বিএনপির মঙ্গলবারের পদযাত্রায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা চারটি মামলা করা হয়েছে।
এসব মামলায় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ দলটির ২১১ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার পর বগুড়া সদর থানায় তিনটি ও দুপচাঁচিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়। সদর থানার মামলা দুটি বিস্ফোরক দ্রব্য ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে। এ তিন মামলারই বাদী পুলিশ।
দুপচাঁচিয়া থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার বাদী শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের চালক ফেরদৌস।
বগুড়া সদর থানার মামলায় রাতেই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
দুপচাঁচিয়া থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় স্থানীয় বিএনপির তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনসহ অন্যান্য ধারায় চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ জানায়, বিএনপির মঙ্গলবারের পদযাত্রা কর্মসূচি অনুযায়ী গাবতলী, শাহাজানপুর, ধুনট, শেরপুর ও বগুড়া শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডের বিএনপিসহ তাদের অঙ্গ সংগঠন বনানী থেকে মিছিল নিয়ে সাতমাথার জেলা কার্যালয়ের দিকে রওনা দেয়। এ পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা।
বিএনপির মিছিলটি ইয়াকুবিয়া মোড়ে এসে সোজা রাস্তা দিয়ে সাতমাথার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে ব্যারিকেড দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের জলেশ্বরীতলা কালিমন্দির হয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে বলা হয় । এ বাধাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে পদযাত্রার পেছন থেকে লাঠিসোটা, ইট ছুড়তে থাকেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই সময় পুলিশ ১০টি টিয়ারশেল ও ২০টি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ওই সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক তরিকুল ইসলামসহ ৮ পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় বগুড়া বনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করেছেন। মামলায় বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাকে প্রধান আসামি করা হয়। আরও ৪৮ জনকে এতে আসামি করা হয়।
পুলিশের ভাষ্য, ওই দিন দুপুর দেড়টার দিকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনাতেও বিএনপি নেতা আলী আজগর তালুকদার হেনাকে প্রধান আসামি করে ২৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। মামলা করেন সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শহীদুল ইসলাম।
একই দিন দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে শহরের নবাববাড়ি সড়কে পুলিশের ওপর ককটেল হামলার অভিযোগ বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে আলাদা আরেকটি মামলা করেন বগুড়া সদর থানার এসআই আব্দুল মালেক। মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশাসহ ১১৪ জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের চারটি টিয়ারশেল ও ২০টি রাবার বুলেট নিক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, বিএনপির গ্রেপ্তার দুই নেতাকে বুধবার আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
বাস ভাঙচুরের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের চালক মো. ফেরদৌস।
মামলায় আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি সভাপতি আবদুল মুহিত তালুকদারসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মঙ্গলবার বগুড়া শহরে পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে উপজেলার সাহারপুকুর বাজার এলাকায় শাহ ফতেহ আলী পরিবহনসহ দুটি বাস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ মামলায় বিএনপির তিন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার ইসিতে আপিল করেছেন ১৫৫ জন প্রার্থী। এ নিয়ে গত তিন দিনে মোট আপিলের সংখ্যা ৩৩৮ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব ও মুখপাত্র মো. জাহাংগীর আলম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাতিল হওয়া ৭৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম দিন আপিল করেছিলেন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন করেন ১৪১ জন আর তৃতীয় দিনে করেছেন ১৫৫ জন। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত আপিল করেছেন ৩৩৮ জন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ৩৩৮ জন থানার ওসি বদলিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। একইসঙ্গে ইউওনদের বদলির ক্ষেত্রে তিন ধাপে প্রস্তাব এসেছিল; প্রথম ধাপে ৪৭ জন, দ্বিতীয় ধাপে ১১০ জন এবং তৃতীয় ধাপে ৪৮ জন। মোট ২০৫ জনের বদলির প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন সম্মতি দিয়েছে।’
এছাড়া ৪০তম বিসিএস থেকে উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসার হিসেবে নন ক্যাডার ৮৩ জনকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ প্রদান করেছে। তারা ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে যোগদান করবেন বলে জানান তিনি।
দেশের সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি। কারণ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সরকার গঠন করেছিলেন। তারপর তিনি সরকারের ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন।’
হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজনীতিতে নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নাগরিক সমাজ সময়ে সময়ে যেসব কথাবার্তা বলে সেগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখি। কিন্তু দেশজুড়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে যে অগ্নিসন্ত্রাস পরিচালনা করা হচ্ছে, অনেক মানুষ এই অগ্নিসন্ত্রাসের বলি হয়েছে, সেই আওয়াজটা সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক সমাজ এবং নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আসা প্রয়োজন। কিন্তু নাগরিক সমাজের কোনো বক্তব্য-বিবৃতি নেই। এটি খুবই দুঃখজনক।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি, নাগরিক সমাজ বা বুদ্ধিজীবী বলে যারা পরিচিত তারা সময়ে সময়ে বিবৃতি দেন আর এখন নিশ্চুপ, তাদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এরা সুবিধাবাদী এবং এদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে।’
‘আওয়ামী লীগ দল ভাগানোর রাজনীতি করছে’- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নেতারা বিএনপি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন- এই দলটা কেন করেন, যে দল আপনাদেরকে সংসদ নির্বাচন, উপজেলা বা জেলা পরিষদ নির্বাচন তো দূরের কথা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও করতে দেয় না?’
তিনি বলেন, ‘এক সময় রিজভী সাহেবরা দেখবেন যে ওনারা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ নেই, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। কারণ বিএনপির এই অপরাজনীতির সঙ্গে দলটির নেতারাই একমত নন। রিজভী সাহেবের মতো কিছু মানুষ আছেন- ইয়েস স্যার, হ্যাঁ স্যার, জি স্যার। তারাই তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে এই অগ্নিসন্ত্রাসের আহ্বান জানাচ্ছেন। এই অপরাজনীতি থেকে তাদের বের হয়ে আসা প্রয়োজন।’
বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না- এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি দল নির্বাচনে না এলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না এমন তো সংবিধানে লেখা নেই। পৃথিবীর কোনো আইনেও লেখা নেই। বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে যেখানে বহু দল অংশ নেয়নি। যেমন ১৯৭০ এর নির্বাচনেও অনেক বড় নেতার নেতৃত্বাধীন দল অংশগ্রহণ করেনি। কিন্তু মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিলো এবং সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’
‘এবার অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পরও প্রতি আসনে প্রায় ৭ জন করে প্রার্থী আছেন। গ্রামে-গঞ্জে নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। সুতরাং দেখতে পাবেন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।’
আরও পড়ুন:নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুসন্ধান কমিটির শোকজের জবাব দিয়েছেন আলোচিত আইনজীবী স্বতন্ত্রপ্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে তিনি লিখিত ব্যাখ্যা দেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজনীতিবিদ হিসেবে বা একজন প্রার্থী হিসেবে আমার আত্মপ্রকাশ মাত্র দু’সপ্তাহের, কিন্তু এর আগেই একজন ফুটবলার হিসেবে বা ফেসবুকের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে আমি যেখানেই দাঁড়াই, সেখানেই কিছু মানুষ এসে যায়। পথসভার মাধ্যমে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আর যেহেতু ওখানে কোনো কর্মসূচি ছিল না, তাই পুলিশকে জানানো হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আইনের মানুষ হিসেবে আমার সবসময়ই লক্ষ্য থাকে, যেন কোনো বিধি লঙ্ঘিত না হয়। আমি আমার ব্যাখ্যা দিয়েছি, এখন বাকিটা আদালতের বিষয়।’
গত ৪ ডিসেম্বর নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন ওই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হবিগঞ্জ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির পত্রে বলা হয়, গত ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চুনারুঘাট উপজেলার আসামপাড়া বাজারে এক নির্বাচনি জনসভা করেন ব্যারিস্টার সুমন। প্রথমত, এটি একটি জনাকীর্ণ বাজার। দ্বিতীয়ত, উক্ত নির্বাচনি সমাবেশের জন্য বাজারের তিন রাস্তার মোড়সহ বাজারের ওপর দিয়ে চলাচলকারী প্রধান তিনটি সড়ক বন্ধ করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়। তৃতীয়ত, উক্ত নির্বাচনি সমাবেশের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি। ফলে, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৬ (খ, গ, ঘ) ভঙ্গ করা হয়েছে বলে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনকে এই কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন:রাজধানীর শান্তিনগর, শাহজাহানপুর ও আরামবাগের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার এসব এলাকায় গিয়ে তিনি স্থানীয় নির্বাচনি কার্যালয় পরিদর্শন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
ওই সময় নাছিম বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে, আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। যারা আমাদের ক্ষতি করতে চাইবে আমরা তাদের প্রতিহত করব।
‘৭ জানুয়ারির নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। এই সন্ত্রাসীদের আমাদের রুখতে হবে।’
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রবিন্দু হলো ঢাকা-৮ আসন। নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনের মেয়রের সাথে সমন্বয় করে আপনাদের জন্য কাজ করব। সব সমস্যা দূর করে ঢাকা-৮কে স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল তৈরি করব।’
নিজের সম্পর্কে নাছিম বলেন, ‘আমি রাজনীতির মানুষ। আমি ছোট থেকেই মাঠে-ময়দানে রাজনীতির মাধ্যমে বেড়ে উঠেছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে চলেছি। আমার কাছে মানুষের মূল্য অনেক বেশি। আমি কখনও কোনো মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করিনি ও বিভেদ সৃষ্টি পছন্দ করি না।
