বৃহস্পতিবার প্রবাসী স্বজনের মরদেহ আনতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন শরীয়তপুরের বেলায়েত হোসেন ইমরোজ। চলন্ত বাসে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সামনে থাকা অবস্থায় জানতে পারেন বিসিএসের ফল প্রাকাশের খবর।
নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে শিক্ষা ক্যাডারের দ্বিতীয় স্থানে নিজের রোল নম্বর খুঁজে পেয়ে নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। একাধিক সূত্র থেকে নিজের সফলতার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রথমেই বাবা-মাকে জানান এ আনন্দের সংবাদটি।
সফলতার এ মুহূর্তটি মোটেও মসৃণ পথে হেঁটে আসেনি ইমরোজের জীবনে। তার বাবা একজন চা বিক্রেতা। বাবার চায়ের দোকানেই চা বিক্রি করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপরা করতে হয়েছে তাকে। আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়ালেখা করলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার খরচ কোথা থেকে আসবে- তা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় ইমরোজের জীবনে। খবর পেয়ে এগিয়ে আসেন বিনোদপুর মৌলভীকান্দি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকরা। বিনা খরচে ইমরোজের লেখাপরার দায়িত্ব নেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
রাত ১০টা পর্যন্ত চা বিক্রির পাশাপাশি চালিয়ে যেতেন নিজের পড়ালেখা। অনেক সময় রাতে দোকানেই ঘুমাতে হতো তাকে। এভাবেই চলতে থাকে তার শিক্ষাজীবন।
অষ্টম শ্রেণি পাশের সময় বোনের বিয়ে হওয়ায় অর্থাভাবে পড়ালেখা বন্ধের যোগাড় হয়েছিল ইমরোজের। কিন্তু মায়ের ইচ্ছায় হাজারো বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও পড়ালেখা চালিয়ে যান তিনি। এর এক পর্যায়ে ২০১২ সালের দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। ভর্তি হন শরীয়তপুর সরকারি কলেজে।
পড়ালোখার খরচ যোগাতে তখন অন্যের বাড়িতে টিউশনি শুরু করেন ইমরোজ। ২০১৪ সালে এইচএসসিতেও শরীয়তপুর সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)।
২০১৯ সালে ঢাবি থেকে দর্শনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। এরপর শুরু করেন বিসিএসের প্রস্তুতি। প্রথমবার ৪০তম বিসিএসে সফলতা না আসলেও ৪১তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হন ইমরোজ।
ইমরোজ জানান, ছেটোবেলা থেকেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। লেখাপড়ার আগ্রহ থাকলেও আর্থিক সমস্যার কারণে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। বাবার চায়ের দোকানের পাশাপাশি সময় দিতে হতো কৃষিকাজেও। বিসিএস প্রস্তুতির মধ্যে করোনায় সব বন্ধ ছিল। এ সময় স্ত্রীর সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সমাজের বঞ্চিত মানুষের ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করতে চাই আমি। আমার মতো এমন কষ্ট করে যেন কাউকে পড়ালেখা করতে না হয়, সে বিষয়ে সবসময় কাজ করতে চাই।’
ইমরোজের মা হালিমা বেগম বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমার ছেলে বিসিএস পাশ করছে। আমাগো সকল কষ্ট ভুইলা গেছি।’
বাবা শমছু তালুকদার বলেন, ‘পোলার উছিলায় আল্লাহ চাইলে সুখের মুখ দেখমু। সবার কাছে আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই।’
এর আগে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন ইমরোজ। বর্তমানে বড় সন্দীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে শিক্ষকতা করছেন তিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানাউল্লাহ বলেন, ‘ইমরোজ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ের পরিবেশ বদলাতে শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদেরও অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করান তিনি। শিক্ষার্থীদের নিজের মতো করে পড়াতে ভালোবাসেন তিনি।’
আরও পড়ুন:সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৬তম বিসিএস নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
পিএসসির ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) যুগ্মসচিব আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আগের কয়েকটি বিসিএসের ধারাবাহিকতায় এবারও ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পিএসসি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করা যাবে আবেদন আর এতে ফি নির্ধারিত হয়েছে ৭০০টাকা। তবে বয়সে কোনো ধরণের ছাড় দেয়া হয়নি।
আগামী বছরের মার্চে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৬তম বিসিএসে ক্যাডার হিসেবে ৩ হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা জানানো হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তিতে। আগের ১০টি বিসিএসের তুলনায় এবার পদ সংখ্যার বিচারে এটি রেকর্ড।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এক হাজার ৬৯৮ জন চিকিৎসক নিয়োগ পাবেন এ বিসিএসে। এরপরই আছে শিক্ষা ক্যাডার। সরকারি কলেজে ৯২০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে এ বিসিএসের মাধ্যমে।
এছাড়া সাধারণ ক্যাডারের মধ্যে বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্ত ৬৫টি পদে নিয়োগ দেয়ার কথা উল্লেখ আছে ৪৬তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তিতে।
রাজধানীর ডেমরার আমিনবাগ গেট বাঁশেরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ। ২৫ বছর বয়সী এ যুবক একজন স্বেচ্ছাসেবী এবং সংগঠক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফোরাম এসডিএ, উইন্টার প্রোজেক্ট, হিমু পরিবহন, আশার আলো সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।
যে বয়সে হোসাইনের পরিবারের হাল ধরার কথা, সেই বয়সে তিনি আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অন্তত ১২ লাখ টাকা, কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
হোসাইন গত ১২ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় তার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিউরোসায়েন্স থেকে ফিরে বর্তমানে বাসায় রয়েছেন হোসাইন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যায় নিউজবাংলা। গিয়ে দেখা যায়, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। এ সময় বাঁতে আকূল হোসাইনের চোখের দুধার বেড়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রু। চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
হোসাইনকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন নিচের মাধ্যমগুলোতে
প্রাইম ব্যাংক শেরপুর, বগুড়া শাখা
ইসলামী ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা
বিকাশ/নগদ (মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট)
বিকাশ/নগদ (হোসাইনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট)
যেকোনো প্রয়োজনে রায়হান (০১৯৫৩৬১৯৪১৯), আশিক (০১৬১০২১৭০৬৪) ও তপুর (০১৫৬৮১০৯৯৫৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী সংগঠন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো দল টিকে থাকবে না। যখন এই জঙ্গিবাদী মৌলবাদী শক্তির চিহ্ন বাংলাদেশ থেকে মুছে যাবে তখন দেশে শান্তি আসবে।’
সাভারে শনিবার শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সপ্তম আসরের চূড়ান্ত পর্বে পুরস্কার বিতরণ শেষে বক্তব্য দেন জয়।
নির্বাচনের সময় নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন সমস্যা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ। এই সমস্যাও কিন্তু দূর করা যায়।
‘আমরা জানি গত তিন নির্বাচন ধরে তাদের এই নির্যাতন। প্রত্যেক নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে তারা এই জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। এটার মোকাবেলা হচ্ছে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেবেন। যারা জ্বালাও-পোড়াও করছে তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের ভোট দেবেন। নৌকায় ভোট দেবেন।’
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, ‘অনেকেই মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের উস্কানি দিচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের আগে অনেক বেশি কথা বলা শুরু করেন। ঠিক তখনই এই সন্ত্রাস, সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়। তার মানে কি? তাদের এরাই উস্কাচ্ছে। আর বেশি দিন নেই, মাত্র দেড় মাস। যেদিন নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, তারাও চুপ হয়ে যাবে।’
