× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The capital suffers from waterlogging due to continuous rains
google_news print-icon

রাজধানীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, যানজটে ভোগান্তি

রাজধানীতে-টানা-বর্ষণে-জলাবদ্ধতা-যানজটে-ভোগান্তি
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বিজয় সরণিতে জলাবদ্ধতা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পরই পুরো আকাশ ঢেকে রাজধানীতে নেমে আসে মুষলধারার বৃষ্টি। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় নগরীতে ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

মুষলধারার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। টানা ৬ ঘণ্টার বর্ষণে বিভিন্ন সড়কে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন ঘরমুখো মানুষ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পরই পুরো আকাশ ঢেকে রাজধানীতে নেমে আসে মুষলধারার বৃষ্টি। তা বিরামহীন চলে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এতে পানি জমে অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরীর বিজয় সরণি, রোকেয়া সরণিসহ বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় যানজট। নীলক্ষেত, কাঁটাবন, হাতিরপুল এলাকার সড়কেও পানি জমে থাকতে দেখা যায়।

রাজধানীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, যানজটে ভোগান্তি

সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্য অনেক গাড়ি পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। রাত পৌনে ১১টার দিকেও রাজপথের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট লেগে থাকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

রাজধানীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, যানজটে ভোগান্তি

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। বৃষ্টির প্রভাবে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও পড়ুন:
ঢাকাসহ ১৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
সাগরে লঘুচাপ, দেশজুড়ে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Save the river to protect the country Prime Minister

দেশরক্ষায় নদী বাঁচান: প্রধানমন্ত্রী

দেশরক্ষায় নদী বাঁচান: প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে সোমবার ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার আলোকে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে এক সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে।’

দেশকে রক্ষায় নদীগুলোকে বাঁচানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজ কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে সোমবার ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার আলোকে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে এক সভায় তিনি এ তাগিদ দেন। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে।’

তিনি জানান, ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের লক্ষ্য ছিল নদী রক্ষা, নাব্যতা বজায় রাখা ও দূষণ থেকে রক্ষা করা। তার সরকারের প্রথম মেয়াদে নদী ড্রেজিং শুরু হয়েছিল এবং জমি পুনরুদ্ধারের জন্য পলিমাটি ব্যবহার করা হয়েছিল।

ড্রেজিংয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের ড্রেজিং করতে হবে এবং নাব্যতা বজায় রাখতে হবে। নদীভাঙন রোধকল্পে আমাদের ড্রেজিং করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘একসময় নদী শাসনের নামে উর্বর ফসলি জমিতে বেড়িবাঁধ তৈরি করা স্বাভাবিক ঘটনা ছিল।

কারখানার বর্জ্যে দূষণ বাড়ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীর ধারে যেসব শিল্প-কারখানা গড়ে উঠে, সেগুলোর বর্জ্য সাধারণত নদীতে যায়।

তিনি বলেন, ‘স্যুয়ারেজ লাইনের সমস্ত বর্জ্যও নদীতে যায়, যার ফলে দূষণ বাড়ছে।

‘আমরা যাই করি না কেন, প্রথমেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।’

রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে বাঁচাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কথাও বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘নদী শাসনের জন্য নদীর গভীরতার কথা বিবেচনায় রাখতে হবে এবং আমাদের অবশ্যই বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের লক্ষ্যে নদীর পাশাপাশি একটি বাফার জোন তৈরি করতে হবে।’

সরকারপ্রধান পরিবেশ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপরেও জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবাইকে সব নগরীর জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছি। আমরা যে পরিকল্পনাই গ্রহণ করি না কেন, সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রবাহ সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর হাতে এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড
ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনার সঙ্গে দুটি ইসলামিক দলের নেতাদের বৈঠক
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ৫ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Winter is peeping in Dinajpur through the blanket of fog

কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে দিনাজপুরে উঁকি দিচ্ছে শীত

কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে দিনাজপুরে উঁকি দিচ্ছে শীত ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দিনাজপুরের সকাল। ছবিটি দিনাজপুর সদর উপজেলার যোগিবাড়ী এলাকা থেকে তোলা।
সন্ধ্যা থেকে তাপমাত্রা কমলেও ভোর হতে হতে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে সীমান্তের এ জেলায়। পাতলা কাঁথা ও কম্বলে হালকা শীত নিবারণ করছে সাধারণ মানুষ।

হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর। গত কয়েকদিন ধরে দিনের বেলায় গরম থাকলেও রাতে হালকা শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। রাত পেরিয়ে ভোর হলেই দেখা মিলছে ঘন কুয়াশার।

সন্ধ্যা থেকে তাপমাত্র কমলেও ভোর হতে হতে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে সীমান্তের এ জেলায়। পাতলা কাঁথা ও কম্বলে হালকা শীত নিবারণ করছে সাধারণ মানুষ। রোববার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ঢেকে ছিল পরিবেশ। হঠাৎ কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়তে হয় পরিবহন চালকদের।

ট্রাক চালক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে দিনাজপুরে হালকা শীত গায়ে লাগছে। এরই মধ্যে রোববার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা শুরু হয়েছে। এতে করে আমাদের গাড়ি চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। গাড়ির সামনের কয়েক হাত দুরে ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। এতে দুঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’

চালক আজগার হোসেন বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ির সামনের গ্লাস ঘোলা হয়ে যায়। রাস্তার সাদা দাগ দেখে আইডিয়ার ওপর গাড়ি চালাতে হচ্ছে। কুয়াশা ঘন হলে গাড়ি খুবই সাবধানে চালাতে হয়।’

ইজিবাইক চালক আশিক বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে একটু আগে আমি রামনগরে অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছি। সামনে একটি ট্রাক দাঁড়ানো ছিল, কিন্তু আমি কিছুই দেখতে পারি নাই। একবারে ট্রাকের পেছনে গিয়ে ব্রেক করেছি। ব্রেক না করলে দুর্ঘটনা ঘটত।’

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দিনাজপুরে কয়েকদিন ধরে হালকা শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। কয়েকদিন পর শীত আরও বাড়বে। ঘন কুয়াশা হলে শীত অপেক্ষাকৃত কম অনুভূত হয়। সাধারণত ভোর বেলা এ অঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।’

রোববার ভোর ৬টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন:
হিমেল হাওয়ায় কমলগঞ্জে জমেনি শীতপোশাকের ব্যবসা
শীতের ফ্যাশন, যে দিকগুলোতে নজর দেবে নারী
শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
শীতকালে ত্বক প্রাণবন্ত রাখবেন যেভাবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
High Courts order to protect Chingaria Canal in Kalapara

কলাপাড়ার চিংগরিয়া খাল রক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের

কলাপাড়ার চিংগরিয়া খাল রক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। ফাইল ছবি
চিংগরিয়া খাল রক্ষায় জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেয়।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত চিংগরিয়া খাল রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ খাল বন্দোবস্ত বাতিলের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

চিংগরিয়া খাল রক্ষায় জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

পরে আইনজীবী এস হাসানুল বান্না জানান, চিংগরিয়া খালের ৫.৪৬ একর ভূমি উদ্ধার এবং এ খালের জায়গা ব্যক্তিবিশেষের নামে দেয়া বন্দোবস্ত বাতিলের ব্যর্থতা সংবিধান ও দেশে প্রচলিত আইনের পরিপন্থি বিধায় কেন তা অবৈধ, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

একই সঙ্গে খাল ও নদী হিসেবে রেকর্ডকৃত ভূমি উদ্ধারের এবং আইন-বহির্ভূতভাবে খাল ও নদী হিসেবে রেকর্ডকৃত ভূমির শ্রেণি খাল শ্রেণিতে রূপান্তরিত ভূমি রেকর্ড সংশোধনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

ভূমি সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), কলাপাড়া উপজেলা, পটুয়াখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এবং কলাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার অর্ন্তগত কলাপাড়া পৌরসভার ভেতর দিয়ে একটি খাল প্রবাহিত হয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে চিংগরিয়া খাল নামে পরিচিত। খালটি কলাপাড়ার খেপুপাড়া মৌজায় আন্ধারমানিক নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে কলাপাড়া পৌরসভার ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অংশবিশেষের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্রায় চার কিলোমিটার অতিক্রম করে একই মৌজার চাকামইয়া-নিশানবাড়িয়া নদীর (দোন) সঙ্গে মিশেছে।

কলাপাড়া ভূমি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, খালটির মূল স্রোতধারা খেপুপাড়া মৌজার ৪৪৩, ৫২৬ ও ৮৪২ নম্বর দাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ।

খালটি কলাপাড়া পৌরসভার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত একমাত্র খাল। পাঁচ হাজার পৌরসভাবাসীর কাছে এ খালের গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষিকাজ, পানি নিষ্কাশন, জলাবদ্ধতা নিরসনসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্য পানির একমাত্র উৎস এ খাল।

কলাপাড়া পৌরসভাটি উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষাকাল ও জলোচ্ছ্বাসের সময় সমুদ্রের নোনা পানিতে এখানকার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ডুবে যায়। লবণাক্ত এ পানি এ খাল দিয়েই দ্রুত নিষ্কাশিত হয়ে থাকে। জনগুরুত্বপূর্ণ খালটি কলাপাড়া উপজেলা ভূমি অফিস খাল হিসেবে চিহ্নিত ভূমির শ্রেণি খাল হিসেবে পরিবর্তন করে।

পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) উল্লেখিত খালের অংশবিশেষ ব্যক্তিবিশেষের কাছে দীর্ঘস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়। বন্দোবস্ত গ্রহীতারা খালের অংশে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় খাল ভরাট করে নির্মাণ করেন বিভিন্ন স্থাপনা, যে কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আনে বেলা।

আরও পড়ুন:
যশোর যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
যশোর যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানোয় হাইকোর্টে রিট
ড. ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের বিরুদ্ধে মামলার রায় বাতিল
গেজেট অনুসারে নোয়াখালীর দুই আসনে নির্বাচনে বাধা নেই
ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা, হাইকোর্টের নজরে আনলেন আইনজীবী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tsunami warning in Philippines after 76 magnitude earthquake

৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা

৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা ভূমিকম্পের পর ভবন ছেড়ে রাস্তায় এসে জড়ো হন স্থানীয়রা। ছবি: বিবিসি
ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনের পাশাপাশি জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ফিলিপাইনের দক্ষিণের মিন্দানাও অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর মিন্দানাও দ্বীপে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ফিলিপাইনের হিনাতুয়ান শহরের ২১ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। ভূপৃষ্ঠের ৩২ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।

অন্যদিকে, মিন্দানাওয়ে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি)। তাদের তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৩ কিলোমিটার গভীরে।

ফিলিপাইনের উপকূলীয় শহর হিনাতুয়ানের পুলিশ প্রধান রেমার্ক জেনতালান বলেছেন, ভূমিকম্পের পর শহর এবং আশেপাশের এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল এখনও কোথাও হতাহত হওয়া বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পায়নি।

ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনের সিসমোলজিক্যাল এজেন্সি-ফিভল্ক্স থেকে দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মধ্যরাতে সুনামি আঘাত হানতে পারে এবং তা কয়েকঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে।

এ ঘটনায় জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

জাপানের টেলিভিশন এনএইচকে থেকে প্রকাশিত সতর্কতামূলক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় আধাঘণ্টা পর (জাপানের স্থানীয় সময় রোববার ১:৩০ মিনিট) সমুদ্র থেকে প্রায় এক মিটার উঁচু ঢেউ জাপানের দক্ষিণপশ্চিম উপকূলে উঠে আসতে পারে।

এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে দেশটির সারাঙ্গানি, কোটাবাটো এবং দাভাও প্রদেশে অন্তত আট প্রাণহানি ঘটে, আহত হন আরও ১৩ জন। ভূমিকম্পে দেশটিতে অর্ধ-শতাধিক বাড়িঘর এবং অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত ফিলিপাইনে প্রায়শই ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা রিং অব ফায়ারকে বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

আরও পড়ুন:
ভূমিকম্প বড় করেছে ঢাবির মুহসীন হলের ফাটল
ভূমিকম্প আতঙ্কে দৌড়ে কুমিল্লায় আহত অন্তত ২০
ভূমিকম্পের সময় করণীয়
ভূমিকম্প কি আগে থেকে টের পাওয়া যায়
ঢাকাসহ সারা দেশে ভূমিকম্প

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Information Minister calls for international financing system to deal with climate change

জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর শনিবার দুবাইতে কপ-২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে উচ্চপর্যায়ের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: বাসস
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিভিএফ-ভি ২০ ফোরামে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো সহনীয়তা ও সক্ষমতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। সে সময়ে বৈশ্বিক জয়েন্ট মাল্টি ডোনার ফান্ড গঠন এবং দেশে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ প্রণীত হয়েছে।

জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সমন্বিত অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং কপ-২৮ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ড. হাছান মাহমুদ। সূত্র: বাসস

ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুরে দুবাইতে কপ-২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে ‘রাইজিং উইথ দ্য টাইড: ট্র্যাকিং রিফর্মস ইন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার ফর এক্সিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট-পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্যভাবে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই আহ্বান জানান।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ২০টি ভালনারেবল দেশের জোট সিভিএফ-ভি ২০-এর বর্তমান চেয়ারম্যান ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো আডো অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফোরামের পরবর্তী চেয়ারম্যান বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ এবং প্রথম মহাসচিব মোহাম্মদ নাশিদ।

ঘানার প্রেসিডেন্ট এই ফোরামে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বের দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “সিভিএফ-ভি ২০ ফোরামে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো সহনীয়তা ও সক্ষমতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। সে সময়ে বৈশ্বিক জয়েন্ট মাল্টি ডোনার ফান্ড গঠন এবং দেশে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ প্রণীত হয়েছে।”

জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের অধীনেই প্রতি বছর দেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

‘বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নয়, বরং এর অসহায় শিকার। তবু বঙ্গবন্ধু-কন্যার পরিকল্পনামাফিক ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে।’

মন্ত্রী হাছান মাহমুদ পরে কপ-২৮ প্রেসিডেন্সি গোলটেবিল বৈঠকে ‘অ্যাক্সিলারেটিং ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ বৈঠকে অংশ নেন।

আরও পড়ুন:
কপ-২৮ সম্মেলনে অংশ নিতে আমিরাতে তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নামক কারাগারে বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
আমরা চাই বিএনপি টেরোরিস্ট কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসুক: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি দেশের মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Earthquake in various areas including Dhaka

ঢাকাসহ সারা দেশে ভূমিকম্প

ঢাকাসহ সারা দেশে ভূমিকম্প প্রতীকী ছবি
ইউএসজিএস জানায়, সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে অনুভূত হয় ভূমিকম্প। উৎপত্তিস্থলে এর গভীরতা ১০ কিলোমিটার।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকার আগারগাঁওয়ে অধিদপ্তরের ভূমিকম্প কেন্দ্র থেকে ৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৫.৬।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, বাংলাদেশের রামগঞ্জের আট কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে অনুভূত হয় ভূমিকম্প। উৎপত্তিস্থল এর গভীরতা ১০ কিলোমিটার।

নিউজবাংলার চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, নওগাঁ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, কক্সবাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন:
৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু উপত্যকা
আফগানিস্তানে আবারও ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: প্রাণহানি বেড়ে আড়াই হাজার
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ছাড়াল দুই হাজার
আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত শতাধিক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Minister Sheikh Hasina was honored with the Climate Mobility Champion Leader Award

ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ডেনিস ফ্রান্সিস এবং  ইন্টারন্যাশনাল অর্গাইনাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের কাছ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।

জলবায়ু বিষয়ক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্বের কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করেছে আইওএম এবং জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থা।

শুক্রবার দুপুরে দুবাইয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮-এর সাইডলাইনে একটি উচ্চ স্তরের প্যানেল অধিবেশনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ডেনিস ফ্রান্সিস এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গাইনাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের কাছ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।

কপ-২৮-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান তথ্যমন্ত্রী ও পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ এ সময় ‘অভিযোজন এবং সহনশীলতার জন্য জলবায়ু গতিশীলতাকে বাগে আনা’ শীর্ষক উচ্চ স্তরের এ প্যানেল অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

‘জলবায়ু গতিশীলতার বিষয়টিকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনার মূলধারায় আনার এখনই উপযুক্ত সময়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ক্লাইমেট মোবিলিটি সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুজনিত কারণে বাধ্য হয়ে অভিবাসন এবং বাস্তুচ্যুতির দিকটি বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টিতে নিয়ে আসেন।

ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এর আগেও বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় আইওএমের সহযোগিতায় আয়োজিত দুটি সংলাপ এবং গত বছর মিশরের শার্ম এল শাইখে কপ-২৭-এ বিষয়টি তুলে ধরে বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ।

একইসঙ্গে কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত অন্তত ৪ হাজার ৪০০ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বহুতল সামাজিক আবাসন প্রকল্প নির্মাণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উদ্যোগের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং জলবায়ু গতিশীলতা ও এ থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ক্রমাগত নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বের সমর্থন। বাংলাদেশ সন্তুষ্ট যে, এখন জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একটি বিস্তৃত জোট এই ইস্যুতে একযোগে কাজ করছে।’

পুরস্কার প্রদানকারী গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থাটি জাতিসংঘ, আঞ্চলিক আন্তঃসরকারি সংস্থা এবং উন্নয়ন অর্থ সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতায় জলবায়ু গতিশীলতা মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক বিস্তৃত সমাধানের জন্য কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর বৈঠক

এ দিন বিকেলে দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলনস্থলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যাণ্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।

এ সময় বন ও পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী হাছান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। কমনওয়েলথ মহাসচিব তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ৫ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

p
উপরে