× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Open letter of 160 world leaders to the Prime Minister asking for the postponement of the trial of Dr Yunus
google_news print-icon

ড. ইউনূসের বিচার স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ১৬০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠি

ড-ইউনূসের-বিচার-স্থগিত-চেয়ে-প্রধানমন্ত্রীকে-১৬০-বিশ্বনেতার-খোলা-চিঠি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
চিঠিতে বিশ্বনেতারা বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি আমাদের উদ্বিগ্ন করে, তা হলো নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা। আমরা উদ্বিগ্ন যে, সম্প্রতি তাকে টার্গেট করা হয়েছে।’

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন ১০০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনের বেশি বিশ্বনেতা। আগামী ৩১ আগস্ট পুনরায় ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর দিন সামনে রেখে এই চিঠি লিখেছেন তারা।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের মতো ব্যক্তিত্ব। ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের একজন, রেজাল্টস অ্যান্ড সিভিক কারেজের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ডেলি-হ্যারিস এক বিজ্ঞপ্তিতে চিঠিটি প্রকাশ করেছেন।

এর আগে গত রোববার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে চিঠি লেখেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তারও আগে গত মার্চে ৪০ জন বিশ্বনেতা একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, যাতে প্রধানমন্ত্রীকে তার সবচেয়ে দক্ষ এবং প্রশংসিত নাগরিকদের একজনের বিরুদ্ধে বিবেকহীন প্রচারণা বন্ধ করতে বলা হয়।

নতুন চিঠির শুরুতে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ সম্বোধন করে লেখা হয়েছে, আমরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতার পাশাপাশি বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে লিখছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আপনাদের জাতি যেভাবে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে, আমরা তার প্রশংসা করি।

কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি দেখেছি, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং নির্বাচনে প্রশাসন দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে বৈধতার অভাব ছিল।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি আমাদের উদ্বিগ্ন করে, তা হলো নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা। আমরা উদ্বিগ্ন যে, সম্প্রতি তাকে টার্গেট করা হয়েছে। এটা ক্রমাগত বিচারিক হয়রানি বলেই আমাদের বিশ্বাস। এর আগে ৪০ জন বিশ্বনেতা তার নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে আপনার কাছে যে আবেদন করেছিলেন এই চিঠিটি তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলারই চেষ্টা।

আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে, আপনি অবিলম্বে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করুন।

তারপর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা রাখার সুযোগসহ আপনার দেশের মধ্য থেকে নিরপেক্ষ বিচারকদের একটি প্যানেল দ্বারা অভিযোগের পর্যালোচনা করা হবে। আমরা নিশ্চিত যে, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী এবং শ্রম আইনের মামলাগুলোর যেকোনো পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করলে তিনি খালাস পাবেন।

আপনি জানেন যে, ‘কীভাবে সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ আন্তর্জাতিক অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হতে পারে’ এ নিয়ে প্রফেসর ইউনূসের কাজ আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণামূলক।

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশিরা কীভাবে বৈশ্বিক অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন তিনি তার একটি প্রধান উদাহরণ। আমরা আন্তরিকভাবে কামনা করি, তিনি যেন নিপীড়ন বা হয়রানিমুক্ত হয়ে তার উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

চিঠিটির শেষ দিকে বলা হয়েছে, ‘আশা করি, আপনি এই আইনি সমস্যাগুলোর সমাধান একটি সমীচীন, নিরপেক্ষ এবং ন্যায়সংগত পদ্ধতিতে নিশ্চিত করবেন। এর পাশাপাশি আসছে দিনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন এবং সব ধরনের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান (প্রদর্শন) নিশ্চিত করবেন। সামনের দিনগুলোতে কীভাবে এই বিষয়গুলোর সমাধান করা হয়, তা ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখার জন্য আমরা বিশ্বের লাখ লাখ উদ্বিগ্ন নাগরিকের শিবিরে যোগ দেব।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Israeli airports closed in strong missile attacks

শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বন্ধ ইসরাইলি বিমানবন্দর

শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বন্ধ ইসরাইলি বিমানবন্দর

ইয়েমেন থেকে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দিকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। যার ফলে তেলআবিবে ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

আরব ও ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা মেহের রোববার সকালে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইয়েমেন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে।

একই সময়ে জায়নিস্ট সরকারের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।

ইসরাইলি চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে এবং বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের নিক্ষেপ করা একটি ক্ষেপণাস্ত্র তারা সফলভাবে ভূপাতিত করেছে।

সংবাদ মাধ্যমটি আরও জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইসরাইলের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ পশ্চিম তীরের কিছু এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে। সতর্কতামূলক সাইরেন বাজলেও এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি, হতাহতের ঘটনা বা আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।

আইডিএফ জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে, যখন গাজায় হামাসবিরোধী অভিযান আবার শুরু হয়, তখন থেকে হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি বাহিনী ইসরাইলের দিকে মোট ৯১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। একই সময়ে অন্তত ৪১টি ড্রোন ইসরাইলের দিকে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হামাস-ইসরাইলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতির আগে ইয়েমেনিরা ইসরাইলের দিকে ৪০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।

উল্লেখ্য, ইসরাইল গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করার পর থেকেই ইয়েমেন ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি তাদের প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়ে আসছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইয়েমেন বারবার ইসরাইলবিরোধী অভিযানে অংশ নিচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
ACC sought details of the current and former officials of the central bank

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক ১৯ কর্মকর্তার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুদক

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক ১৯ কর্মকর্তার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক ১৯ কর্মকর্তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের মধ্যে রয়েছেন তিন সাবেক গভর্নর, বেশ কয়েকজন সাবেক ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তাসহ ভারতীয় দুই নাগরিক।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে দুদক এই তথ্য চায়। ওই চিঠিতে কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, দায়িত্বের পরিধি, কর্মস্থল ও সংশ্লিষ্ট তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা, নীতি শিথিলতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

তালিকায় তিন সাবেক গভর্নর

তথ্য তলব করা কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রিজার্ভ চুরির সময় গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন ড. আতিউর রহমান। ঘটনার পর একই বছরের ১৫ মার্চ তিনি পদত্যাগ করেন।

এছাড়া সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, আহমেদ জামাল এবং বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তালিকায় আরও রয়েছেন সাবেক নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা।

বর্তমান কর্মকর্তারাও তদন্তের আওতায়

বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক, আইসিটি বিভাগের দেবদুলাল রায়, কমন সার্ভিস বিভাগ-২ এর পরিচালক মো. তফাজ্জল হোসেন, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও অফিসার্স কাউন্সিলের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মসিউজ্জামান খান ও রাহাত উদ্দিনের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মসিউজ্জামান খানের নাম দুবার উল্লেখ করা হয়েছে, তবে দুদক নিশ্চিত করেছে যে তিনি একই ব্যক্তি। মেজবাউল হক গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক মাসের নোটিশে পদত্যাগ করেন।

দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, রিজার্ভ রক্ষণাবেক্ষণ এবং লেনদেন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত বিভাগগুলোর একাধিক কর্মকর্তা ওই সময় দায়িত্বে ছিলেন।

২০১৬ সালের রিজার্ভ চুরির ঘটনা

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো দুই কোটি ডলার ফেরত আসে তাৎক্ষণিকভাবে। ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি ডলার পরবর্তীতে ফেরত পাওয়া যায়। বাকি ছয় কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধারে এখনো ১২টি মামলা চলমান রয়েছে।

ঘটনার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট, আইটি, পেমেন্ট সিস্টেম ও অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং—এই চারটি বিভাগ সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।

ভারতীয় দুই নাগরিকের তথ্যও তলব

দুদকের চিঠিতে ভারতীয় নাগরিক নীলা ভান্নান ও রাকেশ আস্তানার বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয়েছে। নীলা ভান্নান রিজার্ভ চুরির আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তিনটি ব্যাংকের লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য ‘সুইফট’ সংযোগের কাজ করেন। আর রিজার্ভ চুরির পর সাইবার নিরাপত্তা দুর্বলতা নিরূপণ ও ‘ফায়ারওয়াল’ ভেদ করে কীভাবে টাকা স্থানান্তর হলো তা যাচাই করতে রাকেশ আস্তানাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তের অংশ হিসেবে সব তথ্য যাচাইয়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The ninth day testimony against the accused is today
চানখারপুলে ৬ হত্যা

৮ আসামির বিরুদ্ধে নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

৮ আসামির বিরুদ্ধে নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ।

রোববার (৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল এ সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। এ দিন ট্রাইব্যুনালে তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, ২৫ সেপ্টেম্বর অষ্টম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

ওই দিন জবানবন্দি দিয়েছেন তিন সাক্ষী। এর মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও ছিলেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাদের জেরা করেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৭ জন।

ট্রাইব্যুনালে ওই দিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও মামুনুর রশীদ।

১৪ আগস্ট সপ্তম দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে দুজন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য ছিলেন। তারা হলেন- কনস্টেবল অজয় কুমার ও কনস্টেবল আবদুর রহমান।

১১ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠ কার্যদিবসে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজধানীর নিউমার্কেটের দোকানের কর্মচারী মো. টিপু সুলতান ও নৌবাহিনীতে মালামাল সরবরাহকারী মো. মনিরুজ্জামান।

৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চম দিনের মতো জবানবন্দি দেন তিনজন। এর মধ্যে একজন শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের মা সানজিদা খান দীপ্তি। বাকি দুজন হলেন- আনাসকে গুলি করতে দেখা প্রত্যক্ষদর্শী রাব্বি হোসেন ও ব্যবসায়ী আবদুল গফুর।

২১ আগস্ট চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। ওই দিন ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন শহীদ রাকিব হোসেন হাওলাদারের বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বড় ভাই রাহাত হাওলাদার। তারা দুজনই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।

১৩ আগস্ট তৃতীয় দিনে সাক্ষ্য দেন শহীদ ইয়াকুবের মা রহিমা আক্তার, তার প্রতিবেশী চাচা শহীদ আহমেদ ও শহীদ মো. ইসমামুল হকের ভাই মহিবুল হক।

১২ আগস্ট দ্বিতীয় দিনে জবানবন্দি দিয়েছেন দুজন। এর মধ্যে একজন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আঞ্জুয়ারা ইয়াসমিন ও আরেকজন শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদের বাবা শেখ জামাল হাসান।

১১ আগস্ট চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্য শেষে মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন শহীদ আনাসের বাবা সাহরিয়ার খান পলাশ। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৪ জন জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ মামলার গ্রেফতার চার আসামি হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ‍ও মো. নাসিরুল ইসলাম।

পলাতক আসামিরা হলেন- সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।

গত ১৪ জুলাই চানখারপুলের মামলাটির পলাতক চার আসামিসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালায় পুলিশ। এতে বহু হতাহতের ঘটনার পাশাপাশি শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Bachelor Point Special Episode has been exposed to the partnership of the Apo A3 Pro

ব্যাচেলর পয়েন্টের স্পেশাল এপিসোডের অংশীদারিত্বে উন্মোচিত হয়েছে অপো এ৬ প্রো

ব্যাচেলর পয়েন্টের স্পেশাল এপিসোডের অংশীদারিত্বে উন্মোচিত হয়েছে অপো এ৬ প্রো

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ব্যাচেলর পয়েন্টের সাথে বিশেষ অংশীদারিত্বে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হয়েছে অপো এ৬ প্রো, বলে জানিয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো। এই মাইলফলক উদযাপনে এবার শোটির বহুল প্রতীক্ষিত ‘বছরের সবচেয়ে বড় বাচেলর ট্রিপ’ স্পেশাল এপিসোডের আরও আনন্দ-হাসি, পাগলামি ও অবিস্মরণীয় মুহূর্তের সঙ্গী হতে যাচ্ছে অপো এ৬ প্রো। স্পেশাল এপিসোডে দেখা যাবে, গ্যাংটি হাস্যরস ও আবেগ সহ একটি অবিস্মরণীয় যাত্রায় বের হয়, যেখানে অপো এ৬ প্রো নিখুঁত ভ্রমণসঙ্গী হয়ে ওঠে।

অপো এ৬ প্রো এর আন্ডারওয়াটার ভিডিওগ্রাফি মোড ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে; পানীর নিচে অ্যাডভেঞ্চার ধারণ করার সুযোগ করে দেয়। এর ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি দীর্ঘ সময় ধরে চালু থাকতে সহায়তা করে, ৮০ ওয়াট সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং যেকোনো সময় দ্রুত চার্জ করতে সক্ষম। ভ্রমণকারীরা এর রিভার্স চার্জিংয়ের মাধ্যমে ব্যাটারির সক্ষমতা শেয়ার করতে পারেন। দীর্ঘ সড়কযাত্রার জন্য, উন্নত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম ডিভাইসটিকে ঠান্ডা রাখে, এমনকি দীর্ঘসময় নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহার করা হলেও এটি অ্যাডভেঞ্চারের জন্য যথার্থ সঙ্গী হিসেবে থাকবে।

