× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
New phase of implementation of Smart Dhaka Emergency Management Center Mayor Tapas
google_news print-icon

স্মার্ট ঢাকা বাস্তবায়নের নতুন ধাপ জরুরি পরিচালন কেন্দ্র: মেয়র তাপস

স্মার্ট-ঢাকা-বাস্তবায়নের-নতুন-ধাপ-জরুরি-পরিচালন-কেন্দ্র-মেয়র-তাপস
সোমবার ডিএসসিসির নগর ভবনে দুর্যোগ মোকাবেলায় নতুন পাঁটি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত তথ্য, বন্যার তথ্যসহ দুর্যোগজনিত প্রায় সকল তথ্যই আমরা সঙ্গে সঙ্গে এ পরিচালন কেন্দ্রে পেয়ে যাচ্ছি। আর তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কী কী জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে, সেগুলো আমরা এখানে বসেই বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করতে পারব।’

জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধনের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে (ডিএসসিসি) স্মার্ট ঢাকা হিসেবে বাস্তবায়নের নতুন ধাপে উন্নীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ ছাড়াও এখন থেকে জরুরি পরিচালন কেন্দ্র থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার দুপুরে ডিএসসিসির নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে দুর্যোগ মোকাবেলায় নতুন পাঁটি কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মেয়র।

উদ্বোধন হওয়া কেন্দ্রগুলো হলো- জরুরি পরিচালন কেন্দ্র (Emergency Operation Centre), কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (City Control Room), নগর উপাত্ত কেন্দ্র (City Data Centre), নিরাপত্তা ও অন্তর্জাল কেন্দ্র (Security and Network Operation Centre) ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (Intensive Surveillance Centre)।

মেয়র তাপস বলেন, ‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ আমরা দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করতে পারছি। সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চতর শিখরে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে রূপকল্প দিয়েছেন, সে লক্ষ্যে স্মার্ট ঢাকা গড়ার একটি নতুন ধাপে আমরা উন্নীত হতে পেরেছি।’

স্মার্ট ঢাকা বাস্তবায়নের নতুন ধাপ জরুরি পরিচালন কেন্দ্র: মেয়র তাপস

তিনি বলেন, ‘আপনার লক্ষ্য করেছেন, অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম দিয়ে এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রিয়েল টাইম অর্থাৎ দুর্যোগ সংক্রান্ত সকল তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পেয়ে যাব। যেমন, আমি এখন কথা বলছি এখন যদি কোথাও ভূমিকম্প হয়, ঢাকা বা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ভূমিকম্প হয়, আমি কিন্তু সেটার বিস্তারিত বিবরণসহ তাৎক্ষণিক তথ্যটা পেয়ে যাচ্ছি যে কোথায় ভূমিকম্প হচ্ছে।

‘তেমনি আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত তথ্য, বন্যার তথ্যসহ দুর্যোগজনিত প্রায় সকল তথ্যই আমরা সঙ্গে সঙ্গে এ পরিচালন কেন্দ্রে পেয়ে যাচ্ছি। আর তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কী কী জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে, সেগুলো আমরা এখানে বসেই বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করতে পারব। সুতরাং আজকে এই কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম।’

এ সময় দুর্যোগ মোকাবেলায় ডিএসসিসির ৯ জন কাউন্সিলরের সমন্বয়ে স্থায়ী কমিটি গঠন, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠন ও তাদেরকে জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে সন্নিবেশিত জিআইএস-ভিত্তিক এপিকে (APK)-এর আওতায় নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও জানান ডিএসসিসি মেয়র।

অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
দক্ষিণ সিটির ৪ অবকাঠামোর নাম পরিবর্তন
ডেইলি স্টারের কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চান মেয়র তাপস
মেয়র তাপসের সঙ্গে ডিসিসিআই নেতাদের সাক্ষাৎ
বকশীবাজার মাঠে ঢুকতে বাধা দিলে জানাতে বলল ডিএসসিসি
দোকান বরাদ্দে লটারি করলেন মেয়র

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
One person died in an explosion at a CNG pump in Mohakhali

মহাখালীর সিএনজি পাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় একজনের মৃত্যু

মহাখালীর সিএনজি পাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় একজনের মৃত্যু বুধবার সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ছবি: নিউজবাংলা
নিহত আবুল খায়েরের শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল এবং শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম।

রাজধানীর মহাখালীর রয়েল সিএনজি পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।

শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গতকাল মহাখালী একটি পাম্পে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আটজন দগ্ধ পেশেন্ট আমার এখানে এসেছিল। আজ সন্ধ্যার দিকে আবুল খায়ের নামে এক ব‍্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল তার।’

এ বি পাম্পের ম্যানেজার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ৪০ বছর বয়সী আবুল খায়ের একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরে। বর্তমানে রাজধানীর মিরপুরের কল্যাণপুর এলাকায় বসবাস করতেন তিনি।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটজন দগ্ধ হন। এদের মধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা হলেন- ২৮ বছর বয়সী মামুন শেখ, ৩০ বছর বয়সী মো. রানা, ২৬ বছর বয়সী জীবন, ৪৫ বছর বয়সী সালাউদ্দিন, ৩২ বছর বয়সী আমির হোসেন, ৫০ বছর বয়সী কামাল হোসেন এবং ২৪ বছর বয়সী মাসুম।

আরও পড়ুন:
মহাখালীতে ফিলিং স্টেশনে আগুন, বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bahauddin Nashims discussion with the people of Dhaka 8 Constituency

ঢাকা-৮ আসনে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় বাহাউদ্দিন নাছিমের

ঢাকা-৮ আসনে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় বাহাউদ্দিন নাছিমের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার স্থানীয় নির্বাচনি কার্যালয় পরিদর্শন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ছবি: নিউজবাংলা
নিজের সম্পর্কে নাছিম বলেন, ‘আমি রাজনীতির মানুষ। আমি ছোট থেকেই মাঠে-ময়দানে রাজনীতির মাধ্যমে বেড়ে উঠেছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে চলেছি। আমার কাছে মানুষের মূল্য অনেক বেশি। আমি কখনও কোনো মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করিনি ও বিভেদ সৃষ্টি পছন্দ করি না।’

রাজধানীর শান্তিনগর, শাহজাহানপুর ও আরামবাগের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার এসব এলাকায় গিয়ে তিনি স্থানীয় নির্বাচনি কার্যালয় পরিদর্শন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

ওই সময় নাছিম বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে, আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। যারা আমাদের ক্ষতি করতে চাইবে আমরা তাদের প্রতিহত করব।

‘৭ জানুয়ারির নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। এই সন্ত্রাসীদের আমাদের রুখতে হবে।’

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রবিন্দু হলো ঢাকা-৮ আসন। নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনের মেয়রের সাথে সমন্বয় করে আপনাদের জন্য কাজ করব। সব সমস্যা দূর করে ঢাকা-৮কে স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল তৈরি করব।’

নিজের সম্পর্কে নাছিম বলেন, ‘আমি রাজনীতির মানুষ। আমি ছোট থেকেই মাঠে-ময়দানে রাজনীতির মাধ্যমে বেড়ে উঠেছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে চলেছি। আমার কাছে মানুষের মূল্য অনেক বেশি। আমি কখনও কোনো মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করিনি ও বিভেদ সৃষ্টি পছন্দ করি না।

‘যে মানুষ যে পেশারই হোক, আমার কাছে সকলেই সমান এবং আমি সবাইকে শ্রদ্ধা করি, তবে যারা অসৎ লোক, মিথ্যা কথা বলে ও মানুষের ক্ষতি করে, আমি তাদের পছন্দ করি না।’

মতবিনিময় সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওলাদ হোসেন, ডা. দিলীপ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক সাঈদ, কেন্দ্রীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিজান, শাহজাহানপুর থানা সভাপতি দিপন আলী খান, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মনিরসহ শান্তিনগর, শাহজাহানপুর ও আরামবাগের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
গুলশানে গোপনে বৈঠক করল আওয়ামী লীগ ও জাপা
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হুমকি, ভিডিও ভাইরাল
নৌকা না পাওয়ায় ক্ষোভ, এমপির সমর্থকদের হামলায় আহত ৩
‘৯ হাজার ভোট পিটাইয়া দিবো’, ভিডিও ভাইরাল
জাপার সঙ্গে আলোচনা করে ১৪ দলের আসন বণ্টন: আমু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A government employee university teacher in the family of Hizb ut Tahrirs top leader
সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান

হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতার পরিবারে সরকারি চাকরিজীবী-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতার পরিবারে সরকারি চাকরিজীবী-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেপ্তার হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তৌহিদুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তারা হাইলি রেডিক্যালাইজড এবং কাটআউট পদ্ধতিতে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। নিচের সারির কাউকে গ্রেপ্তার করা গেলেও তার উপরের কারও বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যেত না। অবশেষে সিটিটিসি অনেক সাফল্যের সঙ্গে হিজবুত তাহরীরের সবচেয়ে বড় নেতাদের একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।’

২০০৯ সালে নিষিদ্ধ হলেও সদস্য সংগ্রহসহ সাংগঠনিক নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। তবে বিভিন্ন সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা গেলেও আড়ালে থেকে গেছেন শীর্ষ নেতারা।

কাটআউট পদ্ধতিতে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করায় কোনোভাবেই শীর্ষ নেতাদের শনাক্ত করতে পারছিলেন না গোয়েন্দারা। অবশেষে হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তৌহিদুর রহমান ওরফে তৌহিদ ওরফে সিফাতকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

বুধবার রাতে কক্সবাজার থেকে তৌহিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তৌহিদ হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ ২-৩ জনের মধ্যে একজন।

সিটিটিসি জানায়, তৌহিদের পরিবারের একজন সদস্য সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকজন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘গত ৩০ সেপ্টেম্বর হিজবুত তাহরীর একটি অনলাইন সম্মেলন করে। তারা সম্মেলনের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার টানায়, অনলাইন প্রচারণা ও ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। সম্মেলনে নানা রকম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৩ সালের একটি সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে হিজবুত তাহরীর। সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকজন শিক্ষকের প্রকাশ্য প্রচেষ্টায় সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে হিজবুত তাহরীর প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না। তারা প্রচলিত আইন মানে না বলেও প্রচারণা চালিয়ে আসছে। বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য দাওয়াতি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে যার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এক ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছো’

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যেসব এলাকা সিসিটিসির আওতায় নেই বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি কম, সেসব স্থান আগে থেকে রেকি করে তারা পোস্টার লাগাত। পোস্টার লাগানোর সময় আমরা অনেককে হাতেনাতে গ্রেপ্তারও করেছি। কিন্তু শীর্ষ নেতাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার চ্যালেঞ্জ ছিল।

‘তারা হাইলি রেডিক্যালাইজড এবং কাটআউট পদ্ধতিতে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। নিচের সারির কাউকে গ্রেপ্তার করা গেলেও তার উপরের কারও বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যেত না। অবশেষে সিটিটিসি অনেক সাফল্যের সঙ্গে হিজবুত তাহরীরের সবচেয়ে বড় নেতাদের একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।’

হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতার পরিবারে সরকারি চাকরিজীবী-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

টার্গেট উচ্চবিত্ত ও মেধাবীদের

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হিজবুত তাহরীর সাধারণত উচ্চবিত্ত ও মেধাবীদের টার্গেট করে প্রচারণা চালায়। তাদের ভাবনা, যদি এই শ্রেণিকে রিক্রুট করতে পারে তাহলে প্রতিষ্ঠিত সমাজে সমর্থন পাবে এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। তারা সদস্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বিবদ্যালয়গুলোকেও টার্গেট করে।’

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার তৌহিদের পরিবারের একজন সদস্য সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা। এ ছাড়া পরিবারের বেশ কয়েকজন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তৌহিদ ২০১১ ও ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘ ১২ বছরে তৌহিদ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ে চলে আসে।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে তৌহিদ হিজবুত তাহরীরের ফুলটাইম সদস্য হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের অনলাইন সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন তৌহিদ।’

গ্রেপ্তারের পর তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অনলাইন সম্মেলনের বিষয়ে জানার পর কনফিউজড ছিলাম- সম্মেলনগুলো দেশের ভেতরে নাকি বাইরে থেকে করা হয়েছে! এখনও স্থানগুলো এক্স্যাক্টলি শনাক্ত করতে পারিনি, তবে বাংলাদেশের কোথাও করেছে। আশা করছি জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানতে পারব। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত তিনজনের মধ্যে দুইজন বক্তব্য দেন ও একজন উপস্থাপক ছিলেন। আমরা প্রধান ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি, আশা করছি বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে পারব। তাদের সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করা।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা পোস্টার কোথায় ছাপায়- এটা আমাদেরও প্রশ্ন। জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করব। যারা পোস্টার টানায় তাদেরকে হয়ত হাতেনাতে দুয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি বিভিন্ন সময়। কিন্তু তারা কাটআউট, স্লিপার সেল পদ্ধতিতে কাজ করে। তাদের রিক্রুট কৌশলটাও একটু অন্যরকম। বিভিন্ন গ্রুপকে টার্গেট করে মেসেজ দেয় তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য। আমরা বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করব।’

কারাগারে রেডিক্যালাইজেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কারাগারে আমাদের কোনো সুপারভিশন থাকে না। তবে যারা অথোরিটি আছে, আশা করি তারা এ বিষয়ে সচেতন। আমরা যতটুকু জানি, জঙ্গিদের আলাদা সেলে সর্বোচ্চ নজরদারিতে রাখা হয়। এরপরও তারা সুযোগ নিয়ে নিজেদের কাজ করতে পারে। তবে আমরা কারাগারে ডিরেডিক্যালাইজড সিস্টেমের মধ্যেও যাচ্ছি, খুব শিগগিরই আমরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করব। জঙ্গিরা জেল থেকে বের হয়ে সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়েও চলে আসছে, আমরা এ বিষয়ে কনসার্ন।’

আরও পড়ুন:
শামিন গ্রেপ্তারে জঙ্গিবাদের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি দেখছে সিটিটিসি
শামিনকে দলবল নিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন নাথান বম: সিটিটিসি
নতুন জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণে দেশি-বিদেশি অস্ত্র: সিটিটিসি
সৌদিতে ছিলেন ইমাম, দেশে ফিরে জঙ্গি ক্যাম্পে, দাবি সিটিটিসির
‘জঙ্গিদের অনলাইন কার্যক্রমও এখন নিয়ন্ত্রণে’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Famine will result if garment exports are disrupted Rizvi

পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে: রিজভী

পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে: রিজভী পোশাক কারখানায় কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক। ফাইল ছবি
রিজভী বলেন, ‘ভোটারবিহীন গণবিরোধী সরকার বাংলাদেশকে উপসংহারহীন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে। সমস্ত অর্থনৈতিক সেক্টর ধ্বংসের পর এবার তাদের কুনজর পড়েছে বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্পের দিকে। সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে পোশাক শিল্প ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। এমনিতেই শেখ হাসিনার আত্মীয়স্বজন ও দলের লোকরাও এত টাকা বিদেশে পাচার করেছে যে, তাদের ১৪ জেনারেশন বসে বসে খেতে পারবে।’

সরকার পোশাক শিল্পের ধ্বংস ডেকে আনছে অভিযোগ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে।

সর্বাত্মক অবরোধের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “ভোটারবিহীন গণবিরোধী সরকার বাংলাদেশকে উপসংহারহীন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে। সমস্ত অর্থনৈতিক সেক্টর ধ্বংসের পর এবার তাদের কুনজর পড়েছে বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্পের দিকে। সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে পোশাক শিল্প ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। এমনিতেই শেখ হাসিনার আত্মীয়স্বজন ও দলের লোকরাও এত টাকা বিদেশে পাচার করেছে যে, তাদের ১৪ জেনারেশন বসে বসে খেতে পারবে।

