× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bomb blast in Madaripur due to start of brick kiln
google_news print-icon

ইটভাটা চালু নিয়ে উত্তপ্ত মাদারীপুর, সংঘর্ষ, বোমা হামলা

ইটভাটা-চালু-নিয়ে-উত্তপ্ত-মাদারীপুর-সংঘর্ষ-বোমা-হামলা
মাদারীপুরের কালকিনিতে সোমবার দুপক্ষের সংঘর্ষে পর অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিলন সরদার বলেন, ‘আমার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে বাঁধা প্রদান করেন সাহিদ পারভেজের লোকজন। দীর্ঘদিন ধ‌রে আমার ইটেরভাটা চ‌লে আস‌ছে, এটা অবৈধ কোনো ইটভাটা নয়।’

মাদারীপুরে ইটভ‌াটা চালু করাকে কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়‌নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ পারভেজের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

সোমবার দুপুরে আলীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন ফা‌সিয়াতলা বাজার সংলগ্ন ও জনবহুল এলাকায় এক‌টি ইটভাটার ব্যবসা করে আসছিলেন। ত‌বে গত বছর থে‌কে স্থানীয়‌দের চা‌পের মু‌খে ইটভাটা‌টি বন্ধ হ‌য়ে যায়। এ বছর তিনি ইটভাটা‌টি আবার নতুন করে চালুর প্রক্রিয়া শুরু করে‌ন। এ নি‌য়ে স্থানীয়রাসহ বর্তমান চেয়ারম‌্যা‌নের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় তার। এর জের ধরেই আজ দুপুরে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে স্থানীয় বাজার এলাকায় সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের সময় দফায়-দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, কোপানো ও বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ পারভেজের সমর্থক মিলন মোল্লা, জাকির হাওলাদার, কারিমুল হাওলাদার, নুরু ও সাজিদসহ উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষ বাঁধার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিলন সরদার বলেন, ‘আমার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে বাঁধা প্রদান করেন সাহিদ পারভেজের লোকজন। দীর্ঘদিন ধ‌রে আমার ইটেরভাটা চ‌লে আস‌ছে, এটা অবৈধ কোনো ইটভাটা নয়।’

বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ পারভেজ বলেন, ‘দীর্ঘদিন মিলন সর্দার বাজা‌রের সঙ্গে ইটভাটা চা‌লি‌য়ে পরিবেশের ক্ষ‌তি ক‌রে আস‌ছে। তারই প্রতিবাদ কর‌লে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছেন এবং গুদামঘর ভাংচুর করেছেন।’

কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
নেতৃত্ব নিয়ে উত্তপ্ত বেনাপোল বন্দর, সংঘর্ষ, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
পটুয়াখালীতে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য আহত
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১৫
বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের, নেপথ্যে মোবাইল চুরি
বিএনপির সভায় গুলি, হামলা ও লুটপাট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Awami League BNP clashes in Narsingdi two injured in the clash

নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে দুজন নিহত, আহত ১০

নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে দুজন নিহত, আহত ১০ নরসিংদীতে দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে থাকা লোকজন। ছবি: ইউএনবি
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আবদুল হান্নান বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।

সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চল চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন (২৩) ও একই গ্রামের বারেক হাজীর ছেলে বাশার (৩৫)।

স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁনপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম মিয়া ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহাগের সঙ্গে চাঁনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসু মেম্বারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতা সামসু মেম্বর ও তার সমর্থকরা এলাকাছাড়া ছিলেন। ৫ আগস্টের পর এলাকায় ফিরে আসেন তারা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এমনকি দুটি পক্ষই মারামারি ও গোলাগুলি করে।

একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মিয়া ও তার সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সবশেষ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সালাম মিয়া ও তার সমর্থকরা এলাকায় ফিরতে চান। এতে বাধা দেন বিএনপি নেতা সামসু মেম্বার ও তার লোকজন।

পরে দেশীয় অস্ত্র, ট্যাঁটা, বল্লম, দা, ছুরি, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া গুলিতে একজন এবং ট্যাঁটা ও ছুরিকাঘাতের আরও একজনসহ দুইজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ওই সময় সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ১০ জন।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার আবদুল হান্নান বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ফুটপাতে দোকান বসানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
সিরিয়ায় সংঘর্ষ, প্রতিশোধমূলক হামলায় নিহত হাজার ছাড়াল
ভারতের অভ্যন্তরে ‌খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ঝিনাইদহে দুর্বৃত্তদের গুলিতে চরমপন্থি নেতাসহ তিনজন নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Internet traders killed in Gulshan

গুলশানে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত

গুলশানে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত প্রতীকী ছবি
মুমূর্ষু অবস্থায় গুলশান থানা পুলিশ সুমনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে দুর্বৃত্তের গুলিতে সুমন (৩৫) নামের এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের সড়কে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় গুলশান থানা পুলিশ সুমনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন জানান, নিহত ব্যক্তি পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে হঠাৎ ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

এসআই আরও জানান, সুমনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। তার মাথা এবং বুকের বাম পাশে গুলি করা হয়েছে।

হাসপাতালে নিহত সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই বাদশা মিয়া রুবেল জানান, সুমনের বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায়। সুমন স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে মিরপুরের ভাষানটেক এলাকায় থাকতেন। মহাখালীর টিভি গেট এলাকায় ‘প্রিয়জন’ নামে তার ইন্টারনেট ব্যবসা রয়েছে।

তিনি বলেন, টিভি গেট এলাকায় ‘একে-৪৭’ গ্রুপের রুবেল নামের এক ব্যক্তি ডিশের ব্যবসা করেন। তার সঙ্গে সুমনের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ আছে এবং তিনি মাঝে মাঝে সুমনকে হত্যার হুমকি দিত। ওই পক্ষের লোকই গুলি করেছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তিনি।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ী সুমনের নামে গুলশান, বনানীসহ কয়েকটি থানায় চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করেছে, অন্তর্কোন্দল থেকেই এই হত্যাকাণ্ড। ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।

আরও পড়ুন:
ইনু, মেনন,আনিসুল, দীপু মনি ও সাদেক খান রিমান্ডে
অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা, এলাকাবাসীকে লক্ষ্য করে অর্ধশত গুলি
ঝিনাইদহে দুর্বৃত্তদের গুলিতে চরমপন্থি নেতাসহ তিনজন নিহত
রাজধানীর যেসব এলাকায় ১৩ ঘণ্টা থাকবে না গ্যাস
পিকআপের ধাক্কায় মা-বাবা নিহত, মেয়ে হাসপাতালে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Amendment to the Advisory Council including the Amendment to the Women and Child Abuse Act

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাসসহ উপদেষ্টা পরিষদে বেশকিছু সিদ্ধান্ত

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাসসহ উপদেষ্টা পরিষদে বেশকিছু সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি
সভায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইন’র সংশোধনী পাস হয়েছে। সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশের সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ পার্সেন্টের কম হলে টেন্ডার প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান তা বাতিল করা হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাশসহ উপদেষ্টা পরিষদে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

সভায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইন’র সংশোধনী পাশ হয়েছে। সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশের সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ পার্সেন্টের কম হলে টেন্ডার প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান তা বাতিল করা হয়েছে। পূর্বের কাজের মূল্যায়নের জন্য যে ম্যাট্রিক্স ছিল, যেটা থাকার কারণে একই প্রতিষ্ঠান বারবার কাজ পেতো, তা বদলে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স করা হবে। এতে করে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। বর্তমানে ৬৫ শতাংশ কাজের দরপত্র বা টেন্ডার অনলাইনে হচ্ছে। এটিতে শতভাগে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দপ্রাপ্তরা পূর্বে নিজ নামে নামজারি করতে পারতেন না। সেই অসুবিধা দূর করতে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে।

জনসাধারণের সুবিধার্থে ৩ এপ্রিল একদিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী সকল জনগোষ্ঠীর সামাজিক দিবসে ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণার বিধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে আজ উপদেষ্টা পরিষদে।

আরও পড়ুন:
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অগ্রহণযোগ্য: টিআইবি
বিচারক নিয়োগ বিধি অতীতে নিপীড়ন-নির্যাতনে সহায়তা করেছে
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন 
সংস্কারের জন্য বছরখানেক সময় চান আইন উপদেষ্টা
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির আগে পর্যালোচনার সুপারিশ টিআইবির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The family did not find the child alive even with ransom

মুক্তিপণ দিয়েও সন্তানকে জীবিত পেল না পরিবার, তিনজন গ্রেপ্তার

মুক্তিপণ দিয়েও সন্তানকে জীবিত পেল না পরিবার, তিনজন গ্রেপ্তার ঠাকুরগাঁওয়ে কলেজছাত্র অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজন। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে এ বিষয়ে কাজ করছিলাম আমরা। কোনো ক্লু পাচ্ছিলাম না। প্রযুক্তির সহযোগিতায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা স্বীকার করেছে যে, মিলনকে খুন করেছে ও তাদের দেখানো মতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’

ঠাকুরগাঁওয়ে অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন নামের এক কলেজছাত্রকে অপহরণ করেছিল একটি চক্র। তার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তাদের চাওয়া মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা দিয়েও মিলনকে জীবিত পায়নি তার পরিবার।

এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

দুই অপহরণকারীকে বুধবার রাত তিনটার দিকে গ্রেপ্তার এবং মিলনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, দুজনকে গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত আরও একজনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জের মহেশপুর বিট বাজার এলাকার মো. সেজান আলী (২৮), আরাজী পাইকপাড়া এলাকার মুরাদ(২৫) ও সালন্দর শাহী নগরের রত্না আক্তার ইভা (১৯)।

প্রাণ হারানো কলেজছাত্র মিলন হোসেন দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁওয়ের চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর ছেলে।

পুলিশের ভাষ্য, অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজছাত্র মিলনকে অপহরণ করে একটি চক্র। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার সময় ভুক্তভোগীর পরিবারকে মুঠোফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায় অপহরণকারীরা।

প্রথমে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তিপণের তিন লাখ টাকা চায়। পরের দিন দুপুরে তিন লাখ টাকা দিতে রাজি হয় মিলনের পরিবার। তবে পরে চক্রটি পাঁচ লাখ দাবি করে। পরের দিন সেটি আরও বেড়ে ১০ লাখ হয়। তিন দিন পরে ১৫ লাখ চায় চক্রটি। সর্বশেষ ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র।

গত ৯ মার্চ রাতে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা অপহরণকারী চক্রের কাছে বুঝিয়ে দেয় অপহৃত মিলনের বাবা পানজাব আলী। কিন্তু ধারদেনা করে ২৫ লাখ টাকা দিয়েও মিলনকে জীবিত পায়নি পরিবারটি।

ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ বলেন, ‌‘বুধবার রাতে মিলনকে অপহরণের ঘটনায় আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে ও তাদের দেখানো মতে আমরা স্থানীয় সাক্ষীদের সামনে লাশ উদ্ধার করি। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’

জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে এ বিষয়ে কাজ করছিলাম আমরা। কোনো ক্লু পাচ্ছিলাম না। প্রযুক্তির সহযোগিতায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা স্বীকার করেছে যে, মিলনকে খুন করেছে ও তাদের দেখানো মতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইনগত পক্রিয়া শেষে আদালতে বিচার কার্যক্রমের মাধ্যমে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এর আগে আমরা যেন কেউ আইন নিজের হাতে তুলে না নিই, সেদিকে সতর্ক থাকার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য বিচারপ্রত্যাশী ছাত্র-জনতোকে ধৈর্য ধরে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এদিকে দোষীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁও শহর। দ্রুত সুষ্ঠু বিচার চয় নিহতের পরিবার, স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ জেলার বিভিন্ন মানুষ।

আরও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ছুরিকাঘাতে আহত চারজন
ঠাকুরগাঁওয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, কর্মবিরতি
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে মারধর
ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
গৃহবধূকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jabi protests in protest of Israeli attacks in Gaza

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। ছবি: ইউএনবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজার নিরপরাধ মানুষদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মার্চ ফর প্যালেস্টাইন কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ছাত্র শোয়াইব হাসান কর্মসূচি সঞ্চালন করেন। এতে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বুকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে ইহুদিবাদী শক্তি। তারা আমেরিকার মদদ পেয়ে বারবার আইন লঙ্ঘন করে চুক্তি অমান্য করে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে।

‘আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে অনতিবিলম্বে এমন ন্যক্কারজনক হামলা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তিগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘স্টপ জেনোসাইড’, ‘জাস্টিস ফর প্যালেস্টাইন’, ‘নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘নেতানিয়াহুর আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘অবৈধ ইসরায়েলের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।

ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনকে একটি উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে অবৈধ ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী। তারা নির্বিচারে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হত্যা করছে। আমরা এ-ও দেখতে পাচ্ছি, কীভাবে বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র ইহুদিবাদীদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তোমরা যদি নিরপরাধ মানুষদের ওপর বর্বরোচিত হামলা বন্ধ না করো, তাহলে ২০০ কোটি মুসলমান তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ছাত্র আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হাতে লাখো ফিলিস্তিনের রক্তের দাগ লেগে আছে। তাদের ইতিহাস বেইমানির ইতিহাস, তাদের ইতিহাস অবাধ্যতার ইতিহাস। তারা আল্লাহর সাথে বারবার বেইমানি, অবাধ্যতা করেছে।

‘জাতি হিসেবে তারা অকৃতজ্ঞ, অভিশপ্ত। অথচ তারা আজ সভ্যতার নীতিকথা শোনায়। এটা অত্যন্ত লজ্জার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মুসলমান। আমরা মরতে ভয় পাই না। আমাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ ইতিহাস, ইহুদিবাদী অপশক্তিকে রুখে দিয়ে পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনের মাটিতে আবারও আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আবদুর রশিদ জিতু বলেন, ‘ফিলিস্তিনের নিরপরাধ জনগণ আজকে নিজ দেশে পরবাসীর মতো বসবাস করছেন। উদ্বাস্তু হয়ে বিশ্বের নানান প্রান্তে শরণার্থী শিবিরগুলোয় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা আজ নিজ ভূমি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন জায়নবাদী অপশক্তির কারণে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আফসোস করে বলতে হয়, যারা সভ্যতার বুলি আওড়ায় তারা ফিলিস্তিনের বেলায় চুপ হয়ে যায়। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, যতদিন না ফিলিস্তিনের ওপর হামলা বন্ধ হবে, ততদিন প্রতিবাদ চলমান থাকবে।’

আরও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
ইসরায়েলি হামলায়, গাজায় নারী-শিশুসহ নিহত ৪ শতাধিক
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত কমপক্ষে ৩২৬
ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত ইসরায়েল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the bribe case eight people including Tareq Rahman and Babar were released

ঘুষের মামলায় তারেক রহমান ও বাবরসহ আটজন খালাস

ঘুষের মামলায় তারেক রহমান ও বাবরসহ আটজন খালাস প্রতীকী ছবি
ঢাকার বিশেষ জজ-৩ আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার মো. আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যা মামলার আসামি সাফিয়াত সোবহান সানভীরকে দায়মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন তারেক রহমানের তৎকালীন এপিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, কাজী সালিমুল হক কামাল, আহমেদ আকবর সোবহান, সাফিয়াত সোবহান, সাদাত সোবহান ও আবু সুফিয়ান।

ঢাকার বিশেষ জজ-৩ আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার মো. আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন ও আমিনুল গনি টিটু বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যা মামলার আসামি সাফিয়াত সোবহান সানভীরকে দায়মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করা হয়।

মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদক। পরে ওই বছর ১৪ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাব্বির হত্যা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর ও শাহ আলমের মধ্যে বাবরের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর। ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এ হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের চুক্তি হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ২১ কোটি টাকা নেন। এ টাকার মধ্যে বাবরের নির্দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট হাওয়া ভবনে ১ কোটি টাকা তারেকের ব্যক্তিগত সহকারী অপুকে বুঝিয়ে দেন। বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে জমা রাখেন। বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ২০টি চেকের মাধ্যমে দেন।

আরও পড়ুন:
অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করার সাহস না পায়: তারেক রহমান
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা আলামত জব্দের অনুমতি পেল আইসিটি
যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Removal of the High Court Justice Khizir Hayat

হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ

হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ হাইকোর্ট বিভাগের সদ্য সাবেক বিচারপতি খিজির হায়াত। ছবি: ইউএনবি
এ বিষয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ছয় দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাকে অপসারণ করেছেন।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা ছয় মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে বিচারক পদ থেকে ১৮ মার্চ তারিখে অপসারণ করেছেন।

১৯৬৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া খিজির হায়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। পরে ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট ঢাকা জেলা জজ কোর্টে এবং ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান খিজির হায়াত খান। এর দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি।

দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে ২০ অক্টোবর থেকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়।

ওই ১২ বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াতও ছিলেন। বিচারপতি খিজির হায়াত ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন।

আরও পড়ুন:
ছুটিতে পাঠানো হলো ১২ বিচারপতিকে
সাবেক তিন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক
৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৮৭৬ জনপ্রতিনিধি অপসারণ
দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ রাষ্ট্রপতির

মন্তব্য

p
উপরে