম নিয়ে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে ঢাকায় দুদিন টানা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রাজধানীর তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহ ও ভ্যাপসা গরমে জনজীবন বিপর্যন্ত। শরতকালে যেখানে হুটহাট বৃষ্টির কারণে পরিবেশে শীতলতা বজায় থাকার কথা, সে সময় এমন গরমে অস্বস্তি রয়েছেন সবাই। সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টি ঝরলেও রাজধানীতে তার দেখা নেই একদমই।

শুক্রবার বিকেলের দিকে হালকা বৃষ্টির পর ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। ফলে গরমের মাত্রাও বাড়ে। তবে রাত বাড়তে বাড়তে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসে। টানা বৃষ্টি না হলে এই গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তবে গরম নিয়ে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে ঢাকায় দুদিন টানা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রাজধানীর তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।

লঘুচাপের প্রভাবে সাগর ও নদী কিছুটা উত্তাল থাকায় নদীবন্দরগুলোয় ১ নম্বর এবং সমুদ্রবন্দরগুলোয় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, গতকাল বৃষ্টি হওয়ায় আজকে গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা কমে এসেছে। সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অল্প অল্প বৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি জানান, ঢাকায় আগামী ৩ ও ৪ অক্টোবর বেশি বৃষ্টি হবে। এতে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে আসবে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুর ও পঞ্চগড় জেলাসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নিকলিতে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ঢাকায় ৩৫ দশমিক ৫ রাজশাহীতে ৩৬, রংপুরে ৩৬ দশমিক ৫, ময়মনসিংহে ৩৬ দশমিক ৪, সিলেটে ৩৬, চট্টগ্রামে ৩২ দশমিক ৮, খুলনায় ৩০ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে সাগরের বিশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, মধ্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে আজ রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত রাস্তা, নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা
দুই বিভাগ ও ছয় জেলায় দাবদাহ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
A ray of hope in the fund for climate affected countries including Bangladesh

বাংলাদেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য তহবিলে আশার আলো

বাংলাদেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য তহবিলে আশার আলো
তহবিলে এক সপ্তাহে ৭০ কোটি ডলার জমা পড়েছে, যা চাহিদার তুলনায় নগণ্য। তারপরও উন্নত দেশগুলো একে একে এগিয়ে আসছে এই তহবিলে অর্থায়নের ক্ষেত্রে, যা বিশ্বের উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আশার খবর।

বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে নবগঠিত ক্ষয়ক্ষতি তহবিল আশার আলো দেখাচ্ছে। সম্মেলনের প্রথম দিনেই কার্যকর করা এই তহবিলে অর্থায়নে আশানুরূপ অগ্রগতি দেখা গেছে।

তহবিলে গত এক সপ্তাহে ৭০০ মিলিয়ন বা ৭০ কোটি ডলার জমা পড়েছে। চাহিদার তুলনায় এটি অতি নগণ্য। তারপরও গঠনের পর থেকে উন্নত দেশগুলো একে একে এগিয়ে আসছে এই তহবিলে অর্থায়নের ক্ষেত্রে, যা বিশ্বের উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আশার খবর।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বের উপকূলীয় অঞ্চলের দেশগুলো তাদের আর্থিক ও অ-আর্থিক ক্ষতির জন্য এই তহবিল থেকে অর্থ ব্যবহার করতে পারবে।

অবশ্য এই তহবিল থেকে অর্থ পেতে বাংলাদেশকে আরও কমপক্ষে আট মাস অপেক্ষা করতে হবে। কারণ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এই তহবিল ব্যবহারের মতো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও দক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। এজন্য জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকে এই তহবিলের অর্থ ব্যবহারের জন্য দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি নিরূপণের বিষয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করছে। এই সমীক্ষা শেষ হলে জানা যাবে, বাংলাদেশে কোনো খাতে কী পরিমাণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। সেটি নিরূপনের পর বাংলাদেশ নবগঠিত ক্ষয়ক্ষতি তহবিল থেকে অর্থ পাওয়ার আবেদন করতে পারবে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও এলডিসি গ্রুপের লস অ্যান্ড ড্যামেজ সমন্বয়কারী এম হাফিজুল ইসলাম খান ইউএনবিকে বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের কার্যক্রম শুরু হতে আরও ৮ মাস সময় দরকার হবে। এই তহবিল পরিচালনায় গঠিত পরিচালনা পরিষদ আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রথম সভায় বসবে। আর এই পরিষদই ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ দেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

‘বাংলাদেশ প্রস্তুতির অভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহার করতে পারছে না। তাই ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ পাওয়ার জন্য দক্ষ জনবল ও কাঠামো তৈরির কাজ শুরু করতে হবে।’

দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম শেষে গত বছর মিসরের রাজধানী শার্ম আল শেখে ২৭তম জলবায়ু সম্মেলনে ঐতিহসিক ক্ষয়ক্ষতি তহবিল গঠন করা হয়। ফলে অর্থবিহীন এই তহবিলকে কার্যকর করা ছিল একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু এবারের ২৮তম জলবায়ু সম্মেলনের প্রথম দিনেই এ কঠিন কাজটি সহজ করে দেয় আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত কপ২৮ সভাপতির তহবিল দেয়ার ঘোষণা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী বলেন, কপ২৮ সম্মেলনের সভাপতি আয়োজক দেশের পরিবেশমন্ত্রী সুলতান আল জাবের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়ে এই তহবিলকে কার্যকর করার প্রস্তাব করেন। প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে ঐতিহাসিক এই তহবিলকে কার্যকর করার প্রস্তাব অনুমোদন করেন। এরপর অন্য দেশগুলোও এই তহবিলে অর্থায়নে এগিয়ে আসে।

এ পর্যন্ত এই তহবিলে ৭০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ জমা পড়েছে। আরব আমিরাতের ১০ কোটি ডলার ছাড়াও জার্মানি ১০ কোটি ডলার, ইতালি ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, ফ্রান্স ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যুক্তরাজ্য ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ ১৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্র ১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া এই তহবিলে কোনো অর্থ না দিলেও তারা আবার জলবায়ু অর্থায়নে ফিরে এসেছে। দেশটির সাবেক সরকার জলবায়ু অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়াকে প্রত্যাহার করে নিলেও বর্তমান সরকার শুক্রবার প্যাসিফিক দেশগুলোর জন্য ১৫ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। তবে এই অর্থ এখনও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত দশেগুলোর প্রয়োজন ১০০ বিলিয়ন থেকে ৫৮০ বিলিয়ন ডলার। সে তুলনায় অর্থপ্রাপ্তি চাহিদার মাত্র দশমিক ২ শতাংশ।

মির্জা শওকত বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতি তহবিলে যেসব দেশ অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেই ফান্ড পরিচালনায় বিশ্বব্যাংককে অ্যাকসেস দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা খুব একটা সন্তুষ্ট না হলেও সবাই রাজি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক আগামী চার বছর ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করবে।’

‘২৫ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হবে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে তহবিল নিয়ে আলোচনা করবে।’

তিনি বলেন, ‘অ্যাডাপটেশন ফান্ড দ্বিগুন করার বিষয়ে এই কপে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ গুরুত্বারোপ করেছে। তবে ন্যাশানাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যানের (ন্যাপ) ড্রাফট টেক্সট অ্যাডাপট করতে পারিনি। একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২৪ সালের জুন মাসে জার্মানির বন সেশনে আমরা এই টেক্সটটা দিয়ে কাজ করব।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিনুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘তহবিলে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে তা অতি নগণ্য। আবার এই অর্থ উন্নত দেশগুলো কবে দেবে তার সময়সীমা সংক্রান্ত কোনো রূপরেখা নির্ধারণ করেনি।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতি তহবিলে অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতির কারণে ধনী দেশগুলো বিপদাপন্ন দেশগুলোর জন্য বিশেষায়িত অভিযোজন তহবিলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ দিচ্ছে না। চলতি কপে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৪০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা থাকলেও মাত্র ২১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। এটা গত বছরের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম। অভিযোজন তহবিলে অর্থ বরাদ্দ না বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর বিপদ আরও বাড়বে।’

আরও পড়ুন:
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ৫ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
সোয়া লাখ বছরের মধ্যে উষ্ণতম ‘হতে যাচ্ছে’ ২০২৩

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Migzoum will not affect Bangladesh Minister of State for Disaster

মিগজাউমের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

মিগজাউমের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের তালবাগ এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। ছবি: নিউজবাংলা
মন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম সরাসরি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ভারতের তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হেনে আস্তে আস্তে ভুবনেশ্বরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এটা শক্তি হারিয়েছে।’

বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের তালবাগ এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম সরাসরি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ভারতের তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হেনে আস্তে আস্তে ভুবনেশ্বরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এটা শক্তি হারিয়েছে এবং বাংলাদেশে এটার কোনো প্রভাব পড়বে না, যার জন্য আমরা কোনো প্রস্তুতি নেইনি। এর প্রভাবে বাংলাদেশে হয়ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে ও বৃষ্টিপাত হবে।’

আরও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’: ভারি বৃষ্টিতে চেন্নাইয়ে পাঁচজনের মৃত্যু
উত্তরপশ্চিমে সরেছে মিগজাউম, বন্দরে ২ নম্বর সংকেত
ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ কোন বন্দর থেকে কত দূরে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Health sector facing losses due to climate change Health Minister

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছবি: সংগৃহীত
মন্ত্রী বলেন ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবর্তন, বিশেষ করে, লবণাক্ততা বেড়ে যায়। এর ফলে নানা ধরনের রোগ বৃদ্ধি পায়। এতে বিশেষ করে অসংক্রামক রোগ এবং মহিলা ও নারীদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে। তার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেক্টরে আমরা নানা রকম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, এইসব যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত। তা না হলে চিকিৎসা সেবায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।’

মঙ্গলবার দুপুরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-২০২৩ (কপ ২৮)-এর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এটিএসিএইচ কর্তৃক আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ: সাপ্লাই চেইন’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিগত দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন এবং জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি কেনা, সাপ্লাই এবং ব্যবহারের কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ব স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিনির্মাণে বিজ্ঞানসম্মত এবং যেসব যন্ত্রপাতি জলবায়ুর ক্ষতি করে না সেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি ডব্লিউএইচও এবং এটিএসিএইচকে জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি সাপ্লাই এবং হাসপাতাল বিনির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

এরপর তিনি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘স্যালিনিটি কিউসড বাই ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ইটস ইম্প্যাক্ট অন এনসিডিএস অ্যান্ড এসআরএইচআর’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির। তিনি তার উপস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন, বিশেষ করে, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা এবং এর প্রভাবে এসব এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া এর প্রভাবে গর্ভবতী মায়েদের নানা রকম সমস্যা হয়, যার কারণে উপকূলীয় এলাকায় মাতৃমৃত্যু বেড়ে যায় বলে জানান।

মন্ত্রী বলেন ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবর্তন, বিশেষ করে, লবণাক্ততা বেড়ে যায়। এর ফলে নানা ধরনের রোগ বৃদ্ধি পায়। এতে বিশেষ করে অসংক্রামক রোগ এবং মহিলা ও নারীদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে। তার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে।’

এক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিনির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাতের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে হবে।’

সে সময় এবং এসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সচিব স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশিদ এবং আরও অনেকে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুইডেন অ্যাম্বাসি, ঢাকা ফার্স্ট সেক্রেটারি ডেনিয়েল নোভাক। অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন মিস খুশবু পাওডেল, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, আইপাস, নেপাল এবং ডা. হুসাইন রশিদ, আঞ্চলিক উপদেষ্টা, ওয়াশ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ-২৮) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ৫ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Save the river to protect the country Prime Minister

দেশরক্ষায় নদী বাঁচান: প্রধানমন্ত্রী

দেশরক্ষায় নদী বাঁচান: প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে সোমবার ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার আলোকে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে এক সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে।’

দেশকে রক্ষায় নদীগুলোকে বাঁচানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজ কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে সোমবার ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার আলোকে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে এক সভায় তিনি এ তাগিদ দেন। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে।’

তিনি জানান, ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের লক্ষ্য ছিল নদী রক্ষা, নাব্যতা বজায় রাখা ও দূষণ থেকে রক্ষা করা। তার সরকারের প্রথম মেয়াদে নদী ড্রেজিং শুরু হয়েছিল এবং জমি পুনরুদ্ধারের জন্য পলিমাটি ব্যবহার করা হয়েছিল।

ড্রেজিংয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের ড্রেজিং করতে হবে এবং নাব্যতা বজায় রাখতে হবে। নদীভাঙন রোধকল্পে আমাদের ড্রেজিং করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘একসময় নদী শাসনের নামে উর্বর ফসলি জমিতে বেড়িবাঁধ তৈরি করা স্বাভাবিক ঘটনা ছিল।

কারখানার বর্জ্যে দূষণ বাড়ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীর ধারে যেসব শিল্প-কারখানা গড়ে উঠে, সেগুলোর বর্জ্য সাধারণত নদীতে যায়।

তিনি বলেন, ‘স্যুয়ারেজ লাইনের সমস্ত বর্জ্যও নদীতে যায়, যার ফলে দূষণ বাড়ছে।

‘আমরা যাই করি না কেন, প্রথমেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।’

রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে বাঁচাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কথাও বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘নদী শাসনের জন্য নদীর গভীরতার কথা বিবেচনায় রাখতে হবে এবং আমাদের অবশ্যই বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের লক্ষ্যে নদীর পাশাপাশি একটি বাফার জোন তৈরি করতে হবে।’

