× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Democracy Manchs Saturday sit in program at the entrance of Dhaka
google_news print-icon

ঢাকার প্রবেশপথে শনিবার অবস্থান কর্মসূচি গণতন্ত্র মঞ্চের

ঢাকার-প্রবেশপথে-শনিবার-অবস্থান-কর্মসূচি-গণতন্ত্র-মঞ্চের
মৎস্য ভবনের সামনের সড়কে শুক্রবার আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন জোনায়েদ সাকি। ছবি: নিউজবাংলা
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার সব প্রবেশ পথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করব আমরা। এতে বাধা দিলে গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠবে।’

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার রাজধানী ঢাকার সব প্রবেশপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

শুক্রবার বিকেলে এক দফা দাবিতে রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, ‘শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার সব প্রবেশপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করব আমরা।

‘সরকারের উদ্দেশে বলছি, এই অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার চেষ্টা করবেন না। পুলিশ দিয়ে বাধা দেয়ার চেষ্টা চালাবেন না। তা করলে গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠবে। তখন এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

জোনায়েদ সাকি এর আগে তার বক্তব্যের শুরুতে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া বিএনপি কর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আজ দেশে ঐতিহাসিক ও জরুরি মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। আজকে আমরা শপথ নেব- ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত আমরা লড়াই অব্যাহত রাখবো।

‘বিদ্যমান সরকার, রাষ্ট্র এবং আইন ব্যবস্থা বহাল রেখে এটি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকার, রাষ্ট্র ও আইন ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে এই পরিবর্তন সম্ভব নয়।’

জুনায়েদ সাকি বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। তারা আগেরবার রাতে ভোট ডাকাতি করেছে। এবার দিনে ভোট ডাকাতির জন্য আরপিও সংশোধন করেছে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করেও যেন সেটি জায়েজ করা যায় সেই ব্যবস্থা করেছে।’

তিনি বলেন, পুলিশ ও র‍্যাব আজ আওয়ামী লীগের হয়ে পয়েন্টে পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়েছে। মোবাইল ফোন চেক করেছে- কে কোন দলের সমাবেশে যাচ্ছে। আর বিএনপির সমাবেশে গেলে তাদের গ্রেপ্তার করে মামলায় জড়ানো হচ্ছে। এর জবাব জনগণকে একদিন তাদেরকে দিতে হবে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলে বিদেশিরা দেশে হস্তক্ষেপ করছে। আমরা বলি, দরজা ভাঙা রেখে চোরকে ঢুকতে দিলো কে? দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন বন্ধ করে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে তাদের কথা বলার ক্ষেত্রটা তৈরি করে দিল কে?

‘ভিসা নীতি দেয়ার মতো ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে এই আওয়ামী লীগ। তাই এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারব না। এই সরকারকে আর একদিন ক্ষমতায় রাখা মানে দেশকে বিপদে ফেলা।’

গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, ‘৭০ বছরের ঐতিহ্যবাহী একটি দল আজ গুণ্ডা বাহিনী তৈরি করে বিএনপির পিছু পিছু হাঁটছে। তারা যেদিন কর্মসূচি দিচ্ছে একই দিন পাল্টা কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্য, পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করা। এটি মানুষকে ভয় দেখানো আর ঘরে আটকে রাখার ষড়যন্ত্র।

‘মানুষ আগামীকাল (শনিবার) থেকে প্রতিরোধ শুরু করবে। তাহলে এই সরকার আর পালানোর জায়গা পাবে না।’

ক্ষমতাসীনরা দেশটাকে রক্তাক্ত করতে চাচ্ছে: রব

সমাবেশে সরকারকে উদ্দেশ করে জাতীয় সমাতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ. স. ম আব্দুর রব বলেন, ‘জনসভায় আসা অপরাধ না। তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন, গায়েবি মামলা দেন। আমরা কর্মসূচি দিলে পাল্টা কর্মসূচি দেন! এসব করে দেশটাকে রক্তাক্ত করতে চাচ্ছেন!

‘কনফুসিয়াস সরকারের পথ ধরবেন না। এর পরিণতি ভয়াবহ হতে বাধ্য। আজ থেকে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। রাজপথে থাকবো। প্রয়োজন হলে আরও রক্ত দেবো। তারপরও আপনাদের ক্ষমতায় থাকতে দেবো না।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের বলছি- আপনাদের বেতনের টাকা আমরা দেই। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না। অনেক হয়েছে। এবার হাত গুটিয়ে নিন। আর বাড়াবাড়ি করবেন না।’

শেখ হাসিনাকে ভোট চোর বললে তাকে অপমান করা হয়: মান্না

সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সমাবেশে আগতদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা স্লোগান দিচ্ছেন, শেখ হাসিনা ভোট চোর। এটা বললে তাকে অপমান করা হয়। আরে, এ তো ভোট ডাকাত। শেখ হাসিনা প্যাথলজিক্যাল লায়ার। তার মুখ দিয়ে কখনও সত্য বের হবে না।’

শান্তি সমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে মান্না বলেন, ‘আমি অনেক চেষ্টা করলাম বাড়াতে। কিন্তু টেনেটুনে ইলাস্টিকের মতো লম্বা করলেও পঞ্চাশ হাজার মানুষ নেই সেখানে। মঞ্চের সামনে কিছু মানুষ আর বাকি রাস্তা ধূ ধূ করছে। বিএনপির সমাবেশের কাছে তারা টিকটিকির সমান।

‘জনগণ এই আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু এই সত্য শেখ হাসিনা মেনে নেবেন না। গদি যে কত মধুর সেটি হাসিনার চেয়ে ভালো আর কে জানে!’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানরা বলছেন, জাতিসংঘের অধীনে বাংলাদেশে ভোট হোক। এটি পারে কি পারে না সেটি ভিন্ন আলোচনা। কিন্তু আমি জানি, কাল কিংবা পরশু আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলবেন, কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হয় সেটা শেখার জন্য জাতিসংঘকে বাংলাদেশে আসার আহবান জানাচ্ছি। পুরো মন্ত্রিসভার লোকগুলো বেহায়া, চোর। ভালো কথা বলার মতো কাউকে পাবেন না।’

মান্না বলেন, ‘শেখ হাসিনার দিন খারাপ। কাতুকুতু দিলেই এই সরকার পড়ে যাবে। বাংলাদেশ বদলে যাচ্ছে। এই শাসক থাকবে না। সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাঁকা করতে হবে। শেখ হাসিনার পতনের ঘণ্টা বাজিয়েই আমরা বাড়ি ফিরবো।’

আরও পড়ুন:
পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত: ছাত্রলীগ সভাপতি
দয়াল মুরশিদ যার সখা তার কিসের ভাবনা: ইনান
‘মহা ঘোষণা দেবেন মির্জা ফখরুল’
আজ থেকে শেখ হাসিনার শেষের শুরু: গণতন্ত্র মঞ্চ
মাঝখানে শুধুই পল্টন মোড়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Awami League wishes the countrymen on Durga Puja

দেশবাসীকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা আওয়ামী লীগের

দেশবাসীকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা আওয়ামী লীগের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লোগো। ফাইল ছবি
দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার দেয়া পোস্টে লেখা হয়, ‘আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মের মানুষসহ দেশের সবাইকে শুভেচ্ছা। সমস্ত ভয়ভীতি, হুমকি, চোখরাঙানি মোকাবিলা করে দেশের অতীত ঐতিহ্য রক্ষা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে দুর্গাপূজা পালিত হবে বলে আমরা আশা করছি।’

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার দেয়া পোস্টে লেখা হয়, ‘আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মের মানুষসহ দেশের সবাইকে শুভেচ্ছা। সমস্ত ভয়ভীতি, হুমকি, চোখরাঙানি মোকাবিলা করে দেশের অতীত ঐতিহ্য রক্ষা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে দুর্গাপূজা পালিত হবে বলে আমরা আশা করছি।

‘এবারকার দুর্গাপূজা এসেছে বাংলাদেশে একটি ভীতিকর অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পূজার অনুকূলে না থাকায় অনেকেই এবার পূজা অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে।’

পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটেছে, পূজা কমিটির কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। পূজার সময়ে মাইক বাজানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এ রকম নানাবিধ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হচ্ছে প্রতিটি সনাতন ধর্মের মানুষকে।

