× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Jamaat will not get permission for Saeedees funeral in Dhaka
google_news print-icon

ঢাকায় সাঈদীর গায়েবি জানাজার অনুমতি পাবে না জামায়াত

ঢাকায়-সাঈদীর-গায়েবি-জানাজার-অনুমতি-পাবে-না-জামায়াত
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সোমবার রাতে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী হাসপাতালে মারা যান। তার মরদেহ নিয়ে জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। জামাত শিবির কর্মীরা কয়েকজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করে।’

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহকে কেন্দ্র করে তাণ্ডব চালিয়েছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। তাই তাদের উদ্যোগে গায়েবি জানাজার আয়োজনের অনুমতি দেয়া হবে না।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টু রোডে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু এবং পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সোমবার রাতে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী হাসপাতালে মারা যান। তার মরদেহ নিয়ে জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। জামাত শিবির কর্মীরা কয়েকজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করে।’

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘ফজরের নামাজের পর জামাত-শিবির নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল এলাকা দখল করে নেয়। ফেসবুকে লাইভ দিয়ে সবাইকে সেখানে ডেকে আনে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সরে যেতে বললে তারা তোয়াক্কা করেনি। পরে বাধ্য হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সীমিত শক্তি প্রয়োগ করে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সোমবার রাতের হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বুধবার তাদেরকে গায়েবি জানাজার অনুমতি দেয়া হবে না।

এর আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম ইমন সোমবার রাত ২টা ৩৫ মিনিটে জানান, সাঈদীর কফিন পিরোজপুর যাচ্ছে। ১৬ তারিখ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে জানাজা হবে।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সারা রাত সাঈদীর মরদেহ হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির ও তার স্বজনরা নাটক করেছে এবং তাণ্ডব চালিয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তার দুই ছেলেকে জানায়। পরে তার দুই ছেলে মরদেহ পিরোজপুর নেওয়ার জন্য কারাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে।

তিনি বলেন, এর মধ্যে জেল কর্তৃপক্ষ পক্ষ মরদেহের ময়নাতদন্ত করার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে। সেই অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে আসা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট এসে মরদেহের সুরতহাল সম্পূর্ণ করেন। যখন ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হবে সেই মুহূর্তে তার ছেলেরা জোর দাবি জানায়, তারা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নিয়ে যেতে চায়। এ বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের অনেক সময় ক্ষেপণ হয়। পরে রাত একটা কি দেড়টার দিকে তারা জেল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পায়।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এর পর মরদেহের গোসল শেষে পরিবার প্রস্তুতি নেয় মরদেহ পিরোজপুর নিয়ে যাওয়ার। তখন বিএসএমএমইউ ও শাহবাগে আগে থেকে অবস্থান নেয়া কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির কর্মী দাবি তোলে জানাজা পড়ে মরদেহ নিতে চায়। তখন আমরা তাদের বলি আপনারা এখানে জানাজা পড়তে পারেন। আমরা তাদের বলি মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস আমাদের ব্যস্ততা আছে, আপনারা এখন জানাজা পড়ে মরদেহ নিয়ে যেতে পারেন। রাত সোয়া ২টার দিকে তারা জানাজার পরিবর্তে মোনাজাত করে আধা ঘণ্টা। তারা বলে আমরা জানাজা পড়ব না মোনাজাত করেছি, পরে আমরা গায়েবানা জানাজা পড়ব। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা মোনাজাত করে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, কিন্তু যখন মরদেহ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়, তখন হাজার হাজার জামায়াত-শিবির লাশবাহী গাড়ির সামনে শোয়ে পড়ে। তারা কোনো মতে এই মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যেতে দেবে না। এসময় লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে থাকা পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে জামায়াত-শিবির। সঙ্গে তারা গাড়ি ভাঙচুরও শুরু করে। এই হামলায় ডিসি রমনাসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র অফিসার আহত হন। তারা পুলিশের ৪-৫ টি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং দুইটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা ধৈর্য সহকারে এই তান্ডব সহ্য করি যে তারা একটা মরদেহ নিয়ে যেতে চাচ্ছে নিয়ে যাক। তার পরও আমরা কোনো শক্তি প্রয়োগ করিনি।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ফজরের নামাজের পরে তাদের আবারও অনুমতি দেয়া হলো জানাজা পড়ার। কিন্তু ফজরের নামাজের পরে তারা আমাদের অফিসারদের বের করে বিএসএমএমইউ দখলে নিয়ে নিলো। তারা মরদেহ পিরোজপুর নিতে দেবে না। এর মধ্যে তারা ফেসবুকে প্রচার করতে শুরু করলো সারা দেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের শাহবাগে আসার জন্য। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংকায় তাদের ওপরে আমরা অত্যন্ত সীমিত আকারে শক্তি প্রয়োগ করি। আমরা টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিএসএমএমইউ মুক্ত করে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। এইটা সীমিত শক্তি প্রয়োগ করে করা হয়েছে, কারণ হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনা করে প্রথম থেকে শক্তি প্রয়োগে আমরা বিরত ছিলাম কিন্তু তাদের তাণ্ডবে বাধ্য হয়ে আমরা সীমিত শক্তি প্রয়োগ করি। ইতমধ্যে পিরোজপুর মরদেহ চলে গেছে, দাফন কাজ সম্পূর্ণ করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।

পরিস্থিতি যে এমন ভয়াবহ হবে পুলিশ তা আগে কেন জানতে পারেনি, এইটা গোয়েন্দা ব্যর্থতা কি না- জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমারা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিলাম জামায়াত- শিবিরের নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন। সাঈদীর দুই ছেলে প্রথম থেকে আমাদের আশ্বস্ত করেছিল আমাদের বাবার মরদেহ আমরা নিয়ে যাব কোন ধরনের সমস্যা হবে না আমরা যেভাবে বলবো এখানে সেভাবেই হবে। আমরা তাদের উপর বিশ্বাস করে প্রথম থেকে কোন প্রকার শক্তি প্রয়োগ করি নাই।

তিনি বলেন, যেহেতু তারা তাদের নেতার মরদহ নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউবা মৃত্যুর সংবাদ শুনে আবার অনেকে মরদেহ দেখার জন্য এসেছেন তাই মানবিক কারণে আমরা প্রথম থেকে কোনো ধরনের অ্যাকশন নেইনি। কিন্তু জামায়াত-শিবির যে তাদের চরিত্রটা পাল্টাই নাই এটা তারা আবারও প্রমাণ করল। বিগত ২০১২-১৩ সালে তারা যেভাবে পুলিশকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা, হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে পুলিশের মাথা থেতলিয়ে দেওয়ার মত চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ তারা আবারও করল।

এর আগে গুজব ছড়ানো হয়েছে সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে। তেমনি ভূমিকম্প নিয়ে সারা দেশে গুজব ছড়ানো হয়েছে এ ক্ষেত্রে ডিএমপির সাইবার সেল সক্রিয় আছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমাদের সাইবার ইউনিট সক্রিয় আছে। তারা যে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছিল সেই তত্ত্ব আমরা প্রতিনিয়ত পাচ্ছিলাম। এ ছাড়া সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীদের জোর হওয়ার বিষয়ে যেসব প্রচারণা ফেসবুকে ছড়িয়েছিলো সেইসব তথ্যও আমরা পাচ্ছিলাম। সেই প্রেক্ষাপটে ভোররাতে আমাদের হালকা শক্তি প্রয়োগ করে তাদের ছাত্র ভঙ্গ করতে হয়েছে। কারণ সাইবার ওয়ার্ল্ডে তারা যেভাবে তৎপর ছিল আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে তারা সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীদের জোর করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

জামায়াত-শিবির গায়েবানা জানাজা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এই গায়েবানা জানাজা কেন্দ্র করে ডিএমপির কোন প্রস্তুতি আছে কি না আর গোয়েন্দা তথ্য আছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তারা রাতে যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারপর গায়েবানা জানাজার করতে দেয়ার অনুমতি দেয়া হবে না। আমরা এই অনুমতি তাদের দেব না।

আরও পড়ুন:
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না: ডিএমপি কমিশনার
শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে না জামায়াত
সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কার্যালয়ে জামায়াত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Against illegal aliens The ministry issued a warning

অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা জারি

অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে 
মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা জারি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বা কর্মরত আছেন, তাদের অবিলম্বে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জনের অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্কতা জারি করেছে।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, অনেক ভিনদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন এবং অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।’

যেসব বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বা কর্মরত আছেন, তাদের অবিলম্বে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জনের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর/প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
অবৈধ বিদেশিদের যোগাযোগের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
বাংলাদেশিদের পাঁচ দেশে যেতে সতর্কতা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shami Kaiser bail