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণরা সমস্যা সমাধানে চিন্তা করতে পারে। গত ১৫ বছরে দেশে যে উন্নতি হয়েছে তা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক সমস্যা আছে। আমি শুরু থেকেই বাংলার তরুণদের বলছি, আমরা দেশ হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশের তরুণরাও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।
তরুণরা নিজের উদ্যোগে নিজের কর্মসংস্থান বের করে নিতে পারেন। দুর্নীতি সমস্যার সমাধানও করতে পারেন। শুধু সরকার পারে তা নয়, আমরা সবাই এসব সমস্যা মোকাবেলা করতে পারি।’
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ও শীর্ষ বাছাই হওয়া সব সংগঠনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘সাত শতাধিক সংগঠন আবেদন করেছে। সবাইকে আমরা পুরস্কৃত করতে পারিনি। কিন্তু সবার জয়ই বাংলার জয়। আপনাদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।’
তরুণদের উদ্দেশে জয় বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করছেন, মানুষ ও পরিবেশের জন্য যে চিন্তা করছেন, পরিশ্রম করছেন তা অসাধারণ। আমাদের স্বপ্ন ছিল, তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনারাই হচ্ছেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। শুধু বর্তমান নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও আমরা চিন্তা করি। আপনারা সেটা দেখিয়ে দিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন:মানবিক কাজের মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশসেরা ১২টি যুব সংগঠনকে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ দেয়া হয়েছে।
দেশের ৭৫০টিরও বেশি সংগঠনের মধ্য থেকে দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, শিল্প ও সংস্কৃতি, সম্প্রদায়ের সুস্থতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু ও পরিবেশ উদ্ভাবন এবং যোগাযোগ- এই ছয় ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনের (সিআরআই) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়াং বাংলা’-এর আয়োজনে সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে শনিবার এই পুরস্কার দেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা এবং সিআরআইর চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়।
সপ্তমবারের এই আয়োজনে দক্ষতা ও কর্মসংস্থান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে ‘সম্ভাবনা’ ও ‘ঋতু হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন’; শিল্প ও সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে পেয়েছে ‘অভিনন্দন ফাউন্ডেশন’ ও ‘টং-এর গান’; কমিউনিটর সুস্থতা ক্যাটাগরিতে ‘নপম ফাউন্ডেশন’ ও ‘অলট্রাস্টিক পিপল’স ইউথ অরগানাইজেশন’; সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ক্যাটাগরিতে ‘উইমেন’স ড্রিমার ক্রিকেট একাডেমি’ ও ‘ভালো কাজের হোটেল’; জলবায়ু ও পরিবেশ ক্যাটাগরিতে ‘ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড স্নেইক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ’ ও ‘ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবাল’; উদ্ভাবন ও যোগাযোগ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে ‘ক্লিয়ার কনসেপ্ট’ ও ‘টিম অ্যাটলাস’।
অনুষ্ঠানে ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’ ও ‘খেলা ঘর’ সংগঠনকে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের পক্ষে সম্মাননা নেন দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু এবং সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরা।
ইয়াং বাংলার এই আয়োজনে সকালে যোগ দেন সিআরআইর চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সিআরআইর ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী।
সিআরআইর ট্রাস্টি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সাংসদ নাহিম রাজ্জাক প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পিৎজা চেইন ডোমিনো’জ পিৎজা ঢাকার শান্তিনগর এবং বেইলি রোডে ২২ ও ২৩তম স্টোর উদ্বোধন করেছে।
গ্রাহকদের চিজি হ্যাপিনেস এর সুযোগ দিতে এ দুই এলাকায় রোববার থেকে ডোমিনো’জ পিৎজা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের যাত্রা শুরু করে।
আন্তর্জাতিক মানের ডোমিনো’জ পিৎজা’র এই নতুন আউটলেটটি শান্তিনগর এবং বেইলি রোডবাসীরা সাদরে গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তারা জানায়, বাংলাদেশে ডোমিনো’জ পিৎজা চালু হওয়ার পর থেকেই সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি দ্রুততম ডেলিভারির মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটেই খাবার পৌঁছে দিচ্ছে গ্রাহকদের দ্বারপ্রান্তে। পাইপিং হট পিৎজা, গার্লিক ব্রেড, চকো লাভা কেক ছাড়াও অন্যান্য সুস্বাদু খাবার ও ডেজার্ট সরবরাহ করতে ডোমিনো’জ পিৎজা সর্বদা সচেষ্ট।
এই স্টোর দুটির উদ্বোধনের সময় ডোমিনো’জ পিৎজা বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্ট টিম ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে উপস্থিত ছিল ‘আপন ফাউন্ডেশন’ এর ছাত্র-ছাত্রীরা যারা এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে থাকে।
জুবিল্যান্ট ফুডওয়ার্কস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌমিল মেহতা বলেন, ‘ডোমিনো’জ পিৎজা খুব দ্রুতই বাংলাদেশে সম্প্রসারিত হচ্ছে। শান্তিনগর এবং বেইলি রোড-এ দুটো স্টোর খুলতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত। ঢাকা সিটিতে আমাদের ক্রমবর্ধমান গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে আমরা ক্রমাগত আমাদের স্টোর নেটওয়ার্ক প্রসারিত করছি।
‘এই সম্প্রসারণ আমাদের মূল্যবান গ্রাহকদের সুস্বাদু পিৎজা প্রদানের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। আমরা আমাদের সিগনেচার ফ্লেভার এবং ব্যতিক্রমী পরিসেবা আরও বেশি লোকের কাছে নিয়ে আসতে পেরে আনন্দিত, তারই সাথে আমরা শান্তিনগর এবং বেইলি রোডবাসীদের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠার অপেক্ষায় রয়েছি। আমাদের টিম সবাইকে একটি অসামান্য পিৎজা অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য নিবেদিত এবং আমরা সবাইকে সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর।’
শান্তিনগর এবং বেইলি রোড-এ অল্প সময়ের মধ্যেই হট এবং ফ্রেশ পিৎজা পেতে ডোমিনো'জ পিৎজা হবে গ্রাহকদের আদর্শ ব্র্যান্ড হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, প্লে স্টোর থেকে ‘Domino’s Pizza Bangladesh’ অ্যাপটি ডাউনলোড করে খুব সহজেই হোম ডেলিভারির জন্য অর্ডার করতে পারবেন অথবা ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি m.dominos.com.bd-এ অথবা 16656 নম্বরে কল করেও অর্ডার করা যাবে।
শান্তিনগর এবং বেইলি রোডসহ বর্তমানে ঢাকায় ডোমিনো’জ পিৎজার সর্বমোট ২৩ টি আউটলেট আছে যা ধানমন্ডি, পান্থপথ, উত্তরা, বনানী, মোহাম্মদপুর, ওয়ারী, লক্ষ্মীবাজার, মিরপুর ১২, মিরপুর ২, খিলগাঁও, যমুনা ফিউচার পার্ক, ইস্কাটন, গুলশান ১, বাসাবো, ধানমন্ডী ২৭, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বাড্ডা, বনশ্রী, ইসিবি চত্বর, উত্তরা সেক্টর ৬ এবং নারায়ণগঞ্জ। অবস্থিত। বর্তমানে ডাইন ইন, ডেলিভারি এবং টেকঅ্যাওয়ে সেবার মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তের পিৎজাপ্রেমীরা আমাদের সুস্বাদু পিৎজা উপভোগ করতে পারবেন।
তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষায় যুক্তরাজ্যে সিগারেট নিষিদ্ধ করার চিন্তা করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের ধূমপান-বিরোধী পদক্ষেপটি বিবেচনা করেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
নিউজিল্যান্ডের ওই আইনে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী সবার ওপর তামাক বা তামাকজাত সামগ্রী ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে সুনাক বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ধূমপান মুক্ত করা ও দেশে ধূমপায়ীর হার কমানোর লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যেই জনগণকে উত্সাহিত করার চেষ্টা করছি।
‘এ লক্ষ্য পূরণে আমরা যে ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করেছি, তার মধ্যে রয়েছে- বিনামূল্যের ভেপ কিট প্রদান, গর্ভবতী মহিলাদের ধূমপান ছাড়ানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটি ভাউচার স্কিম প্রদান ও বাধ্যতামূলক সিগারেটের প্যাকেটে এর কুফল সম্পর্কে তথ্য দেয়া।’
চলতি বছরের মে মাসে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিনামূল্যে ভেপিং ও ই-সিগারেটের স্যাম্পল বিতরণ বন্ধ করে যুক্তরাজ্য সরকার। সেসময় এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, অপ্রাপ্তবয়স্কদের ধূমপানে আসক্তি রোধে দেশটি আইনি ফাঁকফোকর বন্ধের চেষ্টা করছে।
পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় গত জুলাই মাসে একবার ব্যবহার করা যায় ২০২৪ সালের মধ্যে এমন ভেপ বিক্রি নিষিদ্ধ করতে পৃথকভাবে যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানায় ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস কর্তৃপক্ষ।
ভিসা ও পাসপোর্ট ছাড়া নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানের আসন পর্যন্ত যেতে পারলেও আকাশ থেকে পাখির চোখে পৃথিবী দেখার সুযোগ হয়নি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার শিশু জুনায়েদ মোল্লার। তার সেই অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বিক্রয় ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজা।
প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা থেকে বিমানে করে পর্যটন শহর কক্সবাজার এসে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে শিশু জুনায়েদ মোল্লার। ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জুনায়েদের স্বপ্ন পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে চড়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় জুনায়েদ। এরপর কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে রাখা হয় তাকে।
বিমানে চড়ে কক্সবাজার পৌঁছানোর আনন্দে উচ্ছ্বসিত শিশু জুনায়েদ বলেন, ‘সেদিন নিরাপত্তা পেরিয়ে বিমানে উঠেছিলাম। কিন্তু আকাশে উড়তে পারিনি। অবশেষে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বিমানে করে নিয়ে আসলেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, “ওয়ালটন প্লাজা ব্যবসার পাশাপাশি সর্বদা বিভিন্ন সামাজিক ও আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রয়োজনে তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় ওয়ালটন প্লাজা। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে চলমান ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবারকে ৩২ লাখ টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। দেশব্যাপী আলোচিত জুনায়েদের পরিবারও এসব সুবিধার বাইরে নয়।
“আমরা যখনই শুনেছি কৃষক ইমরান মোল্লার ছেলে বিমানে চড়ার শখ থেকে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা তার শখ পূরণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা এই ছোট্ট ছেলেটির বড় স্বপ্ন অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দিতে চাইনি। ওর এই বড় স্বপ্ন দেখতে পারার সক্ষমতা চলমান থাকুক। স্বপ্ন পূরণে ওর সঙ্গী হতে পেরে আমরা গর্বিত।”
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জুনায়েদের কৃষক বাবা ইমরান মোল্লা বলেন, ‘ছেলে আকাশে কোনো বিমান উড়ে যাচ্ছে দেখলে আনমনা হয়ে যেত। কী ভাবত সে-ই জানে। ছেলের বিমানে চড়ার স্বপ্ন পূরণ করায় ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
জুনায়েদের স্বপ্ন এখন পাইলট হওয়ার। তার সেই স্বপ্ন পূরণে সবার দোয়া ও সহযোগিতা প্রার্থনা করেন তিনি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়াই উঠে পড়েছিল জুনায়েদ নামের ওই শিশুটি। পরে জানা যায়, বাড়ি থেকে পালিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে জুনায়েদ। এরপর থেকেই আলোচনায় রয়েছে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের এই শিশুটি।
পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চায় জুনায়েদ এবং সেই শখ থেকে বিমানে চড়ার ইচ্ছা তার- এমনটি নিজেই গণমাধ্যমকে জানায় সে।
ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে ওয়ালটনের একটি রাইস কুকার কেনেন জুনায়েদের কৃষক বাবা ইমরান মোল্লা। এরই ধারাবাহিকতায় কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষারনীতির আওতায় কৃষক বাবার শখ পূরণ করতে এগিয়ে আসে ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য