× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Chief Justice Hasan Faiz Siddiqui was emotional on his last working day
google_news print-icon

শেষ কর্মদিবসে কাঁদলেন প্রধান বিচারপতি

শেষ-কর্মদিবসে-কাঁদলেন-প্রধান-বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার মেয়ে, জামাতা ও নাতি। কোলাজ: নিউজবাংলা
কান্নাজড়ানো কণ্ঠে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আবার দেখা করব, কোথায় জানি না, কখন জানি না, তবে জানি আমাদের আবার দেখা হবে কোনো এক রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে। আমি বিচার বিভাগকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছিলাম এবং আমি চেষ্টা করেছি স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে।’

শেষ কর্মদিবসে বিদায় সংবর্ধনায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের এক নম্বর কোর্টে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিদায় মুহূর্তে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমার মরহুম বাবা-মাকে। আমার জন্য এবং আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য অপরিসীম কষ্ট আর ত্যাগ স্বীকার করে তারা জান্নাতবাসী হয়েছেন।’

ওই সময় প্রধান বিচারপতি কিছুটা সময় চুপ করে থাকেন। ভার হয়ে ওঠে তার কণ্ঠ। ওই সময় আদালতে উপস্থিত থাকা তার বড় মেয়ে ফারিয়া ফয়েজ এবং সাত বছরের নাতি আহসাফ আবরার হাসানকেও কাঁদতে দেখা যায়।

আইন অঙ্গনে ৪৩ বছরের স্মৃতিচারণ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আজ থেকে স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মহাশক্তিতে বিশ্বাস করি। তিনি এই পবিত্র বিচারালয়, বিজ্ঞ বিচারকগণ, বিজ্ঞ আইনজীবীগণ, বিচারালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রক্ষা ও সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করবেন।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আবার দেখা করব, কোথায় জানি না, কখন জানি না, তবে জানি আমাদের আবার দেখা হবে কোনো এক রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে। আমি বিচার বিভাগকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছিলাম এবং আমি চেষ্টা করেছি স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে।’

দেশের মামলাজট থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখেন উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিজয়ের স্বপ্ন দেখি। বিজয়ী হওয়ার রাস্তা যতই দীর্ঘ হয় না কেন, বিজয় ছাড়া বাঁচা যায় না। সারা দেশের বিচারকগণ মামলাজট সংগ্রামে বিজয়ী হবেন।’

নতুন প্রধান বিচারপতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমার উত্তরাধিকারী গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন এবং আমি এটাও মনে করি মহান আল্লাহতায়ালা তাকে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার অধিকারী করবেন এবং বিচার বিভাগকে আরও গতিশীল বিচার বিভাগে পরিণত করবেন।

‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমি আমার বিচার বিভাগ তার কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছি, যিনি এই বিভাগকে আরও গতিশীল করার জন্য ক্ষমতাবান এবং মনোযোগী হবেন।’

পরিশেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার থেকে কয়েকটি লাইন পড়ে বিদায় নেন প্রধান বিচারপতি।

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর মেয়াদকাল শেষ হবে, তবে এ সময় কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার শেষ বিচারিককাজ শেষ করেন তিনি।

২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শপথবাক্য পাঠ করান।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

পড়ালেখা শেষে ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এবং ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।

আরও পড়ুন:
বিচারপ্রার্থীদের জন্য সারা দেশে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন হবে: প্রধান বিচারপতি
সারা দেশের আদালতে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন হবে: প্রধান বিচারপতি
জজ বিচার বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা: প্রধান বিচারপতি
এক বছরে শতভাগ মামলা নিষ্পত্তি: প্রধান বিচারপতি  
বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কাজ না করার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
34 kg of gold recovered from the toilet under the seat of the aircraft

উড়োজাহাজের সিটের নিচ, টয়লেট থেকে ৩৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার

উড়োজাহাজের সিটের নিচ, টয়লেট থেকে ৩৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে উদ্ধারকৃত স্বর্ণ। ছবি: নিউজবাংলা
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে দুবাই থেকে আসা বিজি ২৪৮ নম্বর ফ্লাইটটি। ওই সময় কাস্টমস গোয়েন্দারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উড়োজাহাজটিতে তল্লাশি চালালে সিটের নিচ থেকে বিশেষভাবে মোড়ানো সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়। ওই সময় পেস্ট করা স্বর্ণও উদ্ধার করা হয়।

সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ৩৪ কেজির বেশি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দার সমন্বিত অভিযানে এ চালান আটক করা হয়।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে দুবাই থেকে আসা বিজি ২৪৮ নম্বর ফ্লাইটটি। ওই সময় কাস্টমস গোয়েন্দারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উড়োজাহাজটিতে তল্লাশি চালালে সিটের নিচ থেকে বিশেষভাবে মোড়ানো সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়। ওই সময় পেস্ট করা স্বর্ণও উদ্ধার করা হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাথমিক তল্লাশির পর উড়োজাহাজটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেখানে আবারও তল্লাশি চালানো হতে পারে এতে।

ওসমানী বিমানবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সাজেদুল করিম জানান, উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মধ্যে ২৮০টি বার রয়েছে, যার ওজন ৩২ কেজি ৭৬০ গ্রাম। এ ছাড়া ছয়টি পেস্ট করা স্বর্ণের ডিম উদ্ধার করা হয়েছে, যার ওজন এক কেজি ৫৯১ গ্রাম।

তিনি জানান, বিমানের ৩২জে এবং ২১ এবিসি সিটের নিচ ও ওয়াশরুম থেকে স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান এ কাস্টমস কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
এমপি মোকাব্বির খানের মনোনয়ন বাতিল যে কারণে
সিলেটের ৬ আসনে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
সিলেটে প্রচার শুরুর আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক
সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সভা অনুষ্ঠিত
সিলেটে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

মন্তব্য

বাংলাদেশ
267 cars caught fire in 40 days

৪০ দিনে ২৬৭ গাড়িতে আগুন

৪০ দিনে ২৬৭ গাড়িতে আগুন রাজধানীর বৃহস্পতিবার শাহবাগে তরঙ্গ প্লাস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ফাইল ছবি
ফায়ার সার্ভিসের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগুন দেয়া যানবাহনের মধ্যে ১৬২টি বাস, ৪৪টি ট্রাক, ২৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল ও ২৬টি অন্য গাড়ি রয়েছে।

বিএনপি ও বিরোধীদের ডাকা ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের দিন থেকে কয়েক দফায় ঘোষণা করা হরতাল-অবরোধে কয়েকটি স্থাপনাসহ মোট ২৬৭টি গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের শুক্রবারের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর থেকে ৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত দুর্বৃত্ত কর্তৃক কয়েকটি স্থাপনাসহ মোট ২৬৭টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এতে ২৬৩টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১টি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগুন দেয়া যানবাহনের মধ্যে ১৬২টি বাস, ৪৪টি ট্রাক, ২৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল ও ২৬টি অন্য গাড়ি রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দুর্বৃত্ত কর্তৃক রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দুপুর দেড়টার দিকে ‘তরঙ্গ প্লাস’ নামের ১টি বাসে আগুন লাগানোর সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ২টি ইউনিট ও ১০ জন জন কর্মী মিলে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় ট্রাকে আগুন
প্রগতি সরণিতে বৈশাখীর বাসে আগুন
মহাখালীতে ফিলিং স্টেশনে আগুন, বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
কাপাসিয়ায় কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে আগুন
রাজধানীতে এক স্থানে একযোগে তিন বাসে আগুন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Reshuffle of 25 OC of Barisal division

বরিশাল বিভাগের ২৫ ওসিকে রদবদল

বরিশাল বিভাগের ২৫ ওসিকে রদবদল বাংলাদেশ পুলিশের লোগো। ফাইল ছবি
পুলিশ হেডকোয়াটার্সের অ্যাডিশনাল আইজি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান ও মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই থানা ও রেঞ্জের ২৩ থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে।

পুলিশ হেডকোয়াটার্সের অ্যাডিশনাল আইজি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান ও মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

যেখানে পটুয়াখালীর বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হককে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায়, আর বরিশালের বানারীপাড়া থানার ওসি এস. এম মাসুদ আলম চৌধুরীকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় বদলি করা হয়েছে।

অপরদিকে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেনকে জেলার গৌরনদী মডেল থানায় আর এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিনকে বেতাগী থানায় বদলি করা হয়েছে।

এ দিকে রেঞ্জের বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান বাবুগঞ্জ থানায়, গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেনকে বাকেরগঞ্জ থানায়, মুলাদী থানার ওসি মাহবুবুর রহমানকে বরগুনা জেলার বেতাগী থানায়, বাবুগঞ্জ থানার ওসি তুষার কুমার মন্ডলকে বরগুনার বামনা থানায় বদলি করা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদারকে দশমিনা থানায়, দশমিনা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদারকে মহিপুর থানায়, মহিপুর থানার ওসি ফেরদৌস আলম খানকে গলাচিপা থানায়, গলাচিপা থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েনকে বাউফল থানায় বদলি করা হয়েছে।

ভোলা জেলার দুলারহাট থানার ওসি আনোয়ারুল হককে তজুমদ্দীন থানায়, ভোলা সদর মডেল থানার ওসি শাহীন ফকিরকে বোরহান উদ্দিন থানায়, তজুমদ্দীন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদকে দুলারহাট থানায়, বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়াকে ভোলা সদর মডেল থানায় বদলি করা হয়েছে।

পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবিরকে কাউখালী থানায়, কাউখালী থানার ওসি জাকারিয়াকে বরিশালের মুলাদী থানায়, পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেনকে ভান্ডারিয়া থানায়, ভান্ডারিয়া থানার ওসি আসিকুজ্জামানকে পিরোজপুর সদর থানায় বদলি করা হয়েছে।

বরগুনার পাথরঘাটা থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদারকে পিরোজপুরের নাজিরপুর থানায়, বেতাগী থানার ওসি আনোয়ার হোসেনকে ঝালকাঠি সদর থানায়, বামনা থানার ওসি মাইনুল ইসলামকে বরিশালের বানারীপাড়া থানায় বদলি করা হয়েছে।

ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানার ওসি শহিদুল ইসলামকে পাথরঘাটা থানায়, ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকারকে কাঠালিয়া থানায় বদলি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ডিএমপির ৩৩টিসহ সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসি বদলি
ইসিকে ৩৩৮ থানার ওসি বদলির তালিকা দিয়েছে মন্ত্রণালয়
হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ
ডিএমপির ৩৩ থানার ওসিকে শিগগিরই বদলি
নৌকার প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসআই প্রত্যাহার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tax evasion case in the name of Bidens son

বাইডেনপুত্রের নামে এবার কর ফাঁকির মামলা

বাইডেনপুত্রের নামে এবার কর ফাঁকির মামলা জো বাইডেন ও ছেলে হান্টার বাইডেন (বাঁয়ে)। ফাইল ছবি
হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে কর না দেয়া, ভুয়া করের রিটার্ন দাখিল, সঠিকভাবে কর না ধার্য করাসহ মোট ৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে হান্টার বাইডেনের ১৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।

এবিসি নিউজের বরাতে জানা যায়, ফেডারেল প্রসিকিউটররা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা করেছেন।

হান্টারের বিরুদ্ধে ৫৬ পৃষ্টার অভিযোগপত্রে বলা হয়, তিনি ইউক্রেন, চীন, রোমানিয়াসহ অন্য দেশে ব্যবসা ও স্কিম চালিয়ে প্রচুর সম্পদ আয় করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করলেও ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তার ফেডারেল ট্যাক্স অন্তত ১.৪ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেননি। তার বিরুদ্ধে কর না দেয়া, ভুয়া করের রিটার্ন দাখিল, সঠিকভাবে কর না ধার্য করাসহ মোট ৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে হান্টার বাইডেনের ১৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ।

এর আগে, আইনজীবী ও ব্যবসায়ী ৫৪ বছর বয়সী হান্টার বাইডেনকে গত সেপ্টেম্বরে আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন:
সরকারি কর্মকর্তাদের ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা
দুই নারীকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৭
ময়মনসিংহে বিএনপির ৮৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
রিজভীকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা
পিটার হাসকে হুমকি: আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Natos BNP leader died in hospital after being sick in prison

কারাগারে অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত্যু নাটোর বিএনপি নেতার

কারাগারে অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত্যু নাটোর বিএনপি নেতার এ কে আজাদ সোহেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মোশফিকুর রহমান জানান, ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে তাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে স্থানান্তর করেন। পরে তিনি রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নাটোর জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ‍মৃত্যু হয়েছে এ কে আজাদ সোহেল নামের এক বিএনপি নেতার।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

প্রাণ হারানো সোহেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লেলিন জানান, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় এ কে আজাদ সোহেলকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ৩০ নভেম্বর আদালত থেকে তার জামিন নেয়া হয়। কারাগার থেকে সোহেলকে আনতে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘সোহেলকে রাজশাহী মেডিক্যালের বারান্দার বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। জামিনের পরে কারা কর্তৃপক্ষের মারফতে পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা জানলে তারা গিয়ে সোহেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।’

নিহতের বড় ভাই শামীম হোসেন জানান, বিনা অপরাধে তার ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কারাগারে অসুস্থ হয়ে রাজশাহীতে মারা যায় সে।

নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, ‘এ কে আজাদ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে নির্যাতনের পরে সে স্ট্রোক করে, কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়।’

এ বিষয়ে নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মোশফিকুর রহমান জানান, ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে তাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে স্থানান্তর করেন। পরে তিনি রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সোহেলের অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানানো হয়েছিলো কি না, এমন প্রশ্নে জেলার বলেন, ‘প্রতিনিয়তই অনেকে এ রকম অসুস্থ হয়। রাজশাহীর দূরত্ব অল্প হওয়ায় পরিবারকে খবর দেয়া তখন জরুরি মনে হয়নি।’

আরও পড়ুন:
প্রগতি সরণিতে বৈশাখীর বাসে আগুন
‘আত্মাগোপনে’ থাকা রিজভীর নেতৃত্বে রাজশাহীতে বিএনপির ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে এক স্থানে একযোগে তিন বাসে আগুন
বিএনপির মানববন্ধনের অনুমতির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ডিএমপি
মুন্সীগঞ্জে অবরোধের সমর্থনে যুবদল-ছাত্রদলের মিছিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
OC transfer of 338 police stations across the country including 33 of DMP

ডিএমপির ৩৩টিসহ সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসি বদলি

ডিএমপির ৩৩টিসহ সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসি বদলি
গত ৩০ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে যেসব থানার ওসিদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি চাকরির মেয়াদ হয়েছে, তাদের অন্যত্র বদলি করতে চিঠি দেয় ইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ৩৩৮ থানার ওসির বদলির প্রস্তাব পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৩৩টি থানাসহ সারা দেশের ৩৩৮টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমোদনে পর ওসিদের এ বদলি কার্যক্রম শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসিকে বদলির অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত ৩০ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে যেসব থানার ওসিদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি চাকরির মেয়াদ হয়েছে, তাদের অন্যত্র বদলি করতে চিঠি দেয় ইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ৩৩৮ থানার ওসির বদলির প্রস্তাব পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর ওসি বদলির অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A government employee university teacher in the family of Hizb ut Tahrirs top leader
সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান

হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতার পরিবারে সরকারি চাকরিজীবী-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতার পরিবারে সরকারি চাকরিজীবী-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেপ্তার হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তৌহিদুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তারা হাইলি রেডিক্যালাইজড এবং কাটআউট পদ্ধতিতে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। নিচের সারির কাউকে গ্রেপ্তার করা গেলেও তার উপরের কারও বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যেত না। অবশেষে সিটিটিসি অনেক সাফল্যের সঙ্গে হিজবুত তাহরীরের সবচেয়ে বড় নেতাদের একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।’

২০০৯ সালে নিষিদ্ধ হলেও সদস্য সংগ্রহসহ সাংগঠনিক নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। তবে বিভিন্ন সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা গেলেও আড়ালে থেকে গেছেন শীর্ষ নেতারা।

কাটআউট পদ্ধতিতে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করায় কোনোভাবেই শীর্ষ নেতাদের শনাক্ত করতে পারছিলেন না গোয়েন্দারা। অবশেষে হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তৌহিদুর রহমান ওরফে তৌহিদ ওরফে সিফাতকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

বুধবার রাতে কক্সবাজার থেকে তৌহিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তৌহিদ হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ ২-৩ জনের মধ্যে একজন।

সিটিটিসি জানায়, তৌহিদের পরিবারের একজন সদস্য সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকজন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘গত ৩০ সেপ্টেম্বর হিজবুত তাহরীর একটি অনলাইন সম্মেলন করে। তারা সম্মেলনের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার টানায়, অনলাইন প্রচারণা ও ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। সম্মেলনে নানা রকম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৩ সালের একটি সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে হিজবুত তাহরীর। সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকজন শিক্ষকের প্রকাশ্য প্রচেষ্টায় সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে হিজবুত তাহরীর প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না। তারা প্রচলিত আইন মানে না বলেও প্রচারণা চালিয়ে আসছে। বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য দাওয়াতি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে যার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এক ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছো’

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যেসব এলাকা সিসিটিসির আওতায় নেই বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি কম, সেসব স্থান আগে থেকে রেকি করে তারা পোস্টার লাগাত। পোস্টার লাগানোর সময় আমরা অনেককে হাতেনাতে গ্রেপ্তারও করেছি। কিন্তু শীর্ষ নেতাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার চ্যালেঞ্জ ছিল।

‘তারা হাইলি রেডিক্যালাইজড এবং কাটআউট পদ্ধতিতে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। নিচের সারির কাউকে গ্রেপ্তার করা গেলেও তার উপরের কারও বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যেত না। অবশেষে সিটিটিসি অনেক সাফল্যের সঙ্গে হিজবুত তাহরীরের সবচেয়ে বড় নেতাদের একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।’

হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতার পরিবারে সরকারি চাকরিজীবী-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

টার্গেট উচ্চবিত্ত ও মেধাবীদের

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হিজবুত তাহরীর সাধারণত উচ্চবিত্ত ও মেধাবীদের টার্গেট করে প্রচারণা চালায়। তাদের ভাবনা, যদি এই শ্রেণিকে রিক্রুট করতে পারে তাহলে প্রতিষ্ঠিত সমাজে সমর্থন পাবে এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। তারা সদস্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বিবদ্যালয়গুলোকেও টার্গেট করে।’

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার তৌহিদের পরিবারের একজন সদস্য সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা। এ ছাড়া পরিবারের বেশ কয়েকজন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তৌহিদ ২০১১ ও ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘ ১২ বছরে তৌহিদ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ে চলে আসে।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে তৌহিদ হিজবুত তাহরীরের ফুলটাইম সদস্য হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের অনলাইন সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন তৌহিদ।’

গ্রেপ্তারের পর তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অনলাইন সম্মেলনের বিষয়ে জানার পর কনফিউজড ছিলাম- সম্মেলনগুলো দেশের ভেতরে নাকি বাইরে থেকে করা হয়েছে! এখনও স্থানগুলো এক্স্যাক্টলি শনাক্ত করতে পারিনি, তবে বাংলাদেশের কোথাও করেছে। আশা করছি জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানতে পারব। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত তিনজনের মধ্যে দুইজন বক্তব্য দেন ও একজন উপস্থাপক ছিলেন। আমরা প্রধান ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি, আশা করছি বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে পারব। তাদের সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করা।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা পোস্টার কোথায় ছাপায়- এটা আমাদেরও প্রশ্ন। জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করব। যারা পোস্টার টানায় তাদেরকে হয়ত হাতেনাতে দুয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি বিভিন্ন সময়। কিন্তু তারা কাটআউট, স্লিপার সেল পদ্ধতিতে কাজ করে। তাদের রিক্রুট কৌশলটাও একটু অন্যরকম। বিভিন্ন গ্রুপকে টার্গেট করে মেসেজ দেয় তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য। আমরা বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করব।’

কারাগারে রেডিক্যালাইজেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কারাগারে আমাদের কোনো সুপারভিশন থাকে না। তবে যারা অথোরিটি আছে, আশা করি তারা এ বিষয়ে সচেতন। আমরা যতটুকু জানি, জঙ্গিদের আলাদা সেলে সর্বোচ্চ নজরদারিতে রাখা হয়। এরপরও তারা সুযোগ নিয়ে নিজেদের কাজ করতে পারে। তবে আমরা কারাগারে ডিরেডিক্যালাইজড সিস্টেমের মধ্যেও যাচ্ছি, খুব শিগগিরই আমরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করব। জঙ্গিরা জেল থেকে বের হয়ে সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়েও চলে আসছে, আমরা এ বিষয়ে কনসার্ন।’

আরও পড়ুন:
শামিন গ্রেপ্তারে জঙ্গিবাদের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি দেখছে সিটিটিসি
শামিনকে দলবল নিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন নাথান বম: সিটিটিসি
নতুন জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণে দেশি-বিদেশি অস্ত্র: সিটিটিসি
সৌদিতে ছিলেন ইমাম, দেশে ফিরে জঙ্গি ক্যাম্পে, দাবি সিটিটিসির
‘জঙ্গিদের অনলাইন কার্যক্রমও এখন নিয়ন্ত্রণে’

মন্তব্য

p
উপরে