× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Presenting the results of monitoring behavioral risks for road safety
google_news print-icon

সড়ক নিরাপত্তার জন্য আচরণগত ঝুঁকিগুলোর পর্যবেক্ষণের ফলাফল উপস্থাপন

সড়ক-নিরাপত্তার-জন্য-আচরণগত-ঝুঁকিগুলোর-পর্যবেক্ষণের-ফলাফল-উপস্থাপন
সড়ক নিরাপত্তার জন্য আচরণগত ঝুঁকিগুলোর পর্যবেক্ষণের ফলাফল উপস্থাপন। ছবি: নিউজবাংলা
২০২৩ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে স্ট্যাটাস সামারি রিপোর্ট ২০২২ উন্মোচনের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিএসসিসি, জেএইচ-আইআইআরইউ, সিআইপিআরবি এবং ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জনাব মো. সেলিম রেজা।

সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বব্যাপী মানুষের মৃত্যু ও দীর্ঘমেয়াদী পঙ্গুত্বের অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেইফটি ২০১৮’-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় (রোড ক্রাশ) প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও ২০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয় বা পঙ্গুত্বের শিকার হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ২৪ হাজার ৯৫৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনার সমস্যা মোকাবিলার জন্য ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের অর্থায়নে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেইফটি (বিআইজিআরএস) নামক প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পটি ঢাকাসহ বিশ্বের ১টি দেশের ২৮টি শহরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিআইজিআরএস প্রকল্পের অংশ হিসেবে জন্স হপকিনস ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট (জেএইচ-আইআইআরইউ) সিআইপিআরবি- এর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে রোডসাইড অবজারভেশনাল স্টাডি পরিচালনা করছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সড়ক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির কারণসমূহের মূল্যায়নের জন্য ২০২১ সালের আগস্ট মাস থেকে মোট তিন রাউন্ড তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ তথ্যসমূহের ফলাফলের ভিত্তিতে এবং মূল সুপারিশগুলো তুলে ধরে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

২০২৩ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে স্ট্যাটাস সামারি রিপোর্ট ২০২২ উন্মোচনের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিএসসিসি, জেএইচ-আইআইআরইউ, সিআইপিআরবি এবং ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জনাব মো. সেলিম রেজা।

উক্ত অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশের বিআইজিআরএস অংশীদার সংস্থার প্রতিনিধিরা, একাডেমিক প্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে ভবিষ্যতে এ প্রতিবেদনের ফলাফল কীভাবে ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করেন।

ডা. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী, পরিচালক, সিআইপিআরবি প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যসমূহ তুলে ধরেন। জন্স হপকিনস ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট (জেএইচ-আইআইআরইউ) এর পক্ষে ডা. শিরিন ওয়াধানিয়া প্রতিবেদনের ফলাফল উপস্থাপন করেন।

ডা. শিরিন ওয়াধানিয়া তার উপস্থাপনায় উল্লেখ করেন যে, ২০২১ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে রিপোর্টকৃত ৮৩ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা ব্যবহারকারীরা (পথচারী, মোটরসাইকেলচালক এবং সাইকেলচালক) দায়ী।

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ১০ শতাংশ গাড়ির অতিরিক্ত গতি লক্ষ্য করা যায়। গতিসীমা অতিক্রম করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ট্রাকগুলোর (৮০ শতাংশ) মধ্যে। ভোর (ভোর ৪টা ৩০ থেকে সকাল ৬টার মধ্যে) পর্যবেক্ষণ করা যানবাহনগুলোর ৪৯ শতাংশ গতিসীমা অতিক্রম করে যাতায়াত করছিল। মোটরসাইকেলচালকদের মধ্যে হেলমেট ব্যবহারের হার ছিল সন্তোষজনক (৯২ শতাংশ)। কিন্তু আরোহীদের মধ্যে সঠিকভাবে হেলমেট ব্যবহারের হার ছিল মাত্র ৪৭ শতাংশ এবং শিশুদের মধ্যে তা ছিল আরও কম (৩১ শতাংশ)।

