× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Rescued Bangladeshi peacekeeper Asheku kidnapped in Sudan
google_news print-icon

সুদানে অপহৃত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আশেকুর উদ্ধার

সুদানে-অপহৃত-বাংলাদেশি-শান্তিরক্ষী-আশেকুর-উদ্ধার
বাংলাদেশ পুলিশের লোগো। ফাইল ছবি
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ছয়টায় একটি গোষ্ঠী তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে কাল রাতেই মিশন কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত অবস্থায় সাউথ সুদানে অপহরণ হওয়া বাংলাদেশ পুলিশের এসআই আশেকুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ছয়টায় একটি গোষ্ঠী তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে কাল রাতেই মিশন কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর রহমান বলেন, ‘সাউথ সুদানের মালাকাল টিম সাইটে নিয়োজিত পুলিশ কম্পোন্যান্টের সাথে নিয়মিত নিরাপত্তা টহলকালে এ ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, ‘সাব-ইন্সপেক্টর মো. আশেকুর রহমান সুস্থ আছেন। তিনি ইনডিভিজুয়াল পুলিশ অফিসার (আইপিও) হিসেবে শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন।’

এছাড়া সাউথ সুদান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের সকল শান্তিরক্ষী সুস্থ ও নিরাপদে রয়েছেন বলেও এসময় জানান তিনি।

চলতি বছরের ২১ এপ্রিল আইপিও হিসেবে দক্ষিণ সুদানে যান আশেক। এসপি থেকে এসআই পর্যন্ত বিভিন্ন পদের মোট ১১ জন সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ওই দলে।

আরও পড়ুন:
মাদক কারবারি ধরতে গিয়ে ২ কনস্টেবল গুরুতর আহত
বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
জীবন উৎসর্গকারী ৫ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে জাতিসংঘের সম্মাননা
পদযাত্রার পেছন থেকে পুলিশের ওপর হামলা হয়: ডিসি রমনা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Two researchers won the Nobel Prize in medicine

করোনার টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকায় চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই গবেষক

করোনার টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকায় চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই গবেষক চিকিৎসায় এবারের নোবেল পুরস্কারজয়ী কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যান। কোলাজ: নোবেল প্রাইজ আউটরিচ
নিউক্লিওসাইড বেজ মডিফিকেশন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যানকে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখা গবেষণার জন্য চিকিৎসায় এ বছরের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুই গবেষক।

নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, নিউক্লিওসাইড বেজ মডিফিকেশন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যানকে। তাদের এ আবিষ্কারের ওপর ভর করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবন করা হয়।

চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেলজয়ী কাতালিন কারিকোর জন্ম ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরির সয়নক এলাকায়। তিনি হাঙ্গেরির সিইজড’স ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি নেন।

১৯৮৫ সালে সিইজডের হাঙ্গেরিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটি এবং বেথেসডার ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন এ ব্যক্তি।

১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক নিযুক্ত হন কাতালিন কারিকো। ২০১৩ সাল নাগাদ সেখানে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বায়োএনটেক আরএনএ ফার্মাসিউটিক্যালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০২১ সাল থেকে সিইজড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছেন কাতালিন। একই সঙ্গে তিনি পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবেও কাজ করছেন।

এবার চিকিৎসায় আরেক নোবেলজয়ী ড্রু ওয়েইজম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের লেক্সিংটনে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে এমডি ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের বেথ ইসরায়েল ডিকনেস মেডিক্যাল সেন্টার থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথ থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা চালান তিনি।

১৯৯৭ সালে পেনসিলভ্যানিয়া ইউনিভার্সিটির পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনে গবেষণা দল গড়েন ওয়েইজম্যান। তিনি ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টারের রবার্টস ফ্যামিলি প্রফেসর এবং পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনসের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯০১ সাল থেকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এ যাবত ১২ জন নারী চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন।

চিকিৎসায় সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হরেন ফ্রেডরিক জি. ব্যান্টিং। তিনি ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে নোবেল পেয়েছিলেন। চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি বয়সী নোবেলজয়ীর নাম পেটন রৌস। তিনি ৮৭ বছর বয়সে এ পুরস্কার পান।

সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।

নোবেল পুরস্কারের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটি সোমবার সুইডেনের স্টকহোমে ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কার। বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার।

আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।

আরও পড়ুন:
কুড়িগ্রামে মঞ্চে উঠে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শিল্পী নোবেলের
মরণোত্তর হলেও নোবেল পাবেন খালেদা জিয়া: গয়েশ্বর
শান্তির নোবেল হস্তান্তর
‘অর্থনীতির নোবেলে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় হুঁশিয়ারির বার্তা’
ব্যাংকধস ঠেকানোর গুরুত্ব জানিয়ে ৩ আমেরিকানের নোবেল জয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nobel laureates in medicine announced today

চিকিৎসায় নোবেল ঘোষণা বিকেলে

চিকিৎসায় নোবেল ঘোষণা বিকেলে নোবেল পুরস্কারের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
নোবেল পুরস্কার পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এবারের চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন নারকোলেপসি ও ওরেক্সিন নিয়ে কাজ করা গবেষকরা। মূলত মানুষের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় নিয়ে এ গবেষণাগুলো করা হয়।

চিকিৎসা শাস্ত্রে এবারের নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেলে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতি বছরের মতো এবারও অক্টোবরের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।

নোবেল পুরস্কারের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটি সোমবার সুইডেনের স্টকহোমের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ঘোষণা করা হবে। এরপর মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কার। বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার।

আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।

এক্স-রে, পেনিসিলিন, ইনসুলিন ও ডিএনএর মতো যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল দেয়া হয়েছে।

নোবেল পুরস্কার পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এবারের চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন নারকোলেপসি ও ওরেক্সিন নিয়ে কাজ করা গবেষকরা। মূলত মানুষের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় নিয়ে এ গবেষণাগুলো করা হয়।

এ ছাড়া চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কারটি পেতে পারেন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত কাতালিয়ান কারিকো এবং যুক্তষ্ট্রের ড্রিউ ওয়েসম্যান। কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফাইজার ও মডার্নার তৈরি টিকার এমআরএনএ নিয়ে গবেষণায় তাদের অবদান অবিস্মরণীয়।

আরও পড়ুন:
জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী ‘বনায়ন’
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনে বিজয়ী চট্টগ্রাম অঞ্চলের এজেন্টরা পেলেন পুরস্কার
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনের পুরস্কার পেলো বিজয়ীরা
স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’ দৌড়ে নৌকা স্কুলের রেজোয়ান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Explosion in front of Ministry of Interior building in Turkey

তুরস্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে বিস্ফোরণ

তুরস্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে বিস্ফোরণ বিস্ফোরণস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আল জাজিরা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া বলেছেন, দুই সন্ত্রাসী বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হালকা একটি বাহনে এসে মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে হামলা চালান।

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সময় সকালের এই ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ দুইজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া বলেছেন, দুই সন্ত্রাসী বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হালকা একটি বাহনে এসে মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে হামলা চালান।

তিনি জানান, একজন হামলাকারী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যজনকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

পার্লামেন্টে অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগে এই বিস্ফোরণ হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কারা এই হামলা চালিয়েছে এবং এর পেছনের কারণ কী তা জানা যায়নি। এর দায়ও এখনও কেউ স্বীকার করেনি।

একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যে যানবাহনে করে হামলা হয়েছে, সেটির চালককে হামলার স্থান থেকে অন্তত ১৬১ মাইল দূরে একটি এলাকায় হত্যা করে তা নিয়ন্ত্রণে নেয় হামলাকারীরা।

আরও পড়ুন:
আড়াইহাজারে বিস্ফোরণ: আরও একজনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ: দগ্ধ দুজনের মৃত্যু
সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: আরও একজনের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
7 killed in night club fire in Spain

স্পেনে নাইট ক্লাবে আগুনে নিহত ১১

স্পেনে নাইট ক্লাবে আগুনে নিহত ১১
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটালায়াস এলাকায় অবস্থিত জনপ্রিয় টিয়েটার নাইট ক্লাবে আগুন লাগে। খবর পেয়ে উদ্ধারে যান উদ্ধারকারী কর্মীরা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

স্পেনের একটি নাইট ক্লাবে আগুনে অন্তত ১১ নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৬টার দিকে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মুরসিয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটালায়াস এলাকায় অবস্থিত জনপ্রিয় টিয়েটার নাইট ক্লাবে আগুন লাগে। খবর পেয়ে উদ্ধারে যান উদ্ধারকারী কর্মীরা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আগুনেরপর এখনও যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের সন্ধানের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ।

