গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ওয়াই এম আবদুল্লাহকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ধুমাইটারী সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা কেন্দ্রে রোববার এ ঘটনা ঘটে। এটিই এ উপজেলার আলিম পরীক্ষার একমাত্র কেন্দ্র।
পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোমবার দুপুরে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে কেন্দ্র সচিব ওয়াই এম আবদুল্লাহকে বহিষ্কার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর এ আলম।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ধুমাইটারী সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা কেন্দ্রে ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২৬ জন অংশ নেন। পরীক্ষা চলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এতে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা তাদের ফলাফল নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
পরীক্ষার্থী আবদুল আজিজ বলে, ‘আমরা পরীক্ষার্থী বিষয়টি খেয়াল করতে পারিনি, কিন্তু যারা পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন, তারা তো ভুল প্রশ্নপত্রে আমাদের পরীক্ষা নিয়েছেন। ফলাফল আসবে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’
পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োজিত ট্যাগ অফিসার ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাফর আহমেদ লস্কর বলেন, ‘বিষয়টি পরীক্ষা চলাকালে কেউ আমাকে জানায়নি। যদি ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিয়ে থাকে, এর সম্পূর্ণ দায় কেন্দ্র সচিবের, আমার নয়।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মমিন মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি উদ্বেগজনক। যদি বোর্ড চায়, তাহলে এ প্রশ্নপত্রের আলোকে খাতা দেখার নির্দেশ দিতে পারে। সেটা করলেই পরীক্ষার্থীদের ফলাফল আসবে।’
কেন্দ্রে দায়িত্বরত সচিব ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কে ওয়াই এম আবদুল্লাহর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার সহকর্মীকে দিয়ে ফোন রিসিভ করান। সচিব কথা বলতে রাজি না হওয়ায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ-নূর-এ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পরামর্শে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, অর্থাৎ কেন্দ্র সচিবকে ইতোমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে।
‘তার লিখিত বক্তব্য নিয়ে বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আনুষঙ্গিক যদি বোর্ড কোনো ব্যবস্থা নিতে চায়, তাহলে সেটি বোর্ড নেবে। নতুন কেন্দ্রসচিবকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। আগামীকাল থেকে তিনি কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।’
আরও পড়ুন:২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ জানুয়ারি। আর ব্যাচেলর অফ ডেন্টাল সার্জারিতে (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
সচিবালয়ে রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এমবিবিএস ও বিডিএস পরীক্ষা আয়োজনে এই তারিখ চূড়ান্ত করা হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা-শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মাতুব্বর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করেই আজকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১১০টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ৩৭টি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ৬৭টি।
এছাড়া একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ ও পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে হয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে। অপরদিকে অটোমেশন পদ্ধতিতে বেসরকারি মেডিক্যালগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হয়।
কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী নয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ওই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের সিনিয়র উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান ইউএনবিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণ মেধা তালিকায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ১০০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯৬ দশমিক ৫০ এবং সর্বনিম্ন প্রাপ্ত নম্বর ৬৯ দশমিক ৫০। এবার মোট আসনসংখ্যার দ্বিগুণ শিক্ষার্থীকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ও ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে (https://acas.edu.bd) পাওয়া যাবে।
ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণে আগ্রহী প্রার্থী অফেরতযোগ্য এক হাজার টাকা জমা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট পেজে ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর তারিখের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।
আগামী ২ নভেম্বর ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম ৪ নভেম্বর সোমবার দুপুর ১২টায় শুরু হচ্ছে। তা চলবে ২৫ নভেম্বর সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে চারটি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তা হলো- ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
সভায় ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
সময়সূচি অনুযায়ী ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর পরীক্ষা ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) ৪ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
‘চারুকলা ইউনিট’ ব্যতীত অন্য তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রগুলো হলো- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
মানবণ্টন
সভায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের MCQ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের MCQ এবং ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা নেয়া হবে। এই ইউনিটের MCQ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যান্য ইউনিটের MCQ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান ও উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।
আবেদনের যোগ্যতা
ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫, ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন:সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভুক্ত (জিএসটি) ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিতে ফিরছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। চার বছর পর আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সোমবার অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৭০তম সভায় (বিশেষ সভা) বিস্তারিত আলোচনা শেষে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি ও ইউনিটগুলো গঠন করা হয়েছে। পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
উপাচার্য জানান, পাঁচটি ইউনিট হলো A- ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের জন্য), B- ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদের জন্য), C- ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের জন্য), D-ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জন্য) এবং E- ইউনিট (চারুকলা অনুষদের জন্য)।
উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নিজস্ব, স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাবো। এজন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসও ঠিক হয়ে গেছে। মূলত আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতি স্থায়ী কোনো পদ্ধতি না। সেখানে আমাদের থাকার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। আমরা আমাদের পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাব।’
পরীক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন জানান, আগের মতো নিজস্ব পদ্ধতিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি দ্রুতই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে।
একাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থিত একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সে দাবির পরপ্রেক্ষিতে সভায় উপস্থিত সম্মিলিত সদস্যের সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫৬ বছর বয়সী আবদুল হান্নানকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জেলা শাখা। বুধবার বিকেলে পৌর এলাকার কোর্ট বাজার এলাকায় এক অনুষ্ঠানে তাকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি অহেদুর জামান শায়েমের সভাপতিত্বে ও জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অলিদ হাসানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির সিফাত, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোত্তাসিন বিশ্বাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫৬ বছর বয়সী আবদুল হান্নান শেষ বয়সে লেখাপাড়া করার উদ্যোগী হওয়ার কারণ তুলে ধরেন। শেষে আবদুল হান্নানের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
সিলেটে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে গত বছরের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই বেড়েছে। এবার সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৯, যা গত বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। গত বছর পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৬২।
এদিকে গত কয়েক বছর সিলেটে জিপিএ-৫ কম থাকলেও এ বছর রেকর্ড ৬ হাজার ৬৯৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক হাজার ৬৯৯ জন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ফল প্রকাশ করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জাকির আহমদ। পরে বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৮৩ হাজার ১৫৬ জন অংশ নিয়ে ৭১ হাজার ১২জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
সিলেট বোর্ডের অধীনে এইচএসসির ফলাফলে সব সূচকে এগিয়ে ছাত্রীরা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছেন মেয়েরা। এবার ৪৯ হাজার ৩৫৪ ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৪২ হাজার ৬৬১ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক শূন্য ৪৪। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৮২৯ জন।
এদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৮৫। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৩৩ হাজার ৮১১ জন ছাত্র। এর মধ্যে পাস করেছেন ২৮ হাজার ৩৫১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন দু’হাজার ৮৬৯ জন।
এবার এইচএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিছু বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। বাতিল পরীক্ষাগুলোর নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং করে)। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে ফলাফল প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ড।
আরও পড়ুন:বিগত বছরগুলোর মতো চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষাতেও পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে মেয়েরা।
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।
মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে জিপিএ ফাইভ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে। ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৮০ হাজার ৯৩৩ জন এবং ছাত্র ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন।
এ বছর পাসের হার কিছুটা কমেছে। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা এ বছর ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৮৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
সব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় একযোগে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়।
সাধারণ বোর্ডগুলোর মধ্যে এবার পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট। আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ।
সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে বরিশালে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে এ হার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
চলতি বছরে ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল, যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তা ছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সে ক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য