কেউ রক্তচক্ষু দেখালে আওয়ামী লীগ করণীয় জানে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে মঙ্গলবার মহানগর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’র শুরুতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
বিএনপির বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপি গণ্ডগোল লাগানোর অপচেষ্টা করবে, কিন্তু সেই সুযোগ আমরা তাদের দেব না, তবে কেউ রক্তচক্ষু দেখালে আওয়ামী লীগ জানে কী করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মানসে সারা দেশে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
‘বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই তাদের উদ্দেশ্য, কিন্তু আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। জনগণের রায় নিয়ে শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে তারপর আমরা ঘরে ফিরে যাব।’
কারও প্রেসক্রিপশনে দেশ চলবে না মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনকানুন অনুযায়ীই দেশ চলবে; কারো প্রেসক্রিপশনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ চলবে না। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, যার ধমনিতে, শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে দিয়ে, এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েও বিএনপি-জামায়াত ফোন করিয়েছিল। শেখ হাসিনা সেগুলোর তোয়াক্কা করেন নাই। ন্যায়বিচার বন্ধ হয় নাই, ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল এসে তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কিছু বলেননি স্মরণ করিয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কি পদত্যাগ করেন? যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর কালিমা লেপনের অসৎ উদ্দেশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মলচত্বর, ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।
পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।
মিছিলে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদদ দেবে, তারা যেই হোক না কেন, ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।
ঢাবির ছাত্রী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবে না ছাত্রসমাজ।
যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক এ কথা জানিয়েছেন।
বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
এম এ মালেক বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।’
তিনি বলেন, ‘ডাক্তাররাও সে অনুপাতে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাডামকে সেভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দুই এক দিন এদিক সেদিক হতে পারে। তবে ম্যাডাম দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।’
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের লিডারের দেশে যাওয়ার সময় নিয়ে এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছু দিন পরে হয় তো তিনি দেশে ফিরবেন। এক সাথে দুই জন অবশ্যই যাবেন না এটা আমি বিশ্বাস করি।’
লন্ডন মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা আবুল হোসেন জসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ইউকের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফেন্দী লিটন, জিয়া পরিষদ যুক্তরাজ্য শাখা সভাপতি প্রফেসর ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন:সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, দীপু মনি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তারা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডের আদেশ দেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, দীপু মনিকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহতের মামলায় আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ইনু, মেনন, দীপু মনির মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন নিহতের আত্মীয় মো. আলী।
আনিসুল হকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২০ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।
সাদেক খানের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত ১৯ জুলাই অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে আসামিদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন:বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শুক্রবার লিখেন, ‘এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।’
তিনি লিখেন, ‘মাগুরায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু আছিয়া গত কয়েক দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় মৃত্যুবরণ করে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নির্মম পাশবিকতায় আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে।’
তিনি লিখেন, ‘আছিয়ার ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর থেকে গ্রামে। রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানে। একই সঙ্গে তার ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা ছিল প্রতিটি মানুষের। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএমএইচ থেকে আসা খবরে শোক আর ক্ষোভে এলাকার মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে মানুষরূপী কুলাঙ্গারদের।’
তারেক রহমান আরও লিখেন, ‘আমি শুরুতে এ ঘটনা জানার পর তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম। অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদের বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবাহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
‘বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে, যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে।’
আরও পড়ুন:মাগুরায় আট বছরের শিশুসহ দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারীদের ওপর সহিংসতা, নিপীড়ন, অনলাইনে হেনস্তার প্রতিবাদ এবং ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) কেন্দ্রীয় কমিটি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার দুপুর দুইটার দিকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জিসাস সভাপতি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোকেয়া সুলতানা কেয়া চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির। এ ছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জিসাস সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হেলাল।
কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণপূর্ত কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি ও জিসাস সহসভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, জিসাস সহসভাপতি এ কে এম এনামুল হক খান, রমজান আলী তিকো, ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেন (মিষ্টি), জিসাস যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন রাজু, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রন্জিতা কনা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী রিয়া খান, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মালা।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জিসাস সহসভাপতি কাজী সুজাউদ্দৌলা সুজা, মহি উদ্দিন হাওলাদার, জিসাস যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার মাহমুদ, জিসাস প্রচার সম্পাদক দিদারুল ইসলাম মেঘ, জিসাস সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন স্বপন, জিসাসের সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম, জিসাস সহ-প্রচার সম্পাদক আহমেদ মেহরান, জিসাস সদস্য খোকা মাহমুদ।
কর্মসূচি সঞ্চালনায় ছিলেন জনাব জিসাসের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জুলহাস মল্লিক।
আরও পড়ুন:বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি মেয়ে ও নারীর ক্ষমতায়ন ও সমর্থন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণী ও নারীরা তাদের চারপাশের মানুষদের কাছ থেকে ক্ষমতায়ন ও সমর্থন পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। প্রত্যেক নারীকেও পুরুষের সমান মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সুযোগ পাওয়া উচিত।’
তিনি উল্লেখ করেন, তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনজন অসাধারণ ব্যক্তি হলেন তার মা, স্ত্রী ও কন্যা।
তারেক রহমান ফেসবুক পেজে স্ত্রী জোবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবিও শেয়ার করেন।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমি সবসময় তাদের জন্য প্রতিটি সুযোগ, সাফল্য এবং সুখ চেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে আপনারা যারা এটি পড়ছেন তাদের অনেকেরই একই অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি আবারও দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের মতো আমাদেরও উচিত একটি ন্যায়পরায়ণ, সহিষ্ণু ও শ্রদ্ধাশীল সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া, যেখানে ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব মেয়ের ছেলেদের সমান সুযোগ থাকা উচিত এবং তাদের বাড়ির বাইরে পা রাখা উচিত। হয়রানি ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত এবং নির্ভয়ে তাদের কণ্ঠস্বর প্রকাশের সুযোগ নেওয়া উচিত।’
তারেক রহমান আরও বলেন, “বিএনপির নীতি প্রণয়নে একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত সমাজে নারীর অব্যবহৃত সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেয়, যেখানে দলের ‘ফ্যামিলি কার্ড’ কর্মসূচি, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, তরুণীদের শিক্ষার জন্য অ্যাকাডেমিক ও বৃত্তিমূলক প্রকল্পের মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
উপসংহারে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একসঙ্গে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করি।’
আরও পড়ুন:নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম নির্ধারক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম নির্ধারক হচ্ছে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আসুন, আমরা নারীদের প্রতি উগ্রতা, বিদ্বেষ এবং অশ্রদ্ধামূলক সকল আচরণকে না বলি এবং এই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সুসংহত করার জন্য আহ্বান জানাই।’
গত ১৫ বছরে হাজার হাজার পুরুষ, নারী গুম, খুন, অত্যাচারিত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে অমানবিক সংগ্রাম করেছে ওই পরিবারগুলোর নারীরা। জুলাইতেও আন্দোলনের শুরু এই বাংলাদেশের নারীদের হাতেই। শহীদ হয়েছে আমাদের সন্তানরা, ছোট শিশুকন্যাও। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্ট্রান, বৌদ্ধ, সকলেই এই আন্দোলনের শরিক।’
মির্জা ফখরুল আশা করেন, ‘আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়াই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ লক্ষ্য থাকবে। লিঙ্গ, বয়স, পেশা নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক যেন রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে নিরাপদ বোধ করে, এমন বাংলাদেশই আমাদের কাম্য। বাড়ি থেকে রাস্তায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে, অফিসে, সর্বত্র তাদের আত্মসম্মানকে মূল্যায়ন করা উচিত।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আজকের ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো জায়গা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীরা আমাদের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির অংশীদার। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে আসুন আমাদের অগ্রগতি দ্রুততর করতে পদক্ষেপ নিই।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য