× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Gaibandhars jinn is all over the country
google_news print-icon

গাইবান্ধার ‘জ্বীনের আছর’ দেশজুড়ে

গাইবান্ধার-জ্বীনের-আছর-দেশজুড়ে-
দেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রায়ই শিরোনাম হয় ‘জ্বীনের বাদশা’ আটকের খবর। এসব ঘটনায় আটক প্রতারকদের বড় অংশেরই ঘাঁটি গাইবান্ধায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এখান থেকে আটক হয়েছে এমন প্রতারক চক্রের অনেক সদস্য। জ্বীনের বাদশা পরিচয়ে সবশেষ ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় উত্তরের এই জেলা থেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে এক প্রতারক।

দেশে ইমো হ্যাকারদের দুর্গ নাটোরে। আবার মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারকদের বড় অংশের অবস্থান মিলেছে ফরিদপুরে। আর জ্বীনের বাদশা সেজে প্রতারণায় জড়িতদের বড় অংশেরই অবস্থান দেশের উত্তরের জেলা গাইবান্ধা। প্রতারক চক্র এখানে অবস্থান করে মোবাইল ফোনে সারাদেশে প্রতারণার জাল বিছিয়ে আসছে।

‘জ্বীনের বাদশা’ আটকের খবর প্রায়শ দেশের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে। এসব ঘটনায় আটক প্রতারকদের বড় অংশেরই ঘাঁটি গাইবান্ধায়। ‘জ্বীন-প্রতারণা’ সম্পর্কিত কোনো অভিযোগ পেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরও তদন্তের অগ্রভাগে থাকে এই জেলা। তাদের নিয়মিত অভিযানে এখান থেকে আটক হয়েছে এমন প্রতারক চক্রের অনেক সদস্য।

২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘জ্বীনের বাদশা’ নামধারী চার প্রতারককে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন- রায়হান, তুহিন, জিয়াউর ও মিলন দাস।

চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি বুলবুল নামে এমনই এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি গাইবান্ধা জেলার জ্বীনের বাদশা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

১১ মে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে ‘জ্বীনের বাদশা’ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে সাদ্দাম আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই মাসের ২৬ তারিখ গোবিন্দগঞ্জে সংঘবদ্ধ ‘জ্বীনের বাদশা’ প্রতারক চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য মোর্শেদুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করে পুলিশ।

গাইবান্ধার ‘জ্বীনের আছর’ দেশজুড়ে
প্রতারণার শিকার ইয়াসিন (বাঁয়ে); জ্বীনের বাদশা পরিচয়ে ১৩ লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নেয়া গাইবান্ধার প্রতারক উজ্জ্বল। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রতারণা চালিয়ে আসা ‘জ্বীনের বাদশা’ গ্রেপ্তারের এমন খবর অহরহই মিডিয়ায় প্রকাশ পাচ্ছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, জ্বীনের বাদশা সেজে প্রতারণার শীর্ষে রয়েছে গাইবান্ধা জেলা। এই জেলার সাদুল্যাপুর ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কথিত জ্বীনের বাদশার আনাগোনা বেশি।

সবশেষ চলতি মাসেই মোবাইল ফোনে আল্লাহর অলি ও জ্বীনের বাদশাহ পরিচয়ে প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক চক্র। ভুক্তভোগী ৮ জুন ওই ঘটনা উল্লেখ করে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন।

এই মামলার তদন্তে নেমে ৯ জুন রাত ৮টার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর এলাকার নারায়ণপুর গ্রাম থেকে এক ‘জ্বীনের বাদশাকে’ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উজ্জ্বল মিয়া নামের ওই প্রতারকের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।

পুলিশ পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানালে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ নিউজবাংলাকে মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ইয়াসিন নামে কিশোরগঞ্জের এক বাসিন্দা ৪ এপ্রিল ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় এসে মগবাজারে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। ওইদিন রাত ১২টা ১১ মিনিটে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর অলি ও জীনের বাদশাহ পরিচয় দিয়ে ০১৯৪১৮৫৬৬৩৮ নম্বর থেকে ইয়াছিনের মোবাইলে ফোন করেন। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিই গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক উজ্জ্বল।’

সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, ‘কথোপকথনের এক পর্যায়ে উজ্জ্বল ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করাসহ ধর্মীয় নানা বিষয়ে উপদেশ দেয়া শুরু করেন। টার্গেট করা ইয়াসিনের ভেতরে ভয় ও জ্বীনের ওপর বিশ্বাস স্থাপনের উদ্দেশ্যে তিনি আরও নানা কথা বলে মোটিভেশন চালান।

‘একপর্যায়ে ভিকটিমকে ফাঁদে ফেলে উজ্জ্বল ৭টি জায়নামাজের টাকা বাবদ ৪ হাজার ৭০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। এরপর ইফতার খরচ বাবদ ইয়াসিন তাকে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, টার্গেট ব্যক্তিকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকাপয়সা হাতিয়ে এটা কেবল শুরু। জ্বীনের বাদশা নামধারী এই প্রতারক এরপর ভয় দেখাতে শুরু করেন। মোবাইল ফোনে তিনি ভিকটিমকে ভয় দেখান- টাকা না দিলে তার ও পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি হবে। এরপর স্বর্ণের পুতুলের লোভ দেখিয়ে উজ্জ্বলের বড় ভাই রুবেলের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা এবং তার জ্বীনের স্বর্ণের তিনটি হাঁড়ি ভেঙে গেছে জানিয়ে আরও ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। হাঁড়ির ভেতরের স্বর্ণ জমাট বেঁধে গেছে জানিয়ে ৩ ভরি স্বর্ণের মূল্য বাবদ হাতিয়ে নেয়া আরও ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

এর মধ্যে নগদ ৫ লাখ টাকা নেয়া হয় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে। বাকি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয় অনলাইন ব্যাংকিং মাধ্যম বিকাশে।

এছাড়া বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ৩ লাখ ৬ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে আদায় করে প্রতারক। পরে নেয়া হয় আরও এক লাখ টাকা।

বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ইয়াসিনের কাছ থেকে প্রতারক উজ্জ্বল হাতিয়ে নেয় মোট ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর উজ্জ্বলকে এই প্রতারণার কাজে সহায়তা দেয় তার বড় ভাই রুবেল।

বড় ভাইয়ের হাত ধরে প্রতারণায়

পুলিশ জানায়, জ্বীনের বাদশা পরিচয়ে উজ্জ্বল এই প্রতারণায় নামেন বড় ভাই রুবেলের হাত ধরে। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি এই পথে পা বাড়ান। আর বড় ভাই রুবেল এভাবে প্রতারণা চালিয়ে আসছেন প্রায় ৩ বছর ধরে।

উজ্জ্বল তার ভাইয়ের কাছ থেকে প্রতারণার কৌশল রপ্ত করেন। বিভিন্ন মোবাইল নম্বর টার্গেট করে এই দুই ভাই নিজেকে আল্লাহর অলি ও জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে নানা প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেন।

অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, ‘ইমো হ্যাকারদের দুর্গ নাটোরে। মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারকদের বড় অংশ অবস্থান নিয়ে আছে ফরিদপুরে। আর জ্বীনের বাদশা ও আল্লাহর অলি নামধারী প্রতারক বেশি গাইবান্ধায়।’

অপরিচিত কেউ মোবাইল ফোনে যে কোনো ধরনের প্রলোভন দেখালেই লোভের ফাঁদে পা না দেয়ার পরামর্শ দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ভুক্তভোগী ইয়াছিন বলেন, ‘আমি ব্যবসা করি। ৪ এপ্রিল ব্যবসায়ের কাজে ঢাকা যাই। হোটেলে অবস্থানকালে গভীর রাতে আমার মোবাইল ফোনে কল করে জ্বীনের বাদশ ও আল্লাহর অলি পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি বিভিন্ন ধর্মীয় কথা বলতে থাকে। আমি সরল মনে তার কথা বিশ্বাস করি। এক সময় আমি বুঝতে পারি যে প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে পড়েছি। কিন্তু ইতোমধ্যে প্রতারক চক্র আমার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে অনেক টাকা। শেষ পর্যন্ত আমি ঘটনাটা পুলিশকে জানাই।’

যেভাবে টার্গেট করা হয়

পুলিশ জানায়, চক্রটি গভীর রাতে সহজ-সরল মানুষের মোবাইল নম্বরে ফোন করে নানা ধরনের স্পর্শকাতর কথাবার্তা বলে তাদের মাঝে লোভ ও ভীতির সঞ্চার করে। টার্গেট করা ব্যক্তি প্রতারকদের কথার ফাঁদে পড়ে খুইয়ে বসে সর্বস্ব।

প্রতারক চক্র মূলত দৈবচয়ন ভিত্তিতে মানুষকে গভীর রাতে ফোন করে। কথাবার্তার শুরুতেই ওরা বুঝে যায় টার্গেট ব্যক্তির অবস্থান ও মানসিকতা। ওদের কিছু ইনফর্মারও থাকে, যারা ভুক্তভোগীদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে প্রতারণায় সহায়তা করে। ক্ষেত্রবিশেষে ইনফরমাররা মোবাইল ফোন নম্বরও যোগাড় করে দেয়।

টার্গেট স্থির করার পর ওরা ভুক্তভোগীর দুর্বল পয়েন্টে আঘাত করে। উদ্দেশ্য তাকে তাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলা। এভাবে ওরা টার্গেট ব্যক্তির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। তার ওপর ভয় ও লোভ জাগিয়ে তোলা হয়। এরপর ওরা টার্গেট ব্যক্তির কাছ থেকে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয়।

ভিকটিম ইয়াসিনকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার ক্ষেত্রেও ইনফরমারদের ভূমিকা ছিল বলে ধারণা পুলিশের। ইয়াসিন নিঃসন্তান। প্রতারক উজ্জ্বল ইয়াসিনকে তার এই দুর্বল পয়েন্টে আঘাত করে কথা বলেন। তার সন্তান হবে- এমন আশ্বাস দিয়ে প্রতারক তাকে বশে আনে। এরপর তার আবেগের সুযোগ নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে শুরু হয় তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া।

আরও পড়ুন:
৬ ‘জিনের বাদশা’ গ্রেপ্তার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Corruption at Nuclear Power Center Palaya Limited is banned from departure from 5 people

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রচ্ছায়া লিমিটেডের আট পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দেশ ত্যাগে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তারা হচ্ছেন: প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বুশরা সিদ্দিক, শেহতাজ মুন্নাসী খান, শহিদ উদ্দিন খান, শাহিন সিদ্দিক, শফিক আহমেদ শফিক, পারিজা পাইনাজ খান, নওরিন তাসমিয়া সিদ্দিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা আনজুম।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারগণ যাতে সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রোধে আদালতের আদেশ দেয়া একান্ত প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মন্তব্য

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শেখ তন্ময়। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন, তার ভাই শেখ সোহেল ও শেখ জালাল উদ্দিন রুবেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তিরা তাদের নামে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former DB chief Aarons flat and plot seizure order

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নামে রাজধানীর উত্তরায় থাকা একটি ফ্ল্যাট ও মোট ১৮ কাঠার তিনটি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদন সূত্রে জানা যায়, হারুনের নামে থাকা পৃথক তিনটি প্লট রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। এছাড়াও জব্দের আদেশ দেয়া ১৫৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটিও উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।

এদিন হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।

আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।

অনুসন্ধান চলাকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি এসব সম্পদ বিক্রয় বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এজন্য সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দেয়া প্রয়োজন।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হারুন অর রশিদের ১০০ বিঘা জমি, পাঁচটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি হিসাবে থাকা ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।

পাশাপাশি এদিনই তার ভাই এবিএম শাহরিয়ারের ৩০ বিঘা জমি জব্দ, ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।

মন্তব্য

পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৬
পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাদের গাইবান্ধা ও চট্টগ্রাম থেকে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

এর মধ্যে এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মো. মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩ এবং ৩ নম্বর আসামি মাহাথির হাসানকে (২০) চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।

বিকেলে র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সারওয়ার মাহাথির হাসানের গ্রেপ্তারের বিষয়িটি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-১৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে জনা যায়, পাভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলাম গাইবান্ধায় অবস্থান করছে। পরে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাইবান্ধা সদরের ভবানীপুর গ্রামে অভিযান চলানো হয়। অভিযানে এরশাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বনানী থানার ওসি মো. রাসেল সারওয়ার দৈনিক বাংলাকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে পারভেজ হত্যা মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি মাহাথির হাসানের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানায় আনা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে পারভেজ হত্যা মামলায় তিন আসামিকে রাজধানীর মহাখালী ও আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন- আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গত সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামে মামলার এজহারনামীয় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ১ ও র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের যৌথ দল। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়। সব মিলিয়ে পারভেজ হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি দোকানে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। একই সময় পারভেজ তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীর অভিযোগ পারভেজ তাদের দেখে হাসছিলেন। তাদের মধ্যে একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পিয়াসের বান্ধবী। পরে বান্ধবীরা মুঠোফোনে খবর দিলে পিয়াস ও তার দুই বন্ধু মেহরাজ ও মাহথির এসে পারভেজের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর পারভেজকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। তার বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন রোববার তার ভাই হুমায়ুন কবির প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয় ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested across the country in a special police operation

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৬১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯০৬ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৭০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এসব অভিযানে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ১টি দেশীয় পাইপগান, ১টি একনালা বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ২ রাউন্ড অকেজো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩১ জনকে। তার মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১৩ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার আগে গত রোববার ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৫৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death Reference and Appeal Hearing Major Sinha Kill Tomorrow

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি আগামীকাল।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় মামলাটি বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মূলতবি/নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে প্রধান বিচারপতি আলোচিত এই মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য এই হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The news of the burning of the Sagar Rooney murder case is not correct

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পড়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে, সঠিক নয়।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে নতুন উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাবার তথ্যটি সঠিক নয়।’

‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময় আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন, যা সঠিক না,’ যোগ করেন তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতে আগুনে এসব নথি পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরনো নথি খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ।’

‘এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ নয় মাস সময় চাইলে বাদীপক্ষ তিন মাস সময়ের কথা বলেন। পরবর্তীতে আদালত ছয়মাস সময় দেন,’ যোগ করেন তিনি।

এরআগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরসাদুর রউফ বলেন, ‘আমি এমন কোনো কথা কখনোই বলিনি। সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পোড়েনি। আমি বলেছি, এটা পুরনো মামলা।’

মন্তব্য

p
উপরে