× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Warning signal number 3 at sea
google_news print-icon

সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

সমুদ্রে-৩-নম্বর-সতর্ক-সংকেত
ফাইল ছবি
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজও ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হলো।

বাসসের খবরে বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজও ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ চট্টগ্রামে ৩২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া খেপুপাড়ায় ৩১৬, বান্দবানে ২৮৬, হাতিয়ায় ২২১, কুতুবদিয়ায় ১৬৬, সন্দ্বীপ, ফেনী ও কুমিল্লায় ১৫৪, রাঙ্গামাটি ১৪৫, সীতাকুন্ডে ১২৯, মাদারীপুর ও চাঁদপুরে ১২০, বরিশালে ১০৪, সিলেটে ৮৫, মাইজদীকোর্টে ৭৪, নেত্রকোনায় ৭২ ও নিকলিতে ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এসময় ঢাকায় মাত্র ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। অতি ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুতুবদিয়ায় ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

ঢাকায় আজ দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।

সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত হয় সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে।

আরও পড়ুন:
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাইয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে
বর্ষা শেষ না হতেই ১০ বার ডুবল বন্দর নগরী
অনাবৃষ্টিতে ভারী হচ্ছে আমন চাষির খরচের বোঝা
বর্ষণে উত্তরে বন্যার অবনতি, নদ-নদী বিপদসীমা ছাড়িয়ে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
A disaster in hilsa extraction in the season of blowing sea

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয়

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় সাগর উত্তাল থাকায় নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে আছে মাছ ধরার ট্রলার। ছবি: নিউজবাংলা
শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

গভীর নিম্নচাপের কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে এক হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার। ফলে আপাতত সাগরে মাছ শিকার বন্ধ। এ অবস্থায় ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

ত্তাল সাগরে বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ায় সাগরে টিকতে না পারায় এসব ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালসহ বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শনিবার দিনভর বাগেরহাটে ৫৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে মোংলা আবহাওয়া অফিস। বাগেরহাটে থেমে থেমে বৃষ্টির মধ্যে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া।

সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বৈরী আবহাওয়া কারণে মোংলা বন্দরের জেটি ও পশুর চ্যানেলের আউটার বারে অবস্থানরত সব বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ‌উঠা-নামার কাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মৎস্য আহরণে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা এখন মাছ ধরা নিয়ে সাগরে ব্যস্ত সময় কাটানোর কথা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ইলিশ আহরণে দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়।

সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় ২৩ জুলাই। ওই সময় প্রথম সাগরে রওনা হয়েই টানা এক সপ্তাহের দুর্যোগের কবলে পড়তে হয়েছে জেলেদের।

গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে চলতি সপ্তাহে দু’দফা নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে বঙ্গোপসাগর। উত্তাল ঢেউয়ে সাগরে কোনো ট্রলার নামতে পারছে না। ফের বন্ধ হয়ে গেছে ইলিশ আহরণ।

বর্তমানে বাগেরহাটের হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। গত দেড় মাসে তিন দফা দুর্যোগে পড়ে কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলাসহ উপকূলের মহাজন ও আড়ৎদাররা।

শনিবার দুপুরে শরণখোলার মৎস্য আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, নিম্নচাপের কারণে গত রোববার থেকে টানা তিন দিন সাগরে জাল ফেলতে পারেনি জেলেরা। মাঝখানে দু’দিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা ট্রলারগুলো সাগরে ছুটে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে ফের হানা দিয়েছে গভীর নিম্নচাপ। ফলে শুক্রবার ভোর থেকে আবারও সব ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসে।

গভীর সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলো বর্তমানে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মেহের আলীর চর এবং বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘একের পর এক দুর্যোগের কারণে সাগরে জাল ফেলা যাচ্ছে না। প্রতি ট্রিপে একেকটি ট্রলারে দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু মাছ না পাওয়ায় অধিকাংশ মালিক-মহাজনের চালান খোয়াতে হচ্ছে। এমনিতেই এ বছর প্রত্যেক আড়ৎদার ও মহাজন লাখ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে।’

আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘ইলিশের যখন ভরা মৌসুম তখনই ৬৫ দিন থাকে নিষেধাজ্ঞা। এর পর আবার অক্টোবর মাসে শুরু হবে ইলিশের প্রজনন মাস। তখন ২২ দিন দেশের সব নদী ও সমুদ্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

ফলে ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

আড়ৎদার, ট্রলার মালিক সর্বোপরি জেলেদের দুর্দশা বিবেচনা করে তাদের স্বার্থে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আর না দেয়ার দাবি জানান এই ফিশিং ট্রলার মালিক নেতা।

আরও পড়ুন:
সাগরে এক জালেই ১৩০ মণ ইলিশ: যা বলছেন বিশেষজ্ঞ
ভোলার ‍দুই অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা বন্ধ
মুন্সীগঞ্জে মাছের আড়তে অভিযান, ৩৫ মণ জাটকা জব্দ
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপ
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর উত্তাল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The bodies of two more fishermen washed up on Inani beach

ইনানী সৈকতে ভেসে এলো আরও দুই জেলের মরদেহ

ইনানী সৈকতে ভেসে এলো আরও দুই জেলের মরদেহ ফাইল ছবি।
ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, শুক্রবার সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এফবি আব্দুল ছামাদ সাহা নামের ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জেলে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে মরদেহ দুটি ভেসে আসে।

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় কক্সবাজারে উখিয়ার ইনানী সৈকতে ভেসে এসেছে আরও দুই জেলের মরদেহ। এ নিয়ে দুদিনে পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী সমুদ্র সৈকতে মরদেহ দুটি ভেসে আসে বলে জানান ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রেজাউল করিম।

তাদের মধ্যে আব্দুল করিম নামের এক জেলের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

আব্দুল করিম চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বাঁশখালীর বাসিন্দা আবুল বশরের মালিকানাধীন এফবি আব্দুল ছামাদ সাহা নামের ট্রলারের জেলে ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট এবং রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপ পয়েন্টে ভেসে আসা দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়। শনিবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সমিতি পাড়া পয়েন্ট থেকে অপর একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রেজাউল করিম বলেন, শনিবার দুপুরে ইনানী সৈকতে দুটি মরদেহ ভেসে আসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

শুক্রবার সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এফবি আব্দুল ছামাদ সাহা নামের ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।

ট্রলারটির মালিকের বরাতে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ট্রলারটিতে ১১ জন জেলে ছিল। ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ইনানী সৈকত সংলগ্ন সাগরে ডুবে যায়। এতে ৯ জন জীবিত উদ্ধার হলেও দুজন নিখোঁজ ছিলেন। মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Erosion of the Kapotakh dam threatens to flood large areas of Paikgacha

কপোতাক্ষের বাঁধে ভাঙন, পাইকগাছার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

কপোতাক্ষের বাঁধে ভাঙন, পাইকগাছার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মরিচ্চাপ নদীর বাঁধ ভেঙে পানির চাপে পাইকগাছার হাচিমপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্র সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন হাচিমপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দারা।

খুলনার পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন কপোতাক্ষ পাড়ের হাচিমপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দারা। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

সোমবার সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খননকৃত মরিচ্চাপ নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে ওই নদীর পানির চাপ পড়ে পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের হাচিমপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্র সংলগ্ন খননকৃত কপোতাক্ষ নদের বাঁধে।

টানা তিনদিন ধরে পানির চাপে বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বাঁধের ২০০ ফুট এলাকা ভেঙে পড়েছে। বাঁধের একাধিক স্থানে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল।

বাঁধে ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ভাঙন রোধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

দেবদুয়ার গ্রামের তোরাব হোসেন খান বলেন, ‘মরিচ্চাপ নদীর পানির চাপে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।’

হাচিমপুর আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা বেবী বেগম বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে গেলে সর্বপ্রথমে আমরা আবাসনের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমরা ৬০টি পরিবার বর্তমানে চরম ঝুঁকিতে রয়েছি।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে হাচিমপুর, দেবদুয়ার, শাহপাড়াসহ চাঁদখালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুটি ইটভাটা, আবাসন ও কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল।’

দেবদুয়ার গ্রামের আমিনুর রহমান বলেন, ‘জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়াটা জরুরি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার বলেন, ‘যেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে এটি মূল বেড়িবাঁধ নয়। এরপরও এলাকার ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, ‘ভাঙনের বিষয় নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সাতক্ষীরা জেলা ও আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক খোঁজখবর রাখার পাশাপাশি এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
কাপ্তাই বাঁধে ১৬ গেট ২ ফুট খুলে দেয়া হয়েছে
সুদানে বাঁধ ধসে ৬০ জন নিহত: প্রতিবেদন
ভেঙে গেছে গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধ
খুলনায় উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ১৩ গ্রাম
ফেনীতে মুহুরী নদীর বাঁধে একাধিক ভাঙন, ২০ গ্রাম প্লাবিত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Entrance fee to Kamal Botanical Garden

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশের ফি কমল

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশের ফি কমল বোটানিক্যাল গার্ডেনের আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ অংশ। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১২ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে জনপ্রতি প্রবেশ ফি ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ নির্দেশনায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে রাজধানী মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান তথা বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি।

এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বুধবার জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১২ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে জনপ্রতি প্রবেশ ফি ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।

১২ বছরের নিচে প্রতিজনের প্রবেশ ফি আগে ছিল ৫০ টাকা। বর্তমানে ৬ থেকে ১২ বছর বয়সীদের প্রবেশ ফি করা হয়েছে ১৫ টাকা। এ ছাড়া শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা বিনা মূল্যে গার্ডেনে প্রবেশ করতে পারবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত ১০০ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য দলগত ফি ১ হাজার টাকা। ১০১ থেকে ২০০ জনের দল হলে ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা।

বিদেশি পর্যটকদের জন্য জনপ্রতি প্রবেশ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা বা সমপরিমাণ ডলার।

উদ্যানে সকালে হাঁটার জন্য প্রতি ব্যক্তির বার্ষিক প্রবেশ কার্ড ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এবং এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সকাল ছয়টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কার্ডধারীরা বোটানিক্যাল গার্ডেনে সকালে ঘুরতে পারবেন।

কার্ড হারালে বা নবায়নের জন্য ২০০ টাকা ফি দিয়ে নতুন কার্ড নিতে হবে।

এর আগে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই প্রবেশ ফি নিয়ে জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি পুনরায় নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Chittagong illegal residents are being evicted and services are being cut off

চট্টগ্রামে পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ ও সেবা বিচ্ছিন্ন হচ্ছে

চট্টগ্রামে পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ ও সেবা বিচ্ছিন্ন হচ্ছে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
চট্টগ্রামে সরকারি খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদসহ তাদের পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করতে যারা সহযোগিতা ও উৎসাহিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি মামলা করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামে সরকারি খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদসহ তাদের পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করতে যারা সহযোগিতা ও উৎসাহিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি মামলা করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৯তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।

কমিশনার বলেন, খাস ও ব্যক্তিগত পাহাড়ের কোনো ধরনের ক্ষতি করা যাবে না। অবৈধ বসতি উচ্ছেদসহ স্থায়ীভাবে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে।

এজন্য জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে, ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যে আন্তঃদপ্তর আলোচনা করে উচ্ছেদ-পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের নির্দেশনা দেন তিনি।

তোফায়েল ইসলাম বলেন, সরকারি, ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন সংস্থার পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে হবে। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে পাহাড় মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মালিকানাধীন পাহাড় থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করার পর যাতে বেদখল না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদসহ পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিছিন্নকরণ কার্যক্রমের অগ্রগতি কতটুকু তা ১৫ দিন পর পর প্রতিবেদন আকারে জানাতে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেন বিভাগীয় কমিশনার।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Asian group next to flood victims

বন্যার্তদের পাশে এশিয়ান গ্রুপ

বন্যার্তদের পাশে এশিয়ান গ্রুপ বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এশিয়ান গ্রুপ। ছবি: সংগৃহীত
এশিয়ান গ্রুপের পরিচালক ওয়াসিফ আহমেদ সালাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি বন্যার্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে। খাবার, কাপড় ও নগদ অর্থ বিতরণ এবং স্বাস্থ্যসেবার পর এখন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামতের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছি।’

দেশের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যাদুর্গত এলাকায় পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে এশিয়ান গ্রুপ। সম্প্রতি দুর্গত এলাকায় মানবিক সহায়তার পর এমন উদ্যোগ এশিয়ান গ্রুপের।

শিল্প গ্রুপটি ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, নগরীর কালুরঘাট ও মোহরা এলাকায় বন্যার্তদের খাবার, কাপড় ও নগদ অর্থ বিতরণ এবং মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। এছাড়া বন্যা-পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

মানবিক এসব কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ সালাম ও পরিচালক ওয়াসিফ আহমেদ সালাম।

এ পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ ও মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে বানবাসী মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে। কাপড় দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে।

এছাড়া নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষের কাছে। অন্যান্য মানবিক কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে এশিয়ান গ্রুপের পরিচালক ওয়াসিফ আহমেদ সালাম বলেন, ‘এসব আমাদের ধারাবাহিক ও নিয়মিত মানবিক কার্যক্রমের অংশ। সাম্প্রতিক আকষ্মিক বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ অন্যান্য জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার লাখ লাখ মানুষ। ব্যাপক প্রাণহানি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জীবনযাপন।

‘আমরা চেষ্টা করেছি বন্যার্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে। এখন আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর মেরামতের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের এসব মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

আরও পড়ুন:
বন্যা: ফেনীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতি ৩৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার
বন্যা: কুমিল্লায় প্রায় এক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
পানি আগ্রাসনের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিচার দাবি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ: অক্সফ্যাম
বন্যায় ফেনী-নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Polythene is banned in Supershops from October 1

সুপারশপে ১ অক্টোবর থেকে পলিথিন নিষিদ্ধ

সুপারশপে ১ অক্টোবর থেকে পলিথিন নিষিদ্ধ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান সোমবার সচিবালয়ে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন। ছবি: পিআইডি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সুপারশপে ১ অক্টোবর থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগ ও পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না। বিকল্প হিসেবে সব সুপারশপে বা এর সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ক্রেতাদের কেনার জন্য রাখতে হবে।

সুপারশপে আগামী ১ অক্টোবর থেকে কোনো পলিথিন শপিং ব্যাগ ও পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না এবং ক্রেতাদেরকে তা দেয়া যাবে না। বিকল্প হিসেবে সব সুপারশপে বা এর সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ক্রেতাদের কেনার জন্য রাখতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এমন নির্দেশনা দিয়েছেন।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এই নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ১ অক্টোবর শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রচার হবে। এখানে তরুণ ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এক সপ্তাহের মধ্যে সব সুপারশপের সঙ্গে সভা করে পাটের শপিং ব্যাগের সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

আরও পড়ুন:
পলিথিন বিক্রি করায় জরিমানা
প্লাস্টিক-পলিথিনকে জ্বালানিতে রূপান্তর!

মন্তব্য

p
উপরে