× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
ADC Harun incident The description given by the hospitals security supervisor
google_news print-icon

হাসপাতালের সিকিউরিটি সুপারভাইজারের বর্ণনায় ‘এডিসি হারুনকাণ্ড’

হাসপাতালের-সিকিউরিটি-সুপারভাইজারের-বর্ণনায়-এডিসি-হারুনকাণ্ড
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাইম ও সাময়িক বরখাস্ত এডিসি হারুন অর রশিদ। কোলাজ: নিউজবাংলা
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলায় আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে। সে সময় হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার ওয়ারেছ আলী।

পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতা ও রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক মামুনের মধ্যকার ঘটনা নিয়ে পাওয়া গেছে প্রত্যক্ষদর্শী এক সিকিউরিটি সুপারভাইজারের বর্ণনা।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলায় আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে ওই ঘটনা ঘটে। সে সময় হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার ওয়ারেছ আলী।

সংঘাতের শুরু যেভাবে

নিউজবাংলাকে বুধবার বিকেলে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওয়ারেছ আলী বলেন, “যেদিন ঘটনাটি ঘটেছে, সেদিন জড়িত কাউকে আমি চিনতাম না। পরে টিভি/পত্রিকায় খবর পড়ে আমি তাদের পরিচয় জানতে পারি। সেদিন আমি রাউন্ড ডিউটিতে ছিলাম আর আমার কিছু সিকিউরিটি কর্মী নিচে ছিল। হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি, হৈ-হুল্লোড় শুনে আমি যখন চতুর্থ তলায় আসি, তখন দেখি, হারুন সাহেব (বরখাস্ত হওয়া রমনা অঞ্চলের এডিসি হারুন অর রশীদ) ইটিটি রুমের সামনে, যেখানে মানুষ ওয়েটিংয়ে থাকে সেখান থেকে লবি হয়ে লিফটের দিকে দৌড় দিচ্ছিলেন। আর তার পেছন পেছন ছুটছিলেন মামুন সাহেব (রাষ্ট্রপতির একান্ত সহকারী সচিব আজিজুল হক), তবে সে সময় লিফট বন্ধ থাকায় এবং নিচ থেকে আরও দুইজন চলে আসায় হারুন সাহেব ফের ইটিটি রুমের দিকে দৌড় দেয়।

“এ সময় মামুন সাহেব এবং নতুন আসা বাকি দুইজনও হারুন সাহেবের পিছু নেয়। এরপর দুই পক্ষই ইটিটি রুমের সামনে গেলে আশেপাশের মানুষও জড়ো হয়ে যায়। আমরা যারা নিরাপত্তাকর্মী আছি, তারাও দৌড়ে যাই। তখন দেখি এই তিনজন হারুন সাহেবকে মারতে চাচ্ছিল। আর উনাকে টেনে নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে চাচ্ছিল। আর হারুন সাহেব চাচ্ছিল ইটিটি রুমের ভিতর ঢুকতে। এরপর আমরা মাঝখানে দাঁড়িয়ে বলি, এখানে কোনো গ্যাঞ্জাম হবে না। আপনারা আপনাদের পরিচয় দেন। তখন তিনজনের দলটি আমাদের বলে, ‘তোরা সিকিউরিটি অফিসার। তোদের সাথে কোন কথা নেই। তোরা এখান থেকে সর।’ এর মাঝখানে কেউ একজন হারুন সাহেবের মোবাইল ফোন কেড়ে নিলে আমরা তাদের থেকে মোবাইলটা নিয়ে উনাকে ফেরত দিয়ে দেই।”

ওয়ারেছ বলেন, ‘তখনও তারা সেই পুলিশ অফিসারকে মারতে চাচ্ছিল, কিন্তু আমরা মাঝখানে থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। যা লেগেছে সব আমাদের গায়ে লেগেছে, তবে শুনেছি, আমরা আসার আগে মারামারি হয়েছে, কিন্তু সেটা আমরা দেখিনি।’

‘ধাক্কাধাক্কিতে খুলে যায় ইটিটি রুমের দরজা’

ওয়ারেছ আলী বলেন, “এ সময় (মারামারি) দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কিতে ইটিটি রুমের দরজা খুলে যায়। সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিল আমাদের হাসপাতালের রোগী সানজিদা ম্যাডাম (ঢাকা মহানগর পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিন)। উনার নামটাও আমরা পরে রিপোর্ট আর টিভিতে দেখে জানতে পেরেছি।

