× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Journalist Nadeems murder that point in the discussion
google_news print-icon

সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আলোচনায় সেই ‘বিন্দু মাসি’

সাংবাদিক-নাদিম-হত্যা-আলোচনায়-সেই-বিন্দু-মাসি
বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। ফাইল ছবি
অভিযোগ উঠেছে, নাদিম হত্যার নেপথ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ শাহীনা বেগমের হাত রয়েছে। এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে ‘বিন্দু মাসি’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই নারী নেত্রীর বিষয়টি তদন্তে গুরুত্ব পেলে বেরিয়ে আসতে পারে ‘থলের বেড়াল’।

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ড ঘিরে উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। ঘুরপাক খাচ্ছে নানা রহস্য।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (সদ্য বহিষ্কৃত) মাহমুদুল আলম বাবু ইতোমধ্যে ধরা পড়েছেন। তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনো শক্তি বা ব্যক্তির ইন্ধন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে নানা মহল থেকে।

অভিযোগ উঠেছে, নাদিম হত্যার নেপথ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ শাহীনা বেগমের হাত রয়েছে। এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে ‘বিন্দু মাসি’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই নারী নেত্রীর বিষয়টি তদন্তে গুরুত্ব পেলে বেরিয়ে আসতে পারে ‘থলের বেড়াল’।

নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘আমি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার স্বামী সবসময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লেখালেখি করতেন। রাজাকার পরিবার ও অপকর্মের হোতা প্রভাবশালী কিছু লোকের বিরুদ্ধে বেশকিছু সংবাদ করার কারণে স্থানীয়ভাবে তিনি রাজনৈতিক হয়রানির মধ্যে থাকতেন।’

জানা গেছে, গোলাম রাব্বানী নাদিম বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ শাহীনা বেগমকে নিয়ে একাত্তর টিভিতে সংবাদ পরিবেশন করেন। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রচারিত ওই সংবাদে শাহীনা বেগম রাজাকারের সন্তান হয়েও আওয়ামী লীগে পদ-পদবি লাভের তথ্য তুলে ধরা হয়।

সংবাদটি প্রচারের পর শাহীনার লোকজন সাংবাদিক নাদিমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ফেসবুকে নানা আপত্তিকর মন্তব্য এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১১ এপ্রিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন নাদিম। তাতে নয়াপাড়া গ্রামের খায়রুল হাসান মিলন মিয়াকে একমাত্র আসামি করা হয়, যিনি শাহীনা বেগমের আস্থাভাজন লোক হিসেবে পরিচিত। মিলন মিয়া নাদিম হত্যা মামলারও ১০ নম্বর আসামি।

তবে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ নাদিমের ওই অভিযোগ আমলে নেয়নি। পাল্টা ওই ১১ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ মধ্যবাজার এলাকায় সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা চালায় শাহীনা বেগমের লোকজন।

পরদিন ১২ এপ্রিল নাদিম আরেকটি লিখিত অভিযোগ দেন থানায়। এতে শাহীনা বেগমকে হামলার হুকুমদাতা উল্লেখ করে ১ নম্বর আসামি করা হয়।

ওই অভিযোগপত্রে নাম উল্লেখ করা পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনই নাতিম হত্যা মামলারও এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের মধ্যে ১২ এপ্রিলের লিখিত অভিযোগের ৩ নম্বর আসামি ইসমাইল হোসেন স্বপন মণ্ডল হত্যা মামলায় ৮ নম্বর আসামি। এছাড়া অভিযোগের ৪ নম্বর আসামি খন্দকার শামীম হত্যা মামলায় ৯ নম্বর আসামি এবং অভিযোগের ৫ নম্বর আসামি শেখ ফরিদ হত্যা মামলায় ১৩ নম্বর আসামি।

অর্থাৎ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২২ আসামির মধ্যে চারজনই নাদিমের দাখিল করা দুটি লিখিত অভিযোগের আসামি ছিলেন। আর এই চারজন সরাসরি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহীনা বেগমের হয়ে এলাকায় কাজ করেন।

ওদিকে পর পর দুটি অভিযোগ দায়েরের পরও থানার ওসি তা আমলে না নেয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন নাদিম। এক ভিডিওবার্তায় তিনি নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশেরেঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি এই সাংবাদিক।

ইতোমধ্যে উপজেলার সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (সদ্য বহিষ্কৃত) মাহমুদুল আলম বাবুর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। নির্ভীক সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম জীবনের নিরাপত্তাহীনতা উপেক্ষা করে কলম ধরেন ভুক্তভোগী নারীর পক্ষে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাদিমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ঠুকে দেন বাবু।

১৪ জুন সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওই মামলা খারিজ হয়ে গেলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাবু চেয়ারম্যান। মামলা খারিজের চার ঘণ্টার মধ্যে হামলা করা হয় সাংবাদিক নাদিমের ওপর। পরদিন ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আলোচনায় সেই ‘বিন্দু মাসি’
‘বিন্দু মাসি’ নামে পরিচিত বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহীনা বেগমের সঙ্গে নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবু চেয়ারম্যান। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বকশীগঞ্জ আওয়ামী লীগে একাধিক গ্রুপ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, নাদিমের হত্যাকারীরা বাবু চেয়ারম্যানের হয়ে কিলিং মিশনে অংশ নিলেও তারা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহীনা বেগমের গ্রুপেও সক্রিয়। তার ইন্ধনেই আসামিরা এলাকায় পরস্পর রাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত থাকতেন।

অপরদিকে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান পান্নার চাচাতো ভাই হওয়ার সুবাদে তার প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক আয় এবং প্রশাসনিক সুবিধা ভোগ করতেন বাবু চেয়ারম্যান।

এদিকে ২০ জুন সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাবু চেয়ারম্যানের একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। ২৬ সেকেন্ডের ওই রেকর্ডে মাহমুদুল আলম বাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘নাদিম সাংবাদিককে... আমি মনে করবো এর জন্য দায়-দায়িত্ব উপজেলা আওয়ামী লীগের। নাদিম সাংবাদিককে ঠিক করতে ১ মিনিটের বিষয়। আমি যামু ওরে শাসন করতে। আবার যদি উপজেলা আওয়ামী লীগ হা হা করে হাসে যে বাবু বিপদে পড়ছে, পড়ুক!’

নাদিমের সহকর্মী সাংবাদিক ইমদাদুল হক লালন বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া অডিওটির কণ্ঠ মাহমুদুল হক বাবুর। নাদিমের ওপর হামলা হওয়ার আগে তিনি আওয়ামী লীগের কোনো একটি দলীয় বৈঠকে বসে এ বক্তব্য দেন।’

বাবু চেয়ারম্যান সাংবাদিক নাদিমকে ‘শায়েস্তা’ করার এ বক্তব্য উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহীনা বেগমের সামনেই দিয়েছিলেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়।

অপরদিকে প্রথমবার নাদিমের ওপর হামলার ঘটনায় শাহীনা বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা এবং ফের বাবু চেয়ারম্যানের হামলা- উভয় ঘটনায়ই ওসির ভূমিকা একইরকম এবং রহস্যজনক। ১৪ জুন নাদিম আহত হওয়ার পর ওসি সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘নাদিমের তেমন কিছু হয়নি, চোখে সামান্য আঘাত পেয়েছেন।’

অপরদিকে নাদিমের মৃত্যুর পর ওসি মন্তব্য করেন, ‘বাবু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সাংবাদিকরা লিখলেও সবাই একসময় থেমে যায়। কিন্তু নাদিম না থেমে ধারাবাহিক নিউজ করছিল এবং ফেসবুকে শেয়ার দিচ্ছিল। তাই বিষয়টি ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে যায়। সুতরাং সাংবাদিকতার জন্য এই হত্যা হয়নি।’

নাদিম হত্যার নেপথ্যে পরস্পর পৃথক ঘটনাগুলো একই সূত্রে গাঁথা কিনা তা নিয়ে সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ওসির ভূমিকা রহস্যজনক হওয়ায় তাকেও মামলায় সম্পৃক্ত করার দাবি উঠেছে।

সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে সাংবাদিক নাদিম স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান অভিযোগ করেন, বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানার ভূমিকা রহস্যজনক। তাকে প্রত্যাহারসহ হত্যা মামলায় তাকেও আসামি করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’

জামালপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকারী বাবু চেয়ারম্যানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চাচাতো ভাই সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান পান্না এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহীনা বেগমের ইন্ধন থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে শাহীনা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ সঠিক নয়, মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি পক্ষ রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অভিযোগ আনছে। আমি ঘটনার দিন ঢাকায় ছিলাম।’

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ‘নাদিম হত্যা মামলাটি এখন ডিবি তদন্ত করছে। গ্রেপ্তার হওয়া ১৩ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশের রিমান্ডে আছে। ৬ জনকে ৪ দিনের রিমান্ড শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে তোলা হয়েছিল। তাদের মধ্যে আসামি রেজাউল করিম ও মনিরুজ্জামান সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার কথাই বলেছে। তদন্তের স্বার্থে সবকিছু বলা যাবে না।’

মামলার তদন্তে এই হত্যাকাণ্ডে কারও সম্পৃক্ততা প্রমাণ হলে সে যত বড় শক্তিধরই হোক ছাড় দেয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন ওসি।

জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদের বক্তব্য জানতে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে আবারও যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: দুই আসামির দায় স্বীকার
সাংবাদিক নাদিম হত্যায় উদ্বেগ ১১ দূতাবাস ও হাইকমিশনের
আ.লীগ অফিসে বসে নাদিমকে বাবু চেয়ারম্যানের হুমকি, অডিও ভাইরাল
সাংবাদিক নাদিম হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তরায় মানববন্ধন
নাদিম হত্যা: বাবুকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Chief Justice of the proposal to establish a separate commercial court

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও বিচার ব্যবস্থার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি পৃথক বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

গতকাল রোববার সিলেটের দ্য গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে বাণিজ্যিক আদালত শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো পৃথক বিচারিক ফোরাম নেই। এখন কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যিক বিরোধগুলো ছোটখাটো দেওয়ানি মামলার সঙ্গে একই সারিতে নিষ্পত্তি করতে হওয়ায় দ্রুত, কার্যকর বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এটি আমাদের বিচারকদের প্রতি কোনো সমালোচনা নয়। তাদের নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। বরং এটি একটি কাঠামোগত অসংগতি। ফলে মামলার জট যেমন বাড়ছে, তেমনি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত শুধু অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি মামলা অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কারও একক কোনো দাবি নয় বরং বাণিজ্যিক মামলাগুলো বিশেষায়িত আদালতে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও কার্যকর রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য বৃহৎ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী সবাই দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এই দাবি জানিয়ে আসছে।

প্রধান বিচারপতি বৈশ্বিক উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, রুয়ান্ডা, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো বাণিজ্যিক আদালত গড়ে তুলে একটি দক্ষ, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, এসব দেশের অভিজ্ঞতাগুলো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা বহন করে।

প্রধান বিচারপতি প্রস্তাবিত বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থার সাতটি মূল স্তম্ভের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো- স্পষ্ট ও একীভূত এখতিয়ার নির্ধারণ, আর্থিক সীমারেখা ও স্তরভিত্তিক কাঠামো, বাধ্যতামূলক কেস ম্যানেজমেন্ট ও কঠোর সময়সীমা, সমন্বিত মধ্যস্থতা ব্যবস্থা, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার (যেমন, ই-ফাইলিং, ডিজিটাল ট্র্যাকিং, হাইব্রিড শুনানি), সবার জন্য ন্যায়সংগত প্রবেশাধিকার এবং জবাবদিহি ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাণিজ্যিক আদালতের কার্যক্রম হবে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক এবং বাণিজ্যের পরিবর্তনশীল চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সেমিনারে সূচনা বক্তব্য দেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sagar Rooney Murder Report Report is a record of 120 times

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত প্রতিবেদন ১২০ বার পেছানোর রেকর্ড

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত প্রতিবেদন ১২০ বার পেছানোর রেকর্ড

বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবার পেছানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত গতকাল সোমবার আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

এ পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা মোট ১২০ বার পিছিয়ে এসেছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হন। ঘটনার সময় বাসায় তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামিরা হলেন — রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তা রক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান।

এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন, বাকিরা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।

তদন্ত প্রতিবেদন বারবার পিছিয়ে আসায় এ মামলার দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশায় সংশ্লিষ্ট পক্ষের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abu Saeed Murder Hearing the charges against the accused today

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের সদস্যসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি আজ।

সোমবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি করবেন বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এই ছয় আসামি হলেন— সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরীফুল ইসলাম, রাফিউল, আনোয়ার পারভেজ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী আশেক।

গত ১০ জুলাই পলাতক ২৬ আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে, ৩০ জুন আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের সদস্যসহ মোট ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই বিকালে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। আবু সাঈদ ছিলেন জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রথম শিক্ষার্থী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Chief Justice ABM Khairul Haque arrested

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, তথ্য এলে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালে খায়রুল হক শপথ নেন। পরের বছর ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

২০১৩ সালে তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা একই পদে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক এই বিচারপতিকে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
All courts have observed a minute of silence before the trial begins

বিচার শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে সকল আদালত

বিচার শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে সকল আদালত

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় আজ বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে দেশের সকল আদালত।

আজ সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতি আপিল বিভাগ তাদের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। এদিকে আজ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগেও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অন্যদিকে, প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত অধস্তন আদালতে নীরবতা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে হৃদয়বিদারক এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার ২২ জুলাই সারা দেশে শোক দিবস ঘোষণা করেছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ শোক প্রকাশ করছেন। বিচার বিভাগীয় পর্যায়েও বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা আবশ্যক। এমতাবস্থায়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২২ জুলাই দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। সেই সাথে দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। এছাড়া ২২ জুলাই হতে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সকল জেলা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Corruption in the mural project in the Mujib year

মুজিববর্ষে ম্যুরাল প্রকল্পে দুর্নীতি, ৬৪ জেলায় দুদকের চিঠি

মুজিববর্ষে ম্যুরাল প্রকল্পে দুর্নীতি, ৬৪ জেলায় দুদকের চিঠি

সারাদেশে মুজিব শতবর্ষ পালন ও শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল নির্মাণের আর্থিক হিসাব চেয়ে ৬৪ জেলায় চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানে উপপরিচালকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের উপপরিজালক আকতারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদক জানায়, ৬৪ জেলা পরিষদ বরাবর পাঠানো চিঠিতে মুজিবর্ষ পালনে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, ব্যয় করা মন্ত্রণালয়ের নাম, ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার নাম পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, জেলায় কতগুলো এবং কোথায় ম্যুরাল তৈরি হয়েছে, ম্যুরাল নির্মাণে কত টাকা খরচ হয়েছে, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ পালন ও শেখ মুজিবের ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে ওই অর্থ অপচয় ও ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। তাই রেকর্ডপত্র দ্রুত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর আগে দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি স্থাপন করে আওয়ামী লীগ সরকার। টানা ১৫ বছর ধরেই ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি তৈরির মহোৎসবে মেতে উঠেছিল দলটি। অভিযোগ রয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য তৈরিতে ৪ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়ে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, পুরো প্রকল্পই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

সূত্র জানায়, জেলা পরিষদে পাঠানোর আগে একই চিঠি বাংলাদেশ বেতার, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলেও পাঠানো হয়েছে।

গত বছরের আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর মুজিববর্ষ পালনে অর্থ অপচয় ও এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছিল দুদক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mob Violence cannot disrupt the normal activities of the country RAB Director General

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মব ভায়োলেন্স বা মব সন্ত্রাস করে এ দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতিসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন র‌্যাবের ডিজি। ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র‍্যাব এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। দেশে বিগত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির অপরাধে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন অপরাধীকে র‍্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’

‘গত ২ জুলাই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় সন্ত্রাসী কর্তৃক মব সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের ওপর মব ভায়োলেন্সের অযাচিত ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) আমরা গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’

‘এ ঘটনায় আমরা ছায়া তদন্ত করছি, আর পুরো বিষয়টি দেখছে ডিএমপির তদন্ত বিভাগ।’

র‍্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে