× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Student fined for broadcasting RAB campaign live
google_news print-icon

র‍্যাবের অভিযান লাইভ প্রচার করা ছাত্রের জরিমানা

র‍্যাবের-অভিযান-লাইভ-প্রচার-করা-ছাত্রের-জরিমানা
বরিশাল আদালত। ফাইল ছবি
আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন বলেন, ‘আসামি মারুফ তার দোষ স্বীকার করেছে। তাই বিচারক তাকে জরিমানা ও প্রবেশনে জামিন মঞ্জুর করেছেন।’

বরিশালে র‌্যাবের অভিযান ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে মাধ্যমে লাইভ (সরাসরি) প্রচার করায় এক ছাত্রকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। ওই ছাত্রকে সামাজিক ও জনকল্যানমূলক কর্মকাণ্ড করতে নির্দেশ দিয়ে প্রবেশন কর্মকর্তার জিম্মায় জামিন দেয়া হয়েছে।

রোববার বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানান বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন।

অর্থদণ্ডে দণ্ডিত কিন্তু প্রবেশন জামিন পাওয়া ২০ বছর বয়সী মারুফ মুন্সী ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা এবং বরিশাল নগরীর বেসরকারী ইনফ্রা পলিটেকনিকের ছাত্র।

মামলার বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারী কাকন বলেন, ‘২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি র‌্যাব-৮ এর একটি দল জিয়া সড়ক মসজিদ গলিতে অভিযান করে। মারুফ তার ফেইসবুক পেজ ডিপ্রেশন ও চ্যানেল টিভি নামের ইউটিউব চ্যানেল থেকে তা সরাসরি প্রচার করে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে এ তথ্য জানতে পেরে র‌্যাব মারুফকে আটক করে।

‘এ ঘটনায় ২২ জানুয়ারি কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করে র‌্যাবের ডিএডি জিএম আনসার আলী। একই বছরের ৩০ জুন একমাত্র মারুফকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় কোতয়ালী মডেল থানার এসআই সাইদুর রহমান।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসামি মারুফ তার দোষ স্বীকার করেছে। তাই বিচারক তাকে জরিমানা ও প্রবেশনে জামিন মঞ্জুর করেছেন।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Dr Kamal Hossain talked about modernizing the constitution
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ

সংবিধান সমসাময়িক করার কথা বললেন ড. কামাল হোসেন

সংবিধান সমসাময়িক করার কথা বললেন ড. কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানসহ সদস্যরা শনিবার ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তার মতিঝিলের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
ড. কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি সংবিধানকে সমসাময়িক করার কথা বলেন।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের আট সদস্য। রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের কার্যালয়ে শনিবার তারা এই সাক্ষাৎ করেন।

কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ ও মো. মুসতাইন বিল্লাহ।

ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে এই সাক্ষাতের সময় সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে জানান সংবিধান সংস্কার কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপ-পরিচালক মো. সাব্বির মাহমুদ।

এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানসহ উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি সংবিধানকে সমসাময়িক করার কথা উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন।

আরও পড়ুন:
পুনর্লিখন নয়, সংবিধান সংশোধনের পক্ষে মত বিশিষ্টজনদের
রাষ্ট্র সংস্কারে আরও চারটি কমিশন গঠন, নেতৃত্বে যারা
সংস্কার কমিটি তিনটি সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে
দুদক সংস্কারে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ চেয়েছে কমিশন
এনবিআর সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Money equivalent to and17 billion was laundered from the country TIB

দেশ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে গেছে: টিআইবি

দেশ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে গেছে: টিআইবি টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। ফাইল ছবি
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন দেশে বিশেষজ্ঞদের সিন্ডিকেট আছে। সে কারণে আমরা একজন সাবেক মন্ত্রীর কয়েকটি দেশে কয়েক শ’ অ্যাপার্টমেন্টের বিষয়ে জানতে পারছি। কিন্তু এই ঘটনা বরফখণ্ডের চূড়ামাত্র, এমন পাচারকারী আরও অনেকে আছেন।’

দেশ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচারের তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বিভিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে ধারণা করা যায় যে বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে।

রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে শনিবার ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে মোট কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা সম্ভব নয়। তবে ব্যাংকের মতো আনুষ্ঠানিক মাধ্যম ব্যবহার করে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচারের কথা জানা যায়।’

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বলয় প্রতিষ্ঠা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখলের মাধ্যমে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনীতি, আমলাতন্ত্র ও ব্যবসা- এই ত্রিমুখী আঁতাত মূল ভূমিকা পালন করেছে।

‘সব প্রতিষ্ঠানেই দীর্ঘ সময় ধরে দলীয়করণের চর্চা হয়েছে। গত ১৫-১৬ বছরে আমরা এর চূড়ান্ত রূপ দেখেছি। এতে আমলাতন্ত্রকে কর্তৃত্ব দিয়েছে রাজনৈতিক শক্তি আর তা বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন এজেন্সিকে। ফলে এসব জায়গায় কতটুকু পরিবর্তন আনা যাবে, তা গুরুত্বপূর্ণ।’

‘যে পরিবর্তন আসবে বলে আমরা আশা করছি তা যেন টেকসই হয়’, যোগ করেন তিনি।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একটি দৃষ্টান্ত আছে। সেটি হলো, সিঙ্গাপুর থেকে। দেশটি থেকে ২০০৭ সালে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের উদ্যোগ নেয়া হয় এবং পারস্পরিক আইনি সহায়তার মাধ্যমে ২০১৩ সালে ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৯৩০ কোটি ডলার ফেরত আনা সম্ভব হয়েছিল।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব। তবে তা অনেক কঠিন ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। যেসব দেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে, ওইসব দেশের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পাচার করা অর্থ ফেরত আনা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশগুলোর এ বিষয়ে সহযোগিতার মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘অর্থ পাচার বন্ধে সাপ্লাই (যে দেশ থেকে পাচার হয়) ও ডিমান্ড (যে দেশে পাচার হয়) উভয়ের মধ্যে সহযোগিতার পরিবেশ থাকতে হবে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন দেশে বিশেষজ্ঞদের সিন্ডিকেট আছে। সে কারণে আমরা একজন সাবেক মন্ত্রীর কয়েকটি দেশে কয়েক শ’ অ্যাপার্টমেন্টের বিষয়ে জানতে পারছি। কিন্তু এই ঘটনা বরফখণ্ডের চূড়ামাত্র, এমন পাচারকারী আরও অনেকে আছেন।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডি, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, বিএফআইইউ- অর্থ পাচার বিষয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার পথনকশা আছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে, শুধু মুখের কথায় কাজ হবে না। অর্থ পাচার রোধে বেশ কিছু আইনেরও প্রয়োজন আছে।’

আরও পড়ুন:
ক্ষমতায় গেলে দলগুলোর আচরণ পাল্টে যায়: ইফতেখারুজ্জামান
অর্থ পাচার রোধে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজাতে হবে: ইফতেখারুজ্জামান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
17 murders in 54 years in riotous Mautupi village two chairman

দাঙ্গাবাজ মৌটুপী গ্রামে ৫৪ বছরে ১৭ খুন, হোতা দুই চেয়ারম্যান

দাঙ্গাবাজ মৌটুপী গ্রামে ৫৪ বছরে ১৭ খুন, হোতা দুই চেয়ারম্যান ভৈরব উপজেলার মৌটুপী গ্রামে দুই পরিবারের বিরোধে বাড়িঘরে ভাংচুরের খণ্ডচিত্র। ছবি ও কোলাজ: নিউজবাংলা
কর্তা বংশ আর সরকার বংশ- প্রভাবশালী দুই পরিবারের আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর, আগুন, লুটপাট আর হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের গ্রামটিতে। আসামি গ্রেপ্তার বা কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশও গ্রামটিতে যাওয়ার সাহস পায় না। পুরো গ্রাম জিম্মি দুই পরিবারের কাছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে একটি সাদেকপুর। এই ইউনিয়নের একটি দাঙ্গাবাজ গ্রাম মৌটুপী। সাত হাজার মানুষের ওই গ্রামে রয়েছে দুটি প্রভাবশালী পরিবার- কর্তা বংশ আর সরকার বংশ।

সাদেকপুর ইউনিয়নে দুই বংশের নেতারাই বার বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছেন। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সরকার মো. সাফায়েত উল্লাহ সরকার বংশের লোক। এর আগে তার বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।

সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হক কর্তা বংশের লোক। দুই বংশের দুই চেয়ারম্যান এখন তাদের নিজ নিজ বংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে দুই বংশের ১৭ জন খুন হয়েছেন। এতে কমপক্ষে শতবার সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বার বার মারামারি-সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে এক হাজার মানুষ।

দাঙ্গাবাজ মৌটুপী গ্রামে ৫৪ বছরে ১৭ খুন, হোতা দুই চেয়ারম্যান
মৌটুপী গ্রামে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই পক্ষের অবস্থান। ছবি: নিউজবাংলা

সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কাইয়ূম মিয়া নামে সরকার বাড়ির এক ব্যক্তি খুন হন। আহত হন অন্তত ৫০ জন। এর কয়েক দিন আগে ইকবাল মিয়া নামে একই বংশের এক যুবক খুন হন।

গত ঈদুল আজহার পরদিন নাদিম মিয়া নামে কর্তা বংশের এক ব্যক্তি খুন হন। এর আগে ২০০৫ সালে সরকার বাড়ির সরকার সাফায়েত উল্লাহ চেয়ারম্যানের আপন দুই ভাই ওবাইদুল্লাহ ও হেদায়েত উল্লাহ ও তার এক চাচা সায়দুল্লাহ মিয়া কর্তা বংশের লোকজনের হাতে খুন হয়।

আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে এভাবে আরও বেশকিছু হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ-ভাংচুর লেগেই আছে। এসব খুন-সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও অর্ধশত মামলা আদালতে চলমান। আসামির সংখ্যা দুই বংশের কয়েক শ’ হবে।

তাৎপর্যের বিষয় হলো, দুই বংশের নেতৃত্ব দেয়া দু’জন বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান কেউ এলাকায় থাকেন না। নিজেদের বাড়িঘর থাকলেও তারা ভৈরব শহরে বসবাস করেন। আর প্রভাব বিস্তারের জন্য নেপথ্যে থেকে এলাকায় ঝগড়া-বিবাদ লাগিয়ে রাখেন।

একাধিক খুনের মামলার আসামি সরকার বংশের ‘মাথা’ মো. সাফায়েত উল্লাহ সরকার ও কর্তা বংশের ‘কর্তা’ তোফাজ্জল হক। তারা কখনও আদালত থেকে জামিন নেন, আবার কখনও নেন না। পুলিশের ভাষায় তারা পলাতক।

মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মৌটুপী গ্রামে যায় না। ঝগড়া-সংঘর্ষ হলেও পুলিশ তাৎক্ষনিখ ওই গ্রামে যেতে চায় না। কারণ দাঙ্গাবাজ গ্রামে যেতে পুলিশও ভয় পায়। কখনও গেলেও ব্যাপক আয়োজন করে অর্ধশত পুলিশ সদস্যকে দল বেঁধে যেতে হয়। নয়তো উল্টো পুলিশকেই হামলার শিকার হতে হয়।

দাঙ্গাবাজ মৌটুপী গ্রামে ৫৪ বছরে ১৭ খুন, হোতা দুই চেয়ারম্যান

স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বহুবার চেষ্টা করেও দুই বংশের বিরোধ মীমাংসা করতে পারেননি। বিশেষ করে দুই চেয়ারম্যান মীমাংসায় সম্মতি দেন না। তারা মামলা জিইয়ে রাখতেই যেন বেশি আগ্রহী। এলাকায় তারা মামলাবাজ হিসেবে চিহ্নিত। কারণ মামলা হলেই তাদের অর্থ-বাণিজ্য জমে ওঠে। কোনো পক্ষ কোনো ঘটনায় মামলা করলে আসামি করার ভয় দেখিয়ে তারা লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন। আবার চার্জশিট থেকে নাম প্রত্যাহারের নামেও চলে তাদের ‘বাণিজ্য’। তবে তারা দু’জনই এসব কথা অস্বীকার করেছেন।

মৌটুপী গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা অন্য বংশের লোক হয়েও এসবের বাইরে থেকে বাঁচতে পারি না। কোনো না কোনো বংশকে সমর্থন করতে হয়।

‘গত ৫৪ বছরে এই গ্রামে কমপক্ষে দেড় ডজন খুন হয়েছে, আহত হয়েছে হাজারের উপরে। মামলা হয়েছে শত শত। এসব বিরোধের হোতা দুই বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ ও তোফাজ্জল হক।’

একই গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মৌটুপী গ্রামে দুজন নেতার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুগের পর যুগ ধরে ঝগড়া-বিবাদ ও খুনোখুনি চলছে। এই দু’জনই ঝগড়ার হোতা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে মৌটুপী গ্রাম নীরব হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস আগে কর্তা বাড়ির নাদিম খুন হলে সরকার বাড়ির অন্তত দুশ’ বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পালিয়ে যায় সরকার বাড়ির শত শত পরিবারের লোকজন। পরে সরকার বংশের ইকবাল খুন হলে কর্তা বংশের শতাধিক বাড়িঘর লুটপাট হয়।

‘গত বৃহস্পতিবার তারা বাড়ি এলে আবারও সংঘর্ষ বাধে। খুন হন কাইয়ূম। মানুষ বলছে, দুই চেয়ারম্যানকে পরবাসে পাঠালে গ্রামের বিরোধ থামবে, নতুবা নয়।’

এ বিষয়ে সরকার বংশের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সরকার মো. সাফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘কর্তা বাড়ির বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হক এই বিরোধ লাগিয়ে রেখেছে। তারা আমার দুই ভাই ও চাচাকে হত্যা করেছে। গত শুক্রবারের সংঘর্ষের নায়ক সে, আমি নই। গ্রামের যেকোনো মীমাংসায় আমি রাজি। কিন্ত তোফাজ্জল হক মীমাংসায় রাজি নয়। গ্রামের দাঙ্গার জন্য সে-ই দায়ী।’

অপরদিকে কর্তা বংশের বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক বলেন, ‘৫৪ বছর আগে সাফায়েতের বাবা আমার বংশের কফিল উদ্দিনকে গলা কেটে হত্যা করে। ক’দিন আগে খুন করল আমার ভাই নাদিমকে। আরও কয়েকজনকে খুন করেছে। আমি গ্রামে থাকি না, থাকি ভৈরব শহরে। অথচ একাধিক ঘটনায় সাফায়েত আমাকে মামলার আসামি করেছে। তাহলে কিভাবে মীমাংসা করব।’

এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে গ্রামের দুই চেয়ারম্যানের বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার চলছে জানলাম। স্থানীয় জনগণ মৌটুপীকে দাঙ্গাবাজ গ্রাম বলে ডাকে।

‘আমি দুই মাস হলো এই থানায় যোগদান করেছি। এরই মধ্যে একজন খুন হলো মৌটুপী গ্রামে। এ নিয়ে দুই বংশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা দমন ও নিয়ন্ত্রণে আমি চেষ্টা করছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Army and police vehicles set on fire in Mirpur Three detained

মিরপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ: তিনজন আটক

মিরপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ: তিনজন আটক অভিযানে ভাষানটেক থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। ছবি: আইএসপিআর
বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, ইচ্ছাকৃতভাবে সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছেন সেনা সদস্যরা।

সেনাবাহিনীর একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার অভিযান চালায়।

সে অভিযানে ভাষানটেক থেকে তিনজনকে আটক করা হয় বলে জানায় আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আটক তিনজন হলেন রিফাত, হৃদয় ও ইয়াছিন। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি পদক্ষেপের জন্য ভাষানটেক থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, ইচ্ছাকৃতভাবে সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পাথর নিক্ষেপ করেন এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।

শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে দুই পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন।

আরও পড়ুন:
তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপ এলাকায় ছিনতাই: তিনজন আটক
টেকনাফে সাগরপথে অনুপ্রবেশকালে ৩৭ রোহিঙ্গা আটক
২১ কোটি টাকার তিমির বমিসহ পাচারকারী আটক
সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ সীমান্তে আটক
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আমিনুল আটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Central Bank directives to prevent cyber attacks on banking and financial institutions

ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা

ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা
ব্যাংকিং খাতকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সেবাদানকারীদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকিং খাতকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সেবাদানকারীদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (বিসিএসআই) নিয়মিত তথ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের পর শুক্রবার এই সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কিছু ব্যাংক ডুয়াল-কারেন্সি কার্ডে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত অবৈধ লেনদেনের শিকার হয়েছে, যা দেশব্যাপী সাধারণ গ্রাহকদের প্রভাবিত করছে।

নির্দেশনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার অপরাধীদের ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপকে তুলে ধরেছে, যারা অনবরত জনসাধারণ এবং ব্যাংক গ্রাহকদের একইভাবে হয়রানি করছে।

সাইবার হামলার এই ঊর্ধ্বগতি শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী সাইবার হুমকি বৃদ্ধির প্রবণতাকে চিহ্নিত করে। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে, যেখানে ম্যালওয়্যার আক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বার বার ঘটে থাকে।

এসব সাইবার হুমকি প্রতিরোধে তথ্য আদান-প্রদান, যাচাইকরণ বৃদ্ধি, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ব্যবহার, টু-ফ্যাক্টর/মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন, লগইন প্রচেষ্টার সংখ্যা সীমিত রাখাসহ বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকটি বর্ণিত ঝুঁকির বিষয়ে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক (আইসিটি) তদারকি করবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
নীতি সুদ হার আবারও বাড়িয়ে ১০ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফের মূল নীতি হার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রিজার্ভ: বাংলাদেশ ব্যাংক
সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ইন্টারনেট না থাকলেও ব্যাংক চালু রাখতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Saturday assembly prohibited in Kakrail and surrounding areas DMP

কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় শনিবার সমাবেশ নিষিদ্ধ: ডিএমপি

কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় শনিবার সমাবেশ নিষিদ্ধ: ডিএমপি
রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাংচুর-আগুনের ঘটনা নিয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ঘোষণা দেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে।

রাজধানীর কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় শনিবার সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার ডিএমপি কমিশনার ময়নুল হাসানের সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপি অধ্যাদেশের ২৯ ধারা অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকা থেকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’ ব্যানারে মশাল মিছিল বের হয়। জাতীয় পার্টিকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে দলটির কার্যালয় ঘেরাও করতে বিজয়নগর এলাকায় মিছিল নিয়ে যায় ছাত্র-জনতা। এ সময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা করেন। কার্যালয় থেকে মিছিলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন মিছিলকারী আহত হন।

পরে মিছিলকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাংচুর করে। এ সময় কার্যালয়ে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former minister Ubaidul Moktadi is on remand for five days

সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির পাঁচদিনের রিমান্ডে

সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির পাঁচদিনের রিমান্ডে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী শুক্রবার কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা দশদিনের রিমান্ড চাইলে পাঁচদিন মঞ্জুর করা হয়।

বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে সাবেক এই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুক্রবার উবায়দুল মোকতাদিরকে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন।

উবায়দুল মোকতাদিরের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেপ্তার
সাভারে ছাত্র হত্যার একাধিক মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার 
বাসচালক হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুস শহীদ চারদিনের রিমান্ডে
আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তারের খবরে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে আনন্দ মিছিল
ডিবি হারুনের ‘ক্যাশিয়ার’ মোকাররম ফতুল্লায় গ্রেপ্তার

মন্তব্য

p
উপরে