মুরসিয়ার মেয়র হোসে ব্যালেস্তা বলেন, আমরা বিধ্বস্ত হয়েছি। উদ্ধারকারীরা এখনও নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া বেশ কয়েকজনকে খুঁজছেন।

জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ বলছে, দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পর নাইট ক্লাবটিতে ঢুকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার হয় আরও দুই মরদেহ। সবমিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনেরর। চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আগুনের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khalistani leader threatens to attack World Cup in India

ভারতে বিশ্বকাপে খালিস্তানি নেতার হামলার হুমকি

ভারতে বিশ্বকাপে খালিস্তানি নেতার হামলার হুমকি নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ম্যাচে হামলার হুমকি দিয়েছে শিখস ফর জাস্টিস নেতা গুরপতবন্ত পান্নুন। কোলাজ: নিউজবাংলা
আগামী ৫ অক্টোবর গুজরাটের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপের এবারের আসরের পর্দা উঠবে। ওই ম্যাচের দিনই স্টেডিয়ামে হামলা চালানো হবে বলে এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন এসএফজে নেতা গুরপতবন্ত পান্নুন।

আগামী সপ্তাহে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩। বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ভারতসহ অংশ নেয়া সবগুলো দেশ ও ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে এ নিয়ে উত্তেজনা, পরিকল্পনার শেষ নেই। বিশ্বকাপ উপলক্ষে চারদিকে সাজ সাজ রব। এরই মাঝে উড়ে এলো ভারতে হামলার হুমকি।

কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা এবং কথিত খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামে ওই হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ভারতে নিষিদ্ধ শিখ সম্প্রদায়ের সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)।

আগামী ৫ অক্টোবর গুজরাটের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপের এবারের আসরের পর্দা উঠবে। ওই ম্যাচের দিনই স্টেডিয়ামে হামলা চালানো হবে বলে এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন এসএফজে নেতা গুরপতবন্ত পান্নুন।

পান্নুনের ওই অডিও ক্লিপটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।

ওই বার্তায় তাকে বলতে শোনা গেছে, ‘৫ অক্টোবর থেকে ক্রিকেট বিশ্বকাপ নয়, বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ কাপ শুরু হতে চলেছে।’

হরদীপ হত্যাকাণ্ডে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি দায়ী করে তিনি বলেছেন, ‘দিল্লি খালিস্তান হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার জন্য আপনি দায়ী এবং শিখ ফর জাস্টিস এই হত্যার প্রতিশোধ নেবে। আহমেদাবাদে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আইসিসি বিশ্বকাপ আমাদের লক্ষ্য।

‘তোমাদের বুলেটের বদলে আমাদের ব্যালট চলবে। হিংসার জবাব আমরা ভোটের মাধ্যমে দেব।’

ভারতের শিখ ধর্মাবলম্বী ও খালিস্তান আন্দোলনের প্রতি সহমর্মী জনগণকে শিখদের স্বাধীন রাষ্ট্র খালিস্তান কায়েম হওয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্বকাপ বর্জনের আহ্বানও জানিয়েছেন পান্নুন।

কানাডাভিত্তিক একজন আইনজীবী মনে করা হয় পান্নুনকে। ২০২০ সালে ভারত সরকার তাকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেয়। এমনকি সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাকে ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায়ও রাখা হয়েছিল।

শিখস ফর জাস্টিসের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন তিনি। এসএফজের কানাডা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন হত্যার শিকার হওয়া নিজ্জর। পান্নুনের দল ‘এসএফজে’র মতাদর্শ প্রচারের দায়িত্বে ছিল নিহত নিজ্জরের সংগঠন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’। এই দুই সংগঠনই ভারতে নিষিদ্ধ।

ভারতে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি ‘খালিস্তান’ নামে শিখদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সোচ্চার।

ভারতে পান্নুনের বিরুদ্ধে ১৬টি ফৌজদারি মামলা চলছে। সম্প্রতি পাঞ্জাবে তার বেশ কিছু সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

বিশ্বকাপ আয়োজন উপলক্ষে এমনিতেই দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ভারত। বিশ্ব ক্রিকেটের মহা আয়োজন শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে এমন হুমকি বার্তা পেয়ে তাই নড়েচড়ে বসেছে দেশটির সরকার।

গুজরাটের যে স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সেটির নামকরণ করা হয়েছে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে। আবার নরেন্দ্র মোদি নিজেও গুজরাটের বাসিন্দা। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আক্রোশ থেকে এমন হামলার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না কূটনীতিকরা।

ইতোমধ্যে গুজরাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সতর্কতা আরও জোরদার করা হয়েছে। সরকারি সূত্রের বরাতে ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, এনআইএ ওই অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করছে।

ওই বার্তায় এ-ও বলা হয়, ভারত নাকি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে অপমান করেছে। এসএফজে এর বদলা নেবে। ভারতকে ফল ভোগ করতে হবে।

‘আমরা পরামর্শ দিচ্ছি অটোয়াতে ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দিন, নয়ত রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিন।’

এ কথায় পান্নুনের সংগঠনের সঙ্গে কানাডা সরকারের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।

গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের ভ্যাঙ্কুভার শহরের একটি গুরুদুয়ারার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়) কাছে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন হরদীপ সিং নিজ্জর। দুই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী ৪৬ বছরের নিজ্জরকে গুলি করে হত্যা করেন।

শুরু থেকেই কানাডা সরকারের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘হাত’ রয়েছে। পরে পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে প্রথম ভারতের এজেন্টদের জড়িত থাকার ব্যাপারে সরাসরি অভিযোগ তোলেন ট্রু়ডো। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কারও করে ট্রুডো সরকার।

তবে ভারত কানাডার এ অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘কানাডা যে অভিযোগ করেছে, কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, এ অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা মনে করি, তাদের অভিযোগ পক্ষপাতপূর্ণ।’

এমনকি কানাডা খালিস্তানপন্থী আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলেও অভিযোগ ভারতের। গত ২০ সেপ্টেম্বর বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং দুষ্কৃতি নেটওয়ার্কে জড়িত ৪৩ জনের তালিকা কানাডা সরকারকে পাঠিয়েছে ভারত। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা অনেকেই কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কানাডায় বহু ভারতীয় বাস করেন। দেশটির মোট জনসংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ। তার মধ্যে অন্তত ১৪ লাখ ভারতীয় রয়েছেন। উচ্চশিক্ষা কিংবা চাকরির সূত্রে ভারত থেকে তারা কানাডায় গেছেন।

কানাডায় প্রবাসী ভারতীয়র সংখ্যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৩.৭ শতাংশ। কানাডায় প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেই শিখ ধর্মাবলম্বী। সেখানে ৭ লাখ ৭০ হাজার শিখ রয়েছেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ।

ভারতে শিখদের অনুপাত কানাডার চেয়েও কম। ভারতের মোট জনসংখ্যার বিচারে শিখদের সংখ্যা মাত্র ১.৭ শতাংশ।

কানাডার সরকার গঠনে তাই শিখদের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। কানাডার রাজনীতিতেও তারা যথেষ্ট সক্রিয়। কানাডার হাউস অব কমন্সে ১৮ জন শিখ সাংসদ রয়েছেন, শতাংশের বিচারে যা ভারতের চেয়েও বেশি। তাই ট্রুডো বা কানাডার সব রাজনৈতিক দলই শিখদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Half of the residents of Nagorno Karabakh have left

নাগোর্নো-কারাবাখ ছেড়েছেন অর্ধেক বাসিন্দা

নাগোর্নো-কারাবাখ ছেড়েছেন অর্ধেক বাসিন্দা নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকা ছাড়ছে বহু মানুষ। ছবি: সিএনএন
হাজার হাজার আর্মেনিয়ান এ ছিটমহল ছেড়ে আর্মেনিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। এখনও পরিবার নিয়ে এলাকা ছাড়ছে বহু মানুষ।

বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকা আজারবাইজানের দখলে যাওয়ার পর থেকে অসংখ্য জাতিগত আর্মেনীয় ওই এলাকা ছেড়েছেন।

গত কয়েকদিনে এলাকাটি ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা এতই বেশি যে, তা মোট বাসিন্দাদের অর্ধেক বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে সিএনএন।

হাজার হাজার আর্মেনিয়ান এ ছিটমহল ছেড়ে আর্মেনিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। এখনও পরিবার নিয়ে এলাকা ছাড়ছে বহু মানুষ।

আর্মেনিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, আজারবাইজান ছিটমহলকে আর্মেনিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী একমাত্র সড়ক থেকে ১০ মাসের অবরোধ তুলে নেয়ার পর বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৭ হাজার শিশুসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে।

এ এলাকায় এক লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ানের বাস ছিল। আর্মেনিয়ার সরকার যুদ্ধের কারণে বাস্তুহারা মানুষকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর থেকেই তারা এলাকা ছাড়তে শুরু করেন।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ওই এলাকায় জাতিগত নিধন চলছে।

আজারবাইজান গত সপ্তাহে বলেছে, নাগর্নো-কারাবাখের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। আজারবাইজানের সীমানার মধ্যে অবস্থিত এলাকাটি কয়েক দশক ধরে নিজস্ব একটি সরকারের অধীনে স্বায়ত্তশাসিতভাবে পরিচালিত হয়েছে।

দেশটি বলছে, কেউ যদি আজারবাইজানীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করে তবে তারা এই অঞ্চলে থাকতে পারে।

তবে অনেকেই এই ঘোষণার পক্ষে মত না দিয়ে বরং বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাদের মতে, কেউই এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নাগোর্নো-কারাবাখ দক্ষিণ ককেসাস এলাকার একটি পাহাড়ি এলাকা। এটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তবে তিন দশক ধরে এটি জাতিগত আর্মেনিয়ানরা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

এই ছিটমহলের প্রতি আর্মেনিয়া এবং তাদের মিত্র রাশিয়ার সমর্থন ছিল। বছরের পর বছর ধরে সেখানে শত শত রুশ সেনা ছিল।

গত সপ্তাহে আজারবাইজানের সেনারা আক্রমণ চালালে রাশিয়ার পাঁচজন শান্তিরক্ষী এবং ২০০ জন জাতিগত আর্মেনিয়ান এবং কয়েক ডজন আজারবানি সেনা নিহত হন।

আর্মেনয়িয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে সেখানে এটাই চলছে এবং এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, কারণ এ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানানোর চেষ্টা করছি।

আজারবাইজান বলেছে, তারা জাতিগত আর্মেনিয়ানদেরকে ‘সমান নাগরিক’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়।

মানুষের ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে আর্মেনিয়ার সীমান্তে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।

আর্মেনিয়ার গোরিস শহরে যেসব শরণার্থীরা এসে আশ্রয় নিয়েছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। এই শহরটি কারাবাখের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

এক ব্যক্তি বলেন, আমি আমার সারা জীবন আমার মাতৃভূমির প্রতি উৎসর্গ করেছি। এভাবে পালিয়ে আসার চেয়ে তারা যদি আমাকে মেরে ফেলতো তাহলে বেশি ভালো হতো।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Why do the Chinese consider marriage a death trap?

বিয়েকে কেন ‘মৃত্যুফাঁদ’ ভাবছেন চীনারা

বিয়েকে কেন ‘মৃত্যুফাঁদ’ ভাবছেন চীনারা প্রতীকী ছবি
বিয়েতে আগ্রহ হারিয়েছেন চীনের বাসিন্দারা। তার চেয়ে বরং লিভ ‍টুগেদার বা সিঙ্গেল থাকতে চান তারা। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেছেন, বিয়ের আরেক নাম হলো মৃত্যু।

বিয়ে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই মানুষের, কোথাও কোথাও তো বছরের কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বিয়ের ‘মৌসুমও’ হয়ে ওঠে কয়েকটি দিন। চীনেও আছে এমন এক সময়। তবে এবার সে মৌসুম উযদাপনে সাড়া মেলেনি।

বছরের সপ্তম মাসের সপ্তম দিনে ওক্সি ফেস্টিভল নামে এক উৎসব হয় চীনে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের মতোই হয় এর আয়োজন। আয়োজনের দিনে অনেক তরুণ-তরুণী বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। তবে এ বছরের আয়োজন উদযাপনে আয়োজকরা বরং ক্ষতির মুখেই পড়েছেন।

এর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, বিয়েতে আগ্রহ হারিয়েছেন চীনের বাসিন্দারা। তার চেয়ে বরং লিভ ‍টুগেদার বা সিঙ্গেল থাকতে চান তারা। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেছেন, বিয়ের আরেক নাম হলো মৃত্যু।

আল জাজিরা বলছে, গত ২২ আগস্ট ওক্সি ফেস্টিভলের দিনে সিচুয়ান প্রদেশের মিয়ানয়াং শহরের একটি বিবাহ নিবন্ধন অফিস বিবাহ নিবন্ধন সরাসরি সম্প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ওই দিন সে এলাকায় বিয়ে করতে আসেন খুব জুটিই।

শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। বিয়ে নিবন্ধন হলের অনুষ্ঠানের পরিবর্তে লাইভে দেখানো হয় শহরের মনোরম দৃশ্য।

এ ঘটনাটি নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে। বিয়েতে অনাগ্রহের পেছনের কারণও বেরিয়ে আসছে অনেক।

বিয়েতে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার নানা উৎসাহমূলক পদক্ষেপ নিলেও কয়েক বছর ধরে চীনে বিয়েতে আগ্রহ কমছে মানুষের।

এক হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৩ সালে বার্ষিক প্রায় সাড়ে ১ কোটি ৩৫ লাখের মতো বিয়ে হয়েছে চীনে, অথচ গত বিয়ের বিয়ে হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ।
এসব পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করে, চীনের বাসিন্দারাও পরে বিয়ে করছেন। বিবাহবিচ্ছেদের হার বাড়ছে এবং সিঙ্গেল থাকতে চাওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।

চীনা তরুণরা মনে করছেন, বিয়ে তাদের আধুনিক জীবনের সঙ্গে বেমানান। সাংহাইয়ের বাসিন্দা বছর বয়সী ইউ ঝাং আল বলেছেন, ‘চীনে বিয়ে এক প্রকারের মৃত্যু।’

পেশায় ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান এই যুবক বলেন, দুই বছর ধরে আমি আমার প্রেমিকার সঙ্গে এক সঙ্গে আছি। আমরা প্রায়ই বিয়ের কথা আলোচনা করেছি। তবে সবসময় একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি- বিয়ে করার চিন্তা করলে দেখি সেটি আমাদের সুখের চেয়ে চাপই বেশি দেয়।

চীনের বিবাহযোগ্য অনেকে মনে করেন, দুটি পরিবারের এক হওয়ার পাশাপাশি বিয়ের মাধ্যমে একটি বাড়ি কিনে সংসারও শুরু করতে হয়। এই মুহূর্তে, এই তিনটি লক্ষ্য অবাস্তব বলে মনে হচ্ছে।

বিয়েতে আগ্রহ বাড়াতে প্রচারণা চালাচ্ছে চীন। এ লক্ষ্যে গত মে মাসে ২০ টিরও বেশি চীনা শহরে ঘোষণা করা নতুন পদক্ষেপ। ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি কাউন্টি গত মাসে ঘোষণা করেছে, পাত্রীর বয়স ২৫ বা তার কম হলে তারা আর্থিক পুরস্কার পাবেন।

এ ছাড়া কর্মকর্তারা জনসাধারণকে ‘সঠিক বয়সে’ বিয়ে করতে এবং সন্তান ধারণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করেছেন। সাম্প্রতিক টিভি শো এবং ফ্যাশন শোতে বিয়ের গুরুত্ব তুলে ধরা হচ্ছে।

গুয়াংজু শহরের জেসিকা ফু বিশ্বাস করেন, বিয়ের প্রতি যে মনোযোগ দেয়া হয়েছে তা দেশের জন্মহার বাড়ানোর সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গে যুক্ত। তবে কোনো কিছুতেই সংকট কাটছে না।

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের চীনা ও এশিয়ান স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার প্যান ওয়াংয়ে মতে, ব্যক্তিগত পছন্দের আবির্ভাব চীনা সমাজে বিয়ের গতিপথ বদলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিবাহিত জীবন আজ অনেকগুলি জীবনধারার বিকল্পগুলোর মধ্যে একটি মাত্র।

আরও পড়ুন:
অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে সেই শিক্ষক
ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের দিনক্ষণ, নিজ বাড়িতে কিশোরীর মরদেহ
চুপিসারে বিয়ে সারলেন ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’

মন্তব্য

p
উপরে