× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
He is walking around the campus with expulsion papers
google_news print-icon
চবি ছাত্রলীগ

বহিষ্কার কাগজে-কলমে, দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ক্যাম্পাসে


বহিষ্কার-কাগজে-কলমে-দাপিয়ে-বেড়াচ্ছেন-ক্যাম্পাসে
চবি ক্যাম্পাসে সাংবাদিককে মারধর করে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কৃত হওয়া শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দিতে দেখা যায়। ছবি: নিউজবাংলা
চবি ক্যাম্পাসে এক সাংবাদিককে মারধর করে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছিলেন শাখা ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা। অথচ বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দিতে দেখা যায় তাদের।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অনিয়মে বহিষ্কারের আইনটি যেন কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। চবি শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কৃত হলেও ক্যাম্পাসেই দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায় তাদের।

বহিষ্কৃত হয়েও তারা থাকছেন হলে, করছেন নিয়মিত ক্লাস, দিচ্ছেন পরীক্ষা। আবার রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও তাদের নিয়মিত অংশ নিতে দেখা যায়।

চবি ক্যাম্পাসে এক সাংবাদিককে মারধর করে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছিলেন শাখা ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা। অথচ বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দিতে দেখা যায় তাদের।

ওই দুই নেতা হলেন শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ ও উপদপ্তর সম্পাদক আরাফাত হোসেন রায়হান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, বহিষ্কারের মেয়াদের মধ্যে বহিষ্কৃত কেউ ক্যাম্পাসে কিংবা হলে অবস্থান করতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমেও অংশ নিতে পারবেন না।

এ নিয়ে গত ১৪ আগস্ট প্রক্টরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক দোস্ত মোহাম্মদ, তবে চিঠি দিয়েও মেলেনি প্রতিকার।

আক্ষেপ করে ভুক্তভোগী এ সাংবাদিক বলেন, ‘বহিষ্কার হওয়ার পরও দোষীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে অংশগ্রহণ ও হলে অবস্থানসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বহিষ্কারাদেশ শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ।

‘বহিষ্কৃতরা আমাকে দেখে উপহাসমূলক আচরণ এবং আমার দিকে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকে। তাদের এমন আচরণে আমি খুবই শঙ্কিত। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা না নেয়ায় আমি অনিরাপদ বোধ করছি।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালেদ মাসুদ ও আরাফাত হোসেনসহ শাখা ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতা-কর্মীরা পুরো ক্যাম্পাসে বাইক শোডাউন দিচ্ছেন। ওই সময় খালেদ মাসুদের বাইকের পেছনে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদাফ খানকে দেখা যায়। আলাদা বাইকে আরাফাত রায়হানসহ সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতা-কর্মীদের দেখা গেছে।

জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতা সাদাফ খান বলেন, ‘সে (খালেদ মাসুদ) ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের বিষয়টা প্রশাসন দেখবে, আমরা তো প্রশাসন নই। সে আমাদের ছোট ভাই, ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে থাকতেই পারে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. ফরিদুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী যাদের বহিষ্কার করা হবে, তারা কেউ ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না। এটা নিশ্চিতের দায়িত্ব প্রক্টরিয়াল বডির।’

চবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রশাসনের বহিষ্কার কিংবা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শুধুই লোক দেখানো। বহিষ্কৃত কিংবা শাস্তিপ্রাপ্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে হলে অবস্থান করছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নিচ্ছে। প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গেও বৈঠক করছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। প্রশাসনের এরূপ নির্লিপ্ততার নিন্দা জানাই।’

এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি তাদের দেখলে ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন:
চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৬
এডিসি হারুনকাণ্ড: তদন্তের সময় বাড়ল আরও ৩ দিন
এডিসি হারুনকাণ্ড: আরও ৭ দিন সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি
এডিসি হারুনকাণ্ডে সব পক্ষেরই দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি
শাবিতে ছাত্রলীগের হাতাহাতি, হলের কক্ষ ভাঙচুর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Torture Four Kuwait students canceled four lifetime credentials

নির্যাতন: কুয়েটের ১০ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার, চারজনের সনদ বাতিল

নির্যাতন: কুয়েটের ১০ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার, চারজনের সনদ বাতিল কুয়েট ক্যাম্পাসের একটি এলাকা। ফাইল ছবি
কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সরকারবিরোধী চ্যাটিংয়ের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ১০ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদের মধ্যে চারজনের বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ বাতিল করা হয়েছে। দুইজনকে তিন বছর এবং একজনকে পাঁচ বছরের জন্য সনদ প্রদান না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ২৭ জানুয়ারি কুয়েটের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সোমবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

যারা বহিষ্কৃত হলেন

আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, রায়হান আহমেদ, সাদ আহমেদ, সাজেদুল কবির, আদনান রাফি, রিজুয়ান ইসলাম রিজভী, ফায়াদুজ্জামান ফাহিম, মেহেদী হাসান মিঠু, সাফাত মোর্শেদ ও ফখরুল ইসলাম। তাদের মধ্যে রায়হান, সাদ, সাজেদুল ও রাফির বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ বাতিল করা হয়েছে।

এ ছাড়া মোস্তাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য এবং শুভেন্দু দাস ও ফারিয়ার জামিল নিহালকে তিন বছরের জন্য সনদ প্রদান না করার পাশাপাশি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যা ঘটেছিল

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ড. এম এ রশিদ হলের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোবাইল অ্যাপে সরকারবিরোধী চ্যাটিংয়ের অভিযোগে তুলে নিয়ে যান। পরে গেস্ট রুমে নিয়ে রাতভর তাকে মারধর করা হয়। ভোরে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

নির্যাতনের কারণে জাহিদুর খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাহিদুর নির্যাতনের বিচার চেয়ে কুয়েট উপাচার্যের কাছে আবেদন করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে।

কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান দাবি করেছেন, তারা কেউই জাহিদুরকে মারধর করেননি।

তার ভাষ্য, ‌‘জাহিদুর হিযবুত তাহরীরের সদস্য, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কুয়েট কর্তৃপক্ষই তাকে পুলিশে দিয়েছিল। এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
কুয়েটে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ডিনের পদত্যাগ
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কুবি শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
ভোটে অংশ নেয়ায় বিএনপির আরও ৫১ নেতা বহিষ্কার
আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
যৌন হয়রানি: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক বহিষ্কার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Titumir college students call for patience

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের বলব ধৈর্য ধরতে। তাদের শিক্ষাজীবন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি সরকার আন্তরিক ও দায়িত্বশীল।’

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সোমবার দুপুরে সরস্বতী পূজা পরিদর্শনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের বলব ধৈর্য ধরতে। তাদের শিক্ষাজীবন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি সরকার আন্তরিক ও দায়িত্বশীল।’

বর্তমান পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনভোগান্তি সৃষ্টি না করে আমাদের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আশা করি সবার জন্য ইতিবাচক কিছু আসবে।’

তিনি আরও বলেন, সাত কলেজের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে জটিল আকার ধারণ করেছে। অতীতে শিক্ষা সংক্রান্ত একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হাজারো শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

নাহিদ ইসলাম জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট রয়েছে। প্রতিটি কলেজের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে এবং ইতিবাচক সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা পরিদর্শন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।

পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে মাঠে নামার চেষ্টা করেছে। এমনকি তারা রিকশাওয়ালা সেজেও আন্দোলনে নামতে চেয়েছে। শুরু থেকেই উসকানিমূলক পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা সফল হয়নি। মানুষ চায় না আওয়ামী লীগ তাদের নাম ও আদর্শ ব্যবহার করে গণহত্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি করার পর আবারও ফিরে আসুক। এটি দেশের জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।’

আসিফ মাহমুদ জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট রয়েছে। আওয়ামী লীগ আগেও বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছে, তবে তারা সফল হয়নি। এবারও তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হবে না।

জগন্নাথ হলে ৭৪ মণ্ডপে সরস্বতী পূজা

প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে আয়োজিত হয়েছে সরস্বতী পূজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩টি বিভাগের উদ্যোগে ৭৩টি মণ্ডপ এবং হলের কর্মচারীদের উদ্যোগে আরও একটি মণ্ডপসহ মোট ৭৪টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ আয়োজনই ঢাকার মধ্যে সর্ববৃহৎ। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা হলের উপাসনালয় সংলগ্ন পুকুরে স্থাপন করেছে সবচেয়ে বড় প্রতিমা, যা প্রতি বছর পুণ্যার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।