“ক্রেতাদের মতামত উপেক্ষা করে সরকার সমর্থক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী শোষণ নীতির পক্ষে সরকারের অবস্থান, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি দমনে হত্যা, নিষ্পেষণ, অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত এবং প্রতিবেশী দেশের স্বার্থে এই সর্ববৃহৎ শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেয়া হয়েছে। শ্রম অধিকার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন শ্রমনীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রায় অবধারিত বলে আশঙ্কা করছেন মালিকরা। গতকাল পোশাক খাতে আতঙ্কের বিষয়টি মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আসলে বিদেশিরা পণ্য নেবে না। ইতিমধ্যে পণ্যের আদেশদাতারা এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছেন ঋণপত্র খোলার সময়। এমনকি পণ্য জাহাজীকরণের পর নিষেধাজ্ঞা আসলেও পণ্য নেবে না তারা।”

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে এ খাত ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ব্যবসা হারিয়েছে। পোশাক শিল্পের মালিকদের ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে উদ্ভট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বালখিল্য প্রদর্শন করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বললেই পোশাক রপ্তানি বন্ধ হবে না। নিষেধাজ্ঞা দিলে কিছুই হবে না। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলে আমরাও দেব।’ এমন পরিস্থিতির মধ্যে লক্ষ লক্ষ গরিবের রুটি রুজির একমাত্র কর্মক্ষেত্র গার্মেন্টস শিল্পের ধ্বংস ডেকে আনছে গণবিচ্ছিন্ন নিশিরাতের সরকার।

“কারণ দেশের মোট পোশাক রপ্তানির ৮২ শতাংশ যায় ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোয়। এসব দেশে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কমে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। মানুষের হাতে ভিক্ষার ঝুলি তুলে দিতে পারবেন শেখ হাসিনা। জনগণ বিশ্বাস করে, রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা এখন অন্য দেশের হাতে তুলে দিয়ে অবৈধ ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি চায় অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

আরও পড়ুন:
বিএনপি নেতা-কর্মীরা দেশছাড়া উদ্বাস্তুর মতো: রিজভী
আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশিদের বিপক্ষে চলে গেছে ভারত: রিজভী
১৫ বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজানো হয়েছে দলীয় চেতনায়: রিজভী
‘কিংস পার্টি’ দিয়ে নির্বাচন করতে মরিয়া সরকার: রিজভী
অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: বিএনপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested with two members of Ansar Al Islam 3

আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩

আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩ এটিইউ-এর হাতে গ্রেপ্তার ‘আনসার আল ইসলাম’-এর দুই সক্রিয় সদস্য। ছবি: নিউজবাংলা
এটিইউ-এর পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল বলেন, ‘তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন ও সাইবার স্পেস ব্যবহার করে ‘আনসার আল ইসলাম’-এর প্রচারণাসহ গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত ও তথাকথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করত। বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে তারা সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত।’

পৃথক তিনটি অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর দুই সক্রিয় সদস্যসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রুহুল আমিন, মো. রিয়াজুল ইসলাম ও আরিফ হোসাইন ওরফে মো. আরিফুল ইসলাম রাহাত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এই তথ্য জানান এটিইউ-এর পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল।

তিনি বলেন, ‘গাজীপুরের কাশিমপুরের লতিফপুর এলাকা থেকে মঙ্গলবার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর সক্রিয় সদস্য রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন বুধবার এটিইউ-এর আরেকটি দল যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ১ নম্বর রোহিতা ইউনিয়নের গাংগুলিয়া এলাকা থেকে সংগঠনটির আরও এক সক্রিয় সদস্য রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। যশোর সিটি কলেজের দর্শন বিভাগে স্নাতকে অধ্যয়নরত এই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন, দুটি সিম কার্ড ও একটি মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন ও সাইবার স্পেস ব্যবহার করে ‘আনসার আল ইসলাম’-এর প্রচারণাসহ গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত ও তথাকথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করত। বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে তারা সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। দেশের আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং নাশকতার জন্য তারা পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি গ্রহণ করে আসছিল।’

তাদের বিরুদ্ধে কাশিমপুর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নিয়মিত মামলা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩
গ্রেপ্তার ৯ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আরিফ হোসাইন ওরফে মো. আরিফুল ইসলাম রাহাত। ছবি: নিউজবাংলা