সরকারপ্রধান পরিবেশ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপরেও জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবাইকে সব নগরীর জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছি। আমরা যে পরিকল্পনাই গ্রহণ করি না কেন, সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রবাহ সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর হাতে এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড
ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনার সঙ্গে দুটি ইসলামিক দলের নেতাদের বৈঠক
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ৫ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Winter is peeping in Dinajpur through the blanket of fog

কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে দিনাজপুরে উঁকি দিচ্ছে শীত

কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে দিনাজপুরে উঁকি দিচ্ছে শীত ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দিনাজপুরের সকাল। ছবিটি দিনাজপুর সদর উপজেলার যোগিবাড়ী এলাকা থেকে তোলা।
সন্ধ্যা থেকে তাপমাত্রা কমলেও ভোর হতে হতে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে সীমান্তের এ জেলায়। পাতলা কাঁথা ও কম্বলে হালকা শীত নিবারণ করছে সাধারণ মানুষ।

হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর। গত কয়েকদিন ধরে দিনের বেলায় গরম থাকলেও রাতে হালকা শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। রাত পেরিয়ে ভোর হলেই দেখা মিলছে ঘন কুয়াশার।

সন্ধ্যা থেকে তাপমাত্র কমলেও ভোর হতে হতে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে সীমান্তের এ জেলায়। পাতলা কাঁথা ও কম্বলে হালকা শীত নিবারণ করছে সাধারণ মানুষ। রোববার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ঢেকে ছিল পরিবেশ। হঠাৎ কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়তে হয় পরিবহন চালকদের।

ট্রাক চালক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে দিনাজপুরে হালকা শীত গায়ে লাগছে। এরই মধ্যে রোববার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা শুরু হয়েছে। এতে করে আমাদের গাড়ি চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। গাড়ির সামনের কয়েক হাত দুরে ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। এতে দুঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’

চালক আজগার হোসেন বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ির সামনের গ্লাস ঘোলা হয়ে যায়। রাস্তার সাদা দাগ দেখে আইডিয়ার ওপর গাড়ি চালাতে হচ্ছে। কুয়াশা ঘন হলে গাড়ি খুবই সাবধানে চালাতে হয়।’

ইজিবাইক চালক আশিক বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে একটু আগে আমি রামনগরে অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছি। সামনে একটি ট্রাক দাঁড়ানো ছিল, কিন্তু আমি কিছুই দেখতে পারি নাই। একবারে ট্রাকের পেছনে গিয়ে ব্রেক করেছি। ব্রেক না করলে দুর্ঘটনা ঘটত।’

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দিনাজপুরে কয়েকদিন ধরে হালকা শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। কয়েকদিন পর শীত আরও বাড়বে। ঘন কুয়াশা হলে শীত অপেক্ষাকৃত কম অনুভূত হয়। সাধারণত ভোর বেলা এ অঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।’

রোববার ভোর ৬টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন:
হিমেল হাওয়ায় কমলগঞ্জে জমেনি শীতপোশাকের ব্যবসা
শীতের ফ্যাশন, যে দিকগুলোতে নজর দেবে নারী
শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
শীতকালে ত্বক প্রাণবন্ত রাখবেন যেভাবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
High Courts order to protect Chingaria Canal in Kalapara

কলাপাড়ার চিংগরিয়া খাল রক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের

কলাপাড়ার চিংগরিয়া খাল রক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। ফাইল ছবি
চিংগরিয়া খাল রক্ষায় জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেয়।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত চিংগরিয়া খাল রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ খাল বন্দোবস্ত বাতিলের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

চিংগরিয়া খাল রক্ষায় জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

পরে আইনজীবী এস হাসানুল বান্না জানান, চিংগরিয়া খালের ৫.৪৬ একর ভূমি উদ্ধার এবং এ খালের জায়গা ব্যক্তিবিশেষের নামে দেয়া বন্দোবস্ত বাতিলের ব্যর্থতা সংবিধান ও দেশে প্রচলিত আইনের পরিপন্থি বিধায় কেন তা অবৈধ, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

একই সঙ্গে খাল ও নদী হিসেবে রেকর্ডকৃত ভূমি উদ্ধারের এবং আইন-বহির্ভূতভাবে খাল ও নদী হিসেবে রেকর্ডকৃত ভূমির শ্রেণি খাল শ্রেণিতে রূপান্তরিত ভূমি রেকর্ড সংশোধনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

