‘লসে গরু দেয়ার চেষ্টা করছি, তাও লিচ্ছে না। খামার থেকে চারটা গরু নিয়ে আসছি তিনদিন হলো। একটাও বিক্রি হয়নি।’
বুধবার সকালে রাজধানী গাবতলী পশুহাটে আক্ষেপের সুরে নিউজবাংলাকে কথাগুলো বলছিলেন বগুড়া থেকে আসা প্রান্তিক খামারি মো. রাসেল।
দুটি কালো রঙ্গের ফ্রিজিয়ান ও দুটি শাহীওয়াল গরু এনেছেন তিনি। এবারই প্রথম তিনি গাবতলী পশুহাটে গরু নিয়ে এসেছেন।
তার চারটি গরু যেখানে রেখেছেন সেই জায়গার ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৮০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এর বাইরে পরিবহন খরচ হয়েছে আরও ২০ হাজার টাকা। গরু চারটি প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার টাকার খাবার খায় বলে জানান মো. রাসেল।
গড়ে ৮০০ মনের ফ্রিজিয়ান দু’টি গরু তিনি এখন ১০ লাখ টাকা হলেই বিক্রি করে দেবেন। এ ছাড়া সাড়ে সাতশ মনের শাহীওয়াল গরুর দাম চাচ্ছেন সাড়ে চার লাখ টাকা করে। অথচ গত তিনদিনে এই অঙ্কের দাম কেউই বলেননি।
তার ভাষ্য, ওই দামে বিক্রি করলেও তার কোনো লাভ থাকবে না।
একই হতাশার কথা শোনান মানিকগঞ্জের খামারি শিবেন চন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবারের হাটে গরুর দাম কম।’
শুধু গাবতলী পশুহাট নয়, এবছর রাজধানীর বিভিন্ন পশুহাটে তোলা বড় জাতের গরু ও ছাগল-ভেড়ার দাম অনেক কম বলে জানিয়েছেন খামারিরা।
রাজধানী বসুন্ধরার আবাসিক এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২৫ কেজি ওজনের ছাগল কিনেছি ১৬ হাজার টাকায়।’ এমন দামে এই ওজনের খাসি কিনতে পেরে তিনি বেজায় খুশি।
তিনবছর ধরে ঈদের আনন্দ নেই শাজাহানের পরিবারে
গাইবান্ধার শাজাহানের পরিবারে তিন বছর ধরে নেই ঈদের আনন্দ। প্রতিবছরই ঈদুল আজহায় তিন ছেলে-মেয়েকে কথা দেন নতুন জামাকাপড় কিনে দিবেন। কিন্তু কোনোবারই তার গরুটি বিক্রি করতে পারেননি। এবারও আছেন নানা শঙ্কায়। এরমধ্যে গতকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি তার দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে।
২০১৮ সালে সাড়ে ৩২ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি কেনেন শাজাহান। ৫ বছর ধরে গরুটি লালন-পালন করতে গিয়ে তিনি সাড়ে তিন লাখ টাকার মতো ঋণ করেছেন। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী (৮ দাঁত বিশিষ্ট) তার গরুটি এলাকায় ‘মিঠু’ নামে পরিচিত।
প্রতিবছরই শাজাহান মিঠুকে বিক্রি করার চেষ্টা করেন; স্বপ্ন দেখেন ঋণ পরিশোধের। কিন্তু তিন বছরেও তার সে স্বপ্ন আলোর মুখ দেখেনি।
বুধবার সকালে যখন তার সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল। শাজাহানের চোখেও মেঘ টলমল; যেকোনো সময় বৃষ্টি নামবে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গরুটি ৫ বছর ধরে পালছি। ওর লালন-পালন করতে গিয়ে তিন লাখ টাকার বেশি ঋণ করেছি। বাড়িতে তিন ছেলে-মেয়েকে কথা দিয়েছি গরুটি বেঁচতে পারলে এবার ঈদে তাদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিব। কিন্তু গরুর দামই বলছেন না কেউ।
‘বাড়িতে পালা ৩৫ মনের ফ্রিজিয়ান গরুটি তিন বছর ধরে বিক্রির চেষ্টা করছি।’
গরুটি নিয়ে তিনি ঢাকা এসেছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রাম থেকে। গত চারদিন ধরে গরুটি নিয়ে হাটে আছেন।
বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ দাম বলেনি। আমিও চাইতে সাহস পাইনা।
‘গ্রামের বাড়িতেই এই গরুর দাম ১০ লাখ টাকা বলেছে। দেইনি। আর গাবতলী হাটে এসে কেউ দামই বলছে না। তার ওপর গরু রাখার ভাড়া হিসেবেই গুণতে হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা। পরিবহন খরচ গেছে ১২ হাজার টাকা। পাঁচ-সাতজন মিলে প্রতিদিন প্রায় ১৫ শ’ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। গরুর জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ শ’ টাকার খাবার দিতে হচ্ছে।’
চোখে অন্ধকার দেখছেন নাইম
মানিকগঞ্জের গোলোরা থেকে নিজের বাড়ির গরু নিয়ে গাবতলী হাটে এসেছেন নাইম। ৭ মন ওজনের গরুর দাম তার এলাকাতেই উঠেছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু আরও লাভের আশায় গাবতলীতে এসে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন তিনি।
নাইম বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে গরুটি নিয়ে বসে আছি। বাঁশের সঙ্গে গরু বাঁধার জন্যই নিয়েছে ২ হাজার টাকা। হাটে দাম উঠেছে এক লাখ পঁয়ষট্টি হাজার টাকা। দাম চাচ্ছি ২ লাখ ১০ হাজার।’
এবারই প্রথম গরু নিয়ে হাটে এসেছেন তিনি। কিন্তু প্রথমবারই এমন অভিজ্ঞতায় কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না তিনি।
দৌলতপুরের গরু ব্যবসায়ী মো. সুমন শেখ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৫টি গরু নিয়ে এসেছি। বিক্রি করেছি একটি। বৃষ্টি আসলে ছাউনির নিচে বাঁশে গরু বাঁধতে গেলেই টাকা দাবি করছে।’
একাধিক পেশাদার গরু ও মাংস ব্যবসায়ী জানান, এবার ঈদের আগে বৃষ্টির কারণে গরুর দাম কমেছে। যে গরুর দাম দেড় লাখ টাকা ছিল, সেই গরু এখন বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ২০ হাজারে।
গাবতলী হাটের কসাই মো. আকবর ও মো. রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রায় ২০ বছর ধরে কসাইয়ের কাজ করি। এখান থেকেই গরু কিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এবারের হাটে গরুর দাম আর উঠবে না।’
তবে ১০০ কেজি বা এর আশপাশে যেসব গরুর ওজন, তুলনামূলক সেসব গরুর দাম পাচ্ছেন খামারি ও গরুর ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন:রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।
এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।
পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য