“এরপর পুলিশ অফিসার (হারুন অর রশীদ) ইটিটি রুমের ভেতর ঢুকে রুমের এক কোনায় অবস্থান নেয়। তখন উনাকে দেখে মনে হয়েছে উনি খুব আতঙ্কে আছেন। এদিকে হারুন সাহেব ঢোকার পর পর বাকি সবাইও রুমের ভেতর ঢুকে যায়। তখনও আমরা দুই পক্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাই। এরপর মামুন সাহেব তার সাথে থাকা লোকজনকে বলছে, ‘ছবি তোল, ভিডিও কর।’ এ সময় আমাদের যিনি রোগী ছিলেন, তিনি এটার প্রতিবাদ করে তাদেরকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তখন মামুন সাহেবকে তার গায়ে হাত দিতে দেখি।”

ওয়ারেছ আলী বলেন, ‘এই যখন অবস্থা, তখন আমি সেখান থেকে বের হয়ে আমাদের প্রশাসনকে জানাই। এরপর আমরা ৯৯৯-এ ফোন দিই। আমি যখন বের হচ্ছি তখন এই তিনজন সেই পুলিশ অফিসারকে ধরতে চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা মাঝখানে দাঁড়ানো থাকায় সেটি করতে পারছিলেন না। এ সময় সেখানে একজন ড্রাইভার ছিল। উনিও নিরাপত্তাকর্মীদের সহযোগিতা করে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছিল।

‘যেহেতু আমি প্রধান নিরাপত্তাকর্মী, তাই ঘটনার সময় আমার এদিক সেদিক দৌড়ানো লাগছে। তাই সব ঘটনা আমি দেখিনি।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রশিদ নামের আরেক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, “ইটিটি রুমের সামনে হাতাহাতি হয়েছিল, তবে কে কার গায়ে হাত তুলেছে সেটা মনে পড়ছে না। ইটিটি রুম খুলে যাওয়ার পরে সবাই যখন ভেতরে ঢুকে যায় তখন এই তিনজন সেই পুলিশ অফিসারকে (হারুন অর রশীদ) বের হতে বলে।

“যেহেতু বের করতে পারলে কিছু হয়ে যেতে পারে, সে জন্য তাদের আমরা বলি, ‘আপনারা আগে বের হন। এরপর আমরা উনাকে বের করছি’, কিন্তু তারা আমাদের কথা না শোনায় আমরা মাঝখানে দাঁড়িয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি।”

রশিদ বলেন, “সবাই যখন ইটিটি রুমের ভেতরে, তখন আমাদের যিনি রোগী ছিলেন, উনাকে মামুন সাহেবের উদ্দেশ করে বলতে শুনি, ‘আপনি এখানে কেন? আর উনাকে কেন মারতে চাচ্ছেন? ডাক্তার দেখাতে আমিই স্যারকে নিয়ে আসছি। আপনি চলে যান।’ এরপর মামুন সাহেব বলেন, ‘তুই আসলি কী জন্য? আর ও কেন আসলো?’ এরপর আমাদের রোগী সানজিদা ম্যাডাম বলেন, ‘আমি অসুস্থ, আপনি তো জানেন। আপনি কেন আনেননি আমাকে? তাই আমি স্যারকে নিয়ে আসছি।’”

রশিদ বলেন, ‘এ ছাড়া আরও অনেক কথাবার্তা হচ্ছিল। সব আমাদের ঠিক মনে নেই।’

এই নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘এর কিছুক্ষণ পর মূলত পুলিশ আসে। হারুন সাহেব যাকে যাকে দেখিয়েছেন, তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, তবে হাসপাতালের ভেতর পুলিশ কাউকে মারধর করেনি।’

ওয়ারেছ আলী বলেন, ‘ঘটনার শেষে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে ইটিটি রুমের ভেতরে একটা ভাঙা চশমা পাওয়া যায়। এরপর সেটা আমরা পুলিশে হস্তান্তর করি। তারা সেটা নিয়ে যায়।’

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে চার তলায় থাকা নাম প্রকাশে অনাগ্রহী এক জুনিয়র কর্মচারী নিউজবাংলাকে বলেন, “সেদিন আমি চার তলার সিঁড়িতে বসে ছিলাম। তখন দেখি লিফটের সামনে থেকে হারুনকে (বরখাস্ত হওয়া রমনা অঞ্চলের এডিসি হারুন অর রশীদ) কেউ একজন টেনে কলার ধরে ইটিটি রুমের দিকে নিয়ে গেল। দৌড়ে আমিও সেখানে যাই। এরপর দেখি সেই লোক উনার কয়েকটা ছবি তুলল।

“এ সময় হারুন মাস্ক পরলে সে বলে, ‘মাস্ক পরেন কেন? মাস্ক খুলেন।’ তখন হারুন মাস্ক খুলে বলেন, ‘তোলেন, তোলেন, সমস্যা নেই।’ এরপর এই লোক কাকে যেন ফোনে বলে, ‘তাড়াতাড়ি আসো।’ এরপর আরও তিনজনকে আসতে দেখি। পরে একজন হারুনকে একটা ঘুষি মারে। এ সময় নতুন আসারাও উনাকে কয়েকটা মারছে। এরপর সবাই রুমের ভিতরে ঢুকে যায়।”

এ কর্মচারী বলেন, ‘অনেকক্ষণ পর যখন পুলিশ এসে তাদেরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তখন হারুন সাহেবের একটু পাওয়ার আসল। তখন উনি তাদের ওপর হাত তুলতে চেয়েছে, কিন্তু হাত তুলতে পারেনি। দৌড়ে তাদের গায়ে ধাক্কা দিছে।’

সার্বিক বিষয়ে হাসপাতালের প্রশাসন বিভাগের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, ‘আমি তখন সেখানে ছিলাম না, তবে নিরাপত্তাকর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, আমাদের চার তলায় যেখানে ইটিটি করানো হয়, সেখানে হইচই এবং হট্টগোল শুনে নিরাপত্তাকর্মীরা দৌড়ে যায়। যাওয়ার পরে তারা দেখে তাদের মধ্যে হাতাহাতি কিংবা বাগবিতণ্ডা চলছে। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা দুই পক্ষকে আলাদা করার চেষ্টা করেছে।

‘এ সময় আমাদের সিকিউরিটি সুপারভাইজার ওয়ারেছ আলী আমরা যারা প্রশাসনে আছি, তাদের ঘটনা জানিয়ে ৯৯৯ ফোন দেয়। এরপর আমরাও পুলিশকে জানাই। আমাদের ফোন দেয়ার কারণে হোক বা অন্য কারণে হোক হাসপাতালে পুলিশ আসে। এরপর পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়।’

আরও পড়ুন:
এডিসি হারুনের ওপর আগে হামলা চালান রাষ্ট্রপতির এপিএস: ডিবির হারুন
তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা: ডিএমপি
জবি’র শিক্ষার্থী না হয়েও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা
এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
দুই নেতাকে মারধর: ডিএমপির তদন্তে আস্থা রাখতে চায় ছাত্রলীগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Chief Justice of the proposal to establish a separate commercial court

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও বিচার ব্যবস্থার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি পৃথক বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

গতকাল রোববার সিলেটের দ্য গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে বাণিজ্যিক আদালত শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো পৃথক বিচারিক ফোরাম নেই। এখন কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যিক বিরোধগুলো ছোটখাটো দেওয়ানি মামলার সঙ্গে একই সারিতে নিষ্পত্তি করতে হওয়ায় দ্রুত, কার্যকর বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এটি আমাদের বিচারকদের প্রতি কোনো সমালোচনা নয়। তাদের নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। বরং এটি একটি কাঠামোগত অসংগতি। ফলে মামলার জট যেমন বাড়ছে, তেমনি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত শুধু অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি মামলা অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কারও একক কোনো দাবি নয় বরং বাণিজ্যিক মামলাগুলো বিশেষায়িত আদালতে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও কার্যকর রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য বৃহৎ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী সবাই দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এই দাবি জানিয়ে আসছে।

প্রধান বিচারপতি বৈশ্বিক উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, রুয়ান্ডা, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো বাণিজ্যিক আদালত গড়ে তুলে একটি দক্ষ, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, এসব দেশের অভিজ্ঞতাগুলো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা বহন করে।

প্রধান বিচারপতি প্রস্তাবিত বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থার সাতটি মূল স্তম্ভের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো- স্পষ্ট ও একীভূত এখতিয়ার নির্ধারণ, আর্থিক সীমারেখা ও স্তরভিত্তিক কাঠামো, বাধ্যতামূলক কেস ম্যানেজমেন্ট ও কঠোর সময়সীমা, সমন্বিত মধ্যস্থতা ব্যবস্থা, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার (যেমন, ই-ফাইলিং, ডিজিটাল ট্র্যাকিং, হাইব্রিড শুনানি), সবার জন্য ন্যায়সংগত প্রবেশাধিকার এবং জবাবদিহি ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাণিজ্যিক আদালতের কার্যক্রম হবে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক এবং বাণিজ্যের পরিবর্তনশীল চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সেমিনারে সূচনা বক্তব্য দেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sagar Rooney Murder Report Report is a record of 120 times

