জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে মঙ্গলবার সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে না জামায়াতে ইসলামী।
অনুমতি না দেয়ার বিষয়ে সোমবার দুপুরে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, ‘পয়লা আগস্ট (মঙ্গলবার) বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট এলাকায় সমাবেশের অনুমতি চাইলেও সার্বিক বিবেচনায় তাদের (জামায়াত) অনুমতি দেয়া হবে না।’
তবে ডিএমপির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে জানান, জামায়াতকে ইনডোরে অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশে সহযোগিতা চেয়ে ২৫ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি আবেদন জমা দেয় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়ে এ আবেদন জমা দেন।
আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরের উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।
দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর ও আবাসন নিশ্চিতসহ চার দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে গণঅনশন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। তালা মারা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ভবনেও। ঘোষণা করা হয়েছে কমপ্লিট শাটডাউন।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ফটকসহ একাধিক ভবনে তালা মারার মাধ্যমে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক, শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ, আর্টস ফ্যাকাল্টির ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম।
এদিকে অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ ব্যাপারে অনশনরত শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনশন ভাঙব না। সবার কাছে অনুরোধ, আপনারা যারা অনশন করছেন না, আপনারা ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট করুন। আমাদের দাবি পূরণ করেই আমরা বাড়ি যাব।’
অনশনরত শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সময় নির্ধারণ করে দিতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এসে যৌক্তিক সময় দিলে আমরা অনশন ভাঙব।’
জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহান প্রামাণিক বলেন, ‘আমরা আর লাল ফিতার দৌরাত্ম্য মানব না। এখানেই বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে কাজ করছি। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে; চিঠির কপিও এসেছে।
‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। যৌক্তিক সময় দিয়ে কাজ সম্পন্ন করব।’
এদিকে চলমান গণঅনশনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে রোববার সকাল থেকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে সারা দিন অভুক্ত থেকে ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন এখনও চিকিৎসা ব্যয় ঠিকভাবে দিচ্ছে না। তাদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খরচ শিক্ষার্থীদের টাকায় হচ্ছে। এ প্রশাসন সব দিক দিয়ে ব্যর্থ।
তারা দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হতে দেবেন না।
এদিকে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের দাবির প্রতি পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধে উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমও রোববার রাতে তাদের সঙ্গে অনশনস্থলে বসে পড়েন। ওই অনশনে একাত্মতা জানাতে রোববার গভীর রাতে হল থেকে বেরিয়ে প্রায় অর্ধশত ছাত্রী শহীদ মিনারের সামনে এসে বসে পড়েন।
শিক্ষার্থীদের দাবি
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা।
৪. যতদিন আবাসনের ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন:পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বুধবার রাতভর আন্দোলন করেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাদের।
বিডিআর বিদ্রোহের জন্য আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের আজ বিচারকাজ হওয়ার কথা। ভোরে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের ঢুকতে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা।
এতে আদালতের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কগুলোতেও যানজট লেগে যায়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশীবাজার মোড় ও আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। তাতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড ও চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শফিউল্লাহ নামের এক ছাত্র বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সিটি করপোরেশন এ মাঠ দখল করে রেখেছিল। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর এই মাঠ আর কারও হতে দেব না।
‘আমাদেরই থেকে যাবে। আমাদের দাবি পূরণ না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব।’
অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন বলেন, আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন ও ছাত্ররা। পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
আরও পড়ুন:ফেলানী দিবসে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ‘বর্ডার দ্যাট ব্লিডস’ শিরোনামের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।
দৃকের আয়োজনে পারভেজ আহমদ রনির একক আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে এ প্রদর্শনীতে।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখে। প্রায় দেড় দশক কেটে গেলেও ফেলানী হত্যার বিচার হয়নি। তার স্মরণে প্রদর্শনীটির আয়োজন হচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখন পর্যন্ত ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রায় ১ হাজার ৪০০ বেসামরিক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করে।
পারভেজ আহমদ রনি ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নানা সীমান্তে এ বিষয়ের ওপর টানা কাজ করেছেন। সেখান থেকে বাছাই করা ২৪টি ছবি বর্ডার দ্যাট ব্লিডসে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান, দৃক পিকচার লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও আয়োজন সংশ্লিষ্টরা।
প্রদর্শনীটি ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন:জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রাজধানীর মালিবাগে মঙ্গলবার পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আহতদের স্বচ্ছলতায় ফেরাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন, সবাইকে তো সব জায়গায় দেওয়া সম্ভব না।
‘আমাদের প্রস্তাবে যাকে যেখানে সম্ভব, সেখানে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।’
অর্থ পাচারকে আগের সরকারের সময়ের সবচেয়ে বড় সংকট আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বেশি মানি লন্ডারিং করেছে।’
মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিগত সরকারের সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল মানি লন্ডারিং। এটা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করার কথা আমি বলেছি।’
যানজট সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘যানজট দূর করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একার দায়িত্ব না। আমরা তারপরও এক হাজার শিক্ষার্থী দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
‘তাদের আমরা মিনিমাম একটা পারিশ্রমিক দেব। শুরুতে ইচ্ছে ছিল ৫০০ জন নিয়ে কাজ করব, তবে সে পরিমাণ লোকবল পাওয়া যায়নি।’
অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনের পাঁচ মাস হয়েছে। এখন পর্যন্ত কী ধরনের উন্নতি করেছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা মিলিয়ে দেখেন, আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে কি না। পুলিশ তাদের কাজ শুরু করেছে। পুলিশ এখন একটু সময় নিয়ে কাজ করছে।
‘রাস্তাঘাট চিনতে সময় লাগছে তাদের। গাড়ি নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। আমরা এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে অনেকে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৫-৬ আগস্ট কোনো সরকারই ছিল না। তখন অনেকে পালিয়ে গেছেন। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশে চলে গেছেন অনেকে। তখন তো আমরা ছিলাম না।
‘তবে আমরা সরকারে আসার পর কেউ পালিয়ে গেছে কি না, সেটা বলেন। এরপরও যদি কেউ গিয়ে থাকেন, আমরা বিষয়টি দেখব।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর পুরানা পল্টনে ‘মানিকগঞ্জ হাউস’ নামের ভবনে ধরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীর মিডিয়া সেল জানায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশের চার তলা ভবনটির দ্বিতীয় তলার ল’ চেম্বারে মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে আগুন ধরার খবর আসে। এর ভিত্তিতে ৯টা ২৪ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আগুন নেভানোয় যুক্ত হয় আরও পাঁচটি ইউনিট।
মিডিয়া সেল আরও জানায়, ছয়টি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আগুন সম্পূর্ণ নেভানোর পর কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বলা যাবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে আয়নাঘর ও ভাতের হোটেল বলতে কিছুই থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
ডিবি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সোমবার সকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশের সীমান্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ছাড়া আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সরকার দুই গ্রুপের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ।’
টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় প্রচুর অপহরণের ঘটনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় যতজন অপহরণের শিকার হয়েছিল, তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপনারা জানেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা দখল করে রেখেছে।
‘সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এখন আমাদের দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এখন মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমরা সীমান্ত নিয়ে কোনো বৈঠকে বসতে পারছি না। আবার আরাকান আর্মি কোনো স্বীকৃতি পায়নি। তবে সীমান্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’
সীমান্ত এলাকায় অপহরণ ও মাদক চক্র সক্রিয় আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘মিয়ানমার সীমানা এলাকায় অপহরণ চক্রের পাশাপাশি কয়েকটি মাদক চক্র সক্রিয় আছে। শুধু এক বদি ধরা পড়েছে। তবে বদি চক্রের অনেক সদস্য এখনও সক্রিয় রয়েছে৷ আমরা সবাইকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসছে কাজ করে যাচ্ছি।’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে যে পরিমাণ ছিনতাইকারী বেড়েছে, ঠিক তেমনভাবে গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে সিভিল পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না।’
সচিবালয়ের সামনে যেসব পুলিশ সদস্য আন্দোলন করেছেন, তারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাদ পড়া পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রমাণ পেলে আর নেওয়া হবে না।’
ওই সময় ভারতের মিডিয়ার অপপ্রচার বাংলাদেশের মিডিয়া যেভাবে প্রতিহত করছে, তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন:এখন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
ডিবি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনের বাইরে তারা কোনো কাজ করতে পারবেন না, যে কারণে সাদা পোশাকে তারা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন না। তাদের অবশ্যই জ্যাকেট পরিধান করতে হবে এবং আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আইনের বাইরে যদি আমিও কোনো কাজ করতে আদেশ দিই, তারা যেন তা না করে।’
এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি যদি কোনো দুর্নীতি করি, তাহলে আপনারা প্রকাশ করে দেন। আমার কোনো আপত্তি নেই।’
সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো সত্য সংবাদ প্রকাশ করায় ইন্ডিয়ান মিডিয়ার অপপ্রচার অনেক কমে গেছে। গণমাধ্যম সত্য সংবাদ প্রকাশ করলে আমাদেরও অ্যাকশন নিতে সুবিধা হয়।’
এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে মতবিনিময়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পাসপোর্টের জন্য যে পুলিশি যাচাই ব্যবস্থা রয়েছে, রোহিঙ্গাদের অপতৎপরতার কারণে তা তোলা যাচ্ছে না। একসময় চিন্তা করেছিলাম পুলিশ ভেরিফিকেশন উঠিয়ে দেব; শুধু (এনআইডি) কার্ডের ওপরে দেবে।
‘পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে জনগণ একটু হ্যারেসমেন্ট (হয়রানি) হয়, পেতে দেরি হয়; রোহিঙ্গাদের জন্য এটা ওঠানো যাচ্ছে না। বাট এটা (হয়রানি) আগে যে পরিমাণ ছিল, এখন কিন্তু ওইটা নেই।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য