× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Awami League candidate Arafat wanted justice for the attack on Hero Alam
google_news print-icon

হিরো আলমের ওপর হামলার বিচার চাইলেন আরাফাত

হিরো-আলমের-ওপর-হামলার-বিচার-চাইলেন-আরাফাত
ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ছবি: নিউজবাংলা
আরাফাত বলেন, ‘একজন প্রার্থীর সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে, আমি শুনেছি ও জেনেছি। এটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। সারাদিন খুব সুন্দরভাবে নির্বাচন চলছিল, শেষ মুহূর্তে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার প্রয়োজন ছিল বলে আমি মনে করি না।’

সুষ্ঠু তদন্তের পর ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত।

সোমবার ভোটগ্রহণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় তিনি হামলার ঘটনাকে খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, ‘একজন প্রার্থীর সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে, আমি শুনেছি ও জেনেছি। এটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। সারাদিন খুব সুন্দরভাবে নির্বাচন চলছিল, শেষ মুহূর্তে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার প্রয়োজন ছিল বলে আমি মনে করি না। এর মধ্য দিয়ে কেউ নির্বাচনকে বিতর্কিত করার একটি অপচেষ্টা করেছে বলে মনে হচ্ছে। এ ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি দাবি জানাই।’

তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে চাই। পরিবেশ বিনষ্ট হলে এটা নৌকার জন্যই ক্ষতি। যারাই আইনের ব্যত্যয় ঘটাবে সেখানেই আইনের প্রয়োগ হবে। সারাদিন ধরে কোনো সমস্যা হয়নি, শেষ মুহূর্ত কী হলো? এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মুখ উন্মোচিত হওয়া উচিত। তাদের সাজার আওতায় আনা উচিত। আমি শেষ মুহূর্তে খবর পেয়েছি চারজন আটক হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আনার দাবি জানাচ্ছি। যাতে ভবিষ্যতে যেন নির্বাচন ঘিরে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।

ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনের এ প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমি বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়েছি। আমাদের এজেন্টের মাধ্যমে কোথায় কী ঘটছে, কোথায় কি চলছে— এসব বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছি। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভালোভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। আনঅফিসিয়ালি খবর পাচ্ছি নৌকা বিজয়ী হতে যাচ্ছে। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমি মনে করি আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে যাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ দলের নেতাকর্মীরা।

এর আগে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুলের সামনে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানান তার সহকারী সবুজ। তিনি জানান, সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুলের পাশে একদল ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে হিরো আলমের ওপর হামলা চালান।

সবুজ আরও জানান, হিরো আলমকে রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Coast Guard has arrested two notorious drug dealers including Yaba and Ganja worth around Tk 2 lakh 3 thousand in a joint force operation in Mongla

মোংলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রায় ২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা মূল্যের ইয়াবা ও গাঁজাসহ কুখ্যাত ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

মোংলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রায় ২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা মূল্যের ইয়াবা ও গাঁজাসহ কুখ্যাত ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

মঙ্গলবার ১৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ রাতে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ দুপুর ২ টায় কোস্ট গার্ড বেইস মোংলার নেতৃত্বে নৌবাহিনী এবং পুলিশের সমন্বয়ে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানাধীন মোংলা বন্দর বহুমুখী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় একটি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা মূল্যের ১ কেজি গাঁজা ও ৪৩৭ পিস ইয়াবাসহ দুই জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

আটককৃত মোঃ বেল্লাল হোসেন (৪০) এবং মোঃ সগির হোসেন (৫২) বাগেরহাট জেলার মোংলা সদরের বাসিন্দা।

জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ও আটককৃত আসামীর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মাদক পাচার রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The species of indigenous fish must be protected by identifying reservoirs across the country Fisheries and Livestock Advisors

সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারাদেশ জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জলাশয়ে মাছের নানান প্রজাতি রয়েছে। এসব জলাশয় চিহ্নিত করে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করতে হবে।

উপদেষ্টা বুধবার (২০ আগষ্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে 'টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত করণীয়' -শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)।

সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অভয়াশ্রম গড়ে তোলা ও রক্ষা করা মৎস্যসম্পদ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমছে।

এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে আগে নীতি-নির্ধারণীতে হয়তোবা মনোযোগ কমছিল। তাই আমরা এখাতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের মুক্ত জলাশয় গড়ে তুলতে যা করণীয় তা করতেই হবে।

জিনগত বিলুপ্তি রোধ করা দরকার উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছের প্রজাতিগুলো রক্ষা করা এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং আন্তর্জাতিক মৎস্যসম্পদের প্রয়োজনে করতে হবে। কারণ আমরা প্রাকৃতিকভাবে এমন স্থানে রয়েছি যেখানে মাছ না খেয়ে বাঁচার উপায় নেই।

৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বিএফআরআইর গবেষণার ফলে ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহারকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ কত নিষ্ঠুর তারা মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহার করছে। এটি হচ্ছে মানুষের লোভ ও তাৎক্ষণিক লাভের কারণে।

প্লাস্টিকদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের পেছনে পানি ও প্লাস্টিকদূষণ অন্যতম ক্ষতির কারণ। সম্প্রতি প্লাস্টিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি। প্লাস্টিক চুক্তি মানুষের পক্ষে ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বাংলাদেশও স্বাক্ষর না করে চলে এসেছে।

বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, সম্মানিত অতিথি ছিলেন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআইর ঊধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মশিউর রহমান। এসময় বিএফআরআই এর বিজ্ঞানীবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মৎস্যজীবী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Eliminate illegal gas connection to eliminate the titas gas by the Titas Gas to collect fine

‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে জনাব মিল্টন রায়, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ - নারায়ণগঞ্জ, জোবিঅ-এনায়েতনগর -কাশিপুর আওতাধীন বাড়ৈভোগ, ফতুল্লা এবং শাসনগাও, চাঁদনী হাউজিং, নারায়ণগঞ্জ এলাকার দুইটি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, বাড়ৈভোগ, ফতুল্লা এলাকায় অভিযানকালে পূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিসমিল্লাহ হোটেল এ আবাসিক লাইন হতে অবৈধভাবে ঘণ্টাপ্রতি ৯২ ঘনফুট হিসেবে ৬৫০.২৪ ঘনমিটার/মাস হারে গ্যাস ব্যবহার করায় গ্যাস লাইনটি পুনরায় বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করায় ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় কর্তৃক জরিমানাকৃত ৫০,০০০/- টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে এবং একই এলাকায় অন্য একটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মায়ের দোয়া হোটেল এ ইতিপূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত আবাসিক গ্যাস লাইন হতে ঘণ্টাপ্রতি ২৪৭ ঘনফুট হিসেবে ১৭৪৫.৭৭ ঘনমিটার/মাস হারে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে গ্যাস লাইনটি পুনরায় বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করায় ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় কর্তৃক জরিমানাকৃত ৫০,০০০/- টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে। এছাড়া, শাসনগাও, চাঁদনী হাউজিং এলাকায় অভিযানকালে মেসার্স এম আর ইয়ার্ণ ডাইং এ ১ টন ক্ষমতাসম্পন্ন (ঘণ্টাপ্রতি ৩০০০ ঘনফুট হিসেবে মাসিক ২১,২০৩.৬৪ ঘনমিটার) একটি বয়লারে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে তাৎক্ষনিকভাবে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে কিল করা হয়। এতে করে তিনটি প্রতিষ্ঠানে মাসে প্রায় ৭.১০ লক্ষ টাকার গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে।

‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

একই দিনে, জনাব হাসিবুর রহমান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-মেঘনাঘাট আওতাধীন জামালদি, গজারিয়া,মুন্সিগঞ্জ এলাকার ০৫ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ১ টি মার্বেল ফ্যাক্টরী, ৩ টি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, এবং ১ টি বেকারীর গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৬০ ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে সর্বমোট ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক উইন্টার ড্রেস লিমিটেড (গ্রা:সং-৮৩৮/৩৩৮-০০০৭৫০), ঠিকানা: কলমা,সাভার,ঢাকা এর আঙিনা সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে গ্রাহকের শিল্প রানের গ্যাস ব্যবহারে বিভিন্ন প্রকার অসংগতি পরিলক্ষিত হয় যা পরীক্ষণ সাপেক্ষে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জোন কে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও, ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক ১২ গ্রিন স্কয়ার, গ্রীন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা এর আঙ্গিনা সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে বারো তলা বিশিষ্ট ভবনে দুইটি রাইজারের মাধ্যমে ০৩(তিন) ডাবল ও ০১(এক) সিঙ্গেল চুলায় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার জনিত কারণে সংযোগটি তাৎক্ষণিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিচ্ছিন্নকৃত দুইটি রাইজারের লক উইং কর্কে TGTDCL-1388136 ও TGTDCL-1388138 নম্বরের প্ল্যাস্টিক সীল স্থাপন করা হয়। বিচ্ছিন্নকৃত ০২(দুই) টি রেগুলেটর সংশ্লিষ্ট জোনে (মেঢাবিবি-৫) জমা প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়াও, জনাব সৈকত রায়হান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -জয়দেবপুর, জোবিঅ-জয়দেবপুর আওতাধীন টেকনগপাড়া ও তেলিপাড়া, বাসন থানা, গাজীপুর এলাকার ০২ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ৭০ টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩০০ ফুট (পিভিসি) পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১৯ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৯৭টি শিল্প, ৩৬৪টি বাণিজ্যিক ও ৬৫,৩২৯টি আবাসিকসহ মোট ৬৫,৯৯০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,২৫,২২৬টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ২৫০.৫ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Van workers death in a road accident in Keshabpur

কেশবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যান শ্রমিকের মৃত্যু

কেশবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যান শ্রমিকের মৃত্যু

যশোরের কেশবপুরে সড়ক দু'ঘটনায় লুৎফার রহমান (৬৫) নামে এক ভ্যান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২০ আগষ্ট) বেলা আড়াই দিকে পৌরসভার মধ্যকুল গ্রামের লুৎফার রহমান ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের দিকে আসছিলেন। পথিমধ্যে কেশবপুর ফিলিং ষ্টেশনের সামনে পৌছাইলে বিপরীদিক থেকে আসা যশোর গামী একটি মালবাহী ট্রাক তাকে থাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়। থানা পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, সড়ক দু'ঘটনায় আহত লুৎফার রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেছে।থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, কেশবপুরে সড়ক দু'ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে মামলা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য

সোনারগাঁয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের র‌্যালি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ

সোনারগাঁয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের র‌্যালি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ

স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সালাউদ্দিন সালুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য শফিকুল রহমান দেওয়ান, সোনারগাঁ উপজেলার যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরে-এ ইয়াসিন নোবেল, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকারিয়া সালেহ স্বপন, সদস্য এজাজ ভূইয়া, সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী পিয়ার হোসেন নয়ন, সোনারগাঁ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আতিক হাসান, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফারুক আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক আলিম আল রাজি, আতা রাব্বি জুয়েল প্রমুখ। এসময় উপজেলা ও পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ করা হয়। বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে বুক পেতে অংশগ্রহণ করে, বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, এ অবস্থায় বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ আছি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fukushima deployed robots to remove the radioactive ruins of the nuclear power plant

ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় ধ্বংসাবশেষ অপসারণে রোবট মোতায়েন

ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় ধ্বংসাবশেষ অপসারণে রোবট মোতায়েন

ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি চুল্লি ভবনে তেজস্ক্রিয় ধ্বংসাবশেষ অপসারণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জাপানি প্রযুক্তিবিদরা রিমোট-নিয়ন্ত্রিত রোবট মোতায়েন করেছেন।

টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

২০১১ সালের সুনামির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গলিত জ্বালানি এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করা, এই বিচ্ছিন্নকরণ প্রকল্পের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই কাজটি কয়েক দশক ধরে চলমান এবং এর জটিলতা ও বিপদ অনেক বেশি।

২০১১ সালের ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট সুনামির কারণে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তাতে প্রায় ৮৮০ টন বিপজ্জনক পদার্থ এখনও কেন্দ্রের ভিতরে রয়ে গেছে। এই দুর্ঘটনাটি জাপানের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্ল্যান্ট অপারেটর টেপকোর একজন মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন যে, কোম্পানিটি মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত চুল্লি ভবনগুলোর একটিতে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরিমাপ করার জন্য ‘স্পট’ এবং ‘প্যাকবট’ নামে দুটি রোবট মোতায়েন করা হয়েছে।

দুটিতেই তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত একটি যন্ত্র, ডসিমিটার এবং কুকুরের মতো দেখতে একটি ক্যামেরা রয়েছে।

টেপকো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তদন্তের ফলাফল ‘একটি পূর্ণাঙ্গ জ্বালানি ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার পদ্ধতি’ নির্ধারণে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হবে।

সরকারি সম্প্রচারক এনএইচকে এবং অন্যান্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে জরিপটি প্রায় এক মাস ধরে চলবে।

বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পের অধীনে তেজস্ক্রিয় পদার্থের ক্ষুদ্র নমুনা দুবার সংগ্রহ করা হয়েছে, তবে এখনও পূর্ণাঙ্গ নিষ্কাশন করা হয়নি।

বিশ্লেষণের জন্য নমুনাগুলো একটি গবেষণাগারে সরবরাহ করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rupganj fair is going on in the name of illegal gambling drug business

রূপগঞ্জে মেলার নামে চলছে অবৈধ জুয়া খেলা, মাদকের ব্যবসা রমরমা

রূপগঞ্জে মেলার নামে চলছে অবৈধ জুয়া খেলা, মাদকের ব্যবসা রমরমা

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বালুর মাঠে আনন্দ মেলার আড়ালে চলছে রমরমা জুয়ার আসর ও মাদক ব্যবসা। এ শুরু হওয়া ‘আনন্দ মেলা’ স্থানীয়দের জন্য আনন্দ নয়, বরং উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে,১২ দিন যাবত মেলার আড়ালে সেখানে চলছে অবাধে মাদক সেবন ও জুয়ার আসর। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেলায় দেখা যায় অসামাজিক কার্যকলাপ। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তারাবো পৌরসভার তারাব বিশ্বরোড সংলগ্ন বালুর মাঠে অনুমোদনহীন ভাবে চলছে এই আনন্দমেলা। প্রায় শতাধিক দোকানপাট বসেছে মেলায়। মেলার দক্ষিণ কর্নারে চলছে রমরমা জুয়ার আসর, রাত ১০ টার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত চলে মাদক বিক্রি ও সেবন । ইয়াবা ফেন্সি গাজা সহ বিভিন্ন রকমের মাদক পাওয়া যাচ্ছে এই মেলাতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান,২০২৪ সালের জুলাই আগস্ট আন্দোলনের পরে অনেকে নেতা বনে গেছেন,অনেকেই আবার দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে এসে বড় নেতা হয়ে গেছেন। তিন চার মাস পরে পরেই আয়োজন করা হয় এই মেলার, মূলত মেলার আড়ালে রয়েছে তাদের ভিন্ন ব্যবসা,মাদক এবং জুয়া তাদের মূল উদ্দেশ্য,মেলা হচ্ছে লোক দেখানো।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মেলার ভেতরে বিভিন্ন স্টলের আড়ালে ছোট ছোট অংশে জুয়ার বোর্ড বসানো হয়েছে। এতে অল্প বয়সী তরুণ থেকে শুরু করে বয়স্করাও অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে, মেলার এক কোণে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাদক। এতে উঠতি বয়সের যুবকদের একটি অংশ আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তাদের সন্তানেরা প্রতিদিন মেলায় গিয়ে টাকা নষ্ট করছে এবং মাদকের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। তারাব পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য- জহিরুল ইসলাম, তারাব পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব- নাবির প্রধান, পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক- আশিক,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শরীফ, আল-ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারী- জুয়েল, যুবলীগ কর্মী বর্তমানে ছাত্রদল কর্মী তানভীর প্রধান, বিশ্বরোড বাগান বাড়ী এলাকার জাহাঙ্গীরসহ অনেকেই এই মেলার আয়োজক।

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করে মেলাটিকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনা হোক। অন্যথায়, এই মেলা স্থানীয় সমাজে বিশৃঙ্খলা এবং অপরাধের হার আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেনঃ আমরা খুব হতাশ। আমাদের চোখের সামনেই এই ধরনের অসামাজিক কাজ চলছে। মেলা তো আনন্দের জন্য হয়, কিন্তু এটা এখন মাদকের আখড়া আর জুয়ার আড্ডায় পরিণত হয়েছে। আমাদের ছেলে-পেলেরাও এর শিকার হচ্ছে। মেলা বন্ধ করার জন্য আমরা প্রশাসনকে বারবার জানিয়েছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। মনে হচ্ছে, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এসব চলছে। এই মেলা আমাদের সমাজের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। সন্ধ্যার পর থেকে এখানে যে নোংরামি শুরু হয়, তাতে সুস্থ মানুষ যেতে পারে না। জুয়া আর মাদকের কারণে অনেক পরিবারে অশান্তি শুরু হয়েছে। মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। আগে এই ধরনের মেলায় মানুষজন তাদের পরিবার নিয়ে আসত, এখন ভয়ে কেউ আসে না। প্রশাসন যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিক। মেলার নামে যে অবৈধ কাজ চলছে, তা বন্ধ করা হোক। শুধু মেলার অনুমতি দিলেই হবে না, এর ভেতরের কার্যকলাপও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা দরকার। আমরা চাই আমাদের এলাকার যুবসমাজ এই সর্বনাশা পথ থেকে ফিরে আসুক। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)তরিকুল ইসলাম বলেন,তারাব পৌরসভার আনন্দ বিনোদন মেলার বিষয়ে বেশি আমার জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম বিষয়টি অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন,তারাব পৌরসভার আনন্দ বিনোদন মেলার তারা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি। তবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

p
উপরে