× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP outline to solve Rohingya crisis is ridiculous Quader
google_news print-icon

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিএনপির রূপরেখা হাস্যকর: কাদের

রোহিঙ্গা-সংকট-সমাধানে-বিএনপির-রূপরেখা-হাস্যকর-কাদের-
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিএনপির রূপরেখা হাস্যকর। বিএনপির উপস্থাপিত রূপরেখা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও ঘনীভূত করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া আর কিছু নয়।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিএনপির রূপরেখা হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিএনপির রূপরেখা হাস্যকর। বিএনপির উপস্থাপিত রূপরেখা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও ঘনীভূত করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া আর কিছু নয়।

‘দলটির (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে জিয়াউর রহমানের আমলেই রোহিঙ্গা সংকটের শুরু। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এখানে বাংলাদেশ কোনো পক্ষ নয়, পক্ষ হলো দুটি- একটি মিয়ানমার সরকার, অন্যটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এই দুপক্ষের বিবাদমান সমস্যার বিরূপ প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।

‘এই সংকট সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনে শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে তাদের তথাকথিত আন্দোলনে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের নিকট করুণা ভিক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। একটি রাজনৈতিক দল কতটুকু দেউলিয়া ও নির্লজ্জ হলে এই ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত আবেদন জানাতে পারে!’

আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘সরকারের ধারাবাহিক অগ্রগতি এবং কূটনৈতিক সাফল্যের কারণে কৌশলগত ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আরও সুসংহত হয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এই সাফল্যের অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কোনো প্রকার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Tariq Rahman next to the family of the martyred Rabbi in Magura during the mass movement

গণআন্দোলনে মাগুরায় শহিদ রাব্বির পরিবারের পাশে তারেক রহমান

গণআন্দোলনে মাগুরায় শহিদ রাব্বির পরিবারের পাশে তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলটি রোববার বিকেলে মাগুরা জেলা ছাত্রদল নেতা শহিদ রাব্বির বাসায় গিয়ে শহিদ-স্বজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করে। এ সময় শহিদ রাব্বির পরিবারসহ মাগুরায় মোট ১০ জন শহিদের প্রত্যেক পরিবারকে এবং আন্দোলনে আহত একজনকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে মাগুরায় আওয়ামী-সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত (শহিদ) মেহেদী হাসান রাব্বির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলটি রোববার বিকেলে মাগুরা জেলা ছাত্রদল নেতা শহিদ রাব্বির বাসায় গিয়ে তার পরিবারের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করে।

এ সময় শহিদ রাব্বির পরিবারসহ মাগুরায় মোট ১০ জন শহিদের প্রত্যেক পরিবারকে এবং আন্দোলনে আহত একজনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।

মাগুরা পৌরসভার বরুণাতৈল গ্রামে শহিদ রাব্বির বাসায় অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার হাসনাইন মনজুর মোর্শেদ ইমন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদত হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার, যুগ্ম-সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজীব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মহান, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিসবাহ, মাগুরা জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ্ব আলী আহমেদ, সাবেক সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আকতার হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও মাগুরা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন মেহেদী হাসান রাব্বি। ওই মিছিলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাব্বি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত (শহিদ) হন। এ সময় রাব্বির ভাতিজা খালিদ বিশ্বাসসহ অন্তত ২০জন আহত হন।

বরুণাতৈল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বি। তার স্ত্রী রুমি খাতুন ও ছোট ভাই ইদ্রিস হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘পুলিশ নয়, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীদের গুলিতেই রাব্বি প্রাণ হারিয়েছেন।’

চলতি বছরের মে মাসে বিয়ে করেন মেহেদী হাসান রাব্বি। সংসার-জীবন শুরুর আগেই জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় তার প্রাণ। ইতোমধ্যে স্ত্রী রুমী খাতুনের গর্ভে এসেছে রাব্বির রেখে যাওয়া স্মৃতি। অনাগত এই শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পিতার অনাদরে বেড়ে উঠবে একথা যেমন ধ্রুব-সত্য, তেমনি বড় হয়ে সে জানবে তার বাবা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক-আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন। দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে রাব্বির আত্মত্যাগ দেশের মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন:
জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে ভালো কিছু সম্ভব নয়: তারেক রহমান
বিদেশে আসিফ নজরুলকে অসম্মান দেশের মর্যাদায় আঘাত: তারেক রহমান
বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে না: তারেক
পরাজিত অপশক্তি দেশকে সাম্প্রদায়িক পরিচিতি দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত: তারেক রহমান
জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এমন সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Give speedy elections to fulfill the peoples desire without resorting to conspiracy
সরকারের উদ্দেশে বরকত উল্লাহ বুলু

ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে দ্রুত নির্বাচন দিন

ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে দ্রুত নির্বাচন দিন রোববার কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে শোভাযাত্রা-পূর্ব সভায় বক্তব্য দেন বরকত উল্লাহ বুলু। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি এককভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে চায় না। হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে যারা ছিলেন সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে। একটি জাতীয় সরকার গঠিত হবে।’

কোনো ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

তিনি বলেছেন, ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য এদেশের আপামর জনসাধারণ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অতি শিগগির নির্বাচন দিতে হবে। কারও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘বিএনপি এককভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে চায় না। হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে যারা ছিলেন সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে। একটি জাতীয় সরকার গঠিত হবে।’

মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে সশরীরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। কাউকে খুন করে কিংবা ক্যু করে তিনি রাষ্ট্র-ক্ষমতায় আসেননি।’

৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রোববার কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে শোভাযাত্রা-পূর্ব আলোচনা সভায় বরকত উল্লাহ বুলু এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড়ে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিকেল ৩টায় আলোচনা সভা শেষে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনবার্সন সম্পাদক এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।

প্রধান বক্তা ছিলেন বিনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাক মিয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাবেরা আলাউদ্দিন হেনা, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু।

মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত আলী বকুল, বিএনপি নেতা নিজামুদ্দিন কায়সারসহ কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির আওতাধীন প্রতিটি ইউনিটের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য দুপুরের পর থেকে নানা প্রান্ত থেকে মিছিল সহকারে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে কান্দিরপাড় ও আশপাশের এলাকা।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে না: তারেক
আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র মানায় না: সিলেটে সালাহউদ্দিন
আধিপত্যবাদী শক্তি রুখতে নতুন করে শপথ নিয়েছি: ফখরুল
ছলচাতুরি বাদ দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: মির্জা আব্বাস
৭ নভেম্বরের সরকারি ছুটি পুনর্বহালের দাবি বিএনপির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Awami League procession was chased and beaten

আওয়ামী লীগ মিছিল বের করতেই ধাওয়া, মারধর

আওয়ামী লীগ মিছিল বের করতেই ধাওয়া, মারধর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা কয়েকজনকে আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে মারধর করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
জিরো পয়েন্ট ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকা বিএনপি এবং ছাত্রদের অবস্থানের কারণে আওয়ামী লীগ পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। তবে দলটি বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় বেশকিছু নেতাকর্মী মারধরের শিকার হন। কয়েকজনকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ঘটনা ঘটে।

নূর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর জিপিও সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে জমায়েত হতে পারেনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কারণ জিরো পয়েন্ট ছিল বিএনপি, ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দখলে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় অবস্থান ছিল বিএনপি ও ছাত্রদলের।

তবে এদিন নগরীতে বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বেশকিছু নেতাকর্মী। এ সময় বেশকিছু নেতাকর্মী মারধরের শিকার হন। বেশ কয়েকজনকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগ মিছিল বের করতেই ধাওয়া, মারধর
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকা রোববার সকাল থেকে ছিল বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দখলে। ছবি: নিউজবাংলা

রোববার বিকেল ৪টার দিকে গুলিস্তান বিআরটিসি বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ব্যানারে শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিক্ষোভ শুরু করে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল করেন যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উল্টো পাশের গলি থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একদল নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জিরোপয়েন্ট অভিমুখে রওনা হয়। এ সময় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া ও মারধরের শিকার হন তাদের অনেকে।

রোববার সকাল ৯টার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপি ও ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এদিকে সকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর থেকে জিরো পয়েন্টে অবস্থান না নিলেও বিএনপি ও তাদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেয়।

এর আগে শনিবার মধ্যরাতেই জিরো পয়েন্টে ‘ছাত্র-জনতা’ ও ‘গণঅধিকার পরিষদ’ ব্যানারে একদল মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় নূর হোসেনকে হত্যার দিনটিতে রোববার ঢাকার জিপিও এলাকার ‘নূর হোসেন চত্বরে’ শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের ঘোষণা অনুযায়ী বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল করার কথা থাকলেও জিপিও মোড়ে ছাত্র-জনতা এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতির কারণে তা এক ঘণ্টা পিছিয়ে বিকেল সোয়া ৪টায় নির্ধারণ করেছিল আওয়ামী লীগ।

এদিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে তাদেরকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা।

মারধরের শিকারদের কেউ কেউ ‘জয় বাংলা’, ‘শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। ‘শেখ হাসিনা সরকার, বার বার দরকার; ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু; ‘শেখ শেখ শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখে সেখানে অবস্থান নেয়া বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া করেন। ধাওয়ার মুখে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় বেশ কয়েকজন মারধরের শিকার হন।

এছাড়া রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বর অভিমুখে রওনা হওয়ার পরই বাধার মুখে পড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আরেকটি মিছিল।

সড়কে সমবেত হয়ে তারা স্লোগান দিতেই মিছিলটিকে ধাওয়া করে একদল তরুণ-যুবক।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের পোস্টারসহ সমাবেশের অডিও ক্লিপ ভাইরালের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১০
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সমবেত হওয়ার ডাক আ.লীগের
স্বল্প সময়ের জন্যও বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের স্থান নেই: ড. ইউনূস
আওয়ামী লীগসহ ১১ দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ চেয়ে রিট প্রত্যাহার
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ চেয়ে রিট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Students rally at Zero Point chanting anti fascist slogans 

জিরো পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান 

জিরো পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান  রাজধানীর জিরো পয়েন্ট। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
নূর হোসেন চত্বর নামে পরিচিত জিরো পয়েন্টে রোববার ভোর থেকেই নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন।  

রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।

সমাবেশ থেকে তাদের ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ’ বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

নূর হোসেন চত্বর নামে পরিচিত জিরো পয়েন্টে রোববার ভোর থেকেই নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গণহত্যার জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি জানান তারা।

আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শনিবার শহীদ নূর হোসেন দিবস পালনের ঘোষণা দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের জিরো পয়েন্টে আসার আহ্বান জানায়।

এরপর তাদের প্রতিহত করতে পাল্টা সমাবেশ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

এদিকে শহীদ নূর হোসেন দিবসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে ১৯১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সারাদেশে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

রাজধানীতে সচিবালয়ের আশপাশ এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে কিছু ব্যক্তিকে মারধর করতে দেখা যায় পুলিশকে। তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সেখানে কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে, তবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলা সম্ভব নয়।’

ইউএনবির প্রতিবেদক রোববার ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন।

‘আমার সোনার বাংলায়, ফ্যাসিবাদের স্থান নেই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’—এমন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

নাইমুর নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই দেশে যেই দল ও সরকার ফ্যাসিবাদকে চরমে নিয়ে গেছে, যারা আমার ভাই-বোনদের হত্যা করেছে, তাদের জন্য কোনো দয়া নেই। আমরা কোনো লীগ চাই না, আর এ কারণেই আমরা আজ এখানে এসেছি।’

বিক্ষোভকারীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে ন্যায়বিচারের দাবি জানান।

এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।

এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ মিছিলে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর পুলিশের গুলিতে নিহত হন নূর হোসেন।

তার বুক ও পিঠে লেখা ছিল, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান।

আরও পড়ুন:
নূর হোসেনের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর শ্রদ্ধা 
বাতিল হচ্ছে জাতীয় ৮ দিবস
১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করবে না ৩৪ ছাত্র সংগঠন
১৫ আগস্ট সরকারি ছুটি বাতিল
শোকাবহ আগস্ট শুরু, মাসব্যাপী কর্মসূচি আওয়ামী লীগের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No money embezzled from Zia Orphanage Trust ACC lawyer

‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকা আত্মসাৎ হয়নি’

‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকা আত্মসাৎ হয়নি’ দুদকের লোগো। ফাইল ছবি
শুনানিতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. আসিফ হাসান আদালতকে বলেন, ‘এই ট্রাস্টের টাকা কিন্তু আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা মুভ হয়েছে, তবে সুদে-আসলে অ্যাকাউন্টেই টাকাটা জমা আছে। কোনো টাকা ব্যয় হয়নি।’

বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকা আত্মসাৎ হয়নি বলে সর্বোচ্চ আদালতকে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালত বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেয়। এ সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্ট ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি হয় রোববার।

শুনানিতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. আসিফ হাসান আদালতকে বলেন, ‘এই ট্রাস্টের টাকা কিন্তু আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা মুভ হয়েছে, তবে সুদে-আসলে অ্যাকাউন্টেই টাকাটা জমা আছে। কোনো টাকা ব্যয় হয়নি।’

দুদক আইনজীবী মামলায় এজাহার, অভিযোগপত্র ও সাক্ষ্যের অংশ তুলে ধরেন। তিনি মামলার নথি থেকে খালেদা জিয়া এ মামলার অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, এমন উপাদান পেশ করেন।

একপর্যায়ে এ মামলার দুটি আবেদনের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারকের আপিল বিভাগ বিভাগে বিষয়টি নিয়ে করা লিভ টু আপিলে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ মঞ্জুরের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।

হাইকোর্টের রায়টি আদালতে পড়ে শোনান ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

আদালতের অনুমতি নিয়ে এ মামলায় বিচারিক আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় খালেদা জিয়ার দেয়া জবানবন্দি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের জবানবন্দি ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বেগম খালেদা জিয়ার এ জবানবন্দি তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব বহন করে।’

আরও পড়ুন:
চিকিৎসার জন্য শিগগির লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
সালমান, মামুন ও জিয়াউল নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
খালেদা জিয়ার নামে মানহানির মামলা খারিজ
সালমান, আনিসুল ও জিয়াউল ১০ দিনের রিমান্ডে
খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়া হয়েছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The anti discrimination student movement will hold a mass rally in Gulistan tomorrow

গুলিস্তানে রোববার গণজমায়েত করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

গুলিস্তানে রোববার গণজমায়েত করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট মোড়ে রোববার দুপুর ১২টা থেকে গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগে শনিবার শহিদ নূর হোসেনের স্মরণে ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে একই দিন বিকেল ৩টায় নুর হোসেন চত্বর থেকে কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ।

পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে গুলিস্তানে গণজমায়েত করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টা থেকে গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট মোড়ে এই গণজমায়েত শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে শনিবার শহিদ নূর হোসেনের স্মরণে ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রোববার জিরো পয়েন্টে জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। এদিন বিকেল ৩টায় নুর হোসেন চত্বর থেকে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই ঘোষণার পর পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

ঢাবি ছাত্রদলের কর্মসূচি

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে বিদেশে হেনস্থার প্রতিবাদ এবং ১৫ বছরে বিভিন্ন হামলায় জড়িতদের বিচারসহ তিন দফা দাবিতে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ছাত্রদলের দাবিগুলো হলো-

ড. আসিফ নজরুলের ওপর বিদেশের মাটিতে হামলা ও হেনস্থার অপচেষ্টাকারী বিদেশে পলাতক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

বিগত ১৫ বছর ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনকারী ও ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।

আওয়ামী সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা।

আরও পড়ুন:
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিখোঁজ কর্মীকে উদ্ধার
ভ্যানে মরদেহের স্তূপ, প্রাথমিকভাবে চার পুলিশ শনাক্ত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে প্রচারিত গণমাধ্যমের তালিকা ভুয়া
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন: ঢামেকে মারা যাওয়া চারজনের মরদেহ হস্তান্তর
জনগণের গোপনীয়তা লঙ্ঘনকে সমর্থন করে না ছাত্র আন্দোলন: সমন্বয়ক রিফাত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nothing good is possible if accountability is not ensured Tariq Rahman

জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে ভালো কিছু সম্ভব নয়: তারেক রহমান

জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে ভালো কিছু সম্ভব নয়: তারেক রহমান কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শনিবার কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া যাবে না। ভোট যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া যাবে না। আর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। ভোট যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শনিবার কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ১০ নভেম্বর থেকে আগামী তিন মাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেন।

কৃষক দলকে কৃষকনির্ভর করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তারেক রহমান বলেন, কৃষক সমাবেশে কৃষকদের সমস্যা শুনতে হবে। তারপর সেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে শহীদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হবে। আমাদের দেশে অনেক এলাকা আছে যেখানে কৃষক প্রয়োজনীয় পানি পায় না। ফসল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। খাল খননের মাধ্যমে শহীদ জিয়া পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে পানি সরবরাহ সুবিধার কারণে দুটি হয়েছিল, দুটি ফসলের জায়গায় তিনটি ফসল হয়েছিল।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ২০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে হলে কৃষির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এতো মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি করা সম্ভব নয়। তাই মৌলিক খাদ্য দেশেই উৎপাদন করতে হবে। তাই কীভাবে কৃষিজমি বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কিছু পদক্ষেপ আছে যেগুলো নিলে কৃষিজমি বাড়ানো যাবে। আর তা করা সম্ভব একমাত্র ক্ষমতায় গেলে।

তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীদের বড় একটা অংশ কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই কৃষির প্রতি নজর দিতে হবে। আমরা প্রতিবার চেষ্টা করেছি কৃষি সমস্যার প্রতি নজর দিতে।

‘খালেদা জিয়ার সময়ে সরকার পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিল। ফসলের মৌসুমে বিদ্যুৎ বিল সরকার বহন করত। এসবের মধ্য দিয়ে কৃষকদের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বিদেশে আসিফ নজরুলকে অসম্মান দেশের মর্যাদায় আঘাত: তারেক রহমান
বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে না: তারেক
পরাজিত অপশক্তি দেশকে সাম্প্রদায়িক পরিচিতি দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত: তারেক রহমান
চাঁদাবাজির মামলা থেকে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ
জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এমন সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান

মন্তব্য

p
উপরে