মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পদ থেকে ডা. ইউনুচ খাঁন তারিমকে অব্যহতি দিয়েছে আওয়ামী লীগপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)।
তিনি স্বাচিপের খুলনা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
খুলনা বিএমএ মিলনায়তনে বুধবার বিকেলে জরুরি বৈঠক থেকে ওই সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাহী কমিটি।
খুলনা জেলা স্বাচিপের যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ মুস্তাফী চৌধুরী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে খুলনা জেলা স্বাচিপের নির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক বসে। নির্বাহী কমিটি মনে করে তারিম প্রশ্নফাঁসের মতো গুরুতর অন্যায়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তার ওই অপরাধের দায় স্বাচিপ নিতে চায় না।
‘এ কারণেই আজকের (বুধবার) বৈঠক থেকে তারিমকে সংগঠনটির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠক থেকে।’
চিকিৎসক তারিম খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা জেলা শাখার নির্বাহী কমিটির সদস্য তিনি। ছাত্রাবস্থায় তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
ডা. তারিম খুলনার ‘থ্রি ডক্টরস’ নামের একটি মেডিক্যাল কলেজ ভর্তি কোচিং সেন্টারের উপদেষ্টা। প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি মেডিক্যাল ভর্তি কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। ওই কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট সকালে খুলনা নগরের বাইতিপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে তারিমকে আটক করে ঢাকা সিআইডির একটি দল। পরে তাঁকে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে তাকে একবার আটক করেছিল জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন:‘হাতের মুঠোয় স্বাস্থ্যসেবা’ স্লোগানকে সামনে রেখে ১০টির বেশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ১৫ হাজারের বেশি করপোরেট কর্মীকে সেবা দিচ্ছে ‘কন্যা’।
এরই ধারাবাহিকতায় বিজয় দিবসকে সামনে রেখে গ্রাহকদের জন্য ‘এক্সক্লুসিভ হেলথ কনসালট্যান্সি’র আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
হেলথ প্রো (Health Pro)-এর সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত সেশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিনা মূল্যে কন্যার গ্রাহকদের এক্সক্লুসিভ হেলথ কনসালট্যান্সি প্রদান।
সরকারি ছুটির দিন শনিবার দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে ২০টিরও বেশি করপোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে শতাধিক কর্মী অংশ নেন।
মেডিসিন ও অনকোলজি বিষয়ে দেশের এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে এ সেবা প্রদান করা হয়।
কন্যার প্রতিষ্ঠাতা কানিজ ফাতিমা বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য স্বাস্থ্যসেবাকে সহজে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া। সেই লক্ষ্যেই বিজয় দিবসকে সামনে রেখে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করি।
‘আমরা আশাবাদী আমাদের ভ্যালুড কাস্টমাররা আমাদের থেকে সহজেই স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন সার্ভিস নিয়ে উপকৃত হতে পারবেন।’
সেশনে অংশগ্রহণকারীরা এ ধরনের আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ যাতে আরও গ্রহণ করা হয়, সে বিষয়ে মতামত দেন।
কন্যার সঙ্গে সংযুক্ত আছে বাংলাদেশের বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক। তারা কন্যার সহায়তায় তাদের নিজস্ব গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন:সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৬২ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৬৫২ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শনিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৬২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৪ এবং ঢাকার বাইরের ২৬৮ জন।
চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ১৬ হাজার ৭৭৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ আট হাজার ৯১২ জন। ঢাকার বাইরে আরও দুই লাখ ৭ হাজার ৮৬১ জন আক্রান্ত হন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিন লাখ ১২ হাজার ৭০৯ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৭ হাজার ৩৪৭ আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ ৫ হাজার ৩৬২ জন রয়েছেন।
মাতৃত্বকালে প্রতিবছর দেশে ৬৫ হাজার শিশু এবং সাড়ে ৪ হাজার মা মারা যায় জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘এই সংখ্যা অনেক। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার আমরা অন্তত ৫ ভাগ মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমাতে সক্ষম হয়েছি। তবুও এখনও বছরে এত মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘তবে বিগত বিএনপি-জামাত সরকারের তুলনায় এ মৃত্যুহার এখন অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে ৯ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলন, ‘এখন আমাদের আগামীর লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার ৭০ শতাংশ কমাতে হবে ও শিশুমৃত্যু হার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে, মায়েদের হোম ডেলিভারির পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস ব্যবস্থায় কাজ করতে হবে। মা ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে আমরা ইতোমধ্যেই সারা দেশের ৫০০টি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে আরও ৪০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ২৪ ঘণ্টা সেবা চালু করা হবে।
‘বর্তমানে প্রাইভেট স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আশংকাজনক হারে সিজারিয়ান ব্যবস্থা বেড়ে গেছে’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘দেশে এখন সিজারিয়ান বাচ্চা জন্মের হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনা কারণেই অনেক মায়েরা সিজার করে বাচ্চা নিতে আগ্রহী থাকেন। এটি কাম্য নয়।