শমী কায়সারের জামিন

শমী কায়সারের জামিন শমী কায়সার। ফাইল ছবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানায় একটি মামলা হয়। নিম্ন আদালত ওই মামলায় শমী কায়সারের তার জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করলে ‌ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

অভিনেত্রী শমী কায়সারকে একটি মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। ই-কমার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক এই সভাপতিকে তিন মাসের জামিন দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম হামিদুল মেজবাহ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। সে মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিম্ন আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে ‌ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন শমি কায়সার।

আরও পড়ুন:
আইনজীবী জেড আই খান পান্নার আগাম জামিন
জামিন পেলেন এম এ মান্নান, আদালতে হট্টগোল
ছয় মামলায় সাবের চৌধুরীর জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
মাহমুদুর রহমানের জামিন, ‘বাধা নেই কারামুক্তিতে’
কিবরিয়া হত্যাসহ চার মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরের জামিন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Money laundering case Tariq Mamuns 7 year sentence suspended

অর্থ পাচার মামলা: তারেক রহমানের দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত

অর্থ পাচার মামলা: তারেক রহমানের দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। কোলাজ: ইউএনবি
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার ইমেজকে ক্ষুণ্ন করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাত বছরের সাজা দিয়েছিলেন। আজকে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আমাদের লিভ দিয়েছেন (আপিলের জন্য অনুমতি)। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক ও আমাদের আপিলের সারসংক্ষেপ দিতে বলেছেন।’

অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে এ মামলায় তাদের দেয়া সাত বছরের দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার ইমেজকে ক্ষুণ্ন করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাত বছরের সাজা দিয়েছিলেন।

‘আজকে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আমাদের লিভ দিয়েছেন (আপিলের জন্য অনুমতি)। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক ও আমাদের আপিলের সারসংক্ষেপ দিতে বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাত বছরের দণ্ড স্থগিত করেছেন। এই মামলায় দুইজন আসামি। দুইজনের ক্ষেত্রেই সাজা স্থগিত করা হয়েছে।’

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর মামলাটি করে দুদক। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে অভিযোগপত্রের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য একটি নির্মাণ কোম্পানির চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়।

এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন।

এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয় আদালত।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন।

দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন। আজ এই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ষড়যন্ত্র চলছে, অনেক অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে: তারেক রহমান
দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের
সিলেটে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুই মামলা খারিজ
দেশবাসী স্বৈরাচার বিদায় করেছে, এবার দেশ গড়ার পালা: তারেক রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The new chairman of the ACC is Dr Abdul Momen

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন দুদকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার এ পদে তাকে নিয়োগ দেন। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার এ পদে তাকে নিয়োগ দেন।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিয়া আলী আকবর আজিজি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদকে দুদকের কমিশনার হিসেবে নিয়োগের কথা জানানো হয়।

গত ২৯ অক্টোবর দুদকের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং দুই কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছাম্মৎ আছিয়া খাতুন। এর পর থেকে দুদকের চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার পদ খালি ছিল।

আরও পড়ুন:
বিদ্যমান আইনেই দুদক পুনর্গঠনের চিন্তা
দুদকের মামলা থেকে জয়নাল আবদীন ফারুককে খালাস
দুদক সার্চ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন
দুদকের চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার পদত্যাগ করেছেন
বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি দেয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে দুদক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rumors of resignation of senior home secretary to become ACC chairman 

স্বরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ সচিবের পদত্যাগ, দুদক চেয়ারম্যান হওয়ার গুঞ্জন 

স্বরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ সচিবের পদত্যাগ, দুদক চেয়ারম্যান হওয়ার গুঞ্জন  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সদ্য সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ছবি: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গত ৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবদুল মোমেন। সোমবার তার পদত্যাগপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয় এবং তা গ্রহণ করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন পদত্যাগ করেছেন।

গত ৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবদুল মোমেন। সোমবার তার পদত্যাগপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয় এবং তা গ্রহণ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে মঙ্গলবার এসব তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, পদত্যাগের কারণ আবদুল মোমেন ‘ব্যক্তিগত’ বলে উল্লেখ করেছেন, তবে ১৯৮২ সালের বিশেষ বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আবদুল মোমেনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হতে পারে।

দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) আছিয়া খাতুন গত ২৯ অক্টোবর পদত্যাগ করেন।

পরে দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ দিতে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে সরকার। এ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই আবদুল মোমেনকে দুদকের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হতে পারে বলে কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর গত ১৭ আগস্ট আবদুল মোমেনকে দুই বছরের চুক্তিতে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

পরের দিন তাকে জ্যেষ্ঠ সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। গত ১ অক্টোবর থেকে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

আবদুল মোমেন ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও বিমানের এমডি ছিলেন।

তার আগে নব্বইয়ের দশকে তিনি ছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস। ২০০৯ সালে অতিরিক্ত সচিব থাকা অবস্থায় তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আরও পড়ুন:
ডিসেম্বরের মধ্যেই ২৫ ক্যাডারের উপসচিবদের পদোন্নতির চিন্তা
সিভিল সার্ভিস থেকে ‘ক্যাডার’ শব্দ বাদের সুপারিশ যাচ্ছে
যুগ্মসচিব নাদিরা সুলতানার শাস্তি দাবি সচিবালয় কর্মচারীদের 
সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
গণমাধ্যমে ১৬ বছরে কার কী ভূমিকা ছিল তা ধরে পদক্ষেপ নেয়া হবে: প্রেস সচিব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jai Bangla National Slogan announcement decision postponed

‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত

‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ফাইল ছবি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আপিলের অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

‘জয় বাংলা’কে ২০২০ সালের ১০ মার্চ জাতীয় স্লোগান করার ওই রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলে, ‘জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সাথে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ’

আদালত আরও বলে, ‘আবেদনকারী সংবিধানের ৩ ও ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছেন। এটা এ আদালতের এখতিয়ার-বহির্ভূত। কারণ কোনো আইন প্রণয়ন করা এবং সংবিধান সংশোধন করার একমাত্র অধিকার জাতীয় সংসদের।’

তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ রুলের সমর্থনে হলফনামা দিয়েছে উল্লেখ করে আদালত রায়ে বলে, আইন সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করায় একমত পোষণ করেছেন। এরপর আদালত রায়ের অংশ ঘোষণা করে।

আদেশে আদালত বলে, ‘ক. আমরা ঘোষণা করছি যে, জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।

খ. সকল জাতীয় দিবসগুলোতে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারী এবং রাষ্ট্রীয় সব কর্মকর্তা সরকারি অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারণ যেন করেন, সে জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

গ. সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি সমাপ্তির পর ছাত্র-শিক্ষকরা যেন জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারণ করেন, তার জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।’

আদালতের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে দাখিলে নির্দেশ দেয়া হয়।

২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।

রুলে ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। পরে ৫ ডিসেম্বর থেকে এ রুলের শুনানি শুরু হয়। এরপর হাইকোর্ট রায় দেয়।

সম্প্রতি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আরও পড়ুন:
‘জয়বাংলা’ স্লোগান, ডিসি ও সিভিল সার্জনের অপসারণ দাবি
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেল ১২ সংগঠন
জাতীয় স্লোগানে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ চেয়ে রিট
‘জয় বাংলা স্লোগান বঙ্গবন্ধু নেন কবি নজরুল থেকে’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In 15 years 90000 recruitments in the police are political
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার

পুলিশে ১৫ বছরে ৯০ হাজার নিয়োগ রাজনৈতিক পরিচয়ে

পুলিশে ১৫ বছরে ৯০ হাজার নিয়োগ রাজনৈতিক পরিচয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: সংগৃহীত
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে প্রার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।’

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে গত ১৫ বছরে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্যকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়ে। এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চাকরি প্রার্থীর চৌদ্দ গোষ্ঠীর রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে দেখা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।

রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে তাদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ প্রার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না গো হোম (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

ডিএমপির এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে, তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহারা দিয়েছেন। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্যবিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেন।’

ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুলসংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরের ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। তবে ট্রাফিকে শৃঙ্খলা ফেরাতে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। বিগত সরকার অটোরিকশার অনুমতি দেয়ার কারণেই বাড়ছে অটোর সংখ্যা। অচিরেই এটি কমানো না গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে নগরবাসীকে। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছি।’

রাজধানীতে ইদানীং ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নগরবাসীর কাছ থেকে ছিনতাইয়ের অনেক অভিযোগ আসছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে যাতে রোধ করা সম্ভব হয়।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ওই সময়ের অপেশাদার আচরণের কারণে বদলি ও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি
বলপ্রয়োগ: পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি ৭১.৫% মানুষের
‘মামলা নিতে না চাইলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত’

মন্তব্য

p
উপরে