ভূমি সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), কলাপাড়া উপজেলা, পটুয়াখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এবং কলাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার অর্ন্তগত কলাপাড়া পৌরসভার ভেতর দিয়ে একটি খাল প্রবাহিত হয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে চিংগরিয়া খাল নামে পরিচিত। খালটি কলাপাড়ার খেপুপাড়া মৌজায় আন্ধারমানিক নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে কলাপাড়া পৌরসভার ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অংশবিশেষের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্রায় চার কিলোমিটার অতিক্রম করে একই মৌজার চাকামইয়া-নিশানবাড়িয়া নদীর (দোন) সঙ্গে মিশেছে।

কলাপাড়া ভূমি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, খালটির মূল স্রোতধারা খেপুপাড়া মৌজার ৪৪৩, ৫২৬ ও ৮৪২ নম্বর দাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ।

খালটি কলাপাড়া পৌরসভার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত একমাত্র খাল। পাঁচ হাজার পৌরসভাবাসীর কাছে এ খালের গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষিকাজ, পানি নিষ্কাশন, জলাবদ্ধতা নিরসনসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্য পানির একমাত্র উৎস এ খাল।

কলাপাড়া পৌরসভাটি উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষাকাল ও জলোচ্ছ্বাসের সময় সমুদ্রের নোনা পানিতে এখানকার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ডুবে যায়। লবণাক্ত এ পানি এ খাল দিয়েই দ্রুত নিষ্কাশিত হয়ে থাকে। জনগুরুত্বপূর্ণ খালটি কলাপাড়া উপজেলা ভূমি অফিস খাল হিসেবে চিহ্নিত ভূমির শ্রেণি খাল হিসেবে পরিবর্তন করে।

পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) উল্লেখিত খালের অংশবিশেষ ব্যক্তিবিশেষের কাছে দীর্ঘস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়। বন্দোবস্ত গ্রহীতারা খালের অংশে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় খাল ভরাট করে নির্মাণ করেন বিভিন্ন স্থাপনা, যে কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আনে বেলা।

আরও পড়ুন:
যশোর যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
যশোর যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানোয় হাইকোর্টে রিট
ড. ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের বিরুদ্ধে মামলার রায় বাতিল
গেজেট অনুসারে নোয়াখালীর দুই আসনে নির্বাচনে বাধা নেই
ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা, হাইকোর্টের নজরে আনলেন আইনজীবী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tsunami warning in Philippines after 76 magnitude earthquake

৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা

৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা ভূমিকম্পের পর ভবন ছেড়ে রাস্তায় এসে জড়ো হন স্থানীয়রা। ছবি: বিবিসি
ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনের পাশাপাশি জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ফিলিপাইনের দক্ষিণের মিন্দানাও অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর মিন্দানাও দ্বীপে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ফিলিপাইনের হিনাতুয়ান শহরের ২১ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। ভূপৃষ্ঠের ৩২ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।

অন্যদিকে, মিন্দানাওয়ে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি)। তাদের তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৩ কিলোমিটার গভীরে।

ফিলিপাইনের উপকূলীয় শহর হিনাতুয়ানের পুলিশ প্রধান রেমার্ক জেনতালান বলেছেন, ভূমিকম্পের পর শহর এবং আশেপাশের এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল এখনও কোথাও হতাহত হওয়া বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পায়নি।

ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনের সিসমোলজিক্যাল এজেন্সি-ফিভল্ক্স থেকে দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মধ্যরাতে সুনামি আঘাত হানতে পারে এবং তা কয়েকঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে।

এ ঘটনায় জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

জাপানের টেলিভিশন এনএইচকে থেকে প্রকাশিত সতর্কতামূলক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় আধাঘণ্টা পর (জাপানের স্থানীয় সময় রোববার ১:৩০ মিনিট) সমুদ্র থেকে প্রায় এক মিটার উঁচু ঢেউ জাপানের দক্ষিণপশ্চিম উপকূলে উঠে আসতে পারে।

এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে দেশটির সারাঙ্গানি, কোটাবাটো এবং দাভাও প্রদেশে অন্তত আট প্রাণহানি ঘটে, আহত হন আরও ১৩ জন। ভূমিকম্পে দেশটিতে অর্ধ-শতাধিক বাড়িঘর এবং অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত ফিলিপাইনে প্রায়শই ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা রিং অব ফায়ারকে বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

আরও পড়ুন:
ভূমিকম্প বড় করেছে ঢাবির মুহসীন হলের ফাটল
ভূমিকম্প আতঙ্কে দৌড়ে কুমিল্লায় আহত অন্তত ২০
ভূমিকম্পের সময় করণীয়
ভূমিকম্প কি আগে থেকে টের পাওয়া যায়
ঢাকাসহ সারা দেশে ভূমিকম্প

মন্তব্য

p
উপরে