‘একবার সিজার করে বাচ্চা নিলে ওই মায়ের পরবর্তীতে বাচ্চা ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া সারা জীবনের জন্য অন্যান্য সমস্যা নিয়ে চলতে হতে পারে। এটি এভাবে চলতে পারে না। দেশে হোম ডেলিভারি এবং সিজার করে বাচ্চা নেয়া অর্ধেকে নামাতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামী ৯ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ৬ দিনব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম। উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য, অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক শিক্ষা প্রফেসর টিটু মিয়া, মহাপরিচালক নার্সিং, মহাপরিচালক নিপোর্ট এবং ইউএনএফপিএ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোকসসহ আরও অনেকে। এ ছাড়া জুম অনলাইনে দেশের ৮০টি উপজেলা হাসপাতাল স্বাস্থ্য প্রতিনিধি আলোচনা সভায় যুক্ত ছিলেন।
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৫৩৭ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৬৪৩ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৫৩৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১০৮ এবং ঢাকার বাইরের ৪২৯ জন।
চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ১৬ হাজার ১৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ আট হাজার ৭৫৪ জন। ঢাকার বাইরে আরও দুই লাখ ৭ হাজার ৪০৬ জন আক্রান্ত হন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিন লাখ ১১ হাজার ৯৪৬ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৭ হাজার ১৩০ আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ ৪ হাজার ৮১৬ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেক্টরে আমরা নানা রকম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, এইসব যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত। তা না হলে চিকিৎসা সেবায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।’
মঙ্গলবার দুপুরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-২০২৩ (কপ ২৮)-এর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এটিএসিএইচ কর্তৃক আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ: সাপ্লাই চেইন’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
বিগত দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন এবং জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি কেনা, সাপ্লাই এবং ব্যবহারের কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ব স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিনির্মাণে বিজ্ঞানসম্মত এবং যেসব যন্ত্রপাতি জলবায়ুর ক্ষতি করে না সেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি ডব্লিউএইচও এবং এটিএসিএইচকে জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি সাপ্লাই এবং হাসপাতাল বিনির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
এরপর তিনি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘স্যালিনিটি কিউসড বাই ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ইটস ইম্প্যাক্ট অন এনসিডিএস অ্যান্ড এসআরএইচআর’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির। তিনি তার উপস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন, বিশেষ করে, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা এবং এর প্রভাবে এসব এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া এর প্রভাবে গর্ভবতী মায়েদের নানা রকম সমস্যা হয়, যার কারণে উপকূলীয় এলাকায় মাতৃমৃত্যু বেড়ে যায় বলে জানান।
মন্ত্রী বলেন ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবর্তন, বিশেষ করে, লবণাক্ততা বেড়ে যায়। এর ফলে নানা ধরনের রোগ বৃদ্ধি পায়। এতে বিশেষ করে অসংক্রামক রোগ এবং মহিলা ও নারীদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে। তার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে।’
এক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিনির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাতের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে হবে।’
সে সময় এবং এসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সচিব স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশিদ এবং আরও অনেকে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুইডেন অ্যাম্বাসি, ঢাকা ফার্স্ট সেক্রেটারি ডেনিয়েল নোভাক। অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন মিস খুশবু পাওডেল, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, আইপাস, নেপাল এবং ডা. হুসাইন রশিদ, আঞ্চলিক উপদেষ্টা, ওয়াশ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ-২৮) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৬৯ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৬৩৯ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে মঙ্গলবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সােমবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৬৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১২৪ এবং ঢাকার বাইরের ৫৪৫ জন।
চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ১৫ হাজার ৫৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ আট হাজার ৫২৮ জন। ঢাকার বাইরে আরও দুই লাখ ছয় হাজার ৫২৯ জন আক্রান্ত হন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৭৫১ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৮২৫ আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ তিন হাজার ৯২৬ জন রয়েছেন।
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৮২ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৬৩৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে সোমবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৮২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৩৫ এবং ঢাকার বাইরের ৫৪৭ জন।
চলতি বছরের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ১৪ হাজার ৩৮৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ আট হাজার ৪০৪ জন। ঢাকার বাইরে আরও দুই লাখ ৫ হাজার ৯৮৪ জন আক্রান্ত হন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৬৭১ আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ তিন হাজার ৩৯৪ জন রয়েছেন।
মন্তব্য