এ সময় এটিইউ আরও জানায়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মডেল থানাধীন পোস্তগোলা এলাকা থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ মোট ৯টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আরিফ হোসাইন ওরফে মো. আরিফুল ইসলাম রাহাত নামের এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ২০২১ সালে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা থেকে কামিল পাশ করেন। চলতি বছর থেকে তিনি ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতিসহ বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এটিইউ আরও জানায়, আরিফুল ইসলাম রাহাত এইচএসসি পাস করা ছাত্র-ছাত্রীদের শিবিরের কর্মী হিসেবে যোগদানে উৎসাহিত করতে ‘ব্রিজিং প্রজেক্ট’ চালু করেন। এ কর্মসূচির আওতায় তিনি শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন এবং তাদের সম্পর্কে অন্যান্য যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতেন। পরে যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কলেজে ভর্তির সুযোগ পেতেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের শিবিরের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করতেন।

আরও পড়ুন:
কেউ হোমিও চিকিৎসক কেউ শিক্ষক, আসলে তারা জঙ্গি
জঙ্গিরা নির্বাচনকে নস্যাৎ করতে চাইলে প্রতিহত করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
নেত্রকোনার মুনিরুল আনসার আল ইসলাম সদস্য, জানাল সিটিটিসি
বিদেশ থেকে জঙ্গি এনে নাশকতার পরিকল্পনা চলছিল: এটিইউ
নতুন কৌশলে পুরোনো জঙ্গিদের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two kidnapped children in the capital were rescued and arrested 2

রাজধানীতে অপহৃত দুই শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

রাজধানীতে অপহৃত দুই শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২ রাজধানীর আব্দুল্লাপুর থেকে দুইজন গ্রেপ্তার। ছবি: নিউজবাংলা
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নগরবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বাসা ভাড়া ও ফ্ল্যাটে সাবলেট ভাড়া দেয়ার সময় ভাড়াটিয়ার পুরো ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নম্বরসহ ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণ পূর্বক বাসা ভাড়া দেয়ার অনুরোধ রইল।’

রাজধানীর মিরপুর থেকে দুই শিশু অপহরণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর বিভাগ।

মামলার পাঁচ ঘণ্টা পর বুধবার রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

অপহরণ হওয়া শিশুদের একজনের বয়স সাড়ে চার বছর ও আরেকজনের ৯ বছর।

গ্রেপ্তার দুইজন হলেন মো. ইব্রাহিম রনি ও আফজাল মাতুব্বর।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বুধবার রাজধানীর মিরপুর মনিপুর কাঠালতলা এলাকার একটি বাসা থেকে চার বছর ছয় মাস বয়সী শিশুকে অপহরণ করা হয়। এই ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় শিশুটির প্রতিবেশী রনিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে পরিবার।

‘এর পর শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য ছায়া তদন্তে নামে মিরপুর বিভাগের একটি গোয়েন্দা টিম।’

শিশুটির পরিবার ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তার রনি তাদের প্রতিবেশী। পাঁচ বছর আগে এই বাসায় ভাড়া ছিলেন। কিছু দিন আগে আবারও এই বাড়িতে ভাড়া নেন রনি। বুধবার দুপুরে দিকে শিশুটিকে আইসক্রিম কিনে দেয়ার কথা বলে নিয়ে যান তিনি।

পুলিশের কাছে গেলে ছেলেকে আর পাবেন না বলে হুমকি দেয়া হয় উল্লেখ করে শিশুটির বাবা বলেন, “অপহরণকারী আমাকে কল দিয়ে বলে ছেলেকে ফিরে পেতে হলে এক লাখ টাকা দিতে হবে। এত টাকা দেয়া সম্ভব না জানালে অপহরণকারী বলে, ‘আমরা জানি আপনি টাকা দিতে পারবেন। আর পুলিশ বা ৯৯৯-এ কল দিলে ছেলেকে জীবিত ফিরে পাবেন না।”

পরবর্তী সময়ে এই তথ্য পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রনিকে গ্রেপ্তার ও শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘৯ বছর বয়সী অপর শিশুটি মাদ্রাসার ছাত্র। তাকে গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে মাঠে খেলতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পল্লবী থানার সেকশন-৭ নম্বর এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। পরে শিশুটির পরিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার করলে ছায়া তদন্তে নেমে অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে ডিবির মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম।’

নগরবাসীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বাসা ভাড়া ও ফ্ল্যাটে সাবলেট ভাড়া দেয়ার সময় ভাড়াটিয়ার পুরো ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নম্বরসহ ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণ পূর্বক বাসা ভাড়া দেয়ার অনুরোধ রইল।’

আরও পড়ুন:
লাদেনকে ফাঁসানো এসআইকে বাঁচাতে তৎপর ওসি!
বেতের খেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার
পিতা-পুত্রকে অপহরণ, চাঁদা না পেয়ে মাদকের মামলা দিল পুলিশ!
টাকা চুরি করে দুই বান্ধবী নিয়ে কক্সবাজারে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র
বেনাপোল থেকে ২১ টি ককটেল উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP is trying to thwart fair elections DB chief

সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বিএনপি: ডিবি প্রধান

সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বিএনপি: ডিবি প্রধান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপির ডিবি শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ। ছবি: নিউজবাংলা
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় কাজ করছি। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, সুষ্ঠ নির্বাচনের অন্তরায় হয়ে বিভিন্ন যায়গায় গাড়িতে আগুন লাগানো, যানবাহন চলায় বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, রাজারবাগ হাসপাতালের গাড়ি ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে হামলা করেছে। তারাই কিন্তু এখন আবার অবরোধ ডেকে নাশকতা করছে।’

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা মানববন্ধনের বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল মেনে নির্বাচনে না এসে, অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি দল। তারাই আবার পুলিশ হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় কাজ করছি। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, সুষ্ঠ নির্বাচনের অন্তরায় হয়ে বিভিন্ন যায়গায় গাড়িতে আগুন লাগানো, যানবাহন চলায় বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, রাজারবাগ হাসপাতালের গাড়ি ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে হামলা করেছে। তারাই কিন্তু এখন আবার অবরোধ ডেকে নাশকতা করছে।’

তিনি বলেন, ‘একদিকে তারা নির্বাচনে আসে না। অন্যদিকে প্রতিদিনই ককটেল নিক্ষেপ করছে। গাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে, মানুষের সম্পদ নষ্টে কাজ করছে। যারা নাশকতা মামলার আসামি, গাড়ি পোড়া মামলা, প্রধান বিচারপ্রতির বাস ভবনে হামলা মামলা ও পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যা মামলার আসামি যাদের অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। অনেকের নাম নম্বর আমরা পেয়েছি। তারা যেখানেই থাকুক তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

বিএনপি যদি অনুমতি না নিয়ে মানববন্ধন করার চেষ্টা করে, তখন কী ব্যবস্থা নেয়া হবে- জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন,‘ যদি কোনো দল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে জোর করে এবং এসব মামলার আসামিরা মানববন্ধন করতে চায়, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে রুটিন কাজ; বিভিন্ন মামলার আসামি, ওয়ারেন্টের আসামি তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের কোনো বাধা নেই।’

বিএনপি মানববন্ধনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, ‘অনুমতি নিয়েছে কি না বলতে পারছি না। তবে আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল মেনে তারা তো নির্বাচন করছে না। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের তোয়াক্কা করবে কেন। তারা যদি নির্বাচন করতো, তবে অনুমতি নিতো। তারা নির্বাচন না করে নির্বাচনকে বানচাল করতে, বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে মানুষের জানমালের ক্ষতি যেন কেউ না করতে পারে, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ যেন বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা। পাশাপাশি আমাদের নিয়মিত কাজ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা।’

আরও পড়ুন:
লুবাবার অভিযোগ করা ব্যক্তি আটক, ডিবিতে তানজিন তিশা
আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিএনপি নেতারা: ডিবি প্রধান
আরেফিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ

মন্তব্য

p
উপরে