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত প্রতিবেদন ১২০ বার পেছানোর রেকর্ড

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত প্রতিবেদন ১২০ বার পেছানোর রেকর্ড

বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবার পেছানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত গতকাল সোমবার আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

এ পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা মোট ১২০ বার পিছিয়ে এসেছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হন। ঘটনার সময় বাসায় তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামিরা হলেন — রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তা রক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান।

এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন, বাকিরা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।

তদন্ত প্রতিবেদন বারবার পিছিয়ে আসায় এ মামলার দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশায় সংশ্লিষ্ট পক্ষের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abu Saeed Murder Hearing the charges against the accused today

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের সদস্যসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি আজ।

সোমবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি করবেন বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এই ছয় আসামি হলেন— সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরীফুল ইসলাম, রাফিউল, আনোয়ার পারভেজ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী আশেক।

গত ১০ জুলাই পলাতক ২৬ আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে, ৩০ জুন আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের সদস্যসহ মোট ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই বিকালে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। আবু সাঈদ ছিলেন জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রথম শিক্ষার্থী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Chief Justice ABM Khairul Haque arrested

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, তথ্য এলে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালে খায়রুল হক শপথ নেন। পরের বছর ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

২০১৩ সালে তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা একই পদে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক এই বিচারপতিকে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
All courts have observed a minute of silence before the trial begins

বিচার শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে সকল আদালত

বিচার শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে সকল আদালত

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় আজ বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে দেশের সকল আদালত।

আজ সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতি আপিল বিভাগ তাদের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। এদিকে আজ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগেও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অন্যদিকে, প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত অধস্তন আদালতে নীরবতা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে হৃদয়বিদারক এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার ২২ জুলাই সারা দেশে শোক দিবস ঘোষণা করেছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ শোক প্রকাশ করছেন। বিচার বিভাগীয় পর্যায়েও বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা আবশ্যক। এমতাবস্থায়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২২ জুলাই দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। সেই সাথে দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। এছাড়া ২২ জুলাই হতে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সকল জেলা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Corruption in the mural project in the Mujib year

মুজিববর্ষে ম্যুরাল প্রকল্পে দুর্নীতি, ৬৪ জেলায় দুদকের চিঠি

মুজিববর্ষে ম্যুরাল প্রকল্পে দুর্নীতি, ৬৪ জেলায় দুদকের চিঠি

সারাদেশে মুজিব শতবর্ষ পালন ও শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল নির্মাণের আর্থিক হিসাব চেয়ে ৬৪ জেলায় চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানে উপপরিচালকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের উপপরিজালক আকতারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদক জানায়, ৬৪ জেলা পরিষদ বরাবর পাঠানো চিঠিতে মুজিবর্ষ পালনে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, ব্যয় করা মন্ত্রণালয়ের নাম, ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার নাম পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, জেলায় কতগুলো এবং কোথায় ম্যুরাল তৈরি হয়েছে, ম্যুরাল নির্মাণে কত টাকা খরচ হয়েছে, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ পালন ও শেখ মুজিবের ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে ওই অর্থ অপচয় ও ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। তাই রেকর্ডপত্র দ্রুত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর আগে দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি স্থাপন করে আওয়ামী লীগ সরকার। টানা ১৫ বছর ধরেই ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি তৈরির মহোৎসবে মেতে উঠেছিল দলটি। অভিযোগ রয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য তৈরিতে ৪ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়ে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, পুরো প্রকল্পই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

সূত্র জানায়, জেলা পরিষদে পাঠানোর আগে একই চিঠি বাংলাদেশ বেতার, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলেও পাঠানো হয়েছে।

গত বছরের আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর মুজিববর্ষ পালনে অর্থ অপচয় ও এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছিল দুদক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mob Violence cannot disrupt the normal activities of the country RAB Director General

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মব ভায়োলেন্স বা মব সন্ত্রাস করে এ দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতিসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন র‌্যাবের ডিজি। ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র‍্যাব এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। দেশে বিগত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির অপরাধে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন অপরাধীকে র‍্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’

‘গত ২ জুলাই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় সন্ত্রাসী কর্তৃক মব সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের ওপর মব ভায়োলেন্সের অযাচিত ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) আমরা গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’

‘এ ঘটনায় আমরা ছায়া তদন্ত করছি, আর পুরো বিষয়টি দেখছে ডিএমপির তদন্ত বিভাগ।’

র‍্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে