চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়াম নতুনভাবে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস)।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটির শুক্রবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিজেকেএস সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এবং সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।
চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়াম উন্নয়ন প্রকল্পটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিজেকেএস কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামটি দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের মেলা ও অনুষ্ঠানের দখলে ছিল। ফলে এটি খেলাধুলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। মাঠের চারপাশে অবৈধ সব স্থাপনা কারণে সৌন্দর্য হারায় পুরো এলাকা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান দায়িত্ব নিয়েই সেসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন। দখলমুক্ত করার পর এবার নতুন করে মাঠ সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে।
নতুন এ উদ্যোগের বিষয়ে সিজেকেএস আরও জানায়, আউটার স্টেডিয়ামের বর্তমান আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট। এর মধ্যে ৮ হাজার বর্গফুটে হবে ফুটবল খেলার মাঠ।
মাঠের চারপাশে ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস, ভলিবলসহ নানা খেলাধুলার জন্য ব্লক থাকবে। সুইমিং পুলের দেয়ালের দিকে হবে নেট প্র্যাকটিস ব্লক। স্টেডিয়ামের ১৫০ থেকে ২০০ জনের বসার জন্য গ্যালারি এবং টয়লেট সুবিধা, ড্রেসিং রুম ও বসার জায়গা থাকবে।
মাঠের পাশের সার্কিট হাউজ ও নুর আহমদ চৌধুরীর প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আউটার স্টেডিয়ামকে ফুটবল মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। এখানে যাতে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার প্র্যাকটিস হয় সেসব আয়োজন রাখতে চাই। একই সঙ্গে ওয়াকওয়ে হবে। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আমরা মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে চাই।’
কাজ শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই মাটি ভরাট ও ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হবে। আজ আমরা এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি।
‘আউটার স্টেডিয়াম থেকে আকরাম, নান্নু, আশিষ ভদ্র, তামিম, আফতাবদের মতো অনেকেই উঠে এসেছে। আবার আউটার স্টেডিয়ামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে প্রাণ গেছে ৭ হাজার শিশুসহ ১৬ হাজারের বেশি মানুষের। আহত হয়েছেন ৪৩ হাজারের ওপরে, নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৮ হাজার।
গত ৭ অক্টোবর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত হিসাবে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির শাসক দল হামাসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
হামাস বলছে, ইসরায়েল টানা হামলা চালাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি শিশু ও ৫ হাজারের মতো নারীসহ নিহত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৪৮ জন।
এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬১৬ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৭ হাজার ৬০০ জনের মতো বলেও জানিয়েছে তারা।
গাজার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে রয়টার্স বলছে, টানা বিমান হামলার পর দক্ষিণ গাজায় স্থলপথে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনারা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে তিন দিনের বিমান হামলার পর এই অভিযান শুরু হয়।
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের ধারণা, হামাস নেতৃত্বের সদস্যরা খান ইউনিস শহরে লুকিয়ে আছে। তাদের দাবি, গাজা নগরীতে হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পেছনে জড়িত।
হামলায় বহু প্রাণহানির পর সাত দিনের জন্য ছিল যুদ্ধবিরতি, তবে সেই বিরতি শেষ হওয়ায় গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হয় গত শুক্রবার।
উত্তর গাজায় হামলা শুরুর পর এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এখন সেই দক্ষিণ গাজাতে হামলা হচ্ছে। বিমান হামলা হয়েছে খান ইউনিস শহরে, এই হামলার যে তীব্রতা; যুদ্ধ শুরুর পর তা কখনও দেখা যায়নি।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি।
আরও পড়ুন:২০২২-২৩ করবর্ষে খেলোয়াড় কোটায় সেরা করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার।
তারা হলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইলেন্ট কিলার খ্যাত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তিনজনের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। এর পরের অবস্থানে যথাক্রমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবাল খান।
এর আগে গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সেরা করদাতাদের তালিকায় ছিলেন সাকিব ও তামিম। এ দুজনের বাইরে এবার নতুন করে এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
তালিকায় এ বছর মোট ১৪১ জন করদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ব্যুরো অফ রেভিনিউ (এনবিআর)। এর ভেতর ব্যক্তি ৭৬ জন, কোম্পানি ৫৪টি ও অন্যান্য শ্রেণিতে ১১ জন।
ইতোমধ্যে সরকারি গেজেট আকারে এটি প্রকাশিত হয়েছে। সেরা করদাতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড দেবে এনবিআর। ২০১৬ সাল থেকে এ সম্মাননার প্রচলন করেছে এনবিআর।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্বে দ্বিতীয় দফায় বসানো হয় শ্রীলঙ্কান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর প্রায় এক বছর পেরোতে চলল, কিন্তু এখনও তিনি শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট দেখে সেটি কেমন আচরণ করবে তা বুঝে উঠতে পারেন না।
পাঁচ দিনের খেলায় উইকেট কেমন আচরণ করবে সেটি বুঝতেই হাথুরুর একদিন লেগে যায়।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান লঙ্কান এই কোচ।
একাদশ কেমন হবে সেটি এখনই নির্ধারণ না করে ম্যাচের আগে উইকেটের কন্ডিশন দেখে নির্ধারণ করবেন বলে ওই সময় তিনি মন্তব্য করেন।
হাথুরু বলেন, ‘এটা পিচের অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। আর অবশ্যই আমাদের শক্তিমত্তার ওপরও। যেমনটা আপনি বললেন, সিলেটে আমরা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছি। পাঁচ দিনের প্রতিটিতেই আমরা আধিপত্য বিস্তার করেছি। ভালোভাবে লড়াই করেছি। সেখানেও আমরা আমাদের শক্তি আর সিলেটের কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করেই দলটা বানিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর মিরপুরের কথা আপনি জানেন, কখনও কখনও মাঠে নামার আগে আপনি বুঝবেন না পিচ কেমন আচরণ করতে যাচ্ছে, এমনকি কয়েকটা সেশন না খেললে বোঝা যায় না (উইকেট কেমন)।
‘যেহেতু এখানে অনেক বেশি খেলা হয়... আমার মনে হয় না বিশ্বের আর কোনো মাঠে এত বেশি খেলা হয়, যতটা এই মাঠে হয়ে থাকে। তো আমরা চেষ্টা করব খুব বেশি পরিবর্তন না করতে।’
হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের উইকেট ঐতিহ্যগতভাবেই স্পিনারদের স্বর্গরাজ্য। এখানে টেস্টে পেসার ছাড়াও খেলার একাধিক নজির আছে বাংলাদেশের। টার্নিং, মন্থর আর উঁচু-নিচু বাউন্সের কারণে ব্যাটারদের কাজ এখানে বরাবরই বেশ কঠিন।
কিন্তু সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দেখা গিয়েছিল ভিন্ন এক মিরপুরকে। আর সে কারণেই হাথুরুর কপালে চিন্তার কালো ভাজ সেটি বলার অপেক্ষাই রাখে না।
আরও পড়ুন:টানা হামলায় বহু প্রাণহানির পর সাত দিনের জন্য ছিল যুদ্ধবিরতি, তবে সেই বিরতি শেষ হওয়ায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়েছে। এবারের হামলাটি অবরুদ্ধ গাজায় সবচেয়ে বড় হামলা।
উত্তর গাজায় হামলা শুরুর পর এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এখন সেই দক্ষিণ গাজাতেও হামলা হচ্ছে। বিমান হামলা হচ্ছে খান ইউনিস শহরে, এই হামলার যে তীব্রতা; যুদ্ধ শুরুর পর তা কখনও দেখা যায়নি।
বিবিসি বলছে, খান ইউনিস শহরে ৪০০-এর মতো হামলা হয়েছে। হামাস এই শহরে লুকিয়ে আছে এমন সন্দেহে হামলা করছে ইরসায়েল। ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন হামলায়। হামাসও ইরসায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি হামলায় সবমিলিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক অভিযান চলবে।
নেতানিয়াহু বলেন, একটি কঠিন যুদ্ধ আমাদের সামনে।
খান ইউনিস এবং রাফাহ শহর মিশরের সীমান্তে। ভারী বিমান হামলায় ওই এলাকার এখন ভয়াবহ অবস্থা। ইসরায়েল উত্তর গাজায় হামলার পর এখন দক্ষিণের এই শহুরে তাণ্ডব শুরু করেছে।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন।
আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি। এরই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার ফের গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন:৩১৭ রানে সিলেট টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে নিউজিল্যান্ডের লিড ৭ রানের লিড। মুমিনুল হক ৩ উইকেট নেন, যার মধ্যে ২টি তৃতীয় দিনের সকালের সেশনে নেয়া হয়।
দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। খবর ইউএনবির
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানের জবাবে সেঞ্চুরি করে ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দেন কেন উইলিয়ামসন। ড্যারিল মিচেল ৪১ ও গ্লেন ফিলিপস ৪২ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ৪ উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয় বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন। তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান যিনি পঞ্চাশ রান অতিক্রম করেন।
বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা আশাব্যঞ্জক শুরু করলেও তাদের ইনিংসকে কাজে লাগাতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ফিলিপস বল হাতে অপ্রত্যাশিত নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন এবং তার দ্বিতীয় টেস্টে চার উইকেট নেন।
এই সিরিজটি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ, যা টাইগারদের জন্য এই ইভেন্টের প্রথম হোম সিরিজ।
আরও পড়ুন:দেশের অন্যতম বৃহৎ ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম-এর আয়োজনে চট্টগ্রামে কেএসআরএম নবম গলফ টুর্নামেন্ট সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাটিয়ারি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও ২৪ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার (জিওসি) মেজর জেনারেল শাহেনুল হক। এছাড়া কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, পরিচালক (করপোরেট) শামসুল হক, সিইও মেহেরুল করিম, বিজনেস রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক কর্নেল (অব.) মো. আশফাকুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) সৈয়দ নজরুল আলম, উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল শাহেনুল হক বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এজন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা আশা করছি, কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’
আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন জিওসি শাহেনুল হক।
কেএসআরএম-এর বিজনেস রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক কর্নেল (অব.) মো. আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি দেশে ১০টি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার ছিল কেএসআরএম। কেএসআরএম প্রতিটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রড সরবরাহ করেছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। আমরা সবসময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। আগামীতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপ-ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, মিজানুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
শেষে গলফ টুর্নামেন্টে ১৯৬ জন গলফারের মধ্যে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্রয়ের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিটি সদস্য ও বিশ্বজুড়ে লাখো ভক্তের মতোই ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া বিজয়ী হওয়ার পরে বিরাট কোহলিও ভেঙে পড়েছিলেন।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত রানের জন্য টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া কোহলি টপ-স্কোরিং ব্যাটার হিসেবে টুর্নামেন্ট শেষ করলেন, কিন্তু ট্রফি হাতে নেয়ার সৌভাগ্য হয়নি তার।
বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলের অর্ধশত রানকে ছাপিয়ে শতরান করে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে দিলেন ট্রাভিস হেড।
এরপরেই চোখ ছলছল রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের। আবেগঘন ছিলেন বিরাটের স্ত্রী আনুশকা শর্মাও। ম্যাচ শেষে স্বামীকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে যান তিনি। বিরাট-আনুশকার একে অপরকে জড়িয়ে ধরার সেই মুহূর্ত এরই মধ্যেই ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ভক্তরা বলছেন, ভারতের জয়ের সময় যেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আনুশকা, তেমন কঠিন সময়ে স্বামীর সব থেকে বড় সাপোর্ট সিস্টেম ছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপের পুরো আসরজুড়ে অপরাজিত শুধু নয়, বল-ব্যাটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে ভারত। কিন্তু ফাইনালে গিয়ে নিজেদের মাটিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব থেকে বঞ্চিত হলো ভারত।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য