জগন্নাথ হল ছাড়াও ছাত্রীদের পাঁচটি হলে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়।

সব মণ্ডপে সকাল ৯টা থেকে পূজা শুরু হয়। বেলা ১১টায় অঞ্জলি দেওয়া হয়, যা চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা তথ্যের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সরকার: প্রেস সচিব
আমরা বেঁচে থাকতে সীমান্তে কেউ আসতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪ আগস্টের পর ৪০ মাজারে ৪৪ বার হামলা: প্রেস উইং
চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিএ প্রেস উইং
রাজনৈতিক কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটলে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Inter University Cricket Tournament Revised in the Permanent campus of Canadian University

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আন্তবিভাগ ক্রিকেটের ফাইনাল অনুুষ্ঠিত

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আন্তবিভাগ ক্রিকেটের ফাইনাল অনুুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন। ছবি: সিইউবি
এ টুর্নামেন্টে বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবিবার সফলভাবে আন্তবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ টুর্নামেন্টে সিইউবির বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।

গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনে ব্ল্যাকআউটস এবং সিইউবি অলস্টারদের মধ্যে দুর্দান্ত ম্যাচ হয়।

সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাত, এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াস উ আহসান।

সিইউবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত ইভেন্টটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের টাইটেল স্পন্সর সেনোরা
টাইগারদের লড়াকু পুঁজি
আফগানিস্তান ২৩৫ রানে অলআউট
চট্টগ্রাম টেস্টে তিনদিনেই হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
রানপাহাড়ে চাপা পড়া বাংলাদেশ ধুঁকছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The decision not to keep the college affiliated to Dhaka University

৭ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত না রাখার সিদ্ধান্ত

৭ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত না রাখার সিদ্ধান্ত ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজের লোগো। ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে সোমবার ঢাবি উপাচার্যের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ‘সম্মানজনক’ পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঢাবি উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে সোমবার ঢাবি উপাচার্যের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ইতোমধ্যে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ধৈর্যধারণ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।’

সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

এ ছাড়া অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এ বছর থেকেই, অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়।’

এ ছাড়া ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলেও জানান উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সভায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান উপাচার্য।

ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপাচার্য কোনো উত্তর না দিয়ে স্থান ছাড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাইমা হক বিদিশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
টিএসসি মেট্রো স্টেশন ১৬ ডিসেম্বরসহ চারদিন বন্ধের সুপারিশ
টেকনাফের ওসি প্রত্যাহার চেয়ে ঢাবিতে মানববন্ধন
ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার ধরনবিষয়ক কমিটির কার্যক্রম শুরু
সাত কলেজকে ঢাবি অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
6 demands of seven college students including resignation of DU Vice Chancellor

ঢাবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দাবি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের

ঢাবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দাবি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজ শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা কলেজের ছাত্র আসিফ মোহাম্মদ সজিব উদ্দীন বলেন, ‘জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে আমরা গতকালকের ঘোষিত ব্লকেড কর্মসূচিটি উইথড্র করেছি। এখন আমরা চার ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এই চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমদকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচি দিব।’

চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ ছয় দাবি জানিয়েছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বিকেল চারটার মধ্যে অধ্যাপক মামুনকে অব্যাহতি না দেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন ইডেন কলেজের এক ছাত্রী।

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের যে সংঘাত, সেই সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে।

২. ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর নিউ মার্কেট পুলিশের ‌‘হামলার’ ঘটনায় নিউ মার্কেট জোনের এসি, থানার ওসি এবং জড়িতদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. সংঘর্ষ চলাকালীন ইডেন কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী ‘কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য’ এবং ‘অশালীন অঙ্গভঙ্গি’ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. ঢাকা কলেজের সঙ্গে সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

৫. উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সমন্বয়ে ঢাকা কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় সিটি করপোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য খুলে দিতে হবে।

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের মধ্যকার এই সংকট নিয়ে আমরা বারবার রাস্তায় নেমেছি। আমরা বারবার বলেছি, আমাদেরকে একটা সমাধান দেন। কিন্তু কোনো সমাধান দেওয়া হয়নি।

‘এই সংকটের যতদিন না একটি সৃজনশীল সমাধান হয়, ততদিন শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষার্থীর মুখোমুখি অবস্থান চলতে থাকবে। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।’

এর আগে রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা কলেজের সংঘর্ষ শেষে মধ্যরাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের সাত পয়েন্টে ব্লক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যদিও আজ সেটি তারা পালন করেননি।

এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের ছাত্র আসিফ মোহাম্মদ সজিব উদ্দীন বলেন, ‘জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে আমরা গতকালকের ঘোষিত ব্লকেড কর্মসূচিটি উইথড্র করেছি। এখন আমরা চার ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি।

‘এই চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমদকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচি দিব।’

গতকালের সংঘর্ষে কতজন আহত হয়েছে জানতে চাইলে সজিব উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের দৃশ্যমান ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আর নরমালি পঞ্চাশের অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’

সংঘর্ষে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সজিব উদ্দীন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল নীলক্ষেতে যখন দুই পক্ষের ধাওয়া এবং পাল্টা ধাওয়া চলছে, তখন আমি পুলিশের এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাকে ফোন দিই যেন তারা দুই পক্ষকে সাউন্ড গ্রেনেন্ড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিন্তু পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রটোকল দিয়ে আমাদের দিকেই শুধু সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।

‘এরপর আমাদের বোনেরা যখন ইডেন কলেজ থেকে বের হয়, তখন নীলক্ষেতে অবস্থান নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের বোনদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। আমরা জড়িতদের শাস্তি চাই।’

আরও পড়ুন:
নিজ নিজ দায়িত্ব পালনই শহীদদের রক্তের ঋণ শোধের উপায়
টিএসসি মেট্রো স্টেশন ১৬ ডিসেম্বরসহ চারদিন বন্ধের সুপারিশ
টেকনাফের ওসি প্রত্যাহার চেয়ে ঢাবিতে মানববন্ধন
ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার ধরনবিষয়ক কমিটির কার্যক্রম শুরু
সাত কলেজকে ঢাবি অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DU Vice Chancellors appeal for patience regarding the college

৭ কলেজের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ, ধৈর্য ধারণের আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের

৭ কলেজের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ, ধৈর্য ধারণের আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। ফাইল ছবি
উপাচার্য বলেন, ‌‌‘আজ ২৭ জানুয়ারি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষগণের সঙ্গে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে। যে সকল বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হবে। এ সংক্রান্ত অপরাপর বিষয় সরকার গঠিত কমিটির নজরে এনে তা সমাধানের ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করা হবে।’

অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, তিনি গভীরভাবে মর্মাহত।

এক বিবৃতিতে তিনি ধৈর্য ধারণ এবং সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকা একান্তভাবে জরুরি।

‘কোনোভাবেই তৃতীয় পক্ষ যাতে সুযোগ নিতে না পারে, সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’

উপাচার্য বলেন, ‌‌‘আজ ২৭ জানুয়ারি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষগণের সঙ্গে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

‘যে সকল বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হবে। এ সংক্রান্ত অপরাপর বিষয় সরকার গঠিত কমিটির নজরে এনে তা সমাধানের ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার ধরনবিষয়ক কমিটির কার্যক্রম শুরু
সাত কলেজকে ঢাবি অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
ঢাবি ছাত্রদল থেকে ৬ নেতাকে অব্যাহতি
ঢাবিতে হাসিনা কাদের ইনু মেননের প্রতীকী ফাঁসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
This time Habiprabi of Dinajpur left the group

এবার গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেল দিনাজপুরের হাবিপ্রবি

এবার গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেল দিনাজপুরের হাবিপ্রবি দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। ছবি: ইউএনবি
প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে।

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খাদেমুল ইসলাম জানান, চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পর্যায়ের লেভেল-১ সেমিস্টার-১ এ চারটি ইউনিটের অধীনে আটটি অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে।

গত ১৩ জানুয়ারি হাবিপ্রবির অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ৬৮তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জিএসটি গুচ্ছতে না থাকার ও স্বতন্ত্রভাবে নিজস্ব (প্রশ্নপত্রে) তত্ত্বাবধানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ লক্ষ্যে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

এ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে জানাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি: সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ বৈঠক
গুচ্ছ থেকে নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরতে চায় খুবি
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২০ অক্টোবর
কৃষি গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ২৫ অক্টোবর

মন্তব্য

p
উপরে