× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Tutor arrested for raping student
google_news print-icon

ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গৃহশিক্ষক গ্রেপ্তার

ছাত্রী-ধর্ষণের-অভিযোগে-গৃহশিক্ষক-গ্রেপ্তার
সাভারে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।’

সাভারে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় এক গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷

গ্রেপ্তার রাকিবুল কবির শিপন সাভার পৌরসভা এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জামসিং এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় দেওগাঁও স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।

সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা মামলা করলে রোববার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে আদালতে পাঠায় সাভার মডেল থানা পুলিশ। ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।’

মামলার এজাহারে বলা হয়, দীর্ঘ সাত মাস ধরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন শিক্ষক রাকিবুল। বিভিন্ন সময় সেই শিক্ষার্থীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তিনি। গত ১৩ জুন বাসা ফাঁকা পেয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক।

এরপর বিষয়টি গোপন রাখার হুমকি দিয়ে চলে যান তিনি। এরপর থেকে রাকিবুল আর ভুক্তভোগীকে পড়াতে যাননি। ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Former MP Dhirendra Debnath Shambhu Arrested in Uttara

সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উত্তরায় গ্রেপ্তার

সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু 
উত্তরায় গ্রেপ্তার ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। ফাইল ছবি
বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে সোমবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

বরগুনার আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরা থেকে গ্রেপ্তারের পর ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলায় ছাত্র-জনতা হতাহতের ঘটনায় মামলা রয়েছে। বরগুনা-১ আসনের সাবেক এই এমপি একাধিক মামলার আসামি।

আরও পড়ুন:
আমুর গ্রেপ্তারে ঝালকাঠিতে মিষ্টি বিতরণ
হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সার তিনদিনের রিমান্ডে
ধানমন্ডি থেকে আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার
গান বাংলা’র চেয়ারম্যান তাপস গ্রেপ্তার
সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির পাঁচদিনের রিমান্ডে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transfer of 64 top level officers in police OSD

পুলিশে শীর্ষ পর্যায়ের ৬৪ কর্মকর্তাকে বদলি-ওএসডি

পুলিশে শীর্ষ পর্যায়ের ৬৪ কর্মকর্তাকে বদলি-ওএসডি
একটি প্রজ্ঞাপনে একজন ডিআইজি, আটজন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ৩৯ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়। অপর প্রজ্ঞাপনে একজন ডিআইজি, পাঁচজন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ১০ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৬৪ কর্মকর্তাকে বদলি ও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে সোমবার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এই বদলি ও প্রত্যাহার করা হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপ-সচিব আবু সাঈদ।

একটি প্রজ্ঞাপনে একজন ডিআইজি, আটজন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ৩৯ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়।

আরেকটি প্রজ্ঞাপনে একজন ডিআইজি, পাঁচজন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ১০ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
২৫২ এসআইকে অব্যাহতি রাজনৈতিক কারণে নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 
শৃঙ্খলাভঙ্গ: সারদায় ২৫০ ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি
পুলিশের ৪০তম বিসিএস ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
পুলিশে সংস্কারে প্রয়োজনে ওয়েবসাইটে সাধারণের মতামত নেবে কমিশন
কাজে যোগ না দেয়া পুলিশ সদস্যরা অপরাধী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In view of ACCs application the court has banned former MP of Comilla 6 Constituency AKM Bahauddin Bahar his wife Mehrunnecha daughter Tahsin Bahar former mayor of Comilla City Corporation and son Ayman Bahar from traveling abroad

স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি বাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি বাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সাবেক এমপি বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা। কোলাজ: নিউজবাংলা
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা, মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা ও ছেলে আয়মান বাহারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা, মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা ও ছেলে আয়মান বাহারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, আ ক ম বাহাউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর উত্তরায় ফ্ল্যাট, কুমিল্লার হাউজিং এস্টেটে একাধিক প্লট, মার্কেটসহ আরও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।

অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট আ ক ম বাহাউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে পলায়ন করতে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

এদিন দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আদালতে শুনানি করেন।

আরও পড়ুন:
সাবেক এমপি নিক্সন, মির্জা আজম ও ওদুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক তিন এমপি ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এস আলম পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleda Zias sentence was stayed and the appeal was allowed
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া ১০ বছরের সাজা আপিল শুনানি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেছে সর্বোচ্চ আদালত। খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজা স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। শুনানিতে বিএনপি প্রধানের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ‘এই মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট ফরমায়েশি রায় দিয়েছিল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এই মামলা ব্যবহার করা হয়েছে। মামলায় ইতোপূর্বে ন্যায়বিচার পাইনি।’

আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা সংক্রান্ত রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। রায়ের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ার আনা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এই আদেশ দেয়া হয়। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে আপিলের ওপর শুনানি হবে।’

বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকা আত্মসাৎ হয়নি বলে সর্বোচ্চ আদালতকে জানান দুদকের আইনজীবী।

শুনানিতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. আসিফ হাসান আদালতকে বলেন, ‘এই ট্রাস্টের টাকা কিন্তু আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা মুভ হয়েছে। তবে সুদে-আসলে অ্যাকাউন্টেই টাকাটা জমা আছে, কোনো টাকা ব্যয় হয়নি।’

দুদক আইনজীবী মামলায় এজাহার, অভিযোগপত্র ও সাক্ষ্যের অংশ তুলে ধরেন। তিনি মামলার ডকুমেন্টস থেকে বেগম খালেদা জিয়া এ মামলার অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন উপাদান পেশ করেন।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে লিভ মঞ্জুরের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।

হাইকোর্ট রায়টি আদালতে পড়ে শোনান ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

আদালতের অনুমতি নিয়ে এ মামলায় বিচারিক আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া জবানবন্দি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের জবানবন্দি ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বেগম খালেদা জিয়ার এই জবানবন্দি তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব বহন করে।’

জবানবন্দিতে বেগম খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে বিচারের প্রেক্ষাপট, হয়রানির বিষয় তুলে ধরেন। বিচার বিভাগের ওপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রণের নানা দিক তুলে ধরা হয় এ জবানবন্দিতে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেয় হাইকোর্ট। এরপর সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। গত ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। তার অংশ হিসেবে নিজের খরচে পেপারবুক (মামলা বৃত্তান্ত) তৈরির আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট।

এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

তবে রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমার পরও মামলা দুটি আইনগতভাবে লড়ার কথা জানিয়ে আইনজীবী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি তার সাজা মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে তিনি আইনজীবীদের বলেছেন।’

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার নামে মানহানির মামলা খারিজ
খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়া হয়েছে
পুলিশি নিরাপত্তা পেলেন খালেদা জিয়া
ধ্বংস-প্রতিশোধ নয়, আসুন শান্তির সমাজ গড়ে তুলি
খালেদা জিয়া মুক্ত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Why did the teacher kill the child Muntaha

শিশু মুনতাহাকে কেন ‘হত্যা করলেন’ গৃহশিক্ষিকা

শিশু মুনতাহাকে কেন ‘হত্যা করলেন’ গৃহশিক্ষিকা শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন এবং সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া আক্তার ও তার মা আলিফজান বিবি। ছবি ও কোলাজ: নিউজবাংলা
সিলেটের কানাইঘাটে ছয় বছর বয়সী শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনকে হত্যা করেছের তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া আক্তার। আর এই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেন তার মা। রোববার ভোরে শিশুটি মরদেহ মারজিয়ার মা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন।

সিলেটের কানাইঘাটে ছয় বছর বয়সী শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনকে হত্যা করেছের তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া আক্তার। আর এই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেন তার মা। রোববার ভোরে শিশুটি মরদেহ মারজিয়ার মা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন।

এমনটি জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল। তিনি জানান, এই ঘটনায় গৃ্‌হশিক্ষিকা মার্জিয়া এবং তার মা আলিফজান বিবি ও তার আরেক দাদি কুতুবজানকে আটক করা হয়। তারা মুনতাহাদের পাশের বাসার বাসিন্দা।

তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে আরও তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন ও ইসলাম উদ্দিনের নাম-পরিচয় জানা গেলেও অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

শিশু মুনতাহা আটদিন নিখোঁজ থাকার পর রোববার ভোর ৪টার দিকে নিজেদের পুকুর থেকে ওর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জের ধরে মুনতাহার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষিকা ওকে অপহরণ করে হত্যা করেন। প্রতিবেশী ও মুনতাহার শিক্ষক সুমিকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেয়ায় ক্ষোভ ছিল তার পরিবারের ওপর। এছাড়া মার্জিয়ার ওপর চুরির অপবাদ দেয়ায় সেই ক্ষোভ থেকেও তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন।

মুনতাহা কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। শিশুটি ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় হয়। তার সন্ধান চেয়ে দেশ-বিদেশে অনেকে পুরস্কারও ঘোষণা করেন।

কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘গত রাতেই (শনিবার) সন্দেহবশত আমরা মুনতাহার হাউস টিউটরকে ধরে নিয়ে আসি। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হচ্ছিলো। তখন হাউস টিউটরের বাড়ির দিকে নজর রাখার জন্য রাতেই আমরা মুনতাহার পরিবারের সদস্যদের বলি।

‘ভোরের দিকে মুনতাহার পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান বাড়ির পাশের একটি ছড়ার মাটি খুঁড়ে মুনতাহার মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দেন ওই হাউস টিউটরের মা আলিফজান বিবি। স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে ধরে আমাদের খবর দেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি এবং হাউস টিউটরের মা ও তার নানিকে ধরে নিয়ে আসি।’

মরদেহের গলায় রশি প্যাঁচানো ছিল ও শরীরে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে হাউস টিউটর ও তার মা মুনতাহাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পূর্ববিরোধের কারণে এ‌ই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।’

মুনতাহার চাচা কয়সর আহমেদ জানান, সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া পূর্বশত্রুতার জের ধরে মুনতাহাকে অপহরণ করে হত্যা করে। পরে বাড়ির পাশে ডোবায় কাদায় পুঁতে রাখে। ভোরের দিকে সুমির মা আলিফজান বিবি সেই লাশ সরিয়ে নিতে গেলে জনতার হাতে আটক হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মার্জিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ডোবায় ফেলে রাখা হয়। সুমিকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে মুনতাহা। পরে প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর থেকে তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভোরেই গৃহশিক্ষিকা সুমির ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। আর দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে মুনতাহার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘মুনতাহা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পুলিশ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছিল। কিন্তু কোনো ক্লু পাচ্ছিল না।

‘শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে তারা মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে করেন। পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্যকে মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কী না খোঁজ নিতে বলেন।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশের তথ্যমতে মুনতাহার স্বজনসহ স্থানীয়রা রোববার রাতভর মাটিখোড়া কোনো জায়গা আছে কী না খুঁজতে থাকেন। ফজরের আজানের আগ মুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখে স্থানীয়রা তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান তারা।

‘আটকের পর আলিফজান বিবি জানিয়েছেন যে মরদেহ প্রথমে মাটিতে পুঁতে ফেলেছিলেন। রাতে সেখান থেকে মরদেহ তুলে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলতে চেয়েছিলেন তারা।’

আফসার উদ্দিন আরও বলেন, ‘মার্জিয়া মুনতাহার প্রতিবেশী ছিল। এক সময় ভিক্ষা করতেন মার্জিয়ার মা ও নানি। স্বামী-পরিত্যক্তা মার্জিয়া বাড়ির বাইরে গেলে মুনতাহাকে সঙ্গে নিতেন। সবাই তাকে বিশ্বাসও করতেন।’

আরও পড়ুন:
শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার, হাউস টিউটরসহ তিনজন আটক
সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোর অভিযোগ, বিষপানে আত্মহত্যা
মুন্সীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু
গভীর রাতে ঘরে ঢুকে গুলি করে নারীকে হত্যা
ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
UPDF organizer killed in two sided firing in Panchari

পানছড়িতে দু’পক্ষে গোলাগুলি, ইউপিডিএফ সংগঠক নিহত

পানছড়িতে দু’পক্ষে গোলাগুলি, ইউপিডিএফ সংগঠক নিহত
ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এক বিবৃতিতে বলেছেন, জনসংহতি সমিতির (সন্তু লারমা) একদল সশস্ত্র সদস্য ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালালে মিটন চাকমা নিহত হন। তিনি ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুদকছড়ায় ভারতবর্ষ পাড়ায় পাহাড়ি দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত মিটন চাকমা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রসিত দলের পানছড়ির সংগঠক বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। মিটন চাকমা রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে মারা যায়।

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসিম জানান, রোববার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকায় গোলাগুলি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর জানা যায়নি।

নিরন চাকমার পাঠানো ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, জনসংহতি সমিতির (সন্তু লারমা) একদল সশস্ত্র সদস্য ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালালে মিটন চাকমা নিহত হন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, মিটন চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন উদোল বাগান গ্রামের সুশান্ত চাকমার ছেলে। তিনি ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফে যোগ দেন তিনি।

বিবৃতিতে অবিলম্বে পানছড়িতে অবস্থানরত জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ ও মিটন চাকমা হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।

এর আগে ৩০ অক্টোবর একই উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের শুকনাছড়ি শান্তিরঞ্জন পাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপিডিএফের তিন কর্মী নিহত হন। তারা প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ কর্মী ছিল। ওই ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ।

আরও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের তিন সদস্যকে গুলি করে হত্যা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sick Palak admitted to hospital on remand

রিমান্ডে অসুস্থ পলক, হাসপাতালে ভর্তি

রিমান্ডে অসুস্থ পলক, হাসপাতালে ভর্তি সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ফাইল ছবি
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ড চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে শনিবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে এখানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

পতিত সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রিমান্ড চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

ঢামেক হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা পলক।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফারুক জানান, হেফাজতে থাকা অবস্থায় স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দিলে শনিবার রাত ৯টার দিকে জুনাইদ আহমেদ পলককে হাসপাতালে আনা হয়।

প্রসঙ্গত, আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত ১৪ আগস্ট রাজধানীর নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশাচালক হত্যা মামলায় প্রথমবারের মতো তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এরপর আরও একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রিমান্ড শেষে মেনন, ইনু ও পলককে কারাগারে প্রেরণ
আমু ৬ দিনের রিমান্ডে
হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সার তিনদিনের রিমান্ডে
সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির পাঁচদিনের রিমান্ডে
বাসচালক হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুস শহীদ চারদিনের রিমান্ডে

মন্তব্য

p
উপরে