তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি বলেছে অক্টোবরে নাকি ফাইনাল খেলা হবে। আমরাও ফাইনাল খেলার জন্য বসে আছি। কিন্তু ফাইনাল খেলার আগে বিএনপি দেখতে পাবে তাদের খেলার টিমে ১১জন নেই।’
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু’র সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহে দেখতে পাবেন বিএনপির খেলোয়াড়রা টিম ছেড়ে অন্য দলে পালিয়ে গেছে। যে পথে তাদের নেতা শমসের মবিন ও তৈমূর আলম খন্দকার গেছেন, সেভাবে আরও অনেকেই পালানোর তালিকায় আছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আজ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি কয়দিন গণমিছিল, কয়দিন অবস্থান, আবার কয়দিন হাঁটা, কয়দিন দৌড়, কয়দিন বসা কর্মসূচি দেয়। বাকি আছে তাদের হামাগুড়ি কর্মসূচি দেয়া। এখন দেখার বিষয় বিএনপি কখন হামাগুড়ি কর্মসূচি দেয়।’
‘ভিসা নীতিতে বিএনপিই চাপে’
যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে তাতে বলা হয়েছে- যারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিপক্ষ হবে তারাই এই ভিসানীতির মধ্যে আসবে। আর বিএনপি এখন নির্বাচনে বাধা দেয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। তারা বলছে- নির্বাচন প্রতিহত করবে। তাহলে কারা এই ভিসানীতির আওতায় আসবে- এমন প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ওপর বিএনপির কোনো ভরসা নেই, ধীরে ধীরে তাদের সমাবেশ ছোট হয়ে আসছে, এজন্য ঘন ঘন বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘ভিসা নীতিতে সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ কোনো চাপ অনুভব করছে না। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। এটির পরিপ্রেক্ষিতে বরং বিএনপির ওপরই চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিলেও কোনো লাভ হয়নি। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকারপ্রধান হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশ আমাদের। এদেশে নির্বাচন কিভাবে হবে সেটি আমরা ঠিক করবো, নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। আমাদেরকে গণতন্ত্র কাউকে শেখাতে হবেনা। আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা জানি। কিভাবে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেটিও আমরা জানি।’
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচের সঞ্চালনায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট প্রমুখ।
আরও পড়ুন:বুধবার সকাল থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ডাকা এই অবরোধ শেষ হবে শুক্রবার সকাল ৬টায়।
এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সোমবার এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার দেশবাসী এবং বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জাানিয়েছেন তিনি।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ পরিবহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে।
বিএনপির এই অবরোধ-হরতালের এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে গত ২৮ অক্টোবরের পর। সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে সেদিন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করছিল বিএনপি। ওই সমাবেশ চলাকালে এক পর্যায়ে দৈনিক বাংলা মোড়, কাকরাইল ও পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান দলটির নেতা-কর্মীরা।
এ অবস্থায় সমাবেশ কর্মসূচি চলার মধ্যেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতালের ডাক দেন। পরে একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। অজ্ঞাত স্থান থেকে রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি দেন। বিএনপির অবরোধে একাত্মতা জানায় জামায়াতে ইসলামীও।
এর পর থেকে বিরতি দিয়ে দফায় দফায় অবরোধ-হরতালের ঘোষণা দিয়ে আসছে বিএনপি। দলীয় সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ কিছু দাবিতে এমন কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে। তবে এর মাঝে নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল দিয়েছিল বিএনপি। এ ছাড়া একদিন হরতাল ও একদিন অবরোধও ঘোষণা করা হয়েছিল। সর্বশেষ ঘোষণা করা হয় টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ।
বিএনপির ডাকা অবরোধে প্রতিদিনই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল নিক্ষেপসহ নানা সহিংসতা হচ্ছে। কঠোর অবস্থানে থেকে দলটির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। তবে আতঙ্ক সঙ্গে করেই বাইরে বের হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন:রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা যখন প্রথমবার সংসদ নির্বাচন করেন, তখন তার হাতে নগদ টাকা ছিল ১৫ হাজার। তবে এখন তার নগদ টাকার পরিমাণ ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৫ টাকা। গত দেড় দশকে ফজলে হোসেন বাদশার অর্থ-সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ; হয়েছে নতুন বাড়ি-গাড়ি।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। তবে এ ব্যাপারে ফজলে হোসেন বাদশার দাবি, তার অর্থ বৃদ্ধিতে অস্বাভাবিক কিছু নেই।
২০০৮ সালের নির্বাচনে হলফনামায় দেখা গেছে, ওই সময় ফজলে হোসেন বাদশার সব মিলিয়ে এক কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ৬৪০ টাকার সম্পদ ছিল। সে সময় তার নগদ অর্থ ছিল মাত্র ১৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে ছিল ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬০টাকা। তার স্ত্রীর বিয়েতে উপহার পাওয়া ৫০ ভরি সোনা ছিল। এর বাইরে আসবাবপত্র, গাড়ি মিলে মোট ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সম্পদ ছিল। বাদশার স্ত্রীর নামে ছিল ৫ কাঠা জমি। এ ছাড়াও তার পরিবারের সাবার মিলে একটি সেমিপাকা মার্কেট ও ১৬ কাঠা জমি ছিল। ছিল একটি দোতলা বাড়িও।
২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলনামার তথ্যে দেখা যায় তার সম্পদ ও অর্থ অনেকটাই বেড়ে গেছে। ওই হলফনামায় দেখা যায়, শুধুমাত্র নগদ অর্থ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২০ হাজার ৫৯১টাকা। এছাড়াও ব্যাংক ও নগদ অর্থ মিলে দাঁড়ায় ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫১৫ টাকা। এ ছাড়া ১৮ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩০ টাকা দামের গাড়ি, বাড়ির আবসাবপত্র বেড়ে দাঁড়ায় ২০ লাখ টাকা। সে সময় তার রাজধানীর উত্তরায় ৫ কাঠা জমিও হয়।
২০১৮ সালের নির্বাচনকালে তার অর্থের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। ওই বছরের হলফনামায় দেখা যায়, বাদশার হয়েছে নতুন মার্কেট। গুড়িপাড়ায় হয়েছে ৫ কাঠা জমি। হড়গ্রামে নির্মিত হয়েছে খন্দকার মার্কেট কমপ্লেক্স। নগদ ও ব্যাংক মিলে সে সময় অর্থ দাঁড়ায় ৪১ লাখ ১৬ হজার ৪৮৬ টাকা। এ ছাড়া স্ত্রীর নগদ টাকা ও সেভিংস মিলে দাঁড়ায় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দুটি গাড়ির দাম দেখোনো হয় ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে তার সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়েছে। এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে তার সম্পদের যে বিবরণ দাখিল করেছেন, সেখানে তার নগদ ও ব্যাংকে টাকার পরিমাণ বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এবারের হলফনামা থেকে দেখা যায়, তার মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৫ টাকা। এর মধ্যে তার নগদ টাকা রয়েছে ২৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এর বাইরে একটি ৭০ লাখ টাকার জিপ গাড়ি রয়েছে।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক আয় বেড়েছে। এটা নিশ্চয় আমাদের গাড়ি-বাড়ি দেখে বুঝতে পেরেছেন। এটি আমাদের পারিবারিক আয়। এটি একক নয়। এর বাইরে গাড়ি আমাদের ব্যাংক লোন থেকে নেয়া হয়েছে। এটি সব এমপিই নেন, আমিও নিয়েছি।’
তার এই আয়কে স্বাভাবিক বলেই দাবি করেন ফজলে হোসেন বাদশা।
আরও পড়ুন:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের শরিকদের আসন বণ্টনের বিষয়টি নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন জোটের মুখপাত্র এববং সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন জোটগতভাবে হবে। এ বিষয়ে আগামীকাল (বুধবার) জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করবে আওয়ামী লীগ।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘অন্যান্য দলের মতো ১৪ দল আসন ভাগাভাগির জোট নয়। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আছে। ১৭ তারিখের আগে জোট শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। জোটের আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইস্কাটনের বাসায় জোটের দুই শরীক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আমু বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) আমাদের ১৪ দলের নেত্রী একটি সভা করেছেন। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তখন আসনের বিষয়ে কথা উঠে এসেছে।’
বৈঠক শেষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক এবং রাতের খাবারের মধ্য দিয়ে এই বার্তা পরিষ্কারভাবে দিয়েছেন যে, জোট আছে, জোট একসঙ্গে নির্বাচন করবে। আসন ভাগাভাগির বিষয়টা আমরা নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হব।’
ইনু বলেন, ‘যেকোনো লেনদেনে দর কষাকষি হবে, মন কষাকষি হবে। বন্ধুদের মধ্যে দরকষাকষি হয়, মন কষাকষি হয়। দিনের শেষে হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে বেরিয়ে যাব। যেখানে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবে।’
মঙ্গলবার আমির হোসেন আমুর বাসায় তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতারা। সেই বৈঠকে নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর আসন বণ্টনের জন্য চার সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়। আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ কমিটির সদস্য।
উল্লেখ্য, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
আরও পড়ুন:তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলতে পারে না, কারণ তারা নিজেরাই চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছেন, রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, এখনও করছে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে উপমহাদেশের স্মরণীয় রাজনীতিক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আহমেদ ফিরোজের ‘সোহরাওয়ার্দী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গ্রন্থকার, তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার খালেদা বেগম এবং মো. আবদুল জলিল মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। সেটি জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনাবিচারে হত্যা করা।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু নামের মিল থাকায় মানুষকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময় সে চিৎকার করে বলছে- আমি সেই ব্যক্তি নই, আমি সেই ব্যক্তি নই, কিন্তু কে শোনে কার কথা। এমনও ঘটেছে, ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরে রায় হয়েছে। অল দিজ আর ডকুমেন্টেড।
‘জিয়াউর রহমানের এডিসি ছিলেন যিনি এখন কানাডায় থাকেন, তিনি নিজে বলেছেন, এই মৃত্যুদণ্ডের ফাইলগুলো জিয়াউর রহমান সকালবেলা নাস্তার সময় সই করতেন। বিদেশ যাত্রাকালে প্লেনে ওঠার আগে সিঁড়িতেও মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছেন। এভাবে মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাদের গ্রেনেড হামলায় ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি নিহত ও ৫০০ জন আহত হয়েছিল। সেই হামলার পর যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছিল সেটির রিপোর্ট ছিল গাঁজাখুরি। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়াসহ তার সংসদ সদস্যদের হাস্যরস- এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।’
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি বলতে চোরাগোপ্তা হামলা করে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো আর মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করা। তারা তাদের সন্ত্রাসীদের নামিয়েছে, নেশাখোরদের টাকা দিয়ে এগুলো করাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে দিনমজুরকে সারা দিনের ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা মজুরির জায়গায় ২ হাজার টাকা ধরে দিবে বলে- এটা মেরে দিয়ে আসো। এগুলো দুষ্কৃতিকারীদের কাজ। বিএনপি-জামায়াত এ দুটি সংগঠন এখন দুষ্কৃতিকারী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা দুষ্কৃতিকারীদের দমন করতে বদ্ধপরিকর।’
আওয়ামী লীগের জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ১৪ দলীয় জোটগতভাবেই আমরা নির্বাচন করব। আমাদের কাছে শরিকদের সবসময় গুরুত্ব আছে, সেজন্য জোটগতভাবে আমরা নির্বাচন করছি। আমাদের এককভাবে নির্বাচন করার শক্তি, ক্ষমতা, সমর্থন আছে কিন্তু শরিকদেরকে গুরুত্ব দেয়া হয় বিধায় আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আর জাতীয় পার্টি প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা যেভাবে নির্বাচন যুদ্ধে নেমেছে সে জন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২০০৮ সালে আমরা জোটগতভাবে মহাজোট গঠন করেছিলাম, গতবারও তারা আমাদের সঙ্গে ছিল, এবারও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
সোহরাওয়ার্দী ছিলেন রাজনীতির ধ্রুবতারা
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে ‘সোহরাওয়ার্দী’ গ্রন্থমোড়ক উন্মোচনকালে গ্রন্থকার আহমেদ ফিরোজ এবং কথাপ্রকাশ প্রকাশনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এ দেশের রাজনীতির আকাশে একজন ধ্রুবতারা। তিনি শুধুমাত্র অবিভক্ত বাংলার এবং পাকিস্তানেরও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তা নয়, তিনি দেশ বিভাগের সময় বাংলা এবং আসাম নিয়ে একটি স্বাধীন দেশ রচনার চেষ্টা করেছিলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আজীবন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন, গণতন্ত্রকে যারা হরণ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। দেশ বিভাগের পর যখন পাকিস্তানের ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানে কেন্দ্রীভূত হলো এবং বাঙালিরা বঞ্চিত হচ্ছিল, তখন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সেটির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।’
বঙ্গবন্ধুকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনেক ভূমিকা ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব তিনি হচ্ছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়েই তার রাজনীতি শুরু হয়েছিল। তার ওপর পশ্চিম পাকিস্তানে পার্লামেন্টের সামনে আক্রমণ হয়েছিল, অপদস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো কিছুর কাছেই তিনি কখনো মাথানত করেননি। আমৃত্যু গণতন্ত্রের জন্য তিনি আপোষহীন ছিলেন। আজকে তার এই ৬০তম শাহাদৎবার্ষিকীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’
পুলিশের কাজে বাধা ও হত্যার উদ্দ্যেশ্যে হামলার বিষয়ে নাশকতার মামলায় তিন বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ৬৭ বছর বয়সী মো. নূর হোসেন নুরু, কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাজী ৬৪ বছর বয়সী মো. আফজাল হোসেন শিকদার এবং কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ৫৯ বছর বয়সী হাজী মো. সালাউদ্দিন।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর ও ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে র্যাব-১০-এর উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২৮ অক্টোবর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো অবরোধের নামে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাস, ট্রাক, সিএনজি, লেগুনা, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন পরিবহনে ভাঙচুর, ককটেল নিক্ষেপ এবং অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি ২৮ অক্টোবর একজন পুলিশ কনস্টেবলকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাসহ সারা দেশে ব্যাপক নাশকতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দিনভর ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ জন বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার নাশকতা মামলার আসামি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা বিভিন্ন সময় নাশকতার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া তারা আগেও কেরানীগঞ্জ, রাজধানীর কদমতলী, যাত্রাবাড়ী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, বাসে অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ারকার্স পার্টি ও জাসদের দুই শীর্ষ নেতা।
রাজধানীতে জোটের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর বাসায় মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠক করেন তারা। বৈঠক থেকে বের হয়ে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, আসন ভাগাভাগি যেন জোটের জন্য সম্মানজনক হয়, সেটাই প্রত্যাশা। আমাদের এখন ১০ জন সংসদ সদস্য আছেন। প্রত্যাশা ২০ জনের।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, জোটের মর্যাদা সম্মান রক্ষা করে আসন যেনো চূড়ান্ত হয় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে
ইনু আরও বলেন, জোটের প্রার্থীরা নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। জোটের প্রার্থীর আসনে আওয়ামী লীগের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিভ্রান্তি দেখা দেবে। সে বিষয়টি আওয়ামী লীগ বিবেচনা করবে বলে আশা করি।
তিনি উল্লেখ করেন শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা হয়নি, এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমির হোসেন আমুকে। সে ধারাবাহিকতায় বৈঠক। অল্প কয়দিনের মধ্যে জানা যাবে জোটের প্রার্থী কারা হবেন।
রাশেদ খান মেনন জানান, জোটের পক্ষ থেকে একটা তালিকা দেয়া হয়েছে, আগের চেয়ে কিছু আসন বেশি চেয়েছে ১৪ দল।
বৈঠকে এ দুই নেতাও ছাড়াও জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় নিজের পেশা ‘শিক্ষকতা ও অন্যান্য’ বলে উল্লেখ করেছিলেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সেই বার সিলেট-১ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
আবারও একই আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন মোমেন। এবার হলফানামায় নিজের পেশা হিসেবে ‘রাজনীতি ও অন্যান্য’ উল্লেখ করেছেন তিনি। শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতিকে পেশা হিসেবে গ্রহণের এই পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ প্রায় দিগুণ হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। তবে এই সময়ে কমেছে তার আয়।
একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেয়া দুটি হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আব্দুল মোমেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এবার তার ব্যাংকে আছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৭৯ লাখা টাকা। যা গত নির্বাচনের আগে ছিলো ২ কোটি ৮৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। পাঁচ বছরে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকার।
স্নাতকোত্তর পাস মোমেনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
হলফনামা অনুযায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্ষিক আয় এখন ২৬ লাখ টাকার কিছু বেশি, যা ২০১৮ সালে ছিল প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। বর্তমানে বাড়ি ও দোকানভাড়া থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা, পেশা থেকে প্রায় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকের মুনাফা বাবদ প্রায় ৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।
মোমেনের বর্তমানে স্থাবর সম্পদ তেমন একটা বাড়েনি। এখন তার স্থাবর সম্পদ রয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার। ২০১৮ সালে তা ছিল ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যের।
এই পাঁচ বছরে মোমেনের স্ত্রী সেলিনা মোমেনের সম্পদ বাড়েনি। এবারও ২০১৮ সালের সমপরিমান ৮ লাখ টাকা অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তার।
সিলেট-১ আসনে এবার মোট সাতজন মনোনয়পত্র জমা দিয়েছিলেন। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আব্দুল মোমেন। এরপরই রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
পেশায় আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের বার্ষিক আয় প্রায় ১৭ লাখ টাকা। তার ২ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। আর স্ত্রীর রয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ। মিসবাহের স্থাবর সম্পদ আছে ৬৮ লাখ টাকার। তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে দোতলা একটি বাড়ি আছে। তবে মোমেনের কোনো ঋণ না থাকলেও মিসবাহের সাড়ে ৩৭ লাখ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে।
পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ফয়জুল হক কামিল পাস। তার বার্ষিক আয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং ৬০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ আছে। ফয়জুলের পাঁচ লাখ টাকার ব্যাংকঋণ আছে।
এই আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল হান্নান হলফনামায় নিজেকে ‘স্বশিক্ষিত’ দাবি করেছেন। তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তার সোয়া দুই লাখ টাকা মূল্যের এবং তার স্ত্রীর তিন লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। হান্নানের স্থাবর সম্পদের মূল্য চার লাখ টাকা।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ সোহেল আহমদ চৌধুরী স্নাতকোত্তর পাস। নিজের পেশা হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন ‘সমাজসেবা’। তার কোনো আয় নেই বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়, তবে ৮০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য