গত রমজান মাসের পর রাজধানী ঢাকায় যতগুলো মার্কেটে আগুন লেগেছে, এর প্রায় অধিকাংশই সিটি করপোরেশনের মার্কেট। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের যে মার্কেটগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যে মার্কেটগুলো পাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, সেই মার্কেটগুলোই আগুনে জ্বলছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে আগুনে পোড়া মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই মার্কেটগুলো কাঁচা মানের অটোমেটিক গড়ে ওঠা মার্কেট। এগুলো পরিকল্পিত মার্কেট না, সেটা আমরা সবাই জানি। অনেক আধুনিক মার্কেটেও অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে না। সিটি করপোরেশনের যে মার্কেটগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যে মার্কেটগুলো পাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, সেই মার্কেটগুলোই আগুনে জ্বলছে। আমরা এর আগেও বঙ্গমার্কেটসহ অন্যান্য মার্কেট দেখলাম, এবার দেখলাম কৃষি মার্কেট।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পাকা মার্কেট চাই, তার অর্থ এই না আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে আমরা পাকা মার্কেট করবো। এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সিটি করপোরেশন যদি মনে করে এই মার্কেট চলবে না, তাহলে ১৫ দিন আগে বলতো। আমরা বন্ধ করতে সহযোগিতা করতাম। এখনো যদি তারা মনে করে কোনো মার্কেট ভেঙে নতুন করে করবে, সমস্যা নাই।
‘কিন্তু দোকানদারদের দোকান বুঝিয়ে দিতে হবে, কতদিনে দেবেন সেটাও সেটাও বুঝতে হবে, দাম কেমন হবে সেটাও বুঝতে হবে। সিটি করপোরেশন বিল্ডিং করে এমন একটা দাম ধরবে, যেটা আমাদের খুদ্র দোকানিরা কিনতে পারবে না, এই ভয়টা আমাদের মধ্যে থাকে। এ কারণে আমরা মনে করি ভালো তদন্ত কমিটি দরকার।’
তিনি বলেন, ‘আগুন লাগলেই সিটি করপোরেশন একটা তদন্ত কমিটি করে এবং ফায়ার সার্ভিস তদন্ত শেষে বলে দেয়, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। প্রত্যেক মার্কেটে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগবে, আর সেই আগুন এত ভয়াবহ হবে, আর ফায়ার সার্ভিস যাদের আমরা এত প্রশংসা করি; কই তারা আমাদের কোন দোকান তো বাঁচাতে পারে না।
‘বেলা দুইটার সময়ও আগুন নেভে নাই। আমরা চাই এটার একটা শক্ত তদন্ত হওয়া দরকার। আমি উত্তর সিটি করপোরেশনের সিওকে বলেছি তদন্ত কমিটিতে একজন ব্যবসায়ী রাখেন। তাহলে অন্তত আমরা জানতে পারবো কেন এই আগুন লেগেছে।’
যেহেতু সিটি করপোরেশনের মার্কেট সেহেতু অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তারা দায়িত্বের অবহেলা করছে কি না, এমন প্রশ্নে হেলাল বলেন, ‘অবশ্যই। যখন আগুনে আমাদের সব ধংস হয়ে যায়, আমরা যখন নিঃস্ব হই তখন কথা আসে এখানে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এই মার্কেটের মালিক সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশনের যেসব মার্কেটে আগুন লেগেছে, এই দায় তো তারা এড়াতে পারেন না। বেসরকারি কোথাও কিছু হলে মালিককে জেলে যেতে হয়, কিন্তু সিটি করপোরেশনের তো কিছু হয় না। তাদের কোন জবাবদিহি থাকে না।
‘আগুনের ঘটনাগুলো একই সময়ে ঘটছে এবং সব ধংস হচ্ছে। সব মার্কেটের বিদ্যুতের মেইন সুইস বন্ধ করে আমরা বের হয়ে যাই। সেখানে আবার শর্টসার্কিট থেকে কীভাবে আগুন লাগে।’
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বুধবার ৩টা ৪৩ মিনিটে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে প্রথমে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাত ৩টা ৫২ মিনিটে। পরে ধাপে ধাপে ইউনিট বেড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।
সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
বেশ কয়েক দিন পর বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষস্থানে রদবদল হয়েছে। আজ রবিবার সকালে চিরচেনা লাহোর, দিল্লির কোনো শহরই শীর্ষ দশের ধারেকাছে নেই। তবে এই তালিকায় আজ চলে এসেছে ব্রাজিলের সাও পাউলোর নাম।
রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ১২৩ একিউআই স্কোর নিয়ে অষ্টম শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহর হয়ে ওঠে সাও পাউলো। আইকিউ এয়ারের সূচক অনুযায়ী যার মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
তবে এই সময়ে ১৬৪ একিউআই স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছিল ইন্দোনেশিয়ার বাতাম শহরের বাসিন্দারা। ১৬৩ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে তার পরেই ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং কঙ্গোর কিনশাসার অবস্থান।
আর দিল্লির বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ৯৫। লাহোরের বাতাসে দূষণের মান তখন আরও কম, ৮৪। অর্থাৎ প্রতিবেশী দুই দেশের শহরদুটির বাতাসের মান ছিল ‘মাঝারি’।
ঠিক সেই সময়ে তালিকার উপরের দিকে খুঁজেও ঢাকার নাম পাওয়া যায়নি। যাবে কীভাবে? ঢাকার অবস্থান তখন তলানির দিকে, বিশ্বের স্বাস্থ্যকর বায়ুর শহরগুলো মধ্যে। ৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে সেই সময় স্বাস্থ্যকর বাতাস গ্রহণ করছে ঢাকাবাসী। তালিকার ৬৮তম স্থানে ছিল ঢাকার নাম।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখন্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণী বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না। জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না পড়েও না বিশ্বাসও করে না।
শনিবার (২৩ আগষ্ট) শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপি এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
মন্তব্য