× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
In May 408 road deaths were highest in Dhaka division
google_news print-icon

মে মাসে সড়কে ৪০৮ প্রাণহানি, সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগে

মে-মাসে-সড়কে-৪০৮-প্রাণহানি-সর্বোচ্চ-ঢাকা-বিভাগে
দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস। ফাইল ছবি
মে মাসে ঢাকা বিভাগে ১৩৪টি দুর্ঘটনায় ১০২ জন নিহত হন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি দুর্ঘটনা ঘটে। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ২০ জনের প্রাণহানি হয়।

চলতি বছরের মে মাসে দেশে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৮ জন নিহত ও ৬৩১ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬৭ নারী ও ৭৮ শিশু রয়েছে। ওই মাসে ১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৪১ জন, যা মোট নিহতের ৩৪.৫৫ শতাংশ।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, দুর্ঘটনায় ১০৪ পথচারী নিহত হয়, যা মোট নিহতের ২৫.৪৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হন ৭২ জন, যা মোট নিহতের ১৭.৬৪ শতাংশ।

সংস্থাটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে।

সড়কের ধরন

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ অনুযাযী, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৫টি (৩৩.৬০ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২০১টি (৪০.৯৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি (১৪.৮৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৪৮টি (৯.৭৭ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং চারটি (০.৮১ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ভোরে ৫.২৯ শতাংশ, সকালে ২৫.২৫ শতাংশ, দুপুরে ২৮.৭১ শতাংশ, বিকেলে ১২.২১ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৮.৯৬ শতাংশ এবং রাতে ১৯.৫৫ শতাংশ ঘটে।

দুর্ঘটনার বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট দুর্ঘটনার ২৭.২৯ শতাংশ ঘটে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে প্রাণহানি মোট নিহতের ২৫ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগে ১৩৪টি দুর্ঘটনায় ১০২ জন নিহত হন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি দুর্ঘটনা ঘটে। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ২০ জনের প্রাণহানি হয়।

একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ২৯টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হন। রাজধানীতে ২৬টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Implementation of Constitutional Origin Suggestions to take legitimacy in referendum
জুলাই সনদ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত 

সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন গণভোটে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ

সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন গণভোটে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ

জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

গতকাল বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতির উপায় নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া তৃতীয় ধাপের সংলাপের তৃতীয় দিনে এটি উত্থাপন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

কমিশন গত রোববার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে তারা জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ ধারা অনুযায়ী সংবিধান আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের সংবিধান সম্পর্কিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে বলে।

বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদ ২০২৫ এ মূল সংস্কারগুলো অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে একটি ‘সংবিধান আদেশ’ (কনস্টিটিউশনাল অর্ডার) জারি করতে পারে। ওই সংবিধান আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, সংবিধান আদেশকে একটি গণভোটে উপস্থাপন করা যেতে পারে, যা আগামী সাধারণ নির্বাচনের একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান আদেশে গণভোটের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যদি সংবিধান আদেশ জনগণের অনুমোদন পায় গণভোটের মাধ্যমে, তবে তা প্রণয়নের তারিখ থেকেই বৈধ বলে গণ্য হবে।

উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে: অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া।

পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়গুলো (যার মধ্যে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট আছে) সেগুলো চারভাবে বাস্তবায়নের জন্যে পরামর্শ দিয়েছেন আলোচকরা। এগুলো হচ্ছে: অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।

এক মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন শুরুর আশা আলী রীয়াজের

এক মাসের মধ্যে জুলাই সনদ প্রকাশের পাশাপাশি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় শুরু করার আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। গতকাল বুধবার দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশনের মেয়াদ এক মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই এক মাস সময় নিয়ে এই আলোচনা অব্যাহত রাখতে উৎসাহী নই। আমরা মনে করি না যে আগামী এক মাস ধরে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে। আমরা খুব দ্রুত একটা ঐকমত্যের জায়গায় উপনীত হতে পারব।’

১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এ কমিশনের মেয়াদ ছিল ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত। এরপর প্রথমবার এক মাস সময় বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়। গত সোমবার দ্বিতীয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও এক মাস।

সময় বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘যেকোনো কার্যালয় যদি প্রায় এক বছর ধরে অব্যাহত থাকে, সেটা গুটিয়ে তুলতেও খানিকটা সময় লাগে। আমরা যেন মেয়াদের মধ্যেই সেটা গুটিয়ে তুলতে পারি, সেটাও সরকারের পক্ষ থেকে বিবেচনা করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতেই আমরা এখানে আজকে (বুধবার) উপস্থিত হয়েছি।’

এতদিনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো মোট ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে (নোট অব ডিসেন্টসহ) একমত হলেও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে স্পষ্ট মতবিরোধ রয়েছে রয়েছে এনসিপি, জামায়াত এবং বিএনপির মধ্যে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Intense heat flux

তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

চলতি বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহে কোটি কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। শুধু বাংলাদেশেই ৬ কোটি মানুষ (৫৭ মিলিয়ন) এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ‘ঝুঁকিপূর্ণ তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়েছে। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ক্লাইমেট সেন্ট্রালের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে ৩০ মিলিয়ন মানুষ অতিরিক্ত ৩০ দিন পর্যন্ত চরম গরম সহ্য করেছেন। বিশ্বব্যাপী ‘ঝুঁকিপূর্ণ তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে দশম স্থানে।

রাজধানী ঢাকা বিশ্বের মেগাসিটিগুলোর মধ্যে দশম স্থানে, যেখানে ৫২ দিন তাপমাত্রা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দ্বিগুণ হারে সম্ভাব্য হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে ২৩ দিন ছিল স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ, যার মধ্যে ১৫ দিন সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।

ঢাকায় ৫২ দিন তাপমাত্রা দ্বিগুণ সম্ভাবনাময়, ২৩ দিন ঝুঁকিপূর্ণ গরম, যার ১৫ দিন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। চট্টগ্রামে দেশে সর্বোচ্চ ৫৯ দিন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (CSI 2+) দেখা গেছে। খুলনা, রাজশাহী ও গাজীপুরে প্রত্যেক শহরেই দ্বিঅঙ্কের সংখ্যায় ঝুঁকিপূর্ণ গরমের দিন বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই গ্রীষ্মে প্রতিদিন বিশ্বের প্রতি ৫ জন মানুষের একজন, অর্থাৎ ১৮০ কোটির বেশি মানুষ, তাপপ্রবাহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৯৫৫ মিলিয়ন মানুষ ৩০ দিনের বেশি সময় ঝুঁকিপূর্ণ তাপমাত্রা সহ্য করেছেন।

মোট ১৮৩টি দেশে কমপক্ষে এক মাসের মতো সময় ধরে এমন তাপমাত্রা দেখা গেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দ্বিগুণ সম্ভাব্য ছিল। ইউরোপ ও এশিয়ায় এই গরম ছিল সবচেয়ে অস্বাভাবিক।

ক্লাইমেট সেন্ট্রালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ক্রিস্টিনা ডাহল বলেন, ‘এই বিশ্লেষণ প্রমাণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখনই দেখা দিচ্ছে। এটি ভবিষ্যতের হুমকি নয়, বর্তমান বাস্তবতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘অস্বাভাবিক গরম এখনই মানুষের স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিলম্ব হলে ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়বে।’

রিপোর্টে তাপপ্রবাহের বৈশ্বিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই মৌসুমে প্রতিদিন বিশ্বের প্রতি ৫ জন মানুষের ১ জন বা অন্তত ১.৮ বিলিয়ন মানুষ- জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তীব্র প্রভাবিত তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়েছে। প্রায় ৯৫৫ মিলিয়ন মানুষ অতিরিক্ত ৩০ দিনেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ গরম সহ্য করেছে।

মোট ১৮৩টি দেশের মানুষ অন্তত ৩০ দিন এমন তাপমাত্রার সম্মুখীন হয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অন্তত দ্বিগুণ সম্ভাবনাময় ছিল। ইউরোপ ও এশিয়ায় সবচেয়ে অস্বাভাবিক গরম রেকর্ড করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না থাকলে এবং তাপপ্রবাহের মতো জলবায়ু সংকটে প্রস্তুতি না থাকলে ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য, কৃষি ও অর্থনীতি আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Students felt humiliated as Razakars grandchildren said
জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম

‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় শিক্ষার্থীরা অপমানিত বোধ করেছিলেন

‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় শিক্ষার্থীরা অপমানিত বোধ করেছিলেন

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ এবং ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ আখ্যায়িত করায় সারাদেশের ছাত্রছাত্রীরা অপমানিত বোধ করেছিলেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে নাহিদ ইসলাম গতকাল বুধবার তার জবানবন্দিতে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনার পাশাপাশি এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে এ মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল বুধবার তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ গতকাল বুধবার আংশিক জবানবন্দি দেন নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার আবার তার জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে।

জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী ছাত্রদের রাজাকারের বাচ্চা এবং রাজাকারের নাতিপুতি অভিহিত করে কোটাপ্রথার পক্ষে অবস্থান নেন। মূলত এই বক্তব্যের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণের একটি বৈধতা প্রদান করা হয়। কারণ, তারা সব সময় দেখেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ন্যায্য আন্দোলন করা হলে তাদের রাজাকারের বাচ্চা আখ্যা দিয়ে আন্দোলনের ন্যায্যতা নস্যাৎ করা হতো। ছাত্রদের রাজাকারের বাচ্চা এবং রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যায়িত করায় সারাদেশের ছাত্রছাত্রীরা অপমানিত বোধ করেন। সেই রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদমুখর হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

গত বছরের ১৭ জুলাই ডিজিএফআই তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করার এবং সরকারের সঙ্গে সংলাপের জন্য চাপ দেয় বলেও উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দেওয়া হয়। সারাদেশেই এ ধরনের বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। তবু সব বাধা অতিক্রম করে তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৭ জুলাই রাতে দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তাদের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন (১৮ জুলাই) সারা দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন। বিশেষত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা সেদিন রাজপথে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। আন্দোলনের নেতাদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে এবং গ্রেপ্তার এড়াতে তারা আত্মগোপনে চলে যান। সেদিন সারাদেশে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও নিহত হন। সেদিন রাতে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইভাবে ১৯ জুলাই পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালায়। এতে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও নিহত হন।

জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, ১৯ জুলাই তারা বোঝতে পারেন যে সরকার ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেছে। তাদের আন্দোলন এবং হতাহতদের কোনো খবর কোনো মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছিল না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Air pollution in Delhi Black is turning the historic Lalkalla

দিল্লিতে বায়ুদূষণ: কালো হয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক লালকেল্লা

দিল্লিতে বায়ুদূষণ: কালো হয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক লালকেল্লা

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির তীব্র বায়ুদূষণের কারণে শহরের অন্যতম ঐতিহাসিক মোগল স্থাপনা লালকেল্লার দেওয়ালে ‘কালো আবরণ’ তৈরি হয়েছে বলে এক গবেষণায় ওঠে এসেছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, লাল বেলেপাথরের এই স্থাপনার দেওয়ালে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে জমে থাকা এই স্তরের পুরুত্ব ০.০৫ মিলিমিটার থেকে ০.৫ মিলিমিটার পর্যন্ত। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এটি স্থাপনার সূক্ষ্ম নকশা ও খোদাইয়ের ক্ষতি করতে পারে। এটি ১৭০০ শতকের এই স্থাপনার ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব নিয়ে করা প্রথম পূর্ণাঙ্গ গবেষণা।

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম দিল্লি এর বায়ু মানের অবনতির জন্য প্রায়ই খবরে আসে, বিশেষ করে শীতকালে। সংরক্ষণবিদরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, দূষণ রাজধানীসহ কয়েকটি রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর ক্ষতি করছে।

২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছিলেন, সাদা মার্বেল পাথরে নির্মিত বিখ্যাত ১৭০০ শতকের সমাধি তাজমহল বায়ু ও পানিদূষণের কারণে হলদে এবং সবুজাভ-বাদামি হয়ে গেছে। তারা উত্তর প্রদেশ সরকারকে সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।

লালকেল্লা নিয়ে গবেষণাটি পিয়ার-রিভিউ করা ওপেন অ্যাক্সেস বৈজ্ঞানিক জার্নাল হেরিটেজে ২০২৪ সালের জুনে প্রকাশিত হয়। এটি ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারত ও ইতালির গবেষকরা পরিচালনা করেন।

মোগল সম্রাট শাহজাহান নির্মিত লালকেল্লা দিল্লির অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতার এক দিন পর ১৯৪৭ সালের ১৬ আগস্ট ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরু এখান থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এর পর থেকে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীরা কেল্লার প্রাচীর থেকে ভাষণ দিয়ে আসছেন।

গবেষকরা ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দিল্লির বায়ুমানের তথ্য বিশ্লেষণ করেন। পরে কেল্লার বিভিন্ন দেওয়াল থেকে কালো আবরণ সরিয়ে তার রাসায়নিক গঠন পরীক্ষা করেন। তারা দেখতে পান, বাতাসে থাকা ধুলিকণা ও অন্যান্য দূষক কেল্লার দেওয়ালে কালো স্তর তৈরি করেছে এবং এর গম্বুজ, খিলান ও সূক্ষ্ম পাথরের খোদাইসহ স্থাপত্যের নানা অংশে ক্ষতি করেছে। তারা দেওয়ালে ফোস্কা ও খোসা ওঠার প্রমাণও পেয়েছেন।

গবেষণাটি বলছে, ‘পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ (ধুলিকণার ধরন) সাধারণত পরিবেশে থাকা পাথরের পৃষ্ঠে ধুলিকণা জমার প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরা জমে দৃশ্যমান কালচে রং ধারণ করে।’

গবেষকরা কেল্লা রক্ষায় সময়মতো সংরক্ষণ কৌশল গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। তাদের মতে, ‘কালো আবরণের সৃষ্টি একটি ধীরে ধীরে অগ্রসরমান প্রক্রিয়া, যা প্রথমে পাতলা কালো স্তর হিসেবে শুরু হয়- প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সরানো সম্ভব।’

তারা আরও পরামর্শ দিয়েছেন, পাথরের সুরক্ষামূলক আবরণ বা সিল্যান্ট প্রয়োগ করে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এই কালো স্তর গঠনের গতি কমানো বা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Family members including Sheikh Hasina cannot vote

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত এপ্রিলে হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ‘লক’ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। যার কারণে তারা প্রবাসে বসে ভোট দিতে পারবেন না।

ইসি সচিব বলেন, ‘যাদের এনআইডি লক আছে তারা কেউই প্রবাসে বসে ভোট দিতে পারবেন না।’

এনআইডি লক হওয়া শেখ পরিবারের সদস্যরা হলেন- শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, রেহানা সিদ্দিক (শেখ রেহানা), টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

ইসি সচিব বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে ইন কান্ট্রি ও আউট অব কান্ট্রি ভোট হবে। যারা প্রবাসে আছেন, তারা অনলাইনে নিবন্ধন করবেন।

এ জন্য সিস্টেম ডেভেলপ করা হচ্ছে।’ শেখ হাসিনা ভোট দিতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার তো এনআইডি লক আছে। যাদের এনআইডি লক আছে তারা কেউই ভোট দিতে পারবেন না।’

মামলার কারণে বা অন্য কোনো কারণে পালিয়ে বা অন্যভাবে বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের ভোট দিতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে তাদের এনআইডি আনলক অবস্থায় থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসে বসে ভোট দিতে হলে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে এনআইডি নম্বর দিয়ে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট নয়, এনআইডি বাধ্যতামূলক হবে। তাই যার এনআইডি লক থাকবে তিনি কী করে অনলাইনে নিবন্ধন করবেন? তিনি তো পারবেন না। যারা এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করবেন তারাই কেবল এই সুযোগ পাবেন।’

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা।

এছাড়া তার দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও অনেকে বিভিন্ন দেশে পালিয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
India is thinking of security threats to those neighbors including Bangladesh
কলকাতায় ‘কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্স’

বাংলাদেশসহ ৫ প্রতিবেশীকেই নিরাপত্তার হুমকি ভাবছে ভারত

বাংলাদেশসহ ৫ প্রতিবেশীকেই নিরাপত্তার হুমকি ভাবছে ভারত

ভুটান ও মিয়ানমার ছাড়া বাংলাদেশ, চীনসহ বাকি পাঁচ প্রতিবেশী দেশকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় চলমান ‘কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্সে’ ভারতের নিরাপত্তা মহল জানিয়েছে, বাংলাদেশের তথাকথিত ‘উগ্রপন্থি তৎপরতার উত্থান’, পাকিস্তানের ‘জঙ্গি অর্থায়ন’, চীনের সঙ্গে ‘সীমান্ত অচলাবস্থা’ এবং নেপালের ‘রাজনৈতিক অস্থিরতাকে’ ভারতের বড় সংকট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি কলকাতায় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩ দিনব্যাপী এ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন। এ বছর এর মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইয়ার অব রিফর্মস-ট্রান্সফরমিং ফর দ্য ফিউচার’। ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ ফোরামে শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব একসঙ্গে বসে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির রূপরেখা তৈরি করে। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারতের প্রতিবেশী বিশেষ করে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেশের জন্য নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, এসব ইস্যু ছাড়াও প্রতিবেশী দেশগুলোয় ভারতবিরোধী মনোভাব, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেগুলোও সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই ফোরামে গভীরভাবে আলোচনা হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব বিস্তারিত পর্যালোচনা করছে। চীন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ও দক্ষিণ চীন সাগরে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছে। লাদাখ, অরুণাচল ও সিকিম সীমান্তে চীনা সেনাদের সঙ্গে চলমান অচলাবস্থা ভারতের জন্য পরোক্ষ হুমকি তৈরি করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা এবং দুদিক থেকে (পাকিস্তান ও চীন-পাকিস্তান) সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া। পাশাপাশি নেপাল, বাংলাদেশ ও চীন সীমান্তসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা চলছে।’

দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে নিরাপত্তা মহলের সূত্রগুলো ভারতের পূর্ব সীমান্তে উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলো গভীরভাবে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছে। ভারতের গোয়েন্দা ব্যুরোর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর উগ্রপন্থি তৎপরতার উত্থান এবং সেখানে বেড়ে চলা ভারতবিরোধী বক্তব্য আমাদের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ বেড়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের সীমান্তবর্তী জেলার জনসংখ্যার বিন্যাস বদলেছে এবং তা ভারতের জন্য নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ বাড়িয়েছে।’

ভারতের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব পূর্ব লাদাখ ও পূর্ব সীমান্তে চীন সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতিরও বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছে। সেখানে ভারত ও চীন দীর্ঘদিন অচলাবস্থায় আটকে আছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সম্মেলনে মূল গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ভবিষ্যৎ সক্ষমতা গড়ে তোলা, যৌথ ও সমন্বিত প্রতিক্রিয়ার জন্য সংগঠন কাঠামো তৈরি করা এবং শান্তি ও যুদ্ধ উভয় সময়েই কার্যক্রমে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Country satellite services can disrupt eight days drawn

দেশের স্যাটেলাইট সেবা বিঘ্ন ঘটতে পারে টানা আট দিন

দেশের স্যাটেলাইট সেবা বিঘ্ন ঘটতে পারে টানা আট দিন

সৌর ব্যতিচারের কারণে বাংলাদেশে স্যাটেলাইটনির্ভর সম্প্রচার কার্যক্রমে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত টানা আট দিন এ প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।

গতকাল বুধবার সংস্থাটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইটের জন্য সৌর ব্যতিচার একটি স্বাভাবিক মহাকাশীয় ঘটনা, যা প্রতি বছর দুবার ঘটে। এ সময় সূর্য, পৃথিবী ও স্যাটেলাইট একই সরলরেখায় অবস্থান করে, ফলে স্যাটেলাইট সংকেত ব্যাহত হয়। প্রতিদিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের আশপাশে এ ব্যতিচার ঘটতে পারে।

সংস্থাটির মুখপাত্র ওমর হায়দার জানান, ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে ৯টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত ৩ মিনিট সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটতে পারে। ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৩২ মিনিট থেকে ৯টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত ৯ মিনিট, ১ অক্টোবর সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ১২ মিনিট, ২ ও ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ৯টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিট করে, ৪ অক্টোবর সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ৯টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত ১২ মিনিট, ৫ অক্টোবর সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ১১ মিনিট এবং ৬ অক্টোবর সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত ৮ মিনিট সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

এ অবস্থায় ব্যতিচার সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে