× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Cant be sold for money or power GM Kader
google_news print-icon

টাকা বা ক্ষমতার জন্য বিক্রি হতে পারব না: জিএম কাদের

টাকা-বা-ক্ষমতার-জন্য-বিক্রি-হতে-পারব-না-জিএম-কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি... ভারত শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর নির্বাচন চায়। তারা নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো সহিংসতা চায় না। কে ক্ষমতায় আসবে বা নির্বাচন কীভাবে হবে সে বিষয়ে ভারতের কোনো বক্তব্য নেই।’

‘টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আমি দল, দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করি।’

বুধবার রাজধানীর বনানীতে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিন এ কথা বলেন। দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান, সংসদ সদস্য ও জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইউটিউবে কেউ পোস্ট করেছে যে আমি বিক্রি হয়ে গেছি। এটি আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমার কর্মজীবনে, নীতিগত কারণে আমার অনেক পাওনা গ্রহণ করিনি। আমার জন্য বরাদ্দের প্রয়োজনীয় অংশটুকুই নিয়েছি। যখন আমার পরিবার আমার সঙ্গে সফরে গেছে তখন ব্যক্তিগত ভিত্তিতে তাদের বিল পরিশোধ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি একবার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম, অন্যবার মন্ত্রিত্ব নেইনি। টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না। আমি ২৫ বছর ধরে কাজ করেছি এবং গত ১০ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছি।

‘গত দুই বছরে দেশের পুরো পেট্রোলিয়াম পণ্য কিনতাম। অবৈধ অর্থ উপার্জনের সুযোগ ছিল। কিন্তু আমি কখনোই তা করিনি। ২৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ২০ বছর এমপি ছিলাম এবং পাঁচ বছর দুটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছি।’

জিএম কাদের বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি... ভারত শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর নির্বাচন চায়। তারা নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো সহিংসতা চায় না। কে ক্ষমতায় আসবে বা নির্বাচন কীভাবে হবে সে বিষয়ে ভারতের কোনো বক্তব্য নেই।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বা স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় রয়েছে। তাই তারা কখনোই বাংলাদেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ চায়নি। আসলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ভাবিকে দিয়ে এসব করানো হচ্ছে: জিএম কাদের
জি এম কাদের ভারত সফরে, নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা রওশনের
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নয়: জি এম কাদের
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতার সাক্ষাৎ
ব্রিটিশদের মতো আওয়ামী লীগ দেশে বিভাজন করছে: জিএম কাদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Mumtaz gave the details of wealth in the affidavit

হলফনামায় সম্পদের যে বিবরণ দিলেন মমতাজ

হলফনামায় সম্পদের যে বিবরণ দিলেন মমতাজ গ্রাফিক্স: নিউজবাংলা
নিজের পেশা ‘কণ্ঠশিল্পী’ উল্লেখ করলেও পেশা থেকে গত পাঁচ বছরে কোনো আয় দেখাননি মমতাজ। এ ছাড়া এই পাঁচ বছরে তার ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ কমেছে। বাড়েনি নগদ অর্থের পরিমাণও, তবে ঋণের পরিমাণ কমেছে।

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম হলফনামায় পেশায় নিজেকে কণ্ঠশিল্পী ও ব্যবসায়ী উল্লেখ্য করেছেন। কিন্তু পেশা থেকে কোনো আয়ের কথা উল্লেখ করেননি তিনি। অথচ গত পাঁচ বছরে মমতাজ বেগমের আয় বেড়েছে ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে ভারতের আদালতে দুটি প্রতারণার মামলা হয়েছে এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।

কণ্ঠশিল্পী এ সংসদ সদস্যের ২০১৮ ও ২০২৩ সালের হলফনামা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বর্তমানে মমতাজ বেগমের বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান, বাসাভাড়া, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ও কৃষিসহ অন্যান্য খাত থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। আর ২০১৮ সালে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৬ টাকা; তার মধ্যে গান গেয়ে আয় করেছিলেন ৭ লাখ টাকা। সেই হিসেবে গত পাঁচ বছরে মমতাজ বেগমের আয় বেড়েছে ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৬ লাখ টাকা।

তবে এই পাঁচ বছরে তার ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ কমেছে। বাড়েনি নগদ অর্থের পরিমাণও, তবে ঋণের পরিমাণ কমেছে।

অপরদিকে ২০১৪ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগম ব্যবসা, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, কৃষি ও পেশাসহ অন্যান্য খাত থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৪ টাকা। তবে ওই হলফনামায় বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকানসহ এইসব খাত থেকে কোনো আয় ছিল না তার।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা ও আনুসঙ্গিক পারিতোষিক বাবদ বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে মমতাজ বেগমের হাতে নগদ ৫ লাখ এবং স্বামীর কাছেও নগদ ৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার, ৪৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, নিজ নামে ২৮ লাখ টাকা, ৪৬ লাখ ২০ হাজার এবং ১ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের তিনটি দামি গাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি নির্ভরশীল ব্যক্তি অর্থাৎ তিন সন্তানের নামে মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজে ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।

২০১৮ সালের হলফনামায় তার কাছে নগদার্থের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ এবং স্বামীর কাছে ছিল ২ লাখ টাকা এবং ২০১৪ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নগদার্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে স্বামীর নামে কোনো টাকা ছিল না।

২০২৩ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৮ টাকা এবং স্বামীর নামে জমা অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা। অপরদিকে ২০১৮ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে ছিল ৮৬ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৭ টাকা এবং ২০১৪ সালের হলফনামায় ছিল ৩০ লাখ টাকা।

২০২৩ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৯০০ শতাংশ। যার অর্জনকালীন মূল্য ছিল ৪৪ লাখ ২ হাজার ৭৩৪ টাকা এবং অকৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৫০০ শতাংশ যার অর্জনকালীন মূল্য ছিল ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭৭০ টাকা। এ ছাড়াও ঢাকার মাহাখালীতে ৫ তলা একটি বাড়ি আছে যার মূল্য ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং সিংগাইরের জয়মন্টপ এলাকায় ২ তলা একটি বাড়ি আছে যার মূল্য ৫৭ লাখ ৫ হাজার ৪৪০ টাকা। তবে ২০১৪ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে কোনো বাড়ি ছিল না। কিন্তু মমতাজ বেগমের নামে একটি কোল্ড স্টোরেজ ছিল যার মূল্য ছিল ৯০ লাখ টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রমমতাজ বেগম তিনবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে একবার সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত হন তিনি। এবার দিয়ে টানা তিনবার তিনি নৌকার টিকিট পেলেন।

আরও পড়ুন:
আয়ের উৎস নেই দুইবারের এমপি মকবুল হোসেনের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A total of 561 appeals to the EC for reinstatement of candidature

প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেননি ১৭০ জন

প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেননি ১৭০ জন আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে স্থাপিত অস্থায়ী বুথে প্রার্থী-সমর্থকের ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথম দিন ৪২, দ্বিতীয় দিন ১৪১, তৃতীয় দিন ১৫৫, চতুর্থ দিন ৯৩ ও সবশেষ শনিবার ১৩০ জন আপিল করেছেন। তাদের মধ্যে অবশ্য বেশ কিছু বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে বাতিল হওয়া ৭৩১ জনের মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পেতে মোট ৫৬১ জন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন। এর মধ্যে অবশ্য কিছু প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদনও রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিল পড়েনি ১৭০ প্রার্থীর।

ইসির বেঁধে দেয়ার পাঁচদিন সময়সীমার শেষ দিনে শনিবার ১৩০ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য আপিল করেছেন। ইসির অস্থায়ী ক্যাম্পে গত ৫ দিনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এসব আবেদন জমা পড়ে।

শনিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।

তিনি জানান, প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথম দিন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন ১৪১ জন, তৃতীয় দিন ১৫৫ জন, চতুর্থ দিন ৯৩ জন এবং সবশেষ শনিবার ১৩০ জন আপিল করেছেন। পাঁচদিনে মোট ৫৬১ জন প্রার্থী ইসিতে আপিল করেছেন। তাদের মধ্যে বেশ কিছু বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে।

প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেননি ১৭০ জন

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়, শেষ হয় ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়।

আর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।

আরও পড়ুন:
প্রার্থিতা ফেরাতে চার দিনে ইসিতে ৪৩১ জনের আপিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Japan Roshan Chapter Closed Chunnu

জাপায় রওশন চ্যাপ্টার ক্লোজড: চুন্নু

জাপায় রওশন চ্যাপ্টার ক্লোজড: চুন্নু সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। ছবি: সংগৃহীত
চুন্নু বলেন, ‘আমরা রওশন এরশাদকে সম্মান করি। তবে রওশনপন্থীদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। যে চ্যাপ্টার ক্লোজড, সেটা বারবার কেন সামনে আনেন?’

জাতীয় পার্টিতে রওশন এরশাদের সময় ফুরিয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘আমরা রওশন এরশাদকে সম্মান করি। তবে রওশনপন্থীদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। যে চ্যাপ্টার ক্লোজড, সেটা বারবার কেন সামনে আনেন?’

তিনি বলেন, ‘অনুরোধ করছি বিষয়টা আর আনবেন না। তাহলে আমি কোনো উত্তর দেবো না।’

শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনি ইশতেহার প্রসঙ্গে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘ইশতেহারে আনুপাতিক হারে নির্বাচন, বেকার সমস্যা বিকেন্দ্রীকরণ, চিকিৎসাসেবার উন্নতি, শিশু অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে।’

এ সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। এ প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, ‘শুধু আমাদের দেশে নয়, এ ধরনের আপস অন্যান্য দেশেও হয়। এ বিষয়ে স্থায়ী কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। নির্বাচন বা রাজনীতিতে চূড়ান্ত কোনো বিষয় নেই। যেকোনো সময়ে যেকোনো কথার কারণে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

‘আপনি ভারতে যান। বিজেপি অনেক বড় দল, তারপরও অনেক সিটে তারা নমিনেশন দেয়নি। হয় যাদের সঙ্গে জোট করেছে তাদের অথবা নীরবে অন্য কোনো দলের সঙ্গে আন-অফিশিয়ালি সমঝোতা করেছে; তাদের সুযোগ দিয়েছে। এটা ভারতে হয়, আমাদের দেশে হয়, পাকিস্তানে হয়- সব দেশেই হয়।’

নির্বাচনি প্রচার সম্পর্কে দলটির পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। মনোনয়নপত্র যেগুলো আপিলে গেছে, আগে সেগুলো আমরা দেখছি। এরপর আমরা ইশতেহার প্রকাশ করব।’

নির্বাচন কমিশনে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে তার প্রার্থিতার বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থীর করা আপিল প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, ‘মনোনয়ন ফরমে তথ্যের কথা লেখা আছে ফৌজদারি আইনে। কোন সিভিল মামলার তথ্য লিখতে হবে- এমন কোনো ঘর নেই। আসলে উনি আমার ইমেজ (ভাবমূর্তি) ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা করেছেন। সিভিল মামলার তথ্য দেয়ার সুযোগ নির্বাচনি আচরণবিধিতে নেই।’

প্রসঙ্গত, ইসিতে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন করেছেন ওই আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া নৌকার প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Aamir Hosan summons me to EC

আমির হোসেন আমুকে ইসিতে তলব

আমির হোসেন আমুকে ইসিতে তলব আমির হোসেন আমু। ফাইল ছবি
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে তলব করা হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে তলব করা হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

শনিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর সহস্রাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ঝালকাঠি-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন আমু। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারহা গুল নিঝুম ওই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। একই দিন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা দেশবাসী ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই নেতা-কর্মী নিয়ে ভোটের প্রচারণার অভিযোগে ঢাকা-৮ আসনের নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

১০ ডিসেম্বর নির্ধারিত স্থানে সশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে এর লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শনিবার নির্বাচনি এলাকা-১৮১ এর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসরাত জাহান নাসরিন এই তলব আদেশ দিয়েছেন।

শোকজের চিঠিতে জানানো হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, আপনি গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এ সময় আপনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এসব এলাকায় যান এবং স্থানীয় নির্বাচনি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। তখন বিপুল জনসমাগম ঘটে এবং আপনি নৌকার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালান; যা নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য। ওই সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি অত্র কমিটির গোচরীভূত হয় এবং সংবাদের তথ্যসমূহ বিশ্লেষণপূর্বক অত্র অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচনপূর্ব অনিয়মের সত্যতা পান। ওই মতবিনিময় সভাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনি এলাকা-১৮১ এর বিভিন্ন স্থানে নৌকা প্রতীকের অসংখ্য পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
দেশি আরও ২৯ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিল ইসি
প্রার্থিতা ফিরে পেতে দ্বিতীয় দিনে ইসিতে ১৪১ জনের আপিল
ইসিকে ৩৩৮ থানার ওসি বদলির তালিকা দিয়েছে মন্ত্রণালয়
জাপার সঙ্গে আলোচনা করে ১৪ দলের আসন বণ্টন: আমু
প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে চলছে আপিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNPs movement to stop elections failed Kader

বিএনপির নির্বাচন বন্ধের আন্দোলন ব্যর্থ: কাদের

বিএনপির নির্বাচন বন্ধের আন্দোলন ব্যর্থ: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যত বাধা আসুক, যত ষড়যন্ত্রই হোক নির্বাচন সম্পন্ন করার বিষয়ে পাহাড়ের মতো অনড় আওয়ামী লীগ। ভোটের পরেও চাপ আসতে পারে, এসব মোকবিলা করার মনোবল ও রাজনৈতিক শক্তি দলের রয়েছে।’

বিএনপির নির্বাচন বন্ধের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পরও বিএনপি ক্ষান্ত হয়নি। এখন তারা সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যত বাধা আসুক, যত ষড়যন্ত্রই হোক নির্বাচন সম্পন্ন করার বিষয়ে পাহাড়ের মতো অনড় আওয়ামী লীগ। ভোটের পরেও চাপ আসতে পারে, এসব মোকবিলা করার মনোবল ও রাজনৈতিক শক্তি দলের রয়েছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, আমাদের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।

‘সুতরাং নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো যৌক্তিক কারণ আমরা দেখছি না। বরং যারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পথ বেছে নিয়েছেন, তাদের ওপরই নিষেধাজ্ঞা আসার কথা। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের যৌক্তিক কারণ নেই।’

কাদের বলেন, ‘যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, তারা ১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং জোট সরকারের নিপীড়নের কথা বলেন না।

‘মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচির নামে নাশকতার ছক কষছে বিএনপি। কর্মসূচির নামে যাতে তারা নাশকতা করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, জেলের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সারির চারজন সংগঠককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

‘মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন অনেকেই, কিন্তু ২১ আগস্টের সমাবেশে শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। আইভি রহমানসহ ২৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তারা এ নিয়ে কথা বলেন না।’

আরও পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয়: কাদের
জাপার সঙ্গে বৈঠকে আসন বণ্টন প্রসঙ্গ ওঠেনি: কাদের
কিছু আসনে নৌকা নিয়ে লড়তে পারেন ১৪ দলের শরিকরা: কাদের
১০ ডিসেম্বর সমাবেশের অনুমতি পায়নি আওয়ামী লীগ
ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আছে, বিদেশিরাও বোঝে: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two time MP Maqbul Hossain has no source of income
হলফনামা

আয়ের উৎস নেই দুইবারের এমপি মকবুল হোসেনের

আয়ের উৎস নেই দুইবারের এমপি মকবুল হোসেনের মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
হলফনামা অনুযায়ী, বর্তমানে মকবুল হোসেনের বার্ষিক কোনো আয় নেই। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ও তার স্ত্রীর জমাকৃত কোনো টাকা কিংবা বন্ড ও সঞ্চয়পত্র নেই।

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি মকবুল, তবে সেবার তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।

২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মকবুল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হন বিজয়ী।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মকবুল, তবে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে তার ডাকে সাড়া না দেয়ায় এবারও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়েও পেয়েছেন মনোনয়নপত্রের বৈধতা।

আগামী নির্বাচন উপলক্ষে দেয়া হলফনামা অনুযায়ী, এ প্রার্থীর আয়ের কোনো উৎস নেই। তার মালিকানাধীন কোনো বাড়ি, গাড়ি, এমনকি কৃষিজমিও নেই। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি আছে নামমাত্র।

নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে, তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্যই মিলেছে।

হলফনামা অনুযায়ী, যৌথ মালিকানার তিন কাঠা জমি ছাড়া মকবুল হোসেনের আর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই।

২০১৩ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেয়া হলফনামায় মকবুল এবং তার স্ত্রীর কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ২১ হাজার টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে শূন্যের কোঠায়।

হলফনামা অনুযায়ী, বর্তমানে মকবুল হোসেনের বার্ষিক কোনো আয় নেই। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ও তার স্ত্রীর জমাকৃত কোনো টাকা কিংবা বন্ড ও সঞ্চয়পত্র নেই।

বতর্মানে মকবুল ও স্ত্রীর নগদ টাকা রয়েছে যথাক্রমে তিন লাখ ও ৫০ হাজার। তার গৃহস্থালি সামগ্রীর মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

মকবুলের স্বর্ণ রয়েছে ৪০ ভরি। তার স্ত্রীর স্বর্ণ রয়েছে ১০ ভরি।

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে মকবুলের বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ২১ হাজার টাকা। আয়ের খাত ছিল ব্যবসা। নগদ ছিল ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। সে সময় তার ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিল এবং গৃহস্থালি সামগ্রী ছিল ৫০ হাজার টাকার।

ওই বছর তার স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ছিল না কোনো স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা।

হলফনামা অনুযায়ী, মকবুল হোসেনের বর্তমান স্থাবর সম্পদ বলতে যৌথ মালিকানার তিন কাঠা জমি এবং যৌথ মালিকানার পাকা দোতলা বাড়ি ছাড়া আর কিছু নেই। অবশ্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

দুইবারের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের এমন হলফনামা দেয়ার কথা শুনে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীই বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী সালাউদ্দিন বলেন, ‘এখন গণমাধ্যমের মাধ্যমে হলফনামা সমন্ধে জানতে পারছি। আগে এগুলো নিয়ে কারোর মাথাব‍্যথা ছিল না। এখন বুঝতে পারছি সংসদ সদস‍্য নির্বাচনে হলফনামায় তথ‍্য দেয়ার ক্ষেত্রে নেতারা যত মিথ‍্যা তথ‍্য দিয়ে থাকেন।

‘এটা আসলে ঠিক না। যারা তথ‍্য চুরি করে হলফনামা দিতে পারে, তারা জনগণকে আর কীইবা দিতে পারে?’

আওয়ামী লীগের কর্মী বিপুল হোসেন বলেন, ‘সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের আয়ের উৎস নেই, এটা কেমন কথা! তাহলে উনি চলেন কীভাবে?

‘আর তার কোনো ব‍্যাংকে টাকা নেই, এটা ঠিক। টাকা যদি ছেলেদের অ্যাকাউন্টে থাকে, তাহলে তার অ্যাকাউন্টে থাকবে কীভাবে?’

আরও পড়ুন:
ডিএমপির ৩৩টিসহ সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসি বদলি
প্রার্থিতা ফেরাতে তৃতীয় দিনে ১৫৫ জনের আপিল
শোকজের জবাব দিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
নন-ক্যাডার থেকে ৮৩ জনকে নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাশিয়া সবকিছু করবে: রাষ্ট্রদূত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no shortage in the country now Planning Minister

দেশে এখন অভাব নেই: পরিকল্পনামন্ত্রী

দেশে এখন অভাব নেই: পরিকল্পনামন্ত্রী আলোচনা সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: নিউজবাংলা
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, নিরাপদ পানির জন্য টিউবওয়েল, ল্যাট্রিন ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ উন্নয়নের আলোয় আলোকিত, তাই এখন কোনো অভাব নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাদের আয়োজনে বিজয়ের মাস উপলক্ষে আয়োজিত যুবসমাবেশ ও আনন্দর‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, নিরাপদ পানির জন্য টিউবওয়েল, ল্যাট্রিন ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে কোনো কিছুর সংকট নেই। আগামী দিনেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। তাই নিজেদের স্বার্থে এই সরকারের সঙ্গেই থাকতে হবে।

এম এ মান্নান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ এখন উন্নয়নের আলোয় আলোকিত। দেশে এখন কোনো কিছুর অভাব নেই। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সারা দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশের এই অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে মানুষ খুশি। আগে সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না, এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বিদ্যুতের আলোয় সারা বাংলাদেশ হাসছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। আমার কোনো চাহিদা নেই। আপনাদের সেবা করাই আমার কাজ। আমি শেখ হাসিনার সাথে কাজ করে বলছি, তিনি হাওরাঞ্চলের মানুষকে ভালোবাসেন। তিনি চান হাওরাঞ্চলের উন্নয়ন হোক৷ তাই হাওরাঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

যুব সমাবেশে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতুর সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপনের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পরিকল্পনামন্ত্রীর পুত্র সাদাত মান্নান অভি, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন প্রমুখ৷

এরআগে যুব সমাবেশ উপলক্ষে একটি আনন্দ র‌্যালি শান্তিগঞ্জ বাজার থেকে শুরু হয়ে স্লোগানে স্লোগানে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনা সভায় এসে মিলিত হয়৷

মন্তব্য

p
উপরে