গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। রুক্ষ্ণ প্রকৃতিতে পানির জন্য চারদিকে হাহাকার। এমন পরিস্থিতিতে দুটি ডুমুর গাছ নিয়ে একটি গ্রামের মানুষের কৌতূহলের যেন শেষ নেই।
গাছ দুটি বেয়ে অনবরত ঝরছে পানি। আর সেই দৃশ্য দেখতে গাছটির চারপাশে উৎসুক জনতার ভিড় লেগে আছে। অলৌকিক দাবি করে অনেকেই সেই পানি মাখছেন শরীরে। আবার কেউ কেউ বোতলে ভরে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে পরিবারের জন্য।
রাজধানী ঢাকার অদূরে ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের বান্নল বোচাইবাড়ি গ্রামে ঘটনা এটি। ওই গ্রামের বোচাইবাড়ি খালের পাশের দুটি ডুমুর গাছ নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।
বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের নির্জন খালের পাশে দুটি ৩০-৪০ ফুট উচ্চতার ডুমুর গাছ। আশপাশে আর গাছপালা থাকলেও এই গাছ দুটি চেনা যায় সহজেই। দুটি গাছের শরীর বেয়ে অনবরত পানি গড়াচ্ছে। পাতা থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়ছে পানি। এতে ভিজে আছে চারপাশ।
এমনিতে জায়গাটা নির্জন থাকলেও গত কয়েক দিনে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। দলবেঁধে এই দৃশ্য দেখতে আসছেন অনেকেই। পলিথিন বিছিয়ে, হাতের তালুতে ধরে পানি নিচ্ছেন তারা। গায়ে মাখছেন কেউ কেউ। আবার কেউ বোতলে জমিয়ে বাড়ির লোকজনের জন্যও নিচ্ছেন সেই পানি।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার এলাকার কয়েক জন কৃষক প্রথম গাছ থেকে পানি ঝরার বিষয়টি লক্ষ্য করেন। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের অনেকেই ভিড় করছেন সেখানে।
গাছটির নিচে পলিথিন নিয়ে দাঁড়িয়ে পানি জমাচ্ছিলেন চন্দনা রানী দাস ও অর্পনা রানী দাস। পঞ্চাশোর্ধ এই দুই নারীর বাড়ি প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে একই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের খড়ারচর গ্রামে। স্থানীয় এক আত্মীয়ের মাধ্যমে খবর পেয়ে পানি নিতে আসেন তারা।
চন্দনা রানী দাস বলেন, ‘এরকম অলৌকিক পানি পড়ার কথা শুনে এসেছি। পানি গায়ে মেখেছি, পান করেছি। বাড়ির অন্যদের জন্যও নিয়েছি। যাতে অসুখ দূর হয়ে যায়।’
পাশের বান্নাখোলা গ্রামের সোহেল রানাও এসেছেন পানি নিতে। তিনি বলেন, ‘সকালেই পানি ঝরার কথা শুনেছি। আশ্চর্যজনক এ ঘটনা শুনে দেখতে এসেছি। দেখলাম পুরো গাছই পানিতে ভেজা। কাণ্ড ও পাতা থেকে পানি ঝরছে। আমার মতো অনেকেই পানি নিচ্ছেন।’
এদিকে পানি পড়ার এই প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি গাছই মাটি থেকে পানি শোষণ করে সেই পানি বিভিন্ন কাণ্ড ও পাতায় ছড়িয়ে দেয়। কখনও কখনও কোনো গাছ অতিরিক্ত পানি শোষণ করে ফেলে। অতিরিক্ত পানি গাছটি কাণ্ডের মাধ্যমে বের করে দেয়। সেটিই পানি ফোঁটায় ফোঁটায় বেরিয়ে আসে। এ গাছটির ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরসঙ্গে তাপপ্রবাহেরও সংযোগ আছে। তাপপ্রবাহ বাড়লে পানি শোষণ হয় বেশি। তাপ কমলে গাছের অভ্যন্তরে পানি জমে যায়। পরে সেটি বেরিয়ে আসে। এখন যেহেতু তাপপ্রবাহ কমে এসেছে। ফলে পানি পড়াও বন্ধ হয়ে যাবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নুহু আলম বলেন, ‘গাছ তো মাটি থেকে পানি গ্রহণ করে। গাছের যে ভাস্কুলার সিস্টেম আছে সেটি দিয়ে মাটি থেকে পানি শোষণ করে। ওই পানিকে বলা হয়, ক্যাপিলারি ওয়াটার। এই পানি গাছ তার কাণ্ড ও পাতায় পৌঁছে দেয়। কোনো কারণে ওয়াটার সোর্স বেশি পেলে বা ক্যাপিলারি ওয়াটারের পরিমাণ যদি বেশি থাকে, পানি যদি বেশি জমা হয়, তাহলে কাণ্ডমূল দিয়ে সেই অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে। এটি খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’
পানি খাওয়ার উপযোগী কি না প্রশ্নে বিশেষজ্ঞ এ শিক্ষক বলেন, ‘এই গাছ যদি বিষাক্ত হয়, তাহলে সেটি অনিরাপদ। তবে তা যদি না হয়, এই পানি খাওয়া যাবে।’
পানি খাওয়ার ব্যাপারে আগে পরীক্ষা করে নেয়া উচিত বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:সততার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কুমিল্লার পাপিয়া ট্রান্সপোর্টের একটি বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপাররা। যাত্রীর ফেলে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা ও মূল্যবান কাগজপত্রসহ একটি ব্যাগ মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা।
এ ঘটনায় তাদের নিয়ে প্রশংসার জোয়ার বইছে স্থানীয় যাত্রী সাধারণ ও বাস টার্মিনালের পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
মঙ্গলবার বিকেলে টাকা, কাগজপত্রসহ ব্যাগটি ফেরত পাওয়ার পর আনন্দে অভিভূত হয়ে যান মানবাধিকারকর্মী জয়নাল আবেদীন।
তিনি জানান, সোমবার কুমিল্লা-দাউদকান্দি রুটে পাপিয়া ট্রান্সপোর্টের একটি বাসে করে ইলিয়েটগঞ্জ থেকে কুমিল্লা শহরে ফিরছিলেন জয়নাল। তার বাড়ি জেলার চান্দিনা উপজেলার ভাগুরা পাড়া গ্রামে। কুমিল্লার শাসনগাছা টার্মিনালে এসে বাস থেকে নেমে গেলেও ভুলবশত তার সঙ্গে থাকা ব্যাগটি গাড়িতে ফেলে যান তিনি। ব্যাগে নগদ ৫০ হাজার টাকা, কাপড়-চোপড় ও কিছু মূল্যবান কাগজপত্র ছিল।
বাসটি শাসনগাছায় বাসস্ট্যান্ডে আসলে যাত্রীরা নেমে পড়েন। পরে বাসের চালক মো. সুমন, সুপারভাইজার নাজমুল হাসান, দুই সহকারী (হেলপার) সজিব ও সাইফুল যাত্রীর ফেলে যাওয়া ব্যাগটি পাপিয়া ট্রান্সপোর্টের মহাসচিব তাজুল ইসলামের নিকট জমা রাখেন।
পরে তাজুল ইসলাম মোবাইল ফোনে ব্যাগের মালিক জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে যোগযোগ করেন। মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি মঙ্গলবার বিকেলে চালক ও স্টাফদের উপস্থিতিতে টাকা, মালামাল ও ব্যাগ জয়নাল আবেদীনের হাতে বুঝিয়ে দেন। টাকার পাশাপাশি মূল্যবান কাগজপত্র ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জয়নাল আবেদীন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাগ হারিয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে বাসের চালক-হেলপারদের সততায় মুগ্ধ হয়েছি।’
এদিকে বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের সততায় মুগ্ধ হয়ে পরিবহনটির মালিক তাদের পুরস্কৃত করেন।
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ফুঁ দিয়ে বরকত বাড়ানোর কথা বলে এক গৃহবধূর টাকা নিয়ে সটকে পড়েছে প্রতারক চক্র।
সোমবার দুপুরে উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মেয়েকে কলেজে ভর্তি করতে পূবালী থেকে ৩১ হাজার টাকা উত্তোলন করেন উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের দুবাই প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী গৃহবধূ শাহিদা বেগম। তার টাকার ুপর নজর গেলে তা আত্মসাতের পরিকল্পনা আঁটে চক্রটি। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর টাকায় বরকত বাড়ানোর কথা বলে ওই গৃহবধূর টাকাগুলো এক প্রতারকের হাতে দিতে বলেন অন্য প্রতারকরা। প্রতারকদের কথা শুনে সরল বিশ্বাসে তিনি টাকাগুলো তার হাতে তুলে দেন।
প্রতারক প্রথমে ওই টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ফু দিয়ে আলাদা রাখেন। এরপর গৃহবধূ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাকি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি বুঝতে পেরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন ওই গৃহবধূ। বিষয়টি দেখে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তিনি ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বড়লেখা উপজেলায় একই কায়দায় সুজানগর ইউপির বড়থল গ্রামের কাতার প্রবাসী ছুয়াব আলীর স্ত্রী ছাবিয়া বেগমের কাছ থেকে কৌশলে ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের এমন ঘটনায় জেলাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:বরিশালে নকল স্বর্ণের বার তৈরির সময় জসিম হাওলাদার নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। তবে চক্রের অপর ৫ সদস্য কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
আটককালে ছয়টি নকল স্বর্ণের বার, ১২টি পিতলের বার (পিতলের চামচ কেটে বানানো টুকরো) ও নকল স্বর্ণ তৈরির সরমাঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আটককৃত জসিমসহ চক্রের পলাতক ৫ সদস্যকে আসামি করে মঙ্গলবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানায় মামলা করেছেন ডিবি পুলিশের এসআই ফখর উদ্দীন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি অ্যাডমিন এন্ড ক্রাইম) মো. তোতা মিয়া।
পুলিশ জানায়, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল চক্রটি। বিষয়টি বেশ কিছুদিন থেকে নজরদারিতে রেখেছিল পুলিশ। সোমবার রাতে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, নগরের কাউনিয়া প্রথম গলির একটি বাসায় নকল স্বর্ণ তৈরি করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ফোর্স নিয়ে ডিবির এসআই মো. ফখর উদ্দীন ও এএসআই মো. জামাল হোসাইন ওই এলাকায় অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য পালিয়ে গেলেও প্রতারক জসিম হাওলাদারকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় জসিমের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি স্বর্ণের বার সদৃশ বস্তু, ১২টি পিতলের বারসহ নকল স্বর্ণ প্রস্তুত করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ডিবির এসআই মো. ফখর উদ্দীন বাদী হয়ে আটককৃত ৩২ বছর বয়সী জসিমসহ পালিয়ে যাওয়া প্রতারক চক্রের সদস্য আগৈলঝাড়া থানার নাগার গ্রামের মৃত মাহেন্দ্রনাথ বল্লভের ছেলে ৪৫ বছর বয়সী অপু ঘোষ ওরফে মঙ্গল বল্লভ, কাউনিয়া সাধুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা বাদশার ছেলে ৩০ বছর বয়সী সুমন, কাউনিয়া বাসু মিয়ার গলির ভাড়াটিয়া ৩২ বছর বয়সী এমরান, পুরানপাড়া এলাকার ৩৫ বছর বয়সী কালু ও কাউনিয়া হাউজিং এলাকার মফিজকে আসামি করে মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানায় মামলা করেন।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি এডমিন এন্ড ক্রাইম) মো. তোতা মিয়া বলেন, ‘এ চক্রটি মূলত নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকাকে কেন্দ্র করে প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করত তারা।
‘একজনকে যখন আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে, বাকি স্বর্ণ প্রতারকদেরও ধরা সম্ভব হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান থেকে বাঁচতে হাসপাতাল একদম ফাঁকা করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত ‘কুইন্স হাসপাতালে’ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছিলো না এমন অভিযোগে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অভিযানে যায় কুমিল্লা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
অভিযানে গিয়ে প্রথমে হাসপাতালে রোগী, চিকিৎসক,নার্সসহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও খোঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্স কিংবা অনুমতিপত্র ছিল না। নিয়ম না মেনেই সাত তলা আবাসিক ভবনের পাঁচটি ফ্লোরের ফ্ল্যাট গুলোকে কেবিন ও ওয়ার্ড বানিয়ে কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল নামের কথিত এই সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে নগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনো ডিউটি চিকিৎসক ছাড়াই সেবা দিয়ে আসছিল।
হাসপাতালে অভিযানের ভয়ে সকাল থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যায়। যদিও ভবনের কেয়ারটেকার জানায় তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন মাধ্যমের সহযোগিতা নিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে এনে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। পরে কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক বলেন, ‘অভিযান পরিচালনাকালে কুইন্স হাসপাতাল তাদের বৈধতার কোন কাগজ দেখাতে পারিনি। তাই তাদেরকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়েছে।’
খুবই দক্ষ চোর চক্রটি। মাত্র ১০ সেকেন্ডেই একেকটি মোটরসাইকেল হাওয়া করে দেয়ার সক্ষমতা রাখে তারা। চট্টগ্রামের ফুটপাত, বাসাবাড়ি কিংবা অফিসের পার্কিং থেকে একের পর এক মোটরসাইকেল উধাও হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চক্রটি।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূল হোতা রায়হানসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ৭টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করত চক্রটি। পরে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং অন্যান্য চোরচক্রের সঙ্গে যোগযোগ করে সেগুলো বিক্রি করে আসছিল তারা।
মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর ও দক্ষিণ) পুলিশের উপকমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘নগরীর হালিশহর থানাধীন বড়পোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল রায়হান, তার সহযোগী ইরফাদুল আলম ও আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়।’
আমেরিকার দেয়া ভিসা নিষেধাজ্ঞায় সরকারের কম্পন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এরপর বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে যে ভিসানীতি আসবে সেটি আরও কঠিন হবে। এখানে মাফ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় রোড মার্চ উপলক্ষে জেলা শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা দাবিতে সারাদেশে বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে এ রোড মার্চ শুরু হয়।
আমির খসরু বলেন, ‘জীবনের বিনিময়ে হলেও ভোট চুরি প্রতিরোধ করতে হবে। জীবন দিয়ে আমাদের জয়লাভ করতে হবে। এই যুদ্ধ বিএনপির নয়, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।’
তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাতের আঁধারে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ দেশের মানুষের অধিকার যতদিন ফিরিয়ে দিতে না পারি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যতদিন নির্বাচন না হয় ততদিন আমরা রাজপথে থাকব।’
সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ অনেকে।
কোনো কারণ ছাড়াই ময়মনসিংহের ভালুকার একটি বিদ্যালয় থেকে নুপুর আক্তার নামে এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘুষ খেয়ে নুপুর আক্তারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) ও সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও)।
বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে বারবার নূপুর আক্তারকে দায়িত্বে রাখতে অনুরোধ করার পরও তাকে সরিয়ে ওই দুই শিক্ষা কর্মকর্তা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে টিইও সৈয়দ আহমদ ও এটিইও দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ৭১ নম্বর কাদিগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন কাচিনা-মল্লিকবাড়ি সড়কে এই মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ক্ষুব্ধ বক্তারা জানান, নুপুর আক্তার এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে ছোট ছোট শিশুরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। পড়া-লেখার ভালো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দ্বায়িত্ব নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো করেছে। শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখায় মেধাবী করতে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তবুও বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবকদের মতামতকে উপেক্ষা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুপুর আক্তারকে কোনো কারণ ছাড়াই ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছেন ওই দুই কর্মকর্তা।
এর আগে স্কুলের সীমানা থেকে স্থানীয় সাইফুল ইসলাম ও তার জামাতা রমিজ খানের বিরুদ্ধে বাঁশ কেটে মাটি ভরাট করে দখলের অভিযোগ করলেও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে টিইও সৈয়দ আহমেদ নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
গত মাসে এই বিদ্যালয়ে নুপুর আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে বহাল রাখতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে শিক্ষর্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে তিনবার আবেদন করা হয়। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমদ ও সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এসবের কোনো কিছুতেই পাত্তা দেননি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সাইফুল ইসলাম ও তার জামাতা রমিজ খানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খেয়েই উপজেলার দুই শিক্ষা কর্মকর্তা নুপুর আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সরিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য