বাংলাদেশের দক্ষিণের এক জেলায় সাহারিয়া কনকের জন্ম। বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভৌগলিক দূরত্ব ও সাংস্কৃতিক ফারাক কতটা, তা প্রযুক্তির এ যুগে এসে হয়তো সহজেই সবার বোধে এসে যায়। তবে এই ভৌগলিক, আর্থ সামাজিক দূরত্ব আর অনেকখানি বন্ধুর পথ পেরিয়ে বাঙালি একজন নারী দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করতে যোগ্য হয়ে ওঠেন তা নিয়ে ধারণা পাওয়া খুব সহজ কিছু নয়।
সেই যোগ্য বাঙালি নারী হলেন আমাদের আজকের আলোচিত সাহারিয়া কনক। তিনি কানাডার অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশে অধীনে (অন্টারিও মিনিস্ট্রি অফ সলিসিটির জেনারেল) রিজিওনাল বিসনেস এনালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।
বরিশাল থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে জাপান, এরপর জাপান থেকে কানাডা। সাহারিয়ার সব পথ একরৈখিক করেছে শিক্ষাগত যোগ্যতা, সততা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে, সমৃদ্ধ হয়েছে তার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার। তবে অভিজ্ঞতা সবসময় সুখকর ছিল না। নিরলস চেষ্টায় তিনি পৌঁছেছেন তার কাঙিক্ষত লক্ষ্যে।
সাহারিয়া নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন সেসব উদ্দীপক গল্প।
বরিশাল শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই মেধাবী মানুষটির। স্কুলের শিক্ষা শেষে বিএম কলেজে, এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে। এই পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে বৈবাহিক সূত্রে ২০০১ সালে বাংলাদেশ থেকে জাপানে যান তিনি।
সাহারিয়া জানান, তার স্বামী সেই সময়ে এনভারনমেন্টাল ইঞ্জনিয়ারিংয়ে জাপানে পিএইচডি করছিলেন। বৈবাহিক কারণে জাপানে গেলেও নিজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন নিজের উচ্চ শিক্ষা এবং ক্যারিয়ার তৈরির বিষয়ে। সাহারিয়ার স্বামী ড.আনিসুর রহমান এ ব্যাপারে তার পাশে থেকেছেন সবসময়, এটি এ সফল নারীর পরম পাওয়া।
জাপানে যেখানে ছিলেন সাহারিয়া, সেখানে ভার্সিটির সোশ্যাল সাইয়েন্স ডিপাটরমেন্টে জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি ছাড়া কোনো রিসার্চ করার সুযোগ ছিল না মাস্টারস লেভেলে! আর সরাসরি পিএইচডি প্রোগ্রামে এনরোলমেন্ট হওয়ার মতো রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ডও তার ছিল না। অবশ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্সকালীন সময়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রজেক্টে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে তার দুই বছরের অভিজ্ঞতা ছিল।
অনেক প্রচেষ্টার পরে প্রফেসর ডক্টর ইউসিয়াকি ইগুনির তত্ত্বাবধানে তার রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ শেখার সুযোগ মেলে সাহারিয়ার। কোনো বেতন বা স্কলারশিপ ছাড়াই দুই বছর টানা কাজ করার পর জাপান সোসাইটি ফর প্রোমোশন অফ সায়েন্সে বেশ বড় রিসার্চ প্রোজেক্ট ফান্ড/অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন তিনি। এই ফান্ড দেয়া হয় রিচার্স ফেলোশিপ ফর ইয়াং সায়েন্টিস্ট-এর আওতায়। সাহারিয়া এর আওতায় সংসার,পুত্র সবসামলে বাংলাদেশের মাইক্রোফিন্যান্স নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে ২০০৭ সালে অক্টোবরে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পোস্ট ডক্টরেট ফেলো হিসেবে তিনি চাকরি করেন।
সাহারিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে জাপানের পার্থক্য যা দেখেছি; দুর্দান্ত সিস্টেমেটিক, ট্রান্সপারেন্ট এবং কমিটেড সোশ্যাল কালচার। কিন্তু বাংলাদেশের মতো হাইলি পপুলেটেড, কারণ জাপানে ৭৫% পাহাড়ি বন ঘেরা এরিয়া, বাকি ২৫% ফ্লাট ল্যান্ড। জাপান বিশ্বের থার্ড লার্জেস্ট ইকোনমি এবং সেকেন্ড ডেভোলপড দেশ হলেও তা এশিয়য়ার অন্তৰ্ভুক্ত। তাই ফ্যামিলি নর্মস, ভ্যালুস, সামাজিকতায় অনেক মিল আছে আমাদের কোর ভ্যালুর সাথে জাপানিজ কালচারেরসব থেকে পজিটিভ ইনফ্লুয়েন্স ছিল আমার ক্ষেত্রে, তাদের বিনয়, ওয়ার্কম্যানশিপ, অনেস্টি এবং সিম্পল লাইফ স্টাইল।’
এখানেই থেমে থাকেননি সাহারিয়া, ২০০৫ সালে কানাডায় নাগরিকত্ব নিলেও ২০০৮ সালের নভেম্বরে জাপান থেকে কানাডার অন্টারিও প্রদেশে অভিবাসন করেন তিনি। সে পথও কতটা বন্ধুর ছিল তা উঠে আসে সাহারিয়ার কথায়।
তিনি বলেন, ‘এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে নতুন করে ক্যারিয়ার আর জীবন শুরু, যা সব অভিবাসীর মতোই কঠিন। এ যেন কাজী নজরুলের ইসলালের ভাষায়- দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার হে। লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার!
‘নতুন দেশ, নতুন কালচার সবকিছু নতুন করে জানা শেখা। সাড়ে ৪ শ’র বেশি কালচারাল অরিজিন কানাডায় বসবাস করে। তা ছাড়া ভৌগোলিক বিশালত্ব- অন্টারিও বাংলাদেশের থেকে ৭.৫ টাইমস বড়! এখানে ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে প্রতিদিন জব করা খুবই স্বাভাবিক। তাই কালচারাল শিফট ছিল সিগনিফিকেন্ট।’
সাহারিয়া বলেন, ‘২০০৮ সালের নভেম্বরে যখন এসেছি, তখন ওয়ার্ল্ড রিসেশন চলছে; যার প্রভাব কানাডায় প্রকট ছিল। জব মার্কেট খুবই ভালনারবল। কিন্তু আমি আশাহত না হয়ে গভর্নমেন্ট-এর নিউ-কামার ট্রেনিং শুরু করি, যা আমাকে এই দেশ সম্পর্কে, জব নিডস এবং আমার স্কিল এসেসমেন্ট এ সাহায্য করবে বলেই বিশ্বাস ছিল।
‘কারণ কানাডা গভর্নমেন্ট বিনা খরচে প্রতিটি নিউ ইমিগ্র্যান্টকে (এন্ট্রির পরে প্রথম তিন বছর সবাইকে নিউ ইমিগ্র্যান্ট হিসাব করে যার যে ধরেন সাপোর্ট দরকার, তার এসেসমেন্টে সাহায্য করার বিভিন্ন সরকারি ফান্ডেড নন প্রফিট অর্গানিজশন আছে প্রতিটি শহরে) বিভিন্ন স্কিল ট্রেনিং এবং কালচারাল এসিমিলেশন- এর অপশন রেখেছে, যা সবাইকে এই দেশে অভিসংযোজিত হতে সাহায্য করে।’
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে এ রকম একটি অর্গানাইজেশন নিউ-কামার সেন্টার অফ পিল-এ রিজিউম কভার লেটার রাইটিং অ্যান্ড কানাডিয়ান ইন্টারভিউ স্কিল বিল্ডআপের তিন মাসের ট্রেনিং শেষ করে ওখানেই ভলান্টিয়ার পজিশনে মাইগ্রেশন সেটেলমেন্ট অফিসে জয়েন করি। কানাডিয়ান জব এক্সপেরিয়েন্স নেয়ার জন্য দীর্ঘ ৮ মাস বিনা বেতনে ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সোমবার থেকে শুক্রবার কাজ করেছি।
‘এরপর ২০০৯ সালের অক্টোবরে ওই অর্গানিজশনের ডিরেক্টরের রেফারেন্সে একটি প্রাইভেট অর্গানিজশনে অ্যাডমিন কোঅর্ডিনেটর পজিশন ইন্টারভিউ পাই। মোট ১০জনকে নির্বাচিত করা হয়েছিল ইন্টারভিউয়ের জন্য। এদের মধ্যে একমাত্র আমি নির্বাচিত হয়ে ওখানে জয়েন করি, যদিও বাসা থেকে বেশ দূরে এবং ড্রাইভিং করতে হতো তিনটা ব্যস্ত হাইওয়েতে। এটা এ কারণেই উল্লেখ করছি, এখানে প্রতিদিন নিউ-কামার অবস্থায় অনেকেই এটা করতে সাহস করবে না। কিন্তু আমি আমার জাপানের অভিজ্ঞতা, ওদের পরিশ্রমের সেই পজিটিভিটি মাথায় রেখে জবটা একসেপ্ট করে ওখানে ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কাজ করেছি।’
সাহারিয়া বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেক জবে অ্যাপ্লাই করেছি, কোথাও কোথাও ইন্টারভিউ পেলেও সফল হয়নি। এটা মনে হয়েছিল যে, এখানকার এডুকেশন না থাকায় ইন্টারভিউ পেলেও ঠিকমত কম্পিট করতে পারছি না; নিজেকে আরেকটু এনরিচ করতে হবে ড্রিম জব পাবার জন্য। তাই ২০১৩ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াটারলু-এর প্রফেশনাল মাস্টার্স ডিগ্র-এমপিএস (মাস্টার অফ পাবলিক সার্ভিস)- এ ভর্তি হই। ২০১৪ এর অল কোর্স ওয়ার্ক শেষ করেই দ্য অন্টারিও মিনিস্ট্রি অফ ফাইন্যান্স-এ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে জয়েন করি।
‘২০১৫ মার্চে এমপিএস- এর রিচার্স পেপার শেষ করে ডিগ্রি লাভের পর পাবলিক সার্ভেন্ট অফ কানাডা হিসেবে রেগুলার পজিশনে দ্য অন্টারিও মিনিস্ট্রি অফ চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়ুথ সার্ভিসে রিচার্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করি। কিন্তু ততদিনে স্বপ্নের পরিধি বড় হচ্ছিল। এখানে প্রভিন্সিয়াল গর্ভমেন্টে এ প্রতিটি পজিশনের জন্য আলাদা সিভিল সার্ভিস কম্পিটিশন, তাই ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের এ সময়ে আমি অন্তত ৩০ ইন্টারভিউ দিয়েছি, কিন্তু জব অ্যাপ্লাই করেছি ১০০-এরও বেশি।’
সাহারিয়া বলেন, ‘ওয়াটারলু-এর মাস্টার্স ডিগ্রি খুবই সহায়ক ছিল। জব সার্চিং প্রসেস ফর গর্ভমেন্ট, এই ডিগ্রি আমাকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করেছে কানাডার পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন বাংলাদেশে। আব্বা ছিলেন আমার জীবনের আদর্শ পুরুষ। আমার শৈশব এর সব থেকে স্মৃতিময় সময় ছিল, আব্বা যখন তার ইউনিফর্ম পরে কাজ শেষে বাসায় ফিরতেন হাতে বিভিন্ন ধরেনর ফল আর চকলেট নিয়ে। সেই ক্ষণ ছিল স্বপ্নের মতো।’
বাবার কাছ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের অনেক কিছুই তার শোনা, সাহারিয়ার প্রয়াত বাবা যেমন পুলিশ বাহিনী নিয়ে গর্বিত ছিলেন তেমনি কিছু ব্যাপারে তার দুঃখ ছিল অপিরিসীম। বাংলাদেশ পুলিশ সুযোগ-সুবিধায় সুরক্ষিত নয় ও জনগণের বিশ্বাস অর্জনে ব্যর্থ। উদাহরণ স্বরূপ আরও বলা যেতে পারে,পুলিশ বাহিনীর জনগনকে মানবিক সেবা দিয়ে যে সম্মান পাওয়ার কথা তাতে ব্যাপক ঘাটতি, কিংবা আসামির স্বীকারোক্তি আদায়ের অমানবিক পদ্ধতি ও বাংলাদেশের স্বাক্ষী সুরক্ষা আইনের অষ্পষ্টতা নিয়েও তার বাবার মনে কষ্ট ছিল।
কানাডার পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করে তাদের প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠেছে, বাংলাদেশে যেটি এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে । কানাডায় সর্বস্তরের পুলিশ বাহিনীর স্বচ্ছতা, রেস্পেক্ট এবং সর্বোপরি জনগণের আস্থা বা গ্রহণযোগ্যতা অপরিসীম। এসব সাহারিয়ার অবচেতন মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। তাই কানাডার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হওয়া ছিলো তার স্বপ্নের দ্বিতীয় ধাপ। এই লক্ষকে সামনে রেখে সাহারিয়া সিটি, মিউনিসিয়াপলিটি এবং প্রভিন্সিয়াল পুলিশ -এ জব সার্চ এবং অ্যাপ্লাই শুরু করেন।
অবশেষে ২০১৮ এর এপ্রিলে ৬ মাসের ৫ লেভেল এর বাছাই পর্ব শেষে ফার্স্ট লেভেল অফ সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স পার হয়ে অন্টারিও মিনিস্ট্রি অফ সলিসিটর জেনারেলের অধীনস্থ অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশে রিজিওনাল বিসনেস এনালিস্ট হিসেবে যোগ দেন তিনি।
বাংলাদেশের বরিশালের এই সাহারিয়াই প্রথম বাংলাদেশি কানাডিয়ান যিনি ওপিপি নীতিনির্ধারণী লেভেলে হায়ার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
সাংবাদিকতায় ‘মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেয়েছেন গ্লোবাল টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শাহরিয়ার বাঁধন। ভারত-বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি এই সম্মাননা প্রদান করে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচা মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি উৎসবে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফট্যান্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ বীরপ্রতীক।
শাহরিয়ার হাসান সাংবাদিকতার পাশাপাশি পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেইসঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বেকারত্ব দূরীকরণে উদ্যোক্তাদের নিয়ে ‘উদ্যোক্তা-এন্টারপ্রেনার’ নামে একটি সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।
শাহরিয়ার ছাড়াও এ সম্মাননা পেয়েছেন একুশে টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ফারজানা শোভা, এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক বাতেন বিপ্লব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাহমুদুল হক সুজন এবং বাংলাদেশ পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন।
চট্টগ্রামে ছেলেবন্ধুর হয়ে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক তরুণী। তৎক্ষণাৎ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডিত ওই ছাত্রীর নাম প্রিয়তি জান্নাত। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর পর স্বাক্ষরপত্রে গরমিল দেখে দায়িত্বরত হল পরিদর্শকের সন্দেহ হয়। পরে ওই ছাত্রীকে আটক করে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি ও পরিদর্শকের সাক্ষ্য নেন। পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২৩-এর (১০) ধারা অনুযায়ী তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই ছাত্রী তার এক ছেলেবন্ধুর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তিনি যেহেতু মেয়ে, তাই নিজের ছবি দিয়ে ভুয়া প্রবেশপত্রও তৈরি করেছিলেন। তবে হল পরিদর্শক স্বাক্ষর নেয়ার সময় দেখেন মেয়েটি ছেলের নামে স্বাক্ষর করেছেন। এতেই ধরা পড়েন তিনি।’
জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী সব স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা।
বৃহস্পতিবার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রয়ক আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হল, আসন ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি যার আবেদন চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে ১০ ডিসেম্বর থেকে ৪৬তম বিসিএসের আবেদন শুরু হয়।
পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে।
সাজিদ হক। ৪৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের বোনের ছেলে। ক্যাম্পাস ক্যারিয়ারে সাফল্যের গল্পে মা ডালিয়া চৌধুরী ডনি এবং বাবা এ. এস. এম সিরাজুল হকের সঙ্গে ছিলেন সাজিদ হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এমি জান্নাত।
নিউজবাংলা: আপনি তো বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। সেখান থেকে প্রশাসন ক্যাডারে আসার জার্নিটা কেমন ছিল?
সাজিদ হক: বিসিএস জার্নিটাই অনেক লম্বা। আমি যখন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জয়েন করি, তার ঠিক দুই মাস পরই বিসিএস পরীক্ষা শুরু হয়। এরমধ্যেই পড়াশোনা চালিয়ে যাই। প্রিলিমিনারি পাস করার পরই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে কঠিন সময় যাচ্ছিল। নদী ভাঙন হয় সে সময়। তার পাশাপাশি পড়াশোনা করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই।
নিউজবাংলা: চাকরির পাশাপাশি আরেকটি সরকারি চাকরির জন্য আবার পড়াশোনা কতটা সংগ্রামের ছিল?
সাজিদ হক: যে সময়টা আমার পরীক্ষা হয়েছে সে সময় কাজের চাপ অনেক বেশি ছিল। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হতো। এর মাঝে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া আসলেই অনেক কঠিন ছিল। তবে সে সময় আমার সহকর্মীরা এবং সিনিয়র ভাইয়েরা অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। তারা সবসময় পাশে থেকেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। ঢাকার বাইরে পোস্টিং হওয়ায় মা-বাবা দূরে থাকলেও তাদের সাপোর্ট সবসময় ছিল বলেই কঠিন হলেও সম্ভব হয়েছে।
নিউজবাংলা: ফলাফলের দিন অনুভূতি কেমন ছিল?
সাজিদ হক: পরীক্ষা ভালো হওয়ায় আশাবাদী ছিলাম যে ভালো কিছুই হবে। মা-বাবা তো অপেক্ষায় ছিলেন রেজাল্ট কবে দেবে। রেজাল্ট দেয়ার দিন অফিসের কাজে বেশি ব্যস্ত ছিলাম যেন টেনশন কম হয়। অপেক্ষার পালা শেষ হলো প্রশাসন ক্যাডারে নিজের রোল দেখার পর। সেই অনুভূতিটা আসলে অন্যরকম!
নিউজবাংলা: ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পরও প্রশাসনের প্রতি আগ্রহ কেন?
সাজিদ হক: বুয়েট থেকে পাস করার পর অনেকের ড্রিম জব থাকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জব করার। সেখানে থাকার পরও আমি দেখলাম, প্রশাসনে যারা আছেন তারা প্রতিটা চাকরির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কো-অর্ডিনেশন থেকে শুরু করে মনিটরিং- প্রতিটা কাজে তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। এই বৈচিত্র্যময় ক্যারিয়ারটাই আমাকে আকর্ষণ করত।
নিউজবাংলা: আপনার এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশি?
সাজিদ হক: সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। এরপর আমার মা-বাবা তো সবসময় পাশে ছিলেন। এরকম একটা সংগ্রামে সবার সাপোর্ট দরকার হয়। সেক্ষেত্রে আমার মামা, চাচা, সহকর্মী, বন্ধু এবং সিনিয়র ভাইরা সব সময় আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
নিউজবাংলা: প্রশাসনের ব্যক্তি হিসেবে দেশের জন্য কী অবদান রাখতে চান?
সাজিদ হক: বুয়েট থেকে পাস করার পর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরকারি চাকরি পেলেও আমার সবকিছু ঘিরে থাকত প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার স্বপ্ন। আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ফিল করেছি যে, এখানে গেলে আমি দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে পারব। যেহেতু এখানে ডাইনামিক কাজ করার সুযোগ বেশি এবং আমি চাই দেশের জন্য, মানুষের জন্য নিজের কাজের মাধ্যমে অবদান রাখতে।
নিউজবাংলা: যারা ক্যারিয়ারে সফল হতে চায়, তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
সাজিদ হক: প্রথমত, লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। কনফিউজড হওয়া যাবে না। অনেকেই দেখা যায়, সকালে সরকারি চাকরির জন্য পড়ছেন। আবার বিকেলে বিদেশে যাওয়ার জন্য জিআরই পড়ছেন। আবার এর মাঝে প্রাইভেট জব করছেন। একেকটা তো একেক রকম ক্যারিয়ার। যার যেটা লক্ষ্য থাকবে, সেটাকেই ঠিক রেখে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম কখনও বৃথা যায় না। তাই লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ করে যেতে হবে।
ছেলের সাফল্যে মা ডালিয়া হক এবং বাবা এ.এস.এম সিরাজুল হকের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো।
নিউজবাংলা: ছেলেকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন?
ডালিয়া হক: ছেলের ওপর যেন আল্লাহর রহমত থাকে। সে যেন একজন ভালো মানুষ হিসেবে সমাজের জন্য যা যা করণীয়, সবটা সততার সঙ্গে করে।
নিউজবাংলা: সন্তানের সাফল্যে অনুভূতিটা কেমন?
সিরাজুল হক: আমার ছেলে শুধু পড়াশোনা করতে হবে বলে পড়েনি, সে সেটা উপভোগ করে করেছে। ওর বিনোদন ছিল পড়াশোনা। এ পর্যন্ত তার যেটা লক্ষ্য ছিল, সেটাতে সে পৌঁছেছে বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি। আমরা তৃপ্ত। আশা করি, বাকি দিনগুলোতে ওর প্রতি অর্পিত দায়িত্ব ও পালন করতে পারবে।
আরও পড়ুন:বাংলার শীত সংস্কৃতিকে উদযাপনের মাধ্যমে শীতের কুয়াশাকে বরণ করে নিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বরাবরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ উৎসব অনুরাগী বিভিন্ন পেশার মানুষের সার্বিক অংশগ্রহণে আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব-১৪৩০।
উৎসব-বন্ধু নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবারও উৎসব-বন্ধুদের অর্থায়নে আয়োজন করা হচ্ছে ভিন্নধর্মী এই উৎসব।
মৈমনসিংহ গীতিকার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এবারের কুয়াশা উৎসব-১৪৩০ উৎসর্গ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনুষ্ঠানের আয়োজনে সংশ্লিষ্টরা।
এ আয়োজনের প্রথমদিন থেকেই থাকছে চিত্রকলা, চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী; রাগ সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, আবৃত্তি, সাহিত্য আলোচনা, রম্য বিতর্ক, নাট্য ও নৃত্য পরিবেশনা, রস উৎসব, পিঠা পার্বণ, পালাসহ আরও নানা আয়োজন।
উৎসবের দুই দিন গান পরিবেশন করতে আসছে ব্যান্ড দল সহজিয়া, মাদল, গঞ্জে ফেরেশতা। এছাড়াও গান পরিবেশন করবে মুয়ীয মাহফুজ ও কফিল আহমেদ।
কুয়াশা উৎসব আয়োজকরা যেমন বাংলার লোক সংস্কৃতিতে শীতের প্রভাবকে উদযাপন করে, তেমনি সংস্কৃতির বিবর্তন আর ভিন্নতার সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চান। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংস্কৃতির প্রাণশক্তিকে আহ্বান জানিয়ে এবারের কুয়াশা উৎসবের স্লোগান- হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৬তম বিসিএস নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
পিএসসির ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) যুগ্মসচিব আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আগের কয়েকটি বিসিএসের ধারাবাহিকতায় এবারও ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পিএসসি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করা যাবে আবেদন আর এতে ফি নির্ধারিত হয়েছে ৭০০টাকা। তবে বয়সে কোনো ধরণের ছাড় দেয়া হয়নি।
আগামী বছরের মার্চে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৬তম বিসিএসে ক্যাডার হিসেবে ৩ হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা জানানো হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তিতে। আগের ১০টি বিসিএসের তুলনায় এবার পদ সংখ্যার বিচারে এটি রেকর্ড।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এক হাজার ৬৯৮ জন চিকিৎসক নিয়োগ পাবেন এ বিসিএসে। এরপরই আছে শিক্ষা ক্যাডার। সরকারি কলেজে ৯২০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে এ বিসিএসের মাধ্যমে।
এছাড়া সাধারণ ক্যাডারের মধ্যে বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্ত ৬৫টি পদে নিয়োগ দেয়ার কথা উল্লেখ আছে ৪৬তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তিতে।
রাজধানীর ডেমরার আমিনবাগ গেট বাঁশেরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ। ২৫ বছর বয়সী এ যুবক একজন স্বেচ্ছাসেবী এবং সংগঠক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফোরাম এসডিএ, উইন্টার প্রোজেক্ট, হিমু পরিবহন, আশার আলো সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।
যে বয়সে হোসাইনের পরিবারের হাল ধরার কথা, সেই বয়সে তিনি আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অন্তত ১২ লাখ টাকা, কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
হোসাইন গত ১২ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় তার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিউরোসায়েন্স থেকে ফিরে বর্তমানে বাসায় রয়েছেন হোসাইন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যায় নিউজবাংলা। গিয়ে দেখা যায়, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। এ সময় বাঁতে আকূল হোসাইনের চোখের দুধার বেড়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রু। চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
হোসাইনকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন নিচের মাধ্যমগুলোতে
প্রাইম ব্যাংক শেরপুর, বগুড়া শাখা
ইসলামী ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা
বিকাশ/নগদ (মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট)
বিকাশ/নগদ (হোসাইনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট)
যেকোনো প্রয়োজনে রায়হান (০১৯৫৩৬১৯৪১৯), আশিক (০১৬১০২১৭০৬৪) ও তপুর (০১৫৬৮১০৯৯৫৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য