× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Formation of committee to investigate irregularities in various development projects in Baraigram of Natore
google_news print-icon

বড়াইগ্রামে উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

বড়াইগ্রামে-উন্নয়ন-প্রকল্পে-অনিয়মের-অভিযোগ-তদন্তে-কমিটি
ফাইল ছবি
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রশাসনিকভাবে যে ব্যবস্থাগুলো নেয়া দরকার তা নেয়া হবে। অনিয়মকারীদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।’

নাটোরের বড়াইগ্রামে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল থেকে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আশরাফুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্বভার দেয়া হলেও তদন্তের নির্দিষ্ট সময় বেধে দেননি জেলা প্রশাসক।

অভিযোগ, তদন্ত চলাকালীন সময়ে অসম্পূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে তৎপর হয়ে ওঠেন সংশ্লিষ্টরা। তবে জেলা প্রশাসক অনিয়ম খতিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

গত ৩১ আগস্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, একজন শ্রমিক তড়িঘড়ি করে বিশ্রামাগারের মেঝে ঢালাইয়ের কাজ করছেন। প্রকল্পের মেয়াদ দুই মাস আগে শেষ হলেও এ অফিসের বিশ্রামাগারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।

জানা যায়, গত জুন মাসেই বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) অর্থায়নে নির্মিত বিশ্রামাগার নির্মাণের সব টাকা তোলা হয়েছে। একই চিত্র আহম্মেদপুর আজম আলী কলেজের গেট নির্মাণ ও বিভিন্ন সংস্কার কাজসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের।

আহম্মেদপুরের স্থানীয় দুজন বাসিন্দা জানান, গত এক বছর ধরেই কলেজটির গেট নির্মাণ কাজ থেমে থেমে চলছে। এখনও কাজটি চলমান রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এডিপির ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের বেশ কয়েকটির কাজ শেষ না করেই ৬৮ লাখ টাকা তুলে নেয়া হয়। একই অর্থবছরে রাজস্ব খাতের ৬২টি উন্নয়ন কাজের জন্য ব্যয় দেখানো হয় দেড় কোটি টাকা। যার মধ্যে মধ্যে অধিকাংশ কাজই বাস্তবায়ন হয়নি।

গত জুন মাসে রাজস্ব খাতের উন্নয়ন কাজের সময় দুই মাস পার হলেও তালিকায় থাকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সরকারি দপ্তরের অনেক কর্মকর্তারা জানেন না তাদের প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন বরাদ্দের কথা।

স্থানীয়রা এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেন।

জোয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর জানান, ২২-২৩ অর্থ বছরে তাদের ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য সেলাই মেশিন বাবদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দের কথা তার জানা ছিল না। বরাদ্দ সেলাই মেশিন তারা পাননি।

তবে, অন্যান্য বরাদ্দ ঠিকঠাক মতই পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রেহানা পারভীন ও সোনালী খানম বলেন, ২২-২৩ অর্থবছরে উপজেলা শিক্ষা অফিসে নতুন একটি টয়লেট বরাদ্দ ছিল। এটি তারা জানেন না।

নতুনভাবে তাদের অফিসে টয়লেট নির্মাণ হয়নি উল্লেখ করে দুজনই জানান, কিছুদিন আগে উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল আলম টয়লেট নির্মাণের স্থান দেখে গেছেন। দ্রুতই টয়লেট নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে গেছেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বারী জানান, এডিপি ও রাজস্ব কাজের কিছু কাজ হয়েছে। কিছু চলমান আছে। কিছু কাজ একেবারেই হয়নি। এটা জানাজানি হওয়ার পর জেলা প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি হওয়ার পর অসমাপ্ত কাজগুলো তড়িঘড়ি করে শেষ করা হচ্ছে। এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

তবে প্রকল্প সংশিষ্ঠদের দাবি, দু একটি কাজ বাদে এডিপির অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। জুনেই এডিপির অর্থ উত্তোলন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় ৬৮ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন তারা। অন্যদিকে, তদন্ত চলাকালীন সময়ে গত ২৪ আগস্ট উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব তহবিলের কাজের সময় বৃদ্ধি করা হয়। এরপরই কর্মকর্তারা দাবি করেন, সব কাজই হয়েছে নিয়মমাফিক।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল আলম জানান, গত অর্থবছরে এডিপির সব কাজ শেষ হয়ে গেছে। আর রাজস্ব থেকে এডিপিতে স্থানাস্তরিত অনেক কাজ শেষ হয়েছে। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। বিষয়টি নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিন্ধান্ত হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মাঝেই কাজগুলো শেষ করতে হবে।

কাজ না করেই টাকা উত্তোলনের সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি জানান, ঠিকাদারদের কাজ শেষ করতে বার বার তাগাদা দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ‘সব কাজই নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়েছে। দু একটা কাজের একটু ত্রুটি ছিল। সেটা পর্যবেক্ষণ করে ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছি। আর রাজস্ব এডিপির এখনো অনেক কাজ অসম্পূর্ণ আছে।

‘যা উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে ৩০ সেপ্টেম্বরকে লাষ্ট লিমিট ধরে ঠিকাদারদের কাজগুলো শেষ করতে বলা হয়েছে। আমরা নিবিড়ভাবে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি যাতে কাজগুলোর ত্রুটি বিচ্যুতি না হয়।’

জেলা থেকে তদন্ত কমিটি গেলেও তার সঙ্গে কথা হয়নি বলে জানান চেয়ারম্যান।

বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়াম খাতুন জানান, ৩০ জুনের মধ্যেই অর্থ ছাড়ের বাধ্যবাধকতা থাকাসহ তিনি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি যাওয়ার কারণে অর্থ ছাড় দিয়েছিলেন। তখন কাজ চলমান ছিল ও কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজস্বের কিছু কাজ নানা কারণে শেষ হয়নি। যা বিধি মোতাবেক সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলীকে কাজগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এরপরও উপজেলা প্রকৌশলী কালক্ষেপন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।’

জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল থেকে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এতে কিছু অনিয়মের বিষয়ে অবগত হয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আশরাফুল ইসলামকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রশাসনিকভাবে যে ব্যবস্থাগুলো নেয়া দরকার তা নেয়া হবে। অনিয়মকারীদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।’

আরও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় চাইল্ডকেয়ার কর্মীর বিরুদ্ধে ৯১ শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ঝিনাইদহে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক
মাদারীপুরে কৃষককে গলা কেটে হত্যা, ছোট ভাই পলাতক
পল্লবীতে মাকে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ, ‘প্রতিবাদে আত্মহত্যা’ মেয়ের
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Reports of attack on ISKCON in Indian media are fake CA Press Wing

ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া: সিএ প্রেস উইং

ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া: সিএ প্রেস উইং ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ ভুয়া বলে জানিয়েছে সিএ প্রেস ‍উইং। ছবি: বাসস
সিএর প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকার উত্তরা এলাকার রাধারমণ মন্দিরের (ইসকন উত্তরা) পুরোহিত কৃষ্ণ প্রিয়া নিতাই দাস বলেছেন, তিনি উত্তরা এলাকায় কোনো ইসকন ভক্ত বা সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বুধবার বলেছে, মঙ্গলবার ঢাকার উত্তরা এলাকায় একজন ইসকন সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি ভুয়া।

১০ ডিসেম্বর এবিপি আনন্দ এবং সংবাদ প্রতিদিনসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ঢাকার উত্তরায় একজন ইসকন সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে।

সিএর প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকার উত্তরা এলাকার রাধারমণ মন্দিরের (ইসকন উত্তরা) পুরোহিত কৃষ্ণ প্রিয়া নিতাই দাস বলেছেন, তিনি উত্তরা এলাকায় কোনো ইসকন ভক্ত বা সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন।’

ঢাকার পুলিশও জানিয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পায়নি।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতীয় মিডিয়া ‘ভুক্তভোগীর’ কোনো বক্তব্য বা পরিচয় প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশ পুলিশ অথবা কোনো ইসকন নেতারও বক্তব্য নেই এসব প্রতিবেদনে, যা সার্বিক বিবেচনায় খবরগুলোকে অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাংবাদিকতার নীতি বহির্ভূত হিসেবে চিহ্নিত করে।

প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশ ইসকনের কেন্দ্রীয় নেতা হৃষিকেশ গৌরাঙ্গ দাস বলেছেন, উত্তরায় সাম্প্রতিক একটি পারিবারিক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পারিবারিক বিষয়ে জড়িত যুবকরা ইসকনের সদস্য নন।

আরও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে নেই সরকার: আসিফ 
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো ছাড়া নয়াদিল্লির দ্বিতীয় চিন্তা নেই
দিল্লিকে বার্তা, ভারতে বসে হাসিনার বক্তৃতা পছন্দ করছে না ঢাকা
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transfer of 12 police superintendents at once

একযোগে ১২ পুলিশ সুপারকে বদলি

একযোগে ১২ পুলিশ সুপারকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও রদবদলের ধারাবাহিকতায় এবার ১২ পুলিশ সুপারকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও রদবদলের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলার ১২ পুলিশ সুপারকে (এসপি) একযোগে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব আবু সাঈদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তরের (টিআর) পুলিশ সুপার আবু সাইমকে রংপুরের পুলিশ সুপার, গাইবান্ধার কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার আবু সায়েম প্রধানকে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার জাকির হোসেনকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দীনকে বরিশালের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেককে গাজীপুরের পুলিশ সুপার, এন্টি টেররিজম ইউনিটের ঢাকার পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার, এপিবিএন সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলাকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আসলাম শাহাজাদাকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হককে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এবং এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ারকে নওগাঁর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
২৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
পুলিশে শীর্ষ পর্যায়ের ৬৪ কর্মকর্তাকে বদলি-ওএসডি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Due to lack of legal opportunity all 3 applications of Dhaka lawyer on behalf of Chinmoy were rejected

ওকালতনামা না থাকায় চিন্ময়ের পক্ষে ঢাকার আইনজীবীর ৩ আবেদনই নাকচ

ওকালতনামা না থাকায় চিন্ময়ের পক্ষে ঢাকার আইনজীবীর ৩ আবেদনই নাকচ ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বুধবার উপস্থিত হয়ে চিন্ময়ের জামিন শুনানি এগিয়ে আনাসহ তিনটি আবেদন করেছিলেন হাইকোর্টের এক আইনজীবী। কিন্তু ওকালতনামা না থাকায় আদালত তার তিনটি আবেদনই নামঞ্জুর করে।

আইনি সুযোগ না থাকায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারান্তরীণ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি হয়নি। এ সংক্রান্তে ঢাকা থেকে আসা এক আইনজীবীর তিনটি আবেদনই নাকচ হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলামের আদালতে বুধবার উপস্থিত হয়ে চিন্ময়ের জামিন শুনানি এগিয়ে আনাসহ তিনটি আবেদন করেছিলেন হাইকোর্টের এক আইনজীবী। কিন্তু ওকালতনামা না থাকায় আদালত তার তিনটি আবেদনই নামঞ্জুর করে।

এ সময় ওই আদালতে উপস্থিত চট্টগ্রামের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বার্তা সংস্থা বাসসকে জানান, আসামি পক্ষে ঢাকা থেকে আসা আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ আদালতে তিনটি দরখাস্ত দিয়েছিলেন। এর একটি চিন্ময়ের জামিন শুনানির তারিখ ২ জানুয়ারি থেকে এগিয়ে আনার জন্য, একটি নথি উপস্থাপনের জন্য এবং অপরটি তাকে শুনানি করার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য।

আদালত অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষের কাছে জানতে চায়, তার কাছে ওকালতনামা আছে কিনা বা মামলা পরিচালনার জন্য আসামি পক্ষের আইনজীবীর অনুমতি আছে কিনা। এ সময় তিনি নেই বলে জানালে আদালত তাকে আইন মেনে আসতে বলেন।’

অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আদালতকে বলেছি ওনার এ ধরনের দরখাস্ত দেয়ার আইনি অধিকার নেই। তার কাছে আসামির ওকালতনামা নেই এবং যিনি এই মামলা ফাইল করেছেন তার পক্ষ থেকেও তাকে কোনো পাওয়ার দেয়া হয়নি।

‘শুনানি করা বা নথি উপস্থাপনের জন্য অবশ্যই ওকালতনামা দিতে হবে অথবা ফাইলিং আইনজীবীকে বলতে হবে- ঢাকা থেকে যিনি এসেছেন তিনি তাকে ক্ষমতা দিয়েছেন। কিন্তু ওই আইনজীবীর কাছে এর কোনোটাই ছিল না। তাই আদালত এটা রিজেক্ট করে দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। ২৬ নভেম্বর জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ৩ ডিসেম্বর জামিন শুনানির দিন থাকলেও কোনো আইনজীবী না থাকায় শুনানির দিন আগামী ২ জানুয়ারি ধার্য রয়েছে।

আরও পড়ুন:
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, আইনজীবী নিহত
ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ কারাগারে
সনাতন মঞ্চের চিন্ময় কৃষ্ণ ডিবি হেফাজতে 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
SP Nihar Ranjan punished for corruption

দুর্নীতির দায়ে এসপি নিহার রঞ্জনকে শাস্তি

দুর্নীতির দায়ে এসপি নিহার রঞ্জনকে শাস্তি
অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত পুলিশ সুপার নিহার রঞ্জন হাওলাদারকে আগামী এক বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণের দণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে তার এই বেতন সমন্বয় করা হবে না।

অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত পুলিশ সুপার নিহার রঞ্জন হাওলাদারকে আগামী এক বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণের দণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে তার এই বেতন সমন্বয় করা হবে না।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

জননিরাপত্তা শাখার সিনিয়র সচিব আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত পুলিশ সুপার নিহার রঞ্জন হাওলাদার ২০১৮ সালে ঢাকায় সিআইডিতে বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- ওই বছরের মার্চ মাসে পটুয়াখালীরর মহিপুর থানার কুয়াকাটায় অবস্থিত বেদখলি জমি দখল করে দেয়ার বিপরীতে তিনি রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি হোটেলে বসে অভিযোগকারীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও ১০ শতাংশ জমি তাকে লিখে দেয়ার দাবি করেন।

এ ঘটনার সাক্ষী অভিযোগকারী আব্দুর রহিম গং, তার বাসার গৃহশিক্ষক ও অভিযোগকারীর ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম।

পরবর্তী সময় ওই বছর ২১ মার্চ ঢাকায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মালিবাগ শাখায় (হিসাব নম্বর-১৬১৩৯০১০১৪৩৯৩) তার অ্যাকাউন্টে বরগুনায় সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা থেকে অভিযোগকারীর তিন লাখ টাকা এবং পরবর্তীকালে ৪ এপ্রিল ওই অ্যাকাউন্টে দুই লাখ টাকা প্রতারণামূলকভাবে গ্রহণ করেন।

এ ছাড়া ২২ মার্চ সন্ধ্যার দিকে কুয়াকাটার বনানী প্যালেস নামের একটি হোটেলে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানকে ডেকে নিয়ে অভিযোগকারীর পক্ষে বেদখলি জমি দখল করে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা ও ৪ এপ্রিল বরগুনায় গিয়ে অভিযোগকারীসহ অন্যদের সঙ্গে এম আলী হোটেলে খাবার খাওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর বিভাগীয় মামলা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Labor unrest in Ashulia 35 factories leave

শ্রমিক অসন্তোষ, আশুলিয়ার ৩৫ কারখানায় ছুটি

শ্রমিক অসন্তোষ, আশুলিয়ার ৩৫ কারখানায় ছুটি শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের অনেক কারখানায় বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকরা। তাই তারা কাজ বন্ধ করে বসে আছে, তবে কোনো প্রকার অরাজকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তারা করছেন না।’ 

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা সরকার ঘোষিত বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৪ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা প্রত্যাখান করে ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন।

কর্মবিরতির কারণে এ অঞ্চলের অনেক কারখানায় বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজিএমইএ ও শিল্প পুলিশ বলছে, আশুলিয়ায় আজ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করার দাবিতে কাজ বন্ধ বা শ্রমিকরা কাজ না করে চলে গেছে, এমন কারখানার সংখ্যা ৩৫টি।

আশুলিয়ার নরসিংহপুর ও আশপাশের এসব কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

শিল্প পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, হা-মীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপ, মেডলার, নেক্সট কালেকশন, আল মুসলিম, সেতারা গ্রুপ, নিউ এইজ, ডেকো, ব্যান্ডো ডিজাইন, ভিনটেজ, নীট এশিয়া, মানতা, ডেবুনিয়ার, অরবিটেক্স, এএম ডিজাইন, ইসলাম গার্মেন্টস, দ্য রোজ, অ্যাপারেলস গ্যালরি, এথিক্যালসহ বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা সকালে কারখানায় এলেও ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন।

শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে নাসা ও ট্রাউজার লাইন শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় তাদের কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।

শ্রমিকরা কোনো বিশৃঙ্খলা বা ঝামেলা না করলেও বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি পালন করেন এবং কেউ কেউ কারখানা থেকে বেরিয়ে যান।

এর আগে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবারও আশুলিয়ার অন্তত ১০টি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

নীট এশিয়ার একজন শ্রমিক বলেন, ‘গত ৩ দিন যাবতই আমাদের কারখানায় ঝমেলা চলছে। শ্রমিকরা কাজ করে না।

‘আশপাশের কারখানার সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও একই দাবিতে আন্দোলন করছি; দাবি বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ শতাংশ করার।’

দ্য রোজ ড্রেসেস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক সাধন কুমার বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) শ্রমিকরা আমাদের কারখানায় কাজ করেছিল, কিন্তু আজ কারখানায় এলেও আর কাজ করেনি। পরে অবশ্য আমরা কথা বলার পর শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছিল, কিন্তু আশেপাশের কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে আমরা আর চালাতে পারিনি।’

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকরা। তাই তারা কাজ বন্ধ করে বসে আছে, তবে কোনো প্রকার অরাজকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তারা করছেন না।

‘এ অঞ্চলের ১৯টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর কাজ না করে চলে গেছে এমন কারখানার সংখ্যা ১৫ থেকে ১৬টি।’

আরও পড়ুন:
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পোশাককর্মীদের ফের অবরোধ, যানজট
প্লাটিনাম লিড সনদ পেল আরও এক বাংলাদেশি কারখানা
মিরপুরে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২ পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ
আশুলিয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ শ্রমিকদের 
পোশাক শিল্প এখন স্থিতিশীল, ক্রেতার আস্থা ফিরছে: বিজিএমইএ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Demonstrations surrounded the office of Food Controller demanding the implementation of OMS

ওএমএস চালুর দাবিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ

ওএমএস চালুর দাবিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে ওএমএস কার্যক্রম চালুর দাবিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ করেন হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁ জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল কবির বলেন, ‘বন্ধ থাকা ওএমএস কেন্দ্র চালুর দাবি নিয়ে অফিস চত্বরে আসা ভোক্তাদের কথা শুনেছি। তাদের দাবির বিষয়গুলো জেলা ওএমএস কমিটি বরাবর উত্থাপন করা হবে। শিগগিরই ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সংকট সমাধান করা হবে।’

নওগাঁয় চার মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে স্বল্পমূল্যে খোলা বাজারে খাদ্যশস্যের (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রি।

এমন পরিস্থিতিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে ওএমএস কার্যক্রম চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।

ওই সময় বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্লাকার্ড হাতে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় তাদের। পরে জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল কবিরের আশ্বাসে সেখান থেকে সরে যান তারা।

বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের আগে নওগাঁ পৌরসভা এলাকায় ১৮টি কেন্দ্রে ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে স্বল্প মূল্যে চাল ও আটা দিত সরকার। ৫ আগস্টের পর ১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে হঠাৎই ১৫টি কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে খাদ্য বিভাগ। এতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে চরম বিপাকে পড়েন তারা। তাই অনতিবিলম্বে ওএমএস সবকটি কেন্দ্র চালু করতে হবে।

শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আসা বিক্ষোভে অংশ নেয়া রিকশাচালক সোহেল রানা বলেন, ‘সারা দিন রিকশা চালিয়ে যে আয় হয়, সেটা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে টিকে থাকা কষ্টসাধ্য। ওএমএস কর্মসূচি চালু অবস্থায় কম দামে চাল ও আটা কিনে কিছুটা সামাল দিতাম। সেই চাল, আটা টানা ৪ মাস যাবত পাচ্ছি না। তাই দুই বেলা শান্তিতে পেট ভরে খাওয়া হচ্ছে না।

‘বাধ্য হয়ে পেটের ক্ষুধায় ফুড অফিসে এসে দাঁড়িয়েছি। কী কারণে এটি বন্ধ রয়েছে, সেই কারণ কর্মকর্তাদের কেউই স্পষ্টভাবে বলতে চাইছেন না।’

শহরের ইঁদুর বটতলী এলাকা থেকে আসা মানোয়ারা বেগম বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে বৃদ্ধ বয়সে এসেও রাস্তার আনাচ-কানাচে বসে বিভিন্ন ফলমূল বিক্রি করে আয় করি। সেই রোজগার দিয়ে ৫৪ টাকা কেজি দরে চাল কিনে খাওয়ার সাধ্য আমাদের নেই। তাই ওএমএসই শেষ ভরসা ছিল।

‘গরিবের সেই চাল-আটা নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। নয়তো আমাদের অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটানো ছাড়া উপায় থাকবে না।’

জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল কবির বলেন, ‘বন্ধ থাকা ওএমএস কেন্দ্র চালুর দাবি নিয়ে অফিস চত্বরে আসা ভোক্তাদের কথা শুনেছি। তাদের দাবির বিষয়গুলো জেলা ওএমএস কমিটি বরাবর উত্থাপন করা হবে। শিগগিরই ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সংকট সমাধান করা হবে।’

জেলা ওএমএস কমিটির সভাপতি ও নওগাঁর জেলা প্রশাসক আবদুল আউয়াল বলেন, ‘পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের পর নওগাঁ পৌরসভা এলাকার অধিকাংশ ওএমএস ডিলার সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে যৌথ মতামতের ভিত্তিতে ১৫টি কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছিল।

‘সেই সাথে নতুন ডিলার নিয়োগের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া হয়। যেহেতু তারা বিক্ষোভ করেছেন, প্রয়োজনে যৌথ মতামতের ভিত্তিতে আবারও কেন্দ্রগুলো চালু করা হবে।’

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় গ্রাহকের ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও, আটক ৪
সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোর অভিযোগ, বিষপানে আত্মহত্যা
নওগাঁয় ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা: তিনজন আটক
নওগাঁয় পৃথক ঘটনায় শিশুসহ চারজনের প্রাণহানি
ঘরে দম্পতির মরদেহ, পাশে চিরকুট 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
India will be duly urged to extradite Sheikh Hasina Cadman

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ভারতকে যথাযথভাবে আহ্বান জানানো হবে: ক্যাডম্যান

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ভারতকে যথাযথভাবে আহ্বান জানানো হবে: ক্যাডম্যান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে বুধবার প্রেস ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান। ছবি: বাসস
আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ টবি বলেন, ‘ভারত আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে এবং প্রত্যর্পণের একটি আইনগতভাবে বৈধ এবং যথাযথ অনুরোধের সম্মান করে থাকলে, আমরা অবশ্যই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য আহ্বান জানাব।’

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ভারতকে যথাযথভাবে আইনগত আহ্বান জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে বুধবার প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ টবি আরও বলেন, ‘ভারত আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে এবং প্রত্যর্পণের একটি আইনগতভাবে বৈধ এবং যথাযথ অনুরোধের সম্মান করে থাকলে, আমরা অবশ্যই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য আহ্বান জানাব।’

তিনি বলেন, ‘স্পষ্টতই আমরা জানি যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি বিদ্যমান। এ বিষয়ে এরই মধ্যে যা কিছুই বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা জানি এবং সচেতন রয়েছি। এ বিষয়ে ভারত আগামীতে কী করতে যাচ্ছে, তার কোনো প্রাক-বিচার এখনই আমরা করতে চাই না।

‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যথাযথভাবে অভিযোগ আনা এবং তাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য ভারতকে জানানোর বিষয়গুলো নিশ্চিত করার গুরুদায়িত্ব এখন এই ট্রাইব্যুনালের এবং এর চিফ প্রসিকিউটরের।’

কোনো কারণে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার করা যায় কি না কিংবা এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সহায়তা নেয়া যায় কি না, সেটি নিয়ে আলোচনা করছেন বলে জানান ক্যাডম্যান।

তিনি বলেন, ‘বিচারের বর্তমান প্রক্রিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পূর্ণ সহায়তা ও সমর্থন প্রয়োজন। আমি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইইউ এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এরই মধ্যে আলোচনা করেছি।

‘যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাজকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি, সেহেতু এখানে অনেকের সমর্থন পাওয়ার সুযোগই আমাদের রয়েছে বলে আমরা আশাবাদী।’

আরও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরে বাধ্য হবে ভারত: প্রধান উপদেষ্টা
সরকারি চাকরি: পৌনে ৫ লাখ শূন্য পদ পূরণে চিঠি
গণঅভ্যুত্থানের মনন সৃষ্টিতে সিপিডির গবেষণার ভূমিকা অশেষ: প্রধান উপদেষ্টা
পরিচালন ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা সরকারের
অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের তুলনামূলক বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে: জরিপ

মন্তব্য

p
উপরে