অপো এ৬ প্রো-এর বেজেল-লেস আলট্রা ব্রাইট অ্যামোলেড স্ক্রিন ম্যাপ, বিনোদন ও ছবি দেখার সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে, এর কালারওএস ১৫ মাল্টিটাস্কিংকে সহজ ও সুনির্দিষ্ট করে তোলে। ৬০ মাসের ফ্লুয়েন্সি সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে ডিভাইসটি বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স প্রদান করে। এআই ইমেজিং ও এআই নেটওয়ার্কস পরিষ্কার ছবি ধারণ ও স্থিতিশীল সংযোগ নিশ্চিত করে; পাশাপাশি, এআই এডিটর ২.০ ব্যবহারকারীদের ট্র্যাভেল মেমোরি ইনস্ট্যান্ট সম্পাদনা করার সুযোগ করে দেয়। এআই লিঙ্কবুস্ট ৩.০ আরও উন্নত নেটওয়ার্ক সক্ষমতা নিশ্চিত করে, ভ্রমণকারীদের দূরের বা ভিড়যুক্ত স্থানেও একইরকম সংযুক্ত রাখে।

এই উন্মোচন উদযাপনে অপো বাংলাদেশ আকর্ষণীয় প্রি-অর্ডার অফার চালু করেছে। যারা অপো এ৬ প্রো আগেই অর্ডার করবেন, তারা একটি ট্রেন্ডি অপো ব্যাকপ্যাক ও দুই বছরের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি পাবেন। ডিভাইসটিকে আরও সহজলভ্য করতে কার্ডলেস ইজি ইএমআই এবং ০% সুদে ১২ মাস পর্যন্ত ব্যাংক ইএমআই সহ নমনীয় পেমেন্ট অপশন প্রদান করেছে টপপে। ফ্লিপারের মাধ্যমে একটি এক্সচেঞ্জ অফারে রয়েছে আরও ২,০০০ টাকা ডিসকাউন্ট।

রোজউড রেড ও স্টেলার ব্লু এই দুইটি অনন্য রঙে অপো এ৬ প্রো (৮ জিবি র‍্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ) নিয়ে আসা হচ্ছে মাত্র ৩৪,৯৯০ টাকায়। ক্রেতারা এখন দেশের সকল অপো ব্র্যান্ড শপ, অনুমোদিত আউটলেট ও অনলাইন শপগুলো থেকে প্রি-অর্ডার করতে পারবেন এবং অপোর এক্সক্লুসিভ গিফট ও অফার উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।

এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “অপো সবসময় উদ্ভাবন ও লাইফস্টাইলের মাধ্যমে তরুণদের সাথে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করায় গুরুত্বারোপ করেছে। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শো, ব্যাচেলর পয়েন্টের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা দেখাতে পেরেছি কীভাবে আজকের তরুণদের প্রাণবন্ত, অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ ও মজাদার স্পিরিটের সাথে অপো এ৬ প্রো মানানসই। আমরা বিশ্বাস করি এ সহযোগিতা কেবল দর্শকদের বিনোদন দেবে না; বরং, অপো এ৬ প্রোকে তাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে নিয়ে প্রতিটি যাত্রা উপভোগ করতে অনুপ্রাণিত করবে।”

প্রিমিয়ার দেখতে ভিজিট করুন https://www.facebook.com/share/17RPS4DPgz/ এবং অপো এ৬ প্রো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন https://www.oppo.com/bd/smartphones/series-a/a6-pro/.

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Another bus pushed on the expressway is the helper of another bus pushing

এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কা, নিহত হেলপার

এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কা, নিহত হেলপার

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাকায় এক যুবক (৩৫) নিহত হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদীখান উপজেলার চালতিপাড়া নামক এলাকায় মাওয়াগামী লেনে এ দুর্ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইমাদ পরিবহনের হেলপার ছিলেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এক্সপ্রেসওয়ের মাওয়ামুখী চালতি পাড়া নামক এলাকায় হানিফ পরিবহনের দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের পেছনে মাওয়াগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ইমাদ পরিবহনের বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই বাসটির হেলপার মারা যায়। এতে ইমাদ পরিবহনের চালকসহ আহত হয় অন্তত আটজন। আহতেদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার এসআই নুর মোহাম্মদ বলেন, হানিফ পরিবহনের বাসটি নষ্ট হওয়ার কারণে বাসটি রাস্তায় থামানো ছিল। কিন্ত ইমাদ পরিবহনের দ্রুতগামী বাস হানিফ পরিবহনের পেছনে ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ইমাদ পরিবহনের হেলপার মারা যায়। চালকসহ কয়েকজন আহত আছে তাদের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

দুর্ঘটনার ফলে এক্সপ্রেসওয়েতে মাওয়ামুখী লেনে ৪০ মিনিটের মতো যান চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানার এসআই নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘সড়ক এখন স্বাভাবিক আছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In 6 months in the country 4 girls are raped

দেশে ৮ মাসে ৩৯০ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার

দেশে ৮ মাসে ৩৯০ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার

চলতি বছরের প্রথম আট মাসে সারা দেশে ৫৪ নারী যৌন হয়রানি এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫৪ কন্যাশিশু। একই সময়ে ৩৯০ কন্যাশিশু ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর আত্মহত্যা করেছে ১০৪টি শিশু। কন্যাশিশুর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতার চিত্র পর্যবেক্ষণবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।

গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছে এডুকো বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের আট মাসে ৩৪ জন শিশু অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে।

এর মধ্যে ১৮ জন কন্যাশিশুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই সময়ে ৮৩ জন কন্যাশিশু খুন হয়েছে এবং ৫০ জন কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে, যাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন তুলে ধরেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর সৈয়দা আহসানা জামান এ্যানি। তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে অবশ্যই নারীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যাতে একজন নারী বা কন্যাশিশু যেকোনো সময়ে কোনো ধরনের সহিংসতার ভয় ছাড়াই ঘর-বাসা থেকে বের হতে পারেন এবং নির্বিঘ্নে পথ চলতে পারেন।

জানুয়ারি থেকে আগস্টের এই সময়ে মোট ৫৪ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় কম। ২০২৪ সালের একই সময়ে ২৮ জন এবং ২০২৩ সালে ১১৭ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কন্যাশিশু ও নারীরা পথেঘাটে, যানবাহনে, বাজারে, জনবহুল স্থানে, এমনকি শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়িতে হরহামেশা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।

সংকট থেকে উত্তরণে ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে যৌন হয়রানি, উত্ত্যক্তকরণ ও নিপীড়ন রোধে সর্বস্তরের জন্য ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুমোদন; শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার সব ঘটনাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা; ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ এলে ধর্ষণের শিকার নারী ও কন্যার পরিবর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হবে যে সে এ ঘটনা ঘটায়নি, এ–সম্পর্কিত প্রচলিত আইনের বিধান সংশোধন করা; হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠনের কঠোর নির্দেশনা মনিটরিংয়ের ভিত্তিতে নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং অপরাজেয় বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানুর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ইনফ্লুয়েঞ্জিং অ্যান্ড ক্যাম্পেইনের পরিচালক নিশাত সুলতানা, আইনজীবী ফাহমিদা রিংকী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
China Bangladesh relations have developed on the basis of five principles C chin ping
কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর

পাঁচটি নীতির ভিত্তিতে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে: সি চিন পিং

পাঁচটি নীতির ভিত্তিতে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে: সি চিন পিং

কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার বাংলাদেশের প্রতি অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি যেভাবেই পরিবর্তিত হোক না কেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতির ভিত্তিতে দুই দেশ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন এবং বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। উভয় পক্ষই পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমান আচরণ এবং উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার একটি চমৎকার উদাহরণ স্থাপন করেছে।

সি চিন পিং বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশ তাদের রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা ক্রমাগত সুসংহত করেছে। উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা ক্রমাগত প্রসারিত হয়েছে। দুই দেশের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব আরও গভীর হয়েছে।

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে সি চিন পিং

জানান, তিনি কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীকে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা আরও গভীর করার, দুই দেশের জনগণের জন্য আরও বেশি সুবিধা প্রদান এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে বৃহত্তর অবদান রাখার সুযোগ হিসেবে গ্রহণের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।

এদিকে, পৃথক বার্তায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং স্থায়ী সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে একটি গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অভিন্ন সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে চীনের দীর্ঘমেয়াদী ও মূল্যবান সহায়তার জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।

তিনি আস্থা প্রকাশ করেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও ফলপ্রসূ ফলাফল বয়ে আনবে।

অপরদিকে, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং বাংলাদেশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও একে অপরকে অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন।

লি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে আমরা অত্যন্ত মূল্য দেই। ৫০তম বার্ষিকীকে উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার এবং চীন-বাংলাদেশ ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হিসেবে গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন।

ড. ইউনূস বলেন, গত ৫০ বছরে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ফলপ্রসূ ফলাফল এনে দিয়েছে, যা সত্যিই উদযাপনের যোগ্য।

তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিক ও বৃহত্তর ফলাফল অর্জনের জন্য বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

p
উপরে