কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চোরাকারবারি ধরতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বালাতাড়ী সীমান্তের কাছে বারোমাসিয়া নদীতীরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে অসুস্থ হয়ে যান মাহবুব আলম (৩১)। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে বালারহাট বিওপিতে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন মাহবুব। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার খালপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, মঙ্গলবার রাতে টহলরত তিন বিজিবি সদস্য এক চোরাকারবারিকে ধাওয়া করেন। ওই সময় চোরাকারবারি মালামালসহ নদীতে ঝাঁপ দেন। তাকে ধরতে সৈনিক মাহবুব ও মিজানুর নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
মোফাজ্জল আরও জানান, নদীর তীরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মাহবুব অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ওই সময় সহকর্মী মিজানুর তাকে ধরে সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা নৌকাসহ এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
বিজিবি জানায়, স্থানীয়দের সহায়তায় বিজিবি সদস্যরা অটোরিকশায় করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মাহবুবকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন।
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। নির্বাচনী হলফনামায় পেশা ক্রিকেটার উল্লেখ করে তিনি বার্ষিক গড় আয় দেখিয়েছেন ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ২৬২ টাকা। জামানতের বিপরীতে সাকিব ব্যাংক ঋণ দেখিয়েছেন ৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৬১ হাজার ৩৮২ টাকা।
সোমবার সাকিবের নির্বাচনী এলাকা মাগুরার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হলফনামায় বার্ষিক আয়, অস্থাবর সম্পত্তি, ঋণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাসহ বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করেছেন।
হলফনামায় দেখা গেছে, সাকিব আল হাসানের কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংক ঋণ দেখিয়েছেন ১১ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৬ টাকা। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ দেখিয়েছেন ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭৪ টাকা। আয় থেকে ব্যাংক আমানত দেখিয়েছেন ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৩ টাকা। হলফনামায় সাকিব আল হাসান স্বর্ণ দেখিয়েছেন ২৫ ভরি, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী দেখিয়েছেন ১৩ লাখ টাকা।
শুধু ইস্টার্ন ব্যাংকেই তার ১ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার ৩৬৩ টাকা ঋণ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।
শিক্ষাগত যোগ্যতায় সাবিক জানিয়েছেন তিনি বিবিএ পাস করেছেন। আর পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ক্রিকেটার।
নাশকতার মামলায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমানকে (৫৩) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আতাউর চলতি বছরের গত ২৯ অক্টোবর করা নাশকতার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান সোমবার রাত ১১টার দিকে জামায়াত নেতাকে আদালতের মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আতাউর স্থানীয় শোভাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। তিনি উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আজমিরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সকালে উপজেলার ছাপড়হাটি গ্রাম থেকে আতাউরকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষার জন্য জেলা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সোমবার দুপুরে এ সভার আয়োজন করা হয়।
হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ বাস্তবায়নে গঠিত প্রকল্প বাস্তয়ন কমিটিতে (পিআইসি) কৃষিজীবী ছাড়া অন্য পেশায় জীবিকা অর্জনকারীদের যুক্ত না করতে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি ইউএনওদের প্রতিপালন করারও নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
সভায় অংশগ্রহণকারী জেলা কমিটির সদস্যরা জানান, হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের সময় কাছাকাছি চলে এসেছে, এই সময়ে কৃষক ও কৃষিজীবী ছাড়াও অন্যদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে যুক্ত করার জন্য তদবির হয়। বাঁধের ব্যবসা করার জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করার চেষ্টা হয়।
বক্তারা বলেন, এবার যেন প্রকল্প গ্রহণ এবং পিআইসি গঠনে সতর্ক থাকেন সংশ্লিষ্টরা।
সভায় জানানো হয়, জেলার এক হাজার ৭১৮ কিলোমিটার হাওর রক্ষা বাঁধ দেখভাল করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এর মধ্যে সোমবারের সভায় ৩৭১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য ৭০ কোটি ৪২ লাখ টাকার প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেয়া হয় পাউবোর পক্ষ থেকে।
সভায় উপস্থিত সদস্যরা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সরেজমিনে এসব প্রকল্প দেখে অনুমোদন দেয়ার প্রস্তাব করেন।
১৫ ডিসেম্বর থেকে সুনামগঞ্জের হাওরগুলোয় ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:অর্থের বিনিময়ে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ করেছেন খোদ জেলা বিএনপি সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৮ সদস্য বিশিষ্ট শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কোনো রকম আগাম ঘোষণা ছাড়াই জেলা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্রদলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
জেলা ছাত্রদলের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৩ ডিসেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৮ সদস্য বিশিষ্ট শেরপুর জেলা ছাত্রদলের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে জেলা ছাত্রদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. নিয়ামুল হাসান আনন্দকে সভাপতি, মো. হাশেম আহম্মেদ সিদ্দিকীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মো. জাহিদ হাসান টিটুকে সহ-সভাপতি, মো. নাঈম হাসান উজ্জলকে সাধারণ সম্পাদক, মির্জা ইমরুল কায়েস রিয়াদকে সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মো. সাকিবুল হাসান তারা ও মো. মনির হোসেন শান্তকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং মো. জাকির হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ফেসবুকে এর পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। পরে ওই কমিটি গঠনের প্রতিবাদে সন্ধ্যায় ফেসবুকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন এবং গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে শওকত বলেন, ‘২০১৮ সালের ১২ জুলাই জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২৭৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর থেকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সাংগঠনিক দায়িত্ব ও কেন্দ্রঘোষিত সকল কর্মসূচি পালন করে আসছি। কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর সকল থানা, শহর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও কলেজ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলেজের সঙ্গে সঙ্গে ক্লাস কমিটিও করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশে নেতা-কর্মী নিয়ে অংশগ্রহণ করেছি, আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছি, আহত হয়েছি, মামলাও খেয়েছি। ঢাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে মিথ্যা দুটি মামলা দেয়া হয়েছে আমার নামে। ওইসব মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে থেকেও হরতাল-অবরোধ সফল করতে সশরীরে এবং নেতা-কর্মীদের দিয়ে প্রতিনিয়ত মিছিল, মশাল মিছিলে অংশগ্রহণ করছি। এরপরও শেরপুর জেলা ছাত্রদলের মতো একটি শক্তিশালী ইউনিটকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেয়ার জন্যই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত ৮ সদস্যবিশিষ্ট জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন কমিটি গঠন সম্পর্কে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেলসহ আমাকে বিন্দুমাত্র অবগত করা হয়নি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর একক সিদ্ধান্তে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতির নেতৃত্বে আমরা যখন আন্দোলনে ব্যস্ত, তখন সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীকে একদিনও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। সকল পক্ষের নেতাদেরকে নিয়ে পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করলে এত মতবিরোধ থাকত না।’
দলের স্বার্থে জেলা বিএনপি ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতামত নিয়ে ত্যাগী, পরিশ্রমী ও দক্ষ নেতৃত্ব দিয়ে জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠনে ওই বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, নতুন কমিটি গঠন করে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরির সময় এখন নয়। বরং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। কমিটি গঠন করতে হলে আন্দোলনের পর নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠন করা যেত।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, ‘এই কমিটি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আন্দোলনের সময়ে কমিটি দেয়াটা একেবারেই অনুচিত হয়েছে।
‘কমিটির সভাপতি শওকত শতভাগ অ্যাকটিভ একটা ছেলে। সব আন্দোলনেই তার সক্রিয় ভূমিকা থাকে। কোনো কারণ ছাড়াই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি ছাড়া আর কারোরই ছাত্রদলের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক যে হয়েছে, তাকে কেউই ভালো করে চেনে না। আমার মনে হয়, কমিটি সেন্ট্রাল থেকে টাকা দিয়ে করা হয়েছে। এই কমিটি থাকলে শেরপুরের আন্দোলন ব্যাহত হবে। সুতরাং এই কমিটি অবিলম্বে আমরা স্থগিত করা প্রয়োজন।’
আত্মগোপনে থাকায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এছাড়া নতুন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
জামালপুর-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শফিউর রহমান বরাবর সোমবার বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমের পক্ষে সমন্বয়কারী ইকরামুল হক নবীন স্বাক্ষরীত লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, সদর আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সোমবার জনপ্রতিনিধিদেরকে নিয়ে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, শরীফপুর ইউনিয়নের শরীফপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, লক্ষীরচর ইউনিয়নের বারুয়ামারী স্কুল মাঠে বিশাল গাড়িবহর এবং গরু জবাই করে ভুঁড়িভোজের ব্যবস্থা করে আচরনবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমের নির্বাচন সমন্বয়কারী ইকরামুল হক নবীন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলীয় সভার নামে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করে যাচ্ছেন, আমরা এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।’
নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন আচরণবিধির বিষয়ে নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, এখানে আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো কিছু হয়নি।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শফিউর রহমান বলেন, ‘আমি অভিযোগের বিষয় জেনেছি, তদন্ত করে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:সৌদি আরব গিয়ে নির্যাতনে নিহত হওয়ার দীর্ঘ ৫ মাস পর এপিবিএন ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় দেশে ফিরেছে মো. হানিফ নামের এক প্রবাসীর মরদেহ।
রোববার সন্ধ্যায় তার মরদেহ দেশে ফিরলে সোমবার সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ বিমানযোগে দেশে ফেরে রিক্রুটিং এজেন্সি অপশন ম্যানপাওয়ার ওভারাসিজ (আরএল ১৩৮৪)-এর মাধ্যমে সৌদি গিয়ে নির্যাতনে মৃত হানিফের মরদেহ। ব্র্যাক ও এপিবিএনের যৌথ সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে দীর্ঘ ৫ মাস পর তার মরদেহ দেশে ফেরানো সম্ভব হয়। মঙ্গেলবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে বিমানবন্দর থেকে মরদেহটি গ্রহণ করে তার পরিবার।
নিহত মো. হানিফ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক জানান, ‘রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি গিয়ে নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু, মরদেহ দেশে আনার আকুতি’ শিরোনামে চলতি বছরের ৩ জুলাই খবর প্রচার হলে বিষয়টি বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) নজরে আসে। খবরের সূত্র ধরে ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্র্যাক ও এপিবিএন। তারা হানিফের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে আনার বিষয়ে তার পরিবারকে আশ্বস্ত করে।
তিনি আরও জানান, জীবিকার সন্ধানে সৌদি আরবের আভা শহরে গিয়ে প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে হানিফের মৃত্যু হয়। গত ১৬ জুন রিয়াদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর সেখানে বসবাসকারী নিকটাত্মীয়রা তার মরদেহ দেশে ফেরানোর ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহে বিএনপির ৮৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওই মামলায় তিনজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারবকৃতরা হলেন- ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ৩০ বছর বয়সী খাইরুল আলম শাকিল, মহানগর ছাত্রদল নেতা ২৪ ৩০ বছর বয়সী আকরাম হোসেন, উত্তর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ৩০ ৩০ বছর বয়সী শুভ চন্দ্র দেবনাথ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর শম্ভুগঞ্জের রঘুরামপুর বরাইকান্দি এলাকায় বিএনপি-ছাত্রদলের একদল কর্মী অবস্থান নিয়ে নাশকতার চেষ্টা শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নাশকতাকারীরা গাড়িতে ভাঙচুর ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পেট্রোল বোমাসহ ছাত্রদলের ওই তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মন্তব্য