× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Millions of people in Chittagong in procession on the occasion of Miladunnabi on the holy Eid
google_news print-icon

ঈদে মিলাদুন্নবী: চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষ

ঈদে-মিলাদুন্নবী-চট্টগ্রামে-জশনে-জুলুসে-লাখো-মানুষ
চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে অংশ নেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম নগরীর বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে এই জুলুসের সূচনা করেন আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রহ.)। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ১২ রবিউল আউয়াল জুলুসের আয়োজন করে আসছে। এতে প্রতি বছর চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকা থেকে কয়েক লাখ মানুষ এতে অংশ নেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে চট্টগ্রামে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী আনন্দ উৎসব জশনে জুলুস।

নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে জশনে জুলুসের আনন্দযাত্রা শুরু হয়।

জামেয়া মাদ্রাসার মাঠ পেরিয়ে সড়কের দিকে আসতেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় জশনে জুলুস।

আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই জুলুস নগরীর মুরাদপুর, চকবাজার, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, ওয়াসা, জিইসি প্রদক্ষিণ করে ফের মুরাদপুর হয়ে বিবিরহাট মাদ্রাসা ময়দানে এসে শেষ হয়।

এরপর মাহফিল ও জোহরের নামাজের পর দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

জুলুসে আসা চট্টগ্রাম হাটহাজারী এলাকার শামিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতি বছর ১২ রবিউল আউয়াল নবী করিম (সা.)-এর পৃথিবীতে আগমন উপলক্ষে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। দূরদুরান্ত থেকে নবী প্রেমিকরা জুলুসে অংশগ্রহণ করতে আসেন। আমি গত ১৫ বছর ধরে নিয়মিত জুলুসে অংশগ্রহণ করি।’

জুলুস আয়োজকদের মধ্যে গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক জুলুসে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত পরিমাণ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। জুলুসে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে বিশেষ মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

বুধবার রাত থেকেই চট্টগ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জামেয়া ময়দানে এসে জড়ো হতে থাকেন ভক্তরা। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা মানুষ বিবিরহাট, মুরাদপুর থেকে জুলুসে যোগ দেন।

জুলুস উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন এলাকা সেজেছে রঙিন সাজে। নানা ব্যানার-ফেস্টুন ও আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে সড়কের দুই পাশ।

৫১তম জুলুসে নেতৃত্বদানকারী তাহের শাহর জন্য সাজানো হয় বিশেষ গাড়ি। সেই গাড়িতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শামসুদ্দিন, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান।

এদিকে জুলুসে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে বিশেষ নির্দেশনা দেয় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। নির্দেশনায় সকাল আটটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন রোডের মুখে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে কোথাও যান চলাচল সীমিত, আর কোথাও বন্ধ রাখা হয়েছে।

১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম নগরীর বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে এই জুলুসের সূচনা করেন আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রহ.)। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ১২ রবিউল আউয়াল জুলুসের আয়োজন করে আসছে। এতে প্রতি বছর চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকা থেকে কয়েক লাখ মানুষ এতে অংশ নেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Governments new instructions on Markaz of Tabligh

তাবলিগের মারকাজ নিয়ে সরকারের নতুন নির্দেশনা

তাবলিগের মারকাজ নিয়ে সরকারের নতুন নির্দেশনা তাবলিগ জামাতের মারকাজ কাকরাইল মসজিদ। ছবি: আশিক মাহমুদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ক্ষেত্রে এর আগে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, সেটি অনুসরণ করতে হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের তাবলিগি মারকাজে সহাবস্থান বজায় রাখতে মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।

এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি বৃহস্পতিবার জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এতে এক পক্ষকে অন্য পক্ষের মারকাজে কোনো ধরনের বাধা কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ক্ষেত্রে এর আগে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, সেটি অনুসরণ করতে হবে।

গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে গেল ১৭ ডিসেম্বর রাতে তাবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত চারজনের প্রাণহানি হয়েছে।

পরে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ইজতেমা ময়দান খালি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে পুলিশ।

ইজতেমা ময়দান ঘিরে জারি করা সে নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুর মহানগর পুলিশ আইনের ক্ষমতাবলে গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুর দুইটা থেকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটারের মধ্যে জারি করা আদেশগুলো বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে প্রত্যাহার করা হলো।

আরও পড়ুন:
কাকরাইল মসজিদ ঘিরে সংঘাতের শঙ্কা সাদপন্থিদের
বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদের উপস্থিতি নিশ্চিতের দাবি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ওলামা-মাশায়েখদের ৯ দাবি
লাখো মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে শেষ হলো কেরাণীগঞ্জের জোড়
ইজতেমায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Khulna the joint forces guarded the conflict between pro Saad and pro Zubair

খুলনায় সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের বিরোধ, পাহারায় যৌথবাহিনী

খুলনায় সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের বিরোধ, পাহারায় যৌথবাহিনী
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘এই দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো সংঘর্ষ না হয় সেজন্য পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পাহারায় থাকবে।’

খুলনা মহানগরীর নিরালার তাবলীগ (মারকাজ) মসজিদে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বর্তমানে সেই বিরোধ আরও জোরালো হয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ওই তাবলীগ মসজিদে পাহারায় ছিলেন পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

খুলনায় সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের বিরোধ, পাহারায় যৌথবাহিনী

মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাদপন্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন যে আগামী দশ দিন জুবায়েরপন্থীর কোনো মুসল্লি তাবলীগ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন না। অপরদিকে জুবায়েরপন্থীরা পাল্টা ঘোষণা দেন তারা জুমার নামাজ নিরালা তাবলীগ মসজিদেই আদায় করবেন। এই পরিস্থিতিতে মুসল্লিদের ভেতরে যাতে সংঘর্ষ না বাধে সেজন্য শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা দেয়া শুরু করে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘এই দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো সংঘর্ষ না হয় সেজন্য পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পাহারায় থাকবে।’

দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যৌথবাহিনী এলাকার সাধারণ মুসল্লি বাদে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী কাউকে মসজিদে ঢুকতে দিচ্ছে না। এক পর্যায়ে মুসল্লিদের চাপ বাড়লে তাবলীগ মসজিদের মেইন গেটে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। ফলে স্থানীয় সাধারণ মুসল্লিরাও ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে পারেননি।

নিরালা তাবলীগ মসজিদ সংলগ্ন নাজিরঘাট এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, ‘মুসল্লিদের ভেতরে বিভাজনের কারণে আমরা আজ জুমার নামাজ পড়তে পারিনি। আমরা মুসলিম হিসাবে মুসলিমদের ভেতরে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী চাই না। সাধারণ মানুষের একটাই চাওয়া- মুসলমানদের ভেতরে সব ভেদাভেদ বাদ দিয়ে সবাই একসঙ্গে নামাজ পড়বে।’

আরও পড়ুন:
তাবলীগের দু’পক্ষকে বিশেষ নির্দেশনা
সাদপন্থীদের ইজতেমার আর সুযোগ নেই: মামুনুল হক
ইজতেমা মাঠে নিহত ৪, খুনিদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Special instructions of the Ministry of Home Affairs to both sides of Tabligh

তাবলীগের দু’পক্ষকে বিশেষ নির্দেশনা

তাবলীগের দু’পক্ষকে বিশেষ নির্দেশনা
মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের-এর অনুসারীদের শুক্রবার থেকে কাকরাইল মসজিদের আশপাশে বড় জমায়েত থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর মাওলানা সাদপন্থীদের শবগুজারিসহ (রাতযাপন) তাবলীগ জামাতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তাবলীগ জামাতের বিবদমান দু’পক্ষকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের-এর অনুসারীদের শুক্রবার থেকে কাকরাইল মসজিদের আশপাশে কোনো রকমের বড় জমায়েত থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে মাওলানা সাদ গ্রুপের অনুসারীদেরকেও শবগুজারিসহ (রাত্তযাপন) তাবলীগ জামাতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-৬ শাখার উপসচিব ইসরাত জাহান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
ইজতেমা মাঠে নিহত ৪, খুনিদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা
বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে দুই পর্বেই, চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু ৩১ জানুয়ারি
তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা একসঙ্গে করতে চায় সরকার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Christmas celebrations across the country

দেশজুড়ে বড়দিন উদযাপন

দেশজুড়ে বড়দিন উদযাপন বড়দিন উপলক্ষে সাজসজ্জা। ছবি: ইউএনবি
ক্রিসমাস ট্রি রঙিন বাতিতে সজ্জিত করা, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ এবং কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে বড়দিন উদযাপন করা হয়।

যিশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বুধবার বড়দিন উদযাপন করছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন।

সম্প্রদায়টির সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন হলো পুনর্জন্ম, নতুন যাত্রা, ক্ষমা ও শান্তি এবং ঈশ্বর ও মানুষের সম্পর্ক নবায়নের উৎসব।

ক্রিসমাস ট্রি রঙিন বাতিতে সজ্জিত করা, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ এবং কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে বড়দিন উদযাপন করা হয়।

গির্জায় প্রার্থনা অধিবেশনের আগে এবং পরে ক্রিসমাস ক্যারল এবং প্রার্থনামূলক গান গাওয়া হবে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একদল গায়ক ক্রিসমাস ক্যারল পরিবেশন করবেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

বড়দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ওই সময় তিনি সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুর পরিচয় উপেক্ষা করে দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানাতে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মঙ্গলবার কাকরাইলে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ ক্রুজের বাসভবনে যান।

সফরকালে সেনাবাহিনীর প্রধান খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে বড়দিনের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে বড়দিন উদযাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের আতশবাজি, পটকাবাজি ও আকাশে ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

আরও পড়ুন:
বড়দিনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও মজবুতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বড়দিনে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ
বড়দিনে বেথলেহ্যামে কবরের নীরবতা
শুভ বড়দিন আজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The president calls for stronger bonds of communal harmony on Christmas

বড়দিনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও মজবুতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

বড়দিনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও মজবুতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে বঙ্গভবনে বুধবার রাষ্ট্রপতি আয়োজিত সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনসহ অতিথিরা। ছবি: বাসস
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান।

বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও মজবুত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে বঙ্গভবনে বুধবার রাষ্ট্রপতি আয়োজিত সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে খ্রিষ্টান নেতা ও দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া শুভেচ্ছা ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

মানবসেবা ও কল্যাণ সব ধর্মের মূল কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে ও আনন্দঘন পরিবেশে আবহমানকাল থেকেই পালন করে আসছে।’

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, যিশু খ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী এবং আলোর দিশারী। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান করেছেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, যিশু খ্রিষ্ট সর্বদা মানুষকে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দিয়েছেন।

যিশু খ্রিষ্টের শিক্ষা সবার জীবনে প্রতিফলিত হলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ রাষ্ট্রপতির
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কানাডার জোরালো পদক্ষেপ চান রাষ্ট্রপতি
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাষ্ট্রপতি মো, সাহাবুদ্দিনের অভিনন্দন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Every religion must establish within itself the message of peace Chief Counsel

প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা বড়দিনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। ছবি: ইউএনবি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা মানুষ একই। আমাদের মানুষ পরিচয় আগে। তারপর ধর্ম। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে। সেই শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলেই বিভেদ দূর হবে।’

প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষ একই। আমাদের মানুষ পরিচয় আগে। তারপর ধর্ম। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে। সেই শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলেই বিভেদ দূর হবে।’

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

অতিথিদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকের দিনে আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো। এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমরা ধর্মীয় সংহতি চাই। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগরিষ্ঠ–এই শব্দগুলো আমরা চাই না।

‘এ দেশে আমরা সবাই এক পরিবার। সবাই মিলে একত্রে থাকব। এটি আমাদের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবার এগিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নিজ নিজ ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মনের মধ্যে স্থাপন করা গেলে অন্য ধর্মের মধ্যেও তা খুঁজে পাবেন। তখন আর অন্য ধর্মের সঙ্গে বিভেদ হবে না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা সুন্দর শৈশব পাবে।’

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, দ্য ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অফ বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী, বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইগ্লাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া ও বাংলাদেশ খ্রিস্টান মহাজোটের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নির্মল ডি’ কস্তা।

নিজেদের বক্তব্যে তারা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উদারতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে অস্থিরতায় রেগুলেটরদের দুষলেন অর্থ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না 
ফ্যাসিবাদ রোধে সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদারের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টার
হাসান আরিফের জানাজায় শরিক হলেন প্রধান উপদেষ্টা
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Firecrackers and lanterns are prohibited on Christmas

বড়দিনে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ

বড়দিনে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ আকাশে আতশবাজি এবং ডিএমপির লোগো। ছবি: বাসস
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিন অনুষ্ঠান উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-৩/৭৬)-এর ২৮ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সকল প্রকার আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হলো।’

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিনে সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, ‘২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিন অনুষ্ঠান উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-৩/৭৬)-এর ২৮ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সকল প্রকার আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হলো।’

বিজ্ঞপ্তিতে বড়দিনের অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও নিরাপদে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছে।

আরও পড়ুন:
কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় শনিবার সমাবেশ নিষিদ্ধ: ডিএমপি
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন: এক দিনে ৭২ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা ডিএমপির
বিজয়া শোভাযাত্রা প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল নাসের চৌধুরী গ্রেপ্তার

মন্তব্য

p
উপরে