‘এগুলো ঘটছে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের সম্মুখেই। এগুলো দেখভাল করার মতো কেউ নেই। ফলে সনাতন ধর্মের মানুষেরা এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে অবস্থান করছে। আর এই আতঙ্কের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এ রকম পরিস্থিতিতে অনেকে জীবন বাঁচাতে দেশত্যাগে থেকে থেকে বাধ্য হচ্ছে।’

শুভেচ্ছা বার্তায় দাবি করা হয়, ‘এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় মনে করে পূজা চলার সময়ে মন্দির কিংবা পূজারি আক্রান্ত হতে পারে। ১৯৪৭-এর দেশবিভাগের প্রাক্কালে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল, এবারের ঘটনার মাত্রা তার চেয়েও ভয়াবহ। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতও ক্ষমতাসীন হয়ে এ দেশের সনাতন ধর্মের মানুষের ওপর হিংস্র আক্রমণ করেছিল। এবারের ঘটনা সেই ভয়াবহ দিনগুলোর কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।

‘সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে এসব নারকীয় ঘটনা ঘটছে। আবার তারাই মন্দির পাহারা দেয়ার কথা বলছে। এটিও এ দেশের সনাতন ধর্মের মানুষের সঙ্গে এক ধরনের প্রহসন। বহুবিধ প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করে সনাতন ধর্মের মানুষ যারা এদেশে রয়ে গেছে তারা নিজেদের উদ্যোগেই পূজা করেছে। কখনো কোনো পাহারাদারের প্রয়োজন পড়েনি।’

পোস্টে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন যে, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আওয়ামী লীগ সর্বদা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের অবিতর্কিত মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষের প্রতি বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে এবং কাজ করার আহ্বান রইল।’

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
দুর্গাপূজা: ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
পালানোর সময় সিলেট সীমান্তে ভাইসহ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানকে স্বাগত জানাল আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League leader accuses BNP leader of occupying Jalmahal 

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার 

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার  জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সোমবার বিকেলে কয়েকজন বিএনপি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ কমল। ছবি: নিউজবাংলা
কমলের অভিযোগ, হঠাৎ করে সরকার পতনের সুযোগ নিয়ে অনিতা রানী দাসের যোগসাজশে হুমাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হেলাল খান জলমহালটি দখল করে নেন।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ক্ষমতার পালাবদলের পর এক আওয়ামী লীগ নেতার লিজ নেয়া কোটি টাকার সরকারি জলমহাল দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার বিরুদ্ধে।

জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সোমবার বিকেলে কয়েকজন বিএনপি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ কমল।

ওই সময় বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, হুমাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রাশিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আদেল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোস্তাক আহমেদ কমল অভিযোগ করেন, তিনি অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর জলমহালটি এক বছরের জন্য ৭৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪১ টাকায় লিজ নেন। ভাটিনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি অনিতা রানীর নামে জলমহাল লিজ নেয়া হলেও সব টাকা পরিশোধ করেন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ কমল, তবে জলমহালটি পরিচালনা করছিলেন অনিতা রানীসহ ছয়জন মিলে।

কমলের অভিযোগ, হঠাৎ করে সরকার পতনের সুযোগ নিয়ে অনিতা রানী দাসের যোগসাজশে হুমাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হেলাল খান জলমহালটি দখল করে নেন।

মিথ্যা মামলা দায়েরসহ নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মোস্তাক আহমেদ কমল।

জলমহালের মালিকানা উদ্ধারে প্রশাসনের কাছে আবেদন করাসহ উপজেলা বিএনপির নেতাদের সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হেলাল খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া অনিতা রানীর নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
সব কূল হারিয়ে বিপাকে বিএনপিপন্থি সাত কাউন্সিলর
সংস্কারের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
ইউপি বহাল রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: বিএনপি
ইটনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
কাশিমপুর কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If the dictator is rehabilitated the country will become a sanctuary for murderers Rizvi

স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন হলে দেশ ঘাতকের অভয়ারণ্য হবে: রিজভী

স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন হলে দেশ ঘাতকের অভয়ারণ্য হবে: রিজভী রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সোমবার ডেঙ্গু সচেতনতায় লিফলেট বিতরণকালে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টদের সমর্থন দিয়ে যারা বিরোধী দল দমনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ দেয়া হলে এই সরকার প্রশ্নের মুখে পড়বে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘পতিত স্বৈরশাসককে পুনর্বাসন করা হলে জনগণ দেশে থাকতে পারবে না। গুম-খুনের সংস্কৃতি ও আয়না ঘরের কারিগরদের পুনর্বাসন হলে তারা দেশকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে।’

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে সোমবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘পতিত স্বৈরশাসককে পুনর্বাসিত করা হলে এ দেশ হবে ঘাতকদের অভয়ারণ্য। গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কবরস্থান হবে। সেজন্য স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাই।’

নতুন পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ওই ব্যক্তি যখন কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তখন তিনি বিএনপি সমর্থকদের হয়রানি করতেন এবং রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করে তাদের ভিসা নবায়ন করতেন না।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টদের সমর্থন দিয়ে যারা বিরোধী দল দমনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, তাদের যদি আজ গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়, তাদের যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ দেয়া হয়, তাহলে এই সরকার প্রশ্নের মুখে পড়বে।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান করি। তবে তার প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। তাকে দেখতে হবে কাতারের রাষ্ট্রদূতকে কে পররাষ্ট্র সচিব করছেন?’

বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গত রোববার লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি।

আরও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করা হোক: রিজভী
গাড়ি পোড়ানোর মামলা থেকে খালাস পেলেন ফখরুল, রিজভীসহ আটজন
বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে ভালো হবে না
শেখ পরিবার ভদ্রতা-শিষ্টাচার শেখেনি: রিজভী
আওয়ামী লীগের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে: রিজভী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaat will publish the roadmap on reforms and elections on October 9

সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ৯ অক্টোবর রোডম্যাপ প্রকাশ করবে জামায়াত

সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ৯ অক্টোবর রোডম্যাপ প্রকাশ করবে জামায়াত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শনিবার জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কিছু মৌলিক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ৯ অক্টোবর দলীয়ভাবে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করবে।’

রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম শুরুর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। শনিবার বিএনপির সঙ্গে সংলাপের পর জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতে ইসলামীর ছয় প্রতিনিধিসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপের পর দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কিছু মৌলিক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে।

‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ৯ অক্টোবর দলীয়ভাবে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করবে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘পর পর তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জাতি বঞ্চিত হয়েছে। এই সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি। তারা এসেছে দেশ শাসনের সুষ্ঠু পথ বিনির্মাণের জন্য। তাদের কাজ হচ্ছে, গত তিন নির্বাচনে জাতি যা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, একটা গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেয়ার পরিবেশ তৈরি করা। কী কী মৌলিক বিষয়ে তারা সংস্কার করবে, আমরা সে বিষয়ে কথা বলেছি।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের জন্য কিছু মৌলিক বিষয়ের সংস্কার করতেই হবে। কী কী বিষয়ে তারা সংস্কার করবে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সংস্কারের জন্য সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই। আমরা আশা করছি এই যৌক্তিক সময়টা নাতিদীর্ঘ হবে না।’

গণমাধ্যমকে উদ্দেশ করে ডা. শফিকুর বলেন, ‘আগামী ৯ অক্টোবর আপনাদের মাধ্যমে আমাদের প্রস্তাবগুলো জাতির সামনে উন্মুক্ত করব। আমরা আমাদের চিন্তা জাতির সামনে তুলে ধরব- কী কী সংস্কার এই মুহূর্তে প্রয়োজন, কী কী সংস্কার পরবর্তী পর্যায়ে আমাদের লাগবে।’

জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের নেত্বত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির আবু তাহের মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, এম এম শামসুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

অপরদিকে সরকারের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

আরও পড়ুন:
সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরু
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরুর অপেক্ষা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শনিবার
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের সংলাপ শুরু শনিবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP wants to know the election roadmap in the dialogue

সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি

সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। এনআইডি কার্ড স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেয়া বিষয়ক আইন এবং সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছি। ভুয়া নির্বাচনে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি। প্রশাসনে থেকে যাওয়া আওয়ামী লীগের দোসরদের সরিয়ে দিতে বলেছি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনি রোডম্যাপ সম্পর্কে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত সংলাপ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনি রোডম্যাপ চেয়েছি। এনআইডি কার্ড স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেয়া বিষয়ক আইন এবং সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছি।

‘ভুয়া নির্বাচনে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি। প্রশাসনে আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও রয়ে গেছে। তাদেরকে সরিয়ে দিতে বলেছি।’

তিনি বলেন, ‘গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করার কথা বলেছি। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার কথা বলেছি। বিচার বিভাগে ২০ জন বিচারপতি এখনও কাজ করছেন যারা আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত। তাদেরকে সরিয়ে দেয়ার কথা বলেছি।

‘এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও হত্যার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদের যেন জামিন দেয়া না হয়। গায়েবি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের কথা বলেছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে বসে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে ভারত সরকার যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি।’

সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরু
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরুর অপেক্ষা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শনিবার
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের সংলাপ শুরু শনিবার
সংস্কারের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awaiting the commencement of the chief advisers dialogue with the political parties

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরুর অপেক্ষা

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরুর অপেক্ষা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: ইউএনবি
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শুরু হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও কয়েকজন উপদেষ্টা অংশ নেবেন।

ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের সময় তাদের মতামত জানতে শনিবার বিকেল থেকে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নতুন করে সংলাপে বসবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শুরু হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও কয়েকজন উপদেষ্টা অংশ নেবেন।

বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি তথা সিপিবিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের প্রথম দিনের সংলাপে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা আছে।

আজকের সংলাপ রাত আটটা পর্যন্ত চলতে পারে বলে রাজনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররে নেতৃত্বে তাদের প্রতিনিধি দল সংলাপে যোগ দেবেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, প্রতিনিধি দলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা থাকবেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ছয়টি সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবহিত করা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা এবং তাদের পরামর্শ নেয়া।’

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার সংলাপ এটি।

আরও পড়ুন:
উপদেষ্টাদেরও আয়-সম্পদ বিবরণী জমা দিতে হবে
কাজে যোগ না দেয়া পুলিশ সদস্যরা অপরাধী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের
একটি নতুন জাতির স্বপ্ন দেখছেন অধ্যাপক ইউনূস
দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যয় প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP leader accused along with Sheikh Hasina in student murder case

ছাত্র হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি বিএনপি নেতা

ছাত্র হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি বিএনপি নেতা আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় শনিবার সকালে মোহাম্মদ গফুর মিয়ার নিজ বাসভবনে থানা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলায় যদি কাউকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয় এবং হয়রানির শিকার হন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ আমাকে আশ্বস্ত করেছে। ‘আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন এ বিষয়ে তারা খতিয়ে দেখবেন।’

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় হওয়া মামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে বিএনপি নেতাকেও আসামি করা হয়েছে।

ওই মামলায় আসামি করায় ক্ষোভ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আশুলিয়া থানা বিএনপির ওই সাধারণ সম্পাদক।

আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় শনিবার সকালে মোহাম্মদ গফুর মিয়ার নিজ বাসভবনে থানা বিএনপির পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

গফুর মিয়া আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ধামসোনা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা গফুর মিয়া জানান, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আশুলিয়া থানার অন্তর্গত বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে অসংখ্য ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ও আহত হন। এসব ঘটনায় আশুলিয়া থানায় হতাহতদের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আদালত ও থানায় মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা করা হয়েছে।

গফুর আরও জানান, জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাভার ও আশুলিয়া থানায় তার নামে আরও পাঁচটি মামলা করা হয়। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও ১৬ বছরে ৩৬টি মামলার আসামি তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলায় যদি কাউকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয় এবং হয়রানির শিকার হন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ আমাকে আশ্বস্ত করেছে। ‘আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন এ বিষয়ে তারা খতিয়ে দেখবেন।’

আরও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শনিবার
সব কূল হারিয়ে বিপাকে বিএনপিপন্থি সাত কাউন্সিলর
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তরুণীকে ডেকে নিয়ে হত্যা, কথিত প্রেমিক আটক 
নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের, ভোগান্তি চরমে
সংস্কারের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

মন্তব্য

p
উপরে