যানবাহন চালকদের মধ্যে সিটবেল্ট ব্যবহারের হার ছিল মাত্র ৫৭ শতাংশ এবং যাত্রীদের মধ্যে এই হার ছিল খুবই কম (৫ শতাংশ)। যানবাহনে যাতায়াতকারী শিশুদের মধ্যে কাউকেই চাইল্ড-সিট বা চাইল্ড-রেস্ট্রিয়েন্ট ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।

প্যানেল আলোচকদের একজন মো. শরীফ উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, ডিএনসিসি বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সড়ক প্রকৌশল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে নতুন রাস্তার নকশা বা বিদ্যমান রাস্তাগুলো উন্নত করার সময় প্রকৌশল নীতিগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।’

আরেকজন প্যানেলিস্ট শেখ মাহবুব ই রব্বানী, ডাইরেক্টর, রোড সেইফটি, বিআরটিএ বলেন, ‘সকল ধরনের রাস্তার জন্য গতিসীমা নির্ধারণে এবং নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ কাজ করে যাচ্ছে।’

মোহাম্মদ মামুনুর রহমান, সিনিয়র রোড সেইফটি স্পেশালিস্ট, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ) উল্লেখ করেন যে, ডিটিসিএ পথচারী বান্ধব রাস্তা পারাপারের উপাদানগুলোর প্রকৌশল নকশা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাথে শেয়ার করেছেন। এ ছাড়াও তাদের (ডিটিসিএ) নিজস্ব ওয়েবসাইটে পথচারী বান্ধব রাস্তা পারাপারের উপাদানগুলোর প্রকৌশল নকশা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

ডা. নুসায়ের চৌধুরী, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর উল্লেখ করেন, রোড সেইফটির এর অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নানাবিদ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জন্য একটি স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড কস্টেড অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ও পঙ্গুত্বের শিকার ব্যক্তিদের সার্বিক চিত্র জানার জন্য গবেষণা পরিচালনা করা এবং সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জরুরি ফার্স্ট-এইড সেবা প্রদানের জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা ইত্যাদি।

ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, ডাইরেক্টর, ডিপার্টমেন্ট অফ ইপিডেমিওলজি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিতি প্রচেষ্টায় এবং সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এটি সহনীয় মাত্রায় রাখা সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো. সেলিম রেজা তার বক্তব্যে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গৃহীত উদ্যোগ ও চলমান কার্যক্রমের কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল, মেকানিক্যাল সার্কেল ও সিভিল সার্কেল নামে তিনটি সার্কেল গঠন করে সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সড়ক দুর্ঘটনার ফলে বাংলাদেশ বিশেষ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তিনি সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন তাতে অবদান রাখতে ভবিষ্যতে সড়ক নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে রোডসাইড অবজারভেশনাল স্টাডি-এর ফলাফল কাজে লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।

প্রধান অতিথি মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা বর্তমান সময়ে একটি গভীর চিন্তার বিষয়। তবে এই সমস্যা সমাধানে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে যা অত্যন্ত ইতিবাচক।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে কাজী বোরহান উদ্দিন, ম্যানেজার, রোড সেইফটি, সিআইপিআরবি উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের প্রচেষ্টার জন্য শুভেচ্ছা জানান এবং সাফল্য কামনা করেন।

আরও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে বাইকের ধাক্কায় প্রাণ গেল দোকানির
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অন্য ট্রাকের ধাক্কায় তিনজন নিহত
মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
দিল্লিতে ‍দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চার তীর্থযাত্রী নিহত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহত দুই ভাই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
TCBs fair priced products in the capital started selling

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।

ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।

প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।

টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।

জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।

দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two women members of the Dhakkamara Chakra in the capital

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।

গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।

তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
212 cases in violation of traffic laws in the capital 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

আইসিডিডিআরবির গবেষণা

ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা

ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা

রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।

আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ‍যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।

আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।

আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।

উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।

এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested two drug dealers with a large amount of Yaba in the capital 

রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার 

রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।

পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Case of traffic law in the capital is 12 12 cases

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ৩,১৯২টি

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ৩,১৯২টি

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ২৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
5 cases in violation of traffic laws in the capital 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১,৬৭০ মামলা 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১,৬৭০ মামলা 

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৬৭০টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ২৫৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৬টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শনিবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে