× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
ADC Harun incident The description given by the hospitals security supervisor
google_news print-icon

হাসপাতালের সিকিউরিটি সুপারভাইজারের বর্ণনায় ‘এডিসি হারুনকাণ্ড’

হাসপাতালের-সিকিউরিটি-সুপারভাইজারের-বর্ণনায়-এডিসি-হারুনকাণ্ড
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাইম ও সাময়িক বরখাস্ত এডিসি হারুন অর রশিদ। কোলাজ: নিউজবাংলা
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলায় আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে। সে সময় হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার ওয়ারেছ আলী।

পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতা ও রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক মামুনের মধ্যকার ঘটনা নিয়ে পাওয়া গেছে প্রত্যক্ষদর্শী এক সিকিউরিটি সুপারভাইজারের বর্ণনা।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলায় আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে ওই ঘটনা ঘটে। সে সময় হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার ওয়ারেছ আলী।

সংঘাতের শুরু যেভাবে

নিউজবাংলাকে বুধবার বিকেলে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওয়ারেছ আলী বলেন, “যেদিন ঘটনাটি ঘটেছে, সেদিন জড়িত কাউকে আমি চিনতাম না। পরে টিভি/পত্রিকায় খবর পড়ে আমি তাদের পরিচয় জানতে পারি। সেদিন আমি রাউন্ড ডিউটিতে ছিলাম আর আমার কিছু সিকিউরিটি কর্মী নিচে ছিল। হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি, হৈ-হুল্লোড় শুনে আমি যখন চতুর্থ তলায় আসি, তখন দেখি, হারুন সাহেব (বরখাস্ত হওয়া রমনা অঞ্চলের এডিসি হারুন অর রশীদ) ইটিটি রুমের সামনে, যেখানে মানুষ ওয়েটিংয়ে থাকে সেখান থেকে লবি হয়ে লিফটের দিকে দৌড় দিচ্ছিলেন। আর তার পেছন পেছন ছুটছিলেন মামুন সাহেব (রাষ্ট্রপতির একান্ত সহকারী সচিব আজিজুল হক), তবে সে সময় লিফট বন্ধ থাকায় এবং নিচ থেকে আরও দুইজন চলে আসায় হারুন সাহেব ফের ইটিটি রুমের দিকে দৌড় দেয়।

“এ সময় মামুন সাহেব এবং নতুন আসা বাকি দুইজনও হারুন সাহেবের পিছু নেয়। এরপর দুই পক্ষই ইটিটি রুমের সামনে গেলে আশেপাশের মানুষও জড়ো হয়ে যায়। আমরা যারা নিরাপত্তাকর্মী আছি, তারাও দৌড়ে যাই। তখন দেখি এই তিনজন হারুন সাহেবকে মারতে চাচ্ছিল। আর উনাকে টেনে নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে চাচ্ছিল। আর হারুন সাহেব চাচ্ছিল ইটিটি রুমের ভিতর ঢুকতে। এরপর আমরা মাঝখানে দাঁড়িয়ে বলি, এখানে কোনো গ্যাঞ্জাম হবে না। আপনারা আপনাদের পরিচয় দেন। তখন তিনজনের দলটি আমাদের বলে, ‘তোরা সিকিউরিটি অফিসার। তোদের সাথে কোন কথা নেই। তোরা এখান থেকে সর।’ এর মাঝখানে কেউ একজন হারুন সাহেবের মোবাইল ফোন কেড়ে নিলে আমরা তাদের থেকে মোবাইলটা নিয়ে উনাকে ফেরত দিয়ে দেই।”

ওয়ারেছ বলেন, ‘তখনও তারা সেই পুলিশ অফিসারকে মারতে চাচ্ছিল, কিন্তু আমরা মাঝখানে থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। যা লেগেছে সব আমাদের গায়ে লেগেছে, তবে শুনেছি, আমরা আসার আগে মারামারি হয়েছে, কিন্তু সেটা আমরা দেখিনি।’

‘ধাক্কাধাক্কিতে খুলে যায় ইটিটি রুমের দরজা’

ওয়ারেছ আলী বলেন, “এ সময় (মারামারি) দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কিতে ইটিটি রুমের দরজা খুলে যায়। সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিল আমাদের হাসপাতালের রোগী সানজিদা ম্যাডাম (ঢাকা মহানগর পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিন)। উনার নামটাও আমরা পরে রিপোর্ট আর টিভিতে দেখে জানতে পেরেছি।

“এরপর পুলিশ অফিসার (হারুন অর রশীদ) ইটিটি রুমের ভেতর ঢুকে রুমের এক কোনায় অবস্থান নেয়। তখন উনাকে দেখে মনে হয়েছে উনি খুব আতঙ্কে আছেন। এদিকে হারুন সাহেব ঢোকার পর পর বাকি সবাইও রুমের ভেতর ঢুকে যায়। তখনও আমরা দুই পক্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাই। এরপর মামুন সাহেব তার সাথে থাকা লোকজনকে বলছে, ‘ছবি তোল, ভিডিও কর।’ এ সময় আমাদের যিনি রোগী ছিলেন, তিনি এটার প্রতিবাদ করে তাদেরকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তখন মামুন সাহেবকে তার গায়ে হাত দিতে দেখি।”

ওয়ারেছ আলী বলেন, ‘এই যখন অবস্থা, তখন আমি সেখান থেকে বের হয়ে আমাদের প্রশাসনকে জানাই। এরপর আমরা ৯৯৯-এ ফোন দিই। আমি যখন বের হচ্ছি তখন এই তিনজন সেই পুলিশ অফিসারকে ধরতে চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা মাঝখানে দাঁড়ানো থাকায় সেটি করতে পারছিলেন না। এ সময় সেখানে একজন ড্রাইভার ছিল। উনিও নিরাপত্তাকর্মীদের সহযোগিতা করে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছিল।

‘যেহেতু আমি প্রধান নিরাপত্তাকর্মী, তাই ঘটনার সময় আমার এদিক সেদিক দৌড়ানো লাগছে। তাই সব ঘটনা আমি দেখিনি।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রশিদ নামের আরেক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, “ইটিটি রুমের সামনে হাতাহাতি হয়েছিল, তবে কে কার গায়ে হাত তুলেছে সেটা মনে পড়ছে না। ইটিটি রুম খুলে যাওয়ার পরে সবাই যখন ভেতরে ঢুকে যায় তখন এই তিনজন সেই পুলিশ অফিসারকে (হারুন অর রশীদ) বের হতে বলে।

“যেহেতু বের করতে পারলে কিছু হয়ে যেতে পারে, সে জন্য তাদের আমরা বলি, ‘আপনারা আগে বের হন। এরপর আমরা উনাকে বের করছি’, কিন্তু তারা আমাদের কথা না শোনায় আমরা মাঝখানে দাঁড়িয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি।”

রশিদ বলেন, “সবাই যখন ইটিটি রুমের ভেতরে, তখন আমাদের যিনি রোগী ছিলেন, উনাকে মামুন সাহেবের উদ্দেশ করে বলতে শুনি, ‘আপনি এখানে কেন? আর উনাকে কেন মারতে চাচ্ছেন? ডাক্তার দেখাতে আমিই স্যারকে নিয়ে আসছি। আপনি চলে যান।’ এরপর মামুন সাহেব বলেন, ‘তুই আসলি কী জন্য? আর ও কেন আসলো?’ এরপর আমাদের রোগী সানজিদা ম্যাডাম বলেন, ‘আমি অসুস্থ, আপনি তো জানেন। আপনি কেন আনেননি আমাকে? তাই আমি স্যারকে নিয়ে আসছি।’”

রশিদ বলেন, ‘এ ছাড়া আরও অনেক কথাবার্তা হচ্ছিল। সব আমাদের ঠিক মনে নেই।’

এই নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘এর কিছুক্ষণ পর মূলত পুলিশ আসে। হারুন সাহেব যাকে যাকে দেখিয়েছেন, তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, তবে হাসপাতালের ভেতর পুলিশ কাউকে মারধর করেনি।’

ওয়ারেছ আলী বলেন, ‘ঘটনার শেষে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে ইটিটি রুমের ভেতরে একটা ভাঙা চশমা পাওয়া যায়। এরপর সেটা আমরা পুলিশে হস্তান্তর করি। তারা সেটা নিয়ে যায়।’

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে চার তলায় থাকা নাম প্রকাশে অনাগ্রহী এক জুনিয়র কর্মচারী নিউজবাংলাকে বলেন, “সেদিন আমি চার তলার সিঁড়িতে বসে ছিলাম। তখন দেখি লিফটের সামনে থেকে হারুনকে (বরখাস্ত হওয়া রমনা অঞ্চলের এডিসি হারুন অর রশীদ) কেউ একজন টেনে কলার ধরে ইটিটি রুমের দিকে নিয়ে গেল। দৌড়ে আমিও সেখানে যাই। এরপর দেখি সেই লোক উনার কয়েকটা ছবি তুলল।

“এ সময় হারুন মাস্ক পরলে সে বলে, ‘মাস্ক পরেন কেন? মাস্ক খুলেন।’ তখন হারুন মাস্ক খুলে বলেন, ‘তোলেন, তোলেন, সমস্যা নেই।’ এরপর এই লোক কাকে যেন ফোনে বলে, ‘তাড়াতাড়ি আসো।’ এরপর আরও তিনজনকে আসতে দেখি। পরে একজন হারুনকে একটা ঘুষি মারে। এ সময় নতুন আসারাও উনাকে কয়েকটা মারছে। এরপর সবাই রুমের ভিতরে ঢুকে যায়।”

এ কর্মচারী বলেন, ‘অনেকক্ষণ পর যখন পুলিশ এসে তাদেরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তখন হারুন সাহেবের একটু পাওয়ার আসল। তখন উনি তাদের ওপর হাত তুলতে চেয়েছে, কিন্তু হাত তুলতে পারেনি। দৌড়ে তাদের গায়ে ধাক্কা দিছে।’

সার্বিক বিষয়ে হাসপাতালের প্রশাসন বিভাগের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, ‘আমি তখন সেখানে ছিলাম না, তবে নিরাপত্তাকর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, আমাদের চার তলায় যেখানে ইটিটি করানো হয়, সেখানে হইচই এবং হট্টগোল শুনে নিরাপত্তাকর্মীরা দৌড়ে যায়। যাওয়ার পরে তারা দেখে তাদের মধ্যে হাতাহাতি কিংবা বাগবিতণ্ডা চলছে। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা দুই পক্ষকে আলাদা করার চেষ্টা করেছে।

‘এ সময় আমাদের সিকিউরিটি সুপারভাইজার ওয়ারেছ আলী আমরা যারা প্রশাসনে আছি, তাদের ঘটনা জানিয়ে ৯৯৯ ফোন দেয়। এরপর আমরাও পুলিশকে জানাই। আমাদের ফোন দেয়ার কারণে হোক বা অন্য কারণে হোক হাসপাতালে পুলিশ আসে। এরপর পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়।’

আরও পড়ুন:
এডিসি হারুনের ওপর আগে হামলা চালান রাষ্ট্রপতির এপিএস: ডিবির হারুন
তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা: ডিএমপি
জবি’র শিক্ষার্থী না হয়েও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা
এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
দুই নেতাকে মারধর: ডিএমপির তদন্তে আস্থা রাখতে চায় ছাত্রলীগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Corruption at Nuclear Power Center Palaya Limited is banned from departure from 5 people

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রচ্ছায়া লিমিটেডের আট পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দেশ ত্যাগে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তারা হচ্ছেন: প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বুশরা সিদ্দিক, শেহতাজ মুন্নাসী খান, শহিদ উদ্দিন খান, শাহিন সিদ্দিক, শফিক আহমেদ শফিক, পারিজা পাইনাজ খান, নওরিন তাসমিয়া সিদ্দিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা আনজুম।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারগণ যাতে সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রোধে আদালতের আদেশ দেয়া একান্ত প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মন্তব্য

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শেখ তন্ময়। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন, তার ভাই শেখ সোহেল ও শেখ জালাল উদ্দিন রুবেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তিরা তাদের নামে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former DB chief Aarons flat and plot seizure order

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নামে রাজধানীর উত্তরায় থাকা একটি ফ্ল্যাট ও মোট ১৮ কাঠার তিনটি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদন সূত্রে জানা যায়, হারুনের নামে থাকা পৃথক তিনটি প্লট রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। এছাড়াও জব্দের আদেশ দেয়া ১৫৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটিও উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।

এদিন হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।

আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।

অনুসন্ধান চলাকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি এসব সম্পদ বিক্রয় বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এজন্য সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দেয়া প্রয়োজন।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হারুন অর রশিদের ১০০ বিঘা জমি, পাঁচটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি হিসাবে থাকা ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।

পাশাপাশি এদিনই তার ভাই এবিএম শাহরিয়ারের ৩০ বিঘা জমি জব্দ, ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।

মন্তব্য

পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৬
পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাদের গাইবান্ধা ও চট্টগ্রাম থেকে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

এর মধ্যে এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মো. মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩ এবং ৩ নম্বর আসামি মাহাথির হাসানকে (২০) চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।

বিকেলে র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সারওয়ার মাহাথির হাসানের গ্রেপ্তারের বিষয়িটি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-১৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে জনা যায়, পাভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলাম গাইবান্ধায় অবস্থান করছে। পরে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাইবান্ধা সদরের ভবানীপুর গ্রামে অভিযান চলানো হয়। অভিযানে এরশাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বনানী থানার ওসি মো. রাসেল সারওয়ার দৈনিক বাংলাকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে পারভেজ হত্যা মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি মাহাথির হাসানের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানায় আনা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে পারভেজ হত্যা মামলায় তিন আসামিকে রাজধানীর মহাখালী ও আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন- আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গত সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামে মামলার এজহারনামীয় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ১ ও র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের যৌথ দল। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়। সব মিলিয়ে পারভেজ হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি দোকানে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। একই সময় পারভেজ তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীর অভিযোগ পারভেজ তাদের দেখে হাসছিলেন। তাদের মধ্যে একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পিয়াসের বান্ধবী। পরে বান্ধবীরা মুঠোফোনে খবর দিলে পিয়াস ও তার দুই বন্ধু মেহরাজ ও মাহথির এসে পারভেজের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর পারভেজকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। তার বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন রোববার তার ভাই হুমায়ুন কবির প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয় ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested across the country in a special police operation

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৬১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯০৬ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৭০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এসব অভিযানে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ১টি দেশীয় পাইপগান, ১টি একনালা বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ২ রাউন্ড অকেজো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩১ জনকে। তার মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১৩ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার আগে গত রোববার ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৫৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death Reference and Appeal Hearing Major Sinha Kill Tomorrow

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি আগামীকাল।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় মামলাটি বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মূলতবি/নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে প্রধান বিচারপতি আলোচিত এই মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য এই হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The news of the burning of the Sagar Rooney murder case is not correct

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পড়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে, সঠিক নয়।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে নতুন উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাবার তথ্যটি সঠিক নয়।’

‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময় আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন, যা সঠিক না,’ যোগ করেন তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতে আগুনে এসব নথি পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরনো নথি খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ।’

‘এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ নয় মাস সময় চাইলে বাদীপক্ষ তিন মাস সময়ের কথা বলেন। পরবর্তীতে আদালত ছয়মাস সময় দেন,’ যোগ করেন তিনি।

এরআগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরসাদুর রউফ বলেন, ‘আমি এমন কোনো কথা কখনোই বলিনি। সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পোড়েনি। আমি বলেছি, এটা পুরনো মামলা।’

মন্তব্য

p
উপরে