‘যে মানুষ যে পেশারই হোক, আমার কাছে সকলেই সমান এবং আমি সবাইকে শ্রদ্ধা করি, তবে যারা অসৎ লোক, মিথ্যা কথা বলে ও মানুষের ক্ষতি করে, আমি তাদের পছন্দ করি না।’
মতবিনিময় সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওলাদ হোসেন, ডা. দিলীপ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক সাঈদ, কেন্দ্রীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিজান, শাহজাহানপুর থানা সভাপতি দিপন আলী খান, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মনিরসহ শান্তিনগর, শাহজাহানপুর ও আরামবাগের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:সরকার পোশাক শিল্পের ধ্বংস ডেকে আনছে অভিযোগ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে।
সর্বাত্মক অবরোধের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “ভোটারবিহীন গণবিরোধী সরকার বাংলাদেশকে উপসংহারহীন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে। সমস্ত অর্থনৈতিক সেক্টর ধ্বংসের পর এবার তাদের কুনজর পড়েছে বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্পের দিকে। সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে পোশাক শিল্প ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। এমনিতেই শেখ হাসিনার আত্মীয়স্বজন ও দলের লোকরাও এত টাকা বিদেশে পাচার করেছে যে, তাদের ১৪ জেনারেশন বসে বসে খেতে পারবে।
“ক্রেতাদের মতামত উপেক্ষা করে সরকার সমর্থক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী শোষণ নীতির পক্ষে সরকারের অবস্থান, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি দমনে হত্যা, নিষ্পেষণ, অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত এবং প্রতিবেশী দেশের স্বার্থে এই সর্ববৃহৎ শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেয়া হয়েছে। শ্রম অধিকার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন শ্রমনীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রায় অবধারিত বলে আশঙ্কা করছেন মালিকরা। গতকাল পোশাক খাতে আতঙ্কের বিষয়টি মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আসলে বিদেশিরা পণ্য নেবে না। ইতিমধ্যে পণ্যের আদেশদাতারা এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছেন ঋণপত্র খোলার সময়। এমনকি পণ্য জাহাজীকরণের পর নিষেধাজ্ঞা আসলেও পণ্য নেবে না তারা।”
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে এ খাত ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ব্যবসা হারিয়েছে। পোশাক শিল্পের মালিকদের ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে উদ্ভট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বালখিল্য প্রদর্শন করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বললেই পোশাক রপ্তানি বন্ধ হবে না। নিষেধাজ্ঞা দিলে কিছুই হবে না। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলে আমরাও দেব।’ এমন পরিস্থিতির মধ্যে লক্ষ লক্ষ গরিবের রুটি রুজির একমাত্র কর্মক্ষেত্র গার্মেন্টস শিল্পের ধ্বংস ডেকে আনছে গণবিচ্ছিন্ন নিশিরাতের সরকার।
“কারণ দেশের মোট পোশাক রপ্তানির ৮২ শতাংশ যায় ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোয়। এসব দেশে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কমে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। মানুষের হাতে ভিক্ষার ঝুলি তুলে দিতে পারবেন শেখ হাসিনা। জনগণ বিশ্বাস করে, রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা এখন অন্য দেশের হাতে তুলে দিয়ে অবৈধ ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি চায় অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাশিয়া অবস্থান নেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মন্টিটস্কি। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোর অবৈধ নিষেধাজ্ঞাকে রাশিয়া স্বীকৃতি দেয় না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার ‘টক উইথ রাশিয়ান অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বিশ্ব যদি বাংলাদেশে আগামীতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে রাশিয়া কি ১৯৭১ সালের মতো বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো বেআইনি পদক্ষেপ যেমন নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ তাহলে নেয়া হয় রাশিয়া সবকিছুই করবে।’
পশ্চিমা বিশ্বের পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশ কোনো আর্থিক সংকটে পড়লে রাশিয়া কীভাবে সাহায্য করবে জানতে চাইলে মনটিটস্কি বলেন, ‘যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে আলোচনা করা হবে। আপনার দেশকে সহায়তা করার জন্য রাশিয়ান ফেডারেশন বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কী ধরনের সহায়তা দেয়া হবে তা নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
‘রাশিয়া পশ্চিমা বা অন্য কোনো দেশের অবৈধ নিষেধাজ্ঞাকে স্বীকৃতি দেয় না এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলে মস্কো আলোচনার পর জবাব দেবে।’
আলেকজান্ডার মনটিটস্কি বলেন, ‘আমরা শুধু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বা জাতিসংঘের সংস্থাগুলো আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে স্বীকৃতি দিই।’
যুক্তরাষ্ট্র বা এর মিত্ররা কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে রাশিয়া বাংলাদেশের জন্য কী করবে- এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানি না। আশা করি এমন কিছু ঘটবে না। যদি ঘটে, তাহলে কী করতে হবে আমরা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
পশ্চিমা বিশ্বের পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশ কোনো আর্থিক সংকটে পড়লে রাশিয়া কিভাবে সাহায্য করবে জানতে চাইলে মনটিটস্কি বলেন, ‘কোনো সমস্যা দেখা দিলে আলোচনা করা হবে। আপনার দেশকে সহায়তা করার জন্য রাশিয়ান ফেডারেশন বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কী ধরনের সহায়তা দেয়া হবে তা নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধির সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখানে আবারও ডাবল স্ট্যান্ডার্ড স্পষ্ট। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহুবার বলেছেন যে, তার (জাতিসংঘের প্রতিনিধি) নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। কারণ তিনি কেবল যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য নয়, বিশ্বের সব দেশের জন্য কাজ করেন।
‘অথচ তার বিবৃতিতে নিরপেক্ষতা নেই। জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বক্তব্যও একই। তাদের অনেকেই পশ্চিমা দেশের। তারা যখন জাতিসংঘে কাজ শুরু করেছিলেন, তখন তারা আমেরিকার পাসপোর্ট পেয়েছেন।’
রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘তারা আপনার মূল্যবোধ সংরক্ষণ বা রক্ষা করেন না; তারা পশ্চিমা দেশগুলোর প্রচারিত মূল্যবোধকে রক্ষা করেন।’
রাষ্ট্রদূত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিক্ষামূলক ও দক্ষ শ্রমিক অভিবাসন, প্রযুক্তি স্থানান্তর, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, ফিলিস্তিন সংকট এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়েও কথা বলেন।
রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টির সঙ্গে হওয়া বুধবারের বৈঠকে আসন বণ্টন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে বুধবার রাতে গুলশানে ওই বৈঠক হয়েছে দুই দলের। এ বিষয়ে তেমন একটা তথ্য দেয়নি কোনো পক্ষই।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদেরের কথাতে আসে ওই প্রসঙ্গ। সেখানে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো লুকোচুরি করছে না। জাপার সঙ্গে বৈঠকে আসন বণ্টনের প্রসঙ্গ আসেনি, আলোচনা হয়েছে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা-গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচনবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।
কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে কারো কোনো আপত্তি নেই। নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ডকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের আলোচনা চলছে। যার মূল উদ্দেশ্য নির্বাচনবিরোধী অপরাজনীতিকে প্রতিহত করা।
তিনি বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি ততই নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের নাশাকতার মাত্রা আরো বিস্তৃত হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার ভয়াবহ যে চিত্র তা রেকর্ড স্থাপন করছে। বুধবর পর্যন্ত ৬০০ গাড়ি ভাঙচুর করেছে, ১০টি রেলে আগুন দিয়েছে।
পোশাকখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নতুন শর্ত প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বন্ধু দেশগুলো বাংলাদেশের বিষয়ে চরম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর পক্ষপাতী নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কিভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।
তারপরও যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা দিবে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কোনো পণ্য নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম প্রমুখ।
মন্তব্য