বরিশালে একসঙ্গে তিন ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। গৌরনদী উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শুক্রবার রাতে তিনি মা হন।
বর্ষা আক্তার নামের ২৩ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ উপজেলার যুগীহাটি গ্রামের ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি পলাশ মোল্লার স্ত্রী।
তিন সন্তানের জন্ম হওয়ায় ওই পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে। এদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ায় শিশুদের দেখতে হাসপাতালে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন।
বর্ষার শাশুড়ি রোজিনা বেগম জানান, বর্ষাকে শুক্রবার বিকেলে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর সুইজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
ওই রাতেই চিকিৎসক শিউলির তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন ছেলের জন্ম দেন বর্ষা। শনিবার সকালে তিন সন্তানের নাম রাখা হয়েছে আবু বকর, মিজানুর রহমান ও ওমর ফারুক।
এদিকে এক নবজাতক অসুস্থ হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর দুই সন্তান ও তাদের মা সুস্থ আছেন।
সুইজ হাসপাতালের পরিচালক শেখ রুপা খানম দাবি করে বলেন, ‘গৌরনদীর কোনো হাসপাতালে এ প্রথমবার একসঙ্গে তিনটি সন্তানের জন্ম হয়েছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তিন বাচ্চার পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসের শীর্ষ ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ৪৬তম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাময়িকীটি মঙ্গলবার এ তালিকা প্রকাশ করে, যাতে শীর্ষস্থান দখল করেছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুল ভন দার লিয়েন।
তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন ল্যাগার্দ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
ফোর্বসের তালিকায় চতুর্থ থেকে দশম অবস্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফট, সিভিএসের সিইও কারেন লিঞ্চ, সিটি গ্রুপের সিইও জেন ফ্র্যাজার, ফিডেলিটির চেয়ারম্যান ও সিইও আবিগালি জনসন, জেনারেল মোটরসের সিইও মেরি বারা ও বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার মেলিন্ডা গেটস।
ফোর্বস ২০০৪ সাল থেকে শীর্ষ ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এ তালিকায় স্থান পাওয়া নারীদের দৃশ্যমান বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আমলে নেয়া হয়।
সাময়িকীটির তালিকায় ৩২তম স্থানে রয়েছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এতে ৪৬তম অবস্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তালিকায় যিনি পড়েছেন পলিটিকস অ্যান্ড পলিসি ক্যাটাগরিতে।
ফোর্বসে প্রধানমন্ত্রীর প্রোফাইলে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী, যিনি বর্তমানে তার চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একই সঙ্গে বিশ্বের সর্বোচ্চ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নারী সরকারপ্রধান।
আরও পড়ুন:দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সর্বত্তে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের ভূমিকা কোনো অংশেই কম নয়। ক্রীড়া আঙ্গিনায় নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে একই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে। অর্থাৎ শঙ্খচিলের মতো বিশ্বের বুকে নিজেদেরকে মেলে ধরেছে নারীরা।
আর এ ক্ষেত্রে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নারী শিক্ষার্থীরাও কোনো দিক থেকে পিছিয়ে নেই। পরীক্ষার খাতায় যেমন নিজেদেরকে প্রথম তালিকায় রেখেছেন, ঠিক তেমনি ক্রীড়া আঙ্গিনায় নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছেন কুবির নারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উৎসাহী করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। মেয়েদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ আগ্রহী করতে ব্যাডমিন্টন, কারাম, ভলি বল, ক্রিকেট-ফুটবল সহ নানা রকম উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ক্লাব।
সম্প্রতি শেখ হাসিনা হল ও নবান ফয়জুন্নেছা হলে নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্টগুলোতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহী করতে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও ক্রীড়া ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করায় ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ দেয়া হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও খেলাধুলায় আগ্রহী হচ্ছে।
মেয়েরা ক্রিকেট, ভলি বল, ব্যাডমিন্টনের মত বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজিম আবিদা নৌশিন বলেন, ‘আমরা সাধারণত দেখি মেয়েরা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ কম করে, স্পোর্টস স্কলারশিপ দিয়ে এই আগ্রহের জায়গাটা মেয়েদের মাঝে আরও প্রবল হয়েছে। আশা করা যায় সামনের দিনগুলোয় এই প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে। আরও অনেক মেয়ে নিজ প্যাশন থেকে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতে চাইবে।’
সম্প্রতি ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ পাওয়া চৈতি চাকমা বলেন, ‘খেলাধুলায় মেয়েদের আগ্রহী করতে বিভিন্ন খেলার টুর্নামেন্ট আয়োজনের পাশাপাশি ভাইস চ্যান্সেলর স্পোর্টস স্কলারশিপ প্রদানেরও উদ্যোগ নিয়েছেন উপাচার্য তথা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওনার এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা মনে করি।’
ক্রীড়া কমিটির নারী সদস্য রেইজওয়ানা আফরিন রূম্পা বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি শরীরচর্চা ও খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই প্রথম মেয়েদের খেলাধুলার জন্য ক্রীড়া মেধা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সবগুলো বিভাগ থেকে মেয়েদের ডাকা হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি আমাদের ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও খেলাধুলায় এগিয়ে যাক। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। আশা করছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও এগিয়ে যাবে।’
ক্রীড়া কমিটির আহবায়ক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক বছর সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পৃষ্ঠপোষকতার কারণে ছেলেদের পাশাপাশি খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশের নারীরাও। এখন খেলাধুলায় আমাদের মেয়েরা ভালো করছে। বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে মেয়েরাও খেলাধুলায় উৎসাহিত হয়ে আন্তঃবিভাগ ও হল কেদ্রিক বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহন করছে। ছেলেদের পাশাপাশি আমাদের মেয়েরাও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
আরও পড়ুন:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ষষ্ঠ উপাচার্য এবং প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ও সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ করা হয়েছে। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ বছর হবে। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসরগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে উক্ত মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, ভাইস চ্যান্সেলর পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ অথবা অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক সাদেকা হালিম উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ নেন। ১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
সাদেকা হালিম কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি থেকে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি নেন। পরে কমনওয়েলথ স্টাফ ফেলোশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। তথ্য কমিশনের প্রথম নারী তথ্য কমিশনার ছিলেন তিনি।
পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য ও সিনেট সদস্য ছিলেন। তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটি-২০০৯ এর কমিটিতে সদস্য ছিলেন। তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম নারী ডিন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির বহিঃসদস্য হিসেবে রয়েছেন।
আরও পড়ুন:এসে গেছে শীত। চারদিকে শীতের আমেজ ছড়িয়ে যাচ্ছে জোর কদমে। এখনো পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা না লাগলেও গরম পোশাক পরার মতো শীতল বাতাস লেগে যাচ্ছে শরীরে। যারা স্টাইলিশ পোশাক পরতে চান, তাদের জন্য এ সময় থেকে শুরু করে পুরো শীত জুড়েই উপযোগী সময়। চমত্কার সব স্টাইলিশ পোশাক হতে পারে আপনার এ সময়ের সঙ্গী। শুধু পোশাক নয় এসময় পোশাকের সাথে মিল রেখে বদল করতে পারেন অন্যান্য সাজসজ্জাও।
শীতকালে চাদর, জ্যাকেট, সোয়েটার বা যত ধরনের ভারী পোশাক সবই পরা যায়। সব ধরনের পোশাক পরা গেলেও মেয়েরা শীতে মেরুন অথবা কালো রঙের পোশাক পরতে পারেন। তরুণীরা এখন বেশি জ্যাকেট পছন্দ করে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে ডেনিম, ফ্লানেল, কর্ড, উল, মোটা ক্যানভাসের কাপড়, প্যারাসুটের কাপড় এবং চামড়ার তৈরি জ্যাকেট। ভারী কাপড়ের লম্বা পোশাকও আরামদায়ক শীতে। ভেলভেটের কোটি জড়িয়ে নিলে শীত এবং ফ্যাশন দুইদিকই বজায় থাকবে। অন্যদিকে পার্টি কিংবা দাওয়াতে গেলে ভেলভেটের ফুলহাতা বা হাতাকাটা হলে ওপরে আড়াআড়ি কিংবা লম্বা করে নরম বা পশমি চাদর জড়িয়ে নিতে পারেন।
আঁটসাঁট জিনস থেকে শুরু করে ঢোলা জিনস, সবই চলছে মেয়েদের হাল ফ্যাশনে। ব্যাগি, স্ট্রেট কাট, বুটকাট লেগ, ফ্লেয়ার জিনস হাল ফ্যাশনে পছন্দ করছেন প্রায় সব বয়সী নারীরা। মোটা কাপড়ের থ্রি পিসের সঙ্গে পরতে পারেন জেগিংস। এর সঙ্গে গায়ে জড়িয়ে নেওয়া যায় পাতলা চাদর।
শীতে অফিসে ফর্মাল ভাবে বেনী, পনিটেইল বা চুল হালকা ফুলিয়ে বাধা যেতে পারে। পার্টি হলে চুল খোলা রাখতে পারেন বা হালকা ফুলিয়ে স্টাইল করতে পারেন। বিয়ের অনুষ্ঠান হলে মানানসই খোপা করতে পারেন।
শীতকালে যথাসম্ভব পা ঢাকা জুতা পরুন। এতে করে পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন এবং পায়ে ঠাণ্ডাও লাগবে না। মেয়েরা কেডস, পার্টি স্যু, অফিসে নর্মাল স্যু বা পোশাক বুঝে বুট বা উঁচু হিলের সু পরতে পারেন।
আরও পড়ুন:ফায়ার সার্ভিসের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী ফায়ারফাইটার সদ্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৫ জন ফায়ারফাইটার যোগদান করেছেন। নিয়োগপত্রের শর্ত অনুযায়ী শনিবার তারা নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন।
রোববার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার জানান, যোগদানের পর তাদের মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়। রোববার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে তাদের স্বাগত জানান। পরে নবীন ফায়ারফাইটারা মহাপরিচালকের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় অধিদপ্তরের দুইজন পরিচালকসহ ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের ২০ জুন ফায়ারফাইটার নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফায়ারফাইটার (মহিলা) পদে ২ হাজার ৭০৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই, শারীরিক যোগ্যতা ও মেডিকেল টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ১৫ জনকে চূড়ান্তভাবে ফায়ারফাইটার (মহিলা) পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করে নিয়োগপত্র জারি করা হয়। সিভিল সার্জনের সুস্থতার সনদপত্রসহ তারা শনিবার এই পদে যোগদান করেন।
ইতোপূর্বে ফায়ার সার্ভিসে অফিসার পদে নারী কর্মকর্তা যোগদান করলেও ফায়ারফাইটার পদে কখনো কোনো নারী নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি এবং নিয়োগের কোনো সুযোগও ছিল না।
ফায়ারফাইটার (নারী) পদে যে ১৫ জন যোগদান করেছেন তারা হলেন মোছা. মাজেদা খাতুন, পাপিয়া খাতুন, পিংকি রায়, মোছা. মাইমুনা আক্তার, রিমা খাতুন, মিস মেহেরুন্নেছা মিম, মোছা. আরজুমান আক্তার রিতা, মিশু আক্তার, ঝর্না রানী পাল, মোছা. কাকুলী খাতুন, ইসরাত জাহান ইতি, মোছাম্মৎ নাজমুন নাহার, মোসা. ইয়াসমীন খাতুন, মোছা. রুজিনা আকতার ও প্রিয়াংকা হালদার।
রেস্তোরাঁয় সপ্তাহে সাত দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা নাগাদ ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। বিনিময়ে মাসে বেতন দেয়া হবে সাত থেকে আট হাজার টাকা। এ বেতনের জন্য কিশোরী বা তরুণী প্রার্থীর থাকতে হবে ১৩টি যোগ্যতা।
এসব যোগ্যতার কথা উল্লেখ করে গত বুধবার (১ নভেম্বর) রাত ১১টা ১৯ মিনিটে ফেসবুক পেজে পোস্ট দেয় রাজধানীর পশ্চিম পান্থপথের ‘অষ্ট ব্যঞ্জন’ নামের রেস্তোরাঁ।
পোস্টে বলা হয়, ‘মেয়ে ওয়েটার নিয়োগ। পদ: ৩ জন। যোগ্যতা——দেখতে সাদা কিংবা হলুদ ফর্সা। উচ্চতা কমপক্ষে ৫'৬"। চেহারা মডেলদের মতো হতে হবে। মেকআপ করায় দক্ষতা থাকতে হবে। সুস্পষ্টভাবে ইংলিশে কথা বলতে হবে। নরম ভাষী ও লাজুক হতে হবে। ভদ্র ও নামাজি হতে হবে। গান জানলে ভালো (কাস্টমারকে মাঝে মাঝে গান শোনাতে হতে পারে)। বয়স অবশ্যই ১৬-১৮ হতে হবে। ভালো রান্না জানতে হবে। নাচ-অভিনয়ে পারদর্শী হতে হবে। টানা টানা হরিণীর মতো চোখ। ওজন ৫০-এর মধ্যে হতে হবে।’
সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে পোস্টে বলা হয়, ‘বেতন: মাসিক বেতন ৭-৮ হাজার টাকা। ডিউটি: সপ্তাহে ৭ দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা (মালিকের গাড়িতে বাসায় পৌঁছে দেয়ার সুযোগ আছে)।’
পোস্টের বিষয়ে যা বললেন অষ্ট ব্যঞ্জনের মালিক
ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে জানতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অষ্ট ব্যঞ্জনের মালিক সাইফুল আজমের সঙ্গে কথা বলে নিউজবাংলা। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, পোস্টটি সত্যি সত্যিই নিয়োগের জন্য নাকি মজা করে দেয়া হয়েছিল।
জবাবে রেস্তোরাঁটির স্বত্বাধিকারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘না, সিরিয়াসলি না। এটা ফানি ভিডিও। একটা ফানি ভিডিও দিছিল তো!’
তার উল্লিখিত উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রতিবেদক বলেন, ‘এটা ভিডিও না, এটা একটা পোস্ট। এই পোস্টের মধ্যে কিছু লেখা আছে। আর একটা ছবি দেয়া আছে। অষ্ট ব্যঞ্জন লেখা আছে।
‘এখানে অলরেডি ৩৯ হাজার লাইক পড়েছে, ১০ হাজার কমেন্ট করেছে। আর ৫০৭টা শেয়ার হয়েছে।’
অষ্ট ব্যঞ্জনের মালিকের উদ্দেশে জানতে চাওয়া হয়, এ ধরনের মজা করাটা উচিত হয়েছে কি না। একই সঙ্গে পোস্টে যে ধরনের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, সেগুলো স্ববিরোধী কি না, তাও জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।
জবাবে সাইফুল আজম বলেন, ‘মানে একটা ফানি ইয়া (পোস্ট) তো। এই আরকি। ফানি মার্কেটিং প্ল্যান।’
এ ধরনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কেউ কেউ বিভ্রান্ত হতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি একটু আপনাদের বলি। আমাদের তো এই যে ব্লগাররা কাজ করে না, এরা তো আসলে কনটাক্ট করা (চুক্তিতে নেয়া)। ব্লগাররা বিভিন্ন রকমের আসলে পেজের রিচের জন্য অনেক কিছু করে বা একটা ইয়া করে, এভাবে আরকি। অনলাইনে এটা জাস্ট এই।
‘এগুলা তো আমাদের তো আর জানা নাই। আমরা তো যেটা হয়তো কমপ্লেইন (অভিযোগ) করার পরই আমরা বলছি, যেটা সমস্যা হইলে সেটা আমরা…ডিলিট করে দেবে বা এডিট করে দিতে বলছি।’
এ প্রতিবেদন লেখার সময় অষ্ট ব্যঞ্জনের পেজে পোস্টটি ছিল। সেটি রাখা হবে নাকি সরিয়ে দেয়া হবে জানতে চাইলে রেস্তোরাঁর মালিক বলেন, ‘এটা তো সরায়া দেয়া হবে; এটা থাকবে না।’
সাইফুল আজমের সঙ্গে ফোনালাপের পর এ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগেই পেজ থেকে পোস্টটি সরিয়ে দেয়া হয়। গত বুধবার রাতের যে সময়ে (১১টা ১৯ মিনিট) নিয়োগের পোস্টটি দেয়া হয়, একই সময়ে পেজে অন্য পোস্টে দেখা যায়।
নতুন পোস্টে খাবারের ছবি ও বিভিন্ন শাখায় যোগাযোগের নম্বর ছিল।
আরও পড়ুন:প্রথমবারের মতো কৃষ্ণাঙ্গ কোনো ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ক্লদিন গেকে নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে নেতৃত্ব দেয়া দ্বিতীয় নারী ক্লদিন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর ও হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট মাউরা হ্যালি শুক্রবার বিকেলে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্লদিনের নিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট গে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনার দায়িত্বপ্রাপ্তি সত্যিই ঐতিহাসিক। আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সমর্থন।’
প্রেসিডেন্ট পদে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর হার্ভার্ডের প্রধান নিয়ন্ত্রক বোর্ড হার্ভার্ড করপোরেশন ক্লদিন গেকে নিয়োগ দেয়।
১৬৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ক্লদিনকে। তিনি ১৯৯৮ সালে সরকার বিষয়ে হার্ভার্ড থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি।
এর আগে কলা ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্লদিন। তিনি রাজনৈতিক আচরণের ওপর শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ।
২০১৭ সালে ‘ইনইকোয়ালিটি ইন আমেরিকা ইনিশিয়েটিভ’ নামের উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন ছিলেন তিনি। এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য নিয়ে গবেষণা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য