× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
India will give a clear message to Sheikh Hasina about the election and candidature
google_news print-icon
দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন

নির্বাচন ও প্রার্থিতা নিয়ে শেখ হাসিনাকে ‘স্পষ্ট বার্তা’ দেবে ভারত

নির্বাচন-ও-প্রার্থিতা-নিয়ে-শেখ-হাসিনাকে-স্পষ্ট-বার্তা-দেবে-ভারত
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত
বার্তা দুটি হলো- বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে চীন ও ইসলামপন্থী নেতাদের বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ও জনপ্রিয় প্রার্থী বেছে নিতে হবে।

জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী মাসে দিল্লি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সফরে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ও প্রার্থিতা বাছাই নিয়ে শেখ হাসিনাকে দুটি ‘স্পষ্ট বার্তা’ দিতে পারে ভারত।

সোমবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

বার্তা দুটি হলো- বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে চীন ও ইসলামপন্থী নেতাদের বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ও জনপ্রিয় প্রার্থী বেছে নিতে হবে।

প্রতিবেদনে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সূত্র দিয়ে বলা হয়, এই বার্তা দুটি বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের বিষয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঐকমত্যের ইঙ্গিত বহন করে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত ও মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনা হয়েছে। ভারত এবং এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে এই বৈঠক হয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, অতীতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বড় মতপার্থক্য ছিল। কিন্তু এবার এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় ঐকমত্যের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশ দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জি-২০ সম্মেলনের জন্য দিল্লিতে এলে স্পষ্ট বার্তা দুটি জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিবেদনে ‍বলা হয়, যদিও শেখ হাসিনা বলে চলেছেন যে, তার সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনটিও ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। নির্বাচন দুটি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মান নিয়ে পশ্চিমাদের মনে সন্দেহের জন্ম দেয়।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কখনো কোনো ধরনের অভিযোগ করেনি নয়াদিল্লি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই প্রথম হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ৯৬ শতাংশের বেশি আসন পেয়েছিল।

ধারণা করা হয়, ভারত নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে ততক্ষণ চিন্তা করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত ফলাফল হাসিনার পক্ষে থাকে। কারণ নয়াদিল্লি প্রতিবেশীদের মধ্যে শেখ হাসিনাকেই সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র হিসেবে মনে করে।

প্রতিবেদনটিতে ঢাকার একজন স্ট্র্যাটেজিক বিশেষজ্ঞের মতামত উল্লেখ করে লেখা হয়, শেখ হাসিনা যে এখনো ভারতের প্রথম পছন্দ তাতে খুব বেশি সন্দেহ নেই। তবে গত কয়েক বছরে এই সম্পর্কে কিছু কৌশলগত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সে কারণে সেসব উদ্বেগের সমাধান না করা পর্যন্ত ভারত এবার শেখ হাসিনাকে নিজ কৌশলে এগোতে দেবে, এমন সম্ভাবনা নেই।

ইসলামি সন্ত্রাসীদের দমন থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য চলাচলের অনুমতি দেয়াসহ আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের অনেক স্বার্থই রক্ষা করেছে। কিন্তু চীনের সঙ্গে হাসিনা সরকারের আপাত নৈকট্য নয়াদিল্লির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়েছে। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ফ্যাক্টরটি ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একই জায়গায় নিয়ে এসেছে।

টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতীয় ও মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলো হলো সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে অর্থাৎ বাংলাদেশের ক্ষমতা কাঠামোতে চীনপন্থি এবং ইসলামপন্থিদের ব্যাপক উপস্থিতি নিয়ে উভয় পক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পরিস্থিতির আশু পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শেখ হাসিনার সফরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টি তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সম্মত হয়েছে যে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো দরকার নেই। যেহেতু বাংলাদেশের সাংবিধানিক কাঠামোতে এমন কোনো বিধান নেই, যদিও তা বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর প্রধান দাবি।

এ ছাড়া উভয় পক্ষ সম্পূর্ণ ঐকমত্য হয়েছে যে, হাসিনা সরকারকে দুর্নীতি এবং ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে, পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি সমস্যার সমাধান করতে হবে, যা সাধারণ বাংলাদেশিদের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা তাদের মার্কিন প্রতিপক্ষকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রাথমিক এজেন্ডা তা বিএনপি-জামায়াত জোটকে ক্ষমতায় আনবে। তবে সেটি করলে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে ভারতের ওপর নিরাপত্তা হুমকি বৃদ্ধি পাবে।

আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে ভারতীয় পক্ষ জোর আপত্তি তুলে ধরেছে। কারণ ভারত জামায়াতে ইসলামীকে একটি মৌলবাদী সংগঠন বলেই মনে করে। নয়াদিল্লির প্রতিনিধিরা মার্কিন কর্মকর্তাদের বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর ভিসানীতি আরোপের আগে তাদের ভারতের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

প্রতিবেদনটিতে ঢাকার সূত্র থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করবে। রাজনীতিতে অনাগ্রহী তরুণ প্রজন্ম জাতি গঠন প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে উৎসাহিত হবে। দলকানাদের বাদ দিয়ে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করবে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ওই সূত্র আরও বলে, এখন প্রশ্ন হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তে শেখ হাসিনার একরোখা যে মনোভাব, তাতে তিনি কোনো পরামর্শ গ্রহণ করবেন কি না।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে ভারত: দ্য হিন্দু
যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের কিছু বলাটা বাংলাদেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ নয়: কাদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
I went to Bangla the artist of singing in Bengal Pratul Mukhopadhyay

চলে গেলেন ‌‘আমি বাংলায় গান গাই’য়ের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়

চলে গেলেন ‌‘আমি বাংলায় গান গাই’য়ের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। ছবি: বেঙ্গল ফাউন্ডেশন
প্রতুলের গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান হলো ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার গানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। মমতার তত্ত্বাবধানেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।

‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের প্রখ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই, যার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শনিবার তার মৃত্যু হয়।

গত সপ্তাহ থেকেই এ শিল্পী হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই স্নায়ু এবং নাক-কান ও গলা বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা হয় তার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, প্রতুলের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। দ্রুত তাকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে শিল্পীর ফুসফুসেও সংক্রমণ দেখা দেয়। দ্রুতই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।

প্রতুলের গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান হলো ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার গানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। মমতার তত্ত্বাবধানেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।

বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বাবা ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। শৈশব থেকেই গান লিখে তাতে সুর দিয়ে গাওয়ার ঝোঁক ছিল তার।

প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে পাদপ্রদীপের আলোয় আনে তার গাওয়া ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এ ছাড়া সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবির নেপথ্য শিল্পী ছিলেন তিনি।

তার মতে, সৃষ্টির মুহূর্তে লেখক-শিল্পীকে একা হতে হয়। তারপর সেই সৃষ্টিকে যদি মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যায়, কেবল তাহলেই সেই একাকিত্বের সার্থকতা। সেই একক সাধনা তখন সকলের হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-সৌদি শ্রম ও অভিবাসন সম্পর্ক জোরদার হবে: আসিফ নজরুল
বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিকল্পনা তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির
তিনজনকে বাদ দিয়ে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের নতুন তালিকা
পরিবেশ সুরক্ষার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু অ্যাক্ট বাংলাদেশের
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বাংলাদেশের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
5 people killed in the explosion in Pakistan

পাকিস্তানে বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত

পাকিস্তানে বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় হারনাই জেলায় বিস্ফোরণস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। ছবি: এএফপি
জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা শাহজাদ জাহরি এএফপিকে জানান, হারনাই জেলায় এ বোমা বিস্ফোরণে ১০ খনিশ্রমিক নিহত হন।

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় হারনাই জেলায় শুক্রবার শ্রমিক বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।

দেশটির কোয়েটা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা শাহজাদ জাহরি এএফপিকে জানান, হারনাই জেলায় এ বোমা বিস্ফোরণে ১০ খনিশ্রমিক নিহত হন।

একই জেলার আরেক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সেলিম তারিন এএফপিকে বলেন, ‘শ্রমিকরা কাজের জায়গা থেকে বাজারে কেনাকাটার জন্য যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই তাদের গাড়িটি আক্রমণের শিকার হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি ছিল একটি আইইডি বিস্ফোরণ।আমরা হামলার তদন্ত করছি।’

হারনাই দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি জেলা।

কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে বেলুচ লিবারেশন আর্মি প্রায়ই অন্যান্য প্রদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বা পাকিস্তানিদের, বিশেষ করে বেলুচিস্তানের পাঞ্জাবিদের বিরুদ্ধে মারাত্মক হামলার দাবি করে।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০
বাসায় গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ জাতীয় কবির নাতি
পাকিস্তানে ফিরতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’ মালালা
পাকিস্তান থেকে এবার দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে জাহাজ
একাত্তরের অমীমাংসিত সমস্যা মীমাংসা করুন: শাহবাজকে ড. ইউনূস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
30 killed in army operation in Pakistan

পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০

পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০ সশস্ত্র প্রহরায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: ইউএনবি
অভিযানে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনাবাহিনীর আলাদা তিন অভিযানে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী প্রদেশের লাক্কি মারওয়াত, কারাক ও খাইবার জেলায় অভিযান চালায়।

এতে আরও বিবৃতিতে বলা হয়, লাক্কি মারওয়াতে অভিযানে ১৮ সন্ত্রাসী নিহত ও ছয়জন আহত হন। কারাক জেলায় আরও ৮ সন্ত্রাসী নিহত হন।

সেনাবাহিনী আরও বলেছে, তাদের তৃতীয় অভিযানটিতে গোষ্ঠীটির নেতাসহ ৪ সন্ত্রাসী নিহত ও দুজন আহত হন।

অভিযানে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

এলাকায় অন্য সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি নির্মূল করতে একটি ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানো হচ্ছে।

সেনাবাহিনী বলেছে, দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিপদ নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।

আরও পড়ুন:
ইমরান খান ও বুশরা বিবির নামে আরও ৮ মামলা
পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত বেড়ে ৮৮
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষ, নিহত ৩৩
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ৬০ দিন বাড়ল
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে যান চলাচল সীমিত থাকবে সেনানিবাসে   

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The idea of ​​murder after the rape of Bangladeshi women in India

ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধারণা পুলিশের

ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধারণা পুলিশের প্রতীকী ছবি
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাণ হারানো নারী বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন।

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে ২৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে।

তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

পুলিশ জানায়, একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহকর্মীর কাজ করতেন ওই নারী। বৃহস্পতিবার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।

বাহিনীটি আরও জানায়, শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা একটি নির্জন এলাকায় নারীর মৃতদেহ দেখতে পান। তারা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেন।

কর্ণাটক থেকে পিটিআই শনিবার এ খবর জানায়।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাণ হারানো নারী বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন।

তার কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তবে তার স্বামীর বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি মেডিক্যাল ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।

ওই নারী বৃহস্পতিবার তার সহকর্মীকে বলেছিলেন, তার কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে এবং দেরি হতে পারে। তাই সহকর্মীকে বলেন তাকে ছাড়াই চলে যেতে। তবে বাড়ি ফিরতে নারীর দেরি হলে তার স্বামী রামমূর্তি নগর থানায় অভিযোগ করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী স্বেচ্ছায় কোনো নির্জন জায়গায় গিয়েছিলেন পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা করার জন্য। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার মাথায় গুরুতর জখমের চিহ্ন ছিল।

তথ্য পাওয়ার পর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পূর্ব বিভাগ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসিপি) দেবরাজ।

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
বাংলাদেশের যুবশক্তিকে কাজে লাগাতে নরওয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
সীমান্তে বেড়া নির্মাণ বন্ধে বাধ্য হয়েছে ভারত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
খুলনার সাবেক কাউন্সিলর হত্যা: আরেক সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ী হত্যা: জড়িতরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
12 Maoists killed in India

ভারতে ১২ মাওবাদীকে হত্যা

ভারতে ১২ মাওবাদীকে হত্যা অস্ত্র হাতে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য। ছবি: এএফপি
নয়াদিল্লি মাওবাদীদের দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতা দমনে পদক্ষেপ জোরদার করেছে।

ভারতের মধ্যাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১২ মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।

নয়াদিল্লি মাওবাদীদের দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতা দমনে পদক্ষেপ জোরদার করেছে। শুক্রবার পুলিশ এই খবর জানায়।

কয়েক দশকের মাওবাদী সহিংসতায় ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হন।

বিদ্রোহীদের দাবি, তারা প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।

সহিংসতার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছত্রিশগড়ের বিজাপুর জেলার বন-জঙ্গলে বৃহস্পতিবার এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সুন্দররাজ পি. এএফপিকে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১২ মাওবাদী নিহত হয়েছে।’

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দুই শতাধিক মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হন।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সরকার আশা করছে ২০২৬ সালের মধ্যে বিদ্রোহীদের দমন করা সম্ভব হবে।

বিদ্রোহীরা গত কয়েক বছরে সরকারি সেনাদের টার্গেট করে বেশ কিছু প্রাণঘাতী হামলা চালায়।

চলতি মাসের গোডার দিকে রাস্তায় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ৯ ভারতীয় সেনা নিহত হন।

আরও পড়ুন:
মেহেরপুর সীমান্তে ১৮ স্বর্ণের বারসহ ভারতীয় নাগরিক আটক
সীমান্তে বেড়া নির্মাণ বন্ধে বাধ্য হয়েছে ভারত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিচারকদের ভারতে প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত বাতিল
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ফের মন্তব্যহীন দিল্লি
বাংলাদেশে অবৈধ বসবাস করছেন কমপক্ষে ২৭ হাজার ভারতীয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Saif Ali who was stabbed at his home underwent surgery at the hospital

নিজ বাসায় ছুরিকাহত সাইফ আলী, হাসপাতালে অস্ত্রোপচার

নিজ বাসায় ছুরিকাহত সাইফ আলী, হাসপাতালে অস্ত্রোপচার বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান। ছবি: ইউএনবি
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাত আড়াইটায় একজন অনুপ্রবেশকারী বাসায় ঢুকে সাইফ আলীকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার চলছে।

ভারতের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় অনুপ্রবেশকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান।

স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাত আড়াইটায় একজন অনুপ্রবেশকারী বাসায় ঢুকে সাইফ আলীকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার চলছে।

হাসপাতালকর্মীরা বলছেন, সাইফ আলী খান এখন বিপদমুক্ত। রাতে তার নিউরো সার্জারি করা হয়েছে। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জারি চলছে।

এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় একটি এজাহার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, সাইফ আলী যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন একজন অনুপ্রবেশকারী চুপিসারে তার বাসায় ঢোকেন। এ সময়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাইফের হাতাহাতি হয়।

এরপর সাইফ আলী খানকে ছয়বারের বেশি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান অনুপ্রবেশকারী।

এক বিবৃতিতে লীলাবতী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ছয়টি আঘাতের মধ্যে দুটি তার মেরুদণ্ডের কাছে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।

এরই মধ্যে তার বাসার তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ও ভক্তদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে সাইফ আলী খান টিম।

এতে বলা হয়, ‌‘এটি এখন পুলিশের কাজ। আমরা আপনাদের হালানাগাদ তথ্য জানিয়ে দেব।’

কারিনা কাপুর খান টিমও একই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন।’

আরও পড়ুন:
হাজারীবাগে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে অটোরিকশার চালক নিহত
গাইবান্ধায় বিদ্যালয়ে ছুরি হাতে বহিরাগত নারী, ৫ শিক্ষার্থী আহত
ফুফাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামাতো ভাইকে হত্যার অভিযোগ
‘জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে’ ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আটক ২
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, অপূর্বর পাশে সহকর্মীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Malala is overwhelmed and happy to return to Pakistan

পাকিস্তানে ফিরতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’ মালালা

পাকিস্তানে ফিরতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’ মালালা ইসলামি বিশ্বে নারী শিক্ষাবিষয়ক বিশ্বব্যাপী এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মালালা ইউসুফজাই এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। ছবি: এএফপি
সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম এক্সে শুক্রবার মালালা বলেন, ‘আমি সকল মেয়ের স্কুলে যাওয়ার অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলব। আফগান নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কেন তালেবান নেতাদের জবাবদিহি করতে হবে, সে ব্যাপারেও বলব।'

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই শনিবার বলেছেন, তিনি তার জন্মভূমি পাকিস্তানে ফিরে আসতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’।

ইসলামি বিশ্বে নারী শিক্ষাবিষয়ক বিশ্বব্যাপী এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।

ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ২০১২ সালে স্কুলছাত্রী মালালাকে পাকিস্তানি তালেবানরা গুলি করে এবং এরপর তিনি বিদেশে চলে যান। বিদেশে যাওয়ার পর মাত্র কয়েকবার তিনি দেশে আসেন।

রাজধানী ইসলামাবাদে সম্মেলনে পৌঁছে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে ফিরে আসতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত, অভিভূত ও আনন্দিত।’

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দুই দিনব্যাপী এ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন শনিবার সকালে। এতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা একত্রিত হবেন।

স্থানীয় সময় রোববার ইউসুফজাইয়ের সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম এক্সে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমি সকল মেয়ের স্কুলে যাওয়ার অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলব। আফগান নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কেন তালেবান নেতাদের জবাবদিহি করতে হবে, সে ব্যাপারেও বলব।'

দেশটির শিক্ষামন্ত্রী খালিদ মকবুল সিদ্দিকী এএফপিকে জানান, আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে এ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তালেবান ইসলামাবাদের এ আমন্ত্রণে কোনো সাড়া দেয়নি।

আফগানিস্তান বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে মেয়ে ও নারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেতে বাধা দেওয়া হয়। ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবান সরকার আফগানিস্তানে কঠোরভাবে ইসলামী আইন আরোপ করেছে। জাতিসংঘ একে ‘লিঙ্গ বর্ণবাদ’ বলে অভিহিত করেছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, পাকিস্তান তীব্র শিক্ষা সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। দেশটিতে দুই কোটি ৬০ লাখের বেশি শিশু স্কুলের বাইরে রয়েছে। তাদের অধিকাংশই দারিদ্র্যের কারণে স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

প্রত্যন্ত সোয়াত উপত্যকার একটি স্কুল বাসে ২০১২ সালে পাকিস্তান তালেবান জঙ্গিদের হামলার পর ইউসুফজাই বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপর তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়।

পরবর্তী সময়ে তিনি নারী শিক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রবক্তা হয়ে ওঠেন। ১৭ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হন তিনি।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তানে রাস্তায় বোমা বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ নিহত সাত
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১০ পুলিশ নিহত
পাকিস্তানে বন্দুকধারীর হামলায় ২০ খনি শ্রমিক নিহত
বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও চামড়া খাতে বিনিয়োগ করতে চায় পাকিস্তান
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস বাংলাদেশের

মন্